What do you think?
Rate this book
ত্রিস্তা�
ত্রিস্তা� শব্দের একটি বাস্তব � একটি কাল্পনিক অর্থ আছে। ফরাসী ধাতু ‘ত্রিস্ত’। শব্দটি কষ্টের সম্পদ। অব্যক্�, তীব্র। এই শব্দ স্মৃতিকাতরতা� সম্পদ। সুতীব্� স্মৃতিকাতরণ। স্মৃতিকা তোরণ� এম� কষ্ট � কাতরতা পুঁজ� কর� যে মানু� হয়ে ওঠ� অতী� সামর্থবতী-সামর্থবা�, শক্তিমতি-শক্তিমান, তাকে ডাকি—‘ত্রিস্তান’। কাল্পনিক অর্থটি এবার; সে� যে স্মৃতিকা তোরণ - তা যে শহরে� তোরণ - ত্রিস্তা� তা� নাম। পুঁজির বিকাশে সে নিখা� শহ�, কিন্তু সে কি জানে সে ‘শহর�? সেখানে চো� ভর� জল, কিন্তু সে জল উপচে পড়ত� নেই। সে শহরে ভাসে প্রাচী� পৃথিবী� সুর। বুনো, অধিজাগতিক। সে সু� হত্য� কর�, প্রে� জাগায়� ভাষায় তাকে ধরতে ইচ্ছ� জাগে, ভয়ও হয়। ত্রিস্তানে স্বাগত�
136 pages, Hardcover
First published January 3, 2025
4 people are currently reading
70 people want to read
About the author
হামি� কামা�
13books9followersহামি� কামালে� জন্ম � আগস্�, ১৯৮৭, ঢাকায়। আহসানুল্লা� বিজ্ঞা� � প্রযুক্ত� বিশ্ববিদ্যাল� থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক� পেশা� তিনি সাংবাদিক�
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
January 24, 2025
শুরু কর� যেতে পারে শক্ত� চট্টোপাধ্যায়ে� কবিত� দিয়�-
এই দ্বিধাবিভক্ত, দ্বিখণ্ডিত মানু� (কখনো আক্ষরি�, কখনো রূপক অর্থ�) আর তাদে� শহরক� নিয়� লেখা "ত্রিস্তান। " ত্রিস্তা� অর্থ দুঃখী � শক্তিশালী� ত্রিস্তা� শহরে� না�,যে শহরট� আমরা সবাই চিনি।একে� গল্প� ত্রিস্তানে� একেক রূপ। কখনো সে বিধ্বংসী, কখনো সে মনোহ� মায়া। একদিকে আছ� রূঢ় বাস্তবতা, আরেকদিকে স্বপ্ন আর অবচেতনের আবেশজড়ানো জগৎ।
হামি� কামা� এবার� এত� প্রত্যক্� সমকালীনতাতপ্� আখ্যান রচনা করলেন। জাদুবাস্তবতা বরাবরে� মত� উপস্থি�, কিন্তু নির্মম বাস্তবতা� "অশনি" বা "পাটখেতের লা�" এর উপজীব্য।লেডি ম্যাকবেথ উন্মাদ হওয়ার প্রাক্কালে অনুশোচনা থেকে বল�, আরবে� সমস্� সুগন্ধ� তা� হা� থেকে রক্তের গন্ধ মুছে ফেলত� পারব� না� আমাদের জীবনেও এম� কিছু ঘটনা ঘট� যা� অভিঘাত থেকে আমাদের মুক্তি নে�, শত চেষ্টাতেও। করোনাকাল আমাদের � লেখকের জীবনের তেমন� এক অধ্যায়। সে� দুঃস� শ্বাসরোধী সময় তা� রক্তঅস্থিমজ্জাসমেত এজন্� হাজি� হয� "অশনি"তে� অথবা পত্রিকার পাতা� খু� সাধারণ একটা খব�, যা� দিকে আমরা দ্বিতীয়বা� দৃকপাত করবো না, সেরক� এক "তুচ্� ঘটনা"� তীব্� অভিঘাত লেখককে দিয়� লিখিয়� নেয় "পাটখেতের লাশ।"
স্মৃতি থেকে উদ্ধার কর� বল�, ইমতিয়ার শামী� দুঃখ প্রকাশ কর� বলেছিলেন, দক্ষিণ আমেরিকার জাদুবাস্তবতা দেশীয় লেখকদে� এত� প্রভাবিত করেছ� অথ� আমাদের লোকজ সংস্কৃতিতে� জাদুবাস্তবতা� বিভিন্� উপাদান ছড়িয়� আছ�, কে� তা সঠিকভাবে ব্যবহা� করলো না� হামি� কামা� তা� উপন্যা� "জাদুকরী ভ্রম" এর মতো� " আজিমউদ্দিন আউলিয়�"তে নিজস্ব ধরনে লোকজ জাদুবাস্তবতা� সার্থক প্রয়ো� ঘটিয়েছেন।
"কাছে� এক শহরে"তে মানুষজ� শক্তির কবিতার মত� সত্য� সত্য� একজন থেকে দুজন হয়ে যায়� "বর্কিম্ময়ের ছব�" আর "সেতু আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী"
ট্রেডমার্ক হামি� কামালীয় গল্প, স্বপ্ন � বাস্তবতা� দেয়াল যেখানে ভেঙে একাকার হয়ে যায়।সেইন্� সামান্থা হাসপাতাল - যেখানে মানুষে� মৃত্যু নতুন কোনো অর্থ বহ� কর� না, বিরক্তিক� লোকটার ঘ্যানঘ্যান শুনে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেখানে বাসায় ফিরত� হয�, মানু� যেখানে অবলীলায় জিঘাংসার শিকা� হয� সে� ত্রিস্তা� আর বর্কিম্ময়ের কুহকের জগ� কি এক� শহ�? মানু� তো শুধু বাস্তবতা নিয়� বাঁচতে পারে না� তা� জীবন� কল্পনা� রঙ প্রয়োজন, প্রয়োজন কিছু স্বপ্নের� একটা শহরও মানুষে� মত� জীবন্ত� তা� তীব্� তুমু� ভয়াবহ কষ্টের দিনযাপনে� মাঝে� আছ� গল্প, কল্পনা আর কিছু মোহনীয় মিথ্যা - যা তাকে বাঁচিয়ে রাখে� শে� গল্পের চিঠিতে যেমন আছ�,
" আম� যদ� মর� যা�, ত্রিস্তানে� যে� আমার সমাধ� হয়। যত দুঃখের� হো�, আমার জীবন� এর চেয়� আপ� শহ� আর ছি� না�" এই বো� থেকে� লেখা হয� "ত্রিস্তা�", আরেকটু বেঁচ� থাকা� জন্য�
"পাতা� ফাঁক� উঠছে শামু�, শিকড� কাটে উই
আমার মত� একলা মানু� দু'খা� হয়ে শুই।"
এই দ্বিধাবিভক্ত, দ্বিখণ্ডিত মানু� (কখনো আক্ষরি�, কখনো রূপক অর্থ�) আর তাদে� শহরক� নিয়� লেখা "ত্রিস্তান। " ত্রিস্তা� অর্থ দুঃখী � শক্তিশালী� ত্রিস্তা� শহরে� না�,যে শহরট� আমরা সবাই চিনি।একে� গল্প� ত্রিস্তানে� একেক রূপ। কখনো সে বিধ্বংসী, কখনো সে মনোহ� মায়া। একদিকে আছ� রূঢ় বাস্তবতা, আরেকদিকে স্বপ্ন আর অবচেতনের আবেশজড়ানো জগৎ।
হামি� কামা� এবার� এত� প্রত্যক্� সমকালীনতাতপ্� আখ্যান রচনা করলেন। জাদুবাস্তবতা বরাবরে� মত� উপস্থি�, কিন্তু নির্মম বাস্তবতা� "অশনি" বা "পাটখেতের লা�" এর উপজীব্য।লেডি ম্যাকবেথ উন্মাদ হওয়ার প্রাক্কালে অনুশোচনা থেকে বল�, আরবে� সমস্� সুগন্ধ� তা� হা� থেকে রক্তের গন্ধ মুছে ফেলত� পারব� না� আমাদের জীবনেও এম� কিছু ঘটনা ঘট� যা� অভিঘাত থেকে আমাদের মুক্তি নে�, শত চেষ্টাতেও। করোনাকাল আমাদের � লেখকের জীবনের তেমন� এক অধ্যায়। সে� দুঃস� শ্বাসরোধী সময় তা� রক্তঅস্থিমজ্জাসমেত এজন্� হাজি� হয� "অশনি"তে� অথবা পত্রিকার পাতা� খু� সাধারণ একটা খব�, যা� দিকে আমরা দ্বিতীয়বা� দৃকপাত করবো না, সেরক� এক "তুচ্� ঘটনা"� তীব্� অভিঘাত লেখককে দিয়� লিখিয়� নেয় "পাটখেতের লাশ।"
স্মৃতি থেকে উদ্ধার কর� বল�, ইমতিয়ার শামী� দুঃখ প্রকাশ কর� বলেছিলেন, দক্ষিণ আমেরিকার জাদুবাস্তবতা দেশীয় লেখকদে� এত� প্রভাবিত করেছ� অথ� আমাদের লোকজ সংস্কৃতিতে� জাদুবাস্তবতা� বিভিন্� উপাদান ছড়িয়� আছ�, কে� তা সঠিকভাবে ব্যবহা� করলো না� হামি� কামা� তা� উপন্যা� "জাদুকরী ভ্রম" এর মতো� " আজিমউদ্দিন আউলিয়�"তে নিজস্ব ধরনে লোকজ জাদুবাস্তবতা� সার্থক প্রয়ো� ঘটিয়েছেন।
"কাছে� এক শহরে"তে মানুষজ� শক্তির কবিতার মত� সত্য� সত্য� একজন থেকে দুজন হয়ে যায়� "বর্কিম্ময়ের ছব�" আর "সেতু আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী"
ট্রেডমার্ক হামি� কামালীয় গল্প, স্বপ্ন � বাস্তবতা� দেয়াল যেখানে ভেঙে একাকার হয়ে যায়।সেইন্� সামান্থা হাসপাতাল - যেখানে মানুষে� মৃত্যু নতুন কোনো অর্থ বহ� কর� না, বিরক্তিক� লোকটার ঘ্যানঘ্যান শুনে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেখানে বাসায় ফিরত� হয�, মানু� যেখানে অবলীলায় জিঘাংসার শিকা� হয� সে� ত্রিস্তা� আর বর্কিম্ময়ের কুহকের জগ� কি এক� শহ�? মানু� তো শুধু বাস্তবতা নিয়� বাঁচতে পারে না� তা� জীবন� কল্পনা� রঙ প্রয়োজন, প্রয়োজন কিছু স্বপ্নের� একটা শহরও মানুষে� মত� জীবন্ত� তা� তীব্� তুমু� ভয়াবহ কষ্টের দিনযাপনে� মাঝে� আছ� গল্প, কল্পনা আর কিছু মোহনীয় মিথ্যা - যা তাকে বাঁচিয়ে রাখে� শে� গল্পের চিঠিতে যেমন আছ�,
" আম� যদ� মর� যা�, ত্রিস্তানে� যে� আমার সমাধ� হয়। যত দুঃখের� হো�, আমার জীবন� এর চেয়� আপ� শহ� আর ছি� না�" এই বো� থেকে� লেখা হয� "ত্রিস্তা�", আরেকটু বেঁচ� থাকা� জন্য�
March 8, 2025
লেখকের জগ� বাস্তব জগতে� দূরে কিন্তু চলমা� জগ� এর সাথে� সম্পর্কিত। করোনার সময়কা� চিত্� � ত্রিস্তানে� ঘটনা� ধারা� মধ্য� হসপিটালে� প্রহরীগণের কথোপকথনে উঠ� আস� নির্জী� হয়ে� জেনারেলে� চুরুটে একাকী স্মৃতি হয়ে গল্প হয়ে উঠ� কাতরতায় পূর্ণ। বার্তাকক্ষের পাটক্ষেত� রক্ত আছ� বোধহয় যেখানে বর্তমা� চলমানতার বাস্তবতা� আছে।
হামি� কামালে� লেখা� ভাষা আঁশট� এব� স্থি�, বর্ণনাধর্মী বাক্� নয� ছো� কথোপকথনে সাবলীলভাব� বলতে চাচ্ছে চরিত্র, কিন্তু মাথায় গেঁথ� থাকে না, সমস্যা একটু এখানেই� না গেঁথ� থাকা� কারণ বোধহয় স্থা�, জগ� অপরিচি� ঠেকে আর চরিত্রের নামে� মৌলিকত্ব ঈর্ষণীয়� লেখক এত� কিছুটা দুর্বোধ্� হয়ে� উঠেন বোধহয়�
হামি� কামালে� লেখা� ভাষা আঁশট� এব� স্থি�, বর্ণনাধর্মী বাক্� নয� ছো� কথোপকথনে সাবলীলভাব� বলতে চাচ্ছে চরিত্র, কিন্তু মাথায় গেঁথ� থাকে না, সমস্যা একটু এখানেই� না গেঁথ� থাকা� কারণ বোধহয় স্থা�, জগ� অপরিচি� ঠেকে আর চরিত্রের নামে� মৌলিকত্ব ঈর্ষণীয়� লেখক এত� কিছুটা দুর্বোধ্� হয়ে� উঠেন বোধহয়�
January 17, 2025
ফ্ল্যা�, লেখকের কথ� কিংব� কৈফিয়� ধর� যেতে যেতে হামি� কামালে� 'ত্রিস্তা�'এর প্রত� আগ্র� জমাট বাঁধ� আমার মাঝে� � টি গল্পের রিভি� লিখছি। যদিও গল্প বইয়ের রিভি� লিখা মনের মাঝে নানামুখি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে।
�) কাছে� এক শহরে
যদ� লিখি আমাদের সবার মাঝে� দু'জনের অস্তিত্ত্ব আছ� তাহল� শুনত� ক্লিশে লাগে অনেক� একজন সপ্রতি�, অপরজ� হতবিহ্বল� সমুদ্রের দুইজনে পরিণ� হওয়াট� তাঁর শহরে মহামারী� মত� ছড়িয়� যাচ্ছে� গল্প� আছ� এক বৃদ্� সেনাপত�, রেশম�, নিশিথিনী� মানুষে� মধ্য� ঠি� কী ধরনে� নাড়াচাড়া ঘট� গেলে এরকম একজন পরিণ� হয� দু'জন�? সুন্দর গদ্যভাষায়, সাবলী� এব� মানবমনস্তত্ত্ব� ভরপু� এক গল্প পড়া হলো।
�) অশনি
কোভিডে� অশনিকালে হাসা� � নীলিমা� জীবন যে� আমাদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা � ঘোরে� সম্মিলন। করোন� মহামারী� সময়� চিকিৎস� নীলিমা� এক দীর্�, বিষণ্ন, বিপন্ন জার্নি শুনিয়েছেন লেখক� অদ্ভুত সে� সময়ের গল্প� কীভাবে আমাদের উপ� অশনি নেমে এসেছিল� তা স্মৃতি� রিয়ার ভি� মিরর� আবার দেখা হলো।
�) আজিমউদ্দি� আউলিয়�
দক্ষ গ্রাম্� চিকিৎস� লোকমান হেকিম। ঘটনাচক্র� এক গাইয়ে� মালিকানা পেলে প্রতিজ্ঞ� করেন সে� গা�-গরুর প্রথ� দু� খাওয়াবে� বিখ্যা� আজিমউদ্দি� আউলিয়াকে। আমরা শৈশব-কৈশোরে পী�-আউলিয়াদের কেরামত� নিয়� যেসব সুন্দর গল্প শুনি হামি� কামা� একজন ভক্তের জীবন� নেমে আস� মহাবিপদে� কথ� এব� সে� পীরে� দৃষ্টিভঙ্গ� নিয়� চমৎকার এক গল্প লিখেছেন। অনেকদি� পর একটু ভিন্� প্লটের গল্প পড়া হলো। লেখক যে� পুনর্কথন করেছেন এব� সাথে মিলিয়েছেন নি� কল্পনা�
�) পাটখেতের লা�
মফস্বল বি� কর� সাংবাদিক মানিকক� অনেক নারকীয় সংবা� হজ� কর� চেপে যেতে হয়। কিন্তু এক রাতে তা আর সম্ভ� হয়ে ওঠ� না মানিকের। � গল্প� আছ� অতিলৌকিক উপাদান, সে� সাথে প্রচন্� মানসিক চা� হত� মুক্তি পেতে মানিকে� আকুতি। তাকে ছুটে যেতে হয� এক আপনজনে� কাছে� বলতে হয� সেকথ� যেকথ� বল� হয� না, যায় না�
�) বর্কিম্ময়ের ছব�
ত্রিস্তানে� মাতৃছায়� আরোগ্যনিকেতন� অনেক সুন্দর সব পেইন্টিং আছে। এসবে� মাঝে শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন চাপা দেয়� চিকিৎস� নিঝু� এক অদ্ভুত সুন্দর ছবির দেখা পায়� অঞ্জনের। প্রশ্ন হচ্ছ� অঞ্জনে� আর্টিস্ট কে? নিজে� রুটি� জীবন বরবা� কর� নিঝু� নেমে যায় সুলু�-সন্ধানে। হামি� কামালে� লেখনির নিজস্ব জমিন আছে। সে� জমিন� জাদুবাস্তবতা� বয়ানে চল� এসেছ� এক প্রেমে� কাহিনি� যে প্রে� � ভূবনের নয়।
�) আল� � তা� অক্ষয় তূণী�
প্রকৃত� যখ� নিজে� মানবজাতিকে নিঃশেষ করতে চায় ত্রিস্তানে� এক জাদুকর� কোণে, তখ� আল� � তা� অক্ষয় তূণীরে� কিছু করার থাকে।� গল্পের কনসেপ্� ভালো।
�) সেতু আমার অন্তসত্ত্ব� স্ত্রী
পাগলদে� মনের চারপাশ জুড়� দেয়াল তোলা না থাকায় অনেক� সেটা� সুযো� নেন। বুধবারের ফকির গনির গল্প� আছ� মানবচরিত্রকে ঘিরে থাকা এক দর্শন।
�) বোকা লোকট�
টেম্পোযাত্রী এক বৃদ্ধে� অনেক কথার-নীতিকথার বর্ণনা আছ� � গল্পে। এস� কথ� আমাদের অনেকের কাছে বোকা-বোকা কথাবার্তাই মন� হবে। কিন্তু লোকট� কি আসলে� বোকা?
�) ঝাঁপরজ্জ�
সামান্� পতঙ্� থেকে মহামারী ডেঙ্গু ছড়িয়� পড়েছে ত্রিস্তানে� এবার নগরপাল সে� পতঙ্� ঠেকাতে শহরে� বাস্তুতন্ত্রে�� পরিবর্তন নিয়� এসেছেন� গল্প� হামি� কামা� অনেকগুলো দৃশ্� নিয়� এসেছেন� ছাড়�-ছাড়� ফিল্মে� মত� এগুল� এক সূত্রে গাঁথা।
নয়ট� গল্প� হামি� কামা� পাঠককে গ্রি� কর� রাখা� মত� স্টোরিটেলি� করেছেন� পাঠককে ধর� রাখা� কারণ খু� সম্ভবত লেখকের এক ধরণে� লিরিক্যা� গদ্যভাষা� সে� সাথে মানব মনস্তত্ত্বের পদ� পদ� প্রকাশটা� আকর্ষণীয় তাঁর লেখনিতে। লেখক জাদুবাস্তবতা� আশ্রয়� মানবমনের দুঃখকে শক্তিত� রূপান্তরিত করার গল্প বল� গেছেন। আমার সবচেয়� ভালো লেগেছে 'আজিমউদ্দি� আউলিয়�'�
ত্রিস্তা� নামে� দু্ঃখি শহরে কিছু মানুষে� শক্তিমত্তা দেখত� পাঠককে স্বাগত� জানানো� যায়�
বই রিভি�
না� : ত্রিস্তা�
লেখক : হামি� কামা�
প্রথ� প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশ� : চন্দ্রবিন্দু প্রকাশ�
প্রচ্ছ� : দেওয়া� আতিকুর রহমা�
রিভিউয়া� : ওয়াসি� হাসা� মাহমুদ�
�) কাছে� এক শহরে
যদ� লিখি আমাদের সবার মাঝে� দু'জনের অস্তিত্ত্ব আছ� তাহল� শুনত� ক্লিশে লাগে অনেক� একজন সপ্রতি�, অপরজ� হতবিহ্বল� সমুদ্রের দুইজনে পরিণ� হওয়াট� তাঁর শহরে মহামারী� মত� ছড়িয়� যাচ্ছে� গল্প� আছ� এক বৃদ্� সেনাপত�, রেশম�, নিশিথিনী� মানুষে� মধ্য� ঠি� কী ধরনে� নাড়াচাড়া ঘট� গেলে এরকম একজন পরিণ� হয� দু'জন�? সুন্দর গদ্যভাষায়, সাবলী� এব� মানবমনস্তত্ত্ব� ভরপু� এক গল্প পড়া হলো।
�) অশনি
কোভিডে� অশনিকালে হাসা� � নীলিমা� জীবন যে� আমাদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা � ঘোরে� সম্মিলন। করোন� মহামারী� সময়� চিকিৎস� নীলিমা� এক দীর্�, বিষণ্ন, বিপন্ন জার্নি শুনিয়েছেন লেখক� অদ্ভুত সে� সময়ের গল্প� কীভাবে আমাদের উপ� অশনি নেমে এসেছিল� তা স্মৃতি� রিয়ার ভি� মিরর� আবার দেখা হলো।
�) আজিমউদ্দি� আউলিয়�
দক্ষ গ্রাম্� চিকিৎস� লোকমান হেকিম। ঘটনাচক্র� এক গাইয়ে� মালিকানা পেলে প্রতিজ্ঞ� করেন সে� গা�-গরুর প্রথ� দু� খাওয়াবে� বিখ্যা� আজিমউদ্দি� আউলিয়াকে। আমরা শৈশব-কৈশোরে পী�-আউলিয়াদের কেরামত� নিয়� যেসব সুন্দর গল্প শুনি হামি� কামা� একজন ভক্তের জীবন� নেমে আস� মহাবিপদে� কথ� এব� সে� পীরে� দৃষ্টিভঙ্গ� নিয়� চমৎকার এক গল্প লিখেছেন। অনেকদি� পর একটু ভিন্� প্লটের গল্প পড়া হলো। লেখক যে� পুনর্কথন করেছেন এব� সাথে মিলিয়েছেন নি� কল্পনা�
�) পাটখেতের লা�
মফস্বল বি� কর� সাংবাদিক মানিকক� অনেক নারকীয় সংবা� হজ� কর� চেপে যেতে হয়। কিন্তু এক রাতে তা আর সম্ভ� হয়ে ওঠ� না মানিকের। � গল্প� আছ� অতিলৌকিক উপাদান, সে� সাথে প্রচন্� মানসিক চা� হত� মুক্তি পেতে মানিকে� আকুতি। তাকে ছুটে যেতে হয� এক আপনজনে� কাছে� বলতে হয� সেকথ� যেকথ� বল� হয� না, যায় না�
�) বর্কিম্ময়ের ছব�
ত্রিস্তানে� মাতৃছায়� আরোগ্যনিকেতন� অনেক সুন্দর সব পেইন্টিং আছে। এসবে� মাঝে শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন চাপা দেয়� চিকিৎস� নিঝু� এক অদ্ভুত সুন্দর ছবির দেখা পায়� অঞ্জনের। প্রশ্ন হচ্ছ� অঞ্জনে� আর্টিস্ট কে? নিজে� রুটি� জীবন বরবা� কর� নিঝু� নেমে যায় সুলু�-সন্ধানে। হামি� কামালে� লেখনির নিজস্ব জমিন আছে। সে� জমিন� জাদুবাস্তবতা� বয়ানে চল� এসেছ� এক প্রেমে� কাহিনি� যে প্রে� � ভূবনের নয়।
�) আল� � তা� অক্ষয় তূণী�
প্রকৃত� যখ� নিজে� মানবজাতিকে নিঃশেষ করতে চায় ত্রিস্তানে� এক জাদুকর� কোণে, তখ� আল� � তা� অক্ষয় তূণীরে� কিছু করার থাকে।� গল্পের কনসেপ্� ভালো।
�) সেতু আমার অন্তসত্ত্ব� স্ত্রী
পাগলদে� মনের চারপাশ জুড়� দেয়াল তোলা না থাকায় অনেক� সেটা� সুযো� নেন। বুধবারের ফকির গনির গল্প� আছ� মানবচরিত্রকে ঘিরে থাকা এক দর্শন।
�) বোকা লোকট�
টেম্পোযাত্রী এক বৃদ্ধে� অনেক কথার-নীতিকথার বর্ণনা আছ� � গল্পে। এস� কথ� আমাদের অনেকের কাছে বোকা-বোকা কথাবার্তাই মন� হবে। কিন্তু লোকট� কি আসলে� বোকা?
�) ঝাঁপরজ্জ�
সামান্� পতঙ্� থেকে মহামারী ডেঙ্গু ছড়িয়� পড়েছে ত্রিস্তানে� এবার নগরপাল সে� পতঙ্� ঠেকাতে শহরে� বাস্তুতন্ত্রে�� পরিবর্তন নিয়� এসেছেন� গল্প� হামি� কামা� অনেকগুলো দৃশ্� নিয়� এসেছেন� ছাড়�-ছাড়� ফিল্মে� মত� এগুল� এক সূত্রে গাঁথা।
নয়ট� গল্প� হামি� কামা� পাঠককে গ্রি� কর� রাখা� মত� স্টোরিটেলি� করেছেন� পাঠককে ধর� রাখা� কারণ খু� সম্ভবত লেখকের এক ধরণে� লিরিক্যা� গদ্যভাষা� সে� সাথে মানব মনস্তত্ত্বের পদ� পদ� প্রকাশটা� আকর্ষণীয় তাঁর লেখনিতে। লেখক জাদুবাস্তবতা� আশ্রয়� মানবমনের দুঃখকে শক্তিত� রূপান্তরিত করার গল্প বল� গেছেন। আমার সবচেয়� ভালো লেগেছে 'আজিমউদ্দি� আউলিয়�'�
ত্রিস্তা� নামে� দু্ঃখি শহরে কিছু মানুষে� শক্তিমত্তা দেখত� পাঠককে স্বাগত� জানানো� যায়�
বই রিভি�
না� : ত্রিস্তা�
লেখক : হামি� কামা�
প্রথ� প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশ� : চন্দ্রবিন্দু প্রকাশ�
প্রচ্ছ� : দেওয়া� আতিকুর রহমা�
রিভিউয়া� : ওয়াসি� হাসা� মাহমুদ�
January 21, 2025
ছোটগল্পে� প্রত� বিমাতাসুলভ যে মনোভাব মন� মন� পোষণ কর� সেটা পরিবর্তন করার সময় এস� গেছে বোধহয়�
� বছ� বে� কয়েকট� গল্পসংকল� পড়া হল�, এট� নিয়� হামি� কামালে� দ্বিতীয় গল্পের বই পড়লাম এব� গল্পকা� হিসেবে তিনি শক্তিশালী � ব্যাপারে দ্বিমত করার সুযো� নেই।
সবগুলো গল্প� 'ত্রিস্তা�' শহ� বা লোকালয়ে� উল্লেখ আছ� তবুও প্রত্যেকটা গল্পেই মন� হয� ত্রিস্তা� বুঝি ভিন্� কোনো শহর। ত্রিস্তানক� কেন্দ্� কর� অদ্ভুত, অবাস্ত�, সুন্দর গল্পগুলো বাতাসে ভাসছ�, শুধু তাদে� ধরতে পারা চা�!
গল্পের বইয়ের রিভি� বা সামগ্রিকভাবে মতাম� দেওয়াটা কঠিন, কারণ ভিন্� ভিন্� গল্প পড়ে ভিন্� প্রতিক্রিয়া জাগাটা স্বাভাবিক।
তব� ত্রিস্তানে� বেশিরভাগ গল্প� ভালো লেগেছে�
� বছ� বে� কয়েকট� গল্পসংকল� পড়া হল�, এট� নিয়� হামি� কামালে� দ্বিতীয় গল্পের বই পড়লাম এব� গল্পকা� হিসেবে তিনি শক্তিশালী � ব্যাপারে দ্বিমত করার সুযো� নেই।
সবগুলো গল্প� 'ত্রিস্তা�' শহ� বা লোকালয়ে� উল্লেখ আছ� তবুও প্রত্যেকটা গল্পেই মন� হয� ত্রিস্তা� বুঝি ভিন্� কোনো শহর। ত্রিস্তানক� কেন্দ্� কর� অদ্ভুত, অবাস্ত�, সুন্দর গল্পগুলো বাতাসে ভাসছ�, শুধু তাদে� ধরতে পারা চা�!
গল্পের বইয়ের রিভি� বা সামগ্রিকভাবে মতাম� দেওয়াটা কঠিন, কারণ ভিন্� ভিন্� গল্প পড়ে ভিন্� প্রতিক্রিয়া জাগাটা স্বাভাবিক।
তব� ত্রিস্তানে� বেশিরভাগ গল্প� ভালো লেগেছে�
February 22, 2025
পড়ত� পড়ত� অবাক লাগে� তারপ� একটু থামি� বইটা রেখে দিই। তারপ� আবার ধরি। একটা শহরে একজন মানু� আচমকাই দুজন হয়ে যাওয়া� গল্পটা বেশি চমকপ্র� নাকি আজিমউদ্দিন আউলিয়ার গল্পটা� যে পীরসাহেব ধ্যানে� ইশারায� একটা বাঘবন্দি মানুষক� উদ্ধার কর� ফেলত� পারে সে� গল্পটা� বোধহয় বেশি ভালো� তারপ� আবার মন� হয� প্রেমক� অভিশাপ ভেবে যে ত্রিস্তা� শে� হয়ে যাচ্ছি�, সে� গল্পটা মন� বেশি দা� কেটেছে� এরকম কর� একটা� পর একটা মন� হতেই থাকে�
হামি� কামালে� গল্পগুলো কোমল, দৃশ্যমান, যে� চোখে� সামন� ঘটছে, সেটা জাদুবাস্তবতা� গল্প হো� কিংব� নিরে� বাস্তবধর্মী গল্প� চোখে আরাম লাগে, মন� বেদন� জাগে, মস্তিস্ক� আলোড়ন তোলে� মন� হয� চরিত্রগুলো অনেক দূরে�, কিন্তু হা� বাড়ালেই স্পর্শ কর� যায় আর নিজেকে মন� হয� মহ� শক্তিশালী কে� যে অবলীলায় দূরে� কিছুকে কাছে টানত� পারে�
হামি� কামালে� গল্পগুলো দর্শনে জড়ানো� দর্শ� আবার গল্পকে ভারাক্রান্� কর� না, শক্তিশালী করে।
ত্রিস্তানে� পা� তা� মনোমুগ্ধকর হলো। আপনাদেরও হবে।
হামি� কামালে� গল্পগুলো কোমল, দৃশ্যমান, যে� চোখে� সামন� ঘটছে, সেটা জাদুবাস্তবতা� গল্প হো� কিংব� নিরে� বাস্তবধর্মী গল্প� চোখে আরাম লাগে, মন� বেদন� জাগে, মস্তিস্ক� আলোড়ন তোলে� মন� হয� চরিত্রগুলো অনেক দূরে�, কিন্তু হা� বাড়ালেই স্পর্শ কর� যায় আর নিজেকে মন� হয� মহ� শক্তিশালী কে� যে অবলীলায় দূরে� কিছুকে কাছে টানত� পারে�
হামি� কামালে� গল্পগুলো দর্শনে জড়ানো� দর্শ� আবার গল্পকে ভারাক্রান্� কর� না, শক্তিশালী করে।
ত্রিস্তানে� পা� তা� মনোমুগ্ধকর হলো। আপনাদেরও হবে।
February 1, 2025
ফরাস� ধাতু ত্রিস্�, ত্রিস্� থেকে ত্রিস্তান। ত্রিস্তা� অর্থ দুঃখী, শক্তিশালী�
শক্তিমান গল্পকা� হামি� কামা� আমাদের পরিচয় করিয়েছে� এক স্বপ্নময়ী-দুঃখী নগরী ত্রিস্তানে� সঙ্গে। যেখানে আছ� যুগপ� বিভীষিকা-স্বস্ত�; ধ্বং�-আশ্রয়; রূঢ়বাস্তবতা-পরাবাস্তবতার এক অনিন্দ্য মেলবন্ধন� ত্রিস্তানক� মন� হত� পারে আল�-আঁধারি আর কতকট� পরাবাস্তবতার মিশেলে ক্রমেই ক্ষী� হয়ে নৈঃশব্দ্যে মিলিয়� যাওয়া চেলো� করুণ সুরে� মত� অথ� আমাদের প্রতিট� শহরই একেকটা ত্রিস্তা� কিংব� চেতন�-অবচেতন� আমরা নিজেরা� হয়ে উঠ� একেকজন ত্রিস্তা� যেনবা। ত্রিস্তা� আমাদের ভেতর� পরতে-পরতে জমতে থাকা না বল� কথামাল�; গলার কাছে দল� পাকিয়� আটকে থাকা ত্রা�-অনুশোচনা, দ্বিধা-দ্ব্যর্থতা� এক জাজ্বল্যমা� আখ্যান!
শক্তিমান গল্পকা� হামি� কামা� আমাদের পরিচয় করিয়েছে� এক স্বপ্নময়ী-দুঃখী নগরী ত্রিস্তানে� সঙ্গে। যেখানে আছ� যুগপ� বিভীষিকা-স্বস্ত�; ধ্বং�-আশ্রয়; রূঢ়বাস্তবতা-পরাবাস্তবতার এক অনিন্দ্য মেলবন্ধন� ত্রিস্তানক� মন� হত� পারে আল�-আঁধারি আর কতকট� পরাবাস্তবতার মিশেলে ক্রমেই ক্ষী� হয়ে নৈঃশব্দ্যে মিলিয়� যাওয়া চেলো� করুণ সুরে� মত� অথ� আমাদের প্রতিট� শহরই একেকটা ত্রিস্তা� কিংব� চেতন�-অবচেতন� আমরা নিজেরা� হয়ে উঠ� একেকজন ত্রিস্তা� যেনবা। ত্রিস্তা� আমাদের ভেতর� পরতে-পরতে জমতে থাকা না বল� কথামাল�; গলার কাছে দল� পাকিয়� আটকে থাকা ত্রা�-অনুশোচনা, দ্বিধা-দ্ব্যর্থতা� এক জাজ্বল্যমা� আখ্যান!
February 8, 2025
‘ফাই� ক্লাব� সিনেমায় একটি বিখ্যা� সংলা� আছ�, "The first rule of Fight Club is you do not talk about Fight Club." ‘ত্রিস্তান� বইয়ের প্রথ� গল্প ‘কাছেই এক শহরে� পড়ত� গিয়� ‘ফাই� ক্লাব� সিনেমায় শোনা এই অসম্ভব প্রিয় সংলাপে� কথ� মন� পড়লো। এই মন� পড়া� পিছন� যৌক্তি� কো� কারণ হয়ত� নে�, কিন্তু পাঠক আম� যখ� বেলগাছের নিচে বস� থাকা অবসরপ্রাপ্� নিঃসঙ্� সেনাকর্মকর্তার দিনলিপ� দেখত� পা� চোখে� সামন�, তখ� মন� হয�, এস� কথ� কাউক� ঠি� বল� যায় না� ফল�, ক্লোনিংয়ে� সব সূত্� অগ্রাহ্য কর� আমরা একজন থেকে দুইজ� হই, আমাদের অব্যক্ত কথাগুল� বল� ফেলা� জন্যই তো� মন� পড়ে, আয়নার সামন� দাঁড়িয়� ক্রন্দনর� কো� মানুষে� কথ�, যে প্রতিরাত� কথ� বল� নিজে� সাথে� তা� বেদন� আমরা জানি না, তব� জানি, কাছে� এক শহরে তাঁর বা�, সে মন� মন� আমাদের� মতো।
আর ঠি� তখনই কোথা থেকে অশনী� মত� উঠ� আস� মহামারি। আমরা পা� এক অলিক জীবনের সন্ধান� আল�-অন্ধকারে গেলে মাথা� ভেতর যে বো� কা� কর�, সে� তো আমাদের� পরিচিত� কথ� বল� ওঠ� লা�, বিচারহী� এক জগতে বিচারকের মত�, অচেতনে আমাদের শুনে যেতে হয� লাশে� কথা। কত� অভিযোগ, কিছু অভিশাপ, পরিচিত প্রশ্ন� আমরা বুঝত� পারি, উত্ত� আসবে না, তুমি আসবে� আম� জানি� আমরা বুঝত� পারি, খু/� হল�, পেশাদা� খু/নীদে� হাতে খু� হওয়াই ভালো�
আজিমউদ্দিন আউলিয়ার চেনা- অচেন� জগ� খানিকে� জন্� স্বস্ত� দেয় বটে। অন্তর্জল� যাত্রা থেকে আমরা উদ্ধার কর� বাড়� ফেরা� পথ� পুকুরঘাট� সন্ধ্যা নেমে আসে। দূরে তিরতির কর� সন্ধ্যাতারা। কে� আসবে, সক� বিপত্ত� উপেক্ষ� কর�, আমরা অপেক্ষ� করি। সমস্� প্রস্তুত� নিয়েই বস� থাকে আজিমউদ্দিন আউলিয়া। তাইত� প্রা� প্রতিষ্ঠ� হয�, হাতে আঁকা ছবিতে। অঞ্জনে� পাশে বস� থাকে নিঝুম। এখানেও সন্ধ্য� হয়। দুটো জগ� যে� আঁকে এক�-অন্যে� ছবি।
এসবে� বাইর� পাগল লোকটাক� পেয়� বস� সক্রেটিস� মুক্তি� আনন্দে কাটা ঘুড়ির মত� শূন্যে ডিগবাজ� খায় ইউসুফ। বোকা লোকটাকেই মন� হয� সবচেয়� প্রতিবাদী� আর গল্প হলেও সত্যি এম� এক শহ�, ‘ত্রিস্তানে� আমরা ঘুরেবেড়াই তক্ষকে� মতো।
হামি� কামালে� গল্পের বই, ‘ত্রিস্তান� পড়ত� পড়ত� এম� অনেক এলোমেল� চিন্তা এসেছ� মনে। গল্পের আড়ালে গল্প সঙ্গ দিয়েছ� মেটাফোরে� মতো। কখনও সুফিবা�, কখনও প্রব� দর্শ�, মাঝেমধ্য� স্টি� অব কন্সাসনে�, কখনও ভেঙে ফেলা হল� তৃতীয় দেয়াল, এভাবেই জাদুবাস্তবার এক অদ্ভুত রূ� নিয়� গল্পগুলো তৈরি হয়েছে� চমৎকার ডিটেলিংয়ে পাওয়া গেছে লং শটের স্বাদ। সবমিলিয়� ‘ত্রিস্তান� পড়া� অভিজ্ঞতা এক শব্দ�, ‘চমৎকার’।
March 10, 2025
বাস্তবতা� সঙ্গ� জাদুবাস্তবতা� এক চমৎকার মিশে� পাওয়া গে� ত্রিস্তানে� গল্পগুলোতে� জাদুবাস্তবতা নিয়� আমার পড়া বইয়ের সংখ্যা খু� বেশি নয়। � নিয়� তা� খু� ভালো বিশ্লেষণ করার সক্ষমত� তৈরি হয়ন� বলেই ধর� রাখি� তব� যেকোনো গল্পের� মূ� ব্যাপা� হচ্ছ� তা পাঠকের কাছে উপভোগ্� হচ্ছ� কতোটুকু। এক্ষেত্র� ত্রিস্তা� সফল। ��ল্পগুল� পড়ে যেতে ভালো লেগেছে� একজন ব্যাক্তি� দ্বৈ� অবয়� তৈরী হওয়�, অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্� পী� এব� তা� সহধর্মিণী কিংব� পাটক্ষেত� পড়ে থাকা ধর্ষিতার লাশে� ঘটনা� বর্ণনাগুলো নিজস্ব আবেদ� তৈরী করতে সক্ষ� হয়েছে�
March 14, 2025
নয়ট� গল্প নিয়� এই ছোটগল্� সংকল� "ত্রিস্তা� "� ফরাস� ত্রিস্� ধাতু থেকে এসেছ� ত্রিস্তান। আর নয়ট� গল্প� ঘুরে ফিরে একবা� হলেও এসেছ� এই ত্রিস্তা� নামট� � প্রথ� দিকে� গল্প একটু বড� পরিসরে, তব� সবগুলো গল্প আলাদ� আলাদ� বিষয� বৈচিত্র্� নিয়ে। নিদিষ্� একটা সময়, সামাজি� কো� সমস্যা, নীতি নৈতিকতাহী� বিবর্জ� কো� মানু�, মানু� সু� দুঃখ� সাথে কিছু গল্প� মিশে আছ� জাদুবাস্তবতা� ছোঁয়া�
আমাদের এই চারপাশ� � আছ� কত� রকমে� গল্প, সে� সব উপাদান নিয়� হামি� কামা� এর সুন্দর নয়ট� গল্প নিয়� " ত্রিস্তা� "� গল্প গুলো� মত না� � প্রচ্ছ� � চমৎকার�
📖 ত্রিস্তা� (গল্পগ্রন্থ)
🖊� হামি� কামা�
আমাদের এই চারপাশ� � আছ� কত� রকমে� গল্প, সে� সব উপাদান নিয়� হামি� কামা� এর সুন্দর নয়ট� গল্প নিয়� " ত্রিস্তা� "� গল্প গুলো� মত না� � প্রচ্ছ� � চমৎকার�
📖 ত্রিস্তা� (গল্পগ্রন্থ)
🖊� হামি� কামা�
March 23, 2025
"জীবি� ফুলে� চেয়� দুঃখী � মৃ� ফুলে� চেয়� শক্তিশালী কিছু নে�, সান্ত্বন� এই�"
ত্রিস্তা� কল্পিত এক শহর। এই শহ� ঘিরে রচিত হয� নানা গল্প� আর প্রতিট� গল্পকে ত্রিস্তা� তা� বুকে জায়গা কর� দেয়� ত্রিস্তা� কখনো কখনো হয়ে ওঠ� খু� জীবন্ত এক শহ�, যে শহ� হয়ত� আমাদের পরিচিত, আমাদের জানাশোনা�
গল্পকা� হামি� কামা� গল্পের মধ্য� দিয়� আমাদের নিয়� যা� তা� কাঙ্ক্ষি� লক্ষ্যতে� যেখানে তা� হা� ধর� পাঠকের যাওয়া� কথা।
আমরা দেখত� পা� একজোড়� দ্বিধান্বি� মানুষক�, যারা আসলে একজনই। কে� তারা দ্বিখণ্ডিত হল তা� জবাব খুঁজ� ফিরছেন তারা নিজেরাই। অথবা বল� ভালো তাদে� দ্বিখণ্ডিত হওয়ার মূ� উৎ� তারা নিজেরাই।
এক আউলিয়ার কথ� আমরা শুনি� তা� কথ� বলতে গিয়� লেখক জাদুবাস্তবতা� আশ্রয় নিয়েছেন� যদিও সমস্� বই জুড়েই তা� টুকটাক ছড়াছড়ি আছে। আজিমউদ্দিন আউলিয়ার মানবিকতা� যে দ্বা� আমরা দেখত� পা� তাতে মন জুড়� নেমে আস� প্রশান্তি। সাথে দেখা যায় তা� প্রব� ব্যক্তিত্বের একটা প্রভাব�
'পাটখেতের লা�' গল্পটা ধাক্কা দিয়� যায় প্রব� ভাবে� পড়ত� পড়ত� ইচ্ছ� কর� এই অত্যাচারের গল্প আর না পড়ি� মানুষে� উপ� জন্ম� যায় বিষাদ। তবুও গল্পের শে� পর্যন্� যেতে হয়।
এবার আস� এই বইয়ের সবচেয়� পছন্দে� গল্পটা� কথায� যা� না� 'বর্কিস্ময়ের ছব�'� একজন আঁকিয়�, যা� না� বর্কিস্ময়� একটা ছব� এঁকেছে, যে ছব� একজন মানুষক� মুগ্� কর� অসাধার� ভাবে� তারপ� গল্পের জল গড়িয়� যায়, যে স্রো� আপনাকে নিয়� যাবে প্রার্থি� মোহনায়।
হামি� কামালে� লেখায় জীবনকে খুঁজ� পাওয়া যায়� মন� হয� জীবনের হারিয়� যাওয়া কো� এক ধাঁধ� উঁকি দিচ্ছে তা� লেখা� কো� একটা কো� হতে। জীবন এব� প্রা� প্রাচুর্যে ভরপু� তা� লেখাগুলো� তিনি কখনো কখনো প্রব� মমতায় বল� ওঠেন, "শুক্লা চাঁদের আলোয� সাদা মাটি� ওপ� ফুলপাতার কালো নকশা পড়েছে� সে� নকশা মাড়িয়ে যেতে বুকে কেমন কষ্ট হয়।"
ত্রিস্তা� কল্পিত এক শহর। এই শহ� ঘিরে রচিত হয� নানা গল্প� আর প্রতিট� গল্পকে ত্রিস্তা� তা� বুকে জায়গা কর� দেয়� ত্রিস্তা� কখনো কখনো হয়ে ওঠ� খু� জীবন্ত এক শহ�, যে শহ� হয়ত� আমাদের পরিচিত, আমাদের জানাশোনা�
গল্পকা� হামি� কামা� গল্পের মধ্য� দিয়� আমাদের নিয়� যা� তা� কাঙ্ক্ষি� লক্ষ্যতে� যেখানে তা� হা� ধর� পাঠকের যাওয়া� কথা।
আমরা দেখত� পা� একজোড়� দ্বিধান্বি� মানুষক�, যারা আসলে একজনই। কে� তারা দ্বিখণ্ডিত হল তা� জবাব খুঁজ� ফিরছেন তারা নিজেরাই। অথবা বল� ভালো তাদে� দ্বিখণ্ডিত হওয়ার মূ� উৎ� তারা নিজেরাই।
এক আউলিয়ার কথ� আমরা শুনি� তা� কথ� বলতে গিয়� লেখক জাদুবাস্তবতা� আশ্রয় নিয়েছেন� যদিও সমস্� বই জুড়েই তা� টুকটাক ছড়াছড়ি আছে। আজিমউদ্দিন আউলিয়ার মানবিকতা� যে দ্বা� আমরা দেখত� পা� তাতে মন জুড়� নেমে আস� প্রশান্তি। সাথে দেখা যায় তা� প্রব� ব্যক্তিত্বের একটা প্রভাব�
'পাটখেতের লা�' গল্পটা ধাক্কা দিয়� যায় প্রব� ভাবে� পড়ত� পড়ত� ইচ্ছ� কর� এই অত্যাচারের গল্প আর না পড়ি� মানুষে� উপ� জন্ম� যায় বিষাদ। তবুও গল্পের শে� পর্যন্� যেতে হয়।
এবার আস� এই বইয়ের সবচেয়� পছন্দে� গল্পটা� কথায� যা� না� 'বর্কিস্ময়ের ছব�'� একজন আঁকিয়�, যা� না� বর্কিস্ময়� একটা ছব� এঁকেছে, যে ছব� একজন মানুষক� মুগ্� কর� অসাধার� ভাবে� তারপ� গল্পের জল গড়িয়� যায়, যে স্রো� আপনাকে নিয়� যাবে প্রার্থি� মোহনায়।
হামি� কামালে� লেখায় জীবনকে খুঁজ� পাওয়া যায়� মন� হয� জীবনের হারিয়� যাওয়া কো� এক ধাঁধ� উঁকি দিচ্ছে তা� লেখা� কো� একটা কো� হতে। জীবন এব� প্রা� প্রাচুর্যে ভরপু� তা� লেখাগুলো� তিনি কখনো কখনো প্রব� মমতায় বল� ওঠেন, "শুক্লা চাঁদের আলোয� সাদা মাটি� ওপ� ফুলপাতার কালো নকশা পড়েছে� সে� নকশা মাড়িয়ে যেতে বুকে কেমন কষ্ট হয়।"
February 25, 2025
ত্রিস্তা� একটি জায়গা� নাম। বইয়ের নয়ট� গল্পেই কো� না কোনভাব� এসেছ� ত্রিস্তানে� নাম। ত্রিস্তা� শহরে� নানা� জায়গা� � মানুষে� কাহিনী উঠ� এসেছ� এই নয়ট� গল্পে। কিছু গল্প� আছ� জাদুবাস্তবতা� ছোঁয়া আর কিছু গল্প একদম রূঢ় বাস্তবতার।
প্রতিট� গল্প� একবা� মাত্� ছোট্� কর� মন� করিয়ে দেয়� হয়েছে যে এট� ত্রিস্তানে� গল্প� নয়ত� সবগুলো গল্প� পাঠকের চোখে হয়ে পড়ত� আলাদ� মানুষে�, আলাদ� জায়গা� গল্প� এক� শহরে� মানুষে� কত রক� গল্প থাকে� আমরা চোখে� সামন� যা দেখি তা� � সবটা নয়। তা� বাইরেও থেকে যায় শত শত গল্প�
কাছে� এক শহরে : একজন মানু� হঠাৎ কর� দুজন হয়ে যায়� কি আশ্চর্�! সব আশ্চর্যই এক সময়� সাধারণ হয়ে যায়� তখ� বর� সাধারনেরাই হয়ে পড়ে আশ্চর্যে� বিষয়।
অশনি : করোনাকালের গল্প এটি। এট� পড়ত� গেলে গল্পের চরিত্রের মত� পাঠকের� দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়� কি একটা সময় পা� করেছ� পৃথিবী�
আজিমউদ্দিন আউলিয়� : পী� মুর্শিদদের নিয়� এম� গল্প ছোটবেলায� শুনেছি অনেক� এই গল্প� তা� বেশি চমকাইনি।
পাটখেতের লা� : রূঢ় বাস্তবতা� গল্প� পত্রিকার পাতায় এই খব� প্রাধান্� পায় না কিন্তু পাঠককে ছিন্নভিন্ন কর� দেয় এম� সংবাদ।
বর্কিম্ময়ের ছব� : এই গল্পটা ইন্টারেস্টিং� বুঝিয়� বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে� তা� চু� থাকলাম�
আল� � তা� অক্ষয় তূণী� : এই গল্পটা বিশে� সুবিধা লাগেনি�
সেতু আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী : এট� পড়ে পঙ্ক� উদাসের গানে� লাইন মন� পড়েছে ‘য� বেরঙ হো উসপা� কেয়� কেয়� রঙ জমাত� লোগ’। গল্পেও তেমন� একজন আছেন যা� মন এত� পরিষ্কার যে অন্যের পাপক� নিজেরই পা� বল� মন� কর� কষ্ট পান। না কি নিজে� পাপে� কষ্ট পা� অন্য একজন এস� সে� পা� নিজে� নামে চালিয়� দিয়� তাকে মুক্তি দেয়!
বোকা লোকট� : গল্পের এই লোকটার মতনই শত শত হাজা� হাজা� লো� দরকা� এখ� এই সমাজের� যে অন্যায� দেখল� কথ� বল�, চু� থাকে না� আমরা চু� থেকে থেকে� আর� বেশি সর্বনাশে� দিকে এগিয়ে যাচ্ছি�
ঝাঁপরজ্জ� : জ্বর হল� কুইনাই� খাও। কিন্তু কথ� হচ্ছ� কুইনাই� জ্বর সাড়াব� কিন্তু কুইনাইনক� সাড়াব� কে? এই গল্পের মূ� বিষয� এটাই�
সবগুলো গল্প� চমৎকার� বইয়ের শুরু� দিকে� গল্পগুলো একটু দীর্� হওয়ায� ওগুল� পড়ত� ভালো লেগেছে বেশি� বইয়ের প্রচ্ছ� খুবই সুন্দর� বাঁধাই � কাগজ� চমৎকার� সব মিলিয়� সুখপাঠ্য বই�
প্রতিট� গল্প� একবা� মাত্� ছোট্� কর� মন� করিয়ে দেয়� হয়েছে যে এট� ত্রিস্তানে� গল্প� নয়ত� সবগুলো গল্প� পাঠকের চোখে হয়ে পড়ত� আলাদ� মানুষে�, আলাদ� জায়গা� গল্প� এক� শহরে� মানুষে� কত রক� গল্প থাকে� আমরা চোখে� সামন� যা দেখি তা� � সবটা নয়। তা� বাইরেও থেকে যায় শত শত গল্প�
কাছে� এক শহরে : একজন মানু� হঠাৎ কর� দুজন হয়ে যায়� কি আশ্চর্�! সব আশ্চর্যই এক সময়� সাধারণ হয়ে যায়� তখ� বর� সাধারনেরাই হয়ে পড়ে আশ্চর্যে� বিষয়।
অশনি : করোনাকালের গল্প এটি। এট� পড়ত� গেলে গল্পের চরিত্রের মত� পাঠকের� দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়� কি একটা সময় পা� করেছ� পৃথিবী�
আজিমউদ্দিন আউলিয়� : পী� মুর্শিদদের নিয়� এম� গল্প ছোটবেলায� শুনেছি অনেক� এই গল্প� তা� বেশি চমকাইনি।
পাটখেতের লা� : রূঢ় বাস্তবতা� গল্প� পত্রিকার পাতায় এই খব� প্রাধান্� পায় না কিন্তু পাঠককে ছিন্নভিন্ন কর� দেয় এম� সংবাদ।
বর্কিম্ময়ের ছব� : এই গল্পটা ইন্টারেস্টিং� বুঝিয়� বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে� তা� চু� থাকলাম�
আল� � তা� অক্ষয় তূণী� : এই গল্পটা বিশে� সুবিধা লাগেনি�
সেতু আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী : এট� পড়ে পঙ্ক� উদাসের গানে� লাইন মন� পড়েছে ‘য� বেরঙ হো উসপা� কেয়� কেয়� রঙ জমাত� লোগ’। গল্পেও তেমন� একজন আছেন যা� মন এত� পরিষ্কার যে অন্যের পাপক� নিজেরই পা� বল� মন� কর� কষ্ট পান। না কি নিজে� পাপে� কষ্ট পা� অন্য একজন এস� সে� পা� নিজে� নামে চালিয়� দিয়� তাকে মুক্তি দেয়!
বোকা লোকট� : গল্পের এই লোকটার মতনই শত শত হাজা� হাজা� লো� দরকা� এখ� এই সমাজের� যে অন্যায� দেখল� কথ� বল�, চু� থাকে না� আমরা চু� থেকে থেকে� আর� বেশি সর্বনাশে� দিকে এগিয়ে যাচ্ছি�
ঝাঁপরজ্জ� : জ্বর হল� কুইনাই� খাও। কিন্তু কথ� হচ্ছ� কুইনাই� জ্বর সাড়াব� কিন্তু কুইনাইনক� সাড়াব� কে? এই গল্পের মূ� বিষয� এটাই�
সবগুলো গল্প� চমৎকার� বইয়ের শুরু� দিকে� গল্পগুলো একটু দীর্� হওয়ায� ওগুল� পড়ত� ভালো লেগেছে বেশি� বইয়ের প্রচ্ছ� খুবই সুন্দর� বাঁধাই � কাগজ� চমৎকার� সব মিলিয়� সুখপাঠ্য বই�
March 4, 2025
হামি� কামালে� গল্পগ্রন্থ ত্রিস্তা� পড়ত� গিয়� মন� হল�, কিছু অনুভূত� ভাষায় আন� যায় না, কিছু কথ� বল� হয� না এব� এই না বলার মধ্যেই লুকিয়� থাকে এক অদ্ভুত সংযোগ। এই সংযো� কখনও নির্জন শহরে� নিঃসঙ্� মানুষে� সাথে, কখনও মহামারির ছায়ায� ঢাকা এক অচেন� জীবনের সাথে, কখনও বা লাশে� নীরব অভিযোগের সাথে�
গ্রন্থের প্রথ� গল্প 'কাছে� এক শহরে' পড়ত� গিয়� চোখে� সামন� ভেসে ওঠ� বেলগাছের নিচে বস� থাকা এক অবসরপ্রাপ্� নিঃসঙ্� সেনাকর্মকর্তার দিনলিপি। মন� হয�, এই নিঃসঙ্গত�, এই অব্যক্� অনুভূতির ভা� পাঠকের� নিজে� ভেতর� কোথা� জম� আছে। গল্পের গাঁথুন� যে� এক ধরনে� আত্মস্মরণ—একট� শহ�, যেখানে কে� বা� কর�, আর আমাদের মনের গোপন কোণে তা� অস্তিত্ব অনুভূত হয়। আমরা এই শহরক� চিনি, কারণ আমরা সকলে� কোথা� না কোথা� নিঃসঙ্গ।
তারপ� আস� মহামারি। জীবনের অনিশ্চয়তা, আল�-অন্ধকারে� টানাপোড়েন, বিচারহী� এক পৃথিবীতে মৃতদের নীরব সাক্ষ্� এই সবকিছু মিলিয়� এক অলী� বাস্তবতা� মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। গল্প এগিয়ে যায় অথ� কোথা� গিয়� থমকে থাকে, পাঠক বুঝত� পারে, কিছু প্রশ্নের উত্ত� কখনও আস� না, কিছু প্রতীক্ষা থেকে যায় চিরকাল� মন� পড়ে অ্যালব্যার ক্যামু� প্লে� যেখানে মহামারির ছায়ায� আটকে পড়া মানু� শুধু অপেক্ষ� কর�, প্রশ্ন কর�, কিন্তু উত্ত� আস� না�
আজিমউদ্দিন আউলিয়ার চেনা অচেন� জগতে সামান্� স্বস্ত� মেলে, অন্তর্জল� যাত্রা থেকে পাওয়া যায় বাড়� ফেরা� পথ� পুকুরঘাট� সন্ধ্য� নামে, তারা� আলোয� অপেক্ষার ছায়� পড়ে� কে� আসবে, সক� প্রতিকূলতা পেরিয়�, এব� এই আসার মধ্যেই লুকিয়� থাকে এক পরিত্রাণের অনুভূতি। এই বাড়� ফেরা শুধু� শারীরি� স্থানান্তর নয�, বর� এক আত্মিক পরিক্রমা।মুরাকাম� যেখানে বাস্তবতা� ফাঁক� স্বপ্নের দরজা খুলে দে�, ত্রিস্তানে� গল্পগুলো� তেমন এক বাস্তবতায় পৌঁছ� দেয়, যেখানে নিখুঁত কোনো সমাধান নে�, শুধু অনুভূত� আছে।
এই গল্পমালা শুধু চরিত্র � কাহিনি নির্মাণে� খেলা নয�, বর� এট� দর্শ� � মেটাফোরে� এক চমৎকার মিশ্রণ� সুফিবা�, স্ট্রি� অব কনশাসনেস, এব� কখনও বা তৃতীয় দেয়াল ভেঙে দেওয়া� সাহসী চেষ্টা এই বইয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জাদুবাস্তবতা এখান� কেবল অলৌকিক কোনো উপাদান নয�, বর� গল্পের গভীরে প্রবেশের এক প্রবাহ� ডিটেলিংয়ে� মুন্সিয়ানায� কখনও দৃশ্যপ� দীর্� লং শটের মত� বিস্তৃ�, কখনও আবার অতিমাত্রায� ঘনিষ্ঠ ক্লো�-আপ�
তব� শুধু কাঠামোগত নতুনত্বই নয�, এই বইয়ের অন্যতম শক্ত� এর আবেগঘন টান। কখনও মন� হয�, গল্পের প্রতিট� চরিত্র আমাদের চেনা, আমাদের� এক অংশ। যারা সমাজের প্রান্তে দাঁড়িয়� শুধু প্রশ্ন কর�, ন্যায়বিচারে� অপেক্ষায� থাকে, আর আমরা জানি, সে� বিচা� আসবে না� তবুও, কোথা� এক আল� আছ�, প্রতীক্ষা� মধ্য� এক অনিবার্য সত্য আছে।
ত্রিস্তা� শুধু পড়া� অভিজ্ঞতা নয�, অনুভবে� একটি যাত্রা� গল্পের আড়ালে গল্পের যে ছায়া—ত� থেকে পাঠক নিজে� আবিষ্কার করতে পারে� নিজে� প্রতিচ্ছবি� কখনও কখনও মন� হয�, গল্পের চরিত্রগুলো পাঠকের� একেকটি ছায়�, যারা নিজেদে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� বেড়ায�, কখনও পায়, কখনও পায় না� কিন্তু এই খোঁজের মধ্যেই লুকিয়� থাকে সাহিত্যে� সত্য�
একটি বই কেবল তা� কাহিনি� জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয�, বর� তা� যে অনুভূত� জাগিয়� তোলে, সে� অভিজ্ঞতা� তাকে স্মরণীয় কর� তোলে� ত্রিস্তা� ঠি� তেমন� এক বই যা পড়া� পর� মনের ভেতর থেকে যায়, কল্পনা� গহীনে আর� অনেক নতুন গল্পের জন্ম দেয়�
গ্রন্থের প্রথ� গল্প 'কাছে� এক শহরে' পড়ত� গিয়� চোখে� সামন� ভেসে ওঠ� বেলগাছের নিচে বস� থাকা এক অবসরপ্রাপ্� নিঃসঙ্� সেনাকর্মকর্তার দিনলিপি। মন� হয�, এই নিঃসঙ্গত�, এই অব্যক্� অনুভূতির ভা� পাঠকের� নিজে� ভেতর� কোথা� জম� আছে। গল্পের গাঁথুন� যে� এক ধরনে� আত্মস্মরণ—একট� শহ�, যেখানে কে� বা� কর�, আর আমাদের মনের গোপন কোণে তা� অস্তিত্ব অনুভূত হয়। আমরা এই শহরক� চিনি, কারণ আমরা সকলে� কোথা� না কোথা� নিঃসঙ্গ।
তারপ� আস� মহামারি। জীবনের অনিশ্চয়তা, আল�-অন্ধকারে� টানাপোড়েন, বিচারহী� এক পৃথিবীতে মৃতদের নীরব সাক্ষ্� এই সবকিছু মিলিয়� এক অলী� বাস্তবতা� মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। গল্প এগিয়ে যায় অথ� কোথা� গিয়� থমকে থাকে, পাঠক বুঝত� পারে, কিছু প্রশ্নের উত্ত� কখনও আস� না, কিছু প্রতীক্ষা থেকে যায় চিরকাল� মন� পড়ে অ্যালব্যার ক্যামু� প্লে� যেখানে মহামারির ছায়ায� আটকে পড়া মানু� শুধু অপেক্ষ� কর�, প্রশ্ন কর�, কিন্তু উত্ত� আস� না�
আজিমউদ্দিন আউলিয়ার চেনা অচেন� জগতে সামান্� স্বস্ত� মেলে, অন্তর্জল� যাত্রা থেকে পাওয়া যায় বাড়� ফেরা� পথ� পুকুরঘাট� সন্ধ্য� নামে, তারা� আলোয� অপেক্ষার ছায়� পড়ে� কে� আসবে, সক� প্রতিকূলতা পেরিয়�, এব� এই আসার মধ্যেই লুকিয়� থাকে এক পরিত্রাণের অনুভূতি। এই বাড়� ফেরা শুধু� শারীরি� স্থানান্তর নয�, বর� এক আত্মিক পরিক্রমা।মুরাকাম� যেখানে বাস্তবতা� ফাঁক� স্বপ্নের দরজা খুলে দে�, ত্রিস্তানে� গল্পগুলো� তেমন এক বাস্তবতায় পৌঁছ� দেয়, যেখানে নিখুঁত কোনো সমাধান নে�, শুধু অনুভূত� আছে।
এই গল্পমালা শুধু চরিত্র � কাহিনি নির্মাণে� খেলা নয�, বর� এট� দর্শ� � মেটাফোরে� এক চমৎকার মিশ্রণ� সুফিবা�, স্ট্রি� অব কনশাসনেস, এব� কখনও বা তৃতীয় দেয়াল ভেঙে দেওয়া� সাহসী চেষ্টা এই বইয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জাদুবাস্তবতা এখান� কেবল অলৌকিক কোনো উপাদান নয�, বর� গল্পের গভীরে প্রবেশের এক প্রবাহ� ডিটেলিংয়ে� মুন্সিয়ানায� কখনও দৃশ্যপ� দীর্� লং শটের মত� বিস্তৃ�, কখনও আবার অতিমাত্রায� ঘনিষ্ঠ ক্লো�-আপ�
তব� শুধু কাঠামোগত নতুনত্বই নয�, এই বইয়ের অন্যতম শক্ত� এর আবেগঘন টান। কখনও মন� হয�, গল্পের প্রতিট� চরিত্র আমাদের চেনা, আমাদের� এক অংশ। যারা সমাজের প্রান্তে দাঁড়িয়� শুধু প্রশ্ন কর�, ন্যায়বিচারে� অপেক্ষায� থাকে, আর আমরা জানি, সে� বিচা� আসবে না� তবুও, কোথা� এক আল� আছ�, প্রতীক্ষা� মধ্য� এক অনিবার্য সত্য আছে।
ত্রিস্তা� শুধু পড়া� অভিজ্ঞতা নয�, অনুভবে� একটি যাত্রা� গল্পের আড়ালে গল্পের যে ছায়া—ত� থেকে পাঠক নিজে� আবিষ্কার করতে পারে� নিজে� প্রতিচ্ছবি� কখনও কখনও মন� হয�, গল্পের চরিত্রগুলো পাঠকের� একেকটি ছায়�, যারা নিজেদে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� বেড়ায�, কখনও পায়, কখনও পায় না� কিন্তু এই খোঁজের মধ্যেই লুকিয়� থাকে সাহিত্যে� সত্য�
একটি বই কেবল তা� কাহিনি� জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয�, বর� তা� যে অনুভূত� জাগিয়� তোলে, সে� অভিজ্ঞতা� তাকে স্মরণীয় কর� তোলে� ত্রিস্তা� ঠি� তেমন� এক বই যা পড়া� পর� মনের ভেতর থেকে যায়, কল্পনা� গহীনে আর� অনেক নতুন গল্পের জন্ম দেয়�
March 7, 2025
...প্রে� অকার� পক্ষপা� জাগায়� কে যেনো বলেছিল� অন্ধত্বে� লৌহশূলদন্ড� প্রে� এক রত্নখচিত অলংকরণ�
আল� � তা� অক্ষয় তূণী�, ত্রিস্তান।
ছায়াঢাক� কোনো শেকড়বাকড় ছড়ানো, যাকে জড়িয়� রাখে এক হাহাকারে� পিন্�, যে পিন্ডে� মাঝে লুকিয়� রাখে গূঢ়চারী বিষন্নতা� বোনা মায়াজালিক কাব্�, সে� শেকড়ে� মাঝে গড়ে উঠ� ছায়ার কোনো এক শহর। যে শহরে� না� হত� পারে যেকোনো, তব� তা� শেকড়ে, রন্ধ্র� লুকিয়� থাকে এক ঝা� হতাশার বায়ুমন্ডল� অক্সিজেনের মত দীর্ঘশ্বাস ফুসফুস দখ� কর�, সিগারেটে� ধোয়� দিয়� বাতাসে মিশে যায় মৃ� মানুষে� শে� নিশ্বাস। যে শহরে বা� কর� ছায়ার�, যে ছায়াদের মাঝে থাকে রূঢ় নির্বচ� স্বাভাবিকতা। যে শহ� প্রানহী�, যেখানকার মানু� কাব্যহী�, যেথায় মানু� নয�, বা� কর� রহস্যময় সমান্তরা� কোনো ত্রিবেদী� সু�, সেইরকম এক শহরে� না� ত্রিস্তান। যে শহরে� আগাছায� বেড়� উঠ� নামহী� কিছু ক্রুঢ় গল্পের মালা, যা বুনা� আগেই ছিড়� গিয়� হারিয়� যায় সময়ের গহব্বর�, হয়ত কারো লেখবার অপেক্ষ� না করেই�
ত্রিস্তা� মূলত একটি গল্পসংকল�, যেখানে ত্রিস্তা� নামক এর শহরে ঘট� যায় গল্পের প্রেক্ষাপটের ঘটনাবল�, যেখানে গল্পগুলো তৈরি হয়। যেখানে গল্পগুলো এক বিষন্ন সু� গায় আর লেখকের দীর্ঘশ্বাসকে কোনো এক কোণে অন্ধকারে� জন্ম দেয়� ত্রিস্তানে� গল্পগুলো ত্রিস্তানে� আধার প্রহরী� ছায়�, স্বাভাবি� জীবন কিংব� বেদনার ক্ষতের আখ্য�, যা� মাঝে লুকিয়� আছ� কাব্যি� লেখনির অন্য মাত্রা�
চা� লেখকের গল্পকারে� গল্প সেটে� হামি� কামা� সাহেবে� একটি গল্পগ্রন্থ ত্রিস্তান। গল্পগুলো� মধ্য� একটি ইউনি� কানেক্টিভিটি তৈরি করেছেন একটি শহরে� মাধ্যম�, এব� গল্পগুলো ত্রিস্তা� নামক স্থানে ঘট� যায়� ফল� গল্পগুলো� মধ্য� আদতে কোনো সংযো� না থাকলেও এক অদ্ভুত সংযো� অনূভ� কর� যায়� গল্পগুলো� প্রা� হল� লেখকের কাব্যি� লেখনি। গল্প লেখা আর গল্প বোনায় বে� পার্থক্য দেখা দেয়� লেখক প্রতিট� গল্পকে যেনো বে� যত্ন কর� কাব্যি� ছন্দের মাধ্যম� বুনেছে�, গল্পগুলো� গভীরত� না থাকলেও তিনি যত্নের সাথে গল্পগুলো বলতে চান। শেষে� দিকে ছো� গল্পগুলো কিছুটা গভীরত� হারিয়� ফেললেও প্রথ� দিকে� গল্পগুলো লেখক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। গল্পের মধ্য� অদ্ভুতুর�, প্রে�, বিরহ সব ধরনে� উপাদানের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এব� তিনি সবগুলোকে বে� দক্ষতা� সাথে ব্লে� কর� দাড় করিয়েছে� বে� চমৎকার এক ছবি। ছোটগল্পে� মাঝে ভিন্� স্বা� খোজা� পাঠকদে� জন্য এট� বে� চমৎকার গল্পগ্রন্থ হত� পারে� গল্পের গভীরত� কিংব� প্লট আপনা� মন� দা� না কাটত� পারলেও গল্পের লেখন� আপনাকে জয� করতে সক্ষ� হবে।
আল� � তা� অক্ষয় তূণী�, ত্রিস্তান।
ছায়াঢাক� কোনো শেকড়বাকড় ছড়ানো, যাকে জড়িয়� রাখে এক হাহাকারে� পিন্�, যে পিন্ডে� মাঝে লুকিয়� রাখে গূঢ়চারী বিষন্নতা� বোনা মায়াজালিক কাব্�, সে� শেকড়ে� মাঝে গড়ে উঠ� ছায়ার কোনো এক শহর। যে শহরে� না� হত� পারে যেকোনো, তব� তা� শেকড়ে, রন্ধ্র� লুকিয়� থাকে এক ঝা� হতাশার বায়ুমন্ডল� অক্সিজেনের মত দীর্ঘশ্বাস ফুসফুস দখ� কর�, সিগারেটে� ধোয়� দিয়� বাতাসে মিশে যায় মৃ� মানুষে� শে� নিশ্বাস। যে শহরে বা� কর� ছায়ার�, যে ছায়াদের মাঝে থাকে রূঢ় নির্বচ� স্বাভাবিকতা। যে শহ� প্রানহী�, যেখানকার মানু� কাব্যহী�, যেথায় মানু� নয�, বা� কর� রহস্যময় সমান্তরা� কোনো ত্রিবেদী� সু�, সেইরকম এক শহরে� না� ত্রিস্তান। যে শহরে� আগাছায� বেড়� উঠ� নামহী� কিছু ক্রুঢ় গল্পের মালা, যা বুনা� আগেই ছিড়� গিয়� হারিয়� যায় সময়ের গহব্বর�, হয়ত কারো লেখবার অপেক্ষ� না করেই�
ত্রিস্তা� মূলত একটি গল্পসংকল�, যেখানে ত্রিস্তা� নামক এর শহরে ঘট� যায় গল্পের প্রেক্ষাপটের ঘটনাবল�, যেখানে গল্পগুলো তৈরি হয়। যেখানে গল্পগুলো এক বিষন্ন সু� গায় আর লেখকের দীর্ঘশ্বাসকে কোনো এক কোণে অন্ধকারে� জন্ম দেয়� ত্রিস্তানে� গল্পগুলো ত্রিস্তানে� আধার প্রহরী� ছায়�, স্বাভাবি� জীবন কিংব� বেদনার ক্ষতের আখ্য�, যা� মাঝে লুকিয়� আছ� কাব্যি� লেখনির অন্য মাত্রা�
চা� লেখকের গল্পকারে� গল্প সেটে� হামি� কামা� সাহেবে� একটি গল্পগ্রন্থ ত্রিস্তান। গল্পগুলো� মধ্য� একটি ইউনি� কানেক্টিভিটি তৈরি করেছেন একটি শহরে� মাধ্যম�, এব� গল্পগুলো ত্রিস্তা� নামক স্থানে ঘট� যায়� ফল� গল্পগুলো� মধ্য� আদতে কোনো সংযো� না থাকলেও এক অদ্ভুত সংযো� অনূভ� কর� যায়� গল্পগুলো� প্রা� হল� লেখকের কাব্যি� লেখনি। গল্প লেখা আর গল্প বোনায় বে� পার্থক্য দেখা দেয়� লেখক প্রতিট� গল্পকে যেনো বে� যত্ন কর� কাব্যি� ছন্দের মাধ্যম� বুনেছে�, গল্পগুলো� গভীরত� না থাকলেও তিনি যত্নের সাথে গল্পগুলো বলতে চান। শেষে� দিকে ছো� গল্পগুলো কিছুটা গভীরত� হারিয়� ফেললেও প্রথ� দিকে� গল্পগুলো লেখক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। গল্পের মধ্য� অদ্ভুতুর�, প্রে�, বিরহ সব ধরনে� উপাদানের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এব� তিনি সবগুলোকে বে� দক্ষতা� সাথে ব্লে� কর� দাড় করিয়েছে� বে� চমৎকার এক ছবি। ছোটগল্পে� মাঝে ভিন্� স্বা� খোজা� পাঠকদে� জন্য এট� বে� চমৎকার গল্পগ্রন্থ হত� পারে� গল্পের গভীরত� কিংব� প্লট আপনা� মন� দা� না কাটত� পারলেও গল্পের লেখন� আপনাকে জয� করতে সক্ষ� হবে।
March 12, 2025
এই গল্পগুলি হামি� কামালে�, যে প্রকৃতিক� পা� কর� মহানিয়মের সুত্� দিয়ে। সে জানে, আমরা যা কিছু� কর� না কে�, সব একটা সুবিশা� পরম্পরার অং� এব� আমরা কখনও মিশে যা� না শূন্যে� প্রবলভাব� যুক্তি আর নিয়মে বিশ্বাসী হওয়� সত্তেও সে জানে মহামারির সময়� প্রকৃত� নিয়� ভঙ্গ কর� কখনও কারো ওপ� বিশে� পক্ষপাতদুষ্ট দাক্ষিণ্� দেখায়� পাটখেত� পড়ে থাকা বিভৎ� লাশট� জৈবসার হয়ে যাওয়া� আগ� তা� সে তাকে নতুন জীবন দেয় নিজেদে� ভেতর থেকে�
ত্রিস্তা� ছেড়� চল� এসেছ�, কিন্তু আসলে কি কখনও কোনো কিছু থেকে চল� আস� যায়?
ত্রিস্তা� ছেড়� চল� এসেছ�, কিন্তু আসলে কি কখনও কোনো কিছু থেকে চল� আস� যায়?
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.