What do you think?
Rate this book
সত্যবতী, সুবর্ণলত�, বকুল ট্রিলজ� #1
প্রথ� প্রতিশ্রুত�
The First Promise is a translation of Ashapurna Debi’s novel, Pratham Pratisruti, originally published in Bengali in 1964. Celebrated as one of the most popular and path-breaking novels of its time, it has received continual critical the Rabindra Puraskar (the Tagore Prize) in 1966 and the Bharitiya Jnanpith, India’s highest literary award, in 1977. Spanning the late eighteenth and early twentieth centuries, Ashapurna tells the story of the struggles and efforts of women in nineteenth-century, colonial Bengal in a deceptively easy and conversational style. The charming eight-year old heroine, Satyabati is a child bride who leaves her husband’s village for Calcutta, the capital of British India where she is caught in the social dynamics of women’s education, social reform agendas, modern medicine and urban entertainment. As she makes her way through this complex maze, making sense of the rapidly changing world around her, Satyabati nurtures hopes and aspirations for her daughter. But the promises held out by modernity turn out to be empty, instigating Satyabati to break away from her inherited world and initiate a quest that takes her to the very heart of tradition.
Indira Chowdhury’s confident translation, with its conscious choice of Indian English equivalents over British and American colloquialisms, carries across the language divide the flavour of Ashapurna’s unique idiomatic style. This edition also includes the translator’s reflections on the process of translation itself.
Indira Chowdhury’s confident translation, with its conscious choice of Indian English equivalents over British and American colloquialisms, carries across the language divide the flavour of Ashapurna’s unique idiomatic style. This edition also includes the translator’s reflections on the process of translation itself.
509 pages
First published January 1, 1964
125 people are currently reading
2,458 people want to read
About the author
Ashapurna Devi
127books144followersAshapurna Devi (Bengali: আশাপূর্ণ� দেবী), also Ashapoorna Debi or Asha Purna Devi, is a prominent Bengali novelist and poet. She has been widely honoured with a number of prizes and awards. She was awarded 1976 Jnanpith Award and the Padma Shri by the Government of India in 1976; D.Litt by the Universities of Jabalpur, Rabindra Bharati, Burdwan and Jadavpur. Vishwa Bharati University honoured her with Deshikottama in 1989. For her contribution as a novelist and short story writer, the Sahitya Akademi conferred its highest honour, the Fellowship, in 1994.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 120 reviews
January 9, 2018
অনেক ধীরে ধীরে পড়ে শে� করলা� প্রথ� প্রতিশ্রুতি। একটু বুঝে পড়ছিলাম আর কি� প্রায় প্রত্যেকটা অধ্যায়ে� শেষে একটা চিন্তা� চল� আসছিলো মাথায়, এতোই যদ� অপরা� মেয়�-মানুষে�, তব� তাদে� গড়ে সময় নষ্ট করার দরকা� কি ছি� সৃষ্টিকর্তার! মানু� হয়ে জন্ম না নিতে পারল�, শুধু মেয়� মানু� হয়ে জন্মাবার আদ� কো� প্রয়োজন ছি� কি?
সত্যবতী� এই গল্প কি শুধু কাল্পনিক এক রচনা? না� হয়ত� পটভূমি ভিন্�, হয়ত� আজ আমরা অনেক বেশি আধুনিক সে� সময়ের চেয়ে। কিন্তু সে� অন্ধকা� থেকে কি আমরা বেরিয়� আসতে পেরেছি? এখনও কি মেয়েদের জো� গলায� কথ� বলাক� দুঃসাহ� ধর� হয� না? এখনও কি আমরা ভাবি না যে মেয়েদের পড়ালেখা দিয়� কি বা হব�? কয়জনই বা এযুগ� সত্যবতী� মত� মেয়� কিংব� বউ চাইব�?
কিন্তু দুরন্ত সত্যবতী কি তা� কো� দায়িত্ব� অবহেলা দেখিয়েছিল? সে শুধু অন্ধকারে� মাঝে একটু আলোর সন্ধান করেছিল� একটু বদলাতে চেয়েছিল নিজে� চারপাশের মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি। যে সমাজ� মেয়� মানে� একটি মাটি� পুতলমাত্�, সে সমাজ� এমনট� চাওয়া রীতিমত� অপরাধই ছি� বট�! আর তা� তো অপমানি� হত� হয়েছে তাকে প্রত� পদে।
কিন্তু সত্যবতী থামে নি� সাহস দেখিয়েছ�, এগিয়ে চলেছ�, নিজে� দায়িত্ব পালন করেছ� মেয়� হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে� শুধু নিজে� জীবনকে আলোকিত কর� সত্যবতী� লক্ষ্য ছি� না� সে চেষ্টা করেছ� অন্যদে� মাঝে� সে� আল� ছড়িয়� দিতে� কজ� পারে এম� সাহস দেখাতে?
শুধু সত্যবতী� গল্প নয� এটি। ভুবনেশ্বরী, সারদ�, শঙ্করী, সৌদামিনী, সুহাসিনী, সুবর্ণ, আর� অনেকের গল্প শোনায় এই বই� গল্প শোনায় এলোকেশী� মত� মানুষেরও� সেসব গল্প একটা� প্রশ্ন রেখে যায়-
সত্যবতী� এই গল্প কি শুধু কাল্পনিক এক রচনা? না� হয়ত� পটভূমি ভিন্�, হয়ত� আজ আমরা অনেক বেশি আধুনিক সে� সময়ের চেয়ে। কিন্তু সে� অন্ধকা� থেকে কি আমরা বেরিয়� আসতে পেরেছি? এখনও কি মেয়েদের জো� গলায� কথ� বলাক� দুঃসাহ� ধর� হয� না? এখনও কি আমরা ভাবি না যে মেয়েদের পড়ালেখা দিয়� কি বা হব�? কয়জনই বা এযুগ� সত্যবতী� মত� মেয়� কিংব� বউ চাইব�?
কিন্তু দুরন্ত সত্যবতী কি তা� কো� দায়িত্ব� অবহেলা দেখিয়েছিল? সে শুধু অন্ধকারে� মাঝে একটু আলোর সন্ধান করেছিল� একটু বদলাতে চেয়েছিল নিজে� চারপাশের মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি। যে সমাজ� মেয়� মানে� একটি মাটি� পুতলমাত্�, সে সমাজ� এমনট� চাওয়া রীতিমত� অপরাধই ছি� বট�! আর তা� তো অপমানি� হত� হয়েছে তাকে প্রত� পদে।
কিন্তু সত্যবতী থামে নি� সাহস দেখিয়েছ�, এগিয়ে চলেছ�, নিজে� দায়িত্ব পালন করেছ� মেয়� হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে� শুধু নিজে� জীবনকে আলোকিত কর� সত্যবতী� লক্ষ্য ছি� না� সে চেষ্টা করেছ� অন্যদে� মাঝে� সে� আল� ছড়িয়� দিতে� কজ� পারে এম� সাহস দেখাতে?
শুধু সত্যবতী� গল্প নয� এটি। ভুবনেশ্বরী, সারদ�, শঙ্করী, সৌদামিনী, সুহাসিনী, সুবর্ণ, আর� অনেকের গল্প শোনায় এই বই� গল্প শোনায় এলোকেশী� মত� মানুষেরও� সেসব গল্প একটা� প্রশ্ন রেখে যায়-
“এতো আল� পৃথিবীতে, তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কে�?�
March 4, 2022
আশাপূর্ণ� দেবী� অত্যন্� জনপ্রিয় “সত্যবতী”ট্রিলজি� প্রথ� উপন্যা� প্রথ� প্রতিশ্রুতি।এই বইটিতে তিনি � প্রজন্মে� প্রথ� প্রজন্মে� সত্যবতী� উপাখ্যান তুলে ধরেছেন।চিরায়ত ধ্যা� ধারনার বাইর� গিয়� তিনি গ্রামে� এক মেয়েক� কর� তুলেছে� শক্তিমতী�
সত্যবতী� চরিত্র আসলে� সে� সময়ের হিসেবে অনেক আধুনিক।পড়তে পড়ত� কখ� যে এত আপ� কর� ফেলেছি সত্যবতীকে তা বুঝত� পারিনি।লেখিক� যত্নের সাথে সত্যবতী� চরিত্রকে কর� তুলেছে� অনন্যা,তা� বয়ানে ব্যক্ত করেছেন সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা� বেড়াজালকে�
এলোকেশী� অত্যাচারের কাহিনী আপনাকে ভাবত� বাধ্� করবে যে এত বছ� পরেও কি আমাদের উপমহাদেশ� শাশুড়�-বৌ এর সম্পর্কে� উন্নতি ঘটেছ� কিনা!এই রেষারেষি� উৎপত্ত� কোথায়?এট� কি শুধু� নিজে� ছেলেকে হারানো� ভয� নাকি নিজে� অতী� আরেকজনের উপ� চাপানো!
রামকালী আর নবকুমারক� আমার একটু মাঝে মাঝে বে� ভালো লেগেছে।রামকালী� বাড়ির বিধব� মহিলাদের আচার আচরণের বহ� আবার� আমার মন� প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।একজন মহিলার স্বামী জীবি� না মৃ� তাতে তাকে সারাজীবন যন্ত্রণা কে� ভো� করতে হব�?মহিলাট� মারা গেলে তা� স্বামী� কি তা� পালন করবে�?সত্যবতী� শ্বশুরের দ্বিচারিতা � পুজো� ভন্ড ভক্ত� আপনাকে ভাবাবে।কিছুট� সময় ঘোরে� মধ্য� থাকবেন�
সময়ের হিসেবে নিঃসন্দেহে খুবই সাহসী লেখনী।পৃথিবী� সব সত্যবতীরা ভালো থাকুক।
সত্যবতী� চরিত্র আসলে� সে� সময়ের হিসেবে অনেক আধুনিক।পড়তে পড়ত� কখ� যে এত আপ� কর� ফেলেছি সত্যবতীকে তা বুঝত� পারিনি।লেখিক� যত্নের সাথে সত্যবতী� চরিত্রকে কর� তুলেছে� অনন্যা,তা� বয়ানে ব্যক্ত করেছেন সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা� বেড়াজালকে�
এলোকেশী� অত্যাচারের কাহিনী আপনাকে ভাবত� বাধ্� করবে যে এত বছ� পরেও কি আমাদের উপমহাদেশ� শাশুড়�-বৌ এর সম্পর্কে� উন্নতি ঘটেছ� কিনা!এই রেষারেষি� উৎপত্ত� কোথায়?এট� কি শুধু� নিজে� ছেলেকে হারানো� ভয� নাকি নিজে� অতী� আরেকজনের উপ� চাপানো!
রামকালী আর নবকুমারক� আমার একটু মাঝে মাঝে বে� ভালো লেগেছে।রামকালী� বাড়ির বিধব� মহিলাদের আচার আচরণের বহ� আবার� আমার মন� প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।একজন মহিলার স্বামী জীবি� না মৃ� তাতে তাকে সারাজীবন যন্ত্রণা কে� ভো� করতে হব�?মহিলাট� মারা গেলে তা� স্বামী� কি তা� পালন করবে�?সত্যবতী� শ্বশুরের দ্বিচারিতা � পুজো� ভন্ড ভক্ত� আপনাকে ভাবাবে।কিছুট� সময় ঘোরে� মধ্য� থাকবেন�
সময়ের হিসেবে নিঃসন্দেহে খুবই সাহসী লেখনী।পৃথিবী� সব সত্যবতীরা ভালো থাকুক।
February 8, 2017
"যারে তুমি নীচে ফে� সে তোমারে বাঁধিব� যে নীচে,
পশ্চাত� রেখে� যারে সে তোমারে পশ্চাত� টানিছে�
অজ্ঞানের অন্ধকারে
আড়ালে ঢাকি� যারে
তোমা� মঙ্গ� ঢাকি গড়িছে সে ঘো� ব্যবধান।
অপমানে হত� হব� তাহাদে� সবার সমান�"
বইটা পড়েছি মেলাদি� হল, একদি� দুদি� কর� পুরো বছ� পা� করেছে। এদ্দিন পর কে� রিভি� ঠুকছ�? কারণ যখ� পড়েছিলা�, তখ� রিভি� লেখা� মত অবস্থায় ছিলা� না� খু� ভালো লেগেছি�? মোটে� না� বর� উল্টোট�, খু� খারা� লেগেছিল। মাথায় খু� চেপেছি�, ইচ্ছ� হচ্ছিল খু� কর� ফেলি এলোকেশীকে, খু� কর� ফেলি সে যে সমাজের, ব্যবস্থা� প্রতিনিধ� সে� সমাজ, সে� ব্যবস্থাকে� পারিনি� না পারা� ক্ষো� আজ� আছে।
ত্রয়ী উপন্যাসে� দ্বিতীয়টা আজ শে� করলাম। মন� হল কীবোর্� চেপে কিছু বকবক ঠুকে রাখি� পারল� সুবর্ণলত� নিয়েও কিছু ঠুকবো। বকুলকথ� পড়লেও ঠুকে রাখা� ইচ্ছ� আছে। তিনটাক� পর� একসাথে দেখবো।
তা প্রথ� প্রতিশ্রুতিট� কীসে� প্রতিশ্রুত�? কী জানি� আমার ছোটো মাথায় এত� কিছু ধর� না� কেবল রা� হয�, আর লজ্জা। রা� হয� সত্যবতী� সত্যকে অপমানি� হত� দেখে, আর লজ্জ� হয� আজ� আমাদের লজ্জ� হয়ন� বলে।
প্রথ� প্রতিশ্রুত� উপন্যাসট� কী নিয়�? কে� বলেন নারীবাদী� কে� বলেন প্রগতিবাদী� কাউক� কাউক� সমাজের ভিতরের আঁকা ছব� বলতে শুনি� আমার দূর্বল স্মৃতিশক্ত� প্রতারণা করলে (ভু� কর� যা� স্বভাব, ভু� সে না করলে তা প্রতারণা বৈ আর কী?) লেখিকা আশাপূর্ণ� দেবী সম্ভবত ভূমিকায় এক� অন্তঃপুরের ইতিহাস বলেছেন� আমার কাছে এগুলোর সব� মন� হয�, আবার কোনোটা� মন� হয� না� আমার মন� হয� এই উপন্যা� একটা দ্বন্দ্বের কাহিনী� দ্বন্দ্ব দু� সময়ের, দ্বন্দ দু� সমাজ�, দ্বন্দ্ব দু� দর্শনে�, দ্বন্দ্ব স্বাধীনত� আর পরাধীনতার�
আম� ব্যক্তিগতভাব� বর্তমানে� চেয়� অতীতে বা� করতে স্বাচ্ছন্দ্য বো� কর� বেশি, হয়ত� আমার অতী� বর্তমানে� চেয়� অনেক বেশি মোহনীয় বলেই� কিন্তু আমার মত সবার অতীতক� তো আর মোহনীয় বল� যায় না� বাঙালি নারী� প্রত� পুরুষশাসিত সমাজের শোষণের যে ভয়াবহ ছব� এই বইয়� দেখেছি, তাতে আম� সৃষ্টিকর্তাক� হাজারবার ধন্যবা� দিয়েছ�, উন� আমাক� � সমাজ� নারী বানিয়� পাঠানন� বলে। কোথা� এক� জো� কর� আরোপ কর� বল� মন� হয়ন�, বর� মন� হয়েছে, ছিহ্, আমরা� করছি, করেছ� এস�?
আমরা কারা? কেবল পুরুষর�? না� কেবল পুরুষরাই তো আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সন্তান না, নারীদে� মাঝে� সে ঢুকিয়� দেয় পুরুষতন্ত্র। তা� কিছু নারী এই তন্ত্র� নির্যাতি� হন, আর এই নির্যাতন সহ্য কর� যারা এই তন্ত্রের ভেতর ঢুকে গেছে�, তারা বাকি শোষকদে� সাথে মিলে নিজেরা� শোষণ করতে শুরু করেন নিজে� স্বজাতিক�, তাদেরও তৈরি করেন পুরুষতন্ত্রে� যোগ্� সন্তান করে।
এই সময়, এই সমাজ, এই পুরুষতান্ত্রিক দর্শনে� সাথে আর� আধুনিক, মানবিক এক সমাজ, সময় আর দর্শনে� দ্বন্দ্বের গল্প প্রথ� প্রতিশ্রুতি। এই গল্প আপনাকে হাসাবে না, আনন্� দেবে না, দেবে লজ্জ� আর ঘৃণা�
যে সত্য সমাজের স্বপ্ন সত্যবতী দেখেছি�, সে� সমাজ কী আমরা আজ� পেয়েছ�? সম্ভবত না� আজ� পোষাকে� দোহা� দিয়� টিএসসিতে নারীলাঞ্ছনাক� বৈধত� দেয়� হয�, আজ� তেঁতুলতত্ত্ব দিয়� আশ� বছরে� বুড়� বল�, মেয়� দেখল� তা� জি� দিয়� লালা পড়ে� লালা পড়ে বুড়োর, অথ� দায় পড়ে মেয়েদের ঘাড়ে। মেয়েদের ঘর� বন্দী কর� রাখা� হুকু� দেয় সে, আর সে� হুকু� পালন করতে আর করাত� একবিংশ শতাব্দীতে� হাজা� হাজা� মানু� (?) তাণ্ডবলীলা চালিয়� যায়� এস� দেখি� একটা সময় চেঁচামেচ� করতা� খু�, নিজে� ছোট্� গণ্ডিত�, সোশ্যা� মিডিয়ায়। এখ� আর কর� না� কিছুতে� কিছু হয� না� কী লা� কর�? তা� পারতপক্ষ� এস� খব� এড়িয়� যা�, তা� কখনও কখনও চোখে পড়ে যায়� যখ� পাঁচ বছরে� মেয়ের ধর্ষণে� খব� পড়ি, এক আদিম আক্রোশ� জ্বল� উঠ�, নিজে� ঘর� বসেই মন� মন��� খু� কর� ফেলি ধর্ষককে। একটা সময় বাস্তব� ফিরে আস�, হতাশ হই, কারণ হতাশ হওয়াটাই এখ� আমাদের একমাত্� কাজ। সত্যবতী� প্রশ্ন তখ� মন� জাগে,
"এ���� আল� পৃথিবীতে, তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কে�?"
স্ট্রংলি রিকমেন্ডেড�
June 24, 2024
� মন রেখে রেখে কী কখনো কারো ‘ম� রাখা� যায়? যায় না� শুধু সে� মনের দাবী আর প্রত্যাশ� বাড়িয়ে দেওয়া হয� মাত্র।�
এই গল্প পড়া� আগের আম� আর পড়া� পরের আম� কি সম্পূর্ণ এক? নাকি সত্য আমাক� তা� জীবন কথার সাথে সাথে এক কর� গল্প টেনে চলেছিল? সত্যিই কি আমার ব্যেক্তিগত জীবন� দৃষ্টিভঙ্গীতে চ্যালেঞ্জি� সিচুয়েশ� সত্য� থেকে কে� কখনো আনতে পেরেছি� এত বাস্তব ভাবে? হো� ফিকশনা� কিংব� জীবনের অত� পরিচিত কোনো চরিত্র�
এই গল্প পড়া� আগের আম� আর পড়া� পরের আম� কি সম্পূর্ণ এক? নাকি সত্য আমাক� তা� জীবন কথার সাথে সাথে এক কর� গল্প টেনে চলেছিল? সত্যিই কি আমার ব্যেক্তিগত জীবন� দৃষ্টিভঙ্গীতে চ্যালেঞ্জি� সিচুয়েশ� সত্য� থেকে কে� কখনো আনতে পেরেছি� এত বাস্তব ভাবে? হো� ফিকশনা� কিংব� জীবনের অত� পরিচিত কোনো চরিত্র�
August 10, 2020
আপাত� ঘোরে� মধ্য� আছি। ঘো� কাটলেই রিভি� লেখা� দুঃসাহ� দেখাবো� পারব কী না জানি না� সুবর্ণলত� পড়া� জন্য মন আনচা� করছে� কিন্তু হাতে� কাছে নেই। কেমনডা যে লাগে 😈�
August 5, 2021
সত্যবতী রামকালী কবিরাজের একটু বেশি বয়স� জন্মান� একমাত্� কন্যা। যদিও তিনি রাশভারী মানু� তবুও গ্রামপ্রথা � হিন্দুপ্রথ� মান্� কর� গৌরীদা� করেছিলেন� তব� ছেলেপক্ষ থেকে কথ� আদায� কর� নিয়েছিলেন সত্য ১২ বছ� বয়স পর্যন্� বাপে� সংসারে� থাকবে।
কিন্তু সত্য� শাশুড়ীঠাকুরু� গো� বাঁধালেন� তা� ছেলেবউকে চা� নয়ত� ছেলে� অন্যত্� বিবা� দিয়� ঘর� বউ আনবেন। রামকালী বিচলিত হওয়ার মানু� নন এক্ষেত্রেও হলেন না� সত্য� বর� বাপক� বুঝিয়� শশুরঘর চললো�
এরপর কত জল� গড়ালো গঙ্গায�.... সত্য� বর নবকুমা� কলকাতায় চাকর� পেয়� বাসা নিয়� সেখানে সত্যকে নিয়� সংসা� পাতলো। এক� এক� তাদে� সংসারে তিনট� ছেলেমেয়ের আগমন ঘটলো�
শুধু এই তিনজ� কে� বল�! এই এক জীবন� সত্য কি কম মানু� দেখল�? কম জানল�? কম বুঝল�? কম চিনল�?
তবুও চেনা আর হল� কই! জানা� বা হল কতটুকু! মানু� কি চেনা যায় গো!
সত্য ঝাঁকের কই হয়ে জন্মায়নি। সে যে একটু আলাদ� গোত্রের। তা� দেখা� চো� যে আলাদ�, তা� মনের গড়ন আলাদ�, তা� মমতা দেখানো� ধরনও যে আলাদা।
এই আলাদাটুকুক� বুঝা� জন্য কি ভগবা� আর� গুটিকয়ে� আলাদ� ধরনে� মানু� গড়ে দিতে পারতেন না সত্য� আশেপাশে। তব� � শতেক লোকে ভু� বুঝলেও কে� কে� অন্ত� বুঝত� পারত� সত্য� মনকে�
ব্যাপওওওওও� ভালো লাগছ� বইটা� এম� বৃহৎ কলেবরে� বই বরাবরই ভালো পাই। ২য� পার্� জলদি� শুরু কর� দিবো�
পড়া শে� কর� বইটা পড়া� জন্য নিজেরে� একটা থানক� দিয়� দিলাম। 😁
কিন্তু সত্য� শাশুড়ীঠাকুরু� গো� বাঁধালেন� তা� ছেলেবউকে চা� নয়ত� ছেলে� অন্যত্� বিবা� দিয়� ঘর� বউ আনবেন। রামকালী বিচলিত হওয়ার মানু� নন এক্ষেত্রেও হলেন না� সত্য� বর� বাপক� বুঝিয়� শশুরঘর চললো�
এরপর কত জল� গড়ালো গঙ্গায�.... সত্য� বর নবকুমা� কলকাতায় চাকর� পেয়� বাসা নিয়� সেখানে সত্যকে নিয়� সংসা� পাতলো। এক� এক� তাদে� সংসারে তিনট� ছেলেমেয়ের আগমন ঘটলো�
শুধু এই তিনজ� কে� বল�! এই এক জীবন� সত্য কি কম মানু� দেখল�? কম জানল�? কম বুঝল�? কম চিনল�?
তবুও চেনা আর হল� কই! জানা� বা হল কতটুকু! মানু� কি চেনা যায় গো!
সত্য ঝাঁকের কই হয়ে জন্মায়নি। সে যে একটু আলাদ� গোত্রের। তা� দেখা� চো� যে আলাদ�, তা� মনের গড়ন আলাদ�, তা� মমতা দেখানো� ধরনও যে আলাদা।
এই আলাদাটুকুক� বুঝা� জন্য কি ভগবা� আর� গুটিকয়ে� আলাদ� ধরনে� মানু� গড়ে দিতে পারতেন না সত্য� আশেপাশে। তব� � শতেক লোকে ভু� বুঝলেও কে� কে� অন্ত� বুঝত� পারত� সত্য� মনকে�
ব্যাপওওওওও� ভালো লাগছ� বইটা� এম� বৃহৎ কলেবরে� বই বরাবরই ভালো পাই। ২য� পার্� জলদি� শুরু কর� দিবো�
পড়া শে� কর� বইটা পড়া� জন্য নিজেরে� একটা থানক� দিয়� দিলাম। 😁
September 14, 2023
প্রথ� প্রতিশ্রুত�, উপন্যাসট� পড়ত� আমার খু� ভালো লেগেছে, উপন্যাসট� তুলনামূল� বড� কিন্তু পড়ত� একটু � বোরি� লাগে নি।আশাপূর্ণা দেবী� লেখা, আমার আগ� পড়া� সু্যোগ হয়নি।কিন্তু এই উপন্যাসট� পড়ে তা� অন্য সৃষ্টি গুলো� স্বা� নেয়ার ইচ্ছ� হচ্ছে।এই তো গে� নিজে� কিছু কথ� এইবা� উপন্যা� নিয়� কিছু বল� যা�-
সত্যবতী, এই উপন্যাসে� প্রধান চরিত্র।উনি� শতকে� নারীদে� অবস্থা� এই উপন্যাসে তুলে ধর� হয়ছ�,যেখানে মেয়ের� উপেক্ষিত অবহেলি� সেখানে সত্যবতী কে লেখিকা এক বলিয়া� মহীয়সী নারী হিসেবে তুলে ধেরেছন।সত্যে� বাবা কন্যার গৌড়ী দা� করেছিলেন, সত্য নেহা� ছো� হওয়ায� কিছুদি� বাবা� বাসায় অবস্থা� করেছিল এই সময় থেকে সে দুরন্ত এক মেয়ে।সত্যবতী� বাবা প্রতাপশালী একজন ব্রামণ যদ� � পেশায় কবিরাজ� এই জন্য তা� জা� যাওয়া নিয়� সমাজ� প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু তা� টাকা� দাপট� তা আর ধোপে টিকে নি।তার প্রভাব অর্থ দেখে হিন্দু সমাজের মাথা তা� মেয়ের সাথে যথেষ্ট বয়স্ক রামকালির(সত্যের বাবা) বিয়� দেন।সত্য তা� বৃদ্� বয়সের একমাত্� কন্য� যাকে সে অতিশয় স্নে� করেন।সত্যবতী� বাবা� বাড়� বিশা�,বাড়ির একপাশে বিধবাদের ঘর,তাদে� হেঁশেল � আলাদা।লেখিকা সেসময় হিন্দু সমাজের বিভিন্� প্রথ� এব� হিন্দু মেয়েদের এব� বিধবাদের যে দৈনত� -কষ্ট তা তুলে ধরেছেন� কো� কারণ� যদ� কো� মেয়ের স্বামী মারা যায় তাকে সহ্য করতে হয� আমৃত্য� যন্ত্রণা�
যেখানে মেয়েদের হাজারো বাঁধ� সেখানে
সত্যবতী সেসক� নিয়� কে কাঁচকল� দেখিয়েছে। লেখাপড়া শিখেছে চুপিচুপি এম� কী ছড়া রচনা করেছ� যা তখনকার সমাজের চোখে ঘো� অন্যায়।
সময় আস�,সত্য কে শ্বশুর বাড়� যেতে হয�,বুকে পাথর রেখে তা� পিতৃগৃ� ত্যা� করতে হয়।তা� শাশুড়ী খু� জেদি বদ মেজাজী সে সত্য কে বশ করতে চা�,কিন্তু সত্যবতী কে বশ কর� এত সহ� না।বিভিন্ন প্রতিকূলতা� মধ্য দিয়� সময় এগিয়ে যায়,সত্যবতী নিজে� অস্তিত্ব নিজে� সংসা� বাঁচিয়ে রাখত� প্রতিনিয়ত সংগ্রা� করছে।মানুষের সব সময় এক থাকে না সময়ের ব্যবধানে সত্যবতী দু ছেলে� মা হয়।সে চা� তা� ছেলেরা লেখাপড়া শেখে মানু� হো�,তা� সকলে� কুমন্ত্রণা কে নস্যাৎ কর� সে তা� স্বামী নবকুমারে� সাথে কলকাতা আস�,এখান� এস� সত্যের নতুন জন্ম হয�,সে লেখাপড়া শেখে এব� একসময় সত্য চুপচুপ কর� পাঠশালায� পড়ানো শুরু করে।কিন্তু মানুষে� সব দি� এক যায় না।আ� মেয়� হয়ে জন্মাল� বিভিন্� প্রতিবন্ধকতা� মধ্য� দিয়� যেতে হয� সবাই কে,সত্য তা� ব্যতিক্র� না।বেশ বয়স কর�
সত্যের মেয়� হয�,সে চেয়েছিল তাকে লেখাপড়া করিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে,তা� জীবনের অপূর্ণতা গুলো পূরণ হব� তা� মেয়� কে দিয়ে।কিন্তু তা� বর নবকুমা� তা� শাশুড়ী এলোকেশী সব নষ্ট কর� দেয়,তা� অজান্ত� তা� মেয়ের বিয়� দিয়� দেয়�
এত কিছু দেখা� পর সত্যবতী নিজেকে আর ঠি� রাখত� পারে নি।স� এই সংসারে� মায়� ত্যা� কর�,চলেছ� তা� বাবা রামকালির কাছে, তা� মন� যে অনেক প্রশ্ন!!
#আমরা নারীরা আজ হয়ত� অনেক এগিয়ে গেছি কিন্তু আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া� পথ এত মসৃণ ছি� না কখনো� অতীতে কিছু সত্যবতী� ন্যায় নারী� হা� ধর� আজ নারী জাগর� সম্ভ� হয়েছে।যুগ� যুগে সত্যবতীরা জন্ম নে�,আর তারা তাদে� আশেপাশের মেয়েদের জীবন� আল� নিয়� আসুক,কারণ সত্যবতীরা� তো নতুন দিনে� দিকনির্দেশক। 🤲🤲🤲
সত্যবতী, এই উপন্যাসে� প্রধান চরিত্র।উনি� শতকে� নারীদে� অবস্থা� এই উপন্যাসে তুলে ধর� হয়ছ�,যেখানে মেয়ের� উপেক্ষিত অবহেলি� সেখানে সত্যবতী কে লেখিকা এক বলিয়া� মহীয়সী নারী হিসেবে তুলে ধেরেছন।সত্যে� বাবা কন্যার গৌড়ী দা� করেছিলেন, সত্য নেহা� ছো� হওয়ায� কিছুদি� বাবা� বাসায় অবস্থা� করেছিল এই সময় থেকে সে দুরন্ত এক মেয়ে।সত্যবতী� বাবা প্রতাপশালী একজন ব্রামণ যদ� � পেশায় কবিরাজ� এই জন্য তা� জা� যাওয়া নিয়� সমাজ� প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু তা� টাকা� দাপট� তা আর ধোপে টিকে নি।তার প্রভাব অর্থ দেখে হিন্দু সমাজের মাথা তা� মেয়ের সাথে যথেষ্ট বয়স্ক রামকালির(সত্যের বাবা) বিয়� দেন।সত্য তা� বৃদ্� বয়সের একমাত্� কন্য� যাকে সে অতিশয় স্নে� করেন।সত্যবতী� বাবা� বাড়� বিশা�,বাড়ির একপাশে বিধবাদের ঘর,তাদে� হেঁশেল � আলাদা।লেখিকা সেসময় হিন্দু সমাজের বিভিন্� প্রথ� এব� হিন্দু মেয়েদের এব� বিধবাদের যে দৈনত� -কষ্ট তা তুলে ধরেছেন� কো� কারণ� যদ� কো� মেয়ের স্বামী মারা যায় তাকে সহ্য করতে হয� আমৃত্য� যন্ত্রণা�
যেখানে মেয়েদের হাজারো বাঁধ� সেখানে
সত্যবতী সেসক� নিয়� কে কাঁচকল� দেখিয়েছে। লেখাপড়া শিখেছে চুপিচুপি এম� কী ছড়া রচনা করেছ� যা তখনকার সমাজের চোখে ঘো� অন্যায়।
সময় আস�,সত্য কে শ্বশুর বাড়� যেতে হয�,বুকে পাথর রেখে তা� পিতৃগৃ� ত্যা� করতে হয়।তা� শাশুড়ী খু� জেদি বদ মেজাজী সে সত্য কে বশ করতে চা�,কিন্তু সত্যবতী কে বশ কর� এত সহ� না।বিভিন্ন প্রতিকূলতা� মধ্য দিয়� সময় এগিয়ে যায়,সত্যবতী নিজে� অস্তিত্ব নিজে� সংসা� বাঁচিয়ে রাখত� প্রতিনিয়ত সংগ্রা� করছে।মানুষের সব সময় এক থাকে না সময়ের ব্যবধানে সত্যবতী দু ছেলে� মা হয়।সে চা� তা� ছেলেরা লেখাপড়া শেখে মানু� হো�,তা� সকলে� কুমন্ত্রণা কে নস্যাৎ কর� সে তা� স্বামী নবকুমারে� সাথে কলকাতা আস�,এখান� এস� সত্যের নতুন জন্ম হয�,সে লেখাপড়া শেখে এব� একসময় সত্য চুপচুপ কর� পাঠশালায� পড়ানো শুরু করে।কিন্তু মানুষে� সব দি� এক যায় না।আ� মেয়� হয়ে জন্মাল� বিভিন্� প্রতিবন্ধকতা� মধ্য� দিয়� যেতে হয� সবাই কে,সত্য তা� ব্যতিক্র� না।বেশ বয়স কর�
সত্যের মেয়� হয�,সে চেয়েছিল তাকে লেখাপড়া করিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে,তা� জীবনের অপূর্ণতা গুলো পূরণ হব� তা� মেয়� কে দিয়ে।কিন্তু তা� বর নবকুমা� তা� শাশুড়ী এলোকেশী সব নষ্ট কর� দেয়,তা� অজান্ত� তা� মেয়ের বিয়� দিয়� দেয়�
এত কিছু দেখা� পর সত্যবতী নিজেকে আর ঠি� রাখত� পারে নি।স� এই সংসারে� মায়� ত্যা� কর�,চলেছ� তা� বাবা রামকালির কাছে, তা� মন� যে অনেক প্রশ্ন!!
#আমরা নারীরা আজ হয়ত� অনেক এগিয়ে গেছি কিন্তু আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া� পথ এত মসৃণ ছি� না কখনো� অতীতে কিছু সত্যবতী� ন্যায় নারী� হা� ধর� আজ নারী জাগর� সম্ভ� হয়েছে।যুগ� যুগে সত্যবতীরা জন্ম নে�,আর তারা তাদে� আশেপাশের মেয়েদের জীবন� আল� নিয়� আসুক,কারণ সত্যবতীরা� তো নতুন দিনে� দিকনির্দেশক। 🤲🤲🤲
October 16, 2023
"এত� আল� পৃথিবীতে, তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কে�?"
৫২� পৃষ্ঠা� একটা বই� যদিও যথেষ্ট না� তা� মন� হইতেছে, � গল্প গুলো এভাব� শে� কর� দেয়� যায় না� আর� অনেক কিছু বলার থেকে যায়, করার থেকে যায়�
যা� হো�, বইট� শে� করার পর মন� হইতেছে, দিনে দিনে সত্যবতী আসছে বলেই আম� নিজেকে খু� সহজে� "মেয়েমানুষ" না, "মানু�" বল� ভাবত� পারতেছি।
৫২� পৃষ্ঠা� একটা বই� যদিও যথেষ্ট না� তা� মন� হইতেছে, � গল্প গুলো এভাব� শে� কর� দেয়� যায় না� আর� অনেক কিছু বলার থেকে যায়, করার থেকে যায়�
যা� হো�, বইট� শে� করার পর মন� হইতেছে, দিনে দিনে সত্যবতী আসছে বলেই আম� নিজেকে খু� সহজে� "মেয়েমানুষ" না, "মানু�" বল� ভাবত� পারতেছি।
December 2, 2016
আম� রেটি� দেওয়াতে খু� একটা ভা� না� উদার হস্ত� রেটি� দিতে পছন্� করি।যে বই হয়ত কারো কাছে ভা� লাগে নি সেটা পড়ে ভা� লাগা� কারন� �/� রেটি� দিয়� বস� থাকি�
কিন্তু এই বইটা উদার হস্ত ছাড়াই �/� রেটি� ডিজার্� করে।
কিন্তু এই বইটা উদার হস্ত ছাড়াই �/� রেটি� ডিজার্� করে।
October 22, 2024
আঠার� এব� উনিশ শতকে� প্রেক্ষাপট� লেখিকা আশাপূর্ণ� দেবী তাঁর ত্রয়ী উপন্যাসে� প্রথ� বই প্রথ� প্রতিশ্রুতিত� তৎকালী� সমাজ এব� ধর্মীয় ব্যবস্থাপনায� অদ্ভুত এক প্রাণী� অস্তিত্বের কথ� ব্যক্ত করেছেন� যাদে� অবয়�, অনুভূত�, আবেগ সবকিছু মানুষে� মত হলেও তাদে� খানিকট� ভারবাহী পশ��� মত ব্যবহা� কর� পুরু� শাসি� সমাজ� সে� অদ্ভুত প্রাণিটি� না� ছি� নারী� নির্মম হলেও সত্য� তৎকালী� নারীদে� প্রত� পুরু� সমাজের আচরণ আর যা� হো� মানবিক ছি� না� হাজা� বছরে� মরীচা ধর� সংস্কারে� শেকল� নারীরা যখ� মানুষে� সম্মান পায়নি তখ� নিত্যানন্দপু� নামক অজপাড়� গায়� একটি এগার� বছরে� শিশুকন্য� সে� সংস্কারে� শেকল� কষাঘাত কর�, জানিয়� দেয় আমরা� (নারীরা) মানুষ। আর নারী থেকে মানু� হবার সে� শিশুকন্যার সারা জীবনের অপরাজি� সংগ্রামে� গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে প্রথ� প্রতিশ্রুতি।
সত্যবতী!! হ্যা সে� এগার� বছরে� শিশুকন্যাটির না� ছি� সত্যবতী� পিতা নিষ্ঠাবা� ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজ একমাত্� সন্তান সত্যবতীকে আট বছ� বয়স� বিয়� দিয়� গৌরীদানে� পূণ্� অর্জ� করেছিলেন� কিন্তু বিয়ের পরেও সংসারবদ্� হবার উপযুক্� বয়সের অপেক্ষায� সত্যবতী পিতা� কাছে� ছিল। বাল্যকাল থেকে সত্যবতী তা� নামে� প্রত� সুবিচা� করেছিল� নির্মমভাবে সত্যকে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে কখনো কার্পণ্য করেনি। শারীরিকভাব� অবোধ সত্যবতী মানুষে� মানসিক সূক্ষ্মত� বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জ� কর� অনেক ছো� বয়সেই�
বইটি� প্রথ� কয়েকট� পরিচ্ছেদ� সত্যবতী� পিতা রামকালী� বলিষ্ঠ বিচরণে তাঁক� এই গল্পের প্রধান চরিত্র মন� হত� পারে� কারণ সত্যবতীরর জীবন� আকাশ� পিতা� নামে� নক্ষত্রট� ছি� সবথেকে উজ্জ্বল। পিতা কবিরাজ রামকালী নিজে� পরিবার� শত মানুষে� জন্য ছিলে� ভরসা� আর গ্রামে� সহস্� অসহায় মানুষে� জন্য ছিলে� আশ্রয়ের স্থল� তারপ� শৈশবের বাঁধ� ছিন্� হয� সত্যবতীর। একদি� শ্বশুরবাড়� থেকে ডা� আসে। পিতা রামকালী কন্যাক� পাঠাতে না চাইলেও পিতা� সম্মান অক্ষুন্ন রাখত� সত্যবতী সব মায়ার বাঁধ� ছিন্� কর� চললো শ্বশুরবাড়ি।
শ্বশুরবাড়� এস� সত্যবতী হল� দিশেহারা� যেমন লোভী, মনুষ্যত্বহী� শ্বাশুড়ী এলোকেশী তেমন লালসাগ্রস্� শ্বশুর নীলাম্বরকে দেখে সত্যবতী প্রত� পদ� পদ� হয়ে দাঁড়ায় তাদে� অসন্তোষে� কারণ� তব� স্বামী নবকুমা� ছি� যে� মাটি� মানুষ। তা� তো তাঁক� বা� বা� ভেঙ্গে বা� বা� গড়ে নিতে খু� বেশি বে� পেতে হয়ন� সত্যবতীকে� সময়ের পরিক্রমায় সামাজি� রূ� বদ� হয� সত্যবতীর। কন্য� থেকে স্ত্রী আবার স্ত্রী থেকে মা� নতুন রূপে নতুন ব্যক্তিত্ব� নিজেকে সাজিয়� নিতে� ভু� হয� না সত্যবতীর। সন্তানদে� সুশিক্ষায় আলোকিত করতে নবকুমারক� নিয়� কলকাতায় পারি দেয় সত্যবতী� কলকাতায় এস� সত্যবতী যুদ্� শে� হয� না বর� শুরু হয়।
সত্যবতী� দূ� সম্পর্কে বিধব� আত্নীয়� শঙ্করী সংস্কারক� বৃদ্ধাঙ্গু� দেখিয়� শে� রক্ষ� করতে পারেনি� গর্ভ অবস্থায় রেখে শঙ্করী� দ্বিতীয় স্বামী তাঁক� রেখে পলায়ন করে। সে� শঙ্করী� মেয়� সুহাসিনীকে নিয়� আশ্রয় হয� সত্যবতীদে� ভাড়াকৃত বাড়ির মালি� দত্তদে� বাড়িতে। শঙ্করী� মৃত্যু� পর সত্যবতী সুহাসক� নিয়� আসে। সমাজ� যাকে পাপে� সন্তান বল� ধীক্কা� দিতে ছাড়� না সে সত্যবতী� কাছে বুকে� সন্তানের মত প্রতিপালিত হয়। তারপ� একদি� সত্যবতী আবার মাতৃত্বে� ছোঁয়া লা� করে। সাধন সরলে� পর� এবার একটি কন্যাশিশ� কোলজুড়ে আস� সত্যবতীর। না� সুবর্ণলতা। সহস্� সংগ্রামে ক্লান্� সত্যবতী জীবনের সবথেকে বড� স্বপ্নটি দেখত� শুরু করে। নিজে� কন্যাটিক� শিক্ষি� কর�, যা সমাজের চো� মহাপাপ� কিন্তু হো� পাপ। সে� পাপে� মাঝে� সত্যবতী সুবর্ণলতার জন্য জীবনের আল� এন� দিতে চেয়েছিলো।
কিন্তু পেরেছিলো কি সত্যবতী? স্বপ্ন পূরণ করতে? নারীদে� নিয়� সমাজ� যে পুতুলখেল� হয� সে� খেলা থেকে নিজে� প্রতিচ্ছবি নিজে� কন্যাক� রক্ষ� করতে?
জানত� হল� পড়ত� হব� সমগ্� অখন্� ভারতের সবথেকে সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া প্রথ� প্রতিশ্রুত� বইটি�
ব্যক্তিগ� অভিমতঃ
তোমা� মমতা-মানি� আলোক� চিনিনু তোমারে মাতা তুমি লাঞ্চিতা বিশ্�-জননী!
তোমা� আচ� পাতা নিখি� দুঃখী নিপীড়িত তব�,
বি� শুধু তোমা দহ� যথ� তব মাগো পীড়িত নিখি� ধরনী� ভা� বহে।
হ্যা নারী� সবথেকে সুন্দর রূপট� হল� জননী� কিন্তু ভারত নামে� মহাভূমিত� মাটি� জননী� পূজা হলেও রক্ত মাংসের জননীদে� সামন� কখনো শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্প� কর� হয়নি। কিন্তু জননীরা সে� শ্রদ্ধার কাঙ্গালিনী হয়ে থাকেননি। হাজা� বছ� ধর� বিলিয়� দিয়েছেন নিজেকে সংসারে� জন্য� প্রতিদান চানন� কখনো, প্রতিদান কে� চাইত� হয� তা� শেখেননি। সত্যবতী� কাহিনী শোনা� পর� আমার মাতামহী� কথ� মন� পর� যায়� আম� উনাক� কখনো বাড়িত� বিশ্রা� নিতে দেখিনি� প্রতিট� মূহুর্তে তুচ্� থেকে তুচ্� কা� কর� চলেছেন পর� মমতায়� কখনো কো� অভিযোগ নেই। উনাদের গ্রামে কখনো কো� সত্যবতী জন্ম নেয় নি� তাহল� উনাদের গল্পটা� হয়ত� আলাদ� �'তো� কি জানি!!
হাজা� বছ� ধর� লক্ষ মায়েদের সংসারক� আগলে রাখা� ক্লান্তহী� সংগ্রা� জড� কর� যদ� দেখি তাহল� কে� এই পৃথিবী এর মায়াময় হয়ত� সে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� পাবো� সত্যবতী� গল্প� লেখিকা সে� সব অবহেলি� সংগ্রামে� কথ� বলছে� আর বলেছেন সত্যবতী� কথ� যে বা যারা চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়েছ� নারীত্� ছাড়� মনুষ্যত্� অপূর্ণ, অর্থহীন।
সত্যবতী!! হ্যা সে� এগার� বছরে� শিশুকন্যাটির না� ছি� সত্যবতী� পিতা নিষ্ঠাবা� ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজ একমাত্� সন্তান সত্যবতীকে আট বছ� বয়স� বিয়� দিয়� গৌরীদানে� পূণ্� অর্জ� করেছিলেন� কিন্তু বিয়ের পরেও সংসারবদ্� হবার উপযুক্� বয়সের অপেক্ষায� সত্যবতী পিতা� কাছে� ছিল। বাল্যকাল থেকে সত্যবতী তা� নামে� প্রত� সুবিচা� করেছিল� নির্মমভাবে সত্যকে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে কখনো কার্পণ্য করেনি। শারীরিকভাব� অবোধ সত্যবতী মানুষে� মানসিক সূক্ষ্মত� বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জ� কর� অনেক ছো� বয়সেই�
বইটি� প্রথ� কয়েকট� পরিচ্ছেদ� সত্যবতী� পিতা রামকালী� বলিষ্ঠ বিচরণে তাঁক� এই গল্পের প্রধান চরিত্র মন� হত� পারে� কারণ সত্যবতীরর জীবন� আকাশ� পিতা� নামে� নক্ষত্রট� ছি� সবথেকে উজ্জ্বল। পিতা কবিরাজ রামকালী নিজে� পরিবার� শত মানুষে� জন্য ছিলে� ভরসা� আর গ্রামে� সহস্� অসহায় মানুষে� জন্য ছিলে� আশ্রয়ের স্থল� তারপ� শৈশবের বাঁধ� ছিন্� হয� সত্যবতীর। একদি� শ্বশুরবাড়� থেকে ডা� আসে। পিতা রামকালী কন্যাক� পাঠাতে না চাইলেও পিতা� সম্মান অক্ষুন্ন রাখত� সত্যবতী সব মায়ার বাঁধ� ছিন্� কর� চললো শ্বশুরবাড়ি।
শ্বশুরবাড়� এস� সত্যবতী হল� দিশেহারা� যেমন লোভী, মনুষ্যত্বহী� শ্বাশুড়ী এলোকেশী তেমন লালসাগ্রস্� শ্বশুর নীলাম্বরকে দেখে সত্যবতী প্রত� পদ� পদ� হয়ে দাঁড়ায় তাদে� অসন্তোষে� কারণ� তব� স্বামী নবকুমা� ছি� যে� মাটি� মানুষ। তা� তো তাঁক� বা� বা� ভেঙ্গে বা� বা� গড়ে নিতে খু� বেশি বে� পেতে হয়ন� সত্যবতীকে� সময়ের পরিক্রমায় সামাজি� রূ� বদ� হয� সত্যবতীর। কন্য� থেকে স্ত্রী আবার স্ত্রী থেকে মা� নতুন রূপে নতুন ব্যক্তিত্ব� নিজেকে সাজিয়� নিতে� ভু� হয� না সত্যবতীর। সন্তানদে� সুশিক্ষায় আলোকিত করতে নবকুমারক� নিয়� কলকাতায় পারি দেয় সত্যবতী� কলকাতায় এস� সত্যবতী যুদ্� শে� হয� না বর� শুরু হয়।
সত্যবতী� দূ� সম্পর্কে বিধব� আত্নীয়� শঙ্করী সংস্কারক� বৃদ্ধাঙ্গু� দেখিয়� শে� রক্ষ� করতে পারেনি� গর্ভ অবস্থায় রেখে শঙ্করী� দ্বিতীয় স্বামী তাঁক� রেখে পলায়ন করে। সে� শঙ্করী� মেয়� সুহাসিনীকে নিয়� আশ্রয় হয� সত্যবতীদে� ভাড়াকৃত বাড়ির মালি� দত্তদে� বাড়িতে। শঙ্করী� মৃত্যু� পর সত্যবতী সুহাসক� নিয়� আসে। সমাজ� যাকে পাপে� সন্তান বল� ধীক্কা� দিতে ছাড়� না সে সত্যবতী� কাছে বুকে� সন্তানের মত প্রতিপালিত হয়। তারপ� একদি� সত্যবতী আবার মাতৃত্বে� ছোঁয়া লা� করে। সাধন সরলে� পর� এবার একটি কন্যাশিশ� কোলজুড়ে আস� সত্যবতীর। না� সুবর্ণলতা। সহস্� সংগ্রামে ক্লান্� সত্যবতী জীবনের সবথেকে বড� স্বপ্নটি দেখত� শুরু করে। নিজে� কন্যাটিক� শিক্ষি� কর�, যা সমাজের চো� মহাপাপ� কিন্তু হো� পাপ। সে� পাপে� মাঝে� সত্যবতী সুবর্ণলতার জন্য জীবনের আল� এন� দিতে চেয়েছিলো।
কিন্তু পেরেছিলো কি সত্যবতী? স্বপ্ন পূরণ করতে? নারীদে� নিয়� সমাজ� যে পুতুলখেল� হয� সে� খেলা থেকে নিজে� প্রতিচ্ছবি নিজে� কন্যাক� রক্ষ� করতে?
জানত� হল� পড়ত� হব� সমগ্� অখন্� ভারতের সবথেকে সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া প্রথ� প্রতিশ্রুত� বইটি�
ব্যক্তিগ� অভিমতঃ
তোমা� মমতা-মানি� আলোক� চিনিনু তোমারে মাতা তুমি লাঞ্চিতা বিশ্�-জননী!
তোমা� আচ� পাতা নিখি� দুঃখী নিপীড়িত তব�,
বি� শুধু তোমা দহ� যথ� তব মাগো পীড়িত নিখি� ধরনী� ভা� বহে।
হ্যা নারী� সবথেকে সুন্দর রূপট� হল� জননী� কিন্তু ভারত নামে� মহাভূমিত� মাটি� জননী� পূজা হলেও রক্ত মাংসের জননীদে� সামন� কখনো শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্প� কর� হয়নি। কিন্তু জননীরা সে� শ্রদ্ধার কাঙ্গালিনী হয়ে থাকেননি। হাজা� বছ� ধর� বিলিয়� দিয়েছেন নিজেকে সংসারে� জন্য� প্রতিদান চানন� কখনো, প্রতিদান কে� চাইত� হয� তা� শেখেননি। সত্যবতী� কাহিনী শোনা� পর� আমার মাতামহী� কথ� মন� পর� যায়� আম� উনাক� কখনো বাড়িত� বিশ্রা� নিতে দেখিনি� প্রতিট� মূহুর্তে তুচ্� থেকে তুচ্� কা� কর� চলেছেন পর� মমতায়� কখনো কো� অভিযোগ নেই। উনাদের গ্রামে কখনো কো� সত্যবতী জন্ম নেয় নি� তাহল� উনাদের গল্পটা� হয়ত� আলাদ� �'তো� কি জানি!!
হাজা� বছ� ধর� লক্ষ মায়েদের সংসারক� আগলে রাখা� ক্লান্তহী� সংগ্রা� জড� কর� যদ� দেখি তাহল� কে� এই পৃথিবী এর মায়াময় হয়ত� সে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� পাবো� সত্যবতী� গল্প� লেখিকা সে� সব অবহেলি� সংগ্রামে� কথ� বলছে� আর বলেছেন সত্যবতী� কথ� যে বা যারা চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়েছ� নারীত্� ছাড়� মনুষ্যত্� অপূর্ণ, অর্থহীন।
November 1, 2012
The story of a young girl from rural bengal who is very conscious of her right to live and be respected. A rebel, she can face her venerable father, whom she adores, and point out his mistake. A fighter for truth and her search for the meaning of a Woman's life. Her struggle to educate her daughter and the protest when she is thwarted in this by her husband and mother in law. A strong and courageous character who we all admire but would rather not have in our own families.
June 3, 2023
বাংলার নবজাগরণে� প্রভাব তখনও শুরু হয়ন�, আভাস হয়ত� পাওয়া গেছে তব�, নবজাগরণে� এই দূ� সময়টাতে বাংল� নারীদে� মন� � কাজে একটা বিক্ষো�, অন্যায়ে� প্রতিবাদ করার একটা সম্ভাবনা অঙ্কুরিত হয়েছি� অন্দরমহল� থেকে� তারই এক জ্বলন্� দলিল এই " প্রথ� প্রতিশ্রুত� "� উপন্যা� টিতে বলিষ্ঠ হয়ে ফুটে উঠেছ� সত্যবতী না� চরিত্রটি, যে সব সময় স্রোতে� বিপরীতে চলেছেন�
সত্যবতী� জন্মের পূর্বে� কাহিনি দিয়েই এই উপন্যাসে� শুরু�
পিতা রামকালী চাটুয্যে একজন সৎ, আদর্�, কর্তব্যপরায়�, পরোপকারী, রাশভারী পুরুষ।
যিনি সমাজের বিভিন্� কুসংস্কা� � অন্যায়ে� প্রতিবাদ করেন।রামকালী মশাইয়ের একমাত্� কন্য� ছি� এই সত্যবতী�
আট বছরে� এক প্রাণোচ্ছল, দুরন্ত, জেদী, যুক্তিতর্ক� পারদর্শী, কৌতুহলী মেয়� সত্যবতী�
যা� বিয়� হয়ে যায় বছরখানেক আগে। কিন্তু বিয়ের সময়ের কথ� অনুযায়ী বারো বছ� না হওয়ায� কিশোরী সত্যবতীকে নিজগৃহ� রেখে দেন। তব� বারো বছ� না পূরণ হত� শ্বশুর বাড়� থেকে সত্যবতীকে নিতে আসে।
ছো� মেয়�, বয়স বারো বছ� হয়ন�, এই অজুহাত� মেয়েক� রেখেদিবে�, না কি শ্বশুর বাড়� পাঠিয়� দিবে� মেয়েক�?
এই সময় থেকে� সত্যবতী� পূর্� রুপে প্রকাশ ঘট� উপন্যাসে�
উপন্যা� টা একটা সময়ের নিখুঁত পূর্� একটা দর্পণ। সে� সময়ের সমাজের সংস্কা� � কুসংস্কা� গুলো ফুটে উঠেছ� এখানে। সাথে সে� সময়� দাঁড়িয়� এক নারী চরিত্রের তীব্� প্রতিবাদ যা সে� সময়� দাঁড়িয়� কল্পনা করাও কঠিন�
সত্যবতী� জন্মের পূর্বে� কাহিনি দিয়েই এই উপন্যাসে� শুরু�
পিতা রামকালী চাটুয্যে একজন সৎ, আদর্�, কর্তব্যপরায়�, পরোপকারী, রাশভারী পুরুষ।
যিনি সমাজের বিভিন্� কুসংস্কা� � অন্যায়ে� প্রতিবাদ করেন।রামকালী মশাইয়ের একমাত্� কন্য� ছি� এই সত্যবতী�
আট বছরে� এক প্রাণোচ্ছল, দুরন্ত, জেদী, যুক্তিতর্ক� পারদর্শী, কৌতুহলী মেয়� সত্যবতী�
যা� বিয়� হয়ে যায় বছরখানেক আগে। কিন্তু বিয়ের সময়ের কথ� অনুযায়ী বারো বছ� না হওয়ায� কিশোরী সত্যবতীকে নিজগৃহ� রেখে দেন। তব� বারো বছ� না পূরণ হত� শ্বশুর বাড়� থেকে সত্যবতীকে নিতে আসে।
ছো� মেয়�, বয়স বারো বছ� হয়ন�, এই অজুহাত� মেয়েক� রেখেদিবে�, না কি শ্বশুর বাড়� পাঠিয়� দিবে� মেয়েক�?
এই সময় থেকে� সত্যবতী� পূর্� রুপে প্রকাশ ঘট� উপন্যাসে�
উপন্যা� টা একটা সময়ের নিখুঁত পূর্� একটা দর্পণ। সে� সময়ের সমাজের সংস্কা� � কুসংস্কা� গুলো ফুটে উঠেছ� এখানে। সাথে সে� সময়� দাঁড়িয়� এক নারী চরিত্রের তীব্� প্রতিবাদ যা সে� সময়� দাঁড়িয়� কল্পনা করাও কঠিন�
September 7, 2019
In rural Bengal in the late 1800s, a wealthy doctor named Ramkali marries off his eight-year old daughter Satyabati ‘Satya�, in a ritual known as gauri-daana. This is nothing unusual; in fact, far from it—it would be outrageous to have Satya unmarried at eight.
Satya, however, is an unusual girl. Feisty and quick-witted, unafraid to speak her mind, she is a girl who grows into an equally strong-willed woman. The way Satya takes charge of her life, insists on breaking the shackles of worn-out custom, embraces education—and yet, does not become a complete non-conformist—is what The First Promise is about. This is a long story, spanning close to forty years in Satya’s life, and with a huge cast of characters, including those of Satya’s sprawling childhood household, those of her husband Nabakumar’s (relatively smaller) household, and sundry others who have an impact on the life of Satya and her immediate family, especially the progressive teacher, Bhabhatosh-Master, and Nabakumar’s cousin Saudamini ‘Sadu�. Plus, of course, there towers over them all, even when he’s not physically present, Satya’s father, Ramkali.
The story follows these people as they marry, die, move from the village to the city, travel. As they change, as they remain the same. As the milieu itself changes.
Besides the fact that the story-telling is top-notch (I have rarely come across such a fat book that had me so deeply engrossed through all of it), there’s the brilliant characterization: Ashapurna Devi’s characters, all the way from Satya herself to Ramkali, from Satya’s timid husband Nabakumar to her shrewish mother-in-law Elokeshi, from Nitai to Suhash to Sadu� they’re all very real people. No-one is out and out villainous (Elokeshi comes close, though!), no-one is a complete paragon. Satya herself, especially in her younger and more immature years, is often too impetuous for her own good.
Equally importantly, Ashapurna Debi brings to life Bengal at an important point in history: when a reform movement, spearheaded by visionaries like Raja Rammohan Roy and Keshab Chandra Sen, was slowly beginning to change society. �Slowly� is the qualifier here, because Debi shows us the usually quaint but sometimes grotesque traditions and customs that were then so deeply entrenched in life that few people could imagine a different way of life: getting rid of this baggage was to take a long time. Casteism, the position of women (and of widows in particular), the stigmas attached to widowhood, to losing caste, to being educated, even: most of these had been tamed to some extent by the time Ashapurna Debi wrote Pratham Pratishruti in the 1960s, but she conjures up a different world, a different set of norms, with consummate skill.
And yes, Indira Chowdhury does a very good job of the translation, as far as I can tell (I haven’t read the original): for one, her English is impeccable, for another, she does not insist on translating every single term. By retaining words for various rituals, foods, and so on, she helps weave a ‘Bengali-ness� into the translation that I loved. (For the sake of convenience, Chowdhury provides a glossary at the end of the book).
A superb book, and highly recommended. Do please also read Chowdhury’s prefaces to the book, because they offer interesting insights into The First Promise. It would be a better idea to read these after you’ve read the book, because they tend to give away part of the plot.
Satya, however, is an unusual girl. Feisty and quick-witted, unafraid to speak her mind, she is a girl who grows into an equally strong-willed woman. The way Satya takes charge of her life, insists on breaking the shackles of worn-out custom, embraces education—and yet, does not become a complete non-conformist—is what The First Promise is about. This is a long story, spanning close to forty years in Satya’s life, and with a huge cast of characters, including those of Satya’s sprawling childhood household, those of her husband Nabakumar’s (relatively smaller) household, and sundry others who have an impact on the life of Satya and her immediate family, especially the progressive teacher, Bhabhatosh-Master, and Nabakumar’s cousin Saudamini ‘Sadu�. Plus, of course, there towers over them all, even when he’s not physically present, Satya’s father, Ramkali.
The story follows these people as they marry, die, move from the village to the city, travel. As they change, as they remain the same. As the milieu itself changes.
Besides the fact that the story-telling is top-notch (I have rarely come across such a fat book that had me so deeply engrossed through all of it), there’s the brilliant characterization: Ashapurna Devi’s characters, all the way from Satya herself to Ramkali, from Satya’s timid husband Nabakumar to her shrewish mother-in-law Elokeshi, from Nitai to Suhash to Sadu� they’re all very real people. No-one is out and out villainous (Elokeshi comes close, though!), no-one is a complete paragon. Satya herself, especially in her younger and more immature years, is often too impetuous for her own good.
Equally importantly, Ashapurna Debi brings to life Bengal at an important point in history: when a reform movement, spearheaded by visionaries like Raja Rammohan Roy and Keshab Chandra Sen, was slowly beginning to change society. �Slowly� is the qualifier here, because Debi shows us the usually quaint but sometimes grotesque traditions and customs that were then so deeply entrenched in life that few people could imagine a different way of life: getting rid of this baggage was to take a long time. Casteism, the position of women (and of widows in particular), the stigmas attached to widowhood, to losing caste, to being educated, even: most of these had been tamed to some extent by the time Ashapurna Debi wrote Pratham Pratishruti in the 1960s, but she conjures up a different world, a different set of norms, with consummate skill.
And yes, Indira Chowdhury does a very good job of the translation, as far as I can tell (I haven’t read the original): for one, her English is impeccable, for another, she does not insist on translating every single term. By retaining words for various rituals, foods, and so on, she helps weave a ‘Bengali-ness� into the translation that I loved. (For the sake of convenience, Chowdhury provides a glossary at the end of the book).
A superb book, and highly recommended. Do please also read Chowdhury’s prefaces to the book, because they offer interesting insights into The First Promise. It would be a better idea to read these after you’ve read the book, because they tend to give away part of the plot.
September 21, 2024
প্রথ� প্রতিশ্রুত� : আশাপূর্ণ� দেবী� 'প্রথ� প্রতিশ্রুত�' বাংল� সাহিত্যে� একটি অন্যতম অনবদ্য এব� গভী� লেখা� এই উপন্যাসট� পারিবারি� বন্ধ�, নারী মুক্তি, এব� সামাজি� কুসংস্কারের� মধ্য� সংঘাতে� এক চিত্� তুলে ধরে।
রামকালী গ্রামে� গণ্যমান্� কবিরাজ এব� সত্যবতী তা� একমাত্� মেয়ে। ছোটোবেলা থেকে� সে খেয়াল করেছ� সবার চেয়� আলাদ� তাঁর সত্যবতী� নিজে� চেষ্টায় সবার চোখে� আড়ালে পড়ত� এব� লিখত� শিখে যায় সত্যবতী অথ� তখনকার সমাজ� মেয়েদের জন্য পড়াশোনা ছিলো মহাপাপ� বইটিতে সত্যবতীকে আগাগোড়া একজন দৃঢ় এব� স্বাধীনচেত� নারী হিসেবে দেখা যায়� সে কখনো� সমাজের প্রচলি� অন্যায� বা কুসংস্কারে� সাথে আপোষ কর� না�
প্রথ� প্রতিশ্রুত�' কেবল একটি উপন্যা� নয�, বর� এট� একটি যাত্রা� সত্যবতীকে অনুসরণ কর� আমরা উপলব্ধ� কর� যে, সত্যিকারের শক্ত� আমাদের নিজেদে� ভিতর� থাকে� আশাপূর্ণ� দেবী� এই কা� আমাদের নারীদে� সামাজি� অবস্থা� � শিক্ষা বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গ� প্রদান করে।
সামগ্রিকভাবে, 'প্রথ� প্রতিশ্রুত�' একটি শক্তিশালী সাহিত্যকর্�, যা না শুধুমাত্� একটি কাহিনী বর্ণনা কর� বর� আমাদের চিন্তা� গভীরে প্রবেশ করতে বাধ্� করে। গল্পের শুরু হয� বাল্যকাল� রামকালী� বাড়� থেকে পালিয়� যাওয়া� মধ্যদিয়� এব� শে� হয� সত্যবতী� প্রথ� প্রতিশ্রুত� ভঙ্গ হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু কী ছিলো সত্যবতী� সে� প্রতিশ্রুত�?
রামকালী গ্রামে� গণ্যমান্� কবিরাজ এব� সত্যবতী তা� একমাত্� মেয়ে। ছোটোবেলা থেকে� সে খেয়াল করেছ� সবার চেয়� আলাদ� তাঁর সত্যবতী� নিজে� চেষ্টায় সবার চোখে� আড়ালে পড়ত� এব� লিখত� শিখে যায় সত্যবতী অথ� তখনকার সমাজ� মেয়েদের জন্য পড়াশোনা ছিলো মহাপাপ� বইটিতে সত্যবতীকে আগাগোড়া একজন দৃঢ় এব� স্বাধীনচেত� নারী হিসেবে দেখা যায়� সে কখনো� সমাজের প্রচলি� অন্যায� বা কুসংস্কারে� সাথে আপোষ কর� না�
প্রথ� প্রতিশ্রুত�' কেবল একটি উপন্যা� নয�, বর� এট� একটি যাত্রা� সত্যবতীকে অনুসরণ কর� আমরা উপলব্ধ� কর� যে, সত্যিকারের শক্ত� আমাদের নিজেদে� ভিতর� থাকে� আশাপূর্ণ� দেবী� এই কা� আমাদের নারীদে� সামাজি� অবস্থা� � শিক্ষা বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গ� প্রদান করে।
সামগ্রিকভাবে, 'প্রথ� প্রতিশ্রুত�' একটি শক্তিশালী সাহিত্যকর্�, যা না শুধুমাত্� একটি কাহিনী বর্ণনা কর� বর� আমাদের চিন্তা� গভীরে প্রবেশ করতে বাধ্� করে। গল্পের শুরু হয� বাল্যকাল� রামকালী� বাড়� থেকে পালিয়� যাওয়া� মধ্যদিয়� এব� শে� হয� সত্যবতী� প্রথ� প্রতিশ্রুত� ভঙ্গ হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু কী ছিলো সত্যবতী� সে� প্রতিশ্রুত�?
December 31, 2023
সবার এই বইটা পড়ে দেখা উচিত!
March 8, 2021
"এত� আল� পৃথিবীতে,তবুও পৃথিবী� মানুষগুল� এত অন্ধকারে কে�?"
তি� প্রজন্মে� কাহিনী� প্রথমট� হল� 'প্রথ� প্রতিশ্রুত�', যা প্রথ� প্রজন্� সত্যবতীকে নিয়ে। প্রায় এক শত� আগের একচেটিয়� পুরুষতান্ত্রিক সমাজ� নারী� স্বাধিকা� অর্জনে� চেষ্টায় প্রায় জীবন উৎসর্গ কর� সত্যবতী� জন্ম, শৈশব � পরবর্তী জীবন নিয়� এই উপন্যাস।
বইটা পড়ে যে কত বেশি মুগ্� হয়েছি, তা লিখে বোঝাতে পারব� না� সুখপাঠ্য তো বটেই! সে� সাথে গল্পের গাঁথুন� অসম্ভব সুন্দর আর এত প্রাঞ্জল প্রতিট� ঘটনা! আর লেখনী� জোরে গল্পের চরিত্র � ঘটনা শুধুমাত্� বই এর পাতায় বন্দী না থেকে একদম চোখে� সামন� জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সেকালে� বাংলার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সমাজব্যবস্থা এব� অন্দরমহলের জীবন, মেয়েদের প্রতিনিয়ত সম্মুখী� হত� হওয়� সমস্� প্রতিকূলতা� যে অতুলনীয় চিত্� লেখিকা পরিবেশ� করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়�
এট� সত্যের গল্প� অপ্রতিরোধ্�, দুর্দমনীয়, নির্ভী�, স্নেহপরায়�, অদম্� ইচ্ছাশক্তি আর আত্ববিশ্বাসী একজন নারী� গল্প� সত্য ছো� বেলা থেকে� সবার থেকে আলাদ�, ছোট্� সত্যের মন� অনেক প্রশ্ন� এই পৃথিবীতে মেয়েমানুষ যদ� এত� ফেলনাই হব� তব� এত� যত্ন� বিধাতা গড়ে� কে� মেয়েমানুষ? পুরুষমানুষ নিজে� বউয়ের গায়� হা� তুলে কেনই বা পরদি� সে� মারে� দাগে� উপ� ভালোবাসায় হা� বুলাতো? কিংব� সংসারে সতী� আস� যদ� স্বাভাবি� হয�, সতী� যদ� বোনে� মতোই হয� তব� এই সতী� কাটা তোলা� পুজো� বা এল� কোত্থেকে? সত্যবতী� সত্য সন্ধান, চলাফের� তাকে তা� যু� অসামাজিক, অযোগ্য, অযৌক্তিক বল� আখ্য� দেয় � সত্যকে বোঝা� মত� মানু� খু� কমই। তা� সত্য তাঁর সত্যানুন্ধান চালিয়� যায়� তাঁর ভাবনাচিন্তার জগ� সম্পূর্ণ আলাদা। সত্যবতী� জীবনের আদর্� ছি� তাঁর বাবা� তাঁর চারিত্রি� দৃঢ়তা, সাহসী চিন্তা ভাবন�, জেদী মনোভাব, সবকিছুতে� তাঁর বাবা� নীরব সমর্থন ছিল। মেয়ের বিচা�-বিবেচনার ক্ষমতা দেখে তাঁক� রামাকালী বে� সমীহই করতে�, চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখুক। তবুও এই সমাজের নিয়মে� বেড়াজাল� আটকে পড়ে মাত্� �'বছ� বয়সেই শ্বশুরবাড়িত� চল� আস� সত্য� ভিন্� এক জীবনের শুরু, নতুন নতুন দায়িত্ব, নতুন সম্পর্ক। শ্বশুরবাড়ির মানুষজনে� সাথে সত্যের প্রায়� ঝামেলা বাঁধতো� সত্যের দো�? সে তো নারী স্বাধীনত� খুঁজছিল।
সে� সত্যবতী� সবচেয়� বড� পরাজয় ছিলো মেয়� সূবর্নলতার বিয়ে। যেটা ছি� স্বামী নবকুমা� আর শাশুড়� এলাকেশী� সত্যবতী� প্রত� প্রতিশোধ! উপন্যাসে� শেষট� মনমত� হয়নি। কে� সত্য সুবর্ণকে ফিরিয়� আনলো না? কোথায় গেলনবকুমারকে ধর� দুটো চড� মারত� ইচ্ছ� করছিল। সত্যবতী� স্তম্ভিত হয়ে নীরব হাহাকা� খু� কষ্ট দিচ্ছিল।
আসলে এই গল্প শুধু সত্য'� নয়। এই গল্প সুহাসে�, এই গল্প মোক্ষদার, ভুবনেশ্বরী�, সদুর, এমনক� এলোকেশীরও! � গল্প সব মেয়েদের� এই গল্পটি এত আলোর পৃথিবীতে অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোর� বটে। আজ� কি আমাদের সমাজ� নারীদে� অন্তঃপুরের অবস্থা� আর মানসিকতা� মধ্য� খু� বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে?
সত্যের সারাটি জীবন কেটে গিয়েছিল� অদ্ভুত এই সমাজের প্রত্যেকটা নিয়মক� যুক্তি দিয়� প্রশ্ন করতে করতে� কিন্তু সে কি তাঁর প্রশ্নগুলো� উত্ত� পেয়েছিল?
তি� প্রজন্মে� কাহিনী� প্রথমট� হল� 'প্রথ� প্রতিশ্রুত�', যা প্রথ� প্রজন্� সত্যবতীকে নিয়ে। প্রায় এক শত� আগের একচেটিয়� পুরুষতান্ত্রিক সমাজ� নারী� স্বাধিকা� অর্জনে� চেষ্টায় প্রায় জীবন উৎসর্গ কর� সত্যবতী� জন্ম, শৈশব � পরবর্তী জীবন নিয়� এই উপন্যাস।
বইটা পড়ে যে কত বেশি মুগ্� হয়েছি, তা লিখে বোঝাতে পারব� না� সুখপাঠ্য তো বটেই! সে� সাথে গল্পের গাঁথুন� অসম্ভব সুন্দর আর এত প্রাঞ্জল প্রতিট� ঘটনা! আর লেখনী� জোরে গল্পের চরিত্র � ঘটনা শুধুমাত্� বই এর পাতায় বন্দী না থেকে একদম চোখে� সামন� জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সেকালে� বাংলার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সমাজব্যবস্থা এব� অন্দরমহলের জীবন, মেয়েদের প্রতিনিয়ত সম্মুখী� হত� হওয়� সমস্� প্রতিকূলতা� যে অতুলনীয় চিত্� লেখিকা পরিবেশ� করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়�
এট� সত্যের গল্প� অপ্রতিরোধ্�, দুর্দমনীয়, নির্ভী�, স্নেহপরায়�, অদম্� ইচ্ছাশক্তি আর আত্ববিশ্বাসী একজন নারী� গল্প� সত্য ছো� বেলা থেকে� সবার থেকে আলাদ�, ছোট্� সত্যের মন� অনেক প্রশ্ন� এই পৃথিবীতে মেয়েমানুষ যদ� এত� ফেলনাই হব� তব� এত� যত্ন� বিধাতা গড়ে� কে� মেয়েমানুষ? পুরুষমানুষ নিজে� বউয়ের গায়� হা� তুলে কেনই বা পরদি� সে� মারে� দাগে� উপ� ভালোবাসায় হা� বুলাতো? কিংব� সংসারে সতী� আস� যদ� স্বাভাবি� হয�, সতী� যদ� বোনে� মতোই হয� তব� এই সতী� কাটা তোলা� পুজো� বা এল� কোত্থেকে? সত্যবতী� সত্য সন্ধান, চলাফের� তাকে তা� যু� অসামাজিক, অযোগ্য, অযৌক্তিক বল� আখ্য� দেয় � সত্যকে বোঝা� মত� মানু� খু� কমই। তা� সত্য তাঁর সত্যানুন্ধান চালিয়� যায়� তাঁর ভাবনাচিন্তার জগ� সম্পূর্ণ আলাদা। সত্যবতী� জীবনের আদর্� ছি� তাঁর বাবা� তাঁর চারিত্রি� দৃঢ়তা, সাহসী চিন্তা ভাবন�, জেদী মনোভাব, সবকিছুতে� তাঁর বাবা� নীরব সমর্থন ছিল। মেয়ের বিচা�-বিবেচনার ক্ষমতা দেখে তাঁক� রামাকালী বে� সমীহই করতে�, চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখুক। তবুও এই সমাজের নিয়মে� বেড়াজাল� আটকে পড়ে মাত্� �'বছ� বয়সেই শ্বশুরবাড়িত� চল� আস� সত্য� ভিন্� এক জীবনের শুরু, নতুন নতুন দায়িত্ব, নতুন সম্পর্ক। শ্বশুরবাড়ির মানুষজনে� সাথে সত্যের প্রায়� ঝামেলা বাঁধতো� সত্যের দো�? সে তো নারী স্বাধীনত� খুঁজছিল।
সে� সত্যবতী� সবচেয়� বড� পরাজয় ছিলো মেয়� সূবর্নলতার বিয়ে। যেটা ছি� স্বামী নবকুমা� আর শাশুড়� এলাকেশী� সত্যবতী� প্রত� প্রতিশোধ! উপন্যাসে� শেষট� মনমত� হয়নি। কে� সত্য সুবর্ণকে ফিরিয়� আনলো না? কোথায় গেলনবকুমারকে ধর� দুটো চড� মারত� ইচ্ছ� করছিল। সত্যবতী� স্তম্ভিত হয়ে নীরব হাহাকা� খু� কষ্ট দিচ্ছিল।
আসলে এই গল্প শুধু সত্য'� নয়। এই গল্প সুহাসে�, এই গল্প মোক্ষদার, ভুবনেশ্বরী�, সদুর, এমনক� এলোকেশীরও! � গল্প সব মেয়েদের� এই গল্পটি এত আলোর পৃথিবীতে অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোর� বটে। আজ� কি আমাদের সমাজ� নারীদে� অন্তঃপুরের অবস্থা� আর মানসিকতা� মধ্য� খু� বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে?
সত্যের সারাটি জীবন কেটে গিয়েছিল� অদ্ভুত এই সমাজের প্রত্যেকটা নিয়মক� যুক্তি দিয়� প্রশ্ন করতে করতে� কিন্তু সে কি তাঁর প্রশ্নগুলো� উত্ত� পেয়েছিল?
November 2, 2019
পুরো উপন্যাসট� পড়ে একটা কথাই মন� হচ্ছিল� আমার মা যদ� সত্যবতী� মত হত!
সত্যবতী� গল্প কয়েকশ বছরে� পুরোন। কিন্তু সে� সমাজ টা কি আদ� পুরো�?
সত্যবতী নে� এখ� হয়ত, কিন্তু রয়ে গেছে এলোকেশীরা...
সৌদামিনী, ভাবিনী, ভূবনেশ্বরী এর� এখনো বেঁচ� থেকে� মর� যাচ্ছে প্রতিদিন�
আর পরবর্তী প্রজন্মে� জন্য রেখে যাচ্ছে সুবর্নলত�-দের। জানিনা কি হব� সুবর্নলতার।।
হয়ত তা� মায়ের মত� হব�, কিন্তু কিভাবে হব�? মায়ের কা� থেকে কিছু শিখে নেয়ার আগেইতো এলোকেশীদে� হাতে জীবন্মৃত হত� হল�
সত্যবতী� কথায� আমার আর� একজনের কথ� মন� পড়ে...
সে যে� ভবিষ্যতে সত্যবতী হয়ে উঠ�!
কো� এলোকেশী� পাঁক� যে� বাঁধ� না পড়ে�
সত্যবতী� গল্প কয়েকশ বছরে� পুরোন। কিন্তু সে� সমাজ টা কি আদ� পুরো�?
সত্যবতী নে� এখ� হয়ত, কিন্তু রয়ে গেছে এলোকেশীরা...
সৌদামিনী, ভাবিনী, ভূবনেশ্বরী এর� এখনো বেঁচ� থেকে� মর� যাচ্ছে প্রতিদিন�
আর পরবর্তী প্রজন্মে� জন্য রেখে যাচ্ছে সুবর্নলত�-দের। জানিনা কি হব� সুবর্নলতার।।
হয়ত তা� মায়ের মত� হব�, কিন্তু কিভাবে হব�? মায়ের কা� থেকে কিছু শিখে নেয়ার আগেইতো এলোকেশীদে� হাতে জীবন্মৃত হত� হল�
সত্যবতী� কথায� আমার আর� একজনের কথ� মন� পড়ে...
সে যে� ভবিষ্যতে সত্যবতী হয়ে উঠ�!
কো� এলোকেশী� পাঁক� যে� বাঁধ� না পড়ে�
August 5, 2011
Every woman need to read it.
December 22, 2018
আশাপূর্ণ� দেবী� অন্যত� অনবদ্য সৃষ্টি , পড়া� পর � রে� থেকে যায় অনেক সময় ধর�
July 14, 2021
মোটামুটি দৌড়� শে� হয়ে গে� বইটা কিভাবে যেন। শেষট� আরেকটু তাড়িয়ে পড়া� ইচ্ছ� ছি� তব� নেশা� ঘোরে যে� ছাড়তে পারলাম না�
পড়ছিলাম আর শিউর� উঠছিলাম। এত গল� টিপে শ্বাসরোধ কর� একটা সমাজ� কে� কিভাবে বাঁচ� তা চিন্তা করে। পদ� পদ� আচার-নিরাচারে� শেকল� মেয়� হয়ে জন্মান� যেখানে আজন্� পাপ। তা� চেয়েও বড� পা� চিন্তা করতে শেখা� আবার থেমে থেমে ভাবছিলাম, মেয়েদের চিন্তা� পরিস� হয়ত� অনেক অনেক বেড়েছ�, কিন্তু বাইরের খাঁচাট� সে তুলনায� খু� কি? এখনো কি সত্যবতী� মত একটা মেয়েক� সমাজ খু� সহজে গ্রহ� করতে পারে? অসামান্য বুকে� পাটা আর সৎসাহস মেয়েদের জন্য দো� নয� গু� বল� মন� কর�?
পড়ত� পড়ত� সমরেশে� দীপাবলির কথ� বারবার মন� হচ্ছিল যদিও দু� চরিত্রের সময়কালে� বিস্তর তফাত� হয়তোব� � ধরনে� চরিত্র আমার কম পড়া হয়েছে তাই। দীপাবলিক� আম� যতটা চেয়েছ� ততটা পছন্� করতে পারিনি কখনই� বরাবরই বড্ড সাদাকালো চিন্তাভাবনার পাথরহৃদয� লাগতো। সত্যবতী� প্রত� বারংবা� � অভিযোগ সত্বেও তাকে তেমনটা লাগেনি� প্রতিবাদ করার ধরনে� যে বয়সের সাথে পরিপক্কত� আস� � ব্যপারটা� বে� সুন্দর কর� এগিয়েছে� মুখে মুখে উচিত কথ� শুনিয়� দেওয়া� অংশগুলোয� যত� পৈশাচি� আনন্� হো�, হট্টগোলে শক্ত� কম খর� কর� আস� কাজে� জন্য তুলে রাখা� বুদ্ধি� পরিপক্কতা। বাংল� সাহিত্যে� সবচেয়� পছন্দে� একটা চরিত্র পেয়� গেলাম। বহুদিন মাথা জুড়� থাকব� সত্যবতী� আর খোঁজ পেলা� আশাপূর্ণ� দেবী� ঝরঝর� সাবলী� গল্পবলিয়ে ক্ষমতার।
ট্রিওলজি� পরের বই সুবর্ণলত� পড়া� জন্য অধী� আগ্রহে অপেক্ষ� করছি
পড়ছিলাম আর শিউর� উঠছিলাম। এত গল� টিপে শ্বাসরোধ কর� একটা সমাজ� কে� কিভাবে বাঁচ� তা চিন্তা করে। পদ� পদ� আচার-নিরাচারে� শেকল� মেয়� হয়ে জন্মান� যেখানে আজন্� পাপ। তা� চেয়েও বড� পা� চিন্তা করতে শেখা� আবার থেমে থেমে ভাবছিলাম, মেয়েদের চিন্তা� পরিস� হয়ত� অনেক অনেক বেড়েছ�, কিন্তু বাইরের খাঁচাট� সে তুলনায� খু� কি? এখনো কি সত্যবতী� মত একটা মেয়েক� সমাজ খু� সহজে গ্রহ� করতে পারে? অসামান্য বুকে� পাটা আর সৎসাহস মেয়েদের জন্য দো� নয� গু� বল� মন� কর�?
পড়ত� পড়ত� সমরেশে� দীপাবলির কথ� বারবার মন� হচ্ছিল যদিও দু� চরিত্রের সময়কালে� বিস্তর তফাত� হয়তোব� � ধরনে� চরিত্র আমার কম পড়া হয়েছে তাই। দীপাবলিক� আম� যতটা চেয়েছ� ততটা পছন্� করতে পারিনি কখনই� বরাবরই বড্ড সাদাকালো চিন্তাভাবনার পাথরহৃদয� লাগতো। সত্যবতী� প্রত� বারংবা� � অভিযোগ সত্বেও তাকে তেমনটা লাগেনি� প্রতিবাদ করার ধরনে� যে বয়সের সাথে পরিপক্কত� আস� � ব্যপারটা� বে� সুন্দর কর� এগিয়েছে� মুখে মুখে উচিত কথ� শুনিয়� দেওয়া� অংশগুলোয� যত� পৈশাচি� আনন্� হো�, হট্টগোলে শক্ত� কম খর� কর� আস� কাজে� জন্য তুলে রাখা� বুদ্ধি� পরিপক্কতা। বাংল� সাহিত্যে� সবচেয়� পছন্দে� একটা চরিত্র পেয়� গেলাম। বহুদিন মাথা জুড়� থাকব� সত্যবতী� আর খোঁজ পেলা� আশাপূর্ণ� দেবী� ঝরঝর� সাবলী� গল্পবলিয়ে ক্ষমতার।
ট্রিওলজি� পরের বই সুবর্ণলত� পড়া� জন্য অধী� আগ্রহে অপেক্ষ� করছি
July 28, 2020
বইটি পড়া শে� হওয়ার পর একটি কথ� মন� হয�-জন্মের সময় মেয়� মানু� একটি শিকল পায়� জন্মায�-আর প্রতিদিন � শিকল� একটি কর� আংটা বাড়তে থাকে।নিয়মের আংটা, কুসংস্কারে� আংটা,দায়িত্বের আংটা, মেয়� হয়ে জন্মানোর দোষে� আংটা -আর� কত�!!
জানি এই বই পঞ্চাশের দশকে� গোঁড়া রক্ষণশী� সমাজকে নিয়� লেখা,কিন্তু কোথা� যেনো মি� থেকে গেছে এখনো�
রামকালী চরিত্রটি মুগ্� করেছ� প্রথমেই। হয়ত� কুসংস্কা� সম্পুর্ণ ছাড়তে পারেনন� সমাজের দোষে-কিন্তু সত্যের সাথে তাঁর আচরণ, বিভিন্� কাজেকর্ম� উনার দূরদর্শিতা মুগ্� করেছে।
আর সত্যবতী! সত্যবতী!! কো� দুঃখ� এত� জো� গল� আর ভিন্� দৃষ্টি নিয়� জন্মেছিল� তুমি!তোমা� হওয়ার কথ� ছিলো সমাজের পুতু�,মেয়েত�!কিন্তু তুমি কিনা তেজস্বিনী হল�!তুমি কিনা ভাবত� শিখল�!এত� সাহস তোমা�! অন্যের সু� খুঁজেছ�,অন্যের দুঃখ� পানি ফেলেছো!কি পেয়েছ� বদলে!সারাজীবন অপমা�!আপ� হল� না কে�!তোমা� ওই চিংড়ি স্বামী� কথ� না তোলায় ভালো।কিন্ত� সন্তানগুলো� যেনো তোমা� আল� পেলো না!
''এত� আল� পৃথিবীতে তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কেনো?''
জানি এই বই পঞ্চাশের দশকে� গোঁড়া রক্ষণশী� সমাজকে নিয়� লেখা,কিন্তু কোথা� যেনো মি� থেকে গেছে এখনো�
রামকালী চরিত্রটি মুগ্� করেছ� প্রথমেই। হয়ত� কুসংস্কা� সম্পুর্ণ ছাড়তে পারেনন� সমাজের দোষে-কিন্তু সত্যের সাথে তাঁর আচরণ, বিভিন্� কাজেকর্ম� উনার দূরদর্শিতা মুগ্� করেছে।
আর সত্যবতী! সত্যবতী!! কো� দুঃখ� এত� জো� গল� আর ভিন্� দৃষ্টি নিয়� জন্মেছিল� তুমি!তোমা� হওয়ার কথ� ছিলো সমাজের পুতু�,মেয়েত�!কিন্তু তুমি কিনা তেজস্বিনী হল�!তুমি কিনা ভাবত� শিখল�!এত� সাহস তোমা�! অন্যের সু� খুঁজেছ�,অন্যের দুঃখ� পানি ফেলেছো!কি পেয়েছ� বদলে!সারাজীবন অপমা�!আপ� হল� না কে�!তোমা� ওই চিংড়ি স্বামী� কথ� না তোলায় ভালো।কিন্ত� সন্তানগুলো� যেনো তোমা� আল� পেলো না!
''এত� আল� পৃথিবীতে তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কেনো?''
March 13, 2019
প্রথ� প্রতিশ্রুত�
আশাপূর্ণ� দেবী
প্রকাশনী : মিত্� � ঘো� পাবলিশার্স�
মূল্�: ৩০� ইন্ডিয়া� রুপি ( মুদ্রি� মূল্�)
মো� পৃষ্টা : ৫০�
ইংরেজদের রাজত্ব� হিন্দু সমাজের এক অদ্ভুত রু� অসী� দক্ষতায় এব� মজাদার কর� ফুটিয়� তুলেছে� লেখিকা� সে� সময়� সে� সমাজ� কেমন ছিলে� নারীরা, কেমন� বা ছিলো তাদে� জীবন যাত্রা, কেমন ভাবে� তাদে� ট্রি� কর� হত�? প্রশ্নের উত্ত� জানত� হল� অবশ্যই পড়ত� হব� আশাপূর্ণ� দেবী� ট্রিলজ�, এই ট্রিলজির - প্রথ� বই, প্রথ� প্রতিশ্রুত�, দ্বিতীয় বই সুবর্ণলত�, তৃতীয় বই বকুল কথা।
যাইহোক প্রথ� প্রতিশ্রুত� পুরাটা জুড়েই আছ� সত্যবতী বা এট� সত্যের গল্প� সত্য ছো� বেলা থেকে� সবার থেকে আলাদ�, সাহস� বলিয়া� এব� সবসময় অত্যাচারিত দলের পক্ষের লোক। বাবা রামকালী � মেয়ের বিচা� বিবেচন� আর সর� কিন্তু নির্ভি� প্রশ্নের জন্য মেয়েক� সমী� করেন� রামকালী কবিরাজ গ্রামে� মাথা এব� সমাজ সেবক � বট�! সে� সমাজের প্রথ� বা ধর্ম রক্ষার পন্থ� ছিলো মেয়েক� খু� ছো� বয়সেই পাত্রস্থ কর�! সত্যের বাবা� তা� করেছিলেন কিন্তু উন� প্রথার বিরুদ্ধে গিয়েও চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখু� যেহেতু � বিরল প্রতিভ� এট� উন� উপলব্ধ� করেছিলেন! কিন্তু ঝাঁকড়� কোঁকড়ান� চুলে� আর জোড়� ভুরু� মায়াবী চোখে� মালকিনকে খু� অল্প বয়সেই যেতে হয� শ্বশুর বাড়� যা সে� সময়� মেয়েদের কাছে ছিলো নরকে� দ্বিতীয় নাম। সত্য তা� প্রথ� বিরুদ্� আচার আচরণ দিয়� কি পেরেছিলো সে� সময়ের নারীদে� পথ দেখাতে?
যখ� কো� পথ থাকেনা কো� প্রত্যন্� অঞ্চলে তখ� কো� একজন মানু� পথ বানিয়� গন্তব্� উন্মুক্ত করেন বাকি মানুষদের জন্য, সত্য � তেমন চেষ্টা করেছিল� তা� সমগোত্রে� মানুষদের জন্য! মেয়� মানু� � যে মানু� তা প্রমাণ করার জন্য সত্য তা� জীবনের প্রতিট� ধা� রেখেছে�
আমার কথ�: খুবই সুখপাঠ্য! এত সুন্দর গল্পের বাঁধুন� আর এত প্রাঞ্জল ঘটনা� বিবর� মুগ্� করেছ� আমাকে।
আমার রেটি� : �.৯০/�
আশাপূর্ণ� দেবী
প্রকাশনী : মিত্� � ঘো� পাবলিশার্স�
মূল্�: ৩০� ইন্ডিয়া� রুপি ( মুদ্রি� মূল্�)
মো� পৃষ্টা : ৫০�
ইংরেজদের রাজত্ব� হিন্দু সমাজের এক অদ্ভুত রু� অসী� দক্ষতায় এব� মজাদার কর� ফুটিয়� তুলেছে� লেখিকা� সে� সময়� সে� সমাজ� কেমন ছিলে� নারীরা, কেমন� বা ছিলো তাদে� জীবন যাত্রা, কেমন ভাবে� তাদে� ট্রি� কর� হত�? প্রশ্নের উত্ত� জানত� হল� অবশ্যই পড়ত� হব� আশাপূর্ণ� দেবী� ট্রিলজ�, এই ট্রিলজির - প্রথ� বই, প্রথ� প্রতিশ্রুত�, দ্বিতীয় বই সুবর্ণলত�, তৃতীয় বই বকুল কথা।
যাইহোক প্রথ� প্রতিশ্রুত� পুরাটা জুড়েই আছ� সত্যবতী বা এট� সত্যের গল্প� সত্য ছো� বেলা থেকে� সবার থেকে আলাদ�, সাহস� বলিয়া� এব� সবসময় অত্যাচারিত দলের পক্ষের লোক। বাবা রামকালী � মেয়ের বিচা� বিবেচন� আর সর� কিন্তু নির্ভি� প্রশ্নের জন্য মেয়েক� সমী� করেন� রামকালী কবিরাজ গ্রামে� মাথা এব� সমাজ সেবক � বট�! সে� সমাজের প্রথ� বা ধর্ম রক্ষার পন্থ� ছিলো মেয়েক� খু� ছো� বয়সেই পাত্রস্থ কর�! সত্যের বাবা� তা� করেছিলেন কিন্তু উন� প্রথার বিরুদ্ধে গিয়েও চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখু� যেহেতু � বিরল প্রতিভ� এট� উন� উপলব্ধ� করেছিলেন! কিন্তু ঝাঁকড়� কোঁকড়ান� চুলে� আর জোড়� ভুরু� মায়াবী চোখে� মালকিনকে খু� অল্প বয়সেই যেতে হয� শ্বশুর বাড়� যা সে� সময়� মেয়েদের কাছে ছিলো নরকে� দ্বিতীয় নাম। সত্য তা� প্রথ� বিরুদ্� আচার আচরণ দিয়� কি পেরেছিলো সে� সময়ের নারীদে� পথ দেখাতে?
যখ� কো� পথ থাকেনা কো� প্রত্যন্� অঞ্চলে তখ� কো� একজন মানু� পথ বানিয়� গন্তব্� উন্মুক্ত করেন বাকি মানুষদের জন্য, সত্য � তেমন চেষ্টা করেছিল� তা� সমগোত্রে� মানুষদের জন্য! মেয়� মানু� � যে মানু� তা প্রমাণ করার জন্য সত্য তা� জীবনের প্রতিট� ধা� রেখেছে�
আমার কথ�: খুবই সুখপাঠ্য! এত সুন্দর গল্পের বাঁধুন� আর এত প্রাঞ্জল ঘটনা� বিবর� মুগ্� করেছ� আমাকে।
আমার রেটি� : �.৯০/�
March 16, 2016
What a book!! What a great author!!
My salutations to 'Ashapurna Devi', Boss you are incomparable, for me she is the BEST Bengali author ever for fiction.
The writing style, the granularity, the characterizations, the clarity, the consistency-- all of it come alive with such a great force, that the seasoned reader is overwhelemed!
After this I continued reading her other books (Subarnalatha & Bakul Katha- both Hindi translations) & I was ever-amazed to see that her grip as a story-teller never slackens, not even dips anywhere, it just keeps soaring higher & higher.
For all the afficiadoes of Indian-society observers, the Indologists who want to get viggnettes of the collective lives of Indian women for almost a century, here is a chance.
Her three books starting from 'Pratham Pratishruti' 1850's India's village to 1950's Independent nation, captures the turmoils & traivails of women in all her beauty & constraints.
A must read for all Indians. Avilable in Bengali, Hindi & English.
My salutations to 'Ashapurna Devi', Boss you are incomparable, for me she is the BEST Bengali author ever for fiction.
The writing style, the granularity, the characterizations, the clarity, the consistency-- all of it come alive with such a great force, that the seasoned reader is overwhelemed!
After this I continued reading her other books (Subarnalatha & Bakul Katha- both Hindi translations) & I was ever-amazed to see that her grip as a story-teller never slackens, not even dips anywhere, it just keeps soaring higher & higher.
For all the afficiadoes of Indian-society observers, the Indologists who want to get viggnettes of the collective lives of Indian women for almost a century, here is a chance.
Her three books starting from 'Pratham Pratishruti' 1850's India's village to 1950's Independent nation, captures the turmoils & traivails of women in all her beauty & constraints.
A must read for all Indians. Avilable in Bengali, Hindi & English.
August 3, 2016
Having read the Malayalam translation of 'Pratham Prathishruthi' i dearly miss not having known Bengali..!
The translation is awesome..but to think there always are things lost in translation makes this one even more inspiring a book to reach out for..and the depth of Bengali literature should definitely at par or even more than Malayalam!
Moving on to the rest of the trilogy " Suvarnalatha" n "Bakul Katha" offers a brighter vision of the transformation of bengali culture, society and the life of women. The chord we strike with the characters does give this an universal appeal..and is a must read!
Ps : Someday,if it be..this book-set will top the giftlist for my daughter! :)
The translation is awesome..but to think there always are things lost in translation makes this one even more inspiring a book to reach out for..and the depth of Bengali literature should definitely at par or even more than Malayalam!
Moving on to the rest of the trilogy " Suvarnalatha" n "Bakul Katha" offers a brighter vision of the transformation of bengali culture, society and the life of women. The chord we strike with the characters does give this an universal appeal..and is a must read!
Ps : Someday,if it be..this book-set will top the giftlist for my daughter! :)
May 29, 2017
বেশিইই অস্থির একটা বই� সাধারণ� আমার সাজেস্� কর� বই অনেকেই পড়ত� চায় না � তাদে� লজিক- দুনিয়ায� খু� কম বই� আছ� যা আমার অপছন্দের অথবা পড়ত� যেয়� বিরক্ত হয়েছি� যা হো�, আম� প্রথমে এই ট্রিলজ� সম্পর্কে জানতাম না� খু� স্বাভাবিকভাবেই শুরু কর� সুবর্ণলত� দিয়ে। সুবর্ণলত� পড়ত� যেয়েই জানা প্রথ� প্রতিশ্রুত� সম্পর্কে�
শুধু একটা মন্তব্যই হব�- মাস্� রি� বুক।
ট্রিলজির বিখ্যা� বইয়ের বিখ্যা� চরিত্র- সুবর্নলত� যে কে� সুবর্নলত� আর কিভাবে সুবর্নলত� সেটা প্রথ� প্রতিশ্রুতির সত্যবতীকে জানা না থাকল� কল্পনা কর� দুষ্কর� আর সত্যের চরিত্রের দৃঢ়তা? সেটা� জানা যায় � বই থেকেই। সত্য আর সুবর্ন� মাঝে বেশি ভা� লেগেছে সত্যকে�...
সত্য... তা� নামে� মতোই ধ্রু� এক চরিত্র �
শুধু একটা মন্তব্যই হব�- মাস্� রি� বুক।
ট্রিলজির বিখ্যা� বইয়ের বিখ্যা� চরিত্র- সুবর্নলত� যে কে� সুবর্নলত� আর কিভাবে সুবর্নলত� সেটা প্রথ� প্রতিশ্রুতির সত্যবতীকে জানা না থাকল� কল্পনা কর� দুষ্কর� আর সত্যের চরিত্রের দৃঢ়তা? সেটা� জানা যায় � বই থেকেই। সত্য আর সুবর্ন� মাঝে বেশি ভা� লেগেছে সত্যকে�...
সত্য... তা� নামে� মতোই ধ্রু� এক চরিত্র �
November 30, 2016
প্রথ� প্রতিশ্রুত� নামট� দেখে� সে� সদ্য টী� এজ লাইফের কথ� মন� পড়ে গেল। আশাপূর্ন� দেবী� সাথে এই প্রথ� পরিচয় � বই শে� হয়েছে ঠিকই কিন্তু মত্বিষ্ক� রে� রয়েগেছে ঠিকই � ইদানিং আর রিভি� লিখত� ভা� লাগে না �
আমার সত্যবতী� জন্য� একটি লাইন না লিখল� নয� "এত� আল� পৃথিবীতে, তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কে�?"
আমার সত্যবতী� জন্য� একটি লাইন না লিখল� নয� "এত� আল� পৃথিবীতে, তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত� অন্ধকারে কে�?"
August 21, 2017
মানু� বলতে আমরা কি বুঝি? মানুষে� ইংলি� কি হব�? Man নাকি Human!
যদিও হওয়� উচিত Human কিন্তু আমরা মানু� বলতে Man বুঝি� অর্থাৎ পুরুষ। আমরা না বুঝলেও একটা সময় ছিলো যখ� নারীদে� মানুষে� কাতারে ফেলা হত� না� তারা ছিলো দ্বাসী� হাজা� বছ� ধর� চল� আস� এই সমাজ ব্যাবস্থায� নারী� ভুলে গিয়েছিল� তাদে� পরিচয়� মনগড়া ধর্মীয় � সামাজি� নিয়মে� বেড়াজাল নারীকে গৃহপালিত পশুর চেয়� বেশি সম্মান দেওয়া হয� নাই। কে� হয়ত এট� থেকে পরিত্রাণের পথ� খোজে নাই। কারন এটাই ছিলো প্রচলি� সমাজব্যবস্থা� এই সময়টাকে� লেখিকা আশাপূর্ণ� দেবী তা� ক্ষুরধার লেখনীতে তুলে এনেছেন�
একটা অন্যায� অনির্দিষ্ট কা� চলতে পারে না� একসময় সেটা� অবসা� ঘটে। সে� অবসা� ঘট� বা পরিবর্তনের সুচন� হয� কিছু বিশে� মানুষে� হা� ধরে। এর� সমাজ� আসেন পর� পাথর হয়ে� তেমন� এক চরিত্র সত্যবতী� গ্রামে� সম্ভ্রান্ত � প্রতাপশালী ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজের একমাত্� মেয়� সত্যবতী� আট বছ� বয়স� সত্যবতীকে বিয়� দিয়� গৌরীদা� সম্পন্� করলে� পিতা রামকালী� বয়সের কারন� বিয়ের পর� কয়েকবছর বাপে� বাড়িতেই থাকল� সত্যবতী� পিতা� রাখা নামে� সত্যতা প্রমান করলো তা� কর্মকান্� দিয়ে। মাত্� ১১ বছ� বয়সেই সমাজ � পরিবারের নির্মম সত্যগুলো চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে লাগল� সত্যবতী� পিতা রামকালী কোনোদি� অন্যায়ে� সাথে আপোস করেননি� পিতা� এই আপোসহী�, একরোখা স্বভাবটি খু� ভালোভাবে� অর্জ� করেছিল� সত্য� হয়ত পিতা� চেয়� কিছুটা বেশি� এজন্যই তো গ্রামে� মাথা� মুকু� রামকালী সবার উপরে প্রভাব বিস্তা� কর� চললে� পারতেন না নিজে� এগার� বছরে� মেয়ের সাথে� মেয়ের প্রশ্নবা� তাকে বিদ্� করতো� তা� ছোট্� মেয়েটিই তাকে চোখে আঙুল দিয়� সমাজের দগদগ� ক্ষতগুলো দেখিয়� দিতো� সময়ের পরিক্রমায় এক সময় সত্য শ্বশুরবাড়� গেলো� নতুন এক পরিবেশ� এস� পড়ল� সত্য� একদিকে নির্লজ্জ, লোভি শ্বাশুরী; অপরদিক� বেহায়� চরিত্রহী� শ্বশুর� তব� জামাইট� সত্য� ভালো ছিলো� ভালো বল� ঠি� না, মন্দের ভালো� নিজে� স্ত্রী� সাথে মায়ের ঝগড়� দেখে যে বাড়� ছেড়� পালায় তাকে কি বল� যায়! তব� সত্য� জন্য এই গোবেচারা স্বামী� ঠি� ছিলো� এজন্যই তো সত্য তাকে ভেঙেচুড়� আবার গড়ত� পেরেছে� কিন্তু পুরোপুরি নিজে� মত কি গড়ত� পেরেছিলো? সে প্রশ্ন নাহয� তোলা থাক।
সময়ের সাথে সাথে সত্যবতী কন্য� থেকে স্ত্রী, স্ত্রী থেকে মা হলো। সমাজকে বুড়� আঙুল দেখিয়� স্বামী-সন্তান নিয়� কলকাতা চল� গেলো সন্তানদে� শিক্ষি� করার জন্য� সেখানে গিয়েও সমাজের পৈশাচিকতাক� পা� কাটাতে পারেনি� গ্রামী� সমাজ থেকে পতিত শঙ্করী শহরে এস� বিয়� কর� সুখি হত� চাইলেও না পেরে আত্মহুতি দেয়� শঙ্করী� মেয়� সুহাসক� নিজে� হাতে ভেঙে নতুন কর� গড়ে তোলে সত্য� অবশেষে আবার গর্ভবতী হয� সত্য� জন্ম হয� সুবর্ণলতার� নিজে� ভিতর� থাকা সত্বাক� দু� ছেলে� মধ্য� না পেয়� শে� পর্যন্� মেয়� সুবর্ণলতাক� নিয়� স্বপ্ন দেখে সত্য� স্বপ্ন দেখে একদি� এই সমাজের অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙে যাবে� প্রত্যেক নারী নিজে� নারী পরিচয় নিয়� সম্মানের সাথে বাচবে। কিন্তু সুবর্ণকে নিয়� দেখা সে� স্বপ্ন কি আলোর মু� দেখেছিলো? এই প্রশ্নটা� আপনাদে� জন্য তোলা থাকলো।
নারীদে� সবচেয়� বেশি কে লিখেছে�? সম্ভবত� শরৎচন্দ্র। কিন্তু একজন নারী হয়ে যখ� কে� নারীদে� নিয়� লেখে তখ� সেটা অতুলনীয় হয়ে যায়� লেখিকা নিজে নারী বলেই হয়ত নারী চরিত্রের অনেক গভীরে পৌছাতে পেরেছেন। লেখিকা তা� তীক্ষ্� দৃষ্টি � ক্ষুরধার লেখনী সমাজজীবনের উপরকার বর্ণাট্য মোহজাল ছিন্নভিন্ন কর� তা� সে সত্যকা� রূ� দেখিয়েছেন তা ইতিপূর্ব� কোনো লেখক বা লেখিকা কর� দেখাতে সাহস করেন নি� কিন্তু শুধু� কি জীবনের অসত্� � অমলি� দিকটাই দেখেছে� লেখিকা? না, তাহল� আজ এই সত্যবতী� সৃষ্টি বা কল্পনা সম্ভ� হত� না� লেখিকা� সৃষ্টি সত্যবতী চরিত্রের মাঝে লেখিকাকে খুজে পেয়েছি। সমাজের কঠিন নিয়মে নিজে� বাল্যকাল� বিদ্যার্জন করতে পারে� নি� কিন্তু সত্যবতী� মত� অদম্� গতীতে এগিয়ে গিয়� স্থা� কর� নিয়েছেন মানুষে� হৃদয়ে� লিখে গেছে� ভারতের সবচেয়� সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া উপন্যাস। এব� সত্যবতী� মাধ্যম� সমাজকে দেখিয়েছেন যে, নারী� নারীত্� কত মহান! নারী ছাড়� মানব সমাজ পঙ্গু। কারন নারীরা� সমাজের অর্ধেক�
যদিও হওয়� উচিত Human কিন্তু আমরা মানু� বলতে Man বুঝি� অর্থাৎ পুরুষ। আমরা না বুঝলেও একটা সময় ছিলো যখ� নারীদে� মানুষে� কাতারে ফেলা হত� না� তারা ছিলো দ্বাসী� হাজা� বছ� ধর� চল� আস� এই সমাজ ব্যাবস্থায� নারী� ভুলে গিয়েছিল� তাদে� পরিচয়� মনগড়া ধর্মীয় � সামাজি� নিয়মে� বেড়াজাল নারীকে গৃহপালিত পশুর চেয়� বেশি সম্মান দেওয়া হয� নাই। কে� হয়ত এট� থেকে পরিত্রাণের পথ� খোজে নাই। কারন এটাই ছিলো প্রচলি� সমাজব্যবস্থা� এই সময়টাকে� লেখিকা আশাপূর্ণ� দেবী তা� ক্ষুরধার লেখনীতে তুলে এনেছেন�
একটা অন্যায� অনির্দিষ্ট কা� চলতে পারে না� একসময় সেটা� অবসা� ঘটে। সে� অবসা� ঘট� বা পরিবর্তনের সুচন� হয� কিছু বিশে� মানুষে� হা� ধরে। এর� সমাজ� আসেন পর� পাথর হয়ে� তেমন� এক চরিত্র সত্যবতী� গ্রামে� সম্ভ্রান্ত � প্রতাপশালী ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজের একমাত্� মেয়� সত্যবতী� আট বছ� বয়স� সত্যবতীকে বিয়� দিয়� গৌরীদা� সম্পন্� করলে� পিতা রামকালী� বয়সের কারন� বিয়ের পর� কয়েকবছর বাপে� বাড়িতেই থাকল� সত্যবতী� পিতা� রাখা নামে� সত্যতা প্রমান করলো তা� কর্মকান্� দিয়ে। মাত্� ১১ বছ� বয়সেই সমাজ � পরিবারের নির্মম সত্যগুলো চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে লাগল� সত্যবতী� পিতা রামকালী কোনোদি� অন্যায়ে� সাথে আপোস করেননি� পিতা� এই আপোসহী�, একরোখা স্বভাবটি খু� ভালোভাবে� অর্জ� করেছিল� সত্য� হয়ত পিতা� চেয়� কিছুটা বেশি� এজন্যই তো গ্রামে� মাথা� মুকু� রামকালী সবার উপরে প্রভাব বিস্তা� কর� চললে� পারতেন না নিজে� এগার� বছরে� মেয়ের সাথে� মেয়ের প্রশ্নবা� তাকে বিদ্� করতো� তা� ছোট্� মেয়েটিই তাকে চোখে আঙুল দিয়� সমাজের দগদগ� ক্ষতগুলো দেখিয়� দিতো� সময়ের পরিক্রমায় এক সময় সত্য শ্বশুরবাড়� গেলো� নতুন এক পরিবেশ� এস� পড়ল� সত্য� একদিকে নির্লজ্জ, লোভি শ্বাশুরী; অপরদিক� বেহায়� চরিত্রহী� শ্বশুর� তব� জামাইট� সত্য� ভালো ছিলো� ভালো বল� ঠি� না, মন্দের ভালো� নিজে� স্ত্রী� সাথে মায়ের ঝগড়� দেখে যে বাড়� ছেড়� পালায় তাকে কি বল� যায়! তব� সত্য� জন্য এই গোবেচারা স্বামী� ঠি� ছিলো� এজন্যই তো সত্য তাকে ভেঙেচুড়� আবার গড়ত� পেরেছে� কিন্তু পুরোপুরি নিজে� মত কি গড়ত� পেরেছিলো? সে প্রশ্ন নাহয� তোলা থাক।
সময়ের সাথে সাথে সত্যবতী কন্য� থেকে স্ত্রী, স্ত্রী থেকে মা হলো। সমাজকে বুড়� আঙুল দেখিয়� স্বামী-সন্তান নিয়� কলকাতা চল� গেলো সন্তানদে� শিক্ষি� করার জন্য� সেখানে গিয়েও সমাজের পৈশাচিকতাক� পা� কাটাতে পারেনি� গ্রামী� সমাজ থেকে পতিত শঙ্করী শহরে এস� বিয়� কর� সুখি হত� চাইলেও না পেরে আত্মহুতি দেয়� শঙ্করী� মেয়� সুহাসক� নিজে� হাতে ভেঙে নতুন কর� গড়ে তোলে সত্য� অবশেষে আবার গর্ভবতী হয� সত্য� জন্ম হয� সুবর্ণলতার� নিজে� ভিতর� থাকা সত্বাক� দু� ছেলে� মধ্য� না পেয়� শে� পর্যন্� মেয়� সুবর্ণলতাক� নিয়� স্বপ্ন দেখে সত্য� স্বপ্ন দেখে একদি� এই সমাজের অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙে যাবে� প্রত্যেক নারী নিজে� নারী পরিচয় নিয়� সম্মানের সাথে বাচবে। কিন্তু সুবর্ণকে নিয়� দেখা সে� স্বপ্ন কি আলোর মু� দেখেছিলো? এই প্রশ্নটা� আপনাদে� জন্য তোলা থাকলো।
নারীদে� সবচেয়� বেশি কে লিখেছে�? সম্ভবত� শরৎচন্দ্র। কিন্তু একজন নারী হয়ে যখ� কে� নারীদে� নিয়� লেখে তখ� সেটা অতুলনীয় হয়ে যায়� লেখিকা নিজে নারী বলেই হয়ত নারী চরিত্রের অনেক গভীরে পৌছাতে পেরেছেন। লেখিকা তা� তীক্ষ্� দৃষ্টি � ক্ষুরধার লেখনী সমাজজীবনের উপরকার বর্ণাট্য মোহজাল ছিন্নভিন্ন কর� তা� সে সত্যকা� রূ� দেখিয়েছেন তা ইতিপূর্ব� কোনো লেখক বা লেখিকা কর� দেখাতে সাহস করেন নি� কিন্তু শুধু� কি জীবনের অসত্� � অমলি� দিকটাই দেখেছে� লেখিকা? না, তাহল� আজ এই সত্যবতী� সৃষ্টি বা কল্পনা সম্ভ� হত� না� লেখিকা� সৃষ্টি সত্যবতী চরিত্রের মাঝে লেখিকাকে খুজে পেয়েছি। সমাজের কঠিন নিয়মে নিজে� বাল্যকাল� বিদ্যার্জন করতে পারে� নি� কিন্তু সত্যবতী� মত� অদম্� গতীতে এগিয়ে গিয়� স্থা� কর� নিয়েছেন মানুষে� হৃদয়ে� লিখে গেছে� ভারতের সবচেয়� সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া উপন্যাস। এব� সত্যবতী� মাধ্যম� সমাজকে দেখিয়েছেন যে, নারী� নারীত্� কত মহান! নারী ছাড়� মানব সমাজ পঙ্গু। কারন নারীরা� সমাজের অর্ধেক�
August 16, 2020
বে� ছোটবেলায� টিভিতে সুবর্ণলত� বল� একটি সিরিয়াল হতো। তখ� থেকে� এই ট্রিলজির কথাট� জানা থাকলেও পড়া হয়ে উঠেনি। কদিন আগ� একজনের মুখে তৃতীয় উপন্যা� এর প্রধান নারী চরিত্রটি� সুখ্যাতি শুনে সিদ্ধান্� নিলা�, আর না� এবার এই ট্রিলজিট� শে� করতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্� নিয়েছিলাম দেখছ�!
আশাপূর্ণ� দেবী� তেমন উল্লেখযোগ্� লেখা আমার এর আগ� আর পড়া হয়ন� তেমন� তা� তাঁর লেখা� স্টাইল সম্পর্কে বিশে� অবগত ছিলা� না� মনোমুগ্ধকর লেখনশৈলী, পাতা� পর পাতা অনায়াসে পড়ে যাওয়া যায়� ট্রিলজ� বলেই এই বইটা শে� হওয়ার ব্যথ� তেমন কর� বুকে বাজছ� না� কারণ, কা� থেকে� সুবর্ণলত� শুরু করবো�
এই উপন্যাসে� মূ� চরিত্র সত্যবতী� উপন্যাসে� শুরুতে� সত্যের তে�, দুরন্তপন�, গভীরত� প্রকাশ পায়� খানিকট� পাকামো� বটে। তব� শুরু থেকে� সে বিবাহি�, তা� বাবা রামকালী� দৃঢ় ইচ্ছেয� যে উপযুক্� বয়স না হওয়� পর্যন্� পিত্রালয়ে থাকে�
বাবা রামকালী একজন গ্রাম্� কবিরাজ, তব� তাঁর জ্ঞা� এব� যশ উভয়েই আছে। ছেলেবেলাতে� নিজে� জেদে� পরিচয় দিয়� বাড়� ছেড়� গিয়েছিলেন, এক� উদ্যমে জীবনযুদ্ধে নিরাপদ স্থা� অর্জ� করেছেন�
রামকালী� একমাত্� সন্তান হওয়াতেই সত্যের উপ� তাঁর স্নে� একটু বেশি রকম। ধীরে ধীরে তিনি উপলব্ধ� করেন যে সত্য অন্যদে� চেয়� অনেক আলাদা। তলিয়ে ভাবত� জানে সে, প্রতিবাদী এব� এক� সাথে শিক্ষা� জন্য অদম্� স্পৃহা� রামকালী� ব্যক্তিত্ব মুগ্� করার মতোই, তব� একটি মেয়েক� বাঁচাত� গিয়� তিনি� অবধারি� আদেশবল� তাঁর ভাইপোক� দ্বিতীয় বিয়� করতে বাধ্� করান� ভাইপোর প্রথ� স্ত্রী এমনক� নিজে� স্ত্রী� কথাও খু� গুরুত্� দিয়� ভাবতেন না তিনি� তাঁর চোখে� মেয়ের� খু� বেশি বুদ্ধি রাখে এম� মন� হত� না�
তব� স্ত্রী মারা যাবা� পর এব� সত্যের� নানা� কীর্তিকলাপের দরুণ তাঁর ভাবন� একটু একটু কর� পাল্টায় অনেকটা�
সত্যের মা ভুবনেশ্বরী সাধারণ মায়াবতী এক নারী� অসাধারণত্ব কিছু থেকে থাকলেও তা সমাজব্যবস্থা কিংব� উদ্যোগের দরুণ ফুটে উঠেনি।
ফুটে উঠেছ� সত্যবতী� এত� তীব্রত� সে পেলো কোথা থেকে? নিজে নিজে� পড়ত� শিখেছে সে, লিখেছে কবিতা। একটু বড� হয়ে নিজে� সংসারে গিয়� এম� সব কাণ্� ঘটিয়েছে যা যুগান্তকারী� নিজে� কুটি�, সাধারণের চেয়েও নিচু স্তরের শ্বশুর-শ্বাশুড়� কিংব� ব্যক্তিত্বহী� মেরুদণ্ডহী� মূঢ় নবকুমারক� সামলেই তাকে প্রতিষ্ঠ� করতে হয়েছে নিজে� ম����
কলকাতায় বাড়� ভাড়� কর� গিয়� সাজিয়েছ� নিজে� সংসার। কুসংস্কা� কিংব� অন্যায� থেকে মুক্� থাকা� এত� বড� শিক্ষাগুলো সত্য নিজে� বিচক্ষণতার সাথে সাথে� পেয়েছিল ভবতো� মাস্টারে� কাছে�
সত্য ভালোবাসত� সকলকেই কিন্তু তা� সত্ত� বিলিয়� দিয়� নয়। নিজে� মতাম� ঠি� রেখে� সে গড়ত� চেয়েছিল� সত্যিকারের মানুষ। পদ� পদ� নানা� বাধা-নিষে� এর বেড়াজাল টপকে� শে� পর্যন্� কী সফ� হত� পারল� সত্য? উত্ত� পেতে বাকি আছে।
চিরায়� সাহিত্� আসলে এমনই হয়। নানা� প্রশ্নের উত্থাপ� কর�, ভাবায়, কিছু� জবাব দেয়, কিছু� দেয় না�
সত্যবতী� মত� মেয়ের� ঘর� ঘর� জন্মায� না� আজকে� দিনে� এম� দৃঢ়চেতা মেয়� আমরা তা� আশেপাশ� কম দেখি� তব� সত্যের মত� মেয়ের� অল্প জন্মিয়ে� সমাজের ভুলগুলোর মুখে চপেটাঘাত করেন, সমাজকে এগিয়ে দে� অনেকটা, ভেঙে দে� অনেক কুসংস্কার। কাজে� আপাতদৃষ্টিতে হা� মন� হলেও শে� হাসিটা তাঁরাই হাসেন।
[ সিরিয়াল� সত্যবতী এব� সুবর্ণলতার দ্বৈ� চরিত্র� অভিনয় করেছিলেন 'আবহমান' চলচ্চিত্রে� জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী অনন্যা চ্যাটার্জি� এতদি� পর অনুভ� করতে পারছ� কাস্টিংট� পার্ফেক্� ছিল।]
আশাপূর্ণ� দেবী� তেমন উল্লেখযোগ্� লেখা আমার এর আগ� আর পড়া হয়ন� তেমন� তা� তাঁর লেখা� স্টাইল সম্পর্কে বিশে� অবগত ছিলা� না� মনোমুগ্ধকর লেখনশৈলী, পাতা� পর পাতা অনায়াসে পড়ে যাওয়া যায়� ট্রিলজ� বলেই এই বইটা শে� হওয়ার ব্যথ� তেমন কর� বুকে বাজছ� না� কারণ, কা� থেকে� সুবর্ণলত� শুরু করবো�
এই উপন্যাসে� মূ� চরিত্র সত্যবতী� উপন্যাসে� শুরুতে� সত্যের তে�, দুরন্তপন�, গভীরত� প্রকাশ পায়� খানিকট� পাকামো� বটে। তব� শুরু থেকে� সে বিবাহি�, তা� বাবা রামকালী� দৃঢ় ইচ্ছেয� যে উপযুক্� বয়স না হওয়� পর্যন্� পিত্রালয়ে থাকে�
বাবা রামকালী একজন গ্রাম্� কবিরাজ, তব� তাঁর জ্ঞা� এব� যশ উভয়েই আছে। ছেলেবেলাতে� নিজে� জেদে� পরিচয় দিয়� বাড়� ছেড়� গিয়েছিলেন, এক� উদ্যমে জীবনযুদ্ধে নিরাপদ স্থা� অর্জ� করেছেন�
রামকালী� একমাত্� সন্তান হওয়াতেই সত্যের উপ� তাঁর স্নে� একটু বেশি রকম। ধীরে ধীরে তিনি উপলব্ধ� করেন যে সত্য অন্যদে� চেয়� অনেক আলাদা। তলিয়ে ভাবত� জানে সে, প্রতিবাদী এব� এক� সাথে শিক্ষা� জন্য অদম্� স্পৃহা� রামকালী� ব্যক্তিত্ব মুগ্� করার মতোই, তব� একটি মেয়েক� বাঁচাত� গিয়� তিনি� অবধারি� আদেশবল� তাঁর ভাইপোক� দ্বিতীয় বিয়� করতে বাধ্� করান� ভাইপোর প্রথ� স্ত্রী এমনক� নিজে� স্ত্রী� কথাও খু� গুরুত্� দিয়� ভাবতেন না তিনি� তাঁর চোখে� মেয়ের� খু� বেশি বুদ্ধি রাখে এম� মন� হত� না�
তব� স্ত্রী মারা যাবা� পর এব� সত্যের� নানা� কীর্তিকলাপের দরুণ তাঁর ভাবন� একটু একটু কর� পাল্টায় অনেকটা�
সত্যের মা ভুবনেশ্বরী সাধারণ মায়াবতী এক নারী� অসাধারণত্ব কিছু থেকে থাকলেও তা সমাজব্যবস্থা কিংব� উদ্যোগের দরুণ ফুটে উঠেনি।
ফুটে উঠেছ� সত্যবতী� এত� তীব্রত� সে পেলো কোথা থেকে? নিজে নিজে� পড়ত� শিখেছে সে, লিখেছে কবিতা। একটু বড� হয়ে নিজে� সংসারে গিয়� এম� সব কাণ্� ঘটিয়েছে যা যুগান্তকারী� নিজে� কুটি�, সাধারণের চেয়েও নিচু স্তরের শ্বশুর-শ্বাশুড়� কিংব� ব্যক্তিত্বহী� মেরুদণ্ডহী� মূঢ় নবকুমারক� সামলেই তাকে প্রতিষ্ঠ� করতে হয়েছে নিজে� ম����
কলকাতায় বাড়� ভাড়� কর� গিয়� সাজিয়েছ� নিজে� সংসার। কুসংস্কা� কিংব� অন্যায� থেকে মুক্� থাকা� এত� বড� শিক্ষাগুলো সত্য নিজে� বিচক্ষণতার সাথে সাথে� পেয়েছিল ভবতো� মাস্টারে� কাছে�
সত্য ভালোবাসত� সকলকেই কিন্তু তা� সত্ত� বিলিয়� দিয়� নয়। নিজে� মতাম� ঠি� রেখে� সে গড়ত� চেয়েছিল� সত্যিকারের মানুষ। পদ� পদ� নানা� বাধা-নিষে� এর বেড়াজাল টপকে� শে� পর্যন্� কী সফ� হত� পারল� সত্য? উত্ত� পেতে বাকি আছে।
চিরায়� সাহিত্� আসলে এমনই হয়। নানা� প্রশ্নের উত্থাপ� কর�, ভাবায়, কিছু� জবাব দেয়, কিছু� দেয় না�
সত্যবতী� মত� মেয়ের� ঘর� ঘর� জন্মায� না� আজকে� দিনে� এম� দৃঢ়চেতা মেয়� আমরা তা� আশেপাশ� কম দেখি� তব� সত্যের মত� মেয়ের� অল্প জন্মিয়ে� সমাজের ভুলগুলোর মুখে চপেটাঘাত করেন, সমাজকে এগিয়ে দে� অনেকটা, ভেঙে দে� অনেক কুসংস্কার। কাজে� আপাতদৃষ্টিতে হা� মন� হলেও শে� হাসিটা তাঁরাই হাসেন।
[ সিরিয়াল� সত্যবতী এব� সুবর্ণলতার দ্বৈ� চরিত্র� অভিনয় করেছিলেন 'আবহমান' চলচ্চিত্রে� জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী অনন্যা চ্যাটার্জি� এতদি� পর অনুভ� করতে পারছ� কাস্টিংট� পার্ফেক্� ছিল।]
May 12, 2019
আশাপূর্ণ� দেবী এই বই লিখেছিলে� গত শতকে� পঞ্চাশের দশকে আর তিনি যে সময়ের কথ� লিখেছে� তা আর� ৮০ থেকে ১২� বছ� আগের কাহিনী� সে� সময়কে সে� সময়ের গোঁড়া রক্ষণশী� সমাজকে লেখিকা খু� সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলত� পেরেছে� নিঃসন্দেহে� একটি সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকত� সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়� তা� সৎ, আদর্� পুরু� রামকালী� অনেক কা� সে যুগে� নৈতিকতার সাথে হয়ত� সাংঘর্ষি� ছিলো না, � যুগে এম� কে� যদ� কর� তাকে আর আদর্� পুরু� বল� যাবে না� সত্যবতী� গৌরীদা�, নিজে� মত� রাসুকে দ্বিতীয় বিয়� দেয়� ( যা তখনো অনেক� মন থেকে মেনে নিতে পারে নি), সব সম্পত্তি নিজে� ভাইয়ে� ছেলেদে� মধ্য� বিলিয়� দেয়�, স্ত্রী কে অবহেলা এস� আজকা� এর মূল্যবোধের সাথে যায় না, যদিও তখ� যেত। আর তা� স্নেহে� কন্য� সত্যবতী, তখনকার সমাজ� যে একটি ব্যতিক্র� তা� সব আচরণ� কি এখ� সমর্থনযোগ্�? ছেলেদে� জো� কর� নিজে� মত� তৈরী কর�, স্বামী� সাথে তর্ক, বিরো� থাকলেও স্বামী মানে� একটি দেবত� বিশে� এই বিশ্বা� অন্ত� আজকে� দিনে� সত্যবতীরা করবে বল� মন� হয� না� সত্যবতী বিদ্রোহী, বিপ্লবী� কিন্তু তা� প্রতিট� বিদ্রোহক� সফ� করেছ� কিছু না কিছু বাইরের ঘটনা� নবকুমারে� এম� অসুখ না হল�, বা এম� মেরুদন্ডহী� সে না হল�, ইংরেজী না জানল�, সবচেয়� বড� কথ� ভবতো� মাস্টা� না থাকল� কি করতো সত্যবতী এক�? সে যা� হো�, এম� কার্যকার� হয়ত� কারো না কারো জীবন� ঘট� যায়, সেটা ব্যতিক্র� যদিও, সত্যবতী� তো ব্যতিক্রমই� এম� হাজা� হাজা� সত্যবতী, ভবতো� মাস্টারে� ক্ষুদ্� ক্ষুদ্� প্রচেষ্টায�, জীবনের তাগিদে� সমাজ বদলেছে, আর� বদলাবে� তখ� হয়ত� আমাদের জীবনটা� রূপকথা বল� মন� হবে। আর আশাপূর্ণ� যিনি প্রথাগ� শিক্ষায় শিক্ষি� ছিলে� না, কিন্তু ছিলে� স্বশিক্ষিত, কি সুন্দর তা� ভাষা� গাঁথুন�, লেখনী, পাঠককে টেনে রাখে বইয়ের প্রতি। আর একটা ব্যাপা� খু� কম পুরু� লেখক� হয়ত� নারী� মনস্তত্ব এত� সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করতে, ফুঁটিয়ে তুলত� পারতেন� তা� এই বই সবার দ্বারা লেখা সম্ভ� হত� না� ভালো লাগল�, আশাপূর্ণ� দেবী� লেখা বেশি পড়িনি, তব� তিনি যে একজন শক্তিশালী লেখিকা ছিলে� তা উপলব্ধ� করলাম।
August 23, 2018
"এত আল� পৃথিবীতে তব� পৃথিবী� মানুষগুল� এত অন্ধকারে কে�?!"
একজন বইপ্রেমী জীবন� সাধ্� � স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী অনেক বই পড়ে।কিছ� বই তা� ভা� লাগে .. কিছু বই খু� ভা� লাগে .. আবার কিছু বই হয়ত ভা� লাগে না।কিন্ত� জীবন� খুবই অল্পসংখ্যক বই পড়া� সৌভাগ্� হয� মানুষে� যেগুলো তা� মন� সারাজীবনের মত আঁচড� কেটে যায়� এই ধরনে� বইগুলো হাসি কান্না আনন্� বেদনাস� অনেক মিশ্� অনুভূতির সাথে আর� কিছু জোগায় .. শক্তি। আশাপূর্ণ� দেবী� প্রথ� প্রতিশ্রুত� আমার কাছে সেরক� একটি বই� সে� সমাজ যে সমাজ� মেয়েদের বই এর ছায়� মাড়ানোক� অকল্যা� বল� ধর� হত সে� সমাজের কো� 'নিয়� কানুনে�' তোয়াক্ক� না কর� ছোট্� মেয়� সত্যবতী ।যার আচরণ� অতিষ্ঠ প্রতিবেশী...শংকি� পরিবার � সবার ভয� '� মেয়ের তো শ্বশুরঘর� জায়গা হব� না'� আট বছ� বয়স� মেরুদন্ডহী� এক যুবকের সাথে বিয়� হয়ে যাওয়া সে� মেয়ের নিজে� ভাগ্� পরিবর্তনের গল্প এই বই � মানুষে� মনের শক্ত�..তা� বিশ্বা� কতকিছু পরিবর্তন করতে পারে তা� প্রমাণ সত্যবতী� সমাজের কাছে যা স্বাভাবি� বল� স্বীকৃ� হয়ে গেছে কিন্তু তা� কাছে অন্যায� বল� মন� হয়েছে তা� সব কিছু� বিরুদ্ধে সত্যবতী� অবস্থা� ছি� কঠিন অগ্নিমূর্তির মত�
এই বই যেমন একদিকে আমাক� সাহস দিয়েছ� , শক্ত� দিয়েছ� .. অন্যদিকে দিয়েছ� অনুপ্রেরণা এব� তৃপ্তি� আর তা� সত্যবতী� সাথে পরিচয় করিয়ে দেবা� জন্য আশাপূর্ণ� দেবী� প্রত� আম� চিরকৃতজ্ঞ।
একজন বইপ্রেমী জীবন� সাধ্� � স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী অনেক বই পড়ে।কিছ� বই তা� ভা� লাগে .. কিছু বই খু� ভা� লাগে .. আবার কিছু বই হয়ত ভা� লাগে না।কিন্ত� জীবন� খুবই অল্পসংখ্যক বই পড়া� সৌভাগ্� হয� মানুষে� যেগুলো তা� মন� সারাজীবনের মত আঁচড� কেটে যায়� এই ধরনে� বইগুলো হাসি কান্না আনন্� বেদনাস� অনেক মিশ্� অনুভূতির সাথে আর� কিছু জোগায় .. শক্তি। আশাপূর্ণ� দেবী� প্রথ� প্রতিশ্রুত� আমার কাছে সেরক� একটি বই� সে� সমাজ যে সমাজ� মেয়েদের বই এর ছায়� মাড়ানোক� অকল্যা� বল� ধর� হত সে� সমাজের কো� 'নিয়� কানুনে�' তোয়াক্ক� না কর� ছোট্� মেয়� সত্যবতী ।যার আচরণ� অতিষ্ঠ প্রতিবেশী...শংকি� পরিবার � সবার ভয� '� মেয়ের তো শ্বশুরঘর� জায়গা হব� না'� আট বছ� বয়স� মেরুদন্ডহী� এক যুবকের সাথে বিয়� হয়ে যাওয়া সে� মেয়ের নিজে� ভাগ্� পরিবর্তনের গল্প এই বই � মানুষে� মনের শক্ত�..তা� বিশ্বা� কতকিছু পরিবর্তন করতে পারে তা� প্রমাণ সত্যবতী� সমাজের কাছে যা স্বাভাবি� বল� স্বীকৃ� হয়ে গেছে কিন্তু তা� কাছে অন্যায� বল� মন� হয়েছে তা� সব কিছু� বিরুদ্ধে সত্যবতী� অবস্থা� ছি� কঠিন অগ্নিমূর্তির মত�
এই বই যেমন একদিকে আমাক� সাহস দিয়েছ� , শক্ত� দিয়েছ� .. অন্যদিকে দিয়েছ� অনুপ্রেরণা এব� তৃপ্তি� আর তা� সত্যবতী� সাথে পরিচয় করিয়ে দেবা� জন্য আশাপূর্ণ� দেবী� প্রত� আম� চিরকৃতজ্ঞ।
Displaying 1 - 30 of 120 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.