ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না

Rate this book
বাল্যকাল মানুষে� জীবনের শ্রেষ্� সময়� প্রতিট� মানুষে� জীবনেই তা� হারিয়� যাওয়া শৈশব-কৈশো� অমোঘ, অমোচনীয় পদচ্ছা� ফেলে যায়, রেখে যায় একরা� মধুর, স্মৃতিমেদু� অনুভুতি। ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� নায় হুমায়ুন আজাদ রোমন্থ� করেছেন তাঁর ছেলেবেলা� অপূর্ব উপমাখচিত � অভাবিত চিত্রকল্পশোভিত ভাষায় তিনি লিখে গেছে� তাঁর বাল্যকালের কথা। তাঁর গ্রা� রাড়িখালের বর্ণনা স্মৃতিকাতর কর� একালের পাঠকেও� আবহমান গ্রামবাংলা� প্রকৃত�, গা�, পাখি, ফু�, মা�, ধানখেত, ঘা�, লতাগুল্ম, পুকু�-বি�-নদী, মা�, নৌকা, স্টিমা�, শিশিরে� শব্দ, খেজু� রস, জ্যোৎস্ন�, গ্রামী� মেলা, যাত্রা, সার্কা� চিত্রকল্পে� মত� হাজি� হয� চোখে� সামনে। ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না পড়ে পাঠক ফিরে যা� নি� নি� রাড়িখালে। নিপু� চিত্রকরে� তুলিতে যে� আঁকা হয়েছে একেকটি অধ্যায়।

56 pages, Hardcover

First published November 1, 1985

19 people are currently reading
537 people want to read

About the author

Humayun Azad

82books296followers
Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.

Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.

The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.

He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.

On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.

In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
268 (71%)
4 stars
78 (20%)
3 stars
19 (5%)
2 stars
6 (1%)
1 star
6 (1%)
Displaying 1 - 30 of 81 reviews
Profile Image for Rifat.
481 reviews313 followers
July 19, 2021
কী সুন্দর বই! কেমন নস্টালজি� কর� দেয়� এই নিয়� বোধহয় ৬ষ্ঠ বারে� চেষ্টায় শে� করলাম। প্রথ� দু� পৃষ্ঠা পর্যন্� পড়ে এর আগ� পাঁচ বা� রেখে দিয়েছ�, খালি মন� হত� ফুরিয়� যাবে�

বারবার ছোটবেলার কথ� মন� পড়ছিল� বিশেষত এখান� ওখান� ঘুরে বেড়ান�, মা� ধর�! ছোটবেলায� পুকুরে নেমে ঘণ্টার পর ঘন্ট� কত দাপাদাপি করেছ� তা� ইয়ত্ত� নেই। একদি� হল� কি, প্রায় ঘণ্ট� দু� হয়ে গেছে বিচ্ছু বাহিনী মিলে নেমেছি জল ঘোলা করতে; কে একজন এস� খব� দি�- ভাগো.... ছো� কাকা ইজ কামি� উই� � বি� লাঠি! আমার কি বাপু; আমার নিজে� কাকা; নিজেদে� পুকু�; ভয� তোমাদে�, তোমর� উঠ� গে� হল� কি! আমার নিজে� কাকা নিজে� লাঠি দিয়� নিজে� ভাতিজিকে� দিলে� বাড়ি। তারপ� কান্নাকাটি, মা� খেয়� ঘু� পেলা� বাজারে� এক পি� কেক। আর এখ� সে� আমিই পুকুরে নামল� পায়ের সাথে মাছে� দেখা হলেই সাপে� ভয়ে আত্নারাম খাঁচ� ছাড়ার জোগাড় হয�, তা� প্লাস্টিকে� জুতো পড়ে পুকুরে নামত� গিয়� সবার হাসি� পাত্রী হয়ে যাই�

কী চমৎকার লেখা! এক নিমেষে� যে� গ্রামে চল� গেলাম। লাইনগুলো যে� টিনে� চালে� নিচে জড়োসড়ো হয়ে শুয়�-বস� কা� চেপে ধর� বৃষ্টি� শব্দ শোনা� মত�; অতিরিক্ত সুন্দর কোনো জিনি� দেখে আনন্দে� সময়� হু� কর� আস� কান্না� মতো।
শেষটায� কেমন মন খারা� কর� হাহাকা�!
"আম� খালি শপ্ন দেহি, খালি তোমারে দেহি রারিকাল।
বউন্নাফুলে শাদা অয� ফাগু� আর চৈ� মা�? ইজলে� রাঙ্গা ফু� ভাইসসা যায় ম্যাগে� পানিতে? আম� কত ডা� পারি� তুমি ক্যা� হুমই� দ্যা� না?"

নস্টালজি� হওয়ার মত� চমৎকার একটি না� নিয়� বইটা অনেকটা ভালবাসার মানুষে� প্রস্থান� তা� রেখে যাওয়া জামাকাপড� থেকে তুমি তুমি গন্ধ নেয়ার মত�, একান্ত� নিজে�!

এই বইয়ের নামট� স্পেশা�-ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না! আমাক� বারবার আমার ১ম হোস্টে� (মে�) জীবনের কথ� মন� করিয়ে দেয় যেখানে সবকিছু� উর্ধ্ব� গিয়� আম� পেয়েছিলাম অপার মমতা� সন্ধান� হোস্টেলে� ভাঙাচোরা গেইটের পাশে একটা মানানস� অর্ধমৃ� হাসনাহেন� গা� প্রত� রাতে� তীব্� গন্ধ ছড়াতো� প্রায়� মাথা ধর� যেত। জ্যোৎস্ন� রাতে কেমন অপার্থিব লাগত�; ফুলে� গন্ধ� আমার ঘু� আসতো না...

~১৭ জুলা�, ২০২১
Profile Image for Daina Chakma.
430 reviews746 followers
October 8, 2017
কখনও কখনও এম� হয�- শে� করবা� পরেও অনেকক্ষণ বইটা বুকে� মধ্য� চেপে ধর� চুপচাপ বস� থাকত� ইচ্ছ� করে। বুকভরে বইয়ের মিষ্টি ঘ্রাণে শ্বা� নিতে ইচ্ছ� করে। এই মুহূর্তে আমার ঠি� এই ইচ্ছেটাই হচ্ছ�!

আহ�.. কি চমৎকার মায়� মাখানো একটা বই! পাতায় পাতায় ঠি� যে� আমার� ফেলে আস� শৈশবকা�! লেখকের রাড়িখাল গ্রামখান� আমার ছোটবেলার গা� বাদলছড়ি� কথ� মন� করিয়ে দিচ্ছে� ঝাড়বাতি� মত� পুকুরজুড়ে ফুঁট� থাকা কচুরিপান� আমার গ্রামে� তো ছি�! ছি� শাপল� শালু� আর জোনা� জ্বল� সন্ধ্যে। আর টিনে� চালে ঝু� বৃষ্টি� মাতা� নৃত্য।

"তুমি জানো না, কোনোদি� জানব� না, কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। তুমি শিশি� দেখো নি, কুয়াশ� দেখো নি, কচুর� ফু� দেখো নি� তুমি ধানে� শী� দেখেছো টেলিভিশন�, চি� দেখেছো ছবির বইতে� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস ঝরতে দেখো নি, পুকুরে দেখো নি মাছে� লাফে� দৃশ্য। তুমি জানো না কেমন লাগে উথাল-পাতা� ঢেউয়ে� দিকে তাকিয়� থাকত�, আর কেমন লাগে একটি পাখি� পেছন� ছুটে ছুটে সকালকে দুপুরে� দিকে গড়িয়� দিতে� আম� জানি; - না আম� জানতাম�"

লেখক কি চমৎকার ভাষাশৈলীতে গাঁয়ে� শৈশব এঁকেছে�! আর প্রত� পাতায় আঁকা মনছোঁয়া ইলাশট্রেশা�! অথ� এই বই পড়ে� শহুর� পরিবেশ� বড� হওয়� মানুষগুল� কখনও পুরোপুরি অনুভ� করতে পারবেন� গ্রাম্� শৈশব কতটা মায়াময়!

অনেকদি� পর আজ আম� বই পড়ে হুহু কর� কেঁদেছি। আবুল কালা� আজাদের জন্য� ছো� পিঁড়িখানি আর কখনও পাতা হবেন�! ছো� থালায় আর ভা� বাড়� হবেনা। জল ভর� হবেন� ছোট্� গেলাসেতে� আহ�.. বুকে� মধ্য� জমাট বাঁধ� এত� বেদন� নিয়� আম� কিভাবে ঘুমো� আজ??
Profile Image for Tisha.
388 reviews1,114 followers
February 7, 2017
আহ�, কি মায়াময় একটি বই! কত স্মৃতি, কত আবেগ নিয়� লেখক নিজে� শৈশবের গ্রা� রাড়িখালের ছব� তুলে ধরেছেন বইটিতে�

লাউয়ে� ডগ�-সাদা সরপুঁট�-খলশে� ঝাঁক-পদ্মার রূপালি ইলিশ-খেজুরে� রস-কচুর� ফু�...কি সুন্দর সব বর্ণনা, স্বপ্নের মত�! কচুরিপানার নীলচ�-বেগুনী ফুলগুল� সত্যিই গোলাপে� চেয়� সুন্দর! আর কি সহ� সর� সে� গ্রামে� মানু�! তারা কবিত� পড়েনি, তা� বল� তাদে� কো� হতাশ� ছি� না কখনো� তাদে� রাজা হওয়ার স্বপ্ন ছি� না, তারা স্বপ্ন দেখত ভাতে�...মধুর মত� ভাতে� স্বপ্ন!

কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন এলোমেল� হয়ে গে�...

“আমা� চো� অন্ধ আসছে চব্বিশ বছ� আগের বোবা জলে। গল� ফুলে উঠছে ঠি� সে দিনে� মত�, ৬ই আঘ্রানের মত�, যে-দি� তুমি চল� গেলে� তুমি আজ� আছ�, আমার চোখে� তারায়, বুকে� বা�-পাশে�"


এই লাইনগুলো লিখত� গিয়� লেখক নিশ্চয়ই কেঁদেছেন! স্বপ্নের মত� এই স্মৃতিমাখা বইটি� শেষট� এত� মন খারা� কর� হল কে�?
Profile Image for Protyasha.
Author1 book50 followers
April 20, 2019
বেলাভর নানা� গবেষণা পত্র, প্রাকৃতি� সম্পদে� তত্ত্ব-তালা� পড়ে-কর� মন অত্যন্� ক্লান্� হয়েছিল। মিষ্টি খাবারে যেমন আসক্তি থাকে, কফিত� যেমন আসক্তি থাকে, তেমন একটা আসক্তি বো� করছিলা� হালক� কিছু একটা পড়া� জন্য� মাথা না, মন শীতল করার জন্য� এট�-সেটা নেড়� শেষে মন� পড়ল 'ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না' বইটা অর্ধেক পড়ে রেখে দিয়েছিলাম� ছো� বেলায় যেমন ডিমে� তরকারি খাওয়া� সময় কুসু� জিইয়ে রাখতাম ব্যাপারট� অনেকটা ওরকম ছিল। মন� পড়তেই কুসুমট� ফে� হাতে নিলাম।

মন� হল� হৃৎপিণ্ডটা মাঝখান দিয়� দু� টুকর� হয়ে গেলো� বইটা� প্রথমার্� কী আরাম পড়তে। কী রঙিন সব শব্দ! কী সুন্দর সু� ভাবে�! কী দারু� গন্ধ কথার! কিন্তু শেষার্� কী করুণ� শৈশব স্মৃতি বিজড়ি� মামা� বাড়ির গ্রামট� তা� করুণ পরিণতি নিয়� হাজা� তম বারে� মত� পুরো চো�-মন-মাথা সব অধিকার কর� ফেললো। আজাদ শেষে� দু� পাতা লিখেছে� তা� রারিকালে� আঞ্চলি� ভাষায়� হায়! হায়! হায়! আমার শৈশবের ভাষায় আমিও কত ব্যক্তিগ� পাতা ভরাট করেছ�! বুঝত� পারি কে� এই প্রবণত� তৈরি হয়। কো� ভাষায় হাহাকা� ঠি� রূ� পায় বুঝত� পারি�

তরুণ রাতে� হাসনাহেনার গন্ধ শুদ্� ভাষায় পাওয়া যেতে� পারে� নতুন ভোরে� শিউলির রঙ প্রমিত বাংলায� দেখানো যেতে� পারে� কিন্তু শৈশবের নদী যখ� রুগ্� হয়ে, কেমিক্যা�-বর্জ্য ঠেসে মরতে বস� তখ� ঠি� ভদ্রজনের ভাষায় কান্না করতে ইচ্ছ� কর� না�

"আম� আছিলাম পোনর বচ্ছ� ছয� মা� তোমা� ভিৎরে। থাকু� পোনর � বচ্ছর। আমার যে মন পোড়ে। ... আম� খালি শপ্ন দেহি, খালি তোমারে দেহি রারিকাল।"
Profile Image for Neela.
80 reviews57 followers
January 11, 2024
আমার মন খারা� হলেই আম� দো�-জানালা বন্ধ কর� মোবাইল� এই বইটি� অডিওবু� ছেড়� চুপচাপ বস� থাকি! এতদি� পর্যন্� মণীন্দ্� গুপ্তে� 'অক্ষয় মালবেরী' ছিলো আমার মন ��ারাপের অবসা�, এখ� থেকে এই তালিকায় 'ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না'� জায়গা কর� নিলো� এত অসাধার�, এত মায়� জড়ানো একটা বই!!
আম� খু� গর্ব বো� কর�, নব্��ই এর দশকে� মোটামুটি আধুনিক পৃথিবীতে জন্ম নিয়েও হুমায়ুন আজাদের মত এত দারু� একটা শৈশব, কৈশো� আম� পেয়েছি। বইটি পড়ত� গিয়� মন� হয়েছে যে� আম� আমার কৈশোরবেলাকেই চোখে� সামন� দেখত� পাচ্ছি� আম� খু� প্রাউড ফী� কর� যে, মেয়� হওয়� সত্ত্বেও গ্রামী� স্টিরিওটাইপে� বাইর� গিয়� আমার পিতা মাতা আমাক� আমার কৈশো� পূর্� উপভো� করার স্বাধীনত� দিয়েছ�!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া� বি� অঞ্চলে জন্ম বল� খালে বিলে ঘুরে মা� ধর�, খেজু� গাছে� নিচে দাঁড়িয়� হা কর� খেজুরে� রস খাওয়া, নিজে নিজে নৌকা বেয়� স্কুলে যাওয়া, দুয়াই� (আমাদের গ্রামে অবশ্� এক� আন্ত� বল�) পেতে ইচ� মা� ধর�, বাড়ির পাশে ধানক্ষেত� কা� কর� লোকেদে� সংগে মিলে ধানে� চারা উঠান�, গর� দিয়� ধা� মাড়াই এই সব আমার করার � দেখা� অভিজ্ঞতা হয়েছে�

ঝাড়বাতি� মত ফুটে থাকা কচুরিপানার ফু� দেখে, পানি� উপ� বিছিয়� থাকা হিজল ফুলে� আস্ত� দেখে কিংব� তালপাতার ঠেলাগাড়িত� চড়ে কি যে আনন্� পেয়েছ�, এই বইটি পড়ে সে� পুরন� স্মৃতিগুলোয় আবার� ফিরে গেলাম।

এই বইটি আজীবন আমার অন্যতম প্রিয় বই হয়ে থাকব�! ধন্যবা� হুমায়ুন আজাদকে স্মৃতি� রোলা� কোস্টারে আবার� ঘুরিয়� আনার জন্য!
Profile Image for মাশুদুল Haque.
Author19 books948 followers
March 15, 2016
ছেলেবেলা� স্মৃতিকথ� কত জনাই তো লিখেছে, কিন্তু এম� হৃদয়হরণ করতে পেরেছে কয়ট� বই� হুমায়ুন আজাদ তা� মেয়েক� পিতা হিসেবে শুনিয়েছ� তা� রাঢ়িখালের বেড়� ওঠার গল্প, আজাদের ভাষায় �' শোনো মৌলি, তোমাকে বল�, তোমা� মত আমিও ছিলা� ছো�, ছিলা� গ্রামে, গাঁয়ে, যেখানে মে� নামে সবুজ হয়ে নী� হয়ে...তুমি দেখোনি আকাশ� কি কর� মে� জম�, আহ্লাদ� কতটা রঙিন হত� পারে ডালি� ফু�...তুমি জানো না, কোনোদি� জানব� না, কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে।...'

আমার পড়া শ্রেষ্� শৈশব স্মৃতিচারণ
Profile Image for Zunaed.
54 reviews108 followers
September 6, 2016
কিছু কিছু বই মানুষক� নস্টালজি� কর� দেয়� নিয়� যায় হারানো অতীতে, মাঝে মাঝে� যে অতী� স্বপ্ন� ধর� দেয় বর্তমা� হয়ে� এমনই মন খারা� আর নস্টালজি� কর� বই এটা।

জীবন আর সময়ের দাবী মেটাতে গিয়� আজ আম� ঢাকাবাসী� কিন্তু এই শহ� নিয়� আমার সু� বা দুঃখের কোনো স্মৃতি নেই। আছ� হারাবা� অভিজ্ঞতা- আমার প্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরক� ফেলে আসার অভিজ্ঞতা- যেখানে আম� কাটিয়েছ� আমার পুরো স্কুলজীবন�

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর। আগ� ছি� মহকুমা� এখনও ছোটো� এখনও সবুজ� এখনও মা� আর পুকুরে ভরা।

তখ� আম� ক্লা� থ্রি কি ফোরে পড়ি� ঘুরত� ঘুরত� একবা� পেরিয়� গেলা� শহর। কোনো এক অজ্ঞাত কারণ� কোনো এক জায়গায় মাটি ফেলে উঁচু কর� হয়েছিল। ঠি� ছোটো টিলা� মত� তাতে আবার ছোটো একটা ঝাড়ের� জন্ম হয়েছিল।

তখনও আম� পাহাড় দেখিনি� তা� সেটা� ছি� আমার পাহাড়� স্কুলে ম্যাপে দেখেছিলা� ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেরিয়� সিলে� যাওয়া যায়� এইতো এতটুকু দূরে- এক কি দু� ইঞ্চ�! সেখানে অনেক অনেক পাহাড়� বড�, ছোটো� পাহাড়� অনেক গাছ। তব� কী আমরা হাঁটতে হাঁটতে সিলে� চল� এসেছ�!

সেদিনই দেখলাম তিতা� গ্যাসফিল্ডের শিখা� এগিয়ে যাচ্ছিলা� শিখা� দিকে� যেতে যেতে আটকে গেলাম। সামন� পড়ল নদী� তিতা� নদী� শৈশবের নদী�

এই নদী� বুকে নৌকো চেপে গ্রামে গেছি� এই নদীতে উপ� দিয়েই একদি� গ্রা� ছেড়� শহরে এসেছিলাম� এই নদীতে বালুবোঝা� বড� নৌকা দেখে অবাক হই, মাঝে মাঝে পালতোল� নৌকা দেখে মুগ্� হই� ধীরে ধীরে ভালোবেসে ফেলি নদীকে� তা� বর্ষার জোয়ার যেমন আমার বুকে ডুবে যাওয়া� ভয� জাগায়, তেমন� চৈত্রে� শুকন� নদী ভয� জাগায়, নদীটা� ডুবে যাবে না তো?

কালভৈর� নামে এক মন্দির আছে। তাতে আছ� এক বিশা� দেবমূর্তি। শিশু আম� সে� মূর্তি দেখে খানিকক্ষ� শব্দহী� হয়ে ছিলাম। এত বড� মূর্তি� মানু� বানাতে পারে!

বাড়ির বড� ছেলে আমি। তা� বয়সের অধিকারেছোটোদের চেয়� বেশি জানতাম, সব ব্যাপারে জ্ঞা� দিতা� ছোটোদের। তাদে� সব প্রশ্নের উত্ত� যে আমাকেই দিতে হব�, তা� সবসময় প্রস্তুত থাকো� জানল� জানা�, নইলে উত্ত� বানাও। উত্ত� বানাতে বানাতে নিজে� ফ্যান্টাসি� একটা জগৎই বানিয়� ফেলেছিলাম।

প্রাইমার� স্কুলে থাকত� আব্বুর উপ� রা� হত� "বাসায় ডি� লাইন আন� না কে�?" এখ� মন� মন� আব্বুক� ধন্যবা� দি�, স্যাটেলাইটের কাছে আমার শৈশবকে শে� না কর� দেয়ায়।

আজ আম� নে� প্রিয় শহরে� শহরটাও নে� আমার স্বপ্নের মত� নদী� পাড় ঘেষে হাঁটার পাকা রাস্তা হয়েছে, নদী আজ তা� নর্দমা� মত হা� মেনেছে� ঢে� আর তা� কূ� ছাপিয়� যায় না, শুকিয়েও সে ছোটো হয� না� সে� টিলাটা আজ আর� উঁচু হয়েছে� মাটি দিয়� নয�, কংক্রিটে� এখ� সেখানে সবুজ নে�, আছ� রঙিন বহুত� ভবন। দিনে দিনে প্রিয় শহরও হচ্ছ� অন্ধকা� বস্তি।

বইটা পড়ত� পড়ত� নষ্টালজি� হয়েছি, মন খারা� করেছ� সে� সুদিনে� স্মৃতি� কথ� ভেবে� আবার আশ� দেখেছি� হুমায়ুন আজাদের সাথে সাথে নিজে� মন� মন� বলেছিঃ

বেশি আর দেরি হই� না� আম� বাইরতে আহুম� শুক্কু� নাইল� শনিবার আহুম� বাইরতে�

তোমা� দুদমাক� ভা� ঢাইক্ক� রাইক্ক� দেইক্ক কাউয়ায় জ্যা� না খায়� দুদমাক� ভা� খাইত� আহুম� শবরি কল� দিয়� মাইক্ক, কতদি� আম� দুদমাক� ভা� খা� না�

রারিকাল। রারিকাল। আম� কত ডা� পারি� তুমি ক্যা� হুমই� দ্যা� না?
Profile Image for Arupratan.
216 reviews352 followers
August 30, 2023
বাংল� গদ্যের সর্বকালে� শ্রেষ্� উদাহরণগুলো� মধ্য� একটা�
এই বই বারবার পড়া যায়�
ফিরে ফিরে পড়া যায়�
অনেকবা� পড়লেও এই গদ্যের অমোঘ মায়� অনুক্ষ� অনুসরণ করতে থাকে আমার কংক্রিটে ঢাকা পাঠকসত্তাকে।
দুর্দান্�!!
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
347 reviews264 followers
October 11, 2014
সবুজ - বর্ণিল - মায়াময় - পিছুটানে বাঁধ� পড়া একটা বই� প্রস্ত� জাতীয় মানু� হওয়াত� বই পড়ে চো� মুছে ফেলা� সৌভাগ্� আমার খু�-খু�-খু� কম হয়। এই বইটা এম� সৌভাগ্� বয়ে আন� একটা বই ছিল।

জোনাকি পোকা আছ� এম� গ্রা� দেখা� ইচ্ছ� আমাক� বে� কিছুদি� ধর� শক্ত কর� পেয়� বসেছে। আর এই বইটা পড়ে তেষ্টায় আমার গল� শুকিয়� যাচ্ছে এখন। কিন্তু আমার যে সময়, সুযো� কিছু� নেই। রাড়িখাল যেমন হুমানক� ডাকে, আমাক� কে� ডাকে না, ডাকা� কথ� না! কিন্তু আম� কা� ডা� শুনি...??
Profile Image for Rumana Nasrin.
159 reviews7 followers
April 16, 2019
"মনপুরা" সিনেমা দেখছ� হল� বস�, আমার পাশে দু� শহুর� বন্ধ� থেকে থেকে উচ্ছ্বসি� হয়ে যাচ্ছিলো� ওর� নির্বিকা� আমাক� দেখে একবাক্যে বল� দিলো, তু� নিতান্তই আবেগহী� একটা মানুষ। আম� হেসেছিলা� বোকা� মতো। পর� বললা�, আম� বাড়ির পিছন� পদ্মার পাড়� দাঁড়ালে এর চেয়েও সুন্দর একটা চর দেখি, মনপুরা� চর দেখে আবেগ আমার আসবে না� তখ� অবিশ্বাসের দৃষ্টি দিলে� ওদের একজন সে� চর থেকে ঘুরে এস� আমার কথ� মেনে নিয়েছে। আমার বাড়ির কথ�, গ্রামে� কথ�, রাস্তা� ধারে� বুনো ফুলে� কথ�, বৃষ্টি� জম� থাকা জলের কথ�, পুকুরে� মাছে� কথ�, আমার নিজে� হাতে লাগানো ফু� গাছে� কথ� মন� করিয়ে দিলো আবার হুমায়ুন আজাদের স্মৃতিকথারা।

এই যন্ত্রের জঙ্গলে বা� আমার অনেক বছরে�, কিন্তু জীবনের আঠারোট� শ্রেষ্� বছ� আমার কেটেছে পদ্মার পাড়ের এক প্রত্যন্� গ্রামে যেখানে বিজলিবাত� এসেছ� ২০০৬ সালে� আমার শিউল� ফুলে� গা� আর বেলীফুলে� ঝাড় আমার পিতা� বিল্ডিংয়ে� নিচে চাপা পড়ে গেলে� এখনো তাদে� সুবা� আমাক� তাড়� কর� ফেরে� বাড়� গেলে অন্ধকা� রাতে� আকাশ� জ্বলতে থাকা কোটি তারারা আমাক� মন� করায� আম� নিজেকে আসলে ওখানেই রেখে আসি। অনেক কিছু মন� আসছে কিন্তু লিখত� ইচ্ছ� করছে না�

রিডার্� ব্লক চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কাটাচ্ছি একটু একটু করে। প্রত্যাশ� আর আমার পছন্দে� বইয়ের ধর� অনেকটা� একরকম। � জানে এই বই ভালো না লাগা� কিছু না�, সেজন্য� রেকমেন্ড করেছে। ওর জন্য ভালোবাসা�
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
339 reviews30 followers
January 28, 2023
এখনে� মত যান্ত্রি� জীবন তখ� ছি� না, ছি� না অত� আধুনিকতা� ছোঁয়া সে� সব গ্রা� বাংলায়। জীবন ছি� সহ� সর� তব� বেঁচ� থাকা� লড়া� এর থেকে টিকে থাকা� লড়াইট� ছি� বেশী� তব� শৈশব কৈশো� ছিলো অসম্ভব আনন্দে ভরপুর।
যেখানে গোলা� ফুলে� থেকে কচুরিপানার ফু� বেশী সুন্দর� স্মৃতিতে থাকা টিনে� চালে� শব্দ কা� কর� ঘুমে� ঔষ� এর মত�

প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ এর " ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না" বইটা শৈশব এর স্মৃতি হাতড়ে ফেরা এক মধুর সময়কে মলাট বন্দী কর� রাখা� যা এখনে� ছেলে মেয়ের� শৈশব� এট� পায় না� তব� এই বইটাতে সে� সময়ের সাধারণ জীবন যাত্রা এক অমূল্য অনুভূতির ছোঁয়া দিয়� চলেছে।
ছো� বই তব� এত� অতুলনীয় এক স্বাদে� ছোঁয়া রয়েছে�
Profile Image for Titu Acharjee.
254 reviews31 followers
May 3, 2022
মাটি�,ফুলে�,হাওয়া�,মায়ের,গাঁয়ে� এব� শৈশবের গন্ধমাখা অপার্থিব সুন্দর এক বই�
Profile Image for Naziur Rahman.
Author1 book67 followers
October 5, 2014
আরেকটা কামড়ে ধর� বই পেলা�! শৈশব কামড়ে ধর� বই! আমার শৈশব আমার আজকে� সময়ের প্রায় সক� বন্ধুদের শৈশবের তুলনায� বে� খানিকট� সমৃদ্ধ� আম� না গ্রা�-না মফস্বল ধরনে� একটা জায়গায় বড� হওয়� বাচ্চা... কাচাবাড়�, পাকাবাড়�, পুকু�,খে�-খামা�, বড� ইসকু�,ইসকু� মা�,মা� জুড়� দৌড়� বেড়ান�, রাতে� খোলামাঠে জোছন�, ডাংগুল�-মার্বে�-সাতচার�-কাবাডি, ছো� বড� টিলা, ভাড়ায� পাওয়া সাইকেল, সিগারেটে� কাগজ কুড়ান�, ঈদ� দোকানে অনেক অনেক খেলন�, দু টাকা চারটাক� সেলামি� জন্য দল বেঁধ� বাড়� বাড়� ঘুরে বেড়ান�,বোশেখে ছো� খা� মেলা, ক্রিকে�-ফুটব�-গুলত�, বাশে� কঞ্চ� (কাইম) দিয়� তলোয়া� বানিয়� ঢো� কলমি� জা� উদ্ধার... আর� আর� কত কি!!!
তবুও এই বই পড়ে হাহাকা� ধর� যায়... নিজে� শৈশবের প্রাপ্তিটুকু� হাহাকা�, না পাওয়াটুকু� হাহাকা�, দূরে অনেক দূরে পালিয়� যাবা� হাহাকা�... কত শত হাহাকা�!
অরণ্যকের মত এই আরেকটা বইয়ের প্রকৃতির বর্ননা যে� পেয়� বস� একেবার�... মাছরাঙ� চোখে� সামন� ভেসে ওঠ�, ফুলে� গন্ধ পাওয়া, খেজু� রসের মৌ মৌ গন্ধ! আর� কত কি!! হাহ্�......


শে� অধ্যায়ট� পাঠককে একেবার� খু� কর� ফেলে...... লেখক� বোধয� বা� বা� ভিতর� দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলে� � অধ্যায� লিখত� গিয়�! এম� একটা বই... এম� একটা জীবন... এম� একটা স্মৃতি... কখনো শে� হয়ে যাবে ব্যাপারট� মেনে নেয়� যায় না... কখনো না�
Profile Image for Asma Akhi.
203 reviews459 followers
February 17, 2017
বাঁশবাগানে� মাথা� উপ� চাঁদ উঠেছ� ওই
মাগো, আমার শোলক-বল� কাজল� দিদি কই?
পুকু� ধারে, নেবু� তল� থোকায় থোকায় জোনা� জ্বল�,
ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলে� কাছে কাজল� দিদি কই?

"আমার প্রথ� শোকে� কবিতার না� 'কাজল�-দিদি'।তখন� আমার শোকে� অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু কবিতাট� পড়া� পর� শোকে ছেয়� গেলো সবকিছু� এত� সুন্দর ছব�, আর তা� ভেতর� এম� শো� আর কোথায় পাওয়া যাবে বাংল� ভাষায়?"

বাংল� ভাষায় এত� সুন্দর কর� শৈশব স্মৃতিচারণ আমার মন� হয়ন� আর কে� করেছ�, যা পাঠককে� তা� শৈশবের কথ� মন� করিয়ে দেয়!লেখকের মত�, আমিও ছোটবেলায� অনেক কবিত�-পাগল ছিলাম।'কাজল�-দিদি', ছিন্নমুকুল আমার� অনেক প্রিয় কবিতা।

কিন্তু শেষট� এম� হয� কে�!!! এত� সুন্দরের ভেতর এত� কান্না�

"আম� খালি শপ্ন দেহি, খালি তোমারে দেহি রারিকাল।
বইন্নাফুলে শাদা অয� ফাগু� আর চৈ� মা�? ইজলে� রাঙ্গা ফু� ভাইসসা যায় ম্যাগে� পানিতে?
রারিকাল।আম� কত ডা� পারি� তুমি ক্যা� হুমই� দ্যা� না?"

বইটা পড়া� সময় আমার অবস্থা - "আম� তখ� ভিজে গেছি চোখে� জলে। যে জলের দা� এখনো লেগে আছে।"
Profile Image for Monisha Mohtarema.
84 reviews3 followers
May 23, 2024
'মৌলি, তোমাকে বল�, তোমা� মতোই আম� এক সময় ছিলা�-ছো�, ছিলা� গাঁয়ে, যেখানে মে� নামে সবুজ হয়ে নী� হয়ে লম্ব� হয়ে বাঁক� হয়ে শাপল� ফোটে; আর রাতে চাঁদ ওঠ� শাদা বেলুনে� মতো। ওড়ে খেজু� গাছে� ডালে� অনেক ওপরে� যেখানে এপাশ� পুকু� ওপাশ� ঘরবাড়ি। একটু দূরে মাঠে ধা� সবুজ ঘা� কুমড়ো� হলদে ফুল। একটা খা� পুকু� থেকে বে� হয়ে পুঁটিমাছের লা� আর খলশে� ঝাঁক নিয়� চল� গেছে বিলে� দিকে� তা� উপ� একটি কাঠে� সাঁকো। নিচে সাঁকোর টলোমলো ছায়া। তা� না� গ্রাম।'



'তুমি জানো না, কোনোদি� জানব� না,কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। তুমি শিশি� দেখো নি, কুয়াশ� দেখো নি, কচুর� ফু� দেখো নি� তুমি ধানে� শী� দেখেছো টেলিভিশন�, চি� দেখেছো ছবির বইতে� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস ঝরতে দেখো নি, পুকুরে দেখো নি মাছে� লাফে� দৃশ্য। তুমি জানো না কেমন লাগে উথাল-পাতা� ঢেউয়ে� দিকে তাকিয়� থাকত�, আর কেমন লাগে একটি পাখি� পেছন� ছুটে ছুটে সকালকে দুপুরে� দিকে গড়িয়� দিতে� আম� জানি; - না আম� জানতাম�

এখ� তো আম� জড়িয়� আছ� শহরে; আমার পায়ের নিচে শক্ত কংক্রি�,চোখে নিঅন আল�, চারদিক� গো� গো� কর� ট্রাকে� উল্লাস� কত� দি� আম�, তোমা� মতোই চাঁদ দেখিনি� শহরে কি চাঁদ ওঠ�? কুয়াশ� নামত� দেখি নি দুধে� সরের মত�, পদ্মার পারে দেখি নি ধবধব� কাশফুলের সাদা মেঘ। কত� দি� দেখি নি ধানে� গুচ্�, তারা� গুচ্ছে� মতো। কিন্তু যখ� আম� হাঁট�, বিকেলে বেড়াই, বই পড়ি, ঘুমোতে যা�, গড়া� স্বপ্নের কথ� ভেবে ভেবে, তখ� আম� একটি ফুলে� গন্ধ পাই। সে-ফু� আমার গ্রা�, সে-ফু� আমার গাঁ।আমার ছোটোবেলা� গ্রাম। রাড়িখাল�'

কি অপূর্ব !ছব� মত� গ্রা�,সুখস্মৃত� আর মুগ্ধত�..
আম� নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মন� কর� এই গ্রামে� ছব� আম� দেখেছি।একট� সুন্দর গ্রামে� কথ� আসলে আমার চোখে� সামন� ভেসে ওঠ� আমার দাদুবাড়ির কথ�!যে গ্রা� আসলে� ছবির মতোই সুন্দর।কাঁকড়া নদী,নদী� পাড়� বিশা� শিমু� গা�,মন� হয� আকাশ� লা� ফুলে� সামিয়ান� আর নিচে তারই গালিচা,ধানক্ষেত,পুকুরপাড�,তেঁতুল গা�,আকাঁবাঁক� পথ আর� কত কি!।ঠিক কো� উপমায় বর্ণনা করলে ঠিকঠাক সে� অপার্থিব সৌন্দর্য প্রকাশ পে� আমার জানা নেই।এই সুখস্মৃত� আজীবন লালন কর� এসেছ�,ভবিষ্যতে� করবো।❤�
7 reviews
April 27, 2023
বইটা শে� করতে ইচ্ছ� করতোনা, মন� হত� ইশ পড়ে ফেললেই তো শে� হয়ে যাবে এত সুন্দর বইটি আর হারিয়� যাবে চোখে� সামন� গড়ে ওঠ� আমার ছোটবেলার রূপকথা� গ্রামী� রাজ্� � আজ পড়া শে� হয়ে� এল� ; আর মনটা হুহু কর� উঠলো ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়ি� কলকাকলিত� মুখর আমার গ্রা� মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এর জন্য� যেখানে আর কোনোদি� আমগাছে� তল� নানাভা� এর পাতানো দোলনায� দুলবেন� আমাদের ভা� বোনে� দেহ। ক্ষেতে� আই� ধর� আর হাঁট� হবেন� সে� গ্রামে � এখ��� গ্রা� � ক্ষে� নে� , নে� ছেলেবেলায় দেখা খা� বি� ; সব বালিতে ভরাট হয়ে গড়ে উঠেছ� মানুষে� বসতভিট�, দালানকোঠা। গ্রা� এখ� মৃ� , আর পুরন� মানুষেরা� � বইটা পড়া� সময় বারবার মন� হচ্ছিল ; বুড়� সেতারা� মা ফোকল� দাঁত� হেসে ছন মাথায় বাড়� পা� হওয়ার সময় আর কোনোদি� বলবেনা নানু� বাসায় যাইও আচার খাইত� দিবন� , নানাভা� এর বাল্� বন্ধ� পচ� নানা আর কোনোদি� তা� মেছো ভুতে� কাহিনী শোনাবে না, আমার নানাভা� আর কখনো বলবেনা চিত্তা� দোকানে� দই , রসমালা� আনছি তগোর লাইগ� খাইয়া দে� কি মিষ্টি ! ঢাকায় তো এম� মিষ্টি পাবিনা ,
আর কখনো নানু� হা� ধর� বৈশাখি মেলায় যাওয়া হবেন� , ধলেশ্বরী� জল� আর সাঁতার শিখত� নিয়� যাবেনা আমার মরহু� নানাভাই।
তা� লেখকের মত� আমার � বারবার মন কেঁদ� উঠেছ� ছোটবেলায� দেখা সে� গ্রামে� জন্য � গ্রা� এর সক� মানু� যারা আর কোনোদি� আমাদের মাঝে ফিরবেন� তাদে� জন্য রইলো আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধ� � ভালোবাসা�

পরিশেষ� বলতে চা� এত সাধারনের মাঝে অসাধার� একটা বই সবার জীবন� একবা� হলেও পড়া উচিত বল� আমার মন� হয়েছে �
Profile Image for Ummea Salma.
117 reviews113 followers
June 7, 2023
"তুমি জানো না, কোনদিন জানব� না, কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� উপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। তুমি শিশি� দেখো নি, কুয়াশ� দেখো নি, কচুর� ফু� দেখো নি� তুমি ধানে� শী� দেখেছো টেলিভিশন�, চি� দেখেছো ছবির বইতে� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস ঝরতে দেখো নি, পুকুরে দেখো নি মাছে� লাফে� দৃশ্য। তুমি জানো না কেমন লাগে উথাল-পাতা� ঢে� এর দিকে তাকিয়� থাকত�, আর কেমন লাগে একটি পাখি� পেছন� ছুটে ছুটে সকালকে দুপুরে� দিকে গড়িয়� দিতে� আম� জানি; - না আম� জানতাম"

এই বইটা একদম অক্ষয় মালবের� আর আরণ্যক এর মত� ঠি� সে রক� বই যা শে� করার পর � মায়� মাখা একটা অনুভূত� আজীবন নিজে� সাথে রয়ে যায়�
Profile Image for Md. Rahat  Khan.
96 reviews26 followers
February 17, 2021
এক চিত্রকরে� রঙ ছলকে উপচে পড়া স্মৃতি,
কালো কালিতে আঁকা ঝরঝর� কান্না
রাড়িখাল, রাড়িখালের ছব�,
হুমায়ুন আজাদ, ধন্যবা�!
চিত্রক� লেখক কিংব� কব�!
Profile Image for Adham Alif.
314 reviews62 followers
September 24, 2023
“আসল� আম� এই নাগরিক যন্ত্রজীবনের অর্থহী� প্রতিযোগিত� এব� অর্থহী� কোলাহলের কে� নই;
একদি� গ্রা� থেকে এই যক্ষপুরী� গহ্বরে এস� ঢুকে পড়েছিলাম। তারপ� আর বেরোতে� পারলাম না� প্রতিমুহূর্তেই ভেতর� ভেতর� তা� চা� চা� একটা অন্ধকা� যন্ত্রণা অনুভ� করি। কোথায় গেলো আমার সে� ইছামতী নদী? বাদুড়িয়া শ্মশান কিংব� ভাঙা ভাঙা জীর্� ধ্বংসস্তূপ"


হুমায়ূন আজাদের এই স্মৃতিচারণ� পড়ত� গিয়� জহ� সেনে� এই রচনা� কথ� মন� পড়ে গেল। আমরা যারা গ্রামে� অতী� নিয়� শহুর� জীবন কাটা� তাদে� সবাই বোধহয় এরকম স্মৃতিকাতরতায় ভুগি�
Profile Image for Ratika Khandoker.
253 reviews24 followers
August 4, 2024
বইখানা আসলে � তারক� দিয়� মূল্যায়� কর� কোনোভাবে� সম্ভ� নয়।এতদি� খুঁজেফির� এম� কোনো যুতস� শব্দগুচ্� � পেলা� না যে এই বইয়ের পা� প্রতিক্রিয়া জানাই।
কিভাবে অক্ষ� দিয়� শব্দ সাজিয়� লিখি লেখকের গ্রা� রাড়িখাল কেমন কর� আমার অন্তরে মিশে গেলো?
কেমন কর� মেয়েক� লেখা লেখকের চিঠিগুলো পাখি� ডানা হয়ে আমাক� উড়িয়� নিয়� ফেলল� আড়িয়াল বিলে� পাশে?
কে� কি বিশ্বা� করবে,রাড়িখালের পৌষে� কুয়াশায�,খেজু� রস গন্ধের বাতাসে বুকভরে শ্বা� নিতে যেয়� বুকট� আমার হু হু কর� উঠলো?কিভাবে� বা বুঝা� কি মোহনীয় স্মৃতিকাতরতায়,মমতা-বিষাদে,প্রকৃতির রূ�-রস-গন্ধ� পূর্� ছোট্� এই বই,কি বিশা� এক ঘূর্নিপা� তৈরি কর� মনের মধ্য�,আর কিভাবে তা একসময় দু'চো� বেয়� কপোল ভিজায়?

শুধু এবছরের-� নয�,� জীবনের পড়া শ্রেষ্� বইয়ের তালিকায় থাকব� বইটি।এ এক অন্য হুমায়ুন আজাদ,এঁকে আপনাদে� জানতেই হবে।

বইখানা যখ� শুরু করেছিলাম,তখ� নিত্� সময় আকাশের বুকে হেলিকপ্টারের টহ�,কা� পাতলেই গোলাগুলি � আওয়াজ।ঠিক এম� একটা সময়�,রাড়িখালের জল-হাওয়া যে ক্ষণিকের প্রশান্ত� এন� দিলো,তা ভুলা� নয়।

একদি�,কোনো একদি�,
আড়িয়াল বিলে� ধারে অপেক্ষমা� মাছরাংগা� মতোই শান্�-স্থি� হব� দেশট�,তখ� না হয� শান্� মন� আরেকবা� ঘুরে আসবো লেখকের ছেলেবেলা�
Profile Image for Prithvi Shams.
109 reviews103 followers
April 17, 2014
হুমায়ুন আজাদের "ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না" - মাত্� ৫৬ পৃষ্ঠা� বই, কিন্তু প্রতিদিন আম� � কি � পাতা কর� পড়ি; কারণ এর চেয়� বেশি পড়ল� বইটা শে� হয়ে যাবে, আম� চা� না বইটা শে� হোক। এরকম আকুল, মর্মভেদী স্মৃতিচারণ আর পড়িনি, বস্তুত, এটাই আমার পা� কর� প্রথ� স্মৃতিচারণ; কিন্তু আম� উপলদ্ধ� কর� যে এই রোমন্থ� এতটা� ব্যক্তিগ�, এতটা� আন্তরি� যে আর দশটা বইয়ের মত এক� ভা�-খারা�, � তারা-১০তারা দিয়� মূল্যায়� কর� সম্ভ� না� প্রতিট� শব্দ, প্রতিট� বাক্� যে� হৃদয� নিঙড়ে নিষ্ক্রান্ত। পড়া� সময় মনের পর্দায� যাদুবাস্তবতা� ছায়� উকিঝুঁকি দিচ্ছি�, তব� স্মৃতি� বর্ণিল আয়নায� অতীতে� যাদুময়ত� আর বাস্তবতা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়; এখান� যাহা যাদু, তাহা� বাস্তব�

বইটা শিশুসাহিত্� হিসেবে� লেখা হয়েছি�, কিন্তু কো� একটা পর্যায়ে বইটা আর শিশুতো� থাকেনি� অস্তিত্বের সন্তাপ� সংবিগ্� মানু� যারা হারানো সময়ের নিরাপদ আশ্রয়� ফিরত� চায়, লেখকের আনমন� বইটি তাদে� প্রতিই উৎসৃষ্� হয়েছে�
Profile Image for Akash.
430 reviews131 followers
November 30, 2022
স্মৃতিকাতরতা যে কত্ত বিশা� আনন্� দিতে পারে তা এই বই না পড়ল� জীবনেও উপলদ্ধ� করতে পারতাম না� পড়া শুরু করছিলা� আনন্দাশ্রু দিয়� কিন্তু শে� করলা� বেদনাশ্র� দিয়ে। ভিতরের মন-প্রা�, রক্ত, হাড়, কো� একটু হাসে আর একটু কাঁদে।

পরিবার সমেত গ্রা� ছাড়ছিলা� ২০১৫ সালে; তখ� কি গ্রা� ভাবছিল যে এই গ্রা� ত্যা� কর� পরিবার আর আসবে না তা� কোলে; ভাবে না� গ্রা�, কান্দে না� গ্রা�, গ্রামে� কা�-চি�-শকুন-চড়ুঁই, বড়ই-আম-নারকেল-সুপারি-তেতু� গা�, জোনা� পোকা; আর আস� হব� না; শহরই হব� গ্রা� ছেড়� আস� পরিবারটি� চিরস্থায়ী বাসস্থান হবে। আর এহ� গ্রা� কান্দে� আমরা আর কান্দি না� স্বার্থপ� পরিবার, স্বার্থপ� মানুষ।

টিনে� চা� নে� বল� এখ� আর ঘু� আস� না� ঘুমানো� জন্য আসছি গ্রা�; শুধু একটু বৃষ্টি দিও। পিছল� খেয়� আবার পড়ত� চা� উঠোনের কাঁদায়। আবার সন্ধায� জোনাকি পোকা ভরতে চা� বোতলে। আবার নদীতে কলাগাছের ভেলা দিয়� চড়ত� চাই। নদীতে কি পানি আছ�??? নদী কি আছ�???

Profile Image for হাঁটুপানির জলদস্যু.
275 reviews230 followers
July 11, 2017
এই বইটি নিজে� শৈশবের রাঢ়িখাল নিয়� হুমায়ুন আজাদের স্মৃতিচারণ� বইটি শিশুপাঠ্� মন� কর� লেখা হলেও এট� শিশুদে� জন্য� সহজপাচ্য না-� হত� পারে, একটি পর্যায়ে গিয়� এট� হয়ে গেছে নিজে� ভেতর� অশ্মীভূ� শিশুকে উদ্দেশ কর� লেখা মনোলোগ� তারপরও মন� কর� এই চমৎকার বইটি পরিচিত সক� স্কুলপড়ুয়াকে পড়ত� দেওয়া উচিত, সম্ভ� হল� স্কুলে র‍্যাপি� রিডা� হিসেবে অন্তর্ভুক্� কর� উচিত�
Profile Image for মোহতাসিম সিফাত.
154 reviews38 followers
May 22, 2024
আদরমাখ� বইটা উপহা� দিয়েছিলেন নওশি� আপু। উনাক� লিখেছিলা�, যেদি� আম� ছুটি পাবো, বাড়িত� যাবো, কোনো কা� থাকব� না, সেদি� বইটা পড়ব� আমি। আজ ভোরে ঝু� বৃষ্টি� শব্দ� ঘু� ভাঙ্গল� যখ�, এট� খুলে পড়া শুরু করলাম।
এই বইটা হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলে� তা� মেয়েক�, ছোট্� মানুষটিক� চেনাতে চেয়েছিলেন তাঁর শৈশবের গ্রামকে। গ্রামে বেড়� ওঠ� যে কারো মনের ভেতর খু� সুন্দর কর� দা� কেটে যাবে বইটা� এত্ত নিখুঁত বর্ণনা প্রতিট� সূক্ষ্� বিষয়ে� আমার ছোটবেলার গ্রামে� সাথে অনেকটা মি� খুঁজ� পেয়েছি। এই বইটা একটা স্মৃতি� রোলা� কোস্টা� রাইড� নিয়� যাচ্ছিল। হাসলাম, আনন্� পেলা�, মন খারা� হল� আমার অসম্ভব প্রিয় বইগুলো� একটি হয়ে গে� এই বইটা�

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকর�: এই বইটা পড়ে কিছু মাথায় না ঢুকল� আপনে একটা ফার্মে� ব্রয়লার মুরগি।
Profile Image for Masud Sojib.
35 reviews43 followers
February 7, 2015
স্মৃতি� প্রত� আমার পক্ষপাতিত্ত্� আছ�, বেদন� আছ�, বিষন্নতা আছ�, আছ� গোপন ভালোলাগা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা� তা� বল� যাপি� জীবনের সঞ্চিত সক� স্মৃতি অম্লান থাকেনি মনের ঘর�, কত স্মৃতি ধূসর হয়ে হারিয়� গেছে না� না জানা কো� সে অদেখ� অতলে� হারিয়� যাওয়া স্মৃতি� মিছিলে যে স্মৃতি আজ� এতটুকু অম্লান হয়ন�, সেটি আজাদের ”ফুলের গন্ধ� ঘু� আস� না� পাঠে� স্মৃতি� যে বই আমার ছেলেবেলা কে বিষন্নতায় ডেকে দিয়েছিল�, অন্ধকারে ডুবিয়� দিয়েছিল� প্রথ� যৌবন� সে� বই আজ এই পড়ন্ত বেলা� আমাক� এখনো আগের মত� বিষন্ন কর�, বুকে� মধ্য� হাহাকারে� কা� বোশেখী ঝড� তুলে, চোখে নোনা জল নিয়� আস�...এখনো যতবা� পড়ি ততবা� স্তব্ধ হয়ে যা�, ডুবে যা� কোমল বিষন্নতায়...নাগরিক জীবন� যত জড়িয়েছ� নিজেকে ততবেশি প্রিয় হয়ে উঠেছ� বইটি� বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রকৃত� আর ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া� বাসন� তীব্� করেছ� আজাদের ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না� প্রথ� লেখাতে� কি অদ্ভুদ ভালোলাগা� বিষন্নতা ছড়িয়� দিয়েছেন আজাদ� যেখানে তিনি মেয়েক� বলছে�...

ফুলে� গন্ধ

মৌলি, তেমাাক� বল�, তোমা� মতোই আম� এক সময় ছিলা�-ছোটো� ছিলা� গ্রামে, গাঁয়ে, যেখানে মে� নামে সবুজ হয়ে নী� হয়ে লম্ব� হয়ে বাঁক� হয়ে� শাপল� ফোটে; আর রাতে চাঁদ ওঠ� শাদা বেলুনে� মতো। ওঠ� খেজু� ডালে� অনেক ওপরে� যেখানে এপাশ� পুকু� ওপাশ� ঘরবাড়ি। একটু দূরে মাঠে ধা� সবুজ ঘা� কুমড়ো� হলদে ফুল। একটা খা� পুকু� থেকে বে� হয়ে পুঁটিমাছের লা� আর খলশে� ঝাঁক দিয়� চ’ল� গেছে বিলে� দিকে� তা� ওপ� একটা কাঠে� সাঁক�-নড়োবড়ো� নিচে সাঁকোর টলোমলো ছায়া। তা� না� গ্রাম। ওই গ্রামে, আম� ছিলা� কুড়� বছ� আগে। ছিলা� বোশেখে� রোদে, শাঙনের মেঘে� একদি� আম� কুমড়ো� ফু� ভুলে লাউয়ে� ডগার হাতছান� অবহেলা কর� চাঁদের দিকে পি� ফিরিয়� চ’ল� আস� শহরে-ঢাকায়-যেখানে তুমি আছ� তোমা� প্রথ� চিৎকার থেকে� তুমি দেখোনি আকাশ� কী কর� মে� জম�, আহ্লাদ� কতোট� রঙিন হত� পারে ডালি� ফুল। কেমন� পুকুরে� আকাশ� ধ্রুবতারার মত� জ্বলজ্বল কর� ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছরাঙা।

তুমি জানো না, কোনদিন জানব� না, কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। তুমি শিশি� দেখোনি, কুয়াশ� দেখোনি, কচুর� ফু� দেখোনি� তুমি ধানে� শি� দেখেছো টেলিভিশন�, চি� দেখেছো ছবির বইতে� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস ঝরতে দেখোনি, পুকুরে দেখো নি মাছে� লাফে� দৃশ্য। তুমি জানো না কেমন লা� উথালপাথা� ঢেউয়ে� দিকে তাকিয়� থাকত�, আর কেমন লাগে একটি পাখি� পেছন� ছুটে ছুটে সকালকে দুপুরে� দিকে গড়িয়� দিতে।আমি জানি;- না, আম� জানতাম� এখ� তো আম� জড়িয়� আছ� শহরে, আমার পায়ের নিচে শক্ত কংক্রি�, চোখে নিঅন আল�, চারদিক� গোঁগোঁ কর� ট্রাকে� উল্লাস� কত� দি� আম� তোমা� মতোই চাঁদ দেখেনি� শহরে কি চাঁদ ওঠ�? কুয়াশ� নামত� দেখেনি দুধে� সরের মত�, পদ্মার পারে দেখি নি ধবধব� কাশফুলের মেঘ। কত� দি� দেখিনি ধানে� গুচ্�, তারা� গুচ্ছে� মতো। কিন্তু যখ� আম� হাঁট�, বিকেলে বেড়াই, বই পড়ি, ঘুমাতে যা�, পড়া� স্বপ্নের কথ� ভেবে ভেবে, তখ� আম� একটি ফুলে� গন্ধ পাই। সে ফু� আমার গ্রা�, সে ফু� আমার গাঁ। আমার ছোটোবেলা� গ্রাম। রাড়িখাল� তা� গন্ধ ঢুকত� থাকে আমার রক্ত�, আমার মাংস�, স্বপ্ন� এব� সবকিছু এলোমেল�-আউলা-হয়ে যায়� তা� গন্ধ� আমার কাছে পৃথিবী�

এম� মোহনীয় লেখা কাকে নষ্টালজি� করবে না? কাকে ফিরিয়� নিয়� যাবে না নিজে� শৈশব�, নিজে� গ্রামে আর ছড়িয়� দিবে না বুকে নীরব একটা দীর্ঘশ্বাস? আম� তা� আজাদের ফুলে� গন্ধের মা� দিয়� নিজে� গ্রামে ফিরে যা�, নিজে� শিকড়ে� কাছে ফিরে যাই। আমার� চোখে ভেসে উঠ� নিজে� ফেলে আস� শৈশবের কথা। রস চুরি করছি, ধা� ক্ষেতে পানি সেঁচ� মা� ধরছি, শামু� খুঁজছি, সারাদি� পুকুরে ডুবে আছ�, মাঘে� শীতে খড়কুট� দিয়� আগুন পোহাচ্ছি, রসের পায়েস� ভর� উঠছি, এইতো খালে� পথ ধর� স্কুলে যাচ্ছি, হঠাৎ আমের গাছে না� না জানি পাখি� ডাকে থমকে দাঁড়িয়েছি। কোনদিন পাখি� বাসা থেকে ছানা নামিয়� আনছি, বাবা� পকেট কেটে কিংব� চুরি কর� ধা� বিক্রি কর� বাজারে দৌড় লাগাচ্ছি� সব স্মৃতি এস� জড়ো হয� মনের ক্যানভাস�, সবকিছুকে একাকার কর� দেয় ফুলে� গন্ধ� সে� ফু� আমার গ্রা�, সে� গন্ধ আমার শৈশব�

”সুখ � শোকে� কবিতা�

কবিতার সাথে বসবা� বোধহয় আমাদের প্রথ� দি� থেকেই। ছোটবেলায� মায়ের কোলে শুনা নানা� ছড়া আর কবিতায� রঙিন হয়ে থাকত� শৈশব� তারপ� বিদ্যালয়ে গিয়েও কবিতায� ডুবে থাকতাম সারাবেলা� আমাদের ছোটনদী চল� বাঁক� বাঁক�, কাঠবিড়ালি, ওই দেখা যায় তালগাছ, ভো� হল দো� খুলো� মত� অসংখ্য কবিত� আমাদের প্রথ� জীবনকে আলোকিত করেছিল�, নিয়� গিয়েছিল� কত কল্পলোকে� কবিত� মানে� ছিলো অপার্থিব সুখ। কিন্তু কবিতার সুখে� রে� না কাটতেই কাটতেই আমাদের পরিচিত হত� হয� অচেন�-অজনা শোকে� সাথে� সে� সু� আর শো� নিয়� হুমায়ুন আজাদ লিখেছে� সু� � শোকে� কবিতা। তিনি বলছে�...

কবিত� কোথায় পাওয়া যায়? বাঙল� পাঠ্যবইয়ে� ওই পাঠ্যব� ছিলো আমার ছোটবেলার কবিতার বই� এতোকাল যত� কবিত� পড়েছি সব� সুখে� কবিতা। পড়ল� মন ঝলমল কর� ওঠে। কিন্তু দুটো কবিত� বুকে� ভেতর জাগিয়� দেয় আর পুষে রাখে শোক। সারা পৃথিবী হয়ে ওঠ� একফোঁট� চোখে� জল� টলমল করতে থাকে� চোখে� পাতা ভিজে ওঠে। ঠোঁট কাপত� থাকে� বই বন্ধ কর� মু� ঢেকে রাখি, যাতে কে� দেখত� না পায়� আবার পড়া� সময় দেখি কবিতাটির পাতা ভিজে গেছে�

আমার প্রথ� শোকে� কবিতার না� “কাজলা দিদি”। কবির না� যতীন্দ্রমোহ� বাগচী� তখনও আমার শোকে� অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু কবিতাট পড়া� পর শোকে ছেয়� গেলো সবকিছু� এত� সুন্দর ছব�, আর তা� ভেতর� এম� শো� আর কোথায় পাওয়া যাবে বাঙল� ভাষায়?

বাঁশবাগানে� মাথা� উপ� চাঁদ উঠেছ� ওই, মাগো আমার শোলোকবলা কাজল� দিদি কই�?

--প্রশ্ন শুনে ধক কর� ওঠ� বুকটি। কোথায় সে, কোথায় সে? তারপরে� ছব� অবিক� নানা� বাড়ী�--

পুকু� ধারে নেবু� তল� থোকায় থোকায় জোনা� জ্বল�--ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না, একলা জেগে রই�

ভেসে আস� নানাবাড়ির গোরলেবুর ঝোপে� ছব�, উড়ছ� জোনাকি, জ্বলছে নিভছ�, আসছে লেবু� ঘ্রা�, ঘু� আসছে না�

সেদি� হত� দিদিরে আর কেনই বা না ডাকো, দিদি� কথায� আঁচল দিয়� মুখট� কে� ঢাকো ?

কে���ো ডাকে না, কেনো ডাকে না? কেনো আঁচল দিয়� ঢাকে মু�? দিদি কি নে�? শোলোকবাল� দিদি নে�? মর� গেছে? হ্যা�, বুঝত� পারি, মর� গেছে দিদি? তােই তো খাবা� সময় � আসেন� দিদি অনেক ডাকলেও আসেনা। আসবে না� আসবে না কোনদিন� এট� বোঝা� পর কী কর� চেপে রাখি চোখে� জল? কী কর� আর পড়ি পরের লাইনগুলো? ওই ছোট্� মেয়েট� , যে প্রশ্ন করছে মাকে, সে কি বুঝত� পেরেছে যে দিদি নে�? কোনোদি� থাকব� না, কোনোদি� পাওয়া যাবে না তাকে বাঁশবাগ���নে, পুকুরধার�, নেবু� তল�! কোনোদি� দিদি আর বলবে না শোলো�?

দিদি� মত� ফাঁক� দিয়� আমিও যদ� লুকো� গিয়�

--আর পড়ত� পারি না ওই কবিতা। চোখে� পানিতে ভিজে যায় বইয়ের পাতা, বাঁশবাগানে� মাথা� উপ� চাঁদ, জোনাকি� পাখা� ভুইচাপ� আর শিউল� গাছে� তল ভিজে যায় চোখে� জলে। বুলবুলিটার চো� টলমল কর� অশ্রুর মতো। ডুকর� ওঠ� বুক। অনেক রা� জেগে থাকি শুধু দিদি� মুখে� রূ� দেখব� ভেবে�

দিদি� কি সন্দুর না�! কাজল�-দিদি! চো� তা� কালো কাজল� দেখত� পা� তাকে� গায়ের রঙ � তা� কাজলের মত� কোমল� দিদি! আম� তোমা� শোলো� শুনবো। চিরকালের শো� হয়ে বুকে� ভেতর ঢুকে গেলো কবিতাটি। কি সুন্দর কবিতাটির ছবিগুলো। এত� সুন্দরের ভেতর এত� কান্না!

এই প্রথ� শোকে� পর� পেলা� আমার দ্বিতীয় শোক। দ্বিতীয় দু:খ। ছো� বুকট� এবার দুমড়ে-মুচড়ে গেলো� কবিতার না� ছিন্নমূল� কবির না� সত্যেন্দ্রনা� দত্ত � পর� শুনেছিলা� তা� উপাধ� নাকি ছিলো ছন্দের যাদুকর� আমার কাছে হয়ে রইলে� দু:খে� যাদুকর�

� কবিতাট� কাজল�-দিদি� মত� অত� সুন্দর সুন্দর ছবিভরা নয়। কাজল�-দিদিতে কথাগুল� বলেছিল� একটি ছোট্� মেয়ে। �-কবিতাটিত� কথ� বলেছ� বোধহয় বাবা� কথাগুল� কেমন ভাবে ভরা। রূ� হয়ে তা চোখে� সামন� ভাসে না, ভা� হয়ে বুকে� ভেতর ঢোকে� যে হারিয়� গেছে তা� কথ� সোজাসুজি বলছে না বাবা, বলছে একটু ঘুরিয়ে। তা� কথ� না বল� বলছে তা� জিনিশপত্তেরে� কথা।

সবচেয়� যে ছোট্� পীঁড়িখানি, সেইখান� আর কে� রাখে না পেতে

--শুরুতে� ছলাৎ কর� ওঠ� বুক। কেনো আর কে� পাতে না সবচেয়� ছোটো পীঁড়িটি? �

ছো� থালায় হয� নাকো ভা� বাড়�

--বু� চিৎকার কর�--কেনো? তাহল� কি সে নে�? যে ছিলো সবচেয়� ছো�?

সবচেয়� যে শেষে এসেছিল� তারি খাওয়া ঘুচেছে সব আগ�

-- এবার আর বোকা মনের বুঝত� বাকি থাকে না যে মর� গেছে সে� ছোটমণি� ফু� ফোটা� আগেই ছিঁড়ে নিয়� গেছে কোমল মুকুল। বু� ভর� হু হু শব্দ শুনত� পা�, বা� ডাকে নোনা জলের�

� কবিত� দট� বুকে� ভেতর চোখে� জলের মত� এখনো টলমল করে। কলকল কর� কান্না� আমার বুকে� এককোণে শো� বস� আছে। ছোটবেলার � কবিত� দুটে� দিয়েছিল� আমাকের শোকে� প্রথ� পাঠ। সে পড়া আজ� ভুলিনি আমি।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমার ছেলেবেলা� সবচেয়� শোকে� কবিত� ”কাজলা দিদি আর জসিম উদ্দিনের ”কবর� কবিতাটি। বড� হয়ে আর� অসংখ্য শোকে� কবিত� প্রিয় হয়ে ওঠেছে। সুনীলে� � কে� কথ� রাখেনি, আজাদের ”মা�, রুদ্র’র “বাতাস� লাশে� গন্ধ� সহ আর� অসংখ্য কবিত� আছ� তালিকায়� কিন্তু কবিত� নিয়� কো� লেখা এর চেয়� বেশি শো� আর কষ্ট দিতে পারেনি আমায়।

”সবচেয� ছো� যে পিঁড়িখানি�

এট� আসলে হুমায়ুন আজাদের আত্নজীবনী মূলক স্মৃতিচারন� হুমায়ুন আজাদের ছেলেবেলা� সময়টাতে কলের� ছিলো মহামারী� সময়টা যুদ্ধে� বে� আগ�, চিকিৎস� বিজ্ঞানে� উৎকর্ষ সেবা তখনও বাংলাদেশের গ্রামগুলোত� পৌছায় নি� তখ� এক গ্রামে কলের� হল� পুরো গ্রা� ফাঁক� হয়ে যে�, এব� সেটা গ্রা� থেকে গ্রামে বাতাসে� মত� পৌছে যে� আর মৃত্যু� মিছিলে যো� হত� অসংখ্য নাম। কান্না, শোকে চারিদিকে নিথর হয়ে যে� সব� তেমন� এক সময়� যখ� হুমায়ুন আজাদ ক্লা� এইটে তখ� কলের� দেখা দেয় তাদে� গ্রামে, যে� গ্রামে এর আগ� কোনদিন কলের� হয়নি। সে� বয়স� মৃত্যুকে কা� থেকে দেখা� শৈল্পি� ভয়ংকর বর্ণনা, কুসংস্কা� আর অসহায়ত্বে� বিয়োগ গাঁথ� ফুটে তুলেছে� তিনি তাঁর মত� অসামান্য করে।

একদি� রাতে দেখা গে� তা� ছো� ভা� কালামে� বম� হয়ে গে�, সবকিছুকে স্তব্ধ কর� দিয়� তি� বছ� বয়সী কালা� সকালেই মারা গে�..! সে� মৃত্যু কতটা গভী� ভাবে ছুঁয়ে গেছে তা� সমস্� সত্তাক�, কতটা ব্যাথি� করেছ� তা� মর্মস্পর্শী বর্ণনা লেখক দিয়েছেন� যা পাঠককে গভী� আবেগ� ছুঁয়ে যাবে, চোখে হয়ত জল টলমল করবে� আমার যেমন করেছিল�..! তা� যা� পড়েনন� গল্পটি পড়ে নিতে পারে�, আশ� কর� ভালোলাগবে। গল্পের কিছু অং� তুলে দিলাম।
.

উত্ত�-পশ্চিম কোলায় খোঁড়া হল ছোট্� কব�, একমুঠো কবর। নামিয়� দেয়� হল�, মন� হল� ঝাপিয়� পড়ি, ওর সাথে বা� কর� ওই কবরে� � যে বড� ভয� পাবে� � কোলায় সন্ধ্যায� আসতে কারো সাহস হয� না� কালা� কি কর� থাকব� এখান�? কিন্তু আস্ত� আস্ত� মাটি জমতে থাকল� কালামে� লাশে� উপর। কালা� কালা� কালা�... সব কিছু শূণ্� হয়ে গেল। চো� ছাপিয়� বেরোয় শিশু� মত� সর� জল, মন� মন� বল� কালা� কালাম। তুমি এত ভর� রেখেছিলে কে� সবকিছু? কে� সবকিছু শূণ্� কর� দিলে?

যদ� তুমি বেঁচ� থাকত� তব� তোমা� বয়স হত� এখ� সাতাশ। তুমি নে� তা� তোমা� বয়স এখনো তি� বছ� দু-মাস। আমার চো� অন্ধ আসছে চব্বিশ বছ� আগের বোবা জলে। গল� ফুলে উঠছে ঠি� সে দিনে� মত�, ৬ই আঘ্রানের মত�, যে-দি� তুমি চল� গেলে� তুমি আজ� আছ�, আমার চোখে� তারায়, বুকে� বা�-পাশে�

Profile Image for Gm Tanim.
15 reviews
July 13, 2013
হুমায়ুন আজাদের নিজে� শৈশব নিয়� লেখা এই বই, কিন্তু ঠি� শিশুদে� জন্য� লেখা এক� বল� যাবে না� শৈশবের নস্টালজিয়ায� থাকা প্রতিট� মানু� এই বইটিতে খুঁজ� পাবে� তাদে� শৈশবের নানা উপকরণ। অসম্ভব মায়� জড়িয়� লেখা এর প্রতিট� অধ্যায়। শৈশবের আনন্�, বেদন�, দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্ত�, আর পিছন ফিরে দেখা সে সব ঘটনা মন� যেসব অনুরণন তোলে, তা� এক অনবদ্য সংকল� এই বই� অবশ্যপাঠ্য প্রতিট� বাঙালির।
Profile Image for তিথি.
28 reviews15 followers
March 3, 2024
লেখক বইটি তা� মেয়েক� উৎসর্গ করেছেন, আর আম� তালে আছ� আমার নাতি-নাতনিদের জো� কর� হলেও এই বই পড়াবো�
এরকম একটা বই পড়া খু� জরুরি।
Profile Image for Shaid Zaman.
286 reviews44 followers
March 26, 2016
"তুমি জানো না, কোনোদি� জানব� না, কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� কালো জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। তুমি শিশি� দেখো নি, কুয়াশ� দেখো নি, কচুর� ফু� দেখো নি� তুমি ধানে� শী� দেখেছো টেলিভিশন�, চি� দেখেছো ছবির বইতে� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস ঝরতে দেখো নি, পুকুরে দেখো নি মাছে� লাফে� দৃশয� তুমি জানো না কেমন লাগে উথাল-পাতা� ঢেউয়ে� দিকে তাকিয়� থাকত�, আর কেমন লাগে একটি পাখি� পেছন� ছুটে ছুটে সকালকে দুপুরে� দিকে গড়িয়� দিতে� আম� জানি; - না আম� জানতাম"�
----------------------ফুলে� গন্ধ� ঘু� আস� না - হুমায়ুন আজাদ�

আম� জানি স্যা� কেমন লাগে একটি নড়োবড়ো বাঁশের পুলে� ওপ� দাঁড়িয়� জলের দিকে তাকিয়� থাকতে। আম� শিশি� দেখেছি, কুয়াশ� দেখেছি, কচুর� ফু� দেখেছি� ধানে� সোনালি শী� টেলিভিশন� না স্পর্শ কর� দেখেছি, ঘ্রা� নিয়� দেখেছি� চি� দেখেছি উরন্� আবার সাঁই কর� নেমে এস� মুরগী� ছানা নিয়� যেতে� দেখেছি� নালি বেয়� ফোঁটাফোঁটা খেজুরে� রস শুধু ঝরতে দেখে খ্যান্� দেয়নি, মু� পেতে খেয়েও দেখেছি� রাতে� আধার� খেজু� রস চুরি কর� পায়েস রেধে খাবা� মজ� আজকা� কজ� জানে? আম� জানি স্যার। পুকুরে মাছে� লাফে� দৃশ্� দেখেছি অসংখ্যবার। আম� জানি কেমন লাগে উথাল-পাতা� ঢেউয়ে� দিকে তাকিয়� থাকতে। পাখি� পেছন�, প্রজাপতি� পেছন�, ফড়ি� ধরবো বল� ছুটেছি অনেক� হয়ত� সকাল গরিয়ে দুপু� হয়ন�, তব� ছুটেছি� এইতো সেদি� নদী� জল� গৃহত্যাগী জোছন� দেখিছি যেটাকে হয়ত� জলজোছন� বলাই ঠি� হবে। খালি পায়� সবুজ কচ� ঘাসে হাটা� স্বা� যে অ্যামেরিকা� বার্গারে� চাইত� লক্ষ গু� উপভোগ্� সেটা অনেকেই না মানতেই পারে, আম� মানি�

ছোটবেল� নিয়� অনেকের লেখা পড়েছি� কিন্তু এম� কাব্যি� গদ্যধারা কখনো দেখিনি� অসাধার� একটা বই�
Displaying 1 - 30 of 81 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.