Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমে�; 13 November 1948 � 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters � Nova, Sheela, Bipasha and one son � Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons � Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
ব্যাক্তিগত ভাবে আম� ঐতিহাসিক উপন্যা� খুবই ভালোবাসি।আ� এই বইটা একদম অসাধারণ।পড়া শুরু করার পর আর থামত� পারিনি� এক রাতে� বই শেষ। তব� শেষে বৈরা� খাঁর মৃত্যু আমাক� কাঁদিয়ে দিয়েছে।এম� একজন মানুষে� এম� করুন মৃত্যুইক� প্রাপ্� ছি�?
মোঘল রাজা বাদশাহদে� ব্যাপারে আমরা যখনই পড়ত� যা�, তখনই চোখে� সামন� তুলে ধর� হয� তাদে� রাজনৈতিক জীবন� তব� বাদশাহ নামদার� লেখক সম্রাট হুমায়ুনের ব্যক্তিগতদিকগুলোকে বেশি কর� হাইলাই� করেছেন� তা� খামখেয়লী, দো�, গু�, মানবিক দিকগুল� ফুটে উঠেছ� এখানে। হুমায়ুন মির্জা তাঁর জীবনের ১৬ বছ� সিংহাসনচ্যুত ছিলেন। এই দুঃসময়ে� বর্ণনা� উঠ� এসেছ� গল্পে।
এছাড়া বাদশাহ নামদার� আছ� অনেককিছু� আছ� থ্রি�, আছ� ভালোবাসা, আছ� মানবতা, আছ� বিশ্বাসঘাতকত�; সে� সাথে আর� আছ� তৎকালী� দে� � সমাজের অবস্থা; আছ� শত্রুর প্রত� শত্রুর সম্মান ইত্যাদি।
"রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজ� আসে। কিছু� টিকে থাকে না� ক্ষুধার্� সময় সব কিছু গিলে ফেলে, তব� গল্প গিলত� পারে না� গল্প থেকে যায়�"
গুডরিড� � বাংল� মৌলি� এর রিভি� তে থাকে গরের মাঠ। কিন্তু এই মা� ৩৩� টা রিভি� তে পরিপূর্ণ যা সত্যিই অসাধারণ। যা বলার, তা এর ভেতরেই বল� আছে৷ আম� বর� উপন্যাসে� মুগ্ধত� মন� মন� আস্বাদ� করি।
ইতিহাস আমাক� কখনো� টানে না, ইতিহাস আশ্রিত বই জন্য এট� কখনো পড়তেও ইচ্ছ� কর� নি� তারপ� হঠাৎ করেই 'কয়েকপাত� পড়ে দেখি' এইটা ভেবে বইটা পড়ত� শুরু করলা�, কিন্তু পর� আর একটা বারে� জন্য� হা� থেকে নামাতে পারি নি� এত� চমৎকার ভাবে লেখা সব! একদম মুগ্� হয়ে পুরোটা পড়ে গেলাম। সবথেকে অবাক লাগছ� এট� দেখে যে,যে ইতিহাসের না� শুনলেই আমার মাথা ধর� যায় সে� ইতিহাস নিয়� আমার তীব্� আগ্র� বো� হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদে� কলমে কি অদ্ভুত ক্ষমতা, না?!
মোগল সাম্রাজ্� বা সম্রাট কো� বিষয়ে� আমার বিন্দুমাত্� আগ্র� কখনো জাগেনি� ছিটেফোঁট� যা জানি তাতে� আম� সন্তুষ্ট� হুমায়ুন আহমেদে� প্রায় সব বই পড়া থাকলেও বাদশাহ নামদার আমার To read list -এও ছিলো না� গত সপ্তাহ� লাইব্রেরী থেকে নিজে� পছন্� মত� দুইট� বই বাছলাম আম� আর এট� বেছে নিলো আমার বড� ভাইয়া (সাধারণ� আমার পছন্দে� একটা আর ভাইয়া� পছন্দে� দুইট� বই আন� হয�)� � সেদিনই পড়ে ফেলে� ইসলামে� ইতিহাসের ছাত্� হলেও মোগল ইতিহাস নাকি বা� দিয়েছিল� বললো� পরদি� আম� খাচ্ছিলা� আর ভাইয়া বে� কিছু অং� আমাক� পড়ে শোনাচ্ছিলো� ভেবেছিলা� শুনলাম� তো আর পড়ব� কি!? কিন্তু কা� রাতে ২টার দিকে ঘু� না আসায� বইটা ওর রু� থেকে এন� পড়ত� বসলাম। ভাবলাম ঘুমিয়� যাবো� � টা যখ� বাজে তখনও আবিষ্কার করলা� আম� পড়ছি। সকাল� অফিস আছ� ভেবে জো� করেই রেখে দিয়� ঘুমাতে গেলাম। অফিস� আসার পথেই শে� কর� ফেললাম�
বাদশাহ হুমায়ুনের বিচিত্� জীবন লেখক হুমায়ুনের লেখনী� গুনে আমাক� মন্ত্রমুগ্� কর� রেখেছিলো বে� খানিকট� সময়� অনেকদি� পর� টানা পড়ে শে� করার কারণেই � তারক� দাগালাম। বাদশাহ হুমায়ুনের পড়া� অভ্যাস খুবই ভালো পেয়েছি। :D বইয়ের কাহিনী হয়ত� সে� রাজা বাদশাহদে� বিচিত্� আর খেয়ালী জীবনের কথাই বলেছ� আর হুমায়ুন আহমেদে� লেখায় তা আর� বেশী সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে।
আম� খু� বোকা পাঠক, সামান্� ব্যাপা� স্যাপা� আমাক� মুগ্� করে। বই পড়ে ভালো লাগলেই আম� খুশী� আর বড� বড� ব্যাপা� চিন্তা কর� ভারী মাথাটাকে কষ্ট দেয়ার কষ্ট আর কর� না� :D
“সম্রা� হুমায়ূন এব� তা� পরিবারের জন্য যুদ্ধকালী� বাবুর্চি� সংখ্যা ছি� এক হাজার। প্রধান বাবুর্চি নক� খা� নতুন নতুন খাবা� উদ্ভাব� করতেন। তা� উদ্ভাবিত একটি খাবা� পুরন� ঢাকা� কিছু রেস্তোরাঁয� এখনো পাওয়া যায়� খাবারে� না� গ্লাসি�
বঙ্গদেশে� দিকে যাত্রা� সময় তা� রসদখানায� মহিষের দুধে� ঘি ছি� দশ মণ এব� গরুর দুধে� ঘি ছি� ত্রি� মণ� সৈন্যদের খাবা� ছি�: এক ঘট� দু�, যবের রুটি, এক পোয়� ছাতু, মাংস এব� পেঁয়াজ।�
ভাগ্যি� মোঘল আম� শে� হয়ে গেছে� তা না হল� এরাই দুনিয়ার খাদ্যাভাবে� অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়া� মন� হয়।
দারু�, দারু� একখানা বই লিখেছে� হুমায়ূন আহমেদ। এক হুমায়ূন লিখেছে� আরেক হুমায়ূনকে নিয়ে। হুমায়ূনের হাতে হুমায়ূনের জীবনী পড়া� মজাই আলাদা। সম্রাট হূমায়ূনের মধ্য� হিমু� কিচ্ছু স্বভাব কি লক্ষ্য কর� যায়? আমার কে� যে� মন� হল� লেখক হুমায়ূন আহমে� যদ� মোঘল সম্রাট হতেন, তাহল� অনেকটা� মোঘল সম্রাট হুমায়ূনের মত হতেন�
ভালো লেগেছে ভীষণ� পরবর্তীতে বিস্তারি� রিভি� লিখবো।
"খেয়ালের তরী ভেসে চল� যায়, কথ� শুরু থেকে শে� এক জীবনের বৈচিত্র্যে বহ� জীবনের রেশ। কথ� কথ� কথ�, ব্যাথা আকুলতা, কথার সমুদ্দুর বাদশাহ মহান, জীবনের গা�, তোলে সুমধুর সুর।�"
সোজা কথায� বলতে গেলে গল্পটা পড়ে উদাস হয়ে গেলাম। অনেক� অনেক কথ� বলবে, সফ� উপন্যা�, ঐতিহাসিক ঘটনা, হুমায়ূনের জীবনী, ইত্যাদ� ইত্যাদি। আম� এতকিছু বলিনা। আম� বল� এট� একটি জীবনের গল্প� ব্যাস।
হুমায়ূন আহমে� কেবল একটি গল্প লেখা� চেষ্টা করেছেন, যা মোঘল সম্রাট হুমায়ূনের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত� এত� ইতিহাস আছ�, তব� তা পাঠককে বেঁট� খাওয়ানো� কোনও চেষ্টা কর� হয়নি। জো� কর� রেফারেন্� টেনে, ঘটনা প্রলম্বি� কর� পাঠকের চোখে নিজে� রিসার্চক� বড� কর� হয়নি। এমনক� বাদশাহ হুমায়ূনের জীবনাবসা� কিংব� জন্মলা� পর্যন্� সম্পূর্ণ চিত্রও এত� চিত্রি� নয়। বর� টুকর� টুকর� বিষয� বেশি টানা হয়েছে, যা� উপস্থিতি হয়ত� মূ� ইতিহাস� তো বেশিভাবে ছিলনা। যেমন হুমায়ূনের মেয়ের কাহিনী, কিংব� হরিশংকরে� শেষে� দিকে� দিনগুলো। কিংব� শে� শাহ্�'� ছেলেদে� সাথে তা� কুটনৈতিক আলাপচারিতা� কিংব� হুমায়ূনের খাবা�, কিংব� হুমায়ূনের ব্যক্তিগ� চিন্তা ভাবনার বিবরণ। তবুও এই জিনিশগুলোই গল্���কে আলাদ� করেছ�, গল্পের মত� করেছ�, মানবিক করেছ�, আকর্ষণীয় এব� সাবলী� করেছে।
তব� হ্যা� হুমায়ূনের কবিতাগুলোর আর� ভালো রূপান্তর হত� পারতো। লেখক হুমায়ূন আহমেদে� কাব্যে� আম� খু� বড� ফ্যা� নই� এব� এই বইয়ের কবিতার রূপান্তর� মোটামুটিভাবে ভালো� তালিকায় ফেলছিনা।
এছাড়া বইয়ের আর সব� ভালো� বই পড়ে মজ� পেয়েছি। ইতিহাসের প্যাচা� নিয়� বিন্দুমাত্� মাথা ঘামাতে হয়ন�, বর� অনায়াসে জেনেছি খেয়ালী সম্রাট হুমায়ূনের কাহিনী� খারা� লেগেছে বৈরা� খানে� জন্য� মজ� পেয়েছ� আকবরের মায়ের সাথে হুমায়ূনের আলাপগুলোতে� হুমায়ূনের ভাইদের মাথা থেঁতলে দিতে ইচ্ছ� হয়েছে� হুমায়ূনের অতিমানবীয় ক্ষম� দেখে� মাঝে মধ্য� মেজা� গর� হয়েছে� তবুও ভালো লেগেছে�
প্রথমে� বল� রাখি, হুমায়ূন আহমেদে� খু� বড� ভক্ত নই� উনার প্রথমদিক� লেখা বইগুলোয় ছি� খু� মায়�, ভালবাস�, মমতা� তেমন� সে� বইগুলো যতবারই পড়ি না কে� ঠি� ততবা� বইগুলো� প্রত� অনুভূত� বিন্দুমাত্� বদলায় না� যদিও "বাদশাহ নামদার" তা� শেষজীবনের লেখা তা সত্ত্বেও বইটা পড়ে মন� হয়েছে এই তো সে� হুমায়ূন আহমে� যিনি আমাদের উপহা� দিয়েছেন শঙ্খনী� কারাগা�, নন্দিত নরকে, আগুনের পরশমনি, কোথা� কে� নে�, বহুব্রীহি এমনি আর� অনেক অনেক ভালবাসায� মাখা বইসমূহ� যা� এস� কথ� বা� দিয়� "বাদশাহ নামদার"-� আসি।
ইতিহাস নামক বিষয়টিক� আজীবন খু� ভয� পেতাম। এত ভুড়� ভুড়� সা�, স্থানে� না�, ব্যাক্তি� না� এস� মন� রাখা সম্ভ� হত না� তব� ইতিহাস নিয়� লেখা গল্পের মত� একটি বই যে এতটা উপভো� কর� তা আমার বিন্দুমাত্� জানা ছি� না� সম্রাট বাবরের পর কিভাবে এব� কে� সম্রাট হুমায়ূন আস� তা আমাদের পাঠ্� সমাজ বই শিখায় নি� আমাদের শুধুমাত্� জানা আছ� বাবরের পুত্� হুমায়ূন আর হুমায়ূনের পুত্� আকবর�
এমনি অজান� অনেক কিছু জেনেছি এই বই থেকে� সম্রাট হুমায়ূন কব� ছিলেন। কবিত� ছাড়াও জাদুবিদ্যায় তাহা� যে বিশে� আগ্র� ছিল। গুলবদন হুমায়ূনের বো� তেমন� আকিক� বেগম হুমায়ূনের মেয়ে। এস� চরিত্রের কথ� কখনই আমাদের উল্লেখ কর� হয� নি� ইতিহাসের পাতায় এরাও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
কামরান মীর্জা (সম্রাট হুমায়ূনের ভা�), বৈরা� খা� এই দু� ব্যাক্তিত্� হুমায়ূন জীবিনীতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এদের নিয়� কিছু� বল� না, যদিও সব বলতে ইচ্ছ� করছে� তব� বল� হয়ে গেলে পাঠকের জন্য স্পয়লার হয়ে যাবে� শে� একটি চরিত্র নিয়� কিছু বলতে চা� তা হল শে� খা� (দিল্লী দখলে� পর নিজে� না� পরিবর্তি� কর� শে� শাহ্� করেন)� শে� খা� এর মত� ধূর্� রাজা মন� হয� মোঘল আমলে আর একটি� ছি� না� ধরতে গেলে� ফু� হয়ে যে� এই শে� খাঁ। তব� পর� শত্রুর প্রত� ভালবাস� � শ্রদ্ধাও দেখত� পা� শে� খাঁয়ে� চরিত্রে।
সম্রাট হুমায়ূনের হামিদা বানু� প্রত� অগাধ ভালবাস� নিদর্শনসরুপ। সম্রাটের ভালো সময় যেমন হামিদা বানু ছিলে� তেমন� সম্রাটের খারা� সময় তিনি উনাক� ছেড়� চল� যায় নি� তেমন� সম্রাট হুমায়ূন উনার ভালো সময় যেমন হামিদা বানু� যেকো� আবদা� রাখতেন ঠি� তেমন� সম্রাট যখ� পথ� পথ� ঘুরে পালাচ্ছিলে� তখনও কিন্তু হামিদা বানু� কো� আবদা� তিনি বাকি রাখে� নি�
পরিশেষ�, হামিদা বানু� পুত্� আকবর দি গ্রে� কি সত্য� আকবর দি গ্রে� ছি�? এই প্রশ্নের ছোট্� নমুনাও আমরা "বাদশাহ নামদার"-� পেয়� যাই।
আমার বিশ্বা�, হুমায়ূন আহমে� বেচে� থাকল� পরবর্তীতে সম্রাট আকবরকে নিয়� জীবনকথ� লিখতেন� যা পড়বার আর জানবার প্রব� ইচ্ছ� হয়েছে এই "বাদশাহ নামদার হুমায়ূন" পড়বার পর�
সম্রাট মির্জা নাসিরুদ্দি� মুহম্ম� হুমায়ূনকে নিয়� উপন্যা� লিখেছে� আরেক হুমায়ূন, আহমেদ। লেখকের জন্মদিনে তাঁর কোনো বইয়ের রিভি� লেখা� চল আগেও দেখেছি� শুধু সে� ট্রেন্� ফল� করার জন্য� রিভিউট� লিখছ� তা নয�, এই বইটা� দেনা শো� কর� দরকা� ছি� নিজে� কাছে� করলাম।
হুমায়ূন আহমেদে� লেখা খু� বেশি পড়িনি� আকর্ষণবো� করিন� কখনো� তাঁর লেখা পড়ত� আমার ভালো লাগে, এইটুকুই। কোনো বই পড়ে খারা� লেগেছে বল� মন� পড়ছ� না� হুমায়ূন আহমেদে� লেখা আমার খারা� লাগে না, ভালো� লাগে সবসময়ই। কিন্তু তিনি আমার প্রিয় লেখক নন�
বাদশাহ নামদার বইটা হয়ত� শতবর্ষ পর� ক্লাসিকে� তকমা পাবে� আমার পরিচিত অধিকাং� হুমায়ূনপ্রেমী� কাছে এই বইটা� হুমায়ূন আহমেদে� সেরা কাজ। বইটা� কাহিনি বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নে�, বহুল পঠিত একটি বই� বইটা� কী কী উপাদান ভালো লাগল� সেটা� দু' চা� লাইন� লিখত� চাই।
বিষন্নতায় মোড়ান� হুমায়ূন মির্জা� চরিত্রের সাথে যো� হয়েছে খামখেয়ালিপনা। ঔদাসিন্য� থাকল� ভালো না থাকলেও সমস্যা নেই। রাজ্� শত্রুর দখলে গেলো বল�, ষড়যন্ত্� করছে আপ� মানুষজ�, কিন্তু হুমায়ূন মির্জা মুখে মুখে রচনা করেই যাচ্ছে� একের পর এক শের। হুমায়ূনের এই চরিত্র পুরো বই জুড়েই বলবৎ ছিল। কাজেকর্ম�, আচরণ�, সংলাপে এক� ধারা বহমা� রাখা� কাবিলিয়� বো� কর� হুমায়ূন আহমেদে� জন্য� সংরক্ষিত�
ঐতিহাসিক উপন্যা� কেমন হয� জানি না, এই বইটা দিয়েই শুরু এব� শেষ। বাদশাহ নামদার পড়া� পর� ঐতিহাসিক উপন্যা� পড়া� জন্য উদগ্রী� হয়ে ছিলাম। পড়িনি� বাদশাহ নামদারের রে� এখনো কাটেনি� ইতিহাসের রেফারেন্� খু� বেশি টানেননি। চমৎকার হুমায়ূনীয় শব্দশৈলী� উপন্যাসট� এগিয়েছে বাদশাহ হুমায়ূনকে নিয়েই� মোঘল সাম্রাজ্যে� কিছু কিছু বিষয� উঠ� এসেছ� বট�, তব� ব্যক্ত� হুমায়ূন মির্জা� চরিত্র বিশ্লেষণ, ভা�-বোনে� প্রত� কোমল আচরণ, রাজ্যশাসনে ঔদাসিন্য এস� আলোচনা� বেশি� সম্ভবত এই কারণেই বইটা পাঠকপ্রিয় হয়েছে� কারণ তাদে� হৃদয়ে বস� শে� শুনাচ্ছে� মির্জা নাসিরুদ্দি� মুহম্ম� হুমায়ূন বাদশাহ গাজী!
গাজী বল� যায় হুমায়ূনকে? আফগা� শাসক শে� শাহর কাছে দুটো যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে হেরেছে� হুমায়ূন� ১৫৫৫ সালে দিল্লি� সিংহাস� পুনরুদ্ধার� হুমায়ূনের অবদা� কতটুকু? রাজ্যহার�, সেনাবাহিনীবিহী� হুমায়ূন আরেক রাজ্যে আশ্রিত� পারস্যের শা� চাইল� তাকে ধরিয়ে দিতে পারে�! ভাগ্� সুতোয় ঝুলত� থাকা অবস্থায় শা� তামাস্পে� পারশিয়া� সেনাবাহিনী� বাহুবল আর বৈরামে� খানে� বিচক্ষণতায� হুমায়ূন দিল্লি� সিংহাস� পুনরুদ্ধার করেন� গাজী বলতে চাইল� সেটা খানে খানা� বৈরা� খানক� বল� যায়�
শা� তামাস্� কী করলে�? রাজ্যহার� হুমায়ূন তা� কাছে আশ্রিত� দিল্লি� মসনদ দাবি করছে হুমায়ূনকে, জীবি� থাকা সহায়সম্বলহী� রাজপুরুষ� বড়ই ভয়ানক; এট� কে না জানে! এটাই হয়েছে শে� পর্যন্ত। শা� তামাস্� এক রাতে হুমায়ূন মির্জাকে বাস্তবতা বলতে বলতে নিয়� এলেন প্রশিক্ষিত-সুসজ্জিত-স্বর্ণ ঝলমল� বি� হাজা� অশ্বারোহী সৈন্যে� সামনে। একটু আগেই হুমায়ূন মির্জাকে বাস্তবতা বুঝাচ্ছিলে� শা�, চাইলেই তিনি হুমায়ূনকে তুলে দিতে পারে� দিল্লি� কাছে� হঠাৎ আমাক� চমকে দিয়� মহান শা� তামাস্� বল� উঠলে�, "এই নি� পারস্যের সবচাইত� সুদক্ষ অশ্বারোহী দল� পুনরুদ্ধার করুন দিল্লি� বসুন মসনদে।"
এই টুইস্টের জন্য একদম� প্রস্তুত ছিলা� না� পারস্যের সহায়তায� হুমায়ূন দিল্লি উদ্ধার করেন; এই ইতিহাস অনেক আগ� থেকে� জানি� তারপরও বেমালু� ভুলে গেছিলাম। হুমায়ূন আহমে� জাস্� সারপ্রাইজড মি দ্যা� ডে!!
মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম ১৫০৮ সালে� � মার্�, কাবু� দুর্গে� জন্মের সময় তাকে দেখত� এস� তা� পিতা সম্রাট বাবর তা� মাতা মাহি� বেগমকে একশত আশরাফি উপহা� দেন। এই উপহা� পেয়� মাহি� বেগম বলেছিলেন- "স্বর্ণমুদ্রা� তা� প্রয়োজন নে�- শুধু আপনি প্রতিজ্ঞ� করুন, আপনি কখনো তা� প্রত� রুষ্� হবেন না"� বাবর সে� প্রতিজ্ঞ� করেননি- তা� এই অদ্ভুত পুত্রক� তিনি ভালোবাসতেন প্রচণ্ড। অথ� সম্রাট বাবর একজন শক্তিমান রাজপুরুষ- যিনি বিশ্বা� করতে�, "সম্রাটদে� কোনো ভা�, পুত্� বা স্ত্রী থাকে না� তাদে� থাকে তরবারি�" প্রচণ্� অসুস্থ হয়ে হুমায়ুন যখ� বিছানায় শায়িত হলেন- চিকিৎসকর� বল� দিলে�- তিনি চিকিৎসার অতীত। একজন সুফিসাধকের "অত� প্রিয় কোনো কিছু দা� করলে হুমায়ুনের জীবন রক্ষ� পেতে পারে" শুনে সম্রাট বাবর পর� করুণাময়ের কাছে হুমায়ূনের জীবন ভিক্ষা চাইলেন নিজে� প্রাণে� বিনিময়ে� খু� অদ্ভুত কিন্তু সত্য�, পুত্রে� কালান্তক ব্যাধি শরীরে নিয়� সম্রাট বাবর মারা গেলে� এব� সিংহাসনে বসলে� হুমায়ূন�
সম্রাট হুমায়ূনের কোনো কাজই রাজপুরুষ সুলভ না।এ� মানুষট� অসম্ভব সাহসী� কিন্তু তা� খেয়ালিপনা� কারণ� তাকে ভীতু বল� বো� হয�! তিনি বা� করেন তা� নিজে� জগতে� তা� চরিত্রের সবচে' দুর্বল দি� হচ্ছ� তা� করুণ� আর ক্ষমা। মোঘল চিত্রকলা� শুরু তা� হা� ধরে। তিনি বই সংগ্রহ করতে� পছন্� করতেন। তা� জগতে� নিয়ন্ত্রণ থাকত� কবিতার, আফিম, আর সুরা� হাতে� কিন্তু তা� এক অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা-শে� শাহে� কাছে পরাজিত হয়ে হুমায়ূনের শুশ্রূষা করেছিল� এক মহিল� মাত্� কিছুক্ষণের জন্য� আর সে� কিছুক্ষণেই তা� মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল�- সে নিজে� প্রাণে� বিনিময়ে� হুমায়ুনের অবস্থা� বলতে রাজি হচ্ছিলোন�! বাদশাহ নামদার বইটি আমার অত� প্রিয়� হয়ত� বইটা� প্রচ্ছদে� জন্য� এক� সাথে সম্রাট হুমায়ূনকে আমাদের লেখক হুমায়ূন এত� যত্নের সাথে রঙতুলিতে এঁকেছে�- তাতে এই বইটা মুগ্� হয়ে একবা� না, অনেকবা� পড়া যায়!�
কোনও এক বিচিত্� কারণ� বইটি এতদি� পড়া হয়নি। হাতে� কাছে� ছি�, কিন্তু কে� যে� পড়া� আগ্র� পাইনি। অবশেষে পড়লাম, এব� মুগ্ধও হলাম� হুমায়ূন আহমেদে� ব্যতিক্রমী লেখা পাওয়া খু� সহ� নয়। জীবন� বহ� গল্প-উপন্যা� লিখেছে�, কিন্তু মিসি� আল� আর হিমু ছাড়� কমবেশি সব� এক� ধাঁচের� ওই দুটো সিরিজে� কাহিনিগুলো� মধ্যেও যথেষ্ট� একঘেয়েমির উপকর� রয়েছে� কাজে� হঠাৎ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এই উপন্যা� পড়ে সত্যিই অবাক হলাম� তব� বাদশাহ হুমায়ূনকে নিয়� রোমান্টিসিজম একটু বেশি� ছি� বল� মন� হলো। তাঁক� রীতিমত মহাপুরুষের পর্যায়ে নিয়� গেছে� তিনি, যেটা কতখানি সত্য� সে-ব্যাপারে ঘোরত� সন্দেহ আছে। কাহিনি� ছলাকলা� ভেতরেও ঠিকই অনুভ� করতে পারছিলাম, মানুষট� সম্রাট হিসেবে নিতান্তই অযোগ্য ছিলেন। যা হো�, ইতিহাস আশ্রিত কাহিনি না ভেবে এটাক� ফ্যাণ্টাসি ভাবল� আর অতটা খারা� লাগব� না কারও� তি� তারা পাবা� যোগ্� ছি� বইটা, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদে� ব্যতিক্রমী প্রচেষ্ট� আর জাদুকরী লেখা� জন্য এক তারা বাড়িয়ে দিলাম।
ইতিহাসখ্যা� বা বিস্মৃতি� অতলে গত মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম-পত�-উথান-মৃতু্� হরফনামায� বন্দী কর� সে� সময়ের সাথে এই সময়ের সন্ধ� করানোর জন্য আপনাকে জানাচ্ছি;
বাদশাহ নামদার� মোঘল সম্রাট বাবর তাঁর জেষ্ঠ্� সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ল� তাঁর চারিদিকে ঘুরত� শুরু করেন� সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি-� প্রার্থন� ছি� বাবরের� নি� জীবনের বিনিময়ে হুমায়ূনের জীবন� বাবরের প্রার্থন� সফ� হয়। সে� হুমায়ূন-� আমাদের এই উপন্যাসে� বাদশাহ নামদার�
মোঘল সাম্রাজ্যে� ঘর�-বাইর� ক্ষমতা� দ্বন্দ্ব এব� ষড়যন্ত্� ঘনীভু� হচ্ছ� দিনক� দিন। হুমায়ূনকে আপাত দূর্বল শাসক হিসেবে ভাবছেন তাঁর ভ্রাতাগণ এব� প্রতিদ্বন্দ্বি শে� শাহ। দিল্লী� মসনদ� সম্রাট হওয়ার আকাঙ্খ� অনেকের মাঝে� তীব্� হয়ে দেখা দিচ্ছে�
উদ্ভুত পরিস্থিতিত� আমরা দেখা পা� বই, শিল্�-সংস্কৃতি, আফিম� মত্ত এক বাদশাহর। হুমায়ূন, খামখেয়ালীপনায� ভর� এম� এক মোঘল সম্রাট যা� রাজত্ব বরাবরে� মতই হুমকির মুখে� তব� সেদিকে বাদশাহ নামদারের তেমন একটা খেয়াল নে� মন� হয়। মন� মন�, মুখে মুখে কবিত� রচনা কর� চলেছেন হুমায়ূন, যা� অনেক শে�-� এখনো প্রচলিত।
ক্ষমাপ্রবণ, হৃদয়বান এই মোঘল সম্রাটের মধ্য� নৃপত� কম একজন ভাবু� ব্যক্তিক� বারবার দেখা যায় এই উপাখ্যানে। তব� প্রাজ্ঞতার ঝলকও মাঝে মাঝে জ্বল� ওঠ� হুমায়ূনের আগ্রহ� উদ্দিপ� ব্যক্তিত্বের মা� থেকে�
সাম্রাজ্� হারিয়� কপর্দকহী� অবস্থায় একদম কঠিন সময়েও সৃষ্টিকর্তার উপ� বিশ্বা� এব� অবিচলি� মনোভাব যেভাবে বাদশাহ নামদারের মধ্য� দেখা যায় তা আসলে� বিস্ময়কর। পাঠকের মন� এম� অনুভূত� জাগ্রত হয� যে� উক্ত সম্রাট সবসময়-� সম্রাট�
আর আছেন বৈরা� খাঁ। উপন্যাসটির গুরুত্বপূর্ণ এই চরিত্রটি প্রধান সেনাপত� হিসেবে যেভাবে বাদশাহ হুমায়ূনকে পদ� পদ� রক্ষ� এব� ক্ষুরধার সমরবুদ্ধির প্রয়োগে জিতিয়� দে� তা বৈরা� খাঁক� উক্ত আখ্যানের এক স্মরনীয় এব� শ্রদ্ধ� করার মত ব্যক্ত� হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
হুমায়ূন আহমে� এই গ্রন্থটি রচনা করতে ব্যাপক পরিশ্র� করেছেন� তব� রেফারেন্� খু� বেশি দে� নি� হুমায়ূনের জাদুকর� গল্পকথনে একদম চোখে� সামন� চল� এসেছ� মোঘল, পাঠা� এব� পারস্য সাম্রাজ্যে� মধ্যকা� পাওয়া� স্ট্রাগল� বাদশাহ হুমায়ূনকে আমাদের লেখক হুমায়ূন যেভাবে চিত্রি� করেছেন তা এক কথায� অনবদ্য�
নামে� মি� থাকা� কারণ� বাদশাহ� প্রত� লেখকের ভালোবাসা এব� প়ক্ষপাত বরাবরে� মতই পুরো কাহিনীতে টিকে ছিল। একইসাথে বিভিন্� টানটান উত্তেজনাকর মূহুর্� এব� চমকে� কারণ� মন� হয়েছে যে� ইতিহাসকে উপজীব্� কর� লিখা কো� থ্রিলা� পড়ছি। শে� করতে চা� বইয়ের একটি অত� ক্ষুদ্� অং� লিখে,
"বৈরা� খা� বললে�, পিঁপড়� মারত� হব� না� পিঁপড়� মারা ছাড়াই আপনাকে কোহিনু� দেখাবো� তব� কোহিনু� সামান্� পাথর ছাড়� কিছু না� জীবন্ত সঠিক মানু� হল� আস� কোহিনুর। পেছনের নৌকা� দিকে তাকান। রাজ্যহার� সম্রাট হুমায়ূন স্ত্রী� হা� ধর� বস� আছেন� উনিই আস� কোহিনুর। দেখেছে�?"
বইটা পড়ত� পড়ত� এই বাক্� নিজমনে অজান্তেই উচ্চার� করেছিলাম! চমকপ্র� সব ঘটনাবহুল একটি বই� লেখক এত� প্রাসঙ্গিকভাবে একের পর এক ঘটনা উপস্থাপন করেছেন যে মন্ত্রমুগ্ধে� মত� পুরো বইটা পড়ে গেছি (পড়ুনঃ দেখে গেছি)� একজন বাদশ� বিলাসবহু� জীবনযাপন করবে� এটাই স্বাভাবিক। অথ� বাদশ� হুমায়ুন যে শুধু বিলাসিতা করতে� তা না, সে খু� উদাসিন এব� হেঁয়ালি ধরণে� জীবন যাপন করেছেন� শিল্�-সাহিত্যে� প্রত� তাঁর অনুরাগ ছিল। তব� গল্পের শেষে লেখক যে সত্যের সামন� দাঁড� করালেন সে� সত্য জানা� বিন্দুমাত্� ইচ্ছ� আমার ছিলনা।
আচ্ছ�, "বাদশাহ নামদার" আসলে কে? আমার কে� জানি মন� হয� হুমায়ূন আহমে� নিজে� বাদশাহ নামদার :p :)
হুমায়ূন আহমেদে� অন্যতম সেরা বই� বইটি শে� কর� আম� �-� দি� ঘোরে ছিলা�, এতোই মারাত্মক লেগেছিলো বইটি� ঐতিহাসিক পেক্ষাপট� লেখক থেকে আর� কিছু বই পেলে অবশ্যই ভালো হতো।
ইতিহাসের উপ� বিরক্ত� নিয়েই আম� এতোবছর কাটিয়েছি।এখ� চিন্তা করতে পারছিন� এই বছরই এখনো অব্দ� � টি ইতিহাস সম্পর্কি� বই পড়ে ফেলেছি!
"বাদশাহ নামদার" বইটি শুরু কর� সম্রাট হুমায়ূনের উপ� খু� বিরক্ত হই সত্য� বলতে!কিন্তু পরবর্তীতে হুমায়ূন আর বৈরা� খা�'� চরিত্র দুটি আমাক� ঘোরে� মধ্য� নিয়� যায়।তাদের এক� অন্যের প্রত� কি পরিমাণ শ্রদ্ধাবোধ;কি গভী� সহমর্মিত�;অগাধ বিশ্বস্ততা!শেরগুলোর কথ� আর নাইব� বললা�!একেকটা শে�,একেকটা আবেগ।এটি অসম্ভব রকমে� সুন্দর একটা বই হলেও, আম� সবচেয়� বেশি ঘৃণা সঞ্চয় কর� রেখেছি মীর্জা কামরান আর হরিশংকরে� জন্য!
লেখক হুমায়ূন আহমে� বাদশাহ নামদার এব� লেখিকা অ্যালেক্� রাদারফোর্ডের ব্রাদার্� অ্যা� ওয়া� দুটি বইয়েই সম্রাট হুমায়নে� জীবনী নিপুণভাব� তুলে ধর� হয়েছে� দুইট� বইয়ের তথ্যের ব্যাপক বৈসাদৃশ্� দেখা যায়� তব� যে জিনি� আমার বেশি চোখে লেগেছে সেটা হল� চারিত্রি� বিশ্লেষণ� লেখক হুমায়ূন আহমে� সম্রাট হুমায়ূনকে শুধু একজন ব্যর্থ, খামখেয়ালী আর পরাজিত শাসক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন� কিন্তু লেখিকা অ্যালেক্� রাদারফোর্ডের সম্রাট হুমায়ূনের প্রত� দৃষ্টিভঙ্গ� ছি� পৃথক� বাদশাহ নামদার� চৌসা যুদ্ধে� সময়ের বর্ণনাতে লিখেছে� পালা�, পালা� চিৎকার শুনে উন� পরিবার ফেলে পালিয়� যা� আর নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু ব্রাদার্� অ্যা� ওয়া� বইটিতে বল� হয়েছে চৌসা� যুদ্ধে হুমায়ূন মোটে� পালিয়� যাননি। মোঘল সৈন্যদের সাথে কাঁধ� কাঁধ মিলিয়� যুদ্� করেছেন এব� আহ� এব� অচেত� হল� তাঁর প্রশিক্ষিত ঘোড়� তাঁক� নিরাপদ জায়গা নিয়� গেছে� আবার বাদশাহ নামদারের বল� হয়েছে অমরকোটের পর� সম্রাট হুমায়ূনের কাবু� যাত্রাকালে ভা� আসকারি আসবা� খব� পেয়� শিশু আকবরকে রেখে পলায়ন করেন� অন্যদিকে ব্রাদার্� অ্যা� ওয়া� বইটিতে বল� হয়েছে কামরান মীর্জা অতর্কিতভাব� সম্রাট হুমায়ূনের তাবু আক্রমণ কর� আকবরকে জিম্মি কর� নিয়� যায়� একইভাব� সিকন্দার শাহক� হারানো� সব খেতা� বৈরা� খা� কে দেয়� হয়েছে বাদশাহ নামদার বইটিতে � তব� অ্যালেক্� রাদারফোর্ডের বইটুতে বল� হয়েছে চৌসা যুদ্ধে সম্রাট হুমায়ূনকে পরাজিত করতে শেরশাহ যেমন বৃষ্টিকে ব্যবহা� করেছিলেন তেমন� সিকন্দার শাহক� গোয়ালপাড়ার যুদ্ধে পরাজিত করতে� হুমায়ূন নিজে সমস্� পরিকল্পন� করেন এব� একইভাব� বৃষ্টি ব্যবহা� করেন� মোদ্দাকথ� লেখক হুমায়ূন সম্রাট হুমায়ূনকে বলতে গেলে একজন সফ� কব� হিসাবে উপস্থাপন করলে� সম্পূর্ণ ব্যর্থ শাসক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন� অন্যদিকে দম্পতি অ্যালেক্� রাদারফোর্ড সম্রাট হুমায়ূন মীর্জা� খা��খেয়ালী দিকট� তুলে ধরলে� তাঁর শাসক হিসাবে তাঁর যোগ্� দিকগুল� তুলে ধরতে কো� কার্পণ্য করেননি :)
"রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজ� আসে। কিছু� টিকে থাকে না� ক্ষুধার্� সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তব� 'গল্প' গিলত� পারে না� গল্প থেকে যায়�" -বাদশাহ নামদার, হুমায়ূন আহমেদ।
ইতিহাস আমার খু� বেশি ভালো লাগে না� আবার খু� বেশি মন্দ� লাগে না, যদ� উপস্থাপনার ভঙ্গিট� আমার কাছে পছন্দনীয় হয়।
ঐতিহাসিক উপন্যা� "বাদশাহ নামদার" রসহী� ঐতিহাসিক তথ্যের ভাণ্ডা� নয়। এট� এক খেয়ালী সম্রাটের গল্প� বইটি পড়া� সময় আমার একবারও মন� হয� নি সম্রাট মীর্জা নাসি�-উদ-দী� মুহম্ম� হুমায়ূন সুদূ� অতীতে� একজন� মন� হচ্ছিল, আম� হুমায়ূনকে চিনি� সম্রাট হুমায়ূন আমার পরিচিত, কাছে� একজন� আম� চিনি বৈরা� খা�-কে, গুলবদনকে, আর জওহর আবতাবচিকেও� আম� সব্বাইকে চিনি! আম� শিশু আকবরের কান্না� আওয়াজ শুনত� পা�, হরিশংকরে� মাংস পচ� যাওয়া� বীভৎ� দৃশ্� আর দুর্গন্ধ আমার ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হয�, আকিক� বেগম আর অম্বার প্রেতাত্মা (কিংব� হরিশংকরে� ভ্রম) আমিও দেখি! সবকিছু ছাপিয়� যা বারবার আমাক� বিস্মি� করেছ� তা হল�- বিচিত্� চরিত্র হুমায়ূন আর তা� বিচিত্� নিয়তি�
আমাদের কারও কারও মাঝে হুমায়ূনের মত খেয়ালী, আবেগচালি� মানু� বা� করে। কে� আংশি� হুমায়ূন, কে� পুরোমাত্রায়�
মোঘল সাম্রাজ্যে� দ্বিতীয় সম্রাট মীর্জা নাসি�-উদ-দী� মুহম্ম� হুমায়ূনের কাহিনীতে তোমায় অগ্রিম স্বাগত�!
ইতিহাস শিখত� আম� উপন্যা� পড়া� পক্ষ� নই� কথাসাহিত্য� কথাশিল্পী� কল্পনারাজ্� নির্মাণে� হক শতভাগ। মহান লেখকের� কল্পনা � বাস্তব মিশিয়� অনবদ্য সাহিত্যকর্� সৃষ্টি করেন� কিন্তু তাতে ক্ষুণ্� করেন না ঐতিহাসিক নির্যাস। হুমায়ূন আহমে� মোগল সাম্রাজ্যে� বিচিত্� শাসক হুমায়ুন মির্জাকে নিয়� লিখেছে� 'বাদশাহ নামদার'� বাংলায� অনেকেই ঐতিহাসিক উপন্যা� রচনা করেছেন� এদের কে� কে� বিপু� জনপ্রিয়তা পেয়েছেন� কিন্তু কে� 'বাদশাহ নামদার'-এর মত� কলেবরে ছো� অথ� এত সুপাঠ্� কেতা� লিখত� পেরেছে কী? শরদিন্দু, সুনীলবাব� ইত্যাদ� লেখকদে� কথ� মাথায় রেখে� বললাম।
পুরো উপন্যাসে হুমায়ুন মির্জাকে আম� স্মরণে রাখিনি� মন� পড়ে জা� বাঁচাত� হুমায়ুন স্ত্রী-পরিজ� রেখে পালিয়� গেলেন। হুমায়ুনপত্নী বেগা বেগম চিন্তায় অস্থির� এই নারীকে 'মা' সম্বোধ� করেন শে� শাহ। সে� বেগা বেগম স্রষ্টার কাছে প্রার্থন� করেন শে� শাহে� হয়ে� এই দোয়� কবুলের ঘটনা কখনো ভুলব� না� যেমন ভোলা যায় না, রাজ্যহার� সম্রাট হুমায়ুনের সাথে পারস্যের অধিপতি শা� তামাস্পে� কথোপকথন।
রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজ� আসে। কিছু� টিকে থাকে না� ক্ষুধার্� সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তব� গল্প গিলত� পারে না� গল্প থেকে যায়� বাদশার নামদার এর কিছু গল্প শোনা� শে� হল� মারহাব�!!!! মারহাব�!!! হুমায়� আহমে� আবার� তা� কলমে� জাদু দেখিয়� দিলেন। ইতিহাস এত সুন্দর কর� উপস্থাপন আম� মন� হয� না আর কোথা� দেখেছি� মুঘল সাম্রাজে� শুরু� ঝড� ঝন্ধাত দিনগুলোর এক অসাধার� ইতিহাস, বিশে� কর� সম্রাট হুমায়� এর কাহিনী তুলে এনেছেন লেখক হুমায়� আহমেদ। বৈরা� খা কে সবচেয়� ভা� লেগেছে� সিংহ এর মত সাহস, শিয়ালের মত ধূর্� এই লো� না থাকল� মন� হয� না মুঘল সাম্রাজ্� এই ভারতবর্ষ� আর ফিরত� পারত�
এই বই হা� থেকে নামিয়� রাখা অনেক কষ্ট� ভালরকম ব্যস্ততা� মধ্য� গতকা� রাতে বই পড়া শুরু করি। নিজে� ইচ্ছের বিরুদ্ধে মাত্� � বা� বই টা হা� থেকে নামিয়� রাখত� পেরেছিলা�! ইতিহাস যদ� পাঠ্যব� গুলোতে এত সুন্দর কর� লেখা থাকত�, তব� সেটা আমার সবথেকে ফেবারি� সাবজেক্ট হয়ে যে�!