Sign in with Facebook
হাসা� নাহিয়া� নোবে�'s Reviews > শব্Čনম্�
শব্Čনম্�
by
by
শব্Čনম্� সম্পর্কে বোদ্ধা, অবোধ এব� নির্বোধেরা সচরাচর বে� ইতিবাচ� কথ� বল� থাকেন—সুতরা� এট� আশ্চর্� লাগত� পারে যে, যে শব্Čনম্� পড়েনি তাকে যদ� পুরো কাহিনী� একটা সারাংশ বল� হয়—তাহলে নির্ঘা� ঢলঢল� একটা প্রেমে� কাহিনী ভেবে বসবে� এব� এট� তা-� হত� পারতো—যদি না মুজতবা আলী� অসাধার� ভাষা আমাদের চোখে একটা রঙিন চশমা পড়িয়� রাখতো।
বে� কয়ে� বছ� আগ� পড়েছিলা� মুজতবা আলী� শহ�-ইয়া� (১৯৬৯)� শব্Čনম্� (১৯৬০)-এর সাথে এক� মেলানোটা হয়ত� ঠি� হব� না, কিন্তু স্মৃতি যদ� প্রতারণা না কর� থাকে, তাহল� উপন্যা� দুটো ঠি� না মিলিয়েও পারা যাচ্ছে না� গল্পের দি� দিয়� না, লেখা� গঠনে� দি� দিয়ে। দুটো উপন্যাসে� লেখক একটা জীবনবো� তুলে আনতে চেয়েছেন, বোধটাক� দাঁড� করানোর জন্য একটা কাহিনী� অবতারণ� করেছেন, এব� উপন্যা� শে� হয়েছে সে� বো�-সংক্রান্� দীর্� ব্যাখ্যা দিয়ে। শব্নমে সেটা এসেছ� মজনুনে� চিন্তা� ভেতর দিয়�, আর অন্যটায় শহ�-ইয়ারে� চিঠি� মধ্য দিয়� (আবার�, যদ� না স্মৃতি প্রতারণা কর� থাকে)�
লেখক তাঁর বোধে� কতটুকু আমাদের কাছে পৌঁছ� দিতে পেরেছে� সেটা তর্কসাপেক্� হত� পারে� কিন্তু কোনো সন্দেহ নে� এই বইয়ের ভাষা নিয়ে। কেবল ভাষা� অসাধার� ব্যবহারে� জন্য� মুজতবা আলী� প্রতিট� লেখা পড়ে ফেলা যায়� বাংল� সাহিত্যে� খু� বেশি লেখকের ভাণ্ডারে এতগুলো শব্দ ছিলো না—এ আম� অনায়াসে লিখত� দিতে পারি�
আর চেনা শব্দের� কী শক্তিশালী ব্যবহা�! রাতে ঘুমানো� সময় আমরা কতভাবে পাশবালিশকে ধরতে পারি? আমাক� জিজ্ঞে� করলে বলতা�, জড়িয়� ধরতে পারি, জাপট� ধরতে পারি, আঁকড়ে ধর� যায়, ছুঁয়ে� দেখা যায়� কিন্তু মুজতবা আলী� নায়িক� পাশবালিশ রীতিমত ‘জাবড়ে� ধর� ভোঁস ভোঁস কর� ঘুমা�! ব্যাপারট� খুবই thought intriguing. আম� জড়িয়� ধর� আম্মুক�, ভয� পেলে জাপট� ধর� বন্ধুক�, দু-হাতে আঁকড়ে ধর� প্রেমিকাকে, কিন্তু পাশবালিশকে একমাত্� জাবড়ে� ধরতে পারি—আ� কোনো শব্দ ব্যবহা� করেই ওট� বোঝানো যায় না, অন্ত� এতখানি সার্থকভাবে না�
ধন্য সৈয়�, ধন্য!
উপমা� ব্যবহারে� মুজতবা কম যা� কীসে� শব্নমে� কণ্ঠের কথ� বলতে গিয়� তিনি বলেন, “ঘুঙুরওয়ালা চরণচক্রপরা বাড়ির নতুন বউ চলাফের� করার সময় যেরক� দক্ষিণী বীণা বাজে, ওর গলার শব্দ সেইরকম।�
আর মাঝেমধ্য� বল� ফেলে� ভয়াবহ একেকটা কথা—যেট� শুনে অনেক্ষ� � মেরে বস� থাকত� হয়। এরপর বিড়বিড় কর� বলতে হয�, বেড়� বলেছেন তো! “সমা� কি শে� না বাবু�, বা� না সিংহ, যে তাকে হামেহা� পিস্তল দেখাতে হব�? সমাজ তেজি ঘোড়া। দানাপানি দিবে, তা� পিঠে চড়বে। বেয়াড়ামি করলে পায়ের কাঁট� দিয়� অল্প গুঁত� দেবে, আর� বেশি হল� চাবু�, আর একদম বিগড়ে গেলে পিস্তল� তারপ� নতুন ঘোড়� কিনবে—নতু� সমাজ গড়বে।�
শুরুতে� বলেছিলাম, এট� ঢলঢল� একটা প্রেমে� উপন্যাস—য� মুজতবা সাহেবে� অসাধার� ভাষাশৈলী� কারণ� আমাদের চোখে সুন্দর হয়ে ধর� দিয়েছে। এই প্রেমে� প্রসঙ্গে এস� দুটো ব্যাপারে আম� আলোকপা� করতে চাই।
প্রথমত, বর্তমানে কেবল আত্মিক ভালোবাসাকে শৈল্পি� হিসেবে বিবেচন� কর� হয�, অন্যদিকে দৈহি� প্রেমক� প্রায়শই অশালীনতার দায় নিতে হয়। ব্যক্তিগতভাব� আম� মন� কর�, দে� এব� আত্মা—এ� দু� নিয়েই আমাদের অস্তিত্ব, সুতরাং প্রেমে দুটো� ভূমিকা� অনস্বীকার্য। শব্নমে এই বোধটুক� তুলে আনার ক্ষেত্রে সৈয়� মুজতবা অনেকাংশে� সার্থক�
দ্বিতীয়�, বি� শতকে� খু� বেশি উপন্যাসে সম্ভবত নায়িকার এতখানি রোমান্টি� বর্ণনা আমরা দেখি না� মধ্যযুগে এই জিনিসটার খু� চল ছিলো, এব� মুজতবা আলী উনিশশো ষাটে� যখ� লিখলেন নায়িকার কপাল তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্রে� মত, বন-মল্লিকার পাঁপড়ির মত—তখন� শুনত� বে� লাগলো। হয়ত� বর্ণনা� এই সৌন্দর্যগুলো চিরন্তন।
শব্Čনম্…শব্Čনম্ক� ঠি� আম� মুজতবা আলী� শ্রেষ্� সাহিত্যকর্মে� আখ্য� দিতে রাজি না� বাংল� সাহিত্যে তিনি দেবতুল্য—এ� কারণ তাঁর অসাধার� ভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলো—কখন� শব্Čনম্� না�
বে� কয়ে� বছ� আগ� পড়েছিলা� মুজতবা আলী� শহ�-ইয়া� (১৯৬৯)� শব্Čনম্� (১৯৬০)-এর সাথে এক� মেলানোটা হয়ত� ঠি� হব� না, কিন্তু স্মৃতি যদ� প্রতারণা না কর� থাকে, তাহল� উপন্যা� দুটো ঠি� না মিলিয়েও পারা যাচ্ছে না� গল্পের দি� দিয়� না, লেখা� গঠনে� দি� দিয়ে। দুটো উপন্যাসে� লেখক একটা জীবনবো� তুলে আনতে চেয়েছেন, বোধটাক� দাঁড� করানোর জন্য একটা কাহিনী� অবতারণ� করেছেন, এব� উপন্যা� শে� হয়েছে সে� বো�-সংক্রান্� দীর্� ব্যাখ্যা দিয়ে। শব্নমে সেটা এসেছ� মজনুনে� চিন্তা� ভেতর দিয়�, আর অন্যটায় শহ�-ইয়ারে� চিঠি� মধ্য দিয়� (আবার�, যদ� না স্মৃতি প্রতারণা কর� থাকে)�
লেখক তাঁর বোধে� কতটুকু আমাদের কাছে পৌঁছ� দিতে পেরেছে� সেটা তর্কসাপেক্� হত� পারে� কিন্তু কোনো সন্দেহ নে� এই বইয়ের ভাষা নিয়ে। কেবল ভাষা� অসাধার� ব্যবহারে� জন্য� মুজতবা আলী� প্রতিট� লেখা পড়ে ফেলা যায়� বাংল� সাহিত্যে� খু� বেশি লেখকের ভাণ্ডারে এতগুলো শব্দ ছিলো না—এ আম� অনায়াসে লিখত� দিতে পারি�
আর চেনা শব্দের� কী শক্তিশালী ব্যবহা�! রাতে ঘুমানো� সময় আমরা কতভাবে পাশবালিশকে ধরতে পারি? আমাক� জিজ্ঞে� করলে বলতা�, জড়িয়� ধরতে পারি, জাপট� ধরতে পারি, আঁকড়ে ধর� যায়, ছুঁয়ে� দেখা যায়� কিন্তু মুজতবা আলী� নায়িক� পাশবালিশ রীতিমত ‘জাবড়ে� ধর� ভোঁস ভোঁস কর� ঘুমা�! ব্যাপারট� খুবই thought intriguing. আম� জড়িয়� ধর� আম্মুক�, ভয� পেলে জাপট� ধর� বন্ধুক�, দু-হাতে আঁকড়ে ধর� প্রেমিকাকে, কিন্তু পাশবালিশকে একমাত্� জাবড়ে� ধরতে পারি—আ� কোনো শব্দ ব্যবহা� করেই ওট� বোঝানো যায় না, অন্ত� এতখানি সার্থকভাবে না�
ধন্য সৈয়�, ধন্য!
উপমা� ব্যবহারে� মুজতবা কম যা� কীসে� শব্নমে� কণ্ঠের কথ� বলতে গিয়� তিনি বলেন, “ঘুঙুরওয়ালা চরণচক্রপরা বাড়ির নতুন বউ চলাফের� করার সময় যেরক� দক্ষিণী বীণা বাজে, ওর গলার শব্দ সেইরকম।�
আর মাঝেমধ্য� বল� ফেলে� ভয়াবহ একেকটা কথা—যেট� শুনে অনেক্ষ� � মেরে বস� থাকত� হয়। এরপর বিড়বিড় কর� বলতে হয�, বেড়� বলেছেন তো! “সমা� কি শে� না বাবু�, বা� না সিংহ, যে তাকে হামেহা� পিস্তল দেখাতে হব�? সমাজ তেজি ঘোড়া। দানাপানি দিবে, তা� পিঠে চড়বে। বেয়াড়ামি করলে পায়ের কাঁট� দিয়� অল্প গুঁত� দেবে, আর� বেশি হল� চাবু�, আর একদম বিগড়ে গেলে পিস্তল� তারপ� নতুন ঘোড়� কিনবে—নতু� সমাজ গড়বে।�
শুরুতে� বলেছিলাম, এট� ঢলঢল� একটা প্রেমে� উপন্যাস—য� মুজতবা সাহেবে� অসাধার� ভাষাশৈলী� কারণ� আমাদের চোখে সুন্দর হয়ে ধর� দিয়েছে। এই প্রেমে� প্রসঙ্গে এস� দুটো ব্যাপারে আম� আলোকপা� করতে চাই।
প্রথমত, বর্তমানে কেবল আত্মিক ভালোবাসাকে শৈল্পি� হিসেবে বিবেচন� কর� হয�, অন্যদিকে দৈহি� প্রেমক� প্রায়শই অশালীনতার দায় নিতে হয়। ব্যক্তিগতভাব� আম� মন� কর�, দে� এব� আত্মা—এ� দু� নিয়েই আমাদের অস্তিত্ব, সুতরাং প্রেমে দুটো� ভূমিকা� অনস্বীকার্য। শব্নমে এই বোধটুক� তুলে আনার ক্ষেত্রে সৈয়� মুজতবা অনেকাংশে� সার্থক�
দ্বিতীয়�, বি� শতকে� খু� বেশি উপন্যাসে সম্ভবত নায়িকার এতখানি রোমান্টি� বর্ণনা আমরা দেখি না� মধ্যযুগে এই জিনিসটার খু� চল ছিলো, এব� মুজতবা আলী উনিশশো ষাটে� যখ� লিখলেন নায়িকার কপাল তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্রে� মত, বন-মল্লিকার পাঁপড়ির মত—তখন� শুনত� বে� লাগলো। হয়ত� বর্ণনা� এই সৌন্দর্যগুলো চিরন্তন।
শব্Čনম্…শব্Čনম্ক� ঠি� আম� মুজতবা আলী� শ্রেষ্� সাহিত্যকর্মে� আখ্য� দিতে রাজি না� বাংল� সাহিত্যে তিনি দেবতুল্য—এ� কারণ তাঁর অসাধার� ভাষায় লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলো—কখন� শব্Čনম্� না�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
শব্Čনম্�.
Sign In »
Reading Progress
April 23, 2018
–
Started Reading
April 25, 2018
– Shelved
April 25, 2018
– Shelved as:
fiction
April 25, 2018
–
Finished Reading
Comments Showing 1-1 of 1 (1 new)
date
newest »
newest »
message 1:
by
Shakel
(new)
Apr 25, 2018 11:15PM
অসাধার� রিভিউ। মুজতবা আলী <3
reply
|
flag
