সাম্ভালা� খোঁজ� �: কারস� দলবল নিয়� চল� এসেছেন তিব্বত�, তা� সত্যিকার উদ্দেশ্য কি কে� জানে না� ওদিক� অপহৃ� হলেন �: আরেফিন, সুদূ� ঢাকা থেকে রাশে� তা� বন্ধুক� নিয়� �: আরেফিনকে উদ্ধার করতে চল� এল তিব্বত� কিন্তু তাদে� পেছন� লাগল একদল লোক।
লখানিয়া সি� ওরফে মজিদ ব্যাপারী� আছেন সাম্ভালা� পথ�, সঙ্গী যজ্ঞেশ্ব� আর বিনো� চোপড়া, তাদে� দুজনের লক্ষ্য � উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ আলাদ�, মিচনার � পিছিয়� নে� , প্রতিপক্� লখানিয়া সি� থেকে সে কেবল এক পা দূরে� অন্যদিকে পিশা� সাধক আকবর আলী মৃধা আছ� পেছন�, তা� উদ্দেশ্য একটা�, প্রতিশোধ� দু� চিরশত্রু কি মুখোমুখি হব� এক� অপরে�? অবশেষে সাম্ভালা� সন্ধান কি তারা করতে পেরেছিলো - যেতে পেরেছি� কে� ওখান�? এরকম আর� অনেক প্রশ্নের উত্ত� মিলব� সাম্ভালা ট্রিলজির শেষপর্� সাম্ভালা: শে� যাত্রা'য় বাকি দুটি পর্বের মত� টানটান উত্তেজনায় আপনাকে ধর� রাখব� একদম শে� পর্যন্ত।
Shariful Hasan hails from Mymensingh, Bangladesh. He has spent his childhood by the banks of Brahmaputra river. He completed his Masters in Sociology from University of Dhaka and is currently working in a renowned private organization.
Shariful's first novel was published on 2012 titled Sambhala. With two other books, this captivating fantasy trilogy has received widespread acclimation both within and beyond the borders of Bangladesh. The Sambhala Trilogy was translated in English and published from India.
Although his inception consisted of fantasy and thriller, he has later worked on a variety of other genres. These works have been received fondly by the Bangladeshi reader community. Lot of his works have also been published from different publications in West Bengal.
Award- Kali O Kalam Puroshkar 2016 for 'অদ্ভুতুড়� বইঘর'
শরীফু� হাসানে� সাম্ভালা প্রকাশের প্রায় এক দশ� হত� চললো� কালে� পরিক্রমায় কেমন টিকে আছ� পাঠকপ্রিয় উপন্যা�-ত্রয়ী?
একজন নতুন পাঠক ২০২০ সালে এস� যখ� সাম্ভালা পড়ত� যাবে�, তখ� বে� কয়েকট� ব্যাপা� তা� চোখে পড়বে। প্রথমে রেটিংস� গুডরিডসে সিরিজে� তিনট� বইয়ের গড� রেটি� হল� �.০৪/৫। প্রথ� প্রকাশ থেকে� ফিডব্যাক খু� পজিটিভ� প্রথ� খন্ডের তো আবার ইংরেজি অনুবাদ� আছ�, কলকাতা থেকে বেরিয়েছ�!
"I honestly didn't expect a Bangladeshi writer to have the guts to write a novel of it's (this) unique genre"
গুডরিড� থেকে নেয়�, আমার উক্ত� না� পরিতৃপ্ত এক পাঠকের ‘তৃপ্তির ঢেকুর� বল� যেতে পারে�
এত� কিছু দেখে এক্সপেক্টেশন বেড়� যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না� কিন্তু সাম্ভালা কি আসলে� এতোট� রোমাঞ্চক� অভিযাত্র�?
সাম্ভালা� প্রধান চরিত্র দু'জন� প্রথমজ� হল� রাশেদ। অপরজ�, ফ্লাপে� ভাষায় বলতে গেলে ‘সহস্রাব্দ প্রাচী� রহস্যময় পরিব্রাজক’। আলোচনা� সুবিধার্থে পরেরজনকে আমরা ‘পথিক� বল� ডাকবো।
গল্পের শুরু, একটা বইয়ের জন্য রাশেদে� রুমমেট/জিগর� দোস্� খু� হওযা নিয়ে। কি মন� হয�, পেপারে বন্ধ� হত্যার খব� পেয়� আমাদের রাশে� কি করবে? অবশ্যই, প্লটের প্রয়োজন� তল্লিতল্পা গুটিয়� পালাবে! কিন্তু � তো কিছু করেন�, তাহল�? (হে হে..) নাহল� যে প্রথ� কয়ে� পাতায় উপন্যা� শে� হয়ে যায়!
পুলি� ছাড়� রাশেদক� খুঁজতে দেখা যাবে তা� বন্ধ�-হন্তরককে�
রাশেদে� এই দৌড়াদৌড়ি� ফাঁক� আমরা পরিচিত হব� ব্রিটি� �. নিকোলা� কারসনে� সাথে� মানে ইতিহাস বেজড উপন্যাসে দুয়েকটা নার্� না থাকল� চল�? পাঠককে ইতিহাস গেলাতে হব� তো!
আর এসবে� মধ্য� মাঝে মাঝে� লেখক আমাদেরকে নিয়� যাবে� ইতিহাসের বিভিন্� সময়�, সে� পথিকের সাথে� খুবই গণ্যমান্� লো� সে� যদিও লোকচক্ষু� আড়ালে থাকে� অবশ্যই, হোয়াই নট?
আর এস� সবকিছু ধীরে ধীরে এগুত� থাকে সাম্ভালা� দিকে� সাম্ভালা, পৃথিবী� বুকে স্বর্গ�
প্রথমে� বলবো প্লট নিয়ে। গল্প-উপন্যাসে অমরত্ব নতুন কিছু না� তব� দেশীয় প্রেক্ষাপট� এট� অবশ্যই অন্যকিছু� সে� হিসেবে প্লটটা কম� হয়ে� আনকম� থাকে সবসময়� এব� পাঠককে চুম্বকের মত� টেনে রাখে� যদিও প্লট হোলে� অভাব নে� পুরো বই জুড়ে। প্রটাগনিস্� ১০� তলার উপ� থেকে লা� দিলে� কিছু হয� না তা�, কিন্তু আরেকজন দু� তলার উপ� থেকে পড়ে মারা যাচ্ছে� (আসলে এক্স্যাক্ট সেইম জিনি� হয� না, তব� কাছাকাছি অনেক কিছু� ঘটে।)
লেখনী� যেকোনো উপন্যাসে� সবচেয়� গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথ� উপন্যাসে� লেখনী খু� একটা স্মু� না� ক্লিশে টাইপ অ্যাপ্রোচ। প্লটের কারণ� পড়ে যাবে�, কিন্তু লেখনী আপনাকে ‘হইহই� কর� আটকে ধরবে, ব্যর্থ হব� যদিও� লেখনী দ্বিতীয় খন্ড� যথেষ্ট উন্নতি হব�, তৃতীয়টাতে গিয়� লেখকের অভিজ্ঞতা� ঝুলি দেখত� পা� আমরা�
ক্যারেক্টারাইজেশ� খুবই প্লট কন্ভিনিয়েন্ট। স্পয়লার দি� না বল� বেশি গভীরে যাচ্ছি না, তব� কিছু কিছু জায়গায় চরিত্রের জন্য গল্প নাকি গল্পের জন্য চরিত্র কা� করছে� বুঝত� অসুবিধ� হবে। তাছাড়�, গল্প টেনে বড� কর� হয়েছে দ্বিতীয় খন্ডে। দরকা� ছিলো না কোনো এটার� গত� স্লথ কর� ছাড়� আর খু� একটা কাজে আসেনি। বর� তৃতীয় আর দ্বিতীয় এক কর� ফেলল� আর� সুপাঠ্� উপন্যা� পাওয়া যেত।
২০১২ সালে সালে যখ� সাম্ভালা প্রকাশিত হয�, বাঙালি তখ� হুমায়ুন আহমেদে মজ� ছিল। একদিকে উদ্ভ� হিমু, অপরদিক� যুক্তিবাদী মিসি� আলি। মাঝখান দিয়� যখ� সাম্ভালা� মত� উচ্চাভিলাসী এক ফ্যান্টাসি-অ্যাডভেঞ্চার-থ্রিলা� গোছে� উপন্যা� হু� কর� চল� আসলো, তখ� তারা এম� কিছু� জন্য আসলে তৈরি ছি� না� বাংলাদেশ কে�, দু� বাংলাতেই এম� কিছু কে� আগ� দেখেনি� বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া, তিব্বত থেকে প্রাচী� গ্রি�, ফ্রান্� থেকে জর্জটাউন� কোথায় কিংব� কো� সময়� পদচারণ� নে� এই উপন্যাসে�? তা� নতুন এই স্বা� নিতে� হত� তাদের। নিয়েছেও বৈকি�
এই মিডিয়োকোর উপন্যাসে� আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা� পিছন� কারণ বোধহয় সেটাই। আর আমাদের বর্তমা� সময়ের চমৎকার উপন্যাসগুল�-� বোধহয় এজন্যই সাম্ভালা� কাছে কৃতজ্ঞ� সাম্ভালা বেস্� না, কখনো� হব� না� তব� সাম্ভালা দেখিয়েছ�, সাহিত্� কি হত� পারে বাংলার�
এখনকার সময়� প্রকাশিত হল� কি অবস্থা হত� সাম্ভালা�? মন� হয� না এতটা পাঠকপ্রিয়তা পেত।
টু সা� আপ, হয়ত� একসময় অভিন� ছি�, হয়ত� অনেকের নস্টালজিয়�-আদরে� সাথে স্মর� কর� না� সাম্ভালা� সত্যিকার অর্থেই এক রোমাঞ্চক� অভিযাত্র�, তব� আপ-টু-মার্� সে মোটে� না� এব� সেটা হওয়� লাগব� না আসলে� Because, when it was good it was really good, and it was bad it was often even better.
পড়া হয়ে গেছে সে� গত বছরই অথ� রিভি� দিতে কি যে আলসেমি লাগতেসিল� সে যা� হো� বইটা নিয়� আম� স্যাটিসফাইড। আগের দুটো� তুলনায� এট� অনেক ভা� লেগেছে� অনেক প্রশ্নের উত্ত� পাওয়া গেছে আবার অনেক গিট্টু খুলে গেছে� সবকিছু একটু ওভার ড্রামাটি� ছি� ঠিকই তব� আগের � টা বই পড়ে সে� ব্যাপারটার সাথে খা� খাইয়ে নিয়েছিলাম� তা� এবার আর বেমানা� লাগেনি�
শরীফু� হাসা� এর তারি� করতে হয� বটে। বাংলায� এত উন্ন� ফ্যান্টাসি খু� বেশি নেই। আরেকটা জিনি� যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল খু� সুন্দর দক্ষতা� সাথে তিনি প্রায় � টা আলাদ� আলাদ� দৃশ্যপ� একসাথে এগিয়ে নিয়� গিয়েছেন� আবার সময় মত সবাইকে একত্� কর� ফেলেছেন। সবথেকে ভালো লাগা� চরিত্রগুলো� মধ্য� ডঃ লতিক� প্রিয় হয়ে থাকবেন� এই মহিলার প্রত� আম� একদম ইমপ্রেসড� আর যজ্ঞেশ্ব� � কম যায় না� ওনার চরিত্রটা� বে� ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার�
আগের বই দুটো� প্রত� যা বিরক্ত� ছি� সেটা কেটে গেছে বল� যায়� তব� হ্যা� অকারনে পেঁচিয়ে কিভাবে লেখা বড� কর� যায় সেটা পারল� শরীফু� হাসা� এর কা� থেকে শিখে নিতাম। পরীক্ষা� হল� এই বিদ্যা� কাজে দিত।
শে� হল� সাম্ভালা� সাথে চল� দীর্� � মাসে� পথ� ট্রিলোজি� প্রথ� খন্ড পড়ে ব্রে� নি� � তারপ� অবশেষে শে� যাত্রা� তব� পু��� যাত্রাটা কি প্রথ� আর শেষে� মত ছি�? এটলিস্� আমার কাছে লাগেনি�
বই এর প্রথ� প্রকাশ এর সময় এর কথ� ভাবল� বে� অবাক লাগবে। সা� ২০১২, রাজত্ব করছে� হুমায়ূন আহমেদ। পাঠক মহলে হিমু, মিসি� আলির জয়জকার। ঠি� সে� সময় এম� একটা জনরা নিয়� লেখক এলেন যেটা নিয়� আগ� লেখা হলেও পূর্নত� দিতে পারেনি দু� বাংলার কোথাও।
আজ ১১ বছ� পর এস� হয়ত� কনসেপ্� গুলা আমাদের কাছে আর নতুন নেই। তবুও শরীফু� হাসা� স্বার্থক তা� সাম্ভালা� প্রভাব বিস্তারে�
আমার যা যা বলার ছি� এই রিভি� টা� তা� সব বল� দিয়েছ� , তা� আর কষ্ট কর� লিখলাম না�
জীবন ক্ষণস্থায়ী� মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী� মৃত্যুকে কেউই জয� করতে পারব� না!!! সাম্ভালা! কেবল� না�! মো�! জাদু! রহস্�! মি�!!! সুদর্শ� এক যুবক� পেশীবহুল এক শরীর। দানবের মত শক্ত� তা� দেহে� রক্ত তা� নেশা� পৃথিবী� হাজা� মাইল পথ সে পাড়� দিয়েছ� পদব্রজে। কো� কিছু� তা� বাধা হয়ে দাঁড়ায় না� এখ� তা� লক্ষ্য একটাই। তা� একমাত্� প্রতিপক্�, একমাত্� প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দেয়� এই পৃথিবী� বু� থেকে� সে নির্ডর, সে নির্ভীক। না� তা� মিচনার� আরেক যাত্রী� না� লখানিয়া সিং। সে� এক পথিক� সে সাধারন নয়। তাঁর লক্ষ্য সাম্ভালা� এগিয়ে চলেছ� সাম্ভালা নামক মোহে� দিকে� ডঃ কারস� প্রথ� থেকে� পড়ে আছেন সাম্ভালা� পিছে� তাঁক� এব� তাঁর অভিযান দলকে খুঁজ� বে� করতে� হব� � নামে� পিছে কী আছে। তাঁর� এগিয়ে� চলেছেন সাম্ভালা� দিকে� কিন্তু পদ� পদ� বিপদ এব� নতুন চমক। নতুন শত্র� সামনে। এদিক� পুরানো ভয়ঙ্ক� শত্রুও পিছে নেই। সিক্রে� সোসাইটিরাও মাথা চাড়� দিয়� উঠছে� রাশে� কীভাবে যুক্� হব� এই অভিযান�? আসলে� কী সাম্ভালা আছ�? নাকি কেবল� এক মি�? রহস্�? কে� কি পারব� এই রহস্যে� কো� কিনারা করতে?? মুহুর্মুহু চে�, নাটকীয় অপহর� � নিস্রংসতায� ভরপু� হত্যাকান্ড সম্বলি� এক অসাধার� ট্রিলজির শে� পর্ব সাম্ভালা শে� যাত্রা� লেখক শরীফু� হাসানে� এক অসামান্য সৃষ্টি এই সাম্ভালা ট্রিলজি। প্রথ� দুটি পর্ব পড়ে� এই ফ্যান্টাসি এডভেঞ্চা� থ্রিলা� ট্রিলজিটির বে� প্রশংস� করেই পজিটিভ রিভি� লিখেছিলাম। কিন্তু তৃতীয় বই শুরু করার আগ� মন� একটু সংশয� ছি� মন� লেখক কী প্রথ� দু� পর্বের মত অসামান্য দুর্দান্� ভাবে ফিনিশি� দিতে পারবেন? এই সংশয়ে� পিছে প্রথ� দু� পর্বের কো� কারন নেই। এর আগ� অনেক বিশ্বখ্যাত সিরিজে� দেখা গেছে যে শুরু� চমকে� সাথে শেষট� অতটা দুর্দান্� হয� না� কিন্তু লেখকের অপুর্ব দুর্দান্� প্লট এব� প্লট ডেভেলপমেন্� এই পর্বেও আমাকেও মুগ্� করেছে। তিনি পুরো সিরিজটিতেই চমকে� পর চম� রেখেছেন। যে কো� চলমা� সিরিজে� শে� বই নিয়� রিভি� লেখা সহ� নয়। কারন স্বাভাবি� ভাবে� কাহিনী নিয়� কথ� বলতে গেলে পুরো সিরিজে� কাহিনীকে বিচা� করেই কথ� বলতে হয়। আম� আগেই বলেছ� এই ট্রিলজির প্লট দুর্দান্ত। এম� প্লট নিয়� বাংলাদেশ� আগ� কো� ফ্যান্টাসি-এডভেঞ্চা� থ্রিলা� লেখা হয়নি। এই শে� যাত্রায় এস� প্লটটি যখ� ধীরে ধীরে সামন� পরিষ্কার হত� থাকে তখনই লেখকের বিচক্ষণতার প্রকাশ পেতে থাকে আর� ভালভাবে। কাহিনী� ডেভেলপমেন্টকেই আম� এই সিরিজক� বেশী ভালো লাগা� পিছনের মূ� কারন বলব। লেখক প্রথ� � দ্বিতীয় যাত্রায় কিছু চরিত্র হঠাৎ করেই নিয়� আসেন, যাদেরক� শুরুতে মন� হয� কি দরকা� এই চরিত্রের? শে� যাত্রায় এস� এর উত্ত� মিলবে। কাহিনী� গতিশীলত� প্রথ� দু� পর্বের চেয়� শে� যাত্রায় বে� ভালই� কিছু কিছু অধ্যায� কাহিনী� গত� বে� মুগ্� করার মত� লেখকের লেখনী� কথ� বলতে গেলে আম� প্রথ� দু� পর্বের রেফারেন্� নিয়� আসব। প্রথ� পর্বের লেখনী� কারনেই একটু ধীরগতিতে পড়ত� হয়েছিলো আমাকে। কিন্তু লেখকের প্রথ� মৌলি� লেখা বলেই আম� � বিষয়ক� অতটা প্রাধান্� দি� নাই। দ্বিতীয় যাত্রায় এস� লেখকের লেখনী অনেক ভালো হয়েছে এব� আমার পড়া� গতিও অনেক বেড়� গিয়েছিল এই পর্ব� এসে। আর শে� যাত্রায় লেখকের লেখনী আগের দু� পর্বকে ছাড়িয়ে অনেক পরিপক্� হয়েছে� আসলে এটাই স্বাভাবি� একজন লেখক যত� লিখবেন তত� অভিজ্ঞতা� ঝুলি বেড়� পরিপক্কত� আসবে� এই পরিপক্কত� কেবলমাত্� লেখনীতে� ফুটে উঠেনি। এই পরিপক্কত� কাহিনী� ডেভেলপমেন্�, গতিশীলত� এব� সিকোয়েন্স ডিটেইলিংসে পরিলক্ষি� হয়েছে� আগের দু� পর্ব� সিকোয়েন্স ডিটেইলিংসে ঘাটত� ছি� যা এই পর্ব� এস� অনেক ভালো হয়েছে� আমার কাছে এই দুর্দান্� ট্রিলজির শে� যাত্রা� একমাত্� দুর্বলতা লেগেছে কিছু কিছু অধ্যায়ে� সংযোজন� কিছু কিছু অধ্যায�/অং� আমার কাছে অতিরিক্ত লেগেছে যা না থাকলেও কাহিনী� ডেভেলপমেন্টে কো� ক্ষত� হত না� এব� ফিনিশিংটাও আরেকটু প্রলম্বি� হল� খারা� লাগত� না� সর্বোপরি এক দুর্দান্� ট্রিলজির দুর্দান্� শে� পর্বের অসাধার� এন্ডিং� লেখক একেকটি পর্ব লেখা� জন্য সময় নিয়েছেন এক বছ� করে। তি� পর্বের জন্য তি� বছ� কষ্ট করেছেন� আর আমরা পাঠকরা লেখকের তি� বছরে� কষ্টের ফস� তি� দিনে পড়ে মহ� আনন্� নিয়েছি। লেখক শরিফুল হাসানক� আবার� সাধুবা� জানাচ্ছি আমাদের এত দারু� একটি ফ্যান্টাসি-এডভেঞ্চা� থ্রিলা� ট্রিলজ� দেয়ার জন্য� সাম্ভালা শে� যাত্রা� জন্য লেখকের প্রত� শুভকামনা রইল। একইসাথ� আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বেড়� গে� লেখকের কাছে� আশ� করছি সন্নিকটে� লেখকের পরবর্তী বই পড়া� সুযো� পা� আমরা�
যতোট� আগ্র� প্রথ� পর্ব জাগিয়েছিল, দ্বিতীয় যাত্রা তা ম্লা� করেছে। কাহিনী বিন্যাসে অগোছাল� ছাপে� কারণেই এম� হয়েছে� শে� যাত্রা অনেকটা জো� কর� পড়ে যেতে হয়েছে� শে� যাত্রা� শে� পরিণতি ঠি� রেখে� অনেক স্লি� এব� ধারালো গল্প হত� পারত� এটি। কে� জানিনা লেখক তাড়াহুড়ো কর� নাকি অমনোযোগিতায় এম� করলে�! শে� যাত্রাকে 2.5/5 দিতে গিয়� 3 দিলাম।
যা�, শেষট� আসলে� শেষে� মত� হয়েছে� দ্বিতীয় ভা� পড়ে আশ� ছেড়� ছেড়� দিচ্ছিলা� এম� অবস্থা, কিন্তু প্রশ্নের সব উত্ত� নিয়� তৃতীয় ভাগে� জমজমাট যাত্রা আশ� পূরণ করেছে।
পৃথিবী� পথ ধর� হাজা� বছ� ধর� ছুটে চলেছ� প্রাচী� এক পথিক, সভ্যতা� নানা ঘা� সংঘা� পেরিয়� ক্লান্� পথিক তা� সর্বশে� গন্তব্� সাম্ভালা� খোঁজ� বেরিয়েছ� অবশেষে� কিন্তু তা� এই চলার পথটা কি আসলে এত সর�? ওদিক� বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়� তরুণ রাশেদ। তা� বন্ধ� শামী� হঠাৎ নিরুদ্দে� হয়ে যাবা� আগ� রাশেদে� কাছে রেখে গে� অনেক���ুলো টাকা আর রহস্যময় এক বই� পর� জানা গে� শতাব্দী প্রাচী� এই বইতে হদিস দেয়� আছ� সাম্ভালার। মরিচীকা সদৃশ এই সাম্ভালা� খোঁজ� বছরে� পর বছ� ধর� ছুটেছে মানুষ। �. আরেফিন আর �. কারসনে� সাহায্� নিয়� এই বই এর রহস্যে� সমাধান করার জন্য নামল� রাশেদ। পথ� বাঁধ� হয়ে দাঁড়ালো আকবর আলী মৃধা নামে� এক অমানুষ, প্রেতসাধনা কর� নিজেকে শয়তানের কাছে বিলিয়� দিয়েছ� এই লোক। নিজে� হারিয়� যাওয়া সম্পত্তি আবার নিজে� অধিকার� ফিরিয়� আনবা� ব্যাপারে কো� ছাড় না দেবা� প্রতিজ্ঞ� করেছ� সে�
সংক্ষেপে এই হল সাম্ভালা সিরিজে� কাহিনী� যথেষ্ট কৌতূহলদ্দীপক, সন্দেহ নেই। একজন থৃলারপ্রেমী হওয়� স্বত্ত্বেও বইটা নানা কারণ� অনেকদি� পড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যখ� একদি� পত্রিকায� খবরে দেখলাম পাশে� দে� ভারত� এই বই ইংরেজীতে অনুবাদ হচ্ছ�, তখ� আর দেরী কর� গেলনা। ঝটপট বই তিনট� কিনে পড়া শুরু কর� দিলাম।
বইটা পড়ে ভালো লেগেছে কারণ, বাংলাদেশ� এম� সিরিয়াস ধরণে� মৌলি� থ্রিলা� এর আগ� আমার চোখে পড়েনি� থ্রিলা� ঘরানার লেখা পড়া� জন্য আমাদেরকে সবসময়� বাইরের লেখকদে� দিকে� তাকিয়� থাকত� হয়। শরীফু� হাসানে� মত নতুন লেখকের� যদ� চালিয়� যা� তব� সে� দি� আশ� কর� শে� হত� চলেছে। আপনা� পরিচিত পরিবেশ� যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাক� অথবা ধানমন্ডিতে যখ� বই এর কো� ঘটনা ঘট� এব� তা� সাথে আপনি যখ� রিলে� (relate) করতে পারে� তখ� তা আসলে� এক আনন্দদায়ক অনুভূতির জন্ম দেয়� ভিনদেশ� বিভিন্� বই পড়েতো আমার ধারণাই হয়ে গিয়েছিল� যে জমজমাট একটা গল্প ফাঁদতে হল� তা� ঘটনা গুলো অবশ্যই ইটালির ফ্লোরেন্সে কিংব� প্যারিসে� কো� কানাগলিত� অথবা নিউইয়র্কে� রাজপথে ঘটাত� হব�, নয়ত� বিষয়ট� ঠি� যুঁতসই হয়না। ভ্রান্� ধারণ� গুলো ভেঙ্গে দেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবা�! সাম্ভালা� পড়া� পর আপনি লেখকের কল্পনাশক্ত� আর বর্ণণা� ক্ষমতা� প্রশংস� করতে বাধ্� হবেন� বই এর কাহিনী বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নেপা� আর তিব্বত অঞ্চলে বিস্তৃ� হয়েছে� এই ধরণে� একটা এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী� জন্য যেটা প্রয়োজন তা হল বই এর কাহিনী এব� পরিবেশটা এম� ভাবে বর্ণণা কর� যাতে পাঠকের মন� হয� বইতে যা ঘটছে তা যে� একদম তা� চোখে� সামনেই ঘটছে� এই দি� থেকে ‘সাম্ভালা� কো� অংশে দুর্বল নয়। বিভিন্� স্তর� বিভক্ত অনেক গুলো গল্পকে লেখক সফলতার সাথে� একীভূ� করেছেন� বিশে� কর� আমার প্রিয় অংশটুক� হল বই এর ইতিহাস ভিত্তি� অংশটা। প্রাচী� কাহিনী গুলো দিয়� একটি চরিত্র দাঁড� করানোর ব্যাপারটাই অসাধার� ছিলো!
তব� কিছু হতাশার জায়গা� আছে। বইটা শুরু করার আগ� এর কাহিনী সংক্ষে� আর অন্তর্জালে অন্যান্য রিভি� গুলো পড়ে আম� বুঝত� পেরেছিলা� যে এখান� এম� একটি চরিত্র আছ� যে অম� অর্থাৎ এই চরিত্রটি বেঁচ� ছিলো সে� প্রাচী� কা� থেকে, সে দেখেছে পৃথিবী� অনেক সভ্যতা� উত্থান আর তাদে� পতন। চলার পথ� তা� পরিচয় হয়েছে হাজা� রকমে� মানুষে� সাথে� তো এই ধরণে� একটি চরিত্র� আম� যে ধরণে� গভীরত� আশ� করেছিলাম তা আম� বইতে পাইনি। বর� অনেক জায়গাতে তাকে আর দশজন সাধারণ মানুষে� মত� মন� হয়েছে� এই অম� চরিত্রটি বাদে� তি� খন্ডের বইটিতে আর� কিছু চরিত্র এসেছে। কিন্তু আশ্চর্যে� ব্যাপা� এত বড� একটা সময় এদেরকে নিয়� পড়া� পরেও বই শেষে আম� চরিত্র গুলো� সাথে কো� ধরণে� বন্ধ� অনুভ� করিনি। আমার মন� হয়েছে লেখক কাহিনী বর্ণনা করতে যত সময় দিয়েছেন চরিত্র গুলো ঠিকভাব� গড়ে তুলত� অতটা মনযো� দেয়ার প্রয়োজন বো� করেননি� খলচরিত্র গুলো� মধ্য� অন্যতম একটি চরিত্র ছি� আকবর আলী মৃধা� কিন্তু তা� চরিত্রটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা� মত শক্তিশালী না� মিচনার চরিত্রটি তা� অধীনে কা� করছে বা তাকে ভক্ত� করছে, শে� পর্যন্� গুরু বল� মানছ� � বিষয়গুল� বিশ্বাসসযোগ্� মন� হয়নি। সংলা� এড়িয়� অনেক জায়গাতে� সাধারণভাবে কাহিনী বর্ণণা কর� যাওয়া হয়েছে যা অনেকসময় একঘেয়েমির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিজট� তি� খন্ডের, মানে পরিধিট� বে� বড়। কিন্তু এম� অনেক জায়গা ছিলো যেখানে হয়ত� বই এর পাতা� পর পাতা এগিয়ে গেছে কিন্তু কাহিনী সে� অনুপাত� এগোয়নি। � অবস্থায় একজন সাধারণ পাঠকের মনযো� ধর� রাখাটা একটু কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়� কাহিনীটা আরেকটু আঁটসাট হল� বইটা আর� ভালোভাবে উপভো� করতে পারতাম বল� মন� হয়েছে� � ধরণে� একটা বইতে লেখকের� সাধারণ� পাঠকের আগ্র� ধর� রাখা� জন্য বিভিন্� ধরণে� ক্লিফহ্যাঙ্গার ব্যবহা� করেন� কিন্তু, সাম্ভালায় ক্লিফহ্যাঙ্গারের ব্যবহা� কম� সিরিজে� শে� বই ‘শেষ যাত্রা’য� আহমদ কবির নামে� একটি চরিত্রের সাথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেয়� হল এব� তা� কিছুক্ষন পরেই জানিয়� দেয়� হল, চরিত্রটা খলচরিত্র� কিন্তু আমার মন� হয়েছে, আহমদ কবী� এর আস� রূপট� তখনই উন্মোচিত না কর� যদ� তাকে ঘিরে আর� কিছু রহস্যে� জা� বিছানো যে� তাহল� তা ক্লিফহ্যাঙ্গার হিসেবে বে� ভালো কা� করতো� তব� তারপরে� আম� কো� লেখক নই� এব� একজন লেখক তা� সৃষ্টি তা� পরিকল্পন� মতনই সাজাবে�, তাতে তো আর কারো কো� বাঁধ সাধবার অধিকার নে�! এখান� আম� একজন পাঠক হিসেবে আমার যা ভালো লেগেছে আর যে জিনিসগুলোর অভাব বো� করেছ� তারই একটা বর্ননা দিলাম। কিন্তু সবকিছু মিলিয়� বলতে গেলে, বাংল� থৃলা� ঘরানার সাহিত্যে� ক্ষেত্রে সাম্ভালা বে� ভালো একটি সংযোজন�
সাম্ভালা� শে� যাত্রায় কি সাম্ভালা� খো� পাওয়া যাবে? বললে তো� স্পয়লার হয়ে যাবে� শরিফুল হাসা� ব্যাপক একটা বই লিখে ফেলেছে� সেটা আম� নিশ্চিত। এডভেঞ্চা�, ফ্যান্টাসি, মি� কি না� � গল্পে। এখানেই আব্দুল মজিদ ব্যাপারী ওরফে লখানিয়া সি� এর আস� পরিচয় পাওয়া যাবে� আর সাম্ভালা� ব্যাপারট� তো� বইটা পড়লেই পাবেন। তব� এটুক� বলতে পারি � বই পড়ত� আমার কষ্ট হয� নাই। স্মুদল� টেনে পড়ত� পেরেছি� লেখকের প্রথ� দুটা বইয়ের তুলনায� এট� অনেক বেশি উপভোগ্য। মজার ব্যাপা� হচ্ছ� লেখক অনেকগুলা টাইমলাইন একসাথে টেনে নিয়� একটা সুন্দর কর� মিলিয়� ফেলেছেন। মোটকথা হই� অংকট� মিলাইত� পেরেছেন। এবার আস� সমালোচনাতে� সাম্ভালা একটা ভারতীয় মিথ। এট� নিয়� লেখকের পড়াশোনা কম নাকি উন� বিস্তারি� লেখে� না� সেটা আমার একটা প্রশ্ন� আর উন� কিছু জিনি� নিয়� গভীরে যা� নাই। সাম্ভল� নিয়� আসলে ধারনাট� কোথা থেকে এসেছ�, সেরক� কিছু পাইনি। কালচক্� মন্ত্রটা নিয়েও কিছু হিস্ট্রি দিলে ভা� করতেন। আসলে খটমট বই থেকে পড়ে জানা� থেকে গল্পের মধ্য থেকে জানল� ভা� লাগে বেশি� শে� যুদ্ধটাও খু� একটা জম� নাই। কে� জানি মন� হল একটু তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে� সব মিলিয়� বল� যায় বাংল� সাহিত্� এম� সিরি� বে� দুর্লভ�
�. ট্রিলজির সমাপ্ত� এভাবেই হওয়� উচিত� �. নিছক রহস্�, রোমাঞ্�, বা অ্যাডভেঞ্চার নয�, বর� ফ্যান্টাসি যে আর� অনেক বড়ো, অনেক ব্যাপক হত� পারে, তা এভাবেই বোঝানো উচিত� �. অমরত্ব হো� বা সব-পেয়েছির-দে�, ফিলজফার্� স্টো� হো� বা গুপ্তজ্ঞান, এসবে� খোঁজ যে নিজে� ভেতরেই পাওয়া যায়, তা এম� করেই দেখানো উচিত�
সংক্ষেপে বললে, ছুটি� দিনট� এম� বই পড়ে� কাটানো উচিত� পড়ে ফেলু�!
হ্যা� দৌড়� বল� জেতে পারে� এই দৌড়ের শুরু গতবছ� হয়েছিলো, শে� হল এবছর� নাকি শে� হয়ে� হলনা শে�!? ... বল� মুশকিল�
গ্রুপে� সাম্ভালা সিরিজে� সাথে পরিচতি হয়েছে প্রায় এক বছর। বইমেলা ২০১৩ � সেরা আবিস্কার আমার জন্য এটাই� সাম্ভালা সিরিজে� সবথেকে ইউনি� কিংব� অনন্� বিষয়ট� হচ্ছ� ইতিহাসের প্রয়োগ। যেভাবে সুন্দর কর� ইতিহাসের পাতায় একটি সম্পূর্ণ ফিকশনা� চরিত্রকে ঢুকিয়� দেওয়া হয়েছে তা আসলে� প্রশংসার দাবি রাখে� বস্তুত এই কারনেই সিরিজটিক� আমার এত� ভালো লেগেছিল।
আনুশাঙ্গিক দিকগুল� দেখত� গেলে এই সিরিজে� গল্পগুলোতে রয়েছে গোলাগুলি, কাটাকাটি, মারামারি, এব� সেইসাথ� যথেষ্ট ফ্যান্টাসি এলিমেণ্ট� অনেক� এই সিরিজক� কেবল থ্রিলা� বল� চালিয়� দিতে চাইলেও আম� নারা�, সাম্ভালা প্রথমে ফ্যান্টাসি তারপরে থ্রিলার। অন্ত� আম� তা� ভাবি� এব� এই জিনি� খু� ভালোভাবে� প্রমাণ হয়ে যাবে সাম্ভালা তৃতীয় যাত্রা শে� হত� হতে।
একটি ট্রিলজির কিংব� একাধিক বই সিরিজে� সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ট� হচ্ছ� কাহিনী� ধারাবাহিকত� এব� পুরাতন জিনিশগুলোর মধ্য� থেকে� নতুন চম� খুঁজ� বে� করা। যা এই শে� উপন্যাসে এস� খু� সুন্দরভাবে সম্পন্� হয়েছে�
গল্পের শুরুতে� একগাদা চরিত্রের আগমন� আম� একটি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলা� যদিও, তব� পঞ্চাশ ষা� পাতা পা� হত� হত� সেটাতে অভ্যাস হয়ে এসেছিল�, তারপরে কেবল দৌড়েছ� পাতা� পর পাতা, বিরতিহীন।
একাধার� অনেকগুলো টুকর� টুকর� দৌড় উঠ� এসেছ� এই গল্পের মধ্যেও, � ওর পিছে ছুটছ�, � আবার তা� পিছে ছুটছ�, তারা আবার অন্য কারো পিছে ছুটছে। এদের এক জনের লক্ষ্য আবার অন্যজনের অজান�, আর সকলে� পরস্পরের অধরা� পুরো উপন্যা� ধর� চলেছ� এই দৌড়, এব� সম্ভবত সে� কারনেই শেষে� প্রায় ৭০ পৃষ্ঠা� মত� তীব্� গতিত� আম� তাদে� ঊর্ধ্বশ্বাসে অনুসরণ করেছ� মাত্� আগ� পিছে কিছু না ভেবেই।
যদিও কিছু চরিত্রের ক্ষেত্রে আমার পূর্বে কর� ধারণ� মোটামুটিভাবে বাস্তবায়ন হত� লক্ষ্য করেছ� এব� সেটা� যুক্তিযুক্�, তবুও তা গল্পের সামগ্রিক আবেদনে এতটুকু ঘাটত� এনেছ� বল� আমার মন� হয়না।
তব� কিছু বিষয� নিয়� অসন্তো� ছি�, যদিও সেটা প্রকাশনাগত, � - সাম্ভালা শে� যাত্রা� প্রচ্ছ� একটু ভিন্� হল� ভালো হতো। শে� পর্যন্� পড়ে এট� খু� বেশি মন� হয়েছে� � - ভেতরের অক্ষরগুল� একটু বড� হত� পারত� এব� লাইনের স্পেসি� আর� একটু বাড়লে ভালো হতো। এত� আঁটসাঁ� কর� লেখা পড়ত� একটু সমস্যা হয়েছে� হয়ত� পৃষ্ঠা একটু বারত� শে� পর্যন্�, তবুও এইরক� একটা বই আর� কয়ে� পৃষ্ঠা বেশি হলেও আম� ঠি� কিনে ফেলতাম সঠিক মূল্� পরিশোধ করে।
যা� হো�, অনেক কথ� বল� ফেললাম� যদ� সাম্ভালা ট্রিলজির বইগুলো আপনারা না পড়ে থাকে� তাহল� অবশ্যই পড়ুন। বাংলাদেশের বুকে এরকম একটি দারু� ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চার বই লেখা� সাহস কয়জ� করবে� সেটা� ভবিষ্যতে� কাছে একটা জলন্� প্রশ্ন� তব� আম� অধী� আগ্রহে অপেক্ষ� করবো লেখক আমাদের এরকম আর� সুন্দর উপন্যা� উপহা� দিয়� যাবে� নিরলস। :D
অবশেষে শে� হইলো প্রায় হাজা� পেজে� বিশা� সাম্ভালা ট্রিলজি। প্রায় এক দশ� হত� চল� ট্রিলজিট� নিয়� আমার তেমন কিছু বলার নেই। কিন্তু বলতে� হয� শরীফু� হাসা� খু� শক্ত হাতে পাঠককে ধর� রাখবেন এই ট্রিলজ� দিয়ে। এক অনিশ্চিত � অক্ষয় জীবন নিয়� খু� দারু� ভাবে� শুরু গল্পের প্লট শুরু করেছেন লেখক� জীবন বৈচিত্রে� সাথে সাথে ঘটনা প্রবাহ � রোমাঞ্চক� সমাপ্ত� দেখিয়েছেন প্রথ� পর্বে। কি নে� এত�, সমাজ, ইতিহাস, ট্র্যাজেডি, কালে� বৈচিত্� সহ সভ্যতা� দারু� এক মিশে� সাম্ভালা ট্রিলজির প্রথ� পর্ব� কিন্তু চলমা� গল্পের সাথে তা� রাখত� গিয়� বে� খাপছাড়া ভাবে গল্প এগিয়েছে ২য� পর্বে। কিন্তু শে� পর্ব পড়লেই যেনো বুঝা যায় রোমাঞ্চক� গল্পের ধাক্কা দেয়ার জন্য পাঠকদে� ২য� পর্ব� তৈরি করেছেন লেখক� লেখক অমরত্ব খোঁজার এক অলিক কল্পনায় বেড়� উঠার এই গল্প খু� দারু� ভাবে অর্থবহ করতে পেরেছেন। তব� শে� পর্ব� এস� মূ� গল্পের বাইর� বে� কিছু ডালাপালা সংযুক্� কর� লেখাটাকে দীর্� করতে কৃপণতা করেননি� অঢেল সময় থাকল� এব� এডেভেঞ্জার, মিস্ট্রি � ট্র্যাজেডি এক সাথে পেতে চাইল� বাংল� সাহিত্যে সাম্ভালা ট্রিলজ� অনন্য।
তিনট� পার্টই দারু� লাগলো। বলতে� হয� মনের মত� একটা বই পড়ে শে� করেছি। কী নে� এই বইয়�! রহস্�, মি�, রোমাঞ্�, এডভেঞ্চা� সব� আছে। "সাম্ভালা" কে অনেকদি� মন� থাকবে।
ছো� খাটো কিছু জিনি� ওভারলু� করলে লেখাটা অসম্ভব ভালো ছিলো� মাঝে মাঝে কিছু গল্প ভালো লেগে গেলে সেখানে ভুলগুল� ওভারলু� করতে ইচ্ছ� হয়। সত্য� বলতে আমার এখ� ওগুলার কথ� মনেও নাই। আম� ভাবছ� এরপর রাশে� সেখানে গিয়� কি করলো আর যা সে সেখানে পাবে তা দিয়� কি করবে� dammit, but I want to KNOW!!!!!!!
গত দুটো বইয়ের মত� অনেকগুলো ব্যাপা� নিয়� আম� বে� অসন্তুষ্� � বল� চলে। একটা বই কে প্রয়োজন ছাড়� এতটা টানা� মানে কি কে জানে� লেখক চেষ্টা করেছেন,তব� আর� অনেক ভা� কিছু� আশ� ছিল। প্লট, ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্�, টুইস্ট সব মিলিয়� মোটামুটি লাগলো।
(তি� পর্বের পা� প্রতিক্রিয়া একত্রে) বইয়ের উপরে লেখা আছ�, "এক রোমাঞ্চক� অভিযাত্র�"! এই ব্যাপারে দ্বিমত নাই। আসলে� রোমাঞ্চক� অভিযাত্রা। বিশ্বা� করেন বা না-� করেন এক দিনে শে� করেছ� এট� পড়ে� প্রায় ১৪ ঘন্টার মত� লেগেছে শে� করতে� এবার আস� কাহিনী পর্যালোচনায়� যাত্রা শুরু হল� এক শয়তানের উপাসকে� হা� থেকে অত� ��্রাচী� এক বই রক্ষ� কর� নিয়ে। যে� বইয়� আছ� কিভাবে অমৃতের সন্ধান পাওয়া যাবে� শেষে জানানো হল� এরসাথে� শুরু হচ্ছ� সাম্ভালা� খোঁজ� যাত্রা� দ্বিতীয় যাত্রায় ছিলো প্রিপারেশন� চরিত্রগুলোকে শে� যাত্রা� জন্য প্রস্তুত কর� তোলা হলো। শে� যাত্রা মানে তো বুঝা� যাচ্ছে এখান� যাত্রা শে� হবে। নানা চরাই উৎরা� পেরিয়� শে� পর্যন্� সে� যাত্রা শুরু থেকে সব চরিত্রগুলোকে একসাথে একজায়গায় নিয়� আস� হলো। কা� কি পরিণতি হয়েছে সেটা নিজে নিজে পড়ে জেনে নিবেন।
প্রধান চরিত্র গুলো হচ্ছ� দুইজ� অম� ব্যক্ত� যারা একজন আরেকজনের শত্র� (না� বললে স্পয়লার হয়ে যাবে তা� বলতেসিনা), রাশে�, �. আরেফিন, �. কারস�, পিশা� সাধক আকবর আলী মৃধা� পার্শ্বচরিত্রে� মধ্য� যারা উল্লেখযোগ্� তারা হচ্ছেন রাজু, �. সুব্রামানিয়াম, �. সন্দী�, লতিক�, সুরে�, যজ্ঞেশ্ব�, চ্যা� এব� একজন লামা�
তি� পর্বের মধ্য� দ্বিতীয় পর্ব অত জম� নাই। বাকি দু� পর্ব� যে খু� জম� গেছে এম� না� এট� বললা� কারণ প্রেডিক্� কর� যাচ্ছিলো কি হবে। দ্বিতীয় পর্ব� একটা গুপ্তধ� খোঁজার কাহিনী আছ� যেটা আসলে না থাকলেও চলতো বল� আমার মন� হয়েছে�
বেশকিছ� ব্যাপা� আসলে কে� আছ� তা� কো� যথায� ব্যাখ্যা নাই। যেমন. �. আরেফিনকে কে� �. কারস� অভিযানের জন্য চু� করলে� আম� বুঝত� পারি নাই। কারণ প্রথ� পর্ব� আরেফিনকে তিনি পছন্� করেন না� বুঝা� যাচ্ছিলো� হু� কর� লতিক� প্রভাক� কে� অভিযান� যুক্� হলেন সেটা� আরেকটু শক্তিশালী একটা কারণ থাকা� দরকা� ছিলো� রাশে� চরিত্রটা� উপরে খুবই বিরক্ত হয়েছি আমি। মন� হচ্ছিল� তা� জীবনের একমাত্� কা� যে কো� সিচুয়েশনে ঘুমায়� থাকা আর ধূমপান করা। বল� হয়েছে সে প্রচুর বই পড়ে অথ� তা� বুদ্ধি� দৌড় দেখে মন� হব� এত বই পড়ে কো� লা� হয� নাই। তা� বন্ধ� রাজু তাকে বুঝায়� বললে তা� দিমাগে� বাত্তি জ্বলে। তাকে আরেকটু বুদ্ধিমা� দেখালে ভালো হত� সহ� সর� দেখানো� পাশাপাশি�
অতীতে� অনেক ঘটনা এব� মি� নিয়� কাহিনী এগিয়েছে বর্তমানে� প্রেক্ষাপটে। শেষট� সবার ভাল্লাগবে। গল্প বলার ধর� ঝরঝর� � প্রাণবন্ত। একঘেয়� লাগে নাই। সেজন্য� একটানা পড়ে শে� করতে পেরেছি�
অবিশ্বাস্য! শ্বাসরুদ্ধকর! পরিপূর্ণ! অনেকদি� পর বাংলায� কোনো উপন্যা� পড়ে এম� অনুভূত� হলো। গল্পের প্রথ� দু� খণ্ড পড়ে আগেই প্রচণ্� কুতূহলী হয়ে ছিলা�, তা� বেশি দেরি কর� নি পড়া শুরু করতে� সময় কিভাবে পা� হল� বুঝলাম না, মন� হচ্ছিল� আমিও এই অভিযাত্রার এক যাত্রী� এই খণ্ড� লেখক শরিফুল হাসানে� লেখনী অনেক বেশি পরিপক্� মন� হয়েছে� তাছাড়� এমনিতে� তিনি অনেক গুছিয়� লিখতেন� কিন্তু এই খণ্ড� তিনি সত্যিই তা� গুনে� পরিচয় দিলেন। গত রাতে শুরু করেছিলাম, মাঝে ঘু� আর কাজকর্� ছাড়� বাকিটা সময় তা� লেখায় মোহমান্বিত হয়ে ছিলাম। তাছাড়� এম� তৃপ্তিদায়� সমাপ্ত� আসলে� প্রশংসনীয়� এম� নয� যে আগেই অনুমান কর� ছিলা� কি হব�, হয়ত আশ� কর� ছিলা�, কিন্তু কিভাবে হব� বা আদ� হব� কি না তা বোঝা� অবস্থা ছিলো না মোটেও। প্রথ� খন্ড থেকে লেখক চরিত্রগুলো খু� যত্ন নিয়� গড়েছে�, এব� সমাপ্তিত� সবগুলো চরিত্র একধরনে� ন্যায্যত� পেয়েছে। বিশে� কর� প্রধান চরিত্র মিনো� বা লাখানিয়� সি� এর ইতিহাস, উত্থান এব� তা� সর্বশে� গন্তব্� বে� তৃপ্তিদায়ক। দ্বিতীয় খণ্ড� লেখক পার্বত্য চট্টগ্রামে গুপ্তধনে� খোঁজ� রাশে� এব� রাজু� একটি অভিযানের গল্প বলেছিলেন যা� সাথে সাম্ভালা� কোনো সম্পৃক্ততা পা� নি� ভেবেছিলা� এই খণ্ড� পাবো, কিন্তু পা� নি� যা� হো� সেটা হয়ত দ্বিতীয় খন্ডের অপরিপূর্ণত�, শে� খন্ডের গল্পের প্লট নিয়� কো� অভিযোগ নেই। তাছাড়� লেখক এমনভাব� সমাপ্ত� টেনেছে� যে� চাইলেই রাশেদক� নিয়� পরবর্তীতে নতুন গল্প বলতে পারে�, হয়ত তখনো কাজে লাগবে। দাদা� যোগ্� উত্তরসূর� হিসেবে সে� কি অম� জীবন বেছে নেবে নাকি সাধারন মানুষে� মত মরণশী� জীবন� রয়ে যাবে তা হয়ত পরবর্তীতে জানা যাবে� বাতিঘর প্রকাশনী� উচিত বানা�, প্রিন্টি� এর ভু� শুধরান� ব্যবস্থা করা। এম� ভালো গল্প� এত বানা� ভু� দৃষ্টিকটু।
সাম্ভালা� খোজে �. কারস� দলবল নিয়� চল� এসেছেন তিব্বত�, তা� সত্যিকার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কে� জানেনা| ওদিক� অপহৃ� হলেন �. আরেফিন, সুদূ� ঢাকা থেকে রাশে� তা� বন্ধুক� নিয়� �. আরেফিন কে উদ্ধার করতে চল� তিব্বত� কিন্তু তাদে� পিছন� লাগল� শয়তানের উপাস� আকবর আলী মৃধা |
অন্যদিকে লখানিয়া সি� ওরফে আব্দুল মজিদ ব্যাপারী � আছেন সাম্ভালা� পথে| বিপদ হিসেবে এক � পথ যাত্রী মিচনার , তা� প্রতিদ্বন্দ্বী � আছ� এক � পথ� | মুখোমুখি হত� হব� দুজন কে | তাদে� যেকোনো একজন বেচে থাকবেন , পৃথিবী দুজন এক � ধরণে� অম� মানু� কে মেনে নিবেনা | অম� দুজন মানুষে� মধ্য� একজনের যাত্রা মহ� শান্তিময� স্থানে� লক্ষ্য�,অন্যজনের যাত্রা তা� প্রতিদ্বন্দ্বী কে চিরতরে মুছে দিতে |
কা� লক্ষ্য পূরণ হব�?
টা� টা� উত্তেজনায় ঠাসা এই ফ্যান্টাসি নি:স্বন্দেহ� দেশে� ইতিহাসের অন্যতম সেরা পুস্তক!!
না পড়ল� পড়ে ফেলু� শরীফু� ভা� এর সাম্ভালা সিরিজট�!!!
খুচর� আলাপ:
- বই টা 300 পেইজের কিছু কম বেশি হল� বোধয� ভা� হত | - একশন সিনে� বর্ণনায় কিছুটা দূর্বল চিত্রায়� নজরে পড়েছে | - শেষে এস� কিছুটা হতাশ হয়েছি কোনো এক কারণ� | সম্ভবত প্রথ� বই � যে মাস্টারপিস এর স্বা� অনুভ� হয়েছিলো তা হয়ত 19-20 আকার� পূর্� হয়ন� বিধায় | তব� মাস্� রি� হব� সবার জন্য 🖤
অবশেষে বইয়ের নামকরণের সার্থকতা প্রকাশ পেয়� গেল। আগের বা� চারখান� গল্প চলছি� একসাথে, এবার� পাঁচ খানা� একটা� কে� কারো� থেকে কম যায়না� সুন্দর ভাবে সবকটাক� বুনে অবশেষে এক জায়গায় এন� মিলিয়েছেন�
🍉 গোটা saga টা� সব থেকে ভালো যা লেগেছে তা হল� গল্পের কো� একছত্র নায়� নেই। কখনো কলেজ পড়ুয়� রাশে� এর সাহস আপনাকে মুগ্� করবে, কখনও বা �: আরেফিন এর স্থিতধ� � বিচক্ষণত�, আর সবার উপ� আমাদের অম� অক্ষয় সুপারহির� লখানিয়া সি� তো আছেনই।
😋 অদ্ভুত এক যাত্রা� প্রথ� থেকে শে� যে নির্মে� তা একবারে� বলবনা। বইয়ের শুরু� দু� তৃতীয়াং� তো শুধু সবাই হেঁটেই চলেছেন� কো� Riddle solve নে�, এক জায়গায় clue পেয়� অন্য জায়গায় যাওয়া� নেই। আছ� শুধু� � ওর পিছন� যাচ্ছে, সে তা� পিছন�, আর সবার পিছন� আরেকজন� আরেকজন তো হাওয়ায় গন্ধ শুঁক� বেড়াচ্ছ� এক� একাই� (Trust me, it will make sense. 🤪)
কিন্তু এই সমস্� বিরক্ত� শেষে গিয়� লেখক একদম সুদে আসলে পুষিয়� দেবে�, তা� পড়া থামাবে� না� শেষট� একদম সত্যিই খু� সুন্দর� আর� কয়েকট� পার্� এল� ক্ষত� নে� অবশ্য। লেখক তো বলেছেন "সাম্ভালা� পথ� যাত্রা শেষ।" তো অন্য কো� অভিযাত্র� তো হতেই পারে� তা� না? 🥺
অবশেষে এত্ত ব্যস্ততা কাটিয়� বইটা পড়ে শে� করলাম। এই মাসে এখ� পর্যন্� এই একটা-� বই পড়ত� পেরেছি� 🤷🏾♀�
আগের দু� যাত্রা� চেয়� এই যাত্রা� পাল্লা ভারী� এইবা� �. কারস� থেকে শুরু কর� রাশে�, লখানিয়া সি�, এমনক� চায়নি� কিছু রক্ষীরও গন্তব্� ছি� একটা�! কে� জেনে সেইট� গন্তব্� বানিয়েছ�, কে� না জেনে�
বইটা� শে� অং� পড়ে অনেক ইমোশনা� হয়ে গেছিলাম। লখানিয়া সিংয়ে� থেকে রাশেদে� বিচ্ছেদে� সে� অংশটুক� আমার দাদা� সাথে আমার দূরত্বের কথ� মন� করিয়ে দিচ্ছিল। ভাবছিলাম, এম� প্রশান্তিত� আমার দাদা আছেন জেনে যদ� নিশ্চি� হত� পারতাম� প্রচন্� ভালবাস� তাকে� সৃষ্টিকর্ত� যে� তাকে জান্না�-� নসী� করেন� ❤️
সাম্ভালা একটা জায়গা, শান্তি� নীড়� পার্থি� জগতে থেকে� কিন্তু নিজে� মন আর আত্মাক� শান্� রাখা যায়� এই বার্তাটা-� দিয়েছ� বইটা� অনেক মিশ্� অনুভূতির একটা বই� পড়ে বে� খুশি হয়েছি� শরীফু� হাসানে� পড়া বইগুলো সত্যিই আমার কাছে চমৎকার লেগেছে� অন্ধ জাদুকর এরপরের টার্গেট। 😁
সাম্ভালা� প্রথ� দু� কিস্তি পড়ে তেমন একটা ভালো না লাগলেও, খারা� লেগেছে বল� না� তব� শে� যাত্রায় লেখক বে� ভালো� মুন্সিয়ান� দেখিয়েছেন� বলতে গেলে এট� পড়ে আমার অন্যরক� এক ভালোলাগা কা� করছে!
সাম্ভালা ট্রিলোজি� প্রথ� বইয়� লেখক পরিচয় পর্ব সেরেছেন। দ্বিতীয় পর্ব জুড়� ছি� সাব্ভালা� দিকে যাত্রা� প্রস্তুতি। আর অবধারিতভাবেই শে� পর্ব� সমাপ্ত� আর যা খু� ভালোভাবে� করেছেন তিনি�
�. কারস�, সুরে�, �. আরেফিনের পেছন� লেগেছে চীনা ইন্টেলিজেন্স! �. আরেফিনকে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ থেকে উড়া� দেয় রাশে� আর রাজু� তাদে� পেছন� জোঁকের মত� লেগে আছ� পুরোনো এক শত্র�! এদিক� হাজা� বছরে� পরিব্রাজকক� চিরতরে শে� করার উদ্দেশ্য� লেগে আছ� মিচবার!
সাম্ভালা� দিকে যাত্রা� প্রত� পদ� পদ� বিপদ� মি� নাকি সত্যিই এর অস্তিত্ব আছ� এই পৃথিবী� বুকে? বাঁধ� অতিক্র� কর� এর সত্যতা যাচা� করতে পারব� তাঁর�?
বইয়ের ব্যাপারে বলতে হল� প্রথমে� বলতে হয� লেখনী আগের দুটি� থেকে বে� ঝরঝরে। আম� শরীফু� হাসানে� খু� বেশি বই পড়িনি� কিন্তু সাম্ভালা� প্রথ� দু� পর্বের লেখনী আমাক� বে� ভুগিয়েছে। দ্বিতীয়�, কাহনী� শেষাংশ� এককথায� অসাধার�! পুরোটা পড়া� সময় মাঝে বিরক্ত� লাগলেও শেষট� মুগ্� কর� ফেলেছে� ট্রিলোজি� এন্ডিং-টা সত্য� বলতে এমনই হওয়� উচিত�
তব� কিছু 'কিন্তু' আছে। সাম্ভালা� দিকে যাত্রা যতটা রোমহর্ষক হওয়� উচিত ছি� ততটা মন� হয়নি। সবকিছু� কেমন সাজন� মঞ্চ নাটকের সেটে� মত� লাগল! এট� একান্ত� ব্যক্তিগ� মতামত। কারো ভালো� লাগত� পারে�
যদ� কে� এখনো পর্যন্� পড়ে না থাকে�, তাহল� শুরু করতে পারেন। নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চক� এক অভিযাত্রাই হব�..
সাম্ভালা! তৃতীয় এব� সর্বশে� বইটা� পড়া শে� হয়ে গেছে� তিনট� বইকে� যদিও রেটি� - �/� দিয়েছ�, তারপরও এই ট্রিলজিট� আমার অন্য রক� ভা� লেগেছে� ফেভারি� বইয়ের লিস্টে আশ্চর্যজনক ভাবে জায়গা কর� নিয়েছ� তিনট� বই � � শে� কর� এখ� মন� হচ্ছ�, ' ধূ�! কে� পড়ে শে� কর� ফেললাম! না পড়ে বর� রেখে দিতা�, তাহল� ভবিষ্যতে পড়া� জন্য এই অসাধার� তিনট� বই জম� থাকতো। আহ�!!!!!!! I also made a fan of your writing "SHARIFUL HASAN " bhaiya..... Oh! These three books are just awesome.