What do you think?
Rate this book
শবনম
160 pages
First published January 1, 1960
125 people are currently reading
1,501 people want to read
About the author
Syed Mujtaba Ali
82books427followersSyed Mujtaba Ali (Bengali: সৈয়� মুজতবা আলী) was a Bengali author, academician, scholar and linguist.
Syed Mujtaba Ali was born in Karimganj district (in present-day Assam, India). In 1919, he was inspired by Rabindranath Tagore and started writing to the poet. In 1921, Mujtaba joined the Indian freedom struggle and left his school in Sylhet. He went to Visva-Bharati University in Santiniketan and graduated in 1926. He was among the first graduates of the university. Later, he moved to Kabul to work in the education department (1927�1929). From 1929 to 1932 he studied at the universities in Berlin, London, Paris and Bonn. He earned Ph.D. degree from University of Bonn with a dissertation on comparative religious studies in Khojas in 1932.
In 1934-1935 he studied at the Al-Azhar University in Cairo. Subsequently, he taught at colleges in Baroda (1936�1944) and Bogra (1949). After a brief stint at Calcutta University (1950), Mujtaba Ali became Secretary of the Indian Council for Cultural Relations and editor of its Arabic journal Thaqafatul Hind. From 1952 to 1956 he worked for All India Radio at New Delhi, Cuttack and Patna. He then joined the faculty of Visva-Bharati University (1956�1964).
Syed Mujtaba Ali was born in Karimganj district (in present-day Assam, India). In 1919, he was inspired by Rabindranath Tagore and started writing to the poet. In 1921, Mujtaba joined the Indian freedom struggle and left his school in Sylhet. He went to Visva-Bharati University in Santiniketan and graduated in 1926. He was among the first graduates of the university. Later, he moved to Kabul to work in the education department (1927�1929). From 1929 to 1932 he studied at the universities in Berlin, London, Paris and Bonn. He earned Ph.D. degree from University of Bonn with a dissertation on comparative religious studies in Khojas in 1932.
In 1934-1935 he studied at the Al-Azhar University in Cairo. Subsequently, he taught at colleges in Baroda (1936�1944) and Bogra (1949). After a brief stint at Calcutta University (1950), Mujtaba Ali became Secretary of the Indian Council for Cultural Relations and editor of its Arabic journal Thaqafatul Hind. From 1952 to 1956 he worked for All India Radio at New Delhi, Cuttack and Patna. He then joined the faculty of Visva-Bharati University (1956�1964).
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 194 reviews
July 22, 2016
আম� বোকা পাঠক� � পর্যন্� পড়া সবচেয়� সেরা কিংব� সবচেয়� প্রিয় প্রেমে� উপন্যাসে� কথ� জিজ্ঞে� করলে যেকো� সময়� গাঁক গাঁক কর� একটা� না� আওড়াই�
শবনম� :)
সৈয়� মুজতবা আলী ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সা� পর্যন্� কাবুলে� একটি কলেজ� ইংরেজি � ফ্রেঞ্� ভাষা� শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন� কাবুলবাসের অভিজ্ঞতা নিয়� তাঁর সবচেয়� বিখ্যা� উপন্যা� গ্রন্থাকার� প্রকাশিত হয� বৈশা� ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে। সে বইতে উল্লেখিত ঘটনাবলির উপ� ভিত্তি করেই তিনি পরবর্তীতে রচনা করেছিলেন আত্মজৈবনিক উপন্যা� শবনম�
উপন্যা�-�? মুহম্ম� এনামুল হক উত্ত� দিয়েছেন এভাবে�
‘ঘটনাপ্রবাহসঞ্জা� চরিত্রসৃষ্টি� উপন্যাসে� মূ� উপাদান এব� তাহা� ইহাত� অনুপস্থিত।�
তব� নাটক? না, নাটকের কো� বৈশিষ্ট্যও এত� নেই। তব� শবনম কি সাহিত্যে� চি� অভিজাত শাখা কাব্�?
হ্যা�, ভাবমধু� � রসঘন কাব্যে� সমাহার যদ� কাব্� হয�, তব� শবনম হয়ত� তা�-ই।
শিক্ষকতা পেশা� ভি� নিয়েই আলী সাহে� গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে� আর প্রভাবশালী স্থানীয় সর্দার আওরঙ্গজে� খানে� একমাত্� দুহিতা শবনম� ইংরেজদের মত� সাদামাটাভাবে বলতে গেলে যা� ছি� চারট� বি-ই। ‘বিউটি, ব্রে�, বার্�, ব্যাঙ্ক’।
দুঁদ� আঁকিয়� শবনম কথায� কথায� আওড়াত� কবিতা। তা� প্রত� মুহূর্তে উদ্ধৃত পংক্তিমালা শুনে� মজনূ� লেখকের মতোই আমিও শুধাইন� কখনো� ‘তুম� বাস্তব� বা� কর� না কাব্যলোক�?�
শবনমের কাহিনি এমনই টসটস� কোবত� জারক রস� মাখানো যে, তা থেকে গল্পের বুনো� ছেঁক� সারসংক্ষেপ তুলে আন� প্রায় বেসম্ভ� ব্যাপা�!
যে ইরান� কবির শ্লো� ধা� নিয়� আলীজা স্বয়ং এই কাব্যগ্রন্থে� বৈশিষ্ট্� ব্যাক্� করেছেন, তা� অনুবাদটুকু ধা� নেওয়া যাক�
সে� বিচ্ছেদে� আগ� বল� গিয়েছিলেন একটি কথাই�
‘আমা� বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না।�
শবনম নয� আমার মত� সাধারণ ধনজনের বিত্ত। যাকে গ্রন্থালোচনা শ্রেণীতে সারিবদ্ধ কর� ছোট্� পরিসরে পরিচিত কর� যাবে অপরিচি� পাঠকের কাছে� ‘কামের চশমা পড়িয়� মোহক� যারা প্রে� বল�, এই প্রে� সে� প্রে� নহে।�
সবচেয়� বেশি এব� সবচেয়� ক্ষুদ্রত� নিয়� যা� সে� ইনফিনিটি এই শবনম�
যিনি পড়েছে�, তিনি হয়ত� জানে� মূল্�.. হয়ত� এখনো নয়।
কিন্তু যিনি এখনো পড়েনন�, প্রিয় পাঠক� হাতে নিয়েই দেখু� একবা�, প্রিয় অবসরে।
যুক্তিহী� মুগ্দ্� পাঠকের আলাপচারিতা আপাত� এটুকুই�
শবনম� :)
সৈয়� মুজতবা আলী ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সা� পর্যন্� কাবুলে� একটি কলেজ� ইংরেজি � ফ্রেঞ্� ভাষা� শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন� কাবুলবাসের অভিজ্ঞতা নিয়� তাঁর সবচেয়� বিখ্যা� উপন্যা� গ্রন্থাকার� প্রকাশিত হয� বৈশা� ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে। সে বইতে উল্লেখিত ঘটনাবলির উপ� ভিত্তি করেই তিনি পরবর্তীতে রচনা করেছিলেন আত্মজৈবনিক উপন্যা� শবনম�
উপন্যা�-�? মুহম্ম� এনামুল হক উত্ত� দিয়েছেন এভাবে�
‘ঘটনাপ্রবাহসঞ্জা� চরিত্রসৃষ্টি� উপন্যাসে� মূ� উপাদান এব� তাহা� ইহাত� অনুপস্থিত।�
তব� নাটক? না, নাটকের কো� বৈশিষ্ট্যও এত� নেই। তব� শবনম কি সাহিত্যে� চি� অভিজাত শাখা কাব্�?
হ্যা�, ভাবমধু� � রসঘন কাব্যে� সমাহার যদ� কাব্� হয�, তব� শবনম হয়ত� তা�-ই।
শিক্ষকতা পেশা� ভি� নিয়েই আলী সাহে� গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে� আর প্রভাবশালী স্থানীয় সর্দার আওরঙ্গজে� খানে� একমাত্� দুহিতা শবনম� ইংরেজদের মত� সাদামাটাভাবে বলতে গেলে যা� ছি� চারট� বি-ই। ‘বিউটি, ব্রে�, বার্�, ব্যাঙ্ক’।
দুঁদ� আঁকিয়� শবনম কথায� কথায� আওড়াত� কবিতা। তা� প্রত� মুহূর্তে উদ্ধৃত পংক্তিমালা শুনে� মজনূ� লেখকের মতোই আমিও শুধাইন� কখনো� ‘তুম� বাস্তব� বা� কর� না কাব্যলোক�?�
শবনমের কাহিনি এমনই টসটস� কোবত� জারক রস� মাখানো যে, তা থেকে গল্পের বুনো� ছেঁক� সারসংক্ষেপ তুলে আন� প্রায় বেসম্ভ� ব্যাপা�!
যে ইরান� কবির শ্লো� ধা� নিয়� আলীজা স্বয়ং এই কাব্যগ্রন্থে� বৈশিষ্ট্� ব্যাক্� করেছেন, তা� অনুবাদটুকু ধা� নেওয়া যাক�
মা আজ� আঘাজ� � আন্জাম� জহনাবি- খবরী�,তাইই হয়ত� শব-�- জুফফাফের ফু� শুকোনো� আগেই হারিয়� যা� শবনম�
ঔব্বল্ � আখির� �-কুহন� কিতা� উফ� তাদহ� অসৎ”�
গোড়� আর শে� এই সৃষ্টি� জানা আছ� বল� কা�?
প্রাচী� এই পুঁথ� গোড়� আর শেষে পাতা �-টি ঝর� তা�!
সে� বিচ্ছেদে� আগ� বল� গিয়েছিলেন একটি কথাই�
‘আমা� বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না।�
শবনম নয� আমার মত� সাধারণ ধনজনের বিত্ত। যাকে গ্রন্থালোচনা শ্রেণীতে সারিবদ্ধ কর� ছোট্� পরিসরে পরিচিত কর� যাবে অপরিচি� পাঠকের কাছে� ‘কামের চশমা পড়িয়� মোহক� যারা প্রে� বল�, এই প্রে� সে� প্রে� নহে।�
সবচেয়� বেশি এব� সবচেয়� ক্ষুদ্রত� নিয়� যা� সে� ইনফিনিটি এই শবনম�
যিনি পড়েছে�, তিনি হয়ত� জানে� মূল্�.. হয়ত� এখনো নয়।
কিন্তু যিনি এখনো পড়েনন�, প্রিয় পাঠক� হাতে নিয়েই দেখু� একবা�, প্রিয় অবসরে।
যুক্তিহী� মুগ্দ্� পাঠকের আলাপচারিতা আপাত� এটুকুই�
February 28, 2022
"বাদশ� আমানুল্লাহ� নিশ্চয়ই মাথা খারা�"- এই দিয়েই শবনমের শুরু� আর তা� দেশে বিদেশে পড়ত� গিয়� বারবার শবনমের কথাই মন� পড়ছিল� অতএব, হো� পুনঃ পাঠ।
শবনম: ভোরে� শিশি�!
কাহিনীতে এন্ট্র� নেয়ার সময় শবনমের সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গিয়� মুজতবা আলী সাহে� পাগমান পাহাড়ের বর�, মল্লিকার পাপড়িকে নিয়� টানাটানি করলে� আম� সে� অদেখ� জিনি� নিয়� এখ� কিছু বলতে পারছ� না� আবার বইয়ের মাঝে� দিকে ওর হাতে� আঙুলের তুলন� করেছেন ব্যালে নর্তকী� সাথে; মু� তা� সিঁদুরের মত� টকটকে। তব� একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে শবনমের সৌন্দর্যের বর্ণনা� জন্য আমাক� আনন্� বক্সী� লেখা নিয়� টানাটানি করতে হচ্ছ� -
শুধু� কি এই বাহ্যি� সৌন্দর্য�! শবনমের চল� ফেরা, কথায� কথায� কাব্� আওড়ান�, সাহস আর অদ্ভুত সুন্দর ব্যক্তিত্ব বর্ণনা করতে গুলজার সাহেবকেও টানত� হচ্ছ� -
এক্সাক্টলি! মাত্� ১৯ বছ� বয়সী তরুণী শবনমের চলাফের� করার স্টাইল, ব্যক্তিত্ব কতটা দীপ্যমান তা টে� পাওয়া যায় ভালবাসার মুহুর্তে শবনমের কথ� শুনে কিংব� বোরক� পরিধান নিয়� বল� কথায� - "তুমি � তাম্বু, মানে বোরক� পর কে�?
স্বচ্ছন্দে যেখানে খুশী আস�-যাওয়া কর� যায় বলে। আহাম্মুখ ইউরোপীয়ানরা ভাবে ওট� পুরুষে� সৃষ্টি, মেয়েদের লুকিয়� রাখা� জন্য� আসলে ওট� মেয়েদের� আবিষ্কার- আপ� সুবিধে� জন্য� আম� কিন্তু মাঝে মাঝে পর�, এদেশের পুরু� এখনো মেয়েদের দিকে তাকাতে শেখেনি বল�-"
কিংব� আব্দুর রহমানক� চা খাওয়া� কথ� জিজ্ঞাসা করায়ও টে� পাওয়া যায় শবনমের বদান্যতা- "আগ� আবদু� রহমা�, চা খাবে?" ভৃত্যক� বল� হচ্ছ� চা খাবে? চা আন� নয�!
(অবশ্� মন� হত� পারে ১৯ বছ� বয়স� এম� সব উপলব্ধ� আর প্রব� নারীত্� একটু খেলো হয়ে যায় না! অবশ্� শিশু কন্যার মধ্যেও প্রব� ব্যক্তিত্বধারী নারী লুকিয়� থাকে ঠি� যেমন কর� অপার মায়� লুকানো থাকে� সঠিক লোকে� হাতে ট্রেনি� পেলে রাতারাতি নারী না হয়ে যায় কোথায়� নচেৎ ১৩ বছ� বয়সী কিশোরী� প্রব� নারীত্� দেখে আমার জ্বল� যাওয়া� উপক্রম হয�!? ;)
এবার উপন্যাসে� দিকে যাওয়া যা�!? :)
শবনমকে রোমান্টি� উপন্যাসে� ঘরানায� ফেলা হলেও এত� কবিতার উপস্থিতি ভীষণ ভাবে লক্ষ্যণীয়� তাহল� উপন্যা� না কাব্যগ্রন্�? উপন্যা� আর কাব্যর� মিলিয়� যা হয� শবনম তা-ই। বইটা� ছো� ছো� তিনট� খন্ড বর্ণনা দেয় প্রে�,পরিণয় আর বিয়োগের�
বাংলাদেশের সিলেটে� ছেলে মজনূ� চাকর� সূত্রে গিয়েছিল আফগানিস্তানে, অধ্যাপনা করতে� আর কাবু� সর্দার আওরঙ্গজে� খানে� আদরে� কন্য� শবনম� পিতা� ভাষ্� মত� বিউট�,ব্রে�,বার্�, ব্যাঙ্�- এই চারট� বিশেষণের অধিকারিণী শবনম আর বাঙালী মজনূনে� দেখা হয়েছি� একরাতে; বল নাচে� অনুষ্ঠান দেখত� গিয়ে।
হঠাৎ করেই দেখা হয়ে যায় এই দু� কাব্� প্রেমীর। শেষে কাব্যালাপে� মাধ্যম� ক্ষণকালে� পরিচিত মজনূনক� শবনমের বিদায়-
"গোড়� আর শে� এই সৃষ্টি� জানা আছ� বল� কা�?
প্রাচী� এই পুঁথ� গোড়� আর শেষে পাতা �-টি ঝর� তা�!"
১ম দেখায় প্রে�! রিলেটেবল!? যদিও প্রথ� দেখায় প্রে� কথাট� একদি� থেকে বিতর্কিত� তব� একেবারেই যে এর অস্তিত্ব নে� তা বল� যায় না� এট� আসলে আপেক্ষিক ব্যাপার।একজন মানুষক� প্রথমবার দেখে ভালো লাগতেই পারে� এরপর যদ� আবার� তারসাথেই দেখা হয� আর ভালবাসার কথ� মু� দিয়� বেড়িয়ে� যায় তখ� এট� লা� এট ফার্স্� সাইট না হয়ে যায় কোথায়� তব� হ্যা, সময়কা� বড়ই মাপা (প্রথমবার প্রেমে পড়া� পর আবার আরেকজনের প্রেমে পড়ল� লা� এট ফার্স্� সাইটের বাড়� ভাতে ছা� পড়ে যাবে যে, তা� উহ� আপেক্ষিক ব্যাপা� স্যাপা�)
একবা� দেখা মাত্রই বাঙালী মজনূনে� হৃদয়ে এক অজান� শিহর�, রাতে� নিদ্রা পলায়ন কর� আকাশের শশী হল সঙ্গী�
তারপ� আবার পুনরায� দেখা, দৃষ্টি বিনিময�!!
"সর� হৃদয� মন� কর� প্রে� লুকায়� রাখিতে পারে
কাঁচের ফানু� মন� ভাবে লুকায়েছ� শিখাটারে�"
অতঃপ�!! প্রে�,মিলন আর বিচ্ছে�! আর দশটা সাধারণ মানু� সবকিছুতে� অভ্যস্� হয়ে যায় তা হো� সু� বা দুঃখ� অভ্যস্তত� স্রো� হী� শান্� নদী� মতোন, তাতে কোনো কিছু� উত্তেজনা নেই। <তব� বস্ন� যৌবন দুদিনে� লো� পায় >তা� হয়ত� শবনম ভোরে� শিশিরে� মত� টু� কর� ঝর� যেতে চা� নি, প্রিয় মানুষটার মন� ভোরে� সতেজ শিউলির মত� ফুটে থাকত� চেয়েছিলেন সর্বদা� চেয়েছিলেন তা� প্রিয় যে� তাকে ভালবাসতে গিয়� একটা অভ্যস্ততায� বাঁধ� না পড়েন। আর তা� হয়ত� বিদায়ের কালে বল� গিয়েছিলেন -
"আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�"
মজনূ� ঠি� কি করেছিলেন!? অভ্যস্ততার বশ মেনেছিলে� নাকি শবনমের কথ� মতোই বারংবা� বিরহ� কাতর ছিলে�!? তুর্কী রমণী শবনম শিউলির কথ� বলতে গিয়� বাঙালী মজনূ� এক কোণায় পড়ে গেছে� মজনূ� সম্বন্ধে আম� একটা কথাই বলতে পারি- কোমলতা� উপরে কাঠিন্যে� পারদ লাগানো শ্রুতকীর্তিরা স্বার্থপ� প্রেমে তো এম� কাউকেই চাইব� যে মিলন আর বিরহ� অভ্যস্� না হো�! ভালবাসুক আপনা� থেকে� বেশি...
একটা জিনি� মন� রাখা ভালো এই কাহিনী সচরাচর দেখা প্রে� কাহিনী� মত� নয়।আবার হঠাৎ কর� প্রথ� দেখাতে� প্রে�; এক বিদেশী� সাথে শাহজাদী� প্রেমে� কাহিনীটা হয়ত� একটু নাটুকে� তব� বইয়ের শুরুটা যেমন সুন্দর ছি� শেষটাও ছি� তেমন� করুণ সুন্দর� যা কিছু রোমান্সে� আবহে বর্ণিত তা� সময়কালট� পবিত্রতা� বন্ধনে বাঁধ� ছি�; আর শবনমের ছি� এক আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব; হয়ত� � কারণেই ভালো লেগেছে, নচেৎ ভালো লাগল� কে�?
বইটি� পাতায় পাতায় মজনূ� আর শবনমের চলতি জীবনের প্রেমময় কাব্যরসে� ধারা� ভাষা কঠিন; সহ� সর� প্রাঞ্জল নয�; আর সাথে আছ� আরবী,ফারস� বয়েতে� সংমিশ্রণ� তা� ভেবে চিন্তে� সময় খর� করবে�!
রেটি�??
আকাশের হাজা� তারা!
~ ২৯ জু�, ২০২১ (এডিটেড)
শবনম: ভোরে� শিশি�!
কাহিনীতে এন্ট্র� নেয়ার সময় শবনমের সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গিয়� মুজতবা আলী সাহে� পাগমান পাহাড়ের বর�, মল্লিকার পাপড়িকে নিয়� টানাটানি করলে� আম� সে� অদেখ� জিনি� নিয়� এখ� কিছু বলতে পারছ� না� আবার বইয়ের মাঝে� দিকে ওর হাতে� আঙুলের তুলন� করেছেন ব্যালে নর্তকী� সাথে; মু� তা� সিঁদুরের মত� টকটকে। তব� একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে শবনমের সৌন্দর্যের বর্ণনা� জন্য আমাক� আনন্� বক্সী� লেখা নিয়� টানাটানি করতে হচ্ছ� -
Na kajre ki dhaar, na motiyon ke haar;
Na koyi kiya singar, phir bhi kitni sundar ho.
Ude khushboo jab chale tu,
Bole to baje sitaar,
Na kajre ki dhaar! 🎶🎵
শুধু� কি এই বাহ্যি� সৌন্দর্য�! শবনমের চল� ফেরা, কথায� কথায� কাব্� আওড়ান�, সাহস আর অদ্ভুত সুন্দর ব্যক্তিত্ব বর্ণনা করতে গুলজার সাহেবকেও টানত� হচ্ছ� -
Aap ki aankhon mein kuch
Meheke huye se raaz hai
Aap se bhi khoobsurat
Aap ke andaaz hai🎶🎵
এক্সাক্টলি! মাত্� ১৯ বছ� বয়সী তরুণী শবনমের চলাফের� করার স্টাইল, ব্যক্তিত্ব কতটা দীপ্যমান তা টে� পাওয়া যায় ভালবাসার মুহুর্তে শবনমের কথ� শুনে কিংব� বোরক� পরিধান নিয়� বল� কথায� - "তুমি � তাম্বু, মানে বোরক� পর কে�?
স্বচ্ছন্দে যেখানে খুশী আস�-যাওয়া কর� যায় বলে। আহাম্মুখ ইউরোপীয়ানরা ভাবে ওট� পুরুষে� সৃষ্টি, মেয়েদের লুকিয়� রাখা� জন্য� আসলে ওট� মেয়েদের� আবিষ্কার- আপ� সুবিধে� জন্য� আম� কিন্তু মাঝে মাঝে পর�, এদেশের পুরু� এখনো মেয়েদের দিকে তাকাতে শেখেনি বল�-"
কিংব� আব্দুর রহমানক� চা খাওয়া� কথ� জিজ্ঞাসা করায়ও টে� পাওয়া যায় শবনমের বদান্যতা- "আগ� আবদু� রহমা�, চা খাবে?" ভৃত্যক� বল� হচ্ছ� চা খাবে? চা আন� নয�!
(অবশ্� মন� হত� পারে ১৯ বছ� বয়স� এম� সব উপলব্ধ� আর প্রব� নারীত্� একটু খেলো হয়ে যায় না! অবশ্� শিশু কন্যার মধ্যেও প্রব� ব্যক্তিত্বধারী নারী লুকিয়� থাকে ঠি� যেমন কর� অপার মায়� লুকানো থাকে� সঠিক লোকে� হাতে ট্রেনি� পেলে রাতারাতি নারী না হয়ে যায় কোথায়� নচেৎ ১৩ বছ� বয়সী কিশোরী� প্রব� নারীত্� দেখে আমার জ্বল� যাওয়া� উপক্রম হয�!? ;)
এবার উপন্যাসে� দিকে যাওয়া যা�!? :)
শবনমকে রোমান্টি� উপন্যাসে� ঘরানায� ফেলা হলেও এত� কবিতার উপস্থিতি ভীষণ ভাবে লক্ষ্যণীয়� তাহল� উপন্যা� না কাব্যগ্রন্�? উপন্যা� আর কাব্যর� মিলিয়� যা হয� শবনম তা-ই। বইটা� ছো� ছো� তিনট� খন্ড বর্ণনা দেয় প্রে�,পরিণয় আর বিয়োগের�
বাংলাদেশের সিলেটে� ছেলে মজনূ� চাকর� সূত্রে গিয়েছিল আফগানিস্তানে, অধ্যাপনা করতে� আর কাবু� সর্দার আওরঙ্গজে� খানে� আদরে� কন্য� শবনম� পিতা� ভাষ্� মত� বিউট�,ব্রে�,বার্�, ব্যাঙ্�- এই চারট� বিশেষণের অধিকারিণী শবনম আর বাঙালী মজনূনে� দেখা হয়েছি� একরাতে; বল নাচে� অনুষ্ঠান দেখত� গিয়ে।
হঠাৎ করেই দেখা হয়ে যায় এই দু� কাব্� প্রেমীর। শেষে কাব্যালাপে� মাধ্যম� ক্ষণকালে� পরিচিত মজনূনক� শবনমের বিদায়-
"গোড়� আর শে� এই সৃষ্টি� জানা আছ� বল� কা�?
প্রাচী� এই পুঁথ� গোড়� আর শেষে পাতা �-টি ঝর� তা�!"
১ম দেখায় প্রে�! রিলেটেবল!? যদিও প্রথ� দেখায় প্রে� কথাট� একদি� থেকে বিতর্কিত� তব� একেবারেই যে এর অস্তিত্ব নে� তা বল� যায় না� এট� আসলে আপেক্ষিক ব্যাপার।একজন মানুষক� প্রথমবার দেখে ভালো লাগতেই পারে� এরপর যদ� আবার� তারসাথেই দেখা হয� আর ভালবাসার কথ� মু� দিয়� বেড়িয়ে� যায় তখ� এট� লা� এট ফার্স্� সাইট না হয়ে যায় কোথায়� তব� হ্যা, সময়কা� বড়ই মাপা (প্রথমবার প্রেমে পড়া� পর আবার আরেকজনের প্রেমে পড়ল� লা� এট ফার্স্� সাইটের বাড়� ভাতে ছা� পড়ে যাবে যে, তা� উহ� আপেক্ষিক ব্যাপা� স্যাপা�)
একবা� দেখা মাত্রই বাঙালী মজনূনে� হৃদয়ে এক অজান� শিহর�, রাতে� নিদ্রা পলায়ন কর� আকাশের শশী হল সঙ্গী�
তারপ� আবার পুনরায� দেখা, দৃষ্টি বিনিময�!!
"সর� হৃদয� মন� কর� প্রে� লুকায়� রাখিতে পারে
কাঁচের ফানু� মন� ভাবে লুকায়েছ� শিখাটারে�"
অতঃপ�!! প্রে�,মিলন আর বিচ্ছে�! আর দশটা সাধারণ মানু� সবকিছুতে� অভ্যস্� হয়ে যায় তা হো� সু� বা দুঃখ� অভ্যস্তত� স্রো� হী� শান্� নদী� মতোন, তাতে কোনো কিছু� উত্তেজনা নেই। <তব� বস্ন� যৌবন দুদিনে� লো� পায় >তা� হয়ত� শবনম ভোরে� শিশিরে� মত� টু� কর� ঝর� যেতে চা� নি, প্রিয় মানুষটার মন� ভোরে� সতেজ শিউলির মত� ফুটে থাকত� চেয়েছিলেন সর্বদা� চেয়েছিলেন তা� প্রিয় যে� তাকে ভালবাসতে গিয়� একটা অভ্যস্ততায� বাঁধ� না পড়েন। আর তা� হয়ত� বিদায়ের কালে বল� গিয়েছিলেন -
"আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�"
মজনূ� ঠি� কি করেছিলেন!? অভ্যস্ততার বশ মেনেছিলে� নাকি শবনমের কথ� মতোই বারংবা� বিরহ� কাতর ছিলে�!? তুর্কী রমণী শবনম শিউলির কথ� বলতে গিয়� বাঙালী মজনূ� এক কোণায় পড়ে গেছে� মজনূ� সম্বন্ধে আম� একটা কথাই বলতে পারি- কোমলতা� উপরে কাঠিন্যে� পারদ লাগানো শ্রুতকীর্তিরা স্বার্থপ� প্রেমে তো এম� কাউকেই চাইব� যে মিলন আর বিরহ� অভ্যস্� না হো�! ভালবাসুক আপনা� থেকে� বেশি...
একটা জিনি� মন� রাখা ভালো এই কাহিনী সচরাচর দেখা প্রে� কাহিনী� মত� নয়।আবার হঠাৎ কর� প্রথ� দেখাতে� প্রে�; এক বিদেশী� সাথে শাহজাদী� প্রেমে� কাহিনীটা হয়ত� একটু নাটুকে� তব� বইয়ের শুরুটা যেমন সুন্দর ছি� শেষটাও ছি� তেমন� করুণ সুন্দর� যা কিছু রোমান্সে� আবহে বর্ণিত তা� সময়কালট� পবিত্রতা� বন্ধনে বাঁধ� ছি�; আর শবনমের ছি� এক আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব; হয়ত� � কারণেই ভালো লেগেছে, নচেৎ ভালো লাগল� কে�?
বইটি� পাতায় পাতায় মজনূ� আর শবনমের চলতি জীবনের প্রেমময় কাব্যরসে� ধারা� ভাষা কঠিন; সহ� সর� প্রাঞ্জল নয�; আর সাথে আছ� আরবী,ফারস� বয়েতে� সংমিশ্রণ� তা� ভেবে চিন্তে� সময় খর� করবে�!
রেটি�??
আকাশের হাজা� তারা!
~ ২৯ জু�, ২০২১ (এডিটেড)
July 25, 2016
ইংরেজী ভাষা� অভিধান� প্রত� বছ� গড়ে প্রায় ৮০�-১০০০ নতুন শব্দ যো� হয়ে চলেছে। নতুন এই ইংরেজী শব্দগুলো� একটি বড� অংশেরই জন্ম বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে� বহুল ব্যবহারে� বদৌলতে� সামাজি� যোগাযো� মাধ্যম� মানু� মনের ভা� প্রকাশ করবা� জন্য প্রতিনিয়ত� নতুন শব্দ হাতড়ে বেড়ায়। ইদানীংকার যুগে� এমনই একটি নতুন উদ্ভাবিত শব্দ স্যাপিওসেক্সুয়্যা� (Sapiosexual), অর্থাৎ কিনা যিনি শারীরি� সৌন্দর্য নয�, বুদ্ধিমত্তাকেই যৌ� আকর্ষণের প্রধান উপকর� হিসেবে গণ্য করেন� বল� বাহুল্�, বুদ্ধিমত্তার দ্বারা ‘যৌনাভাবে� আকর্ষি� হত� হল� নিজেরও যথেষ্ট বুদ্ধিমত্ত� থাকা চা�; পুকুরে� পানি� গভীরত� মাপত� হল� যেমন দরকা� পড়ে শুকন� লম্ব� কাঠির। ‘স্যাপিওসেক্সুয়্যাল� কথাট� বে� গুরুগম্ভী� এব� এর অর্থটি� মন� হয� সাধারণের নাগালে� বাইরে। তব� ব্যক্তিগ� জীবন� আমরা প্রত্যেকেই বন্ধ� নির্বাচনের ক্ষেত্রে কখনো না কখনো ‘স্যাপিওসেক্সুয়্যাল� হয়ে� যা�! কো� আসরে হঠাৎ পরিচয় এম� কো� ব্যক্তির সাথে যদ� প্রিয় চলচ্চিত্�, প্রিয় উপন্যা� কিংব� প্রিয় ব্যান্�/ সংগীতশিল্পীদে� তালিকা গুলো মিলে যায়, আমরা তাঁর সাথে একধরণে� আত্নিক সম্পর্� অনুভ� করি। মন� হয� “এ মানুষট� আমার কতদিনে� চেনা, কত আপ�! কে বলবে পরিচয় মাত্� এখনি হল�?� কর্মব্যস্ততা� ফেরে পড়ে যদ� স্বল্পপরিচিত এই ব্যক্তির সাথে দেখাসাক্ষা� একেবারেই কম� হয�, তবুও প্রতিবারেই দেখা হবার বেলায় অন্যরক� একটা ভালো লাগা কা� করে। এখান� বল� রাখা ভালো, ‘স্যাপিওসেক্সুয়্যাল� ঠি� যৌনাকাঙ্ক্ষা অর্থ� খু� কম� ব্যবহৃ� হয� (বুদ্ধিমত্তার স্তরবিশেষে যৌনতার স্থা� বরাবরই একটু নড়বড়�!) এব� এট� সমলিঙ্�-বিপরীতলিঙ্গ নির্বিশেষে সবার প্রতিই হওয়� চলে। বুদ্ধিমা� যন্ত্রপাতি� বর্তমা� পৃথিবীতে আসলে দুজন বুদ্ধিমা� মানু� একত্� হওয়াটাই বিশা� ব্যাপার। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দ� নারী না কি পুরু�, লিঙ্গে� সীমানা নির্ধারণকারী এই প্রশ্ন বুদ্ধিমত্তার এই ক্ষেত্রে নিতান্তই অগৌণ হয়ে পড়ে� সে যা হো�, বিশেষত প্রেমে� ক্ষেত্রে কথিত আছ�, ‘আদর্শ জুটি� বিষয়ট� সমাজ� অত্যন্� দুষ্প্রাপ্য। দুষ্� লোকেরা বলেন, চালা� ছেলেরা নাকি প্রে� কর� বোকা মেয়েদের সাথে (ফল� বোকা ছেলেদে� চালা� মেয়� ছাড়� আর কো� ‘গতি� থাকেনা)� কঠিন এক দুষ্টচক্�! সৈয়� মুজতবা আলী’র প্রেমে� উপন্যা� ‘শবনম� এদিক দিয়� অত্যন্� ব্যতিক্রম। উপন্যাসে� নায়� মজনূ� � নায়িক� শবনম, বুদ্ধিমত্তার দৌড়� কেউই কারো চেয়� কম যা� না� দুজন� কাব্যরসিক। একজন হাফি� থেকে দু চর� উদ্ধৃত করেন তো আরেকজন প্রত্যুত্তোর� রুমী শুনিয়� দেন। উভয়� ফার্সী � ফরাসী ভাষা� ওস্তাদ� মারপ্যাঁ� দিয়� কথ� বলতে জানেন। প্রেমে� উপন্যা�, তায় আধুনিক ভাষায় ‘স্যাপিওসেক্সুয়্যাল' জুটি, অতএব, প্রথ� দেখায়� প্রে� না হয়ে যায় কোথায়?
আম� ‘প্রথম দর্শনে� প্রেম� বিষয়ট� কখনো� খু� ভালো বুঝে উঠতে পারিনি� আমার কাছে মন� হয�, ‘প্রেম� শব্দটি এই বিশে� ক্ষেত্রে সঠিক অর্থ বহ� করছেনা, কিংব�, শিল্� সাহিত্যে প্রে� বিষয়টিক� যত মহান কর� চিত্রি� কর� হয�, কার্যত তা আসলে অত মহান নয�! ১০� পাতা� গল্পের ১৬তম পাতায় এস� নায়� নায়িকার তৃতীয় দেখায়� (কোনটিই আধ ঘন্টার বেশী দীর্� ছিলো বল� তো মন� হয� না) যখ� ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি� বল� হয়ে যায়, প্রেমে� গল্পের ক্ষেত্রে আমার উন্নাসিকতা আরেকটু বেড়েই যায় বট�! শিক্ষি� পরিবারের সন্তানদে� ছিচ্ছিকারে� পাত্� বাংল� সিনেমাগুলো� সাথে ‘শবনম� এর পার্থক্য আমার কাছে আরেকটু কম� আস� যখ� মজনূ� সিনেমা� নায়কদের মত বিছানায় গড়াগড়ি খেতে খেতে ‘ক� মেয়েই তো দেখলাম জীবন�, কিন্তু,...... কিন্তু এই মেয়েট�......একেবারেই অন্যরকম� ভেবে অস্থিরচিত্� হন� আর� একটি বিষয� আমার কাছে যথেষ্ট� দৃষ্টিকট� লেগেছে� সেটি হল� শবনম-মজনূনে� বয়েসে� তফাৎ� মজনূনে� বয়েসে� উল্লেখ নে�, তব� বাঙ্গালী ছেলে ভিনদেশ আফগানিস্তানে� কলেজের মাস্টারী করছে�, মধ্য বি� তো ছাড়াবেই অন্তত। শবনমের উনিশ� উনিশ-পঁচিশে ফারা� কম-� তব� শবনমের অসামান্য বুদ্ধিমত্তার কথ� স্বীকা� করেই বলছি, উনিশ বছ� বয়স্ক� তরুণী� প্রেমানুভূতি� ব্যাপারে আম� যথেষ্ট� সন্দেহবাদী�
‘শবনম� অত্যন্� কাব্যময় উপন্যাস। পাতায় পাতায় আছ� ফার্সী-সংস্কৃ� বয়েৎ। মুজতবা আলী ভিনদেশী বয়ে� গুলো� অনুবাদ� ভালো� করেছেন তব� চর� গুলো� অন্তর্নিহি� দর্শ� ভালো লাগেনি মোটেই। নিতান্� সাধারণ জীবন দর্শনক� কাব্� কর� ভারী ভারী শব্দের প্রয়োগে মহান কর� তোলাটাকে আম� মানত� পারিনা কে� যে�; স্বীকা� কর�, কাব্যরসে আম� অনেকটা� বঞ্চিত�
উপন্যাসট� লেখবার কায়দা� আমার পছন্� হয়নি। উত্ত� পুরুষে বর্ণিত মজনূনে� বয়ানে একটা ন্যাকামো আছ� যা তীব্রভাব� বিকর্ষ� করেছ� আমাকে। ভালো লাগেনি সংলা� গুলোও। বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস প্রায় হাজা� খানি� বছরের। এত প্রাচী� � ঐতিহ্যবাহী একটি ভাষা� সাহিত্যে� আধুনিক সময়ের উপন্যাসে� সংলা� যদ� সে� শুরু� সময়ের সংলাপে� মত� হয�, সেটি দুঃখজনক। নায়িক� শবনমের দুটি সংলা� এখান� উল্লেখ করছি�
�ওগ� তুমি কে� ভাবো তুমি অত� সাধারণ জন? তোমা� � একটিমাত্� জিনিসই আমার বুকে� ভেতর যে� ঝড� এস� আমার বুকে� বর� ধুনরী� মত তুলো-পেঁজ� কর� দেয়� আমার অসহ্� কষ্ট হয়। তুমি কে� আমার দিকে আতুরের মত তাকা�, তুমি কে� তোমা� যা হক্ক তা� কণাটুক� পেয়েও ভিখারী� মত গদ্গ� হও? তুমি কে� বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণে শে� না হতেই সদম্ভে কাঁচ� এন� আমার জুলফ কেটে দা� না? তুমি কে� আমার মুখে� বস� দু হা� দিয়� টুকর� টুকর� কর� ছিঁড়ে ফে� না? সিংহ যে রক� হরিনী� মাংস টুকর� টুকর� কর� ছিঁড়ে খায়?�
�কিন্তু এস� কিছু নয�, কিছু নয়। আস� কথ�, সে তোমা� মৃত্যুঞ্জয� প্রেম। আম� সুজাতা, সুচরিত�, সুস্মিতা আর আমার প্রে� যে� নব বসন্তে� মধ� নরগি� � তোমা� প্রে� ভর�-নিদাঘে� বিরহরসঘন দ্রাক্ষাকুঞ্জ। তারই ছায়ায� আম� জিরব�, তারই দেহে হেলা� দিয়� আম� বস�, সে� আঙ্গুর আম� জি� আর তালু� মাঝখান� আস্ত� আস্ত� নিষ্পেষি� কর� শুষে নেব। এই যেরক� এখ� করছি��
গল্প হিসেবে ‘শবনম� খু� খারা� ছিলোনা� যথেষ্ট আবেগ � বেদন� আছ� কিন্তু লেখনী� ধর� উপন্যাসট� উপভো� করবা� পথ� আমার সামন� চীনে� প্রাচী� তুলে দিয়েছ�, শে� পর্যন্� যা আমার অগম্যই রয়ে গেলো (স্যাপিওসেক্সুয়্যা� পাঠক নই, সন্দেহ কী?)� ‘শবনম� বিয়োগাত্ন� উপন্যা�, তব� বইটি� ১০৫ট� পাতা সম্পূর্ন পড়াটা� আমার কাছে বেশী ‘বিয়োগাত্নক� হয়ে থাকবে।
আম� ‘প্রথম দর্শনে� প্রেম� বিষয়ট� কখনো� খু� ভালো বুঝে উঠতে পারিনি� আমার কাছে মন� হয�, ‘প্রেম� শব্দটি এই বিশে� ক্ষেত্রে সঠিক অর্থ বহ� করছেনা, কিংব�, শিল্� সাহিত্যে প্রে� বিষয়টিক� যত মহান কর� চিত্রি� কর� হয�, কার্যত তা আসলে অত মহান নয�! ১০� পাতা� গল্পের ১৬তম পাতায় এস� নায়� নায়িকার তৃতীয় দেখায়� (কোনটিই আধ ঘন্টার বেশী দীর্� ছিলো বল� তো মন� হয� না) যখ� ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি� বল� হয়ে যায়, প্রেমে� গল্পের ক্ষেত্রে আমার উন্নাসিকতা আরেকটু বেড়েই যায় বট�! শিক্ষি� পরিবারের সন্তানদে� ছিচ্ছিকারে� পাত্� বাংল� সিনেমাগুলো� সাথে ‘শবনম� এর পার্থক্য আমার কাছে আরেকটু কম� আস� যখ� মজনূ� সিনেমা� নায়কদের মত বিছানায় গড়াগড়ি খেতে খেতে ‘ক� মেয়েই তো দেখলাম জীবন�, কিন্তু,...... কিন্তু এই মেয়েট�......একেবারেই অন্যরকম� ভেবে অস্থিরচিত্� হন� আর� একটি বিষয� আমার কাছে যথেষ্ট� দৃষ্টিকট� লেগেছে� সেটি হল� শবনম-মজনূনে� বয়েসে� তফাৎ� মজনূনে� বয়েসে� উল্লেখ নে�, তব� বাঙ্গালী ছেলে ভিনদেশ আফগানিস্তানে� কলেজের মাস্টারী করছে�, মধ্য বি� তো ছাড়াবেই অন্তত। শবনমের উনিশ� উনিশ-পঁচিশে ফারা� কম-� তব� শবনমের অসামান্য বুদ্ধিমত্তার কথ� স্বীকা� করেই বলছি, উনিশ বছ� বয়স্ক� তরুণী� প্রেমানুভূতি� ব্যাপারে আম� যথেষ্ট� সন্দেহবাদী�
‘শবনম� অত্যন্� কাব্যময় উপন্যাস। পাতায় পাতায় আছ� ফার্সী-সংস্কৃ� বয়েৎ। মুজতবা আলী ভিনদেশী বয়ে� গুলো� অনুবাদ� ভালো� করেছেন তব� চর� গুলো� অন্তর্নিহি� দর্শ� ভালো লাগেনি মোটেই। নিতান্� সাধারণ জীবন দর্শনক� কাব্� কর� ভারী ভারী শব্দের প্রয়োগে মহান কর� তোলাটাকে আম� মানত� পারিনা কে� যে�; স্বীকা� কর�, কাব্যরসে আম� অনেকটা� বঞ্চিত�
উপন্যাসট� লেখবার কায়দা� আমার পছন্� হয়নি। উত্ত� পুরুষে বর্ণিত মজনূনে� বয়ানে একটা ন্যাকামো আছ� যা তীব্রভাব� বিকর্ষ� করেছ� আমাকে। ভালো লাগেনি সংলা� গুলোও। বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস প্রায় হাজা� খানি� বছরের। এত প্রাচী� � ঐতিহ্যবাহী একটি ভাষা� সাহিত্যে� আধুনিক সময়ের উপন্যাসে� সংলা� যদ� সে� শুরু� সময়ের সংলাপে� মত� হয�, সেটি দুঃখজনক। নায়িক� শবনমের দুটি সংলা� এখান� উল্লেখ করছি�
�ওগ� তুমি কে� ভাবো তুমি অত� সাধারণ জন? তোমা� � একটিমাত্� জিনিসই আমার বুকে� ভেতর যে� ঝড� এস� আমার বুকে� বর� ধুনরী� মত তুলো-পেঁজ� কর� দেয়� আমার অসহ্� কষ্ট হয়। তুমি কে� আমার দিকে আতুরের মত তাকা�, তুমি কে� তোমা� যা হক্ক তা� কণাটুক� পেয়েও ভিখারী� মত গদ্গ� হও? তুমি কে� বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণে শে� না হতেই সদম্ভে কাঁচ� এন� আমার জুলফ কেটে দা� না? তুমি কে� আমার মুখে� বস� দু হা� দিয়� টুকর� টুকর� কর� ছিঁড়ে ফে� না? সিংহ যে রক� হরিনী� মাংস টুকর� টুকর� কর� ছিঁড়ে খায়?�
�কিন্তু এস� কিছু নয�, কিছু নয়। আস� কথ�, সে তোমা� মৃত্যুঞ্জয� প্রেম। আম� সুজাতা, সুচরিত�, সুস্মিতা আর আমার প্রে� যে� নব বসন্তে� মধ� নরগি� � তোমা� প্রে� ভর�-নিদাঘে� বিরহরসঘন দ্রাক্ষাকুঞ্জ। তারই ছায়ায� আম� জিরব�, তারই দেহে হেলা� দিয়� আম� বস�, সে� আঙ্গুর আম� জি� আর তালু� মাঝখান� আস্ত� আস্ত� নিষ্পেষি� কর� শুষে নেব। এই যেরক� এখ� করছি��
গল্প হিসেবে ‘শবনম� খু� খারা� ছিলোনা� যথেষ্ট আবেগ � বেদন� আছ� কিন্তু লেখনী� ধর� উপন্যাসট� উপভো� করবা� পথ� আমার সামন� চীনে� প্রাচী� তুলে দিয়েছ�, শে� পর্যন্� যা আমার অগম্যই রয়ে গেলো (স্যাপিওসেক্সুয়্যা� পাঠক নই, সন্দেহ কী?)� ‘শবনম� বিয়োগাত্ন� উপন্যা�, তব� বইটি� ১০৫ট� পাতা সম্পূর্ন পড়াটা� আমার কাছে বেশী ‘বিয়োগাত্নক� হয়ে থাকবে।
August 2, 2014
পাত্�- মজনূ�; পাত্রী- শবনম�
হঠাৎ করেই পরিচয়�
প্রথ� দর্শনে� দুর্নিবা� আকর্ষণ, নায়কে� নিদ্রা হারাম।
দ্বিতীয় দর্শনে বাকরুদ্ধ হলেন নায়ক।
তৃতীয় দর্শনে জানত� পারলেন � প্রে� ক্রিয়�-প্রতিক্রিয়া� চিরন্ত� নিয়� মেনে চলেছ�; অর্থাৎ শবনম� মজনূনে মজেছেন� শবনম জানিয়� গেলে�, "আম� তোমাকে ভালবাসি।"
কিছুকা� দূরে থাকা� বিরহ� অতঃপ� পুনরায� দর্শ�, পরিণয়� কিন্তু বিয়ের পরবর্তী দিনে� আবার বিরহ� কাতর মজনূন। কারণ, নব-পরিণীতা শবনম অপহৃত। তা� সম্পর্কে এতটুকু� জানা যায় কেবল, দুর্বৃত্� জাফরকে খু� কর� পালাতে সক্ষ� হয়েছি� সে� কিন্তু কোথায় আছ�, কেমন আছ� সে- তা অজানাই থেকে যায়� অপেক্ষায� দি� কাটে মজনূনের।
সংক্ষেপে এই হল "শবনম"-এর গল্প�
শুরু� কয়ে� পৃষ্ঠা খারা� লাগছিল না� কিন্তু � যে! প্রথ� দর্শনে প্রে�! � ব্যপারটা ঠি� এই বান্দা� কখনো বোধগম্� হয� না� শবনমের মত সুন্দরীকে দেখে রাতে� ঘু� হারা� হওয়াট� বিশ্বাসযোগ্য বটে। তা� বল� আকাশ-বাতা�-সা� আসমা� কাঁপান� প্রে�! শবনম মন� মন� তা� দয়িতে� যে রূ� কল্পনা করেছিল অবাক হয়ে দেখল সে� রূ� বাস্তব� ধর� দিয়েছ� মজনূ� হয়ে! অতটা আবার অবিশ্বাস্য ঠেকে� বাণিজ্যিকীকরণে� খাতিরে এরকম প্রেমে� অবতারণ� হর-হামেশা� নাটক-সিনেমায় দেখা যায়, তব� তাকে মহ� রূপে উপস্থাপন� সাহিত্যে� মহত্ত্� কতটুকু বৃদ্ধি পায়!?
শবনম অত্যন্� সংস্কৃতিমনা। কথায� কথায� কবিত� আওড়ায়। কিন্তু দু'জন তাদে� আলাপচারিতায়� এত অলংকার সমৃদ্ধ ভাষা� ব্যবহা� করেই যায় যে, এরকম আলাপচারিতা সাবলী� তো মনেই হয� না- বর� অগ্রহণযোগ্� বলেই মন� হয়। অত্যন্� অগভী� জীবনবোধক� অলংকৃত ভাষায় মুড়িয়ে দিলে� তা সুগভী� হয়ে যায় না� বিয়� বাড়ীতে অনেক মহিলার সর্বাঙ্গ� সোনা� গয়নার ছট� দেখে তাদেরক� গয়নার দোকা� বল� ভ্রম হয়। কারো কারো মুখে আবার কয়ে� কেজি মে�-আপের আস্তরণ দেখে আস� চেহারাটা ধরতে বড্ড বে� পেতে হয� আমার ছো� ছো� চো� দুটিকে� প্রকৃত�, আসবা�, ঘরের সজ্জ�, শবনম- যে কো� কিছু� বর্ণনাতে� এত এত উপমা আর অলংকারের ব্যবহা� দেখে কে� যে� এই গয়নার দোকা� রূপী অথবা সাদা রঙ� ঢাকা মহিলাদের মন� পড়ে গেল। শুধু চো� কে�? তা� সাথে মনটাকে জুড়� দিয়েও আস� রূপটিক� ধরতে পারলাম না�
বিষম � সুষম- "শবনম" পাঠে এই দুইরকম প্রতিক্রিয়া হত� পারে বল� মত দিয়েছেন মুহম্ম� এনামুল হক� এই পাঠকের ক্ষেত্রে সে� প্রতিক্রিয়া বিষম� হল, বলতে হয়।
হঠাৎ করেই পরিচয়�
প্রথ� দর্শনে� দুর্নিবা� আকর্ষণ, নায়কে� নিদ্রা হারাম।
দ্বিতীয় দর্শনে বাকরুদ্ধ হলেন নায়ক।
তৃতীয় দর্শনে জানত� পারলেন � প্রে� ক্রিয়�-প্রতিক্রিয়া� চিরন্ত� নিয়� মেনে চলেছ�; অর্থাৎ শবনম� মজনূনে মজেছেন� শবনম জানিয়� গেলে�, "আম� তোমাকে ভালবাসি।"
কিছুকা� দূরে থাকা� বিরহ� অতঃপ� পুনরায� দর্শ�, পরিণয়� কিন্তু বিয়ের পরবর্তী দিনে� আবার বিরহ� কাতর মজনূন। কারণ, নব-পরিণীতা শবনম অপহৃত। তা� সম্পর্কে এতটুকু� জানা যায় কেবল, দুর্বৃত্� জাফরকে খু� কর� পালাতে সক্ষ� হয়েছি� সে� কিন্তু কোথায় আছ�, কেমন আছ� সে- তা অজানাই থেকে যায়� অপেক্ষায� দি� কাটে মজনূনের।
সংক্ষেপে এই হল "শবনম"-এর গল্প�
শুরু� কয়ে� পৃষ্ঠা খারা� লাগছিল না� কিন্তু � যে! প্রথ� দর্শনে প্রে�! � ব্যপারটা ঠি� এই বান্দা� কখনো বোধগম্� হয� না� শবনমের মত সুন্দরীকে দেখে রাতে� ঘু� হারা� হওয়াট� বিশ্বাসযোগ্য বটে। তা� বল� আকাশ-বাতা�-সা� আসমা� কাঁপান� প্রে�! শবনম মন� মন� তা� দয়িতে� যে রূ� কল্পনা করেছিল অবাক হয়ে দেখল সে� রূ� বাস্তব� ধর� দিয়েছ� মজনূ� হয়ে! অতটা আবার অবিশ্বাস্য ঠেকে� বাণিজ্যিকীকরণে� খাতিরে এরকম প্রেমে� অবতারণ� হর-হামেশা� নাটক-সিনেমায় দেখা যায়, তব� তাকে মহ� রূপে উপস্থাপন� সাহিত্যে� মহত্ত্� কতটুকু বৃদ্ধি পায়!?
শবনম অত্যন্� সংস্কৃতিমনা। কথায� কথায� কবিত� আওড়ায়। কিন্তু দু'জন তাদে� আলাপচারিতায়� এত অলংকার সমৃদ্ধ ভাষা� ব্যবহা� করেই যায় যে, এরকম আলাপচারিতা সাবলী� তো মনেই হয� না- বর� অগ্রহণযোগ্� বলেই মন� হয়। অত্যন্� অগভী� জীবনবোধক� অলংকৃত ভাষায় মুড়িয়ে দিলে� তা সুগভী� হয়ে যায় না� বিয়� বাড়ীতে অনেক মহিলার সর্বাঙ্গ� সোনা� গয়নার ছট� দেখে তাদেরক� গয়নার দোকা� বল� ভ্রম হয়। কারো কারো মুখে আবার কয়ে� কেজি মে�-আপের আস্তরণ দেখে আস� চেহারাটা ধরতে বড্ড বে� পেতে হয� আমার ছো� ছো� চো� দুটিকে� প্রকৃত�, আসবা�, ঘরের সজ্জ�, শবনম- যে কো� কিছু� বর্ণনাতে� এত এত উপমা আর অলংকারের ব্যবহা� দেখে কে� যে� এই গয়নার দোকা� রূপী অথবা সাদা রঙ� ঢাকা মহিলাদের মন� পড়ে গেল। শুধু চো� কে�? তা� সাথে মনটাকে জুড়� দিয়েও আস� রূপটিক� ধরতে পারলাম না�
বিষম � সুষম- "শবনম" পাঠে এই দুইরকম প্রতিক্রিয়া হত� পারে বল� মত দিয়েছেন মুহম্ম� এনামুল হক� এই পাঠকের ক্ষেত্রে সে� প্রতিক্রিয়া বিষম� হল, বলতে হয়।
December 22, 2022
দ্বিতীয় পাঠঃ
আহ�! অমৃতসুধা যে� পা� করলা� মাত্র। প্রিয়ার হাতে� আদুর� মাখা বি� খেয়� অম� হয়ে আনন্দলোকের আনন্� সাগরের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। আত্ম� প্রশান্তিত� পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
যারা আমার মত� প্রিয়ার বিরহ� কাতর হয়ে সর্বোচ্চ বিরহ সুখে দিনাতিপা� করছে তাদে� কাছে সৈয়� মুজতবা আলী� 'শবনম' যে� আকাশগঙ্গ� ছায়াপথে� মহামূল্যবা� বস্তু। 'শবনম' যে� বিরহীদে� আত্ম� দশদি� দিয়� প্রশান্তিত� পরিপূর্ণ কর� দিতে পারে�
মজনু� যখ� পাগল হয়ে শিশিরবিন্দুর সন্ধান� পাগলের মত� ঘুরছিল তখনই শবনম তা� সুরভিবাস দিয়� মজনুনে� বিরহকে শান্তিতে রূপান্তর করে। বিরহ� মজনু� মহান হয়ে যায়� বিরহের আগুন মজনুনক� কষ্ট দেয়ার বিপরীতে শান্তি দিতে থাকে�
যা� হো� এবার আবেগ থেকে বে� হয়ে বাস্তবতায় আসি।
'শবনম' এই নিয়� দ্বিতীয়বা� পড়ে শে� করলাম। প্রথমবার যখ� পড়েছিলা� তখ� কিছু� বুঝি নাই। তব� আজ যখ� পড়ে শে� করলা� তখ� হৃদয� দিয়� পুরোটা হৃদয়ঙ্গ� করেছি।
আগ� বলতা� 'সোনালী-দুঃখ' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যা�, তারপ� 'কব�' পড়া� পর বলেছিলাম 'কব�' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যাস। তব� আজ যখ� দ্বিতীয়বা� 'শবনম' পড়ে শে� করলা� তখ� আম� বলতেছি যে আজ থেকে আজীবনের জন্য 'শবনম' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যা� হয়ে থাকবে। শবনমের জায়গা আর কোনো প্রেমে� উপন্যা� দখ� করতে পারব� না�
শবনমের মত প্রেমে� উপন্যা� বাংল� সাহিত্যে ছি� না আর আসবে� না� 'শবনম' অম� হয়ে থাকব� আকাশের হৃদয়ে� হতভাগা আকাশ� যে মজনুনে� মত� পাগল বিরহ সুখে�
তব� 'দেশে বিদেশে' এর সাথে 'শবনম' এর কাহিনী� কিছুটা মি� আছে। মন� হয� মজনু� যে� স্বয়ং সৈয়� মুজতবা আলী�
"আকাশ আনন্দপূর্ণ না রহিত যদ�
জড়তার নাগপাশ� দে� মন হই� নিশ্চল�"
ভালোবাসি শবনম, ভালোবাসি... ❤️
প্রথ� পাঠঃ
কিছু কিছু বইয়ের রিভি� অশ্র� দিয়� লিখত� হয� -
সৈয়� মুজতবা আলী� প্রথ� কো� বই পড়লাম� প্রেমে� আখ্যানের কো� কিছু বাকি রাখা হয� নি, পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কাব্যাংশ এর ঝল� মন্ত্রমুগ্� করতে যথেষ্ট� কিন্তু শবনম তো ভোরে� শিশি�, যা সকালের প্রথ� রৌদ্রে� পরশে� ফুরিয়� যায়� কে� কী শবনম'কে সারাজীবন নিজে� মত� কর� সত্য� পাবে?
শবনমের মোহনীয় রূ�, বুদ্ধিমত্ত�, কবিত্ব-রস,যৌক্তি� উচ্চার�,ভালবাসার মানুষে� জন্য মিষ্টি হিংসেমী,লজ্জাবোধের সাবলী� প্রকাশ,দূরদর্শিতা, চারিত্রি� দৃঢ়তা � সবকিছু মজনুনক� প্রভাবিত/মনমুগ্� করেছে। শবনমের প্রেমে পড়া মজনুনে� উপযুক্� মধুর শাস্তি ছিল। তা� শবনমের মু� থেকে উচ্চারিত হয� চিরমানবে� অন্তর্বেদন�, "আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না, আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না�"
বুকে� একদম ভিতর� হিমালয়ে� সমান উঁচু হয়ে থাকা বেদনাগুলির ভা� কমানোর জন্য� তো একটা মানু� লাগে! আশেপাশ� শত সহস্� মানু� থাকলেও বিশে� একজন মানু� লাগে� যে শুধু� একান্ত�, নিভৃতে মনের কথাগুল� বলার মানু�, মনের কথাগুল� শোনা� মানু�, গভী� আবেগ� জড়িয়� ধর� থাকা� মানুষ। অযুত নিযু� সংখ্যা� মানু� আশেপাশ� থাকলেও একান্ত পাশে থাকা� মানুষে� খুবই অভাব এই জীবনে।
হে প্রে� তুমি পবিত্র হল� শবনম-মজনুনে� বক্ষমাঝে স্থা� পেয়� !
হে প্রে�, তুমি অমরত্ব পেলে শবনম-মজনুনে� হারানো� ভিতর দিয়� !
হে প্রে�, তুমি ধন্য হল� লায়লি-মজনু� বক্ষমাঝে স্থা� পেয়� !
হে প্রে�, তুমি অমরত্ব পেলে লায়লি-মজনু� মৃত্যু� ভিতর দিয়� !
খুদাতালা� সিংহাস� থেকে ঐশীবাণী উচ্চারিত হল :
হে সুরলোকবাসীগণ ! প্রেমে� দহ� দাহে দগ্ধ হয়ে অর্জ� করেছ তোমর� সুরলোকের অক্ষয় আসন।
হে মর্ত্যবাসীগণ ! সর্বচৈতন্য সর্বকল্পনা� অতী� যে মহান সত্ত� তিনি তা� বিশ্বরূপ ব্রক্ষান্ডস্বরূপের একটিমাত্� রূ� স্বপ্রকা� করেছেন মর্ত্যালোক�- তাঁর প্রেমরূপ�
ঘড়িতে কি বাজে, 'ঠি�...ঠি�...ঠি�...ঠি�...� না ভু� ঘড়িতে বাজে, শব...নম...শব...নম...শব...নম�
হঠাৎ একদি� আকস্মিকভাব� আসবে তো শবনম ?
শবনম কি মজনুনক� বল� যায়নি, 'বাড়িত� থেকো� আম� ফিরব?'
শবনম কি ফিরেছি� ???
আহ�! অমৃতসুধা যে� পা� করলা� মাত্র। প্রিয়ার হাতে� আদুর� মাখা বি� খেয়� অম� হয়ে আনন্দলোকের আনন্� সাগরের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। আত্ম� প্রশান্তিত� পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
যারা আমার মত� প্রিয়ার বিরহ� কাতর হয়ে সর্বোচ্চ বিরহ সুখে দিনাতিপা� করছে তাদে� কাছে সৈয়� মুজতবা আলী� 'শবনম' যে� আকাশগঙ্গ� ছায়াপথে� মহামূল্যবা� বস্তু। 'শবনম' যে� বিরহীদে� আত্ম� দশদি� দিয়� প্রশান্তিত� পরিপূর্ণ কর� দিতে পারে�
মজনু� যখ� পাগল হয়ে শিশিরবিন্দুর সন্ধান� পাগলের মত� ঘুরছিল তখনই শবনম তা� সুরভিবাস দিয়� মজনুনে� বিরহকে শান্তিতে রূপান্তর করে। বিরহ� মজনু� মহান হয়ে যায়� বিরহের আগুন মজনুনক� কষ্ট দেয়ার বিপরীতে শান্তি দিতে থাকে�
যা� হো� এবার আবেগ থেকে বে� হয়ে বাস্তবতায় আসি।
'শবনম' এই নিয়� দ্বিতীয়বা� পড়ে শে� করলাম। প্রথমবার যখ� পড়েছিলা� তখ� কিছু� বুঝি নাই। তব� আজ যখ� পড়ে শে� করলা� তখ� হৃদয� দিয়� পুরোটা হৃদয়ঙ্গ� করেছি।
আগ� বলতা� 'সোনালী-দুঃখ' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যা�, তারপ� 'কব�' পড়া� পর বলেছিলাম 'কব�' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যাস। তব� আজ যখ� দ্বিতীয়বা� 'শবনম' পড়ে শে� করলা� তখ� আম� বলতেছি যে আজ থেকে আজীবনের জন্য 'শবনম' আমার প্রিয় প্রেমে� উপন্যা� হয়ে থাকবে। শবনমের জায়গা আর কোনো প্রেমে� উপন্যা� দখ� করতে পারব� না�
শবনমের মত প্রেমে� উপন্যা� বাংল� সাহিত্যে ছি� না আর আসবে� না� 'শবনম' অম� হয়ে থাকব� আকাশের হৃদয়ে� হতভাগা আকাশ� যে মজনুনে� মত� পাগল বিরহ সুখে�
তব� 'দেশে বিদেশে' এর সাথে 'শবনম' এর কাহিনী� কিছুটা মি� আছে। মন� হয� মজনু� যে� স্বয়ং সৈয়� মুজতবা আলী�
"আকাশ আনন্দপূর্ণ না রহিত যদ�
জড়তার নাগপাশ� দে� মন হই� নিশ্চল�"
ভালোবাসি শবনম, ভালোবাসি... ❤️
প্রথ� পাঠঃ
কিছু কিছু বইয়ের রিভি� অশ্র� দিয়� লিখত� হয� -
সৈয়� মুজতবা আলী� প্রথ� কো� বই পড়লাম� প্রেমে� আখ্যানের কো� কিছু বাকি রাখা হয� নি, পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কাব্যাংশ এর ঝল� মন্ত্রমুগ্� করতে যথেষ্ট� কিন্তু শবনম তো ভোরে� শিশি�, যা সকালের প্রথ� রৌদ্রে� পরশে� ফুরিয়� যায়� কে� কী শবনম'কে সারাজীবন নিজে� মত� কর� সত্য� পাবে?
শবনমের মোহনীয় রূ�, বুদ্ধিমত্ত�, কবিত্ব-রস,যৌক্তি� উচ্চার�,ভালবাসার মানুষে� জন্য মিষ্টি হিংসেমী,লজ্জাবোধের সাবলী� প্রকাশ,দূরদর্শিতা, চারিত্রি� দৃঢ়তা � সবকিছু মজনুনক� প্রভাবিত/মনমুগ্� করেছে। শবনমের প্রেমে পড়া মজনুনে� উপযুক্� মধুর শাস্তি ছিল। তা� শবনমের মু� থেকে উচ্চারিত হয� চিরমানবে� অন্তর্বেদন�, "আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না, আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না�"
বুকে� একদম ভিতর� হিমালয়ে� সমান উঁচু হয়ে থাকা বেদনাগুলির ভা� কমানোর জন্য� তো একটা মানু� লাগে! আশেপাশ� শত সহস্� মানু� থাকলেও বিশে� একজন মানু� লাগে� যে শুধু� একান্ত�, নিভৃতে মনের কথাগুল� বলার মানু�, মনের কথাগুল� শোনা� মানু�, গভী� আবেগ� জড়িয়� ধর� থাকা� মানুষ। অযুত নিযু� সংখ্যা� মানু� আশেপাশ� থাকলেও একান্ত পাশে থাকা� মানুষে� খুবই অভাব এই জীবনে।
হে প্রে� তুমি পবিত্র হল� শবনম-মজনুনে� বক্ষমাঝে স্থা� পেয়� !
হে প্রে�, তুমি অমরত্ব পেলে শবনম-মজনুনে� হারানো� ভিতর দিয়� !
হে প্রে�, তুমি ধন্য হল� লায়লি-মজনু� বক্ষমাঝে স্থা� পেয়� !
হে প্রে�, তুমি অমরত্ব পেলে লায়লি-মজনু� মৃত্যু� ভিতর দিয়� !
খুদাতালা� সিংহাস� থেকে ঐশীবাণী উচ্চারিত হল :
হে সুরলোকবাসীগণ ! প্রেমে� দহ� দাহে দগ্ধ হয়ে অর্জ� করেছ তোমর� সুরলোকের অক্ষয় আসন।
হে মর্ত্যবাসীগণ ! সর্বচৈতন্য সর্বকল্পনা� অতী� যে মহান সত্ত� তিনি তা� বিশ্বরূপ ব্রক্ষান্ডস্বরূপের একটিমাত্� রূ� স্বপ্রকা� করেছেন মর্ত্যালোক�- তাঁর প্রেমরূপ�
ঘড়িতে কি বাজে, 'ঠি�...ঠি�...ঠি�...ঠি�...� না ভু� ঘড়িতে বাজে, শব...নম...শব...নম...শব...নম�
হঠাৎ একদি� আকস্মিকভাব� আসবে তো শবনম ?
শবনম কি মজনুনক� বল� যায়নি, 'বাড়িত� থেকো� আম� ফিরব?'
শবনম কি ফিরেছি� ???
May 13, 2018
একটা বই শে� করার পরের অনুভূত� এতোট� মিশ্� খু� কম সময়েই হয়েছে� 'শবনম' প্রেমে� গল্প - ভালোবাসা� গল্প, সেদি� থেকে শুধু গল্পের দিকে তাকালে কাহিনী সেকেলে তো বটেই, ভীষণ সাধারণ ও। এমনক� বইয়ের শে� অংশে� কাহিনী� টুইস্ট � মোটে� নতুন নয� - না এখ�, না এই বই লেখা� সময়ে। আমার আবার একেবার� তুমু� প্রেমে� বই হজ� হয� কম� কলেজ জীবন� নিমা� ভট্টাচার্যের 'মেমসাহেব' পড়ে বিরক্ত� হয়েছিলাম। তা� উপরে কবিতার সৌন্দর্য বোঝা� ক্ষমতা� একটু কম আছ� - পাঠ্যবইয়ে� বাইর� কবিত� পড়ে ভালো লাগছ� খু� বেশিদি� হয়নি। কাজে�, শবনম যে সময়� সময়�, বিশে� কর� মাঝে� দিকে ভীষণ লুতুপুতু এব� কিছু ক্ষেত্রে হাস্যক� লেগেছে - তা প্রথমে� পাঠক হিসেবে নিজে� দো� হিসেবে ধর� নিয়� কয়েকদিন অন্য বই পড়ে আবার ফেরত এসেছি।
বইটা পড়ত� গিয়� অনেকবা� রবিঠাকুরের 'শেষে� কবিত�'� কথ� মন� পড়েছে; কাহিনী� মি� বা কোনো তুলনায� না, সে বইটা পড়ত� গিয়েও প্রথমে এম� অসহায় বো� করেছিলাম, তা�! মন� ���ছ� প্রথমে পড়ি স্কুলে� শেষে বা কলেজে। এত� অবাক, হতাশ, আর বিরক্ত হয়েছিলা� বলার না� এই হাস্যক� বই নিয়� এত� মাতামাতি কেনো? কী আছ� এর কাহিনীতে ? আর এত� বড� বড� কবিতার মানে কি -_- এর পর� আন্ডারগ্রাজুয়েটের প্রায় শে� দিকে আবার পড়লাম - বইটা কেমন চোখে� সামন� বদলে গেলো! এত� সুন্দর ভাষা! এত� গভী� উপলব্ধ�! এত� মুগ্ধত�! তারপরে�, কবিতার কিছু অং� দ্রু� পড়ে গিয়েছিলাম স্বীকা� করবো� কিছুদি� আগ� একবা� শ্রুতিনাটক শুনলাম - আমার সবচেয়� পছন্দে� অং� হয়ে গেলো ওই শেষে� কবিতাখান� - ই। যখ� সব ঘটনা আর চরিত্র আপ� হয়ে গেলো, তখ� কবিতার প্রত� বর্ণ নি� নি� অর্থ নিয়� বাজত� লাগল� কানে� এই সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গি� বিশদ গল্পের মূ� কথ� একটা� - বইতো আগের মতোই আছ�, বদলেছি আম�, আর আমার দৃষ্টিভঙ্গ� আর উপলব্ধির ক্ষমতা�
শবনম পড়ত� গিয়� তা� যতবারই অভ্যস্� সহ� পাঠক মন গল্পের দিকে মনোযোগ দিয়� বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলো, একটু জো� করেই ঘুরিয়� এনেছ� লেখনী� দিকে� প্রেমে যে জ্ঞানবুদ্ধ� লো� পায় - সে বাস্তব জীবন� টে� না পেলে� গল্প - কবিত� - গা� - চলচ্চিত্� - ইত্যাদিত�, এমনক� পত্রিকায� � নজির তো কম দেখিনি! সে� বিলুপ্তজ্ঞান সময়েও প্রতিট� অনুভূত� আর উপলব্ধির প্রকাশ� কাব্� খুঁজ� আন� এক� যেমন গভী� ভাষাজ্ঞা� আর সাহিত্যজ্ঞান এর পরিচায়ক, তেমন� সময়োপযোগী কাব্যচরণ মিলিয়� আন� সূক্ষ্� রসবোধেরও ফল� তা সৈয়� মুজতবা আলী� মধ্য� কখনো এর কোনোটারই কমতি ছি� না বলার দরকা� পড়ে না! নিজে� ফার্সি, এমনক� সংস্কৃ� � না জানা� ফল� অনেক অং� পড়ে কেমন অতৃপ্ত� লেগেছে - অনুবাদ ভালো ছিলো সন্দেহ নে�, তব� কিছুক্ষণ পর পর লাইন পড়ে যাচ্ছি কিছু� না বুঝে, এত� অসহায় ধরনে� লেগেছে�
তারপরে�, পুরো বই জুড়� ভাষা� মাধুর্�, সাধারণ দৃশ্� বর্ণনাতে� ভীষণ সুন্দর সব উপমা, কথোপকথনে� মধ্য� উঠ� আস� গভী� জীবনবো�- এগুলোক� অস্বীকা� করার জো নেই। সব কথার শে� কথ�, ভালো লাগু� আর খারা�, বাংল� সাহিত্যে আগ্র� থাকল� অবশ্যই পড়া� মত� বই এটা। আম� বেঁচ� থাকল� কয়ে� বছ� পর আবার পড়ে দেখা� ইচ্ছ� আছ�, এই বই� আমার সামন� বদলে যায় কিনা- তা জানা� জন্য :)
বইটা পড়ত� গিয়� অনেকবা� রবিঠাকুরের 'শেষে� কবিত�'� কথ� মন� পড়েছে; কাহিনী� মি� বা কোনো তুলনায� না, সে বইটা পড়ত� গিয়েও প্রথমে এম� অসহায় বো� করেছিলাম, তা�! মন� ���ছ� প্রথমে পড়ি স্কুলে� শেষে বা কলেজে। এত� অবাক, হতাশ, আর বিরক্ত হয়েছিলা� বলার না� এই হাস্যক� বই নিয়� এত� মাতামাতি কেনো? কী আছ� এর কাহিনীতে ? আর এত� বড� বড� কবিতার মানে কি -_- এর পর� আন্ডারগ্রাজুয়েটের প্রায় শে� দিকে আবার পড়লাম - বইটা কেমন চোখে� সামন� বদলে গেলো! এত� সুন্দর ভাষা! এত� গভী� উপলব্ধ�! এত� মুগ্ধত�! তারপরে�, কবিতার কিছু অং� দ্রু� পড়ে গিয়েছিলাম স্বীকা� করবো� কিছুদি� আগ� একবা� শ্রুতিনাটক শুনলাম - আমার সবচেয়� পছন্দে� অং� হয়ে গেলো ওই শেষে� কবিতাখান� - ই। যখ� সব ঘটনা আর চরিত্র আপ� হয়ে গেলো, তখ� কবিতার প্রত� বর্ণ নি� নি� অর্থ নিয়� বাজত� লাগল� কানে� এই সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গি� বিশদ গল্পের মূ� কথ� একটা� - বইতো আগের মতোই আছ�, বদলেছি আম�, আর আমার দৃষ্টিভঙ্গ� আর উপলব্ধির ক্ষমতা�
শবনম পড়ত� গিয়� তা� যতবারই অভ্যস্� সহ� পাঠক মন গল্পের দিকে মনোযোগ দিয়� বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলো, একটু জো� করেই ঘুরিয়� এনেছ� লেখনী� দিকে� প্রেমে যে জ্ঞানবুদ্ধ� লো� পায় - সে বাস্তব জীবন� টে� না পেলে� গল্প - কবিত� - গা� - চলচ্চিত্� - ইত্যাদিত�, এমনক� পত্রিকায� � নজির তো কম দেখিনি! সে� বিলুপ্তজ্ঞান সময়েও প্রতিট� অনুভূত� আর উপলব্ধির প্রকাশ� কাব্� খুঁজ� আন� এক� যেমন গভী� ভাষাজ্ঞা� আর সাহিত্যজ্ঞান এর পরিচায়ক, তেমন� সময়োপযোগী কাব্যচরণ মিলিয়� আন� সূক্ষ্� রসবোধেরও ফল� তা সৈয়� মুজতবা আলী� মধ্য� কখনো এর কোনোটারই কমতি ছি� না বলার দরকা� পড়ে না! নিজে� ফার্সি, এমনক� সংস্কৃ� � না জানা� ফল� অনেক অং� পড়ে কেমন অতৃপ্ত� লেগেছে - অনুবাদ ভালো ছিলো সন্দেহ নে�, তব� কিছুক্ষণ পর পর লাইন পড়ে যাচ্ছি কিছু� না বুঝে, এত� অসহায় ধরনে� লেগেছে�
তারপরে�, পুরো বই জুড়� ভাষা� মাধুর্�, সাধারণ দৃশ্� বর্ণনাতে� ভীষণ সুন্দর সব উপমা, কথোপকথনে� মধ্য� উঠ� আস� গভী� জীবনবো�- এগুলোক� অস্বীকা� করার জো নেই। সব কথার শে� কথ�, ভালো লাগু� আর খারা�, বাংল� সাহিত্যে আগ্র� থাকল� অবশ্যই পড়া� মত� বই এটা। আম� বেঁচ� থাকল� কয়ে� বছ� পর আবার পড়ে দেখা� ইচ্ছ� আছ�, এই বই� আমার সামন� বদলে যায় কিনা- তা জানা� জন্য :)
September 19, 2021
অনেক ভালো লাগা� একটা বই💜💜 এরকম একটা সুন্দর, পবিত্র ভালোবাসা আমার জীবন� আশ� করাট� মন্দ নয�
September 27, 2015
উপন্যা� হিসেবে পড়ল� শবনম নিতান্তই খাপছাড়া, জোলো, কখনও কখনও একঘেয়ে। কবিত� হিসেবে পড়ল� শবনম একেবারেই অন্যরকম। প্রথমবার উপন্যা� হিসেবে পড়েছিলা�, ভালো লাগেনি� এবার তা� কবিত� হিসেবে পড়লাম�
July 15, 2021
ভাগ্যি�, সৈয়� সাহে� এখনও বেঁচ� নেই।
এম� বই আর� লিখত� থাকল� আমার একাডেমিক পড়াশোনায় পা� কর� আর হয়ে উঠ� না!
এম� বই আর� লিখত� থাকল� আমার একাডেমিক পড়াশোনায় পা� কর� আর হয়ে উঠ� না!
March 1, 2023
অমৃতসুধা হয়ত� একেই বল�!
তুমি আমার বিরহ� অভ্যস্� হয়ে যে� না� তুমি আমার মিলন� অভ্যস্� হয়ে যে� না�
কিন্তু জমাট বাধা হৃদয� কিসে বেশি কাদে? বিরহ� অভ্যস্� হত� হত�? নাকি প্রিয়� কে মিলন� না পেলে?
তুমি আমার বিরহ� অভ্যস্� হয়ে যে� না� তুমি আমার মিলন� অভ্যস্� হয়ে যে� না�
কিন্তু জমাট বাধা হৃদয� কিসে বেশি কাদে? বিরহ� অভ্যস্� হত� হত�? নাকি প্রিয়� কে মিলন� না পেলে?
March 5, 2016
মুজতবা আলী যা� লেখে� তা� আম� গোগ্রাসে গিলত� বাধ্� হই, অসাধার� ভাষাশৈলী সত্ত্বেও � উপন্যাসে� গল্পটা অত� নাটকীয় লেগেছে তা� রেটিংট� কম হল!
তিনি বাংল� ভাষা� শ্রেষ্� রোমান্টি� ছো� গল্পটি লিখেছে� � কথ� আম� বিশ্বা� কর�, কিন্তু রোমান্টি� উপন্যা� হিসেবে ভা�'� ঘরেও এটাক� ফেলত� পারি নি�
তিনি বাংল� ভাষা� শ্রেষ্� রোমান্টি� ছো� গল্পটি লিখেছে� � কথ� আম� বিশ্বা� কর�, কিন্তু রোমান্টি� উপন্যা� হিসেবে ভা�'� ঘরেও এটাক� ফেলত� পারি নি�
January 6, 2023
অসাধার� একটা বই�
বইয়ের কিছু লাইন অসম্ভব ভালো লেগেছে� যেমন :
"আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না "
"তুমি আমার মিলন� অভ্যস্� হয়ে যে� না "
"শত্র� বেদন� দেয় মিলন�,,, মিত্� দেয় বিরহে। "
"তোমা� কাছে সবচেয়� যা প্রিয় তা� নিয়� ধ্যানে বস, সে যদ� সত্যিই প্রিয় হয� তব� মন সেটা থেকে সরবে কে�??? "
"আমরা যা কিছু� বল� না কে� তুমি তো সেটা বুঝবার চেষ্টা করবে তোমা� মন দিয়�, সে� মন কি তুমি তাকে চেনো? � যে� একটি কাঠি দিয়� কাপড� মেপে দেখল� 12 কাঠি হল, যদ� সে� কাঠিটা লম্ব� কতখানি সেটা তোমা� জানা না থাকে তব� কাপড� মেপে বারবার না বাইশ বা� জেনে� তো লা� হল� না� নিজে� মন হচ্ছ� মাপকাঠ� সে মনকে প্রথ� চিনত� শেখো� "
"বাড়িত� থেকো আম� ফিরব� "
বইয়ের কিছু লাইন অসম্ভব ভালো লেগেছে� যেমন :
"আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না "
"তুমি আমার মিলন� অভ্যস্� হয়ে যে� না "
"শত্র� বেদন� দেয় মিলন�,,, মিত্� দেয় বিরহে। "
"তোমা� কাছে সবচেয়� যা প্রিয় তা� নিয়� ধ্যানে বস, সে যদ� সত্যিই প্রিয় হয� তব� মন সেটা থেকে সরবে কে�??? "
"আমরা যা কিছু� বল� না কে� তুমি তো সেটা বুঝবার চেষ্টা করবে তোমা� মন দিয়�, সে� মন কি তুমি তাকে চেনো? � যে� একটি কাঠি দিয়� কাপড� মেপে দেখল� 12 কাঠি হল, যদ� সে� কাঠিটা লম্ব� কতখানি সেটা তোমা� জানা না থাকে তব� কাপড� মেপে বারবার না বাইশ বা� জেনে� তো লা� হল� না� নিজে� মন হচ্ছ� মাপকাঠ� সে মনকে প্রথ� চিনত� শেখো� "
"বাড়িত� থেকো আম� ফিরব� "
April 18, 2020
“শবনম� আমার পড়া সবচেয়� প্রিয় বাংল� প্রেমে�-উপন্যাস। কে� এত প্রিয়? সুন্দর গল্প তা� বল�? না� গল্পটা� জন্য হয়ত� �-এর বেশি রেটি� আম� দিতে পারি না� কারণ গল্পটা খুবই সাধারণ বল� যায়� গল্পের প্রত্যেকটা ঘটনা খুবই “প্রেডিক্টেবল”। গল্পের মধ্য� তেমন কো� “সারপ্রাইজিং ইলিমেন্ট� নেই। এক কথায়� খুবই সাদাসিধে একটা গল্প� তব� কে� এত ভা� লাগে যে বা� বা� পড়ত� মন চায় এব� বা� বা� পড়ি, এব� বা� বা� প্রেমে পর�? উত্ত� একটা-ই� লেখকের লেখনী-শক্ত� আর ভাষা� কাব্যময়তা� বিস্তারি� বল� নিষ্প্রয়োজন� কারণ আমরা সবাই সৈয়� মুজতবা আলীকে চিনি� এব� আমরা জানি উপমা ব্যবহারে তিনি কত শক্তিশালী।�
September 22, 2024
কিছু বই থাকে গভীরভাব� ছা� ফেলে� আর কিছু বই থাকে সূক্ষ্মভাব� ছা� ফেলে� শবনম বইটি দ্বিতীয় ক্যাটাগরির� পাঠকের মন� একটা অত� সূক্ষ্� ছা� ফেলে যায়�
বইটি ভিন্� ধারা� প্রেমে� উপন্যাস। বেশিরভাগ প্রেমে� উপন্যাসে� রগরগ� অনেক বর্ণনা থাকে, ঘটনা থাকে, যৌনত� থাকে�
শবনম এত বড� একটা প্রেমে� উপন্যা� অথ� একটি� রগরগ� বর্ণনা নে�, কোনো শরীরবৃত্তীয় ব্যাপা� নেই।
লেখক � বইটিতে প্রেমে� মনস্তাত্ত্বি� বিষগুলোকেই গুরুত্� দিয়েছেন সর্বাধিক� যখ� কে� প্রেমে পড়ে, কাউক� ভালোবাসে� তখনকার সময়ের অনুভূত�, ভাবন�, মনের অবস্থা ইত্যাদিক� কেন্দ্� করেই পুরো উপন্যাস।
শরীরক� উপেক্ষ� কর� শুধুমাত্� মনোজগৎ নিয়েও যে কালজয়ী প্রেমে� উপন্যা� লেখা সম্ভ� � তা সৈয়� মুজতবা আলী দেখিয়� দিয়েছেন�
'দেশে বিদেশে' 'জল� ডাঙায়' আর 'পঞ্চতন্ত্র' এর মত� বইগুলো� লেখক যে এম� একটা প্রেমে� উপন্যাসও লিখত� পারে � তা একটু অবাক করার মত� বিষয�!
বিশে� কর� সৈয়� মুজতবা আলী� চিরাচরিত লেখা থেকে বে� হয়ে সম্পুর্ণ ভিন্� ধাচে� লেখায় সাজিয়� তুলেছে� শবনম বইটি�
বইটি পড়ে মন� হল�, � যে� এক নতুন সৈয়� মুজতবা আলী!
বইটি ভিন্� ধারা� প্রেমে� উপন্যাস। বেশিরভাগ প্রেমে� উপন্যাসে� রগরগ� অনেক বর্ণনা থাকে, ঘটনা থাকে, যৌনত� থাকে�
শবনম এত বড� একটা প্রেমে� উপন্যা� অথ� একটি� রগরগ� বর্ণনা নে�, কোনো শরীরবৃত্তীয় ব্যাপা� নেই।
লেখক � বইটিতে প্রেমে� মনস্তাত্ত্বি� বিষগুলোকেই গুরুত্� দিয়েছেন সর্বাধিক� যখ� কে� প্রেমে পড়ে, কাউক� ভালোবাসে� তখনকার সময়ের অনুভূত�, ভাবন�, মনের অবস্থা ইত্যাদিক� কেন্দ্� করেই পুরো উপন্যাস।
শরীরক� উপেক্ষ� কর� শুধুমাত্� মনোজগৎ নিয়েও যে কালজয়ী প্রেমে� উপন্যা� লেখা সম্ভ� � তা সৈয়� মুজতবা আলী দেখিয়� দিয়েছেন�
'দেশে বিদেশে' 'জল� ডাঙায়' আর 'পঞ্চতন্ত্র' এর মত� বইগুলো� লেখক যে এম� একটা প্রেমে� উপন্যাসও লিখত� পারে � তা একটু অবাক করার মত� বিষয�!
বিশে� কর� সৈয়� মুজতবা আলী� চিরাচরিত লেখা থেকে বে� হয়ে সম্পুর্ণ ভিন্� ধাচে� লেখায় সাজিয়� তুলেছে� শবনম বইটি�
বইটি পড়ে মন� হল�, � যে� এক নতুন সৈয়� মুজতবা আলী!
April 26, 2018
শব্নম্� সম্পর্কে বোদ্ধা, অবোধ এব� নির্বোধেরা সচরাচর বে� ইতিবাচ� কথ� বল� থাকেন—সুতরা� এট� আশ্চর্� লাগত� পারে যে, যে শব্নম্� পড়েনি তাকে যদ� পুরো কাহিনী� একটা সারাংশ বল� হয়—তাহলে নির্ঘা� ঢলঢল� একটা প্রেমে� কাহিনী ভেবে বসবে� এব� এট� তা-� হত� পারতো—যদি না মুজতবা আলী� অসাধার� ভাষা আমাদের চোখে একটা রঙিন চশমা পড়িয়� রাখতো।
বে� কয়ে� বছ� আগ� পড়েছিলা�� মুজতবা আলী� শহ�-ইয়া� (১৯৬৯)� শব্নম্� (১৯৬০)-এর সাথে এক� মেলানোটা হয়ত� ঠি� হব� না, কিন্তু স্মৃতি যদ� প্রতারণা না কর� থাকে, তাহল� উপন্যা� দুটো ঠি� না মিলিয়েও পারা যাচ্ছে না� গল্পের দি� দিয়� না, লেখা� গঠনে� দি� দিয়ে। দুটো উপন্যাসে� লেখক একটা জীবনবো� তুলে আনতে চেয়েছেন, বোধটাক� দাঁড� করানোর জন্য একটা কাহিনী� অবতারণ� করেছেন, এব� উপন্যা� শে� হয়েছে সে� বো�-সংক্রান্� দীর্� ব্যাখ্যা দিয়ে। শব্নমে সেটা এসেছ� মজনুনে� চিন্তা� ভেতর দিয়�, আর অন্যটায় শহ�-ইয়ারে� চিঠি� মধ্য দিয়� (আবার�, যদ� না স্মৃতি প্রতারণা কর� থাকে)�
লেখক তাঁর বোধে� কতটুকু আমাদের কাছে পৌঁছ� দিতে পেরেছে� সেটা তর্কসাপেক্� হত� পারে� কিন্তু কোনো সন্দেহ নে� এই বইয়ের ভাষা নিয়ে। কেবল ভাষা� অসাধার� ব্যবহারে� জন্য� মুজতবা আলী� প্রতিট� লেখা পড়ে ফেলা যায়� বাংল� সাহিত্যে� খু� বেশি লেখকের ভাণ্ডারে এতগুলো শব্দ ছিলো না—এ আম� অনায়াসে লিখত� দিতে পারি�
আর চেনা শব্দের� কী শক্তিশালী ব্যবহা�! রাতে ঘুমানো� সময় আমরা কতভাবে পাশবালিশকে ধরতে পারি? আমাক� জিজ্ঞে� করলে বলতা�, জড়িয়� ধরতে পারি, জাপট� ধরতে পারি, আঁকড়ে ধর� যায়, ছুঁয়ে� দেখা যায়� কিন্তু মুজতবা আলী� নায়িক� পাশবালিশ রীতিমত ‘জাবড়ে� ধর� ভোঁস ভোঁস কর� ঘুমা�! ব্যাপারট� খুবই thought intriguing. আম� জড়িয়� ধর� আম্মুক�, ভয� পেলে জাপট� ধর� বন্ধুক�, দু-হাতে আঁকড়ে ধর� প্রেমিকাকে, কিন্তু পাশবালিশকে একমাত্� জাবড়ে� ধরতে পারি—আ� কোনো শব্দ ব্যবহা� করেই ওট� বোঝানো যায় না, অন্ত� এতখানি সার্থকভাবে না�
ধন্য সৈয়�, ধন্য!
উপমা� ব্যবহারে� মুজতবা কম যা� কীসে� শব্নমে� কণ্ঠের কথ� বলতে গিয়� তিনি বলেন, “ঘুঙুরওয়ালা চরণচক্রপরা বাড়ির নতুন বউ চলাফের� করার সময় যেরক� দক্ষিণী বীণা বাজে, ওর গলার শব্দ সেইরকম।�
আর মাঝেমধ্য� বল� ফেলে� ভয়াবহ একেকটা কথা—যেট� শুনে অনেক্ষ� � মেরে বস� থাকত� হয়। এরপর বিড়বিড় কর� বলতে হয�, বেড়� বলেছেন তো! “সমা� কি শে� না বাবু�, বা� না সিংহ, যে তাকে হামেহা� পিস্তল দেখাতে হব�? সমাজ তেজি ঘোড়া। দানাপানি দিবে, তা� পিঠে চড়বে। বেয়াড়ামি করলে পায়ের কাঁট� দিয়� অল্প গুঁত� দেবে, আর� বেশি হল� চাবু�, আর একদম বিগড়ে গেলে পিস্তল� তারপ� নতুন ঘোড়� কিনবে—নতু� সমাজ গড়বে।�
শুরুতে� বলেছিলাম, এট� ঢলঢল� একটা প্রেমে� উপন্যাস—য� মুজতবা সাহেবে� অসাধার� ভাষাশৈলী� কারণ� আমাদের চোখে সুন্দর হয়ে ধর� দিয়েছে। এই প্রেমে� প্রসঙ্গে এস� দুটো ব্যাপারে আম� আলোকপা� করতে চাই।
প্রথমত, বর্তমানে কেবল আত্মিক ভালোবাসাকে শৈল্পি� হিসেবে বিবেচন� কর� হয�, অন্যদিকে দৈহি� প্রেমক� প্রায়শই অশালীনতার দায় নিতে হয়। ব্যক্তিগতভাব� আম� মন� কর�, দে� এব� আত্মা—এ� দু� নিয়েই আমাদের অস্তিত্ব, সুতরাং প্রেমে দুটো� ভূমিকা� অনস্বীকার্য। শব্নমে এই বোধটুক� তুলে আনার ক্ষেত্রে সৈয়� মুজতবা অনেকাংশে� সার্থক�
দ্বিতীয়�, বি� শতকে� খু� বেশি উপন্যাসে সম্ভবত নায়িকার এতখানি রোমান্টি� বর্ণনা আমরা দেখি না� মধ্যযুগে এই জিনিসটার খু� চল ছিলো, এব� মুজতবা আলী উনিশশো ষাটে� যখ� লিখলেন নায়িকার কপাল তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্রে� মত, বন-মল্লিকার পাঁপড়ির মত—তখন� শুনত� বে� লাগলো। হয়ত� বর্ণনা� এই সৌন্দর্যগুলো চিরন্তন।
শব্নম্…শব্নম্ক� ঠি� আম� মুজতবা আলী� শ্রেষ্� সাহিত্যকর্মে� আখ্য� দিতে রাজি না� বাংল� সাহিত্যে তিনি দেবতুল্য—এ� কারণ তাঁর অসাধার� ভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলো—কখন� শব্নম্� না�
বে� কয়ে� বছ� আগ� পড়েছিলা�� মুজতবা আলী� শহ�-ইয়া� (১৯৬৯)� শব্নম্� (১৯৬০)-এর সাথে এক� মেলানোটা হয়ত� ঠি� হব� না, কিন্তু স্মৃতি যদ� প্রতারণা না কর� থাকে, তাহল� উপন্যা� দুটো ঠি� না মিলিয়েও পারা যাচ্ছে না� গল্পের দি� দিয়� না, লেখা� গঠনে� দি� দিয়ে। দুটো উপন্যাসে� লেখক একটা জীবনবো� তুলে আনতে চেয়েছেন, বোধটাক� দাঁড� করানোর জন্য একটা কাহিনী� অবতারণ� করেছেন, এব� উপন্যা� শে� হয়েছে সে� বো�-সংক্রান্� দীর্� ব্যাখ্যা দিয়ে। শব্নমে সেটা এসেছ� মজনুনে� চিন্তা� ভেতর দিয়�, আর অন্যটায় শহ�-ইয়ারে� চিঠি� মধ্য দিয়� (আবার�, যদ� না স্মৃতি প্রতারণা কর� থাকে)�
লেখক তাঁর বোধে� কতটুকু আমাদের কাছে পৌঁছ� দিতে পেরেছে� সেটা তর্কসাপেক্� হত� পারে� কিন্তু কোনো সন্দেহ নে� এই বইয়ের ভাষা নিয়ে। কেবল ভাষা� অসাধার� ব্যবহারে� জন্য� মুজতবা আলী� প্রতিট� লেখা পড়ে ফেলা যায়� বাংল� সাহিত্যে� খু� বেশি লেখকের ভাণ্ডারে এতগুলো শব্দ ছিলো না—এ আম� অনায়াসে লিখত� দিতে পারি�
আর চেনা শব্দের� কী শক্তিশালী ব্যবহা�! রাতে ঘুমানো� সময় আমরা কতভাবে পাশবালিশকে ধরতে পারি? আমাক� জিজ্ঞে� করলে বলতা�, জড়িয়� ধরতে পারি, জাপট� ধরতে পারি, আঁকড়ে ধর� যায়, ছুঁয়ে� দেখা যায়� কিন্তু মুজতবা আলী� নায়িক� পাশবালিশ রীতিমত ‘জাবড়ে� ধর� ভোঁস ভোঁস কর� ঘুমা�! ব্যাপারট� খুবই thought intriguing. আম� জড়িয়� ধর� আম্মুক�, ভয� পেলে জাপট� ধর� বন্ধুক�, দু-হাতে আঁকড়ে ধর� প্রেমিকাকে, কিন্তু পাশবালিশকে একমাত্� জাবড়ে� ধরতে পারি—আ� কোনো শব্দ ব্যবহা� করেই ওট� বোঝানো যায় না, অন্ত� এতখানি সার্থকভাবে না�
ধন্য সৈয়�, ধন্য!
উপমা� ব্যবহারে� মুজতবা কম যা� কীসে� শব্নমে� কণ্ঠের কথ� বলতে গিয়� তিনি বলেন, “ঘুঙুরওয়ালা চরণচক্রপরা বাড়ির নতুন বউ চলাফের� করার সময় যেরক� দক্ষিণী বীণা বাজে, ওর গলার শব্দ সেইরকম।�
আর মাঝেমধ্য� বল� ফেলে� ভয়াবহ একেকটা কথা—যেট� শুনে অনেক্ষ� � মেরে বস� থাকত� হয়। এরপর বিড়বিড় কর� বলতে হয�, বেড়� বলেছেন তো! “সমা� কি শে� না বাবু�, বা� না সিংহ, যে তাকে হামেহা� পিস্তল দেখাতে হব�? সমাজ তেজি ঘোড়া। দানাপানি দিবে, তা� পিঠে চড়বে। বেয়াড়ামি করলে পায়ের কাঁট� দিয়� অল্প গুঁত� দেবে, আর� বেশি হল� চাবু�, আর একদম বিগড়ে গেলে পিস্তল� তারপ� নতুন ঘোড়� কিনবে—নতু� সমাজ গড়বে।�
শুরুতে� বলেছিলাম, এট� ঢলঢল� একটা প্রেমে� উপন্যাস—য� মুজতবা সাহেবে� অসাধার� ভাষাশৈলী� কারণ� আমাদের চোখে সুন্দর হয়ে ধর� দিয়েছে। এই প্রেমে� প্রসঙ্গে এস� দুটো ব্যাপারে আম� আলোকপা� করতে চাই।
প্রথমত, বর্তমানে কেবল আত্মিক ভালোবাসাকে শৈল্পি� হিসেবে বিবেচন� কর� হয�, অন্যদিকে দৈহি� প্রেমক� প্রায়শই অশালীনতার দায় নিতে হয়। ব্যক্তিগতভাব� আম� মন� কর�, দে� এব� আত্মা—এ� দু� নিয়েই আমাদের অস্তিত্ব, সুতরাং প্রেমে দুটো� ভূমিকা� অনস্বীকার্য। শব্নমে এই বোধটুক� তুলে আনার ক্ষেত্রে সৈয়� মুজতবা অনেকাংশে� সার্থক�
দ্বিতীয়�, বি� শতকে� খু� বেশি উপন্যাসে সম্ভবত নায়িকার এতখানি রোমান্টি� বর্ণনা আমরা দেখি না� মধ্যযুগে এই জিনিসটার খু� চল ছিলো, এব� মুজতবা আলী উনিশশো ষাটে� যখ� লিখলেন নায়িকার কপাল তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্রে� মত, বন-মল্লিকার পাঁপড়ির মত—তখন� শুনত� বে� লাগলো। হয়ত� বর্ণনা� এই সৌন্দর্যগুলো চিরন্তন।
শব্নম্…শব্নম্ক� ঠি� আম� মুজতবা আলী� শ্রেষ্� সাহিত্যকর্মে� আখ্য� দিতে রাজি না� বাংল� সাহিত্যে তিনি দেবতুল্য—এ� কারণ তাঁর অসাধার� ভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলো—কখন� শব্নম্� না�
November 21, 2018
God, I wish I get back the time I spent reading this 'masterpiece'. Needed a negative rating scale.
Read
June 17, 2016"গোড়� আর শে�, এই সৃষ্টি�
জানা আছ� বল কা�?
প্রাচী� � পুঁথ� গোড়� আর শে�
পাতা কট� ঝর� তা�?"
বইয়ের দু�-তৃতীয়াং� শে� হবার পরের অনুভূত� আর পুরোটা শে� হবার বোধে� মাঝে যে কি আকাশ-পাতা� তফাত হত� পারে এই বই পড়ে তা বুঝলাম� কি ব্যপ্ত� সে বোধে�! সৈয়� মুজতবা আলী যথার্থ গুরুশিষ্�!
'আকাশ আনন্দপূর্ণ না রহিত যদ�
জড়তার নাগপাশ� দে� মন হই� নিশ্চল�'
'ফদ�' আর 'রহমৎ'- উচ্ছ্বসি� দাক্ষিণ্� � করুণ�...
জানা আছ� বল কা�?
প্রাচী� � পুঁথ� গোড়� আর শে�
পাতা কট� ঝর� তা�?"
বইয়ের দু�-তৃতীয়াং� শে� হবার পরের অনুভূত� আর পুরোটা শে� হবার বোধে� মাঝে যে কি আকাশ-পাতা� তফাত হত� পারে এই বই পড়ে তা বুঝলাম� কি ব্যপ্ত� সে বোধে�! সৈয়� মুজতবা আলী যথার্থ গুরুশিষ্�!
'আকাশ আনন্দপূর্ণ না রহিত যদ�
জড়তার নাগপাশ� দে� মন হই� নিশ্চল�'
'ফদ�' আর 'রহমৎ'- উচ্ছ্বসি� দাক্ষিণ্� � করুণ�...
September 23, 2016
ভালোবাসা� রস� টুইটুম্ব� বইখানা হইতে আম� নাদা� বালক রস আস্বাদ� করিত� পারিলা� না, হুঁচোট খাইলাম � বটে। বইখানা কি লেখক নিজে� লিখিয়াছিলেন তাহা� বুঝিতে পারিলা� না �
July 21, 2022
লুতুপুতু প্রেমে� বই�
March 27, 2023
চার্বা� ঈশ্বরে বিশ্বা� করতে� না� সে� তিনি নাকি মঞ্জুভাষার কাছে তাঁর প্রেমে� প্রতিদানের আশ� পেয়� একদিনে� তর� ঈশ্বরে বিশ্বা� করেছিলেন�
May 11, 2021
#অনুভূতিরপ্রকাশ�
উপন্যাসট� সর্ম্পকে আবদুল্লা� আব� সায়ী� বলছে� , " বাঙালি তরুণ-তরুণীদে� প্রেমে পড়া� পূর্বে অবশ্যই সৈয়� মুজতবা আলী� শবনম উপন্যাসট� পড়ে নেয়� উচিত � এম� শিক্ষর্ণীয় প্রেমে� উপন্যা� বিশ্বসাহিত্য� আর একটি� নে� �
অসাধার� একটি পবিত্র প্রেমে� উপন্যা� �
শিক্ষকতা পেশাকে কেন্দ্� কর� আফগানিস্তানে মজনুনে� আগমন � পথ হারিয়� শবনমের সহিত প্রথ� দেখা , কথাবার্তায� এক� অন্যের পরিচয় � প্রথ� দেখায় মজনুনে� দুর্নির্বা� আকর্ষণ , নিন্দ্রা হারা� �
দ্বিতীয় দেখায় বিদেশিনী শবনমের প্রেমে আবদ্� হলেন নায়� � আস্ত� আস্ত� মজনুনে� ভালোবাসা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে �
তৃতীয় দেখায় জানত� পারে� পারে তাদে� প্রে� ক্রিয়� বিক্রিয়� প্রতিক্রিয়া� স্বাভাবি� নিয়� মেনে চলছে অর্থাৎ শবনম� মজনুনে� প্রেমে পড়েছে� �
প্রে� যত গাঢ় হত� থাকে শবনম� মজনুনে� বাড়িত� আস� যাওয়া শুরু কর� � তারপ� তাদে� কিছু সময়ের বিচ্ছে� �
তবুও চিঠিতে যোগাযো� এব� হঠাৎ শবনমের প্রত্যাবর্তন � পরিশেষ� লুকিয়� বিয়� � তারপরে পুনরায� আনুষ্ঠানিক বিয়� � বিয়ের পরেরদি� কো� এক কাজে মজনু� বাইর� গিয়েছিল � এস� জানত� পারে� শবনমকে কারা যে� তুলে নিয়� গেছে �
শবনমকে কি উদ্ধার কর� হয়েছি� ?
শবনম কি ফিরে এসেছিল ?
কি হয়েছি� মজনুনে� ?
জানত� হল� পড়ত� হব� রোমান্টি� এই উপন্যাসট� �
বইটি যারা পড়ে বেশি মজ� পাবে� :
�.যাদে� বাংল� শব্দ ভাণ্ডা� অতিশয় বেশি
�.যারা কবিত� পছন্� করেন � কবিতার রস নিতে পারে� �
উপন্যা�--শবনম
লেখক--সৈয়� মুজতবা আলী
প্রকাশনী--বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্�
পৃষ্ঠা--১৪�
ব্যক্তিগত_রেটি� --১০/১০
উপন্যাসট� সর্ম্পকে আবদুল্লা� আব� সায়ী� বলছে� , " বাঙালি তরুণ-তরুণীদে� প্রেমে পড়া� পূর্বে অবশ্যই সৈয়� মুজতবা আলী� শবনম উপন্যাসট� পড়ে নেয়� উচিত � এম� শিক্ষর্ণীয় প্রেমে� উপন্যা� বিশ্বসাহিত্য� আর একটি� নে� �
অসাধার� একটি পবিত্র প্রেমে� উপন্যা� �
শিক্ষকতা পেশাকে কেন্দ্� কর� আফগানিস্তানে মজনুনে� আগমন � পথ হারিয়� শবনমের সহিত প্রথ� দেখা , কথাবার্তায� এক� অন্যের পরিচয় � প্রথ� দেখায় মজনুনে� দুর্নির্বা� আকর্ষণ , নিন্দ্রা হারা� �
দ্বিতীয় দেখায় বিদেশিনী শবনমের প্রেমে আবদ্� হলেন নায়� � আস্ত� আস্ত� মজনুনে� ভালোবাসা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে �
তৃতীয় দেখায় জানত� পারে� পারে তাদে� প্রে� ক্রিয়� বিক্রিয়� প্রতিক্রিয়া� স্বাভাবি� নিয়� মেনে চলছে অর্থাৎ শবনম� মজনুনে� প্রেমে পড়েছে� �
প্রে� যত গাঢ় হত� থাকে শবনম� মজনুনে� বাড়িত� আস� যাওয়া শুরু কর� � তারপ� তাদে� কিছু সময়ের বিচ্ছে� �
তবুও চিঠিতে যোগাযো� এব� হঠাৎ শবনমের প্রত্যাবর্তন � পরিশেষ� লুকিয়� বিয়� � তারপরে পুনরায� আনুষ্ঠানিক বিয়� � বিয়ের পরেরদি� কো� এক কাজে মজনু� বাইর� গিয়েছিল � এস� জানত� পারে� শবনমকে কারা যে� তুলে নিয়� গেছে �
শবনমকে কি উদ্ধার কর� হয়েছি� ?
শবনম কি ফিরে এসেছিল ?
কি হয়েছি� মজনুনে� ?
জানত� হল� পড়ত� হব� রোমান্টি� এই উপন্যাসট� �
বইটি যারা পড়ে বেশি মজ� পাবে� :
�.যাদে� বাংল� শব্দ ভাণ্ডা� অতিশয় বেশি
�.যারা কবিত� পছন্� করেন � কবিতার রস নিতে পারে� �
উপন্যা�--শবনম
লেখক--সৈয়� মুজতবা আলী
প্রকাশনী--বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্�
পৃষ্ঠা--১৪�
ব্যক্তিগত_রেটি� --১০/১০
July 5, 2021
অনন্যসাধার� এক � অদ্বিতীয় মনোমুগ্ধকর�
এই বই রেখে রেখে জীবনের বাকিটা দিনগুলোত� বিষন্ন সন্ধার নামকরে পড়া যাবে....
বাড়ির পিছনের নির্জল� পুকু� না হো�
সে বাড়ির পাশে� নদী হত� না চাইলেও যে নদী!
খু� ভালো!
এই বই রেখে রেখে জীবনের বাকিটা দিনগুলোত� বিষন্ন সন্ধার নামকরে পড়া যাবে....
বাড়ির পিছনের নির্জল� পুকু� না হো�
সে বাড়ির পাশে� নদী হত� না চাইলেও যে নদী!
খু� ভালো!
October 27, 2023
এই "রোমান্টি� কাহিনী/কাব্�" জনরা'টা� মেবি আম� ঠি� বুঝি না� নট মা� কা� অফ টী�
"লা� অ্যা� ফার্স্� সাইট" আমার কাছে পৃথিবী� অষ্ট� আশ্চর্যে� শামিল।
কাহিনী, আবেগ, ভাষা� গাথুনি মাধুর্য্�, বা কাব্যি� সব অসাধার� অনুবাদ- ওসবে� সব� বুঝলাম, কিন্তু �/�/� বা� স্বল্প সময়ের দর্শনে� ওর� কঠিন চর� প্রে� হত� পারা� মত� "যৌক্তি� কোনো কারণ"টা� ঠি� বুঝলাম না�
গুডরিডসে� Muhammad ভাইর রিভি� এর মত� করেই বল� (তব� আমারটা আরেকটু সফ্ট ইমোশনে হব�, অতোও এক্সট্রি� না):
""" 'শবনম' বিয়োগাত্ম� উপন্যা�, তব� বইটি� ১০৫ট� পাতা সম্পূর্ণ পড়াটা� আমার কাছে বেশী ‘বিয়োগাত্মক' হয়ে থাকবে। """
তবুও কে� পড়লাম?
=> 'দিল্লিকা লাড্ডু'� লোভে� খাইলেও পস্তাইবে�, না খাইলেও পস্তাইবেন। মেবি খেয়� পস্তানোই বেহ্তার। :)
"লা� অ্যা� ফার্স্� সাইট" আমার কাছে পৃথিবী� অষ্ট� আশ্চর্যে� শামিল।
কাহিনী, আবেগ, ভাষা� গাথুনি মাধুর্য্�, বা কাব্যি� সব অসাধার� অনুবাদ- ওসবে� সব� বুঝলাম, কিন্তু �/�/� বা� স্বল্প সময়ের দর্শনে� ওর� কঠিন চর� প্রে� হত� পারা� মত� "যৌক্তি� কোনো কারণ"টা� ঠি� বুঝলাম না�
গুডরিডসে� Muhammad ভাইর রিভি� এর মত� করেই বল� (তব� আমারটা আরেকটু সফ্ট ইমোশনে হব�, অতোও এক্সট্রি� না):
""" 'শবনম' বিয়োগাত্ম� উপন্যা�, তব� বইটি� ১০৫ট� পাতা সম্পূর্ণ পড়াটা� আমার কাছে বেশী ‘বিয়োগাত্মক' হয়ে থাকবে। """
তবুও কে� পড়লাম?
=> 'দিল্লিকা লাড্ডু'� লোভে� খাইলেও পস্তাইবে�, না খাইলেও পস্তাইবেন। মেবি খেয়� পস্তানোই বেহ্তার। :)
This entire review has been hidden because of spoilers.
September 12, 2023
পুরো বইয়� ভালো লাগা কথ� পেলা� একটা - তুমি আমার বিরহ� অভ্যস্� হয়ে যে� না!
তা বাদে অম� গদগদ ভক্তিভরা নাটকীয় ব্যাকু� প্রে� আমার একেবারেই অসহ্� লাগে�
তা বাদে অম� গদগদ ভক্তিভরা নাটকীয় ব্যাকু� প্রে� আমার একেবারেই অসহ্� লাগে�
May 15, 2020
পাঠ্যবইয়ে� ‘রসগোল্লা’র মাধ্যম� সৈয়� মুজতবা আলী� সাথে পরিচয়� পরিচয়পর্বটা আমাদের সমসাময়ি� অনেকের জন্য� বো� হয� সত্য� তব� পর্বটা সেখানে� শে� না কর� টেনে নিলা� বহুদূর, আজ অবধি� কারণ সৈয়� মুজতবা আলী� লেখা মানে আমার কাছে অসম্ভব সুস্বাদু লঘুপাক এব� গুরুপা� খাবারে� মিশ্রণ� হাস্যর� এব� জীবনবোধক� এক� থালায় নিয়� এস� অসাধার� কিছু গল্পের উপস্থাপন, প্রকাশভঙ্গি।
আজ পর্যন্� মুজতবা আলী� যতগুলো লেখা পড়েছি � শব্নমক� সেগুলো� কোনটার কাতারে� ফেলা যায় না� কাব্যধর্মী প্রণয়োপাখ্যান বললে বর� সবচেয়� কাছাকাছি যাওয়া যেতে পারে� গল্পের পটভূমি আফগানিস্তানে, লেখকের আফগা�-জীবনের অভিজ্ঞতা� অনেকটা� যে উঠ� এসেছ� � উপন্যাসে� বর্ণনায় তা বলাই বাহুল্য।
বইয়ের একদম শুরু থেকে� বঙ্গদেশীয় যুবকের সাথে রূপে-গুণে অতুলনীয়� আফগা� তরুণী শব্নমে� প্রেমপর্বে� সূত্রপাত� আমরা যাকে ফ্লার্� বল� � সেটারই খু� উচ্চমার্গীয় কিছু উপস্থাপনার মাধ্যম� প্রণয় সামন� এগিয়ে গেছে� এদিক থেকে কিছু কিছু জায়গা অত�-নাটকীয়� বল� যায়� কারণ আজকে থেকে প্রায় একশ� বছ� আগ� মুসলিম-অধ্যুষিত দেশে, এক ভিনদেশী যুবকের সাথে আফগা� তরুণী� এত সাবলী� আচরণ, সহসা বাসায় গিয়� উপস্থি� হওয়� � রীতিমত বিস্ময়ক� ঘটনা� বটে।
প্রথ� পরিচয়েই বাঙালী যুবক তা� বল� বসেছিল, “এরক� মিষ্টি নামওয়ালী মেয়� যা � খুশি বলার হক ধরে।�
সৈয়� মুজতবা আলী� একটা স্টাইল হল�, অসাধার� রেফারেন্সি� এব� ট্রিভিয়া। এখানেও সে� প্রমাণ রেখেছে� লেখক, সে� সাথে ফুটিয়েছেন কাব্যে� ফুলঝুড়ি� কাবু� থেকে শুরু হলেও প্রেমে� টানে মজনু� ছুটে গেছে� কান্দাহা�, সেখা� থেকে আবার ফিরেছে� কাবুলেই। ঘটনা� ঘা� প্রতিঘাত� কখনো শব্নমক� কাছে পাওয়া� নেশায় বুঁদ হয়েছে�, কখনো আবার দগ্ধ হয়েছে� বিরহতাপে� দুটো প্রধান চরিত্রের মাঝে� কাব্যপ্রিয়ত� উঠ� এসেছ� বে� সুন্দরভাবে� পারস্যের রুমি, আমাদের কালিদা�, রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্� কিংব� পরোক্ষ উল্লেখ� নরনারী� প্রে� ছাপিয়� মিলন ঘটেছ� দু� ভিন্� সংস্কৃতিরও�
ভালোবেসে শব্নমক� কখনো হিমিকা কিংব� শরতে� শিউলির সাথে তুলন� কর� হয়েছে� প্রিয় মানুষে� গালে� টোলে� গভীরতায� কখনো সুরাপা� করতে চেয়েছেন প্রেমিক। এক� সাথে শব্নমে� নারীত্�, প্রে� � সৌন্দর্যের মোহাবিষ্� বর্ণনা দিয়েছেন লেখক পুরো উপন্যাসজুড়েই। প্রেমে� তীব্রতায� ছাড়িয়ে গেছে� আফগা� হিন্দুকু� পর্বতমাল� � পবিত্রতায় হা� মানিয়েছেন কাবুলে� শ্বেতশুভ্র তুষারপাতকেও। সে� ধারাবাহিকতায�, শব্নমে� কণ্ঠের আকুলতায় বারবার ফুটে উঠেছেঃ আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�
উপন্যা� এগিয়েছে, এব� পরবর্তিত� একসময় তা পরিণ� হয়েছে� আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�
এই দু� আহবানে� মধ্যেই যে� বিস্তৃ� পুরো উপন্যাস। কাছে আস� এব� হারিয়� যাওয়া� মধ্যেই প্রেমে� ব্যাপ্তি� শারীরি� নৈকট্য থাকলেও কখনো� তা বড� হয়ে ওঠ� নি এই প্রেমে, বর� শে� পর্যন্� বারবার প্রতীয়মা� হয়েছে আত্মিক পরিতৃপ্তি। আত্মাক� বল� হয়েছে� অন্তরে� অন্তরত� পরিপূর্ণ আনন্দকণা�
শব্ন� চরিত্রটি আসলে� মুগ্� হবার মত� ইউরোপে� শিক্ষা, প্রাচ্যদেশীয় সংস্কৃতি� ভি�, সপ্রতি� কথাবার্ত� এব� কোমল-কঠোরের সংমিশ্রণ � সব মিলিয়� শব্ন� আজ পর্যন্� বাংল� সাহিত্যে এক অন্যতম সেরা চরিত্র আম� বলবো� ধনী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়� হিসেবে কাঠিন্� আছ�, কিন্তু নে� অহমিকা� দেশে� অস্থিতিশী� অবস্থায়� বোরখার অন্তরালে উদ্য� রিভলভা� নিয়� তা� সে বে� হয়ে পড়েছে বারবার, প্রণয়ের আকর্ষণে। বয়ে� কিংব� কবিতার প্রত� সীমাহী� আকর্ষণ তা� প্রেমে� প্রকাশভঙ্গিক� করেছ� কাব্যি�, সুললিত�
ইতিহাসপ্রেমীদে� জন্য সামান্� কিছু খোরাকও দিয়েছেন লেখক� বই পড়ত� পড়ত� একটু ঘেঁট� বুঝলাম যে ১৯২৯ সালে� বাচ্চা-�-সকাও বাহিনী� আবির্ভাব এব� তৎকালী� আফগা� গৃহযুদ্ধকালী� অনিশ্চয়তা দেশে� রাজনৈতিক পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে� উপন্যাসে� কাহিনী� বুনন� এব� ঘটনা� গতিশীলতায়ও এই ঘটনা� তাৎপর্� অপরিসীম।
লাইলী-মজনু� প্রেমগাথার উল্লেখ আছ� বে� কয়ে� জায়গায়, সবগুলো� ভা� লেগেছে� যেমন�
মজনু যখনই শুনত, তা� প্রিয়� লায়লিকে নজদ্� মরুভূমির উপ� দিয়� উট� কর� সরান� হচ্ছ� সে তখ� পাগলের মত � উট সে-উটের কাছে গিয়� খুঁজ� কো� মহমিলে (উটের হাওদ�) লায়লি আছে। মজনু মর� গেছে� কত শতাব্দী হল� কিন্তু এখনো তা� জীবিতাবস্থার প্রতিট� দীর্ঘশ্বাস মরুভূমির ছো� ছো� ঘূর্ণিবায়� হয়ে লায়লি� মহমি� খুঁজছে� তুমি বুঝি কখনো মরুভূম� দেখো নি? ছো� ছো� ঘূর্ণিবায়� অল্প অল্প ধূলি উড়িয়� এদিক� ধায়, ওদিক� ধায়, ওদিক� ছোটে, সেদিকে খোঁজে।
না পড়ে থাকল� সর্বভু� পাঠকদে� পড়ে ফেলা উচিত শব্নম। আর রোমান্টি� পাঠকদে� জন্য তো এট� অবশ্�-পাঠ। শব্দশৈলী� দি� দিয়� খুবই সমৃদ্ধ এই উপন্যাস। আরবী-ফারসী শব্দ তো আছেই, সংস্কৃতে� ব্যবহারও রয়েছে� সুরেলা একটা আব� রয়েছে পুরো লেখায়� তব� আধুনিক আটপৌরে বাংলার পাঠকদে� জন্য একটু কঠিন মন� হত� পারে�
আজ পর্যন্� মুজতবা আলী� যতগুলো লেখা পড়েছি � শব্নমক� সেগুলো� কোনটার কাতারে� ফেলা যায় না� কাব্যধর্মী প্রণয়োপাখ্যান বললে বর� সবচেয়� কাছাকাছি যাওয়া যেতে পারে� গল্পের পটভূমি আফগানিস্তানে, লেখকের আফগা�-জীবনের অভিজ্ঞতা� অনেকটা� যে উঠ� এসেছ� � উপন্যাসে� বর্ণনায় তা বলাই বাহুল্য।
বইয়ের একদম শুরু থেকে� বঙ্গদেশীয় যুবকের সাথে রূপে-গুণে অতুলনীয়� আফগা� তরুণী শব্নমে� প্রেমপর্বে� সূত্রপাত� আমরা যাকে ফ্লার্� বল� � সেটারই খু� উচ্চমার্গীয় কিছু উপস্থাপনার মাধ্যম� প্রণয় সামন� এগিয়ে গেছে� এদিক থেকে কিছু কিছু জায়গা অত�-নাটকীয়� বল� যায়� কারণ আজকে থেকে প্রায় একশ� বছ� আগ� মুসলিম-অধ্যুষিত দেশে, এক ভিনদেশী যুবকের সাথে আফগা� তরুণী� এত সাবলী� আচরণ, সহসা বাসায় গিয়� উপস্থি� হওয়� � রীতিমত বিস্ময়ক� ঘটনা� বটে।
প্রথ� পরিচয়েই বাঙালী যুবক তা� বল� বসেছিল, “এরক� মিষ্টি নামওয়ালী মেয়� যা � খুশি বলার হক ধরে।�
সৈয়� মুজতবা আলী� একটা স্টাইল হল�, অসাধার� রেফারেন্সি� এব� ট্রিভিয়া। এখানেও সে� প্রমাণ রেখেছে� লেখক, সে� সাথে ফুটিয়েছেন কাব্যে� ফুলঝুড়ি� কাবু� থেকে শুরু হলেও প্রেমে� টানে মজনু� ছুটে গেছে� কান্দাহা�, সেখা� থেকে আবার ফিরেছে� কাবুলেই। ঘটনা� ঘা� প্রতিঘাত� কখনো শব্নমক� কাছে পাওয়া� নেশায় বুঁদ হয়েছে�, কখনো আবার দগ্ধ হয়েছে� বিরহতাপে� দুটো প্রধান চরিত্রের মাঝে� কাব্যপ্রিয়ত� উঠ� এসেছ� বে� সুন্দরভাবে� পারস্যের রুমি, আমাদের কালিদা�, রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্� কিংব� পরোক্ষ উল্লেখ� নরনারী� প্রে� ছাপিয়� মিলন ঘটেছ� দু� ভিন্� সংস্কৃতিরও�
ভালোবেসে শব্নমক� কখনো হিমিকা কিংব� শরতে� শিউলির সাথে তুলন� কর� হয়েছে� প্রিয় মানুষে� গালে� টোলে� গভীরতায� কখনো সুরাপা� করতে চেয়েছেন প্রেমিক। এক� সাথে শব্নমে� নারীত্�, প্রে� � সৌন্দর্যের মোহাবিষ্� বর্ণনা দিয়েছেন লেখক পুরো উপন্যাসজুড়েই। প্রেমে� তীব্রতায� ছাড়িয়ে গেছে� আফগা� হিন্দুকু� পর্বতমাল� � পবিত্রতায় হা� মানিয়েছেন কাবুলে� শ্বেতশুভ্র তুষারপাতকেও। সে� ধারাবাহিকতায�, শব্নমে� কণ্ঠের আকুলতায় বারবার ফুটে উঠেছেঃ আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�
উপন্যা� এগিয়েছে, এব� পরবর্তিত� একসময় তা পরিণ� হয়েছে� আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যে� না�
এই দু� আহবানে� মধ্যেই যে� বিস্তৃ� পুরো উপন্যাস। কাছে আস� এব� হারিয়� যাওয়া� মধ্যেই প্রেমে� ব্যাপ্তি� শারীরি� নৈকট্য থাকলেও কখনো� তা বড� হয়ে ওঠ� নি এই প্রেমে, বর� শে� পর্যন্� বারবার প্রতীয়মা� হয়েছে আত্মিক পরিতৃপ্তি। আত্মাক� বল� হয়েছে� অন্তরে� অন্তরত� পরিপূর্ণ আনন্দকণা�
শব্ন� চরিত্রটি আসলে� মুগ্� হবার মত� ইউরোপে� শিক্ষা, প্রাচ্যদেশীয় সংস্কৃতি� ভি�, সপ্রতি� কথাবার্ত� এব� কোমল-কঠোরের সংমিশ্রণ � সব মিলিয়� শব্ন� আজ পর্যন্� বাংল� সাহিত্যে এক অন্যতম সেরা চরিত্র আম� বলবো� ধনী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়� হিসেবে কাঠিন্� আছ�, কিন্তু নে� অহমিকা� দেশে� অস্থিতিশী� অবস্থায়� বোরখার অন্তরালে উদ্য� রিভলভা� নিয়� তা� সে বে� হয়ে পড়েছে বারবার, প্রণয়ের আকর্ষণে। বয়ে� কিংব� কবিতার প্রত� সীমাহী� আকর্ষণ তা� প্রেমে� প্রকাশভঙ্গিক� করেছ� কাব্যি�, সুললিত�
ইতিহাসপ্রেমীদে� জন্য সামান্� কিছু খোরাকও দিয়েছেন লেখক� বই পড়ত� পড়ত� একটু ঘেঁট� বুঝলাম যে ১৯২৯ সালে� বাচ্চা-�-সকাও বাহিনী� আবির্ভাব এব� তৎকালী� আফগা� গৃহযুদ্ধকালী� অনিশ্চয়তা দেশে� রাজনৈতিক পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে� উপন্যাসে� কাহিনী� বুনন� এব� ঘটনা� গতিশীলতায়ও এই ঘটনা� তাৎপর্� অপরিসীম।
লাইলী-মজনু� প্রেমগাথার উল্লেখ আছ� বে� কয়ে� জায়গায়, সবগুলো� ভা� লেগেছে� যেমন�
মজনু যখনই শুনত, তা� প্রিয়� লায়লিকে নজদ্� মরুভূমির উপ� দিয়� উট� কর� সরান� হচ্ছ� সে তখ� পাগলের মত � উট সে-উটের কাছে গিয়� খুঁজ� কো� মহমিলে (উটের হাওদ�) লায়লি আছে। মজনু মর� গেছে� কত শতাব্দী হল� কিন্তু এখনো তা� জীবিতাবস্থার প্রতিট� দীর্ঘশ্বাস মরুভূমির ছো� ছো� ঘূর্ণিবায়� হয়ে লায়লি� মহমি� খুঁজছে� তুমি বুঝি কখনো মরুভূম� দেখো নি? ছো� ছো� ঘূর্ণিবায়� অল্প অল্প ধূলি উড়িয়� এদিক� ধায়, ওদিক� ধায়, ওদিক� ছোটে, সেদিকে খোঁজে।
না পড়ে থাকল� সর্বভু� পাঠকদে� পড়ে ফেলা উচিত শব্নম। আর রোমান্টি� পাঠকদে� জন্য তো এট� অবশ্�-পাঠ। শব্দশৈলী� দি� দিয়� খুবই সমৃদ্ধ এই উপন্যাস। আরবী-ফারসী শব্দ তো আছেই, সংস্কৃতে� ব্যবহারও রয়েছে� সুরেলা একটা আব� রয়েছে পুরো লেখায়� তব� আধুনিক আটপৌরে বাংলার পাঠকদে� জন্য একটু কঠিন মন� হত� পারে�
Read
January 7, 2016এইটা ঠি� রেটি� দেওয়া� মত জিনি� না� এব� "দী" মুজতবা আলী� কর্ম জাজে� চেষ্টা করাটাও প্রচন্� নির্বুদ্ধিতা হব� আমার দি� থেকে� আম� নিজে� ভাবন� প্রকাশ করতে পারি মাত্র।
প্রথমত শবনম এর বিশা� অং� প্রচন্� নাটুকে কপোত কপোতী� শতবর্ষী পুরন� বাকবাকুম� লেখক মুজতবা আলী বলেই ধর� ���াখত� পারে� পাঠককে� নাহয� এভাব� বিল্� আপ হওয়� কাহিনী� শে� মাথায় পোঁছান� পাঠকের জন্য বে� একটা স্ট্রাগল�
মুজতবা সাহে� স্কলার হিসেবে উঁচুদরের� বিভিন্� ভাষা� ব্যবহারে তিনি কতটা সাবলী� সচেত� পাঠকমাত্রই জানেন। এব� তিনি শুধু ভাষাটা বলতে পারে� বা বোঝে� ব্যাপারট� যে এতটুকুতে� শে� না, তিনি যে একজন নিবেদি� সাহিত্যর� শিকারি পরতে পরতে উদ্ধৃত� গুলা� তা� প্রমাণ� কাব্যপ্রেমী হল� "শবনম" নিঃসন্দেহে উপভোগ্য।
দ্বিতীয়� নামই বল� দ্যায় নায়িক� উপন্যাসে� হাইলাইট। বটেও� কিন্তু যে নায়কে� দৃষ্টি দিয়� পাঠক দেখছ� সে� নায়কক� একজন বস্তুত� পাগল প্রেমি� ছাড়� আর কিছু ভাবত� পারিনাই। চরিত্রটা ঠি� আপ� কর� নিতে পারেনা� আমার মত দূর্বল পাঠককে� খু� একটা তা� সম্বন্ধে আমরা জানিনা� এই অন্ধ প্রেমিকক� কিছু কিছু জায়গায় প্রচন্� দূর্বল লাগছে। অবশ্� এই দূর্বলতাকে তা� অন্ধ প্রে� দিয়� জাস্টিফা� করাই যায়� কিন্তু প্রেমিকে� তা� হিমি সম্পর্কি� প্রে� ভাবন� পাঠককে নাড়� দেবে� - ফর দ্যা সিম্পল ফ্যাক্� মুজতবা আলী� সর্ববিদি� কবিত্ব�
কিন্তু পঞ্চতন্ত্র বা টুনিমে� বা রসগোল্লায় তাঁর বিখ্যা� বৈঠক� চালে� গল্প বল� কিন্তু দৈনন্দিন বাস্তবতাকে প্রচন্� উপভোগ্� সাহিত্যকর্মে� মধ্য� আটকে ফেলা� যে� অবিশ্বাস্য ক্ষমতা দেখি সেটা বে� ভালোভাবে অনুপস্থিত। আবার� সে� ফ্যাক্টট� ফিরে আস� - এট� নিখা� প্রেমে� গল্প� তব� নায়� নায়িকার সাহিত্যপ্রেম আমাদেরকে এই বিষয়ট� ভুলে থাকত� বলে।
আমার কাছে শেষপর্যন্ত "শবনম" এম� এক উপন্যা� যেখানে আপনা� এই যুগলের স্বপ্নাল� বাস্তবতায় মিশে যাইত� হবে। যদ� পারে� তো এই মো� - জগতে� প্রাচীনত� এই আকুত�, দুইয়ে লী� হয়ে যাওয়া� এই আকুল আবেগ - প্রে�, ভালোবাসা, আকর্ষণ যা� বলেন না কে� আপনারে নাড়ায়ে দিবে�
আর যদ� ফ্রেঞ্� এব� আরবে� অদ্ভুত মিশেলে� নাচিয়�, রিভলভা� ক্যারী কর� অনিন্দ্যসুন্দরী নায়িকার� ভালো না লাগে, যদ� প্রথ� দর্শনে যুগলের কবিতার ছত্র বিনিময� পরবর্তীতে প্রক� প্রে� হয়ে ওঠ� বোধগম্� না হয� তা হইলে� স্রে� প্রেমে� পা� নিতে� পড়ে ফেলা যায় "শবনম"
প্রথমত শবনম এর বিশা� অং� প্রচন্� নাটুকে কপোত কপোতী� শতবর্ষী পুরন� বাকবাকুম� লেখক মুজতবা আলী বলেই ধর� ���াখত� পারে� পাঠককে� নাহয� এভাব� বিল্� আপ হওয়� কাহিনী� শে� মাথায় পোঁছান� পাঠকের জন্য বে� একটা স্ট্রাগল�
মুজতবা সাহে� স্কলার হিসেবে উঁচুদরের� বিভিন্� ভাষা� ব্যবহারে তিনি কতটা সাবলী� সচেত� পাঠকমাত্রই জানেন। এব� তিনি শুধু ভাষাটা বলতে পারে� বা বোঝে� ব্যাপারট� যে এতটুকুতে� শে� না, তিনি যে একজন নিবেদি� সাহিত্যর� শিকারি পরতে পরতে উদ্ধৃত� গুলা� তা� প্রমাণ� কাব্যপ্রেমী হল� "শবনম" নিঃসন্দেহে উপভোগ্য।
দ্বিতীয়� নামই বল� দ্যায় নায়িক� উপন্যাসে� হাইলাইট। বটেও� কিন্তু যে নায়কে� দৃষ্টি দিয়� পাঠক দেখছ� সে� নায়কক� একজন বস্তুত� পাগল প্রেমি� ছাড়� আর কিছু ভাবত� পারিনাই। চরিত্রটা ঠি� আপ� কর� নিতে পারেনা� আমার মত দূর্বল পাঠককে� খু� একটা তা� সম্বন্ধে আমরা জানিনা� এই অন্ধ প্রেমিকক� কিছু কিছু জায়গায় প্রচন্� দূর্বল লাগছে। অবশ্� এই দূর্বলতাকে তা� অন্ধ প্রে� দিয়� জাস্টিফা� করাই যায়� কিন্তু প্রেমিকে� তা� হিমি সম্পর্কি� প্রে� ভাবন� পাঠককে নাড়� দেবে� - ফর দ্যা সিম্পল ফ্যাক্� মুজতবা আলী� সর্ববিদি� কবিত্ব�
কিন্তু পঞ্চতন্ত্র বা টুনিমে� বা রসগোল্লায় তাঁর বিখ্যা� বৈঠক� চালে� গল্প বল� কিন্তু দৈনন্দিন বাস্তবতাকে প্রচন্� উপভোগ্� সাহিত্যকর্মে� মধ্য� আটকে ফেলা� যে� অবিশ্বাস্য ক্ষমতা দেখি সেটা বে� ভালোভাবে অনুপস্থিত। আবার� সে� ফ্যাক্টট� ফিরে আস� - এট� নিখা� প্রেমে� গল্প� তব� নায়� নায়িকার সাহিত্যপ্রেম আমাদেরকে এই বিষয়ট� ভুলে থাকত� বলে।
আমার কাছে শেষপর্যন্ত "শবনম" এম� এক উপন্যা� যেখানে আপনা� এই যুগলের স্বপ্নাল� বাস্তবতায় মিশে যাইত� হবে। যদ� পারে� তো এই মো� - জগতে� প্রাচীনত� এই আকুত�, দুইয়ে লী� হয়ে যাওয়া� এই আকুল আবেগ - প্রে�, ভালোবাসা, আকর্ষণ যা� বলেন না কে� আপনারে নাড়ায়ে দিবে�
আর যদ� ফ্রেঞ্� এব� আরবে� অদ্ভুত মিশেলে� নাচিয়�, রিভলভা� ক্যারী কর� অনিন্দ্যসুন্দরী নায়িকার� ভালো না লাগে, যদ� প্রথ� দর্শনে যুগলের কবিতার ছত্র বিনিময� পরবর্তীতে প্রক� প্রে� হয়ে ওঠ� বোধগম্� না হয� তা হইলে� স্রে� প্রেমে� পা� নিতে� পড়ে ফেলা যায় "শবনম"
March 26, 2021
পড়া� মত একটা গল্প কিংব� নাটক কিংব� উপন্যা� যা ইচ্ছ� বল� যেতে পারে� এই প্রথ� আম� সৈয়� মুজতবা আলী� কো� বই পড়লাম� প্রথ� দিকে বে� চমৎকার � লেগেছে, ঘটনা প্রবাহ কিছুটা হলেও ধী� গতির ছি� কিন্তু পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কাব্যাংশ এর ঝল� মন্ত্রমুগ্� করতে যথেষ্ট� কাচা পড়ুয়� বল� কিছু কিছু শব্দ বে� নতুন লেগেছে কিন্তু তা� বুঝা� মত ছিল। বস� একটানা পড়ে শে� কর� যাবে� প্রেমে� আখ্যানের কো� কিছু বাকি রাখা হয� নি.......
March 8, 2016
খুবই নাদা� পাঠক আম�, বই পড়ে আনন্� পা�, তা� পড়ি� আর সৈয়� মুজতবা আলী� বই মানে� তো দারু� ব্যাপা�! কিন্তু এই বইটিতে প্রে� প্রে� ভা� এতোই বেশি যে পড়ত� পড়ত� অনেক জায়গায় ধৈর্� হারিয়� ফেলেছি� আর কাব্�-কবিত� খু� একটা পড়া� অভ্যাস না থাকায় বইটা পড়ত� আর� বেশি কষ্ট হয়েছে� তারপরও শে� করতে পেরেছি সেটা� বড� ব্যাপা� আমার কাছে!
(দুঃসাহ� কর� ফেললাম মন� হয�!)
(দুঃসাহ� কর� ফেললাম মন� হয�!)
December 27, 2021
সব রোমান্টি� উপন্যাসই এত ট্রাজেডি� কে�? অন্য রক� ভালোলাগা কা� কর� উপন্যাসট� পড়ে�
March 29, 2025
পাবল� নেরুদা� "Tonight I can write" কবিতাট� আমার কানে সু� উঠাচ্ছ�- বিচ্ছেদে� সু�,গভী� প্রেমে� সু�..
Tonight I can write the saddest line.
I loved her,and sometimes she loved me too.
Through nights like this one I held her in my arms.
I kissed her again and again under the endless sky.
বাস্তব জগতে� প্রে� ত্রুটিপূর্�, কিন্তু আমাদের মন� একটি নিখুঁত প্রেমে� ধারণ� থাকে যে� ধারণ� আমরা আমাদের নিজস্ব হৃদয� এর সু� থেকে তৈরী কর� থাকি�
Zindagi Gulzar hai (জীবন একটি ফুলে� বাগা�) ড্রামায় কাশাফক� একজন জিজ্ঞে� করেছিল তুমি কখ� জারুনে� প্রেমে পড়েছো তখ� কাশা� উত্ত� দিয়েছিল�-
এক কা� চা আমার হাতে পড়ত� যাচ্ছিলো কিন্তু সে আমায� বাঁচিয়ে নেয়।স� নিজে� হাতে চা পড়ত� দিয়েছিলো।
সে� মুহূর্তে আম� তা� প্রেমে পড়ে যা�,
জীবন� প্রথমবার কে� আমার কেয়ার করেছিল�,জীবন� এম� কয়জ� থাকে যারা আপনা� উপ� গর� চা পড়ত� দিবে না�
শবনম....শবনম শিউল�, বাঙালী� কানে যে এই নামট� কত� মধুর এইটা বাঙালী না হল� উপলব্ধ� কর� দায়�
শবনম যখ� মজনূ� কে প্রথ� কাজে� লো� ভেবে ফরমাইস দেয় তখ� মজনূ� হা কর� তাকিয়� ভাবছিল� কি বলবে,
শবনম এর প্রেমে� বি� তখনি অঙ্কুরিত হয়েছিলো মজনূ� এর প্রতি।
তুর্কী বংশোদ্ভূ� আফগা� বড়লোকের একমাত্� মেয়ের বিপরীতে এক সিলেটি যুবকের প্রেমে� কাহিনি নিয়� রচিত উপন্যা� শবনম�
এই রচনাকে আম� উপন্যাসে� থেকে� বেশি কবিত� আকার� প্রে� বিনিময়ে� মাধ্যম বলতে স্বাছন্দ্যবো� করবো�
গুলজারের "ছোঁয়া" কবিতায� দুটি লাইন আছ� এম�-
"যে ছোঁয়া শরীরে লেগে থাকে না,
সে ছোঁয়া কি ছোঁয়া না?"
ভালোবাসা সবসময় দাবা� চা� এক্সচেঞ্� স্যাক্রিফাইস এর মত� হয� না যে শক্তিশালী রু� কে হারানো� সিদ্ধান্তে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাওয়া যায়,,
বর� ভালোবাসা জাপানি টার্� "Mono No Aware" এর মত� যা� অর্থ সৌন্দর্য ক্ষনস্থায়ী এব� সে� উপলব্ধ� থেকে জন্ম নেয় মধুর বিষাদ।
কখনো কখনো সবচেয়� বড� ভ্রম� হল� দু� মানুষে� মধ্যকা� দূরত্ব কমিয়ে আন�,আবার সেইটাই মাঝে মাঝে হয়ে যায় সবচেয়� বেশি থেকে সবচেয়� কম-দুয়� মিলিয়� ইনফিনিটি�
সর� হৃদয� মন� কর� প্রে� লুকিয়� রাখত� পারে,
কাঁচের ফানু� মন� ভাবে লুকিয়েছ� শিখাটাকে�
শবনম,মজনূ� কে� তাদে� ভালোবাসা লুকিয়� রাখত� পারে নি,,ভালোবাসা� টানে বা� বা� একসূত্রে বাঁধ� পড়েছে�
ভালোবাসা� চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে� উপনী� হয� দুজন�,
কাজী জিজ্ঞে� কর�- স্ত্রীধন কত?
মজনূ� বল� আমার সর্বস্�,
আবার� কাজী বল� একটা নির্দিষ্� পরিমান বল�,
মজনূ� আর� জো� দিয়� বল� আমার সর্বস্ব।
ভালোবাসা� গভীরত� ভালোবাসা� বহিঃপ্রকাশ দ্বারা উপলব্ধ� বোধহয় এভাবেই হয়।
টলস্টয� বিশ্বা� করতে� -
"জীবন একটি মহাকাব্যের মত� যেখানে ব্যক্ত� তা� নিয়তি� বিরুদ্ধে খু� কম� কিছু করতে পারে�"
তা� তো মজনূ� এর কন্ঠ চিরে বেরিয়� আস� বিষাদময় ভালোবাসা� সুরে মিশ্রি� প্রেমময় বেদন�- "আর শবনম সে তো শিউল�,
শর� নিশি� স্বপ্ন- প্রভাতের বিচ্ছে� বেদনা।সে যখ� ভোরবেলায� সর্ব বন্ধ� থেকে মুক্� হয�,সে কি স্বেচ্ছায়?
কিছু কিছু মানু� স্বপ্নের মত�, তারা আস� মো� ছড়িয়� যায়,কিন্তু ধর� দেয়না�
হাজা� খানে� কথার মাঝে শবনমের হৃদয়ে� কথ� বোধহয় একটা� ছিলো-
" আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না,
আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না�"
তা� বুঝি গৌতম বুদ্� বলেছিলেন -
"আসক্তি দুঃখের কারণ�"
কোনো কোনো বিরহ এম�,যা জীবনের শে� নিঃশ্বাস পর্যন্� বুকে� ভিতর গুমড়ে কাঁদে।
আর প্রে� তো সবাইকে সাজে না,� প্রে� তা� জন্য� যে বেদন� সইতে জানে,যে সংগ্রামে ভয� পায় না�
তা� রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন -"� রে ভীরু,ত��� উপরে নে� ভুবনের ভার।"
তুর্কি সিরি� Siyah Beyaz Ask (Black and White love) � একটি সুন্দর কথ� শুনেছিলা�
"Bazen en buyuk ask en buyuk aciyla baslar"
অনেক সময় সবচেয়� গভী� ভালোবাসা, সবচেয়� গভী� ব্যাথা দিয়েই শুরু হয়।
তা� হয়ত� শবনম বলেছিল� - "গোড়� আর শে�, এই সৃষ্টি� জানা আছ� বল কা�?
প্রাচী� � পুঁথ�, গোড়� আর শে� পাতা কট� ঝর� তারা�"
শবনম যাওয়া� আগ� তো কথ� দিয়েছিল�- "বাড়িত� থেকো,আম� ফিরব"
সে কি মজনূ� এর হৃদয়ে� বাগিচায় সবচেয়� উজ্জ্ব� ফু� হয়ে সুগন্ধ� আচ্ছন্� করেছিল� চারিপা�?
কারন শবনম তো বলেছিল� মজনূনক�
"তোমাকে দেখবার জন্য আমার যে ব্যাকুলত�,তুমি কখনো সেটা ছাড়িয়ে যেতে পারবেন�"
তুমি বলেছিল�
"ভাবন� কিসে�? আম� তোমাকে ভালোবাসি।আনন্দ� থাকে,ধৈর্� সলিল� ভাবন� সে যা� ভাসি� ধৈর্� কোথায়? কিবা সে হৃদয�? হৃদয� কাহারে কয�?সে তো শুধু এক বিন্দু শোণি� আর ফরিয়া� রাশি"
ভালোবাসলেই বা কি দি� শেষে সবার একসাথে থাকা ভবিতব্যে লিখা থাকে কি?
আমার মত� এত� সুন্দর, স্নিগ্� প্রেমে� উপন্যা� আর হয়ন�,
আমার মত� যারা কবিত� প্রেমি তারা তো আর� মুগ্� হব� এই উপন্যা� পড়ে�
রুচিশী� মানুষে� ভাষায় প্রেমে� ডেফিনিশন হল� এই শবনম উপন্যাস।
শিক্ষাবি� আবদুল্লা� আব� সায়ী� শবনম সম্পর্কে মন্তব্� করেন-
বাঙালী তরুন তরুনীদে� প্রেমে পড়া� পূর্বে অবশ্যই সৈয়� মুজতবা আলী� শবনম উপন্যা� পড়ে নেওয়া উচিত�
এম� শিক্ষনীয় প্রেমে� উপন্যা� বিশ্� সাহিত্যে আর একটি� নেই।
এই উপন্যাসট� যে� সুন্দর থেকে� সুন্দরতম প্রেমে� প্রতিচ্ছবি�
Tonight I can write the saddest line.
I loved her,and sometimes she loved me too.
Through nights like this one I held her in my arms.
I kissed her again and again under the endless sky.
বাস্তব জগতে� প্রে� ত্রুটিপূর্�, কিন্তু আমাদের মন� একটি নিখুঁত প্রেমে� ধারণ� থাকে যে� ধারণ� আমরা আমাদের নিজস্ব হৃদয� এর সু� থেকে তৈরী কর� থাকি�
Zindagi Gulzar hai (জীবন একটি ফুলে� বাগা�) ড্রামায় কাশাফক� একজন জিজ্ঞে� করেছিল তুমি কখ� জারুনে� প্রেমে পড়েছো তখ� কাশা� উত্ত� দিয়েছিল�-
এক কা� চা আমার হাতে পড়ত� যাচ্ছিলো কিন্তু সে আমায� বাঁচিয়ে নেয়।স� নিজে� হাতে চা পড়ত� দিয়েছিলো।
সে� মুহূর্তে আম� তা� প্রেমে পড়ে যা�,
জীবন� প্রথমবার কে� আমার কেয়ার করেছিল�,জীবন� এম� কয়জ� থাকে যারা আপনা� উপ� গর� চা পড়ত� দিবে না�
শবনম....শবনম শিউল�, বাঙালী� কানে যে এই নামট� কত� মধুর এইটা বাঙালী না হল� উপলব্ধ� কর� দায়�
শবনম যখ� মজনূ� কে প্রথ� কাজে� লো� ভেবে ফরমাইস দেয় তখ� মজনূ� হা কর� তাকিয়� ভাবছিল� কি বলবে,
শবনম এর প্রেমে� বি� তখনি অঙ্কুরিত হয়েছিলো মজনূ� এর প্রতি।
তুর্কী বংশোদ্ভূ� আফগা� বড়লোকের একমাত্� মেয়ের বিপরীতে এক সিলেটি যুবকের প্রেমে� কাহিনি নিয়� রচিত উপন্যা� শবনম�
এই রচনাকে আম� উপন্যাসে� থেকে� বেশি কবিত� আকার� প্রে� বিনিময়ে� মাধ্যম বলতে স্বাছন্দ্যবো� করবো�
গুলজারের "ছোঁয়া" কবিতায� দুটি লাইন আছ� এম�-
"যে ছোঁয়া শরীরে লেগে থাকে না,
সে ছোঁয়া কি ছোঁয়া না?"
ভালোবাসা সবসময় দাবা� চা� এক্সচেঞ্� স্যাক্রিফাইস এর মত� হয� না যে শক্তিশালী রু� কে হারানো� সিদ্ধান্তে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাওয়া যায়,,
বর� ভালোবাসা জাপানি টার্� "Mono No Aware" এর মত� যা� অর্থ সৌন্দর্য ক্ষনস্থায়ী এব� সে� উপলব্ধ� থেকে জন্ম নেয় মধুর বিষাদ।
কখনো কখনো সবচেয়� বড� ভ্রম� হল� দু� মানুষে� মধ্যকা� দূরত্ব কমিয়ে আন�,আবার সেইটাই মাঝে মাঝে হয়ে যায় সবচেয়� বেশি থেকে সবচেয়� কম-দুয়� মিলিয়� ইনফিনিটি�
সর� হৃদয� মন� কর� প্রে� লুকিয়� রাখত� পারে,
কাঁচের ফানু� মন� ভাবে লুকিয়েছ� শিখাটাকে�
শবনম,মজনূ� কে� তাদে� ভালোবাসা লুকিয়� রাখত� পারে নি,,ভালোবাসা� টানে বা� বা� একসূত্রে বাঁধ� পড়েছে�
ভালোবাসা� চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে� উপনী� হয� দুজন�,
কাজী জিজ্ঞে� কর�- স্ত্রীধন কত?
মজনূ� বল� আমার সর্বস্�,
আবার� কাজী বল� একটা নির্দিষ্� পরিমান বল�,
মজনূ� আর� জো� দিয়� বল� আমার সর্বস্ব।
ভালোবাসা� গভীরত� ভালোবাসা� বহিঃপ্রকাশ দ্বারা উপলব্ধ� বোধহয় এভাবেই হয়।
টলস্টয� বিশ্বা� করতে� -
"জীবন একটি মহাকাব্যের মত� যেখানে ব্যক্ত� তা� নিয়তি� বিরুদ্ধে খু� কম� কিছু করতে পারে�"
তা� তো মজনূ� এর কন্ঠ চিরে বেরিয়� আস� বিষাদময় ভালোবাসা� সুরে মিশ্রি� প্রেমময় বেদন�- "আর শবনম সে তো শিউল�,
শর� নিশি� স্বপ্ন- প্রভাতের বিচ্ছে� বেদনা।সে যখ� ভোরবেলায� সর্ব বন্ধ� থেকে মুক্� হয�,সে কি স্বেচ্ছায়?
কিছু কিছু মানু� স্বপ্নের মত�, তারা আস� মো� ছড়িয়� যায়,কিন্তু ধর� দেয়না�
হাজা� খানে� কথার মাঝে শবনমের হৃদয়ে� কথ� বোধহয় একটা� ছিলো-
" আমার মিলন� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না,
আমার বিরহ� তুমি অভ্যস্� হয়ে যেয়� না�"
তা� বুঝি গৌতম বুদ্� বলেছিলেন -
"আসক্তি দুঃখের কারণ�"
কোনো কোনো বিরহ এম�,যা জীবনের শে� নিঃশ্বাস পর্যন্� বুকে� ভিতর গুমড়ে কাঁদে।
আর প্রে� তো সবাইকে সাজে না,� প্রে� তা� জন্য� যে বেদন� সইতে জানে,যে সংগ্রামে ভয� পায় না�
তা� রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন -"� রে ভীরু,ত��� উপরে নে� ভুবনের ভার।"
তুর্কি সিরি� Siyah Beyaz Ask (Black and White love) � একটি সুন্দর কথ� শুনেছিলা�
"Bazen en buyuk ask en buyuk aciyla baslar"
অনেক সময় সবচেয়� গভী� ভালোবাসা, সবচেয়� গভী� ব্যাথা দিয়েই শুরু হয়।
তা� হয়ত� শবনম বলেছিল� - "গোড়� আর শে�, এই সৃষ্টি� জানা আছ� বল কা�?
প্রাচী� � পুঁথ�, গোড়� আর শে� পাতা কট� ঝর� তারা�"
শবনম যাওয়া� আগ� তো কথ� দিয়েছিল�- "বাড়িত� থেকো,আম� ফিরব"
সে কি মজনূ� এর হৃদয়ে� বাগিচায় সবচেয়� উজ্জ্ব� ফু� হয়ে সুগন্ধ� আচ্ছন্� করেছিল� চারিপা�?
কারন শবনম তো বলেছিল� মজনূনক�
"তোমাকে দেখবার জন্য আমার যে ব্যাকুলত�,তুমি কখনো সেটা ছাড়িয়ে যেতে পারবেন�"
তুমি বলেছিল�
"ভাবন� কিসে�? আম� তোমাকে ভালোবাসি।আনন্দ� থাকে,ধৈর্� সলিল� ভাবন� সে যা� ভাসি� ধৈর্� কোথায়? কিবা সে হৃদয�? হৃদয� কাহারে কয�?সে তো শুধু এক বিন্দু শোণি� আর ফরিয়া� রাশি"
ভালোবাসলেই বা কি দি� শেষে সবার একসাথে থাকা ভবিতব্যে লিখা থাকে কি?
আমার মত� এত� সুন্দর, স্নিগ্� প্রেমে� উপন্যা� আর হয়ন�,
আমার মত� যারা কবিত� প্রেমি তারা তো আর� মুগ্� হব� এই উপন্যা� পড়ে�
রুচিশী� মানুষে� ভাষায় প্রেমে� ডেফিনিশন হল� এই শবনম উপন্যাস।
শিক্ষাবি� আবদুল্লা� আব� সায়ী� শবনম সম্পর্কে মন্তব্� করেন-
বাঙালী তরুন তরুনীদে� প্রেমে পড়া� পূর্বে অবশ্যই সৈয়� মুজতবা আলী� শবনম উপন্যা� পড়ে নেওয়া উচিত�
এম� শিক্ষনীয় প্রেমে� উপন্যা� বিশ্� সাহিত্যে আর একটি� নেই।
এই উপন্যাসট� যে� সুন্দর থেকে� সুন্দরতম প্রেমে� প্রতিচ্ছবি�
Displaying 1 - 30 of 194 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.