সারস্ব� 's Reviews > প্রথ� প্রতিশ্রুত�
প্রথ� প্রতিশ্রুত� (সত্যবতী, সুবর্ণলত�, বকুল ট্রিলজ� #1)
by
by

আঠার� এব� উনিশ শতকে� প্রেক্ষাপট� লেখিকা আশাপূর্ণ� দেবী তাঁর ত্রয়ী উপন্যাসে� প্রথ� বই প্রথ� প্রতিশ্রুতিত� তৎকালী� সমাজ এব� ধর্মীয় ব্যবস্থাপনায� অদ্ভুত এক প্রাণী� অস্তিত্বের কথ� ব্যক্ত করেছেন� যাদে� অবয়�, অনুভূত�, আবেগ সবকিছু মানুষে� মত হলেও তাদে� খানিকট� ভারবাহী পশুর মত ব্যবহা� কর� পুরু� শাসি� সমাজ� সে� অদ্ভুত প্রাণিটি� না� ছি� নারী� নির্মম হলেও সত্য� তৎকালী� নারীদে� প্রত� পুরু� সমাজের আচরণ আর যা� হো� মানবিক ছি� না� হাজা� বছরে� মরীচা ধর� সংস্কারে� শেকল� নারীরা যখ� মানুষে� সম্মান পায়নি তখ� নিত্যানন্দপু� নামক অজপাড়� গায়� একটি এগার� বছরে� শিশুকন্য� সে� সংস্কারে� শেকল� কষাঘাত কর�, জানিয়� দেয় আমরা� (নারীরা) মানুষ। আর নারী থেকে মানু� হবার সে� শিশুকন্যার সারা জীবনের অপরাজি� সংগ্রামে� গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে প্রথ� প্রতিশ্রুতি।
সত্যবতী!! হ্যা সে� এগার� বছরে� শিশুকন্যাটির না� ছি� সত্যবতী� পিতা নিষ্ঠাবা� ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজ একমাত্� সন্তান সত্যবতীকে আট বছ� বয়স� বিয়� দিয়� গৌরীদানে� পূণ্� অর্জ� করেছিলেন� কিন্তু বিয়ের পরেও সংসারবদ্� হবার উপযুক্� বয়সের অপেক্ষায� সত্যবতী পিতা� কাছে� ছিল। বাল্যকাল থেকে সত্যবতী তা� নামে� প্রত� সুবিচা� করেছিল� নির্মমভাবে সত্যকে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে কখনো কার্পণ্য করেনি। শারীরিকভাব� অবোধ সত্যবতী মানুষে� মানসিক সূক্ষ্মত� বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জ� কর� অনেক ছো� বয়সেই�
বইটি� প্রথ� কয়েকট� পরিচ্ছেদ� সত্যবতী� পিতা রামকালী� বলিষ্ঠ বিচরণে তাঁক� এই গল্পের প্রধান চরিত্র মন� হত� পারে� কারণ সত্যবতীরর জীবন� আকাশ� পিতা� নামে� নক্ষত্রট� ছি� সবথেকে উজ্জ্বল। পিতা কবিরাজ রামকালী নিজে� পরিবার� শত মানুষে� জন্য ছিলে� ভরসা� আর গ্রামে� সহস্� অসহায় মানুষে� জন্য ছিলে� আশ্রয়ের স্থল� তারপ� শৈশবের বাঁধ� ছিন্� হয� সত্যবতীর। একদি� শ্বশুরবাড়� থেকে ডা� আসে। পিতা রামকালী কন্যাক� পাঠাতে না চাইলেও পিতা� সম্মান অক্ষুন্ন রাখত� সত্যবতী সব মায়ার বাঁধ� ছিন্� কর� চললো শ্বশুরবাড়ি।
শ্বশুরবাড়� এস� সত্যবতী হল� দিশেহারা� যেমন লোভী, মনুষ্যত্বহী� শ্বাশুড়ী এলোকেশী তেমন লালসাগ্রস্� শ্বশুর নীলাম্বরকে দেখে সত্যবতী প্রত� পদ� পদ� হয়ে দাঁড়ায় তাদে� অসন্তোষে� কারণ� তব� স্বামী নবকুমা� ছি� যে� মাটি� মানুষ। তা� তো তাঁক� বা� বা� ভেঙ্গে বা� বা� গড়ে নিতে খু� বেশি বে� পেতে হয়ন� সত্যবতীকে� সময়ের পরিক্রমায় সামাজি� রূ� বদ� হয� সত্যবতীর। কন্য� থেকে স্ত্রী আবার স্ত্রী থেকে মা� নতুন রূপে নতুন ব্যক্তিত্ব� নিজেকে সাজিয়� নিতে� ভু� হয� না সত্যবতীর। সন্তানদে� সুশিক্ষায় আলোকিত করতে নবকুমারক� নিয়� কলকাতায় পারি দেয় সত্যবতী� কলকাতায় এস� সত্যবতী যুদ্� শে� হয� না বর� শুরু হয়।
সত্যবতী� দূ� সম্পর্কে বিধব� আত্নীয়� শঙ্করী সংস্কারক� বৃদ্ধাঙ্গু� দেখিয়� শে� রক্ষ� করতে পারেনি� গর্ভ অবস্থায় রেখে শঙ্করী� দ্বিতীয় স্বামী তাঁক� রেখে পলায়ন করে। সে� শঙ্করী� মেয়� সুহাসিনীকে নিয়� আশ্রয় হয� সত্যবতীদে� ভাড়াকৃত বাড়ির মালি� দত্তদে� বাড়িতে। শঙ্করী� মৃত্যু� পর সত্যবতী সুহাসক� নিয়� আসে। সমাজ� যাকে পাপে� সন্তান বল� ধীক্কা� দিতে ছাড়� না সে সত্যবতী� কাছে বুকে� সন্তানের মত প্রতিপালিত হয়। তারপ� একদি� সত্যবতী আবার মাতৃত্বে� ছোঁয়া লা� করে। সাধন সরলে� পর� এবার একটি কন্যাশিশ� কোলজুড়ে আস� সত্যবতীর। না� সুবর্ণলতা। সহস্� সংগ্রামে ক্লান্� সত্যবতী জীবনের সবথেকে বড� স্বপ্নটি দেখত� শুরু করে। নিজে� কন্যাটিক� শিক্ষি� কর�, যা সমাজের চো� মহাপাপ� কিন্তু হো� পাপ। সে� পাপে� মাঝে� সত্যবতী সুবর্ণলতার জন্য জীবনের আল� এন� দিতে চেয়েছিলো।
কিন্তু পেরেছিলো কি সত্যবতী? স্বপ্ন পূরণ করতে? নারীদে� নিয়� সমাজ� যে পুতুলখেল� হয� সে� খেলা থেকে নিজে� প্রতিচ্ছবি নিজে� কন্যাক� রক্ষ� করতে?
জানত� হল� পড়ত� হব� সমগ্� অখন্� ভারতের সবথেকে সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া প্রথ� প্রতিশ্রুত� বইটি�
ব্যক্তিগ� অভিমতঃ
তোমা� মমতা-মানি� আলোক� চিনিনু তোমারে মাতা তুমি লাঞ্চিতা বিশ্�-জননী!
তোমা� আচ� পাতা নিখি� দুঃখী নিপীড়িত তব�,
বি� শুধু তোমা দহ� যথ� তব মাগো পীড়িত নিখি� ধরনী� ভা� বহে।
হ্যা নারী� সবথেকে সুন্দর রূপট� হল� জননী� কিন্তু ভারত নামে� মহাভূমিত� মাটি� জননী� পূজা হলেও রক্ত মাংসের জননীদে� সামন� কখনো শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্প� কর� হয়নি। কিন্তু জননীরা সে� শ্রদ্ধার কাঙ্গালিনী হয়ে থাকেননি। হাজা� বছ� ধর� বিলিয়� দিয়েছেন নিজেকে সংসারে� জন্য� প্রতিদান চানন� কখনো, প্রতিদান কে� চাইত� হয� তা� শেখেননি। সত্যবতী� কাহিনী শোনা� পর� আমার মাতামহী� কথ� মন� পর� যায়� আম� উনাক� কখনো বাড়িত� বিশ্রা� নিতে দেখিনি� প্রতিট� মূহুর্তে তুচ্� থেকে তুচ্� কা� কর� চলেছেন পর� মমতায়� কখনো কো� অভিযোগ নেই। উনাদের গ্রামে কখনো কো� সত্যবতী জন্ম নেয় নি� তাহল� উনাদের গল্পটা� হয়ত� আলাদ� �'তো� কি জানি!!
হাজা� বছ� ধর� লক্ষ মায়েদের সংসারক� আগলে রাখা� ক্লান্তহী� সংগ্রা� জড� কর� যদ� দেখি তাহল� কে� এই পৃথিবী এর মায়াময় হয়ত� সে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� পাবো� সত্যবতী� গল্প� লেখিকা সে� সব অবহেলি� সংগ্রামে� কথ� বলছে� আর বলেছেন সত্যবতী� কথ� যে বা যারা চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়েছ� নারীত্� ছাড়� মনুষ্যত্� অপূর্ণ, অর্থহীন।
সত্যবতী!! হ্যা সে� এগার� বছরে� শিশুকন্যাটির না� ছি� সত্যবতী� পিতা নিষ্ঠাবা� ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজ একমাত্� সন্তান সত্যবতীকে আট বছ� বয়স� বিয়� দিয়� গৌরীদানে� পূণ্� অর্জ� করেছিলেন� কিন্তু বিয়ের পরেও সংসারবদ্� হবার উপযুক্� বয়সের অপেক্ষায� সত্যবতী পিতা� কাছে� ছিল। বাল্যকাল থেকে সত্যবতী তা� নামে� প্রত� সুবিচা� করেছিল� নির্মমভাবে সত্যকে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিতে কখনো কার্পণ্য করেনি। শারীরিকভাব� অবোধ সত্যবতী মানুষে� মানসিক সূক্ষ্মত� বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জ� কর� অনেক ছো� বয়সেই�
বইটি� প্রথ� কয়েকট� পরিচ্ছেদ� সত্যবতী� পিতা রামকালী� বলিষ্ঠ বিচরণে তাঁক� এই গল্পের প্রধান চরিত্র মন� হত� পারে� কারণ সত্যবতীরর জীবন� আকাশ� পিতা� নামে� নক্ষত্রট� ছি� সবথেকে উজ্জ্বল। পিতা কবিরাজ রামকালী নিজে� পরিবার� শত মানুষে� জন্য ছিলে� ভরসা� আর গ্রামে� সহস্� অসহায় মানুষে� জন্য ছিলে� আশ্রয়ের স্থল� তারপ� শৈশবের বাঁধ� ছিন্� হয� সত্যবতীর। একদি� শ্বশুরবাড়� থেকে ডা� আসে। পিতা রামকালী কন্যাক� পাঠাতে না চাইলেও পিতা� সম্মান অক্ষুন্ন রাখত� সত্যবতী সব মায়ার বাঁধ� ছিন্� কর� চললো শ্বশুরবাড়ি।
শ্বশুরবাড়� এস� সত্যবতী হল� দিশেহারা� যেমন লোভী, মনুষ্যত্বহী� শ্বাশুড়ী এলোকেশী তেমন লালসাগ্রস্� শ্বশুর নীলাম্বরকে দেখে সত্যবতী প্রত� পদ� পদ� হয়ে দাঁড়ায় তাদে� অসন্তোষে� কারণ� তব� স্বামী নবকুমা� ছি� যে� মাটি� মানুষ। তা� তো তাঁক� বা� বা� ভেঙ্গে বা� বা� গড়ে নিতে খু� বেশি বে� পেতে হয়ন� সত্যবতীকে� সময়ের পরিক্রমায় সামাজি� রূ� বদ� হয� সত্যবতীর। কন্য� থেকে স্ত্রী আবার স্ত্রী থেকে মা� নতুন রূপে নতুন ব্যক্তিত্ব� নিজেকে সাজিয়� নিতে� ভু� হয� না সত্যবতীর। সন্তানদে� সুশিক্ষায় আলোকিত করতে নবকুমারক� নিয়� কলকাতায় পারি দেয় সত্যবতী� কলকাতায় এস� সত্যবতী যুদ্� শে� হয� না বর� শুরু হয়।
সত্যবতী� দূ� সম্পর্কে বিধব� আত্নীয়� শঙ্করী সংস্কারক� বৃদ্ধাঙ্গু� দেখিয়� শে� রক্ষ� করতে পারেনি� গর্ভ অবস্থায় রেখে শঙ্করী� দ্বিতীয় স্বামী তাঁক� রেখে পলায়ন করে। সে� শঙ্করী� মেয়� সুহাসিনীকে নিয়� আশ্রয় হয� সত্যবতীদে� ভাড়াকৃত বাড়ির মালি� দত্তদে� বাড়িতে। শঙ্করী� মৃত্যু� পর সত্যবতী সুহাসক� নিয়� আসে। সমাজ� যাকে পাপে� সন্তান বল� ধীক্কা� দিতে ছাড়� না সে সত্যবতী� কাছে বুকে� সন্তানের মত প্রতিপালিত হয়। তারপ� একদি� সত্যবতী আবার মাতৃত্বে� ছোঁয়া লা� করে। সাধন সরলে� পর� এবার একটি কন্যাশিশ� কোলজুড়ে আস� সত্যবতীর। না� সুবর্ণলতা। সহস্� সংগ্রামে ক্লান্� সত্যবতী জীবনের সবথেকে বড� স্বপ্নটি দেখত� শুরু করে। নিজে� কন্যাটিক� শিক্ষি� কর�, যা সমাজের চো� মহাপাপ� কিন্তু হো� পাপ। সে� পাপে� মাঝে� সত্যবতী সুবর্ণলতার জন্য জীবনের আল� এন� দিতে চেয়েছিলো।
কিন্তু পেরেছিলো কি সত্যবতী? স্বপ্ন পূরণ করতে? নারীদে� নিয়� সমাজ� যে পুতুলখেল� হয� সে� খেলা থেকে নিজে� প্রতিচ্ছবি নিজে� কন্যাক� রক্ষ� করতে?
জানত� হল� পড়ত� হব� সমগ্� অখন্� ভারতের সবথেকে সম্মানজন� পুরস্কার পাওয়া প্রথ� প্রতিশ্রুত� বইটি�
ব্যক্তিগ� অভিমতঃ
তোমা� মমতা-মানি� আলোক� চিনিনু তোমারে মাতা তুমি লাঞ্চিতা বিশ্�-জননী!
তোমা� আচ� পাতা নিখি� দুঃখী নিপীড়িত তব�,
বি� শুধু তোমা দহ� যথ� তব মাগো পীড়িত নিখি� ধরনী� ভা� বহে।
হ্যা নারী� সবথেকে সুন্দর রূপট� হল� জননী� কিন্তু ভারত নামে� মহাভূমিত� মাটি� জননী� পূজা হলেও রক্ত মাংসের জননীদে� সামন� কখনো শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্প� কর� হয়নি। কিন্তু জননীরা সে� শ্রদ্ধার কাঙ্গালিনী হয়ে থাকেননি। হাজা� বছ� ধর� বিলিয়� দিয়েছেন নিজেকে সংসারে� জন্য� প্রতিদান চানন� কখনো, প্রতিদান কে� চাইত� হয� তা� শেখেননি। সত্যবতী� কাহিনী শোনা� পর� আমার মাতামহী� কথ� মন� পর� যায়� আম� উনাক� কখনো বাড়িত� বিশ্রা� নিতে দেখিনি� প্রতিট� মূহুর্তে তুচ্� থেকে তুচ্� কা� কর� চলেছেন পর� মমতায়� কখনো কো� অভিযোগ নেই। উনাদের গ্রামে কখনো কো� সত্যবতী জন্ম নেয় নি� তাহল� উনাদের গল্পটা� হয়ত� আলাদ� �'তো� কি জানি!!
হাজা� বছ� ধর� লক্ষ মায়েদের সংসারক� আগলে রাখা� ক্লান্তহী� সংগ্রা� জড� কর� যদ� দেখি তাহল� কে� এই পৃথিবী এর মায়াময় হয়ত� সে� প্রশ্নের উত্ত� খুঁজ� পাবো� সত্যবতী� গল্প� লেখিকা সে� সব অবহেলি� সংগ্রামে� কথ� বলছে� আর বলেছেন সত্যবতী� কথ� যে বা যারা চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়েছ� নারীত্� ছাড়� মনুষ্যত্� অপূর্ণ, অর্থহীন।
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
প্রথ� প্রতিশ্রুত�.
Sign In »