সূর্যতামসীতে যে রমনপাষ্টির খেলা শুরু হয়েছি�, সে� ভয়ঙ্ক� খেলা এবার একেবার� শে� চরণে... শতবর্ষ আগ� ঘট� যাওয়া ভয়াবহ পা�, যা প্রকাশ পেলে “স্বয়� ব্রিটি� সাম্রাজ্যে� ভিত্তি টলিয়া যাইত� পারে�, লুকিয়� রাখত� চেয়েছিল গোটা এক মানবগোষ্ঠী� সে পা� সবার অজান্ত� আবার মাথাচাড়� দিয়েছে। � এম� এক অভিশাপ, যা কাউকেই অনাহ� রাখে না� তাড়� কর� চল� বীভৎ� দুঃস্বপ্নে� মতো। অগ্নিনিরয় সে� অন্ধকারে� দিনলিপি। এর অপরূ� মহাকাব্যিক কথনে প্রিয়না� মুখার্জি, গণপত�, সাইগারসন, তারিণী আর তুর্বসুর পাশাপাশি উজ্জ্ব� হয়ে ওঠ� লাজু� শৈলচরণ, নির্ভয� লখ� কিংব� বৃহন্নলা রামানুজে� মত� প্রান্তি� মানুষজন। আস� একের পর এক মৃত্যু� হত্যা। দুর্ঘটনা� বদলে যাওয়া হাতে� ছাপ। হারিয়� যাওয়া স্মৃতি� রোমন্থন। চিকিৎসাশাস্ত্র আর জাদুবিদ্যা� নিষিদ্� পরিজ্ঞান� মহারাণী� প্রাণভোমরা লুকিয়� থাকে প্রাচী� এক কাঠে� বাক্সে� কে দেবে সে� বাক্সে� সন্ধান? আর ভূ�? তাকে বশ করবে কে? তিনট� ক্রমিক পর্ব ধর�, কালে� একুল-ওকুল ছাপিয়�, কলকাতা, চন্দননগর, চুঁচুড়া� অন্ধকা� অলিগলি বেয়� বয়ে চল� এই ম্যাসন সিরি� অবশেষে বিরত� নেবে এই খণ্ডে। আকার� বৃহত্ত�, আখ্যান� জটিলতম, বিস্তারে সর্বব্যাপী এই উপন্যাসটির পাঠে যেমন উঠ� আস� নরকে� হলাহ�, তেমন� পাওয়া যায় এক অনাস্বাদিত অমৃতের ছোঁয়া� হিংস�, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ আর প্রেমে� এই অদ্ভুত কাহিনি� শেষে শুধু মানবতা� জাগরুক থাকে� আর কিছু নয়।
ট্রিলজ� পড়ত� গেলে ভয়ে� থাকি বল� যায়� দেখা যায়, শুরুটা বে� ভালো কিন্তু ধীরে ধীরে কাহিনি� গত� � উত্তেজনা দু�-� কম� গেছে� ম্যাসন ট্রিলজ�-� ক্ষেত্রে ঘটনা উল্টো। শুরুতে কিঞ্চি� আড়ষ্ট থাকলেও গল্প� ক্রম� গতির সঞ্চার হয়েছে এব� কৌশি� মজুমদা� সে� গত� (� উত্তেজনা) কমতে দেনন� কখনো� "অগ্নিনিরয়" � পেঁয়াজে� খোসা ছাড়ানোর মত� একটা� পর একটা রহস্যে� জট খুলেছে� মূ� রহস্যে� সমাধান পেতে অপেক্ষ� করতে হয়েছে একদম শে� পর্যন্ত। লেখকের দেওয়া বিভিন্� তথ্য পড়ে� আনন্� পেয়েছি। সিরিজে� আগের দুটো বইয়ের মত� এবারেও লেখক বাস্তব ঘটনা� সাথে সুকৌশল� কল্পনা� মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ এত� সূক্ষ্� যে পাঠক ধাঁধায� পড়ে যাবেন। সবাইকে বলবো সিরিজট� পড়ে দেখতে। (সিরি� শে� কোরে ব্রিটি� আমলে� কলকাতা সম্বন্ধে জানা� তুমু� আগ্র� হচ্ছে। সাথে ঢাউস আকারের "দারোগা� দপ্ত�"� পড়ত� ইচ্ছ� করছে খুব।)
গে� বছ� যখ� সুর্যতামসী আর নীবারসপ্তকের খো� পা�, তখ� থেকে� অধী� অপেক্ষায� ছিলা� কৌশি� মজুমদারে� ফ্রিম্যাসন সিরিজে� শে� বই ' অগ্নিনিরয়'এর� অবশেষে ডিসেম্বর� প্রকাশ পে� বইটি, তারপ� আগের দু� খন্ড রিভিশন দিয়�, শুরু করলা� অগ্নিনিরয়�
যদিও এই রিভি� ঠি� অগ্নিনিরয়কে নিয়� না, বলতে গেলে পুরো ফ্রি ম্যাসন সিরিজে� উপ�- ঠি� রিভি� না বল� পাঠপ্রতিক্রিয়� বললে ভু� হব� না� গল্পের শুরু তুর্বুসু নামে� এক নব্য � শখের গোয়েন্দার মাধ্যম�, ঘটনাক্রম�(?) সে প্রতিযশা গোয়েন্দ� তারিনীচর� রায়ের প্রপৌত্র� অনেকটা অপ্রতাশিতভাব� সে জড়িয়� যায় তা� প্রিয় দাদা, দেবাশী� গুহে� এক রহস্যজনক খুনে� মাধ্যমে। প্রাচী� লি-চি� পদ্ধতিতে খু� কর� হয� তাকে, মৃত্যু� আগ� দিয়� যা� এক গোপন মেসে�,
ঘটনাচক্র� আর� অনেক� জড়িয়� পড়ে� অনেকটা রিচুয়ালিস্টিক এই খুনে� সাথে� একের পর এক গোপন ক্লু, কে শত্র� কে মিত্�, সাথে জড়িয়� আছ� কোনো বৃহৎ ষড়যন্ত্�, গোপন ভ্রাতৃসং�, খু� আর রক্ত- পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধে� মত� আটকে রাখব� বইটি� পাতায় পাতায়-এই হল� সুর্যতামসী� গল্প� এরপর নীবারসপ্তক� ধীরে ধীরে আর� ক্লু আসবে, অনেক কিছু পরিস্কার হব� পাঠকের কাছে- যা� চূড়ান্ত সমাধান হব� অগ্নিনিরয়ে।
এই হল� বর্তমানে� কথ�- কিন্তু এই গল্পের সাথে সমান্তরালে আছ� অতীতে� এক কালো ইতিহাস- এক অজান� অধ্যায়। এই ইতিহাসের সাথে যুক্� আছেন 'দারোগা� দপ্তরে' খ্যা� প্রিয়না� দারোগা, প্রথ� বাঙ্গালি প্রাইভেট ডিটেকটিভ তারিনীচর� রায়, ব্রিটি� গোয়েন্দ� সাইগারসন(আস� না� বললে স্পয়লার হয়ে যাবে) এব� আর� অনেকে। এই ইতিহাস খুজে পাওয়া যাবে প্রিয়না� দারোগা� শে� হাড় বা ২০� নং গল্প � তারিনীচরনে� ছেড়� ডায়েরিতে। দেবাশি� গুহে� খু� কি এই প্রাচী� ইতিহাসের পুনরাবৃত্ত�? নাকি জড়িয়� আছ� কোনো ভয়ানক ষড়যন্ত্� যা পুরো ইতিহাসকে বদলে দিবে - কে বা কারা শুরু করেছ� রমণপাষ্টির খেলা- শুরু� শে� নাকি শেষে� শুরু এই খুনগুল�,হিলি� ভু� কি আবার ঘু� থেকে জেগে উঠ�? ফ্রিম্যাসনদে� ব্রাদারহুড কি সিক্রে� রক্ষ� কর� চলছে যুগে� পর যু� থেকে- জানত� হল� পড়ত� হব� এই ফ্রিম্যাসন ট্রিলজি।
"একশো বছ� পর� ভূ� সত্যিই জেগেছে� তুমি� হয়ত� জাগিয়েছ� এবার সে� ভূ� কীভাবে নৃত্� করবে, সে ব্যাপারে, বিলি� মি, আই হ্যা� অ্যাবসোলিউটল� নো আইডিয়া।�-প্লট নিয়� বেশি কিছু বলার সুযো� নে�- স্পয়লার হওয়ার সম্ভাবনা� প্রবল। অতী�- বর্তমানক� নিয়� লেখক কৌশি� মজুমদা� যে ফিকশ�- নন-ফিকশনে� ককটে� বানিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়, উনিশ শতকে� শেষে� কলকাতায় ঘুরে বেড়ানোর অনুভূত� হবে। সবচেয়� ভালো লেগেছে গল্পের সব ক্লু গুলো যখ� জোড়� লাগা শুরু করল।সিরিজে� একদম প্রথ� পাতা থেকে লাস্� প্যারা পর্যন্� সে� এক� সাস্পেন্�-সমানতালে এগিয়েছে পুরোটা সময়� সাথে থ্রিলা�-ইতিহাস- সিক্রে� সোসাইট� - এক পাচমিশালী স্বা� পেয়েছ� পুরো বই জুড়ে। একদম পাঁচ� পাঁচ দেয়ার মতো।
এপার বাংল� আর ওপার বাংলার মধ্য� পার্থক্য শুধু ওই কাটাতারে� বেড়�- সত্যজি�, শরদিন্দু, সুনী� পড়ে আমরা বড� হয়েছি� মাঝে কিছুদি� হয়ত সাহিত্যে একটু শুন্যত� ভর করেছিল পশ্চিমবঙ্গ� � কিন্তু এখ� কৌশি� মজুমদা� সহ আর� নতুন লেখকদে� লেখা পড়ে মুগ্� হত� বাধ্য। আবার আগের মত� লক্ষ্য রাখত� হব� কাটাতারে� ওপার� নতুন কি কি লেখা আস� বইমেলায়� বাংলাদেশের একজন ক্ষুদ্� পাঠকের পক্ষ থেকে লেখকের জন্য শুভকামনা� শে� কর� বইটি� একটা প্রিয় লাইন দিয়�, “শয়তানে� সবচেয়� বড� শয়তান�, সে মানুষক� বিশ্বা� করিয়েছে শয়তান অলী�, অবাস্তব।"
বইয়ের নামঃ অগ্নিনিরয় লেখক� কৌশি� মজুমদা� প্রকাশনী� বুকফার্ম রেটিংঃ �/�
রহস্যে� যে জা� সূর্যতামসীতে বোনা হয়েছি�, তা পুরোপুরি উল্ট� গেছি� দ্বিতীয় পর্ব নীবারসপ্তকে। যেখানে আড়া� থেকে রমণপাষ্টির চা� চালছ� কেউ। শুরু হচ্ছ� ভূতে� নৃত্য। অগ্নিনিরয় শুরু হচ্ছ� সে� ভূতে� খোঁজ দিয়েই� তব� এবার রহস্যর মায়াজাল কেটে গিয়� বোঝা যাচ্ছে ভূতে� কর্মকান্ড। সে� সঙ্গ� পাওয়া গেছে গোটা সিরি� ধর� ঘট� চল� ঘটনা� সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা �
পুরো সিরিজে� যে ব্যাপারট� সবচেয়� সুন্দর লেগেছে তা হল�, সিরিজে� শুরু থেকে থাকা প্রতিট� বাস্তব � কল্পিত চরিত্রের স্পষ্ট অবয়� তৈরি� সাইগারসন, তুর্বস� রায়,তারিণীচর�, শৈলচরণ, বিশ্বজিৎ,রামানু�, দেবাশী� গু�, অমিতাভ মুখার্জি - সবার ভূমিকা বদ� হয়েছে অগ্নিনিরয়ে। কে কা� দল�, কো� স্বার্থে কা� করছে - তা বুঝে ওঠ� একসময় দুষ্কর হলেও পর� সহজে� জট খুলে দিয়েছেন লেখক� সে� সঙ্গ� ভিন্� ভিন্� টাইমলাইন� থাকা সবকট� চরিত্রের� পরিণতি দেখিয়েছেন, যাতে পাঠকের মন� আর কোনও প্রশ্ন না জাগে�
তব� সব থেকে সুন্দর হল বইয়ের শেষটা। যা পড়ে পাঠক ভূ� দেখা� মতোই চমকে উঠবে�
প্রাককথন: কিছুদি� আগেই কোনো বন্ধুর পরামর্শে যখ� 'সূর্যতামসী' উপন্যা� পড়া শুরু কর�, তখ� হাতে উপন্যা� পড়া� মত� ফাঁক� সময় খু� একটা ছি� না� কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু একটা ভেবে যখ� খুলে বসলা�, জানিনা কি হল! কিসে� মো� আকর্ষণ� নিবিষ্� মন� বইয়ের একের পর পাতা ওল্টাত� লাগলাম, কিছুতে� বিরত রাখত� পারছিলাম না নিজেকে� বই বন্ধ রাখলেও মন� সে কি ভীষণ চাঞ্চল্য , সে� প্রশ্নগুলো� মন� ঘুরে ফিরে আস�, অন্য কোনো কা� হয� না� অগত্যা, দিনে দিনে� উপন্যা� পড়ে ফেলত� বাধ্� হলুম, পড়াশোনাসহ অন্য সব কা� শিকেয় তুলে� কিন্তু সব প্রশ্নের উত্ত� তো পাওয়া হল না! অস্থিরতা বেড়েছ� বৈ কম� নি! দেবাশি� গু�'� খু� থেকে শুরু কর� তুর্বসুর পারিবারি� রহস্�, ম্যাসনারির ইতিহাস, উদ্দেশ্য কি, প্রিয়না�, তারিণী, সাইগারসনের মিলি� প্রচেষ্ট� ঠি� কো� দিশা দেখাবে উনবিংশ শতাব্দী� কোলকাতার বুকে ঘট� যাওয়া একের পর এক রহস্যময় খু� আর অপরাধে�...প্রশ্নগুলো মাথায় জমাট বেঁধ� নাজেহা� কর� ফেলছিল� বেশিদি� অপেক্ষ� করতে হল না অবশ্�, জেলা বইমেলা জোগা� নিয়� এল ওষুধের, কিংব� যন্ত্রণা উপশমের জাদুমল�! সংগ্রহ কর� নিলা�, ম্যাসন সিরিজে� তিনখান� গ্রন্থই।
পাঠপ্রতিক্রিয়� না লিখে থাকত� পারলাম না� কারণ? ক্রম� প্রকাশ্য!
পাঠপ্রতিক্রিয়�:
'সূর্যতামসী'তে যে রহস্যে� বী� বোনা হয়েছি� কোলকাতার বুকে, তা আসলে শে� ছি� না, শেষে� শুরু� ছি� না...হয়ত� ছি� শুরু� শুরু� সামান্� একটা আভাস দিচ্ছি� আগামী� আশঙ্কা� হয়ত�...অন্ত� উপন্যাসে� শেষে এস� তা� মন� হচ্ছিল�
কিন্তু 'নীবারসপ্তক'-� এস� পাঠক পুরোপুরি ব্যোমক� যেতে বাধ্� হলেন� কেনন� প্লট যে এখ� ১৮� ডিগ্রি ঘুরে গেছে! 'সূর্যতামসী'-� সবচাইত� বড� অবদা� সম্ভবত এই সিরিজে� বহ� গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সাথে আমাদের পরিচয় করানো। পাশাপাশি গল্পটাকে একটা নির্দিষ্� এব� প্রবহমান গত� বেঁধ� দেওয়া�
আমার কাছে কিন্তু ব্যাপারট� একদম এরকম মন� হয়নি। নন ফিকশ� অনেক বেশি পড়া� কারণেই হো� বা অন্য যেকোনো কারণেই, আমার কাছে গল্পের গ্রহণযোগ্যতা এতটুকু� ক্ষুণ্� হয়ন�, আগাগোড়া এর প্রাঞ্জলতা অনুভ� করেছি। চন্দননগর, চুঁচুড়া� ইতিহাস সম্পর্কে প্রায় কিছু� না জানায় আম� আর� অনেক কিছু সম্পর্� জানত� যেমন আগ্রহান্বি� হয়েছি, তেমন� বুঝত� পেরেছি অনেক অনেক ননফিকশ� পা� আর লেখালেখি� চর্চ� করার ফল� কারো ফিকশ� লেখা� হা� কতটা ক্ষুরধার হত� পারে� কৌশি� মজুমদা� মহাশয় যে ননফিকশ� লিখত� পারদর্শী, এট� আগ� থেকে না জানলেও 'সূর্যতামসী' পড়ে তা বুঝত� বিন্দুমাত্� বে� পেতে হয়নি।
যদিও 'নীবারসপ্তক'কে সে� অভিযোগ থেকে অনেকটা� মুক্� রাখত� পেরেছে� লেখক� এই গ্রন্থ পাঠকমহলে� কাছে ব্যাপক সমাদৃত হওয়ার কারণ� ছি� অনেক�
অপেক্ষাকৃত অনেক জটিল প্লট, অনেক চরিত্রের আগমন, ঘটনা� বাহুল্�, একের পর এক চম� দিয়� অনেক অজান� প্রশ্নের উত্ত� যেমন গল্পের একটা দি�, তেমন� রহস্যে� বিস্তৃতি, একের পর এক নতুন প্রশ্নের উত্থান� মুদ্রা� অন্যপিঠ। এক কথায�, 'নীবারসপ্তক' যখ� শে� হয�, তখ� রেখে যায় অনেক প্রশ্ন� কাহিনি� একেবার� শে� প্রান্তে এস� পাঠকের আকুলতা বহুলাংশে বাড়িয়ে তবেই লেখক ক্ষান্� হন�
নিজেকে অত্যন্� ভাগ্যবান মন� হচ্ছ�, এক বছরব্যাপী ওই তীর্থে� কাকে� তালিকায় না� লেখাতে হয়ন� বলে। কেনন�, � ভারি জুলু� হয়ে যে� নিজে� মন-মস্তিষ্কের ওপর। যা� হো�, 'সূর্যতামসী' আর 'নীবারসপ্তক'-এর পর অনেক অনেক প্রশ্ন জম� হয়েছি� আমাদের মনে।
যেমন- রমনপাষ্ট�'� যে খেলা শুরু হল উনবিংশ শতকে� কোলকাতায� তা� শে� কোথায়? এখনকার দু� খুনে� সাথে� বা তাদে� কি সম্পর্�?
শৈ� খুনে� রহস্যে� কতটা কিনারা করতে পারব� তারিণী, প্রিয়না� আর সাইগারসন ('সূর্যতামসী'� পর যা� আস� পরিচয় অনুমান করতে কারোরই বাকি থাকা� কথ� নয�)?
ম্যাসনিক ব্রাদারহুড আর জাবুলনদে� কার্যকলাপে� সাথে ইংরে� সাম্রাজ্যে� সম্পর্� কোথায়, কে�?
আর সবচেয়� বড� প্রশ্ন....ভূ� (B.H.U.T.) -এর পরিচয় কী? কী তা� ক্ষমতা, কীইব� তা� ভবিষ্য�?
এই সমস্� প্রশ্নের উত্ত� দিতে হাজি� 'অগ্নিনিরয়'� সে� এক� ধারাবাহিকত� বজায� রেখে, লেখক আবার� পরিচয় করালেন কিছু নতুন চরিত্রের সাথেও। গল্প যত এগিয়েছে, রহস্� তত দাঁন� বেঁধেছে।
প্লট� যত নয়া মোড় সংযোজন করেছেন লেখক, তাতে গল্প আর� অনেক ডালপাল� মেলেছে ঠি�, তব� কখনো� তা পাঠককে অধৈর্য কর� তোলে না� আর এখানেই লেখক জিতে যান। প্রতিট� চরিত্র, প্রত্যেকটা ঘটনা� ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� বিবর� পাঠক মন দিয়� পড়ে যেতে বাধ্য। চাইলেও দ্রু� পড়ে এড়িয়� যাওয়া� সুযো� নেই। আর এক পডকাস্টে তো কৌশিকবাব� বলেই দিয়েছিলেন, অগ্নিনিরয় পড়া� সময় পাশে আগের দু'টো খণ্ড পাশে নিয়� বসলে ভালো হয়।
গল্পের স্পয়লার দিয়� বিন্দুমাত্� জল ঢালত� চা� না কারো আগ্রহে� শুধু এটুক� বলবো, এই কাহিনিতে রবার্ট লু� স্টিভেনসনে� চরিত্রের আগমন আর তাঁর জীবনের এক বড়সড় রহস্যে� দিকে আলোকপা�, এই উপন্যাসক� আর� জীবন্ত কর� তুলেছে�
আর� একটি ব্যাপারে লেখককে কৃতিত্� দিতে� হয়। প্রত্যেকটি অধ্যায� বা পরিচ্ছেদের শেষে তিনি যে ট্যুইস্ট বা মোচড়গুল� এনেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে�
কোনো কোনো অংশে এস� তো মন� হচ্ছিল....আর�! � হল কি! এমনটাও সম্ভ�!!! রীতিমত� কয়েকবার সে� এক� লাইন পড়ে কয়ে� সেকেন্� ধর� ভাবত� হল, আর�, যা পড়লাম তা কি সত্য�!
একটা কথ� একাধিকবা� উঠ� এসেছ� এই ম্যাসন সিরিজে� মিথ্যে� থেকে� যা ভয়ঙ্ক�, তা অর্ধসত্য� পুরো সিরিজট� পড়ে� মন� হয�, এর পর্যালোচনা করার জন্যেও এর চেয়� যুতস� উদ্ধৃত� বোধহয় হত� পারত� না� ইতিহাস, কল্পকাহিনি আর অর্ধসত্যের মেলবন্ধন� লেখক যে কাহিনি উপস্থাপন করেছেন চোখে� সামন�, তাতে কোনট� ফিকশ�, কোনট� নন ফিকশ�, ঠাহর করতে আমাদের কালঘাম ছোটে� বিস্ময়ে হতবিহ্বল হওয়� ছাড়� আর কোনো উপায� থাকে না�
কৌশিকবাবুর লেখনী� মূল্যায়� করার সামান্যত� ধৃষ্টত� নেই। পুরো সিরিজট� কখনো� একরৈখি� হত� দেনন� তিনি� একাধিক সময়রেখায়, মাল্টিপল ন্যারেটিভে পুরো গল্প অগ্রসর হয়েছে� কি উদ্দেশ্য� তিনি এমনট� করেছেন, তা� ব্যাখ্যা� দিয়েছেন উপন্যা� শে� হওয়ার পর� আমার বিশ্বা�, সে উদ্দেশ্য� তিনি ষোলোআন� সফল। আর পাঠকমহলে� প্রতিক্রিয়া� সেদিকে� ইঙ্গিত করছে�
খারা� দি� বা দুর্বল দি� বলতে আমার সেরক� কিছু� মন� হয়নি। তব� এরকম ক্লাইম্যাক্স হয়ত� কেউই প্রত্যাশ� করেনি। আর আম� অন্ত� দারোগা প্রিয়নাথে� বংশধরে� এম� পরিণতি প্রত্যাশ� করিনি। আর তারিণী� হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যাওয়াটা� রহস্যই হয়ে রই� না কি?
পুরো বইয়ের প্রচ্ছ� থেকে শুরু কর� পৃষ্ঠা, প্রিন্টিংয়ে� গুণমান ভীষণ প্রশংসনীয়, নজরকাড়া� গল্পের সাথে সাথে যুক্� ইলাস্ট্রেশ�, একটা লণ্ডনে� ম্যা�, রঙিন জাদুকরের চিত্�, সমকালী� বিজ্ঞাপনের ছব�, লিখনশৈলী� প্রয়ো� অভিন� মন� হয়েছে�
সর্বোপরি, প্রকাশ� বুকফার্ম আর লেখককে আন্তরি� ধন্যবা� এত সুন্দর একটা গোয়েন্দ� উপন্যা� আমাদেরকে উপহা� দেওয়া� জন্য� বিগত কয়ে� বছরে আমার পড়া যেকোনো জঁরা'� বইয়ের মধ্য� হয়ত� এই সিরিজট� বিশে� স্থা� অধিকার কর� থাকবে।
[পুনশ্চ: এই বইয়ের পা� প্রতিক্রিয়া না লিখে পারলাম না, তা� আর� একটি বিশে� কারণ� আছে। লেখক হাটখোল� দত্ত পরিবারের প্রসঙ্� বারবার এনেছেন এই সিরিজে আর পরিবারের বে� কিছু সদস্যক� এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে� ব্যবহা� করেছেন� সৌভাগ্� বা দুর্ভাগ্যবশত এই অধমও বংশসূত্র� কোথা� না কোথা� সে� পরিবারের সাথে দূ� -সম্পর্কিত। অর্থাৎ পুরুষোত্তম দত্ত আর নারায়� দত্তের বংশধ� হিসেবে আমরা� নিজেদে� পরিচয় দি�, অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষের� এক� উৎসে� বা জ্ঞাতিসম্পর্কীয়� বল� যায়� সেদিকে� বে� কিছু পরিচিত আত্মীয়কে জিজ্ঞে� করেও এখনো পর্যন্� � নিয়� কোনো সুষ্ঠু উত্ত� পাইনি। যদিও ডাক্তা� গোপালচন্দ্� দত্তের অস্তিত্ব বাস্তব� ছি� বলেই তাঁর� জানিয়েছেন� কিন্তু লেখকের কাছে� প্রশ্ন, দত্ত বাড়ির সে� সদস্যদেরকে নিয়� আপনা� লেখা অংশগুল� কতটা সত্য? নাকি প্রায় পুরোটা� আপ� মন��� মাধুরী মিশিয়� রচনা?]
পা� প্রতিক্রিয়া লিখত� বস� মন� হচ্ছ� যা বল� তা-� স্পয়লার হয়ে যাবে� "নীবারসপ্তক" � একদম শেষে যেভাবে লেখক গল্প শে� করেছিলেন তাতে বইটাকে এতদি� পর পড়া� ইচ্ছ� ছিলোনা� তখনই শে� করতে না পারল� হয়ত� আগ্র� হারিয়� যাবে বা সে� আবেগ কা� করবেনা এম� ভয� ছিলো� তব� সেটা শুধু ভয�-ই। লেখক� ঠি� জানতেন যে তিনি কমপ্লেক্� একটা প্লট সাজিয়েছেন� তা� ইশার� ইঙ্গিত� আগের প্লটগুলো� সাথে কিছুটা আন্দাজ করার মত� কথ� জুড়� দিয়� পাঠকদে� একটু স্বস্ত� দিয়েছেন�
গল্প সে� আগের টাই। সে� চিরযৌবনা ভূত। আর ভূতে� সাথে জড়িয়� পড়া মানুষজন। সে� ভূ� আগেও যেমন জেগেছিলো, বর্তমানে� তেমোনি জেগেছে� যা� ফলাফ� অতীতে� ছিলো ভয়ানক আর বর্তমানে� তাই। কা� একটা�, সে� ভূতক� সমূল� বিনা� করা। কিন্তু কাজট� ঠি� ততোট� সহ� না� আর এখানেই ঢুকে পড়ে অতীতক� জানা� প্রয়োজনীয়তা� অতীতক� না জানল� বর্তমানে ভূতে� অবস্থা� জানা অনেকটা� অনিশ্চিত� আর সে� অতী�, বর্তমানক� খু� সুন্দরভাবে একযোগে উপস্থাপন করেছেন কৌশি� মজুমদার। সমান্তরালে গল্পকে চালিয়� জানিয়� দিয়েছেন অতীতে� ইতিহাস আর তা� সাথে সম্পর্� স্থাপন করেছেন বর্তমানের। দেখিয়েছেন অতীতে� মেলবন্ধন� থাকা বর্তমা� চরিত্রদেরকেও�
লেখকের পরিসমাপ্তি দেখত� অপেক্ষ� করতে হয়েছে একদম শে� অবদি� এট� খুবই ভালো একটা দিক। বইটা শুরু করার পর একটা না� নোটে টুকে রেখেছিলাম। দেখা� ইচ্ছ� ছিলো মিলে কিনা� শে� পর্যায়ে যাওয়াতে মন� হল� ভু� ছিলা� হয়তো। পরের পরিচ্ছদে অবশ্� জয়ী হয়েছি� সেটা বড� কথ� না� বড� কথ� হচ্ছ� এই না� ততোটাও অন্দাজযোগ্� না� আর এখানেই একটু খটকা আছ� কাহিনী ডেভেলপমেন্� নিয়ে।
কিছু খারা� লাগা� ব্যাপর� আছ� বই-কে ঘিরে� লেখক "পরিসমাপ্তি�" পর নিজেকে নিয়� আর বইটা লেখা� কারণ নিয়� কিছু কথ� বলেছেন� বলায� বাহুল্� লেখক ডিটেকটিভ উপন্যাসে� খু� বড� মাপে� পাঠক� কিন্তু প্রচলি� ধারা থেকে বে� হয়ে আসতে চেয়েছিলেন� থেকেছেনও তাই। তিনি অন্যান্য ঔপন্যাসিকদের মত� উচ্চ, কিংব� মধ্যবিত্তদের বদলে তা� গল্প� তুলে এনেছেন নিম্নবিত্তদের। গল্প� উচ্চ বা মধ্যবিত্� থাকলেও লেখকের মত� নিম্নবিত্তদে� তুলনায� গল্প� তাদে� অবস্থা� তেমন উপরে না� আর এখানেই গল্প সমন্ধে আরেকটা খটকা চল� আসে। যেটাকে খারা� লাগা� ভেতরেই রাখা যায়� কারণ নিম্নবিত্তদে� বেশি কাজে লাগাতে লেখক অনেক মুল্যবান জিনিসক� যেখানে সেখানে থাকত� দিয়েছেন� এত বহ� মুল্� জিনিসটাক� তিনি �. অনেক মুল্যবান হিসাবে দেখিয়েছেন� �. তিনি সেটাকে ছেলেখেলা বস্তুর মতো� যেখানে সেখানে ফেলে রেখেছেন। যে জিনিসটার জন্য এত এত প্রা� গেলো সেটাকে এম� উদ্ভ� উদ্ভ� জায়গায় এব� ব্যাক্তিবর্গের কাছে রাখা� কোনো কারণ আমার মাথায় খেলেনা� তারপ� আস� চরিত্রের খটকা লাগা ডেভেলপমেন্� যেটা উপরে� অনুচ্ছেদ� বলেছি। গল্প� তা� অবস্থানে� সময়কা� নেহা� কম না� তারপরও তা� মটিভ তা� সাথে এরকম করার মটিভ সমন্ধে সেরক� সর� বক্তব্� লেখক দেননি। কা� সে এমনিতও করতো� � জায়গাটাতে একটা কিন্তু থেকে� যায়�
কিছু জটিলতা, কিছু টাইমলাইনজনিত কারন� পড়ত� সমস্যা ছাড়� খুবই ভালো এই ম্যাসন সিরিজ।
পুরো সিরিজটায� ইতিহাসের নানা ঘটনা � ব্যক্ত� এব� ফিকশনা� চরিত্র নিয়� আস� হয়েছে� প্রচুর বই পড়া� সুবাদে এর মধ্য� কিছুমিছু বিষয� জানা ছি� � চরিত্র চেনা ছিল। লেখককে সাধুবা� জানা�, তিনি এম� দারুনভাব� এস� ঘটনা � চরিত্র ব্যবহা� করেছেন� জাস্� অসামমমমম!
রমণপাষ্টির খেলা শে� হয়ে গেল। "নীবারসপ্তক�" যে জনরা� ককটেইল বানানো শুরু করেছিলেন কৌশি� মজুমদা�, সেটা "অগ্নিনিরয়�" অব্যাহ� রয়েছে� শার্লক হোমসের কিছু গল্প তো বটেই, ভিক্টোরিয়ান লন্ডনে� আর� কিছু কিংবদন্ত� ঠাঁই পেয়েছ� এই উপন্যাসে� জাম্� কাটে� জন্য� ঘটনাবিন্যা� বে� জটিল, একাধিক চরিত্রের কথ� মাথায় না রাখল� একটু বিভ্রান্� হয়ে যাওয়াটা� অসম্ভব নয়। চলুন, টাইমলাইন ধর� এগোত� থাকি�
সিরিজে� সব থেকে বড� রহস্� ছি� (হিলি�) ভূত। ভূ� কী? কোথা থেকে� বা সেটা এল? সেটা মাথায় দেয় না গায়� মাখে? সব বুঝে যাবে� প্রথ� ১৫-২০ পাতা� মধ্য� (আপনা� যদ� ভিক্টোরিয়ান সাহিত্� সম্বন্ধে একটু প্রচ্ছন্� ধারণ� থাকে তো অনেকটা রহস্যে� সমাধান ওখানেই হয়ে যাবে)� ভূতে� এই "রিভি�" আমার বে� ভা� লেগেছে� যখ� বুঝলাম ঘটনা কোনদিক� এগুচ্ছ�, নিজে� অজান্তেই মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল�
এরপর গল্পের সুতোগুলোকে কেন্দ্রে� দিকে টানত� শুরু করেন কৌশিকবাবু। লখনক� বা� দিয়� হঠাৎ এক নতুন অ্যান্টাগনিস্টের আবির্ভাব হয�, এব� লখ� প্রায় একটা পার্শ্বচরিত্রে পরিবর্তি� হয়ে যায়� উপন্যাসে� এই অংশটুক� আমার বে� দুর্বল লেগেছে� নীবারসপ্তকের একটা বড়সড় অং� লখনে� সাথে কাটিয়েছ� আমরা� আমরা জানি ওর মোটিভে� ব্যাপারে, আমরা জানি ওর কষ্টের কথা। আমার তর� থেকে অল্প সহানুভূতিও ছি� ওর পক্ষে। সেইরকম লোকক� বা� দিয়� নতুন সাহে� ভিলেইনটা ঠি� জম� না�
আগের দুটো উপন্যাসে অতীতে� রহস্� আমাক� বেশি টেনেছি�, কিন্তু অগ্নিনিরয়� তুর্বসুর গল্প বেশি ভা� লেগেছে� গল্পের শেষাংশ (উত্তরখণ্�) পুরোটা� তুর্বসুক� নিয়�, এব� এই একটা খণ্ডের মধ্য� আমার বেশিরভাগ ভালো লাগা জম� রয়েছে�
রহস্যে� অনেকগুলো লেয়ার ধীরে ধীরে তুলে ফেলা হয়েছে, আর প্রতিবার� বে� চমকে গেছি� জীবন� তো কম ডিটেকটিভ গল্প পড়লাম না, কিন্তু এইরক� অদ্ভুত ডিটেকটিভ উপন্যা� শে� কব� পড়েছি মন� পড়ল না� ডিটেকটিভ জনরাতে অন্য জনরা মেশালে অসাধার� সব গল্প বল� সম্ভব। একটা ভা� উদাহরণ হল হ্যারি ড্রেসডেন সিরি� (ডিটেকটিভ + ফ্যান্টাসি)� আরেকটা উৎকৃষ্� উদাহরণ হল সুমি� বর্ধনে� "অর্থতৃষ্ণা" (ডিটেকটিভ + স্টিমপাঙ্ক)� ম্যাসন সিরিজে ডিটেকটিভের সাথে অল্প কল্পবিজ্ঞা� মিশেছে, তা� টুকর� টুকর� প্যাস্টিশে� মেশা� দিয়ে। তিনট� বই পরপর পড়েছিলা� বল� অভিজ্ঞতাটা নেশা ধরান� ছিল। ভিক্টোরিয়ান লন্ড� থেকে কলকাতা� অতী�-বর্তমা� থেকে চন্দননগর থেকে আর� কোথায় কোথায়...
অনেক কাব্� তো কপচালা�, এইবা� উপসংহারে আসি। আমার উপন্যাসট� ভা� লেগেছে� বে� কিছু অং� রাশড মন� হয়েছে, হয়ত� আরেকটু সময় নিয়� পরিবর্ধি� কর� লিখল� ভা� হত� বে� কিছু রেটকনি�-� চোখে পড়ল, যেগুলোকে আরেকটু ঘষামাজ� কর� যেত।
কিন্তু এই পরিসমাপ্তি যথেষ্ট সন্তোষজনক। ধন্যবা�, কৌশিকবাবু। উইকিপিডিয়� থেকে টোকা থ্রিলা� পড়ে পড়ে মারা যাচ্ছিলা�, আপনি বাঁচিয়ে দিলেন।
পু: অনেক পাঠক বলছে নতুন পার্� বে� কর� উচিৎ� আমার মত� একদম� উচিৎ না� বর�, কৌশিকবাবুর কলমে ইতিহাসের অন্য কোনও অং�, অন্য ধরনে� রহস্�, অন্য কোনও জনরা যদ� বেরিয়� আস�, তো আম� বেশি খুশি হব�
আজ থেকে তি� বছ� আগ� শুরু হওয়� একটি পথচল� আজ ফুরোল। শে� হয়ে গে� 'সূর্যতামসী' দিয়� শুরু হওয়� সিরিজটি। কেমন লাগল? ভালো-মন্দের অনুভূত� নিয়� পড়ে লিখব� প্রথমে� একটা কথ� লিখি� এপার বাংলায� আজ অবধি বিস্তর রহস্� উপন্যা� লেখা হয়েছে� ঐতিহাসিক তথ� ইতিহাসাশ্রয়ী উপন্যাসও লেখা হয়েছে অজস্র। এই উপন্যা� তথ� ট্রিলজ� সম্ভবত তাদে� মধ্য� সবচেয়� উচ্চাকাঙ্ক্ষী� ব্রিটি� সাম্রাজ্যে� বহ� সত্য�-মিথ্যে ইতিহাস আর আজকে� এই কলকাতা � চন্দননগরের ঘটমা� বর্তমা� মিশিয়� লেখা হয়েছে এটিকে। এর মধ্য� এম� বহ� জিনি� আছ� যা এযাব� বাংল� লেখায় দেখা যায়নি� তাদে� ফিরিস্তি দিলে পুরো সিরিজে� স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে বল� ব্যাপারট� থেকে বিরত হলাম� তব� এই তিনট� বই পড়ত� গিয়� বারবার গর্বিত হত� হয়েছে লেখকের ভাবনার বিস্তা� দেখেই। তারই সঙ্গ� দেখেছি, কীভাবে পাঠকের প্রতিক্রিয়া� ভিত্তিতে লেখক ইনফো-ডাম্পিঙে� পরিবর্তে লেখা� অভিমুখ ক্রমেই পরিবর্তি� করেছেন� এই উদ্বর্তন যে কত কঠিন, তা লেখক � পাঠক উভয়েই মানবেন� কিন্তু... লেখক যা করতে চেয়েছিলেন, তা কি শে� অবধি সম্ভবপ� হয়েছে? অসরলরৈখি� কাঠামো, অনির্ভরযোগ্য চরিত্র, অবিশ্বাস্য জটিলতা� '�' দিয়� শুরু হওয়� এম� বহ� বিশেষণ� প্রয়ো� কর� চল� এর বর্ণনা দিতে গিয়ে। তব� শে� অবধি এটির কেন্দ্রে আছ� একটি কন্সপিরেসি থিওরি। কনস্পিরেসি থিওরির ভিত্তিতে কাহিনি নির্মা� করার প্রধান সমস্যা হল, একবা� সে� থিওরিট� বাতি� হল� বাকি কাল্পনিক আখ্যানটি� অসার হয়ে পড়ে� তা�, স্টিফে� নাইটের তত্ত্ব মেনে দাঁড� করান� এই আখ্যানের ষোলো আনাই বৃথা হয়ে গেছে বইয়ের শেষে� এছাড়া এই কাহিনিতে এমনি� এত অনাবশ্যক জটিলতা ছি� যে এত� জো� কর� অমিতাভ ঘোষে� 'দ্� ক্যালকাট� ক্রোমোজো�'-কে মেশানো� বিন্দুমাত্� প্রয়োজন ছি� না� লেখক উপসংহারে তাঁর চিন্তনের সঙ্গ� পাঠকদে� পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছেন� সেটা পড়ল� বোঝা যায়, অনেক বিষয� নিয়� অনেক পড়াশোনা� নির্যা� তিনি এই একটি কাজে� মধ্য� ফুটিয়� তুলত� চেয়েছিলেন� এটাই, আমার মত�, কা� হয়েছে� কাহিনি নিদারু� ক্ষতিগ্রস্� হয়েছে ওই সর্বব্যাপী পড়াশোনা� ঠেলায়� শে� অবধি আমার বইয়ের আলমারিতে� এই সিরিজে� তিনট� বই কলকাতা-বিষয়ক রেফারেন্� বইয়ের অংশে� ঢুকবে। আগের দুটো খণ্ড পড়ে থাকল� এটিও আপনাকে পড়তেই হবে। লেখা গতিময় হওয়ায� বইটা শেষও হব� একবারেই। কিন্তু তারপ�? পড়ে� দেখুন।
প্রথ� পার্� মোটামুটি ছিলো দ্বিতীয় পার্� আর� ভালো হত� পারত�, অনেক কথ� লিখেছে যেগুলো আমার কাছে অর্থহী� লেগেছে� আর লাস্� পার্� এস� মোটামুটি ভালো লেগেছে� সবকিছু শেষে ক্লিয়ার করেছ� যা� জন্য বাকি দুটি পার্টে� ওয়ে� কম� গেছে�
গত পাঁচদি� ধর� রীতিমত� ডুবে ছিলা� 'ম্যাসন সিরিজে'� 'অগ্নিনিরয়' হাতে পাওয়া� পর আবার� প্রথ� থেকে পড়ত� শুরু করেছিলাম এই সিরিজট�... গতকা� ভো� রাতে 'অগ্নিনিরয়' শে� করার পর থেকে� মোহাবিষ্টে� মত� অবস্থা � কি 'পা�-প্রতিক্রিয়া' লিখব� এই বইয়ের ???
📙 'অগ্নিনিরয়' যেহেতু 'ম্যাসন' সিরিজে� শে� কিস্তি... তা� আম� যে আলোচনা করবো তা শুধুমাত্� 'অগ্নিনিরয়' নিয়� নয�, বর� সম্পূর্ণ সিরিজট� নিয়� �
📙 আচ্ছ�, এই উপন্যাসটির জঁনর� কি ?? বইয়ের মলাট� তো গোটা গোটা অক্ষরে লেখা আছ� 'ডিটেকটিভ উপন্যা�'� কিন্তু 'বিশ্বে� শ্রেষ্� ডিটেকটিভ', 'অপরা� জগতে� নেপোলিয়�' সবাই আছেন এই কাহিনীতে... তব� কি এটাক� 'ফ্যা� ফিকশ�' বল� যায় ?? আবার এই যে কাহিনীতে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছ� 'অতীতে আলোড়ন জাগানো বিভিন্� অপরাধী', 'গোপন ষড়যন্ত্�', 'দুর্দ্ধর্ষ গুপ্তসংঘ', 'সিম্বোলজ�', 'জাদুবিদ্যা'... তাহল� কি এই উপন্যা� 'কন্সপিরেশি থ্রিলা�' ??
▫️এই উপন্যাসট� নির্দিষ্� কোনো জঁনরার অন্তর্ভুক্� কিনা তা আম� জানি না... কিন্তু এটুক� বলতে পারি যে এট� শুধু� একটি 'ডিটেকটিভ উপন্যা�' নয�, তা� চেয়� অনেক বেশি কিছু �
📙 'সূর্যতামসী'তে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যম� যে রহস্যে� সূত্রপাত ঘটেছিল, 'নীবারসপ্তক'-� গিয়� আমরা দেখেছিলা� তা� প্রায় পুরোটা� ধাপ্পা � রহস্� উন্মোচ� হওয়ার পরিবর্তে আর� বেশি ঘনীভূ� হয়ে ওঠ�, আভাস পাওয়া যায় এক গোপন ষড়যন্ত্রে� � প্রথ� � দ্বিতীয় খন্ড� যেসব প্রশ্নগুলি ঘোরত� হয়ে উঠেছিল, সে� সব প্রশ্নের যথার্থ সমাধান আছ� এই তৃতীয় খন্ড� � তব� 'অগ্নিনিরয়' বাকি দুটি পর্বের থেকে সম্পূর্ণ আলাদ�... পড়ত� পড়ত� বারবার হারিয়� গিয়েছ� উনিশ শতকে� ঔপনিবেশি� কলকাতা, চুঁচুড়া আর ভিক্টোরিয়ান লন্ডনে� অন্ধকারাচ্ছন্ন গলিত� �
📖 এই সিরিজটির অন্যতম বিশেষত্ব হল 'ফিকশ� এব� নন-ফিকশনে� নিখুঁত মিশ্রন'� আর� বিশদভাবে বললে - এই কাহিনীতে 'বাস্তব' এব� 'কাল্পনিক চরিত্র'রা যেভাবে সহাবস্থা� করেছ�, তা গোটা বিষয়টিক� এক অন্য পর্যায়ে নিয়� গেছে � আগের দুটি বইয়� এই বিষয়ট� থাকলেও এই উপন্যাসে সেটি অনেক বেশি � বিশ্বা� এব� অবিশ্বাসের দোলাচল� পড়ে বারবার 'গুগল�' করতে হয়েছে কোনো বিশে� ব্যক্ত� বা ঘটনাবলী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা� জন্য � আর কোনো বই পড়ত� গিয়� কখনো এইরক� পরিস্থিতির সম্মুখী� হয়েছি বল� অন্ত� আমার মন� হয� না � কাহিনীতে ব্যবহৃ� 'নন-ফিকশ�' এলিমেন্টগুলি� জন্য� এই সিরিজট� পাঠকদে� মন� দীর্ঘস্থায়ী জায়গা কর� নেবে �
📖 এই সিরিজে� আর একটি বিশেষত্ব হল কাহিনীতে 'ইতিহাস'-এর ব্যবহা� � অনেক ক্ষেত্রে হয� কি - রহস্� কাহিনীতে ইতিহাসের ব্যবহা� গল্পের 'গত�' রুদ্� কর� দেয় � কিন্তু এক্ষেত্র� এত সুনিপুণভাব� ইতিহাসের ব্যবহা� কর� হয়েছে যা 'বিরক্তিক�' তো নয়ই, বর� কাহিনীকে অনেক বেশি 'সমৃদ্ধ' করেছ� � লেখক প্রচুর বই পড়ে, রিসার্� কর� তারপ� এই সিরিজট� লিখেছে�... এব� আমার মন� হয� পাঠকদেরক� শুধুমাত্� অনেক কিছু জানানো� নয�, বর� সে� বিষয়গুলির প্রত� আগ্রহী কর� তোলা� এই সিরিজে� অন্যতম লক্ষ্য �
📖 এতগুলি 'সময়কা�' ব্যবহা� করেও লেখক এই সিরিজে� ধ���রাবাহিকত� সঠিকভাবে বজায� রেখেছে� � বে� কিছু ক্ষেত্রে 'অগ্নিনিরয়' পড়ত� পড়ত� এম� কিছু বিস্ময়ক� তথ্যের মুখোমুখি হয়েছি, যা আগের বইয়� পড়া� সময় বিশে� আগ্র� জাগাতে পারেনি � সাধারণ� কোনো 'ডিটেকটিভ' কাহিনী একবারে� বেশি পড়া� ইচ্ছ� বা আগ্র� জাগে না, কিন্তু এইসব বিষয়গুলির জন্য এই সিরিজট� একবা� পড়া� পরেও আবার পড়ত� আগ্র� জাগে �
📘 'অগ্নিনিরয়'এর কাহিনী অনেক বেশি জটিল এব� গতিশী� � অতী� রহস্যে� 'ক্লাইম্যাক্স' অংশট� এব� বর্তমা� সময়কালে� ঘটনাবলী আর� একটু সময় নিয়� লিখল� বোধহয় আর� ভালো হত� �
📘 বইটি� প্রোডাকশ� কোয়ালিট� সর্বাঙ্গ-সুন্দর � এইরক� একটি 'অসাধার�' বই পাঠকদে� উপহা� দেওয়া� জন্য লেখক, প্রকাশ� 'বু� ফার্�'-সহ বইটি� সাথে যুক্� সকলক� আন্তরি� ধন্যবা� জানা� �
ম্যাসন সিরিজে� প্রথ� দু'টো বই পড়ে বলেছিলাম, একটা ভা� ওয়ানড� ম্যাচে� পিঞ্� হিটি� আর স্লো মিডল ওভার গে�, এবার স্লগ ওভার� রা� ঠিকম� উঠলে� হয়। উঠেছে। আগের দু'টো বই মাথায় না থাকল� তৃতীয় বইটা একদম এলোমেল� লাগব�, কিন্তু আমাক� পর� স্বস্ত� দিয়� আগের ধাঁধাগুলোর বে� ভা� সমাধান পাওয়া গেছে� অভিযোগ একটা�, অতীতে� অংশটুক� অনেক বেশি জমজমাট ছি�; সাইগারসন, প্রিয়না�, তারিণী, বা গণপতির তুলনায� কিন্তু বর্তমানে� তুর্বস� একেবারেই ম্লা� ছিল। একদম� জমেন�, তুর্বসুক� ঠি� পছন্দস� কো� চরিত্র হিসেবে বসাত� পারলাম না� তারপরে� বলবো, ইতিহাসের সত্য� অংশটুকুর সাথে কল্পনা মিশিয়�, কখনো অলটারনেটিভ হিস্ট্রি, কখনো অমীমাংসিত রহস্যক� আশ্রয় কর� এম� ট্রিলজ� বাংল� ভাষায় আম� পড়িনি� নিশ্চিতভাবেই এই ট্রিলজিট� একটা মাইলফল�, এব� এক� সাথে এই ধারা� অন্য লেখকদে� জন্য বেঞ্চমার্ক হয়ে থাকবে। লেখক নিজে এই বেঞ্চমার্ক ধর� রাখত� পারবেন তো? প্রত্যাশ� অনেক বেড়� গে�, শুভকামনা� থাকলো। আর হ্যা�, এই বইটা� রেটি� � হলেও পুরো সিরিজটার রেটি� সাড়� চার। একবা� সময় কর� উঠতে পারলেই তিনট� এক বসায� শে� করার ইচ্ছ� রাখি�
বুঝি না বইয়ের মধ্যখানে আজাইরা কাহিনী� প্যাঁচপ্যাঁচান� কি আদ� দরকা� ছিল।সিরিজে� বাকি দুটো বইয়েও এক� ভাবে লক্ষ্য করেছি। এমনট� কি বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়ানোর জন্য করেছ� নাকি অন্য কিছু তা আমার ধারণাতীত।
The story itself is compelling, and witty. The author needs no introductions because he is good at what he does.
The reason I gave two stars is because of the disturbing amount of mention of hijras in a negative light, sodomy, and pedophilia. I don't think any of them were necessities in terms of the plot and in a society where marginalised identities are already seen in a negative light, if celebrated authors such as Mr. Kaushik Majumder follows the same path, it is indeed shameful.
ম্যাসন সিরিজে� পা� প্রতিক্রিয়া � বই কা� জন্য � যিনি ইতিহাস ভালোবাসে�, যিনি থ্রিলা� ভালোবাসে�, যিনি ইতিহাসাশ্রিত ফিকশ� ভালোবাসে� তাদে� জন্য� এম� এক বই যেখানে দুষ্কর হয়ে যায় বাস্তব � ফিকশনে� সূক্ষ্� পার্থক্য করা। ইতিহাস� অনেকের আগ্র� থাকেনা, কিন্তু সে ইতিহাস যদ� রোমাঞ্চক� হয�, তাহল�, এখানেই জাদু দেখিয়েছেন লেখক� কলমে� টানে পাতায় পাতায় এঁকেছে� রোমাঞ্চভরা ইতিহাস� বাস্তবের প্রিয়না� দারোগা থেকে বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্� বস�, ভূদে� মুখোপাধ্যায় সকলকেই আসতে হয়েছে লেখকের আহ্বানে। লেখকের কল্পনাশ্রি� চরিত্ররা� কে� কম যায়না, তাদে� বাস্তবায়ন� বিন্দুমাত্� ত্রুটি রাখেনন� লেখক� লেখকের শৈল্পি� সত্তায� তারা� যে� জীবন্ত ইতিহাসের অং� হয়ে গেছে� গ্রন্থের বিষয়বস্তু � প্রথমখন্� একটি খুনক� কেন্দ্� কর� আবর্তি� হলেও পর� জানা যায় এই খু� নেহাতই একটা মোড়ক। দ্বিতীয় খণ্ড এই খুনে� রহস্� জানত� গিয়� যে প্রকৃত রহস্যে� সম্মুখী� হত� হয়েছে গোয়েন্দাক� তা� বিবরণ। আর তৃতীয় খণ্ড� কেবল� চমক। প্রতিট� প্রশ্নের জবাব এব� তা� সাথে জড়িয়� থাকা চমক। প্রথ� খন্ড ছিলো চরিত্র নির্মা� � চরিত্রের পরিচয় করান�, দ্বিতীয় খণ্ড� প্রতিট� চরিত্র আমাদের সাথে মিশে যায়, পাঠককূ� সন্দিগ্ধ হয়ে পড়ে ঘটনা� গতিপ� দেখে এব� সর্বশেষে তৃতীয় খণ্ড� রহস্যে� উন্মোচ� হয়। সারসংক্ষেপ � এখান� ঘটনা দুটি সময়কালে সমান্তরালে দেখানো হয়েছে, প্রথ� ঘটনা� সময়কা� ১৮৯০ এর দশ�, এই ঘটনা� স্থা� কিছুটা ইংল্যান্� কিছুটা তদানী� কালে� হিন্দুস্থান� দ্বিতীয়ঘটনা ২০১৮, এব� এখান� স্থা� হিসাবে আছ� চন্দননগর � কলকাতা� ইংল্যান্ডে� এক বৈজ্ঞানিকে� এক অদ্ভূত আবিষ্কার যা� সংক্ষিপ্� না� B.H.U.T এব� এই আর� বানানো� ফর্মুল� এই হল� উপন্যাসে� প্রাণভোমরা� ঘটনাচক্র� এই অদ্ভূত আবিষ্কার বারংবা� তা� মালি� বদেলেছ�, এব� তাতে� এসেছ� নানা� জটিলতা, ছড়িয়েছ� হিংস্রতা, বেড়েছ� লো� লালস�, চক্রান্ত� আরেক উল্লেখ্য বিষয� হল� ফ্রিম্যাসন এব� জাবলুন দে� দৌরাত্ম। এই বই নতুন কর� প্রা� দিয়েছ� ফ্রিম্যাসনদে� ইতিহাসে। দুটি ঘটনায় যেহেতু বিষয়বস্তু এক তা� বারবার আমাদের পিছনের ঘটনা� দিকে তাকাতে হয়। কি নে� এই ট্রিওলজিতে, ইতিহাস, ভূগো�, পুরানো কলকাতা, কিংবদন্তী বাঙালি চরিত্র, রক্ত, খু�, গুপ্তসংঘ, নানা� সাংকেতিক চিহ্�, রহস্�, ধোঁয়াশা, সব কিছু� অসামান্য মেলবন্ধন এই গ্রন্থ� সবথেকে ভালোলাগা� বিষয� হচ্ছ�, এত বাস্তব � ফিকশনে� নিঁখুত মিশ্রণ� পড়ত� পড়ত� যে কতবা� গুগু� করেছ� তা� ইয়ত্ত� নে�, এখানেই বোধহয় লেখকের নিপুণতা। লেখক নিছক ইতিহাস বল� ক্ষান্� নন, তিনি পাঠককে চিন্তা করার রস� দিয়েছেন, ফিরিয়� নিয়� গেছে� পুরানো কলকাতায় পুরানো চন্দনগরে� কিছু কিছু স্থানে� বর্ণনা এত� নিঁখুত যে� চোখে� সামন� চন্দনগ�, কলকাতা� উত্থান দেখত� পাচ্ছি� কোর্টরুম� ড্রামা যেটা বল� ঠি� এরকম একটা দৃশ্� উপভো� করেছ�, যখ� অপর্ণা তা� প্রকৃত পরিচয় জানত� পারছ� সে� অংশে� ওই অংশটার লেখাটা এত� টানটান ছিলো আম� বিভো� হয়ে গিয়েছিলাম� বইটি� ভালো দি� � 1. এই বইয়ের ওপরে অধিকাং� মানু� যে কারণ� আঙুল তুলেছে সে� কারণটা� বুমেরা� হয়ে ফিরে এসেছ� আমার ভালো লাগা� কারণ হিসেবে, সেটা হল� ইতিহাসের কচকচানি। সত্য� বলছি এই উপন্যা� ভালো লাগা� প্রধান কারণ� হল� ইতিহাসের মিশ্রণ� আম� ভালোবাসি পুরানো কলকাতাকে� কৌশিকবাবুর লেখায় আম� পুরানো কলকাতা� ছব� দেখত� পেয়েছ�, আম� উপলব্ধ� করতে পেরেছি তৎকালী� সমাজ ব্যাবস্থা। অনেক� বলেছেন ইতিহাস ভালো লাগে তো ইতিহাস পড়ু� না, সাহিত্� কে� ঘাঁটছে�, কিন্তু আমার শুধু ইতিহাস� আগ্র� আস� কম, আমার ভালো লাগে গল্পের ছল� ইতিহাসকে জানতে। বুকফার্মের একটা বই পড়েছিলা� হায়রোগ্লিফিকে� দেশে অনির্বানদা�, এক� কারণ� সেটা ভালো লেগেছিলো� এটাও তাই। ইতিহাস আছ� বল� আমার প্রিয় বই এই ম্যাসন সিরিজ। 2. অগ্নিনিরয় গ্রন্থের শেষে লেখকের জবান� বল� একটা পরিশিষ্ট জুড়� দেওয়া হয়েছে, যেটা� ভীষণ� দরকা� ছিলো� কারণ বইটা পড়া� সময় অনেক কিছু প্রশ্ন মাথা� মধ্য� ঘুরছিল� আর ভাবছিলাম কা� কৌশিকদার সাথে দেখা হত�, তাহল� এই এই প্রশ্ন গুলো করতা�, কিন্তু উন� চা� না আমাদের সাথে সাক্ষা� হো�, তা� সক� প্রশ্নের উত্ত� এই লেখকের জবানিত� দিয়� দেখা করার ক্ষী� আশাটুকুক� নির্মম ভাবে হত্য� করেছেন� 3. গল্পের ন্যারেটি� ছিলো উত্ত� পুরুষে, যা� ফল� আম� কোথা� একটা নিজেকে তুর্বসুর জায়গায় বসিয়ে� নিয়েছিলাম, মন� হচ্ছিল� আমরা একাত্ম� হয়ে গেছি, কখনো কখনো কিছুটা পড়া� পর আম� ভাবছিলাম চো� বন্ধ কর� এর পর� তুর্বসুর জায়গায় আম� থাকল� কি করতা�, তুর্বসুর ঠি� যা যা অনুভ� হচ্ছিল� আমার� তা� থেকে উৎকণ্ঠ� কম ছিলো না� গল্পের বাচনশৈলী দারু� ছিলো� 4. গল্পের গত� দারু� ছিলো� পড়ত� পড়ত� কখনো মন� হয়ন� যে বইটা নামিয়� রাখি, প্রতিবার� মন� হয়েছে এর পর� কি হল�, এর পর� কি হল�, দ্বিতীয় খণ্ডের তুলনায� তৃতীয় খণ্ড� গল্পবলার গত� বেড়েছ�, যদিও বাড়ার� কথা। সাসপেন্স জমাট বাঁধছিলো যেহেতু� 5. কিছু কিছু বিবর� এত নিঁখুত ছিলো, যা� ফল� কল্পনা করার মত� অবসর পাচ্ছিলাম। যে� � বই আম� পড়ছিন�, � ঘটনা আমার সামন� ঘটছে� 6. ভাষা� ব্যাবহার, প্রথ� খণ্ডের ভাষা আমার এখ� ততটা মন� নে� কিন্তু দ্বিতীয় খণ্ডের তুলনায� তৃতীয়খণ্ড� ভাষা অনেক পরিণত। অসাধার� লেগেছে তিনট� আলদা আলাদ� মানুষে� মনের ভা� প্রকাশ করতে তি� ধরনে� শব্দ চয়ন� যখ� তারিনী� ডায়ের� পড়ছ�, তখ� চলিত বাংল�, যেখানে বাংল� বানানে� মা-বা� নে�, একদম ছা-পোষা মানুষে� কথ্য ভাষা� আবার যখ� প্রিয়নাথে� ডায়ের� পড়ছ� সেখানে সভ্য সমাজের লেখ্� ভাষা, সম্পূর্ণ সাধু ভাষা, আবার তুর্বসুর জবানিত� যখ� গল্প এগিয়েছে তখ� অদ্যকালে� ইয়ং জেনারেশনের ভাষা, এই তি� ধরনে� ভাষা� মধ্য� যে তফাত সেটা চোখে পড়া� মতন। 7. বইয়ের না� গুলো নিয়� না বললে� নয�, ভীষণ� ইউনি� লেগেছে, একটি কর� শব্দ দিয়� না� গুলো ভাবা হয়েছে, তিনট� নামই খুবই পচ্ছন্� হয়েছে, নতুন লেগেছে বেশ। সূর্যতামসী, নীবারসপ্তক, অগ্নিনিরয় নামগুলোর মধ্যেই যে� কত রহস্� লুকিয়� আছে। প্রতিট� না� পাঁচ অক্ষরে� এই সামঞ্জস্যও আমার পচ্ছন্� হয়েছে� অনতিদীর্� শীর্ষক যাকে বলে। 8. বইয়ের প্রচ্ছন্� খুবই সুন্দর� যিনি বইয়ের প্রু� রিডি� করেছেন তাকে কুর্নি�, নাহল� আজকা� দেখি বাংল� বানানে� এত প্রকার ভে� কর� ফেলে� লেখককূ�, নিজে� জ্ঞানে� সন্দেহ নিপতিত হয়। তা� এই কাজট� যিনি করেছেন তা� জন্য আলাদ� কর� ধন্যবা� জানা� তাকে� কি কি খারা� লেগেছে 1. লেখা নিয়� আমার কোনও অভিযোগ নেই। তব� আম� চা� আর� একবা� পড়ত�, এব� তখ� চেষ্টা কর�, যদ� কিছু নেগেটি� দি� ধরতে পারি� আপাত� প্রথমপাঠ� সত্যিই আম� কোনও ত্রুটি দেখিনি� মন্ত্রমুগ্ধে� মতোই পড়ে গেছি তা� কোনও খারা� লাগা� নে�, তব� মজার ছল� প্রকাশকে� উদ্দেশ্য� দুটি কথ� বলতে চা� সেগুলি - 2. দীর্� অপেক্ষ� � একটা ঘটনা আপনাকে অর্ধেক বলার পর যদ� বল� হয� বাকি অর্ধেক শোনা� জন্য আপনাকে বছরভ� অপেক্ষ� করতে হব� তাহল� কা� ভালো লাগে বলুন� তা� � এক অভিযোগ যে এতদি� আপনি আমাদের অপেক্ষায� রাখলেন� 3. তিনট� খণ্ড কর� আমাদের পকেটের ভা� কমান� কি উচিত হল� আপনার।
নেহাতই বালখিল্য একটি পাঠপ্রতিক্রিয়া। খু� একটা যে রিভি� করলা� তা নয়। কিন্তু নিজে� ভালো লাগা গুলো শেয়ার করলা� আপনাদে� সাথে� সকলক� অনুরোধ কর� পড়ে দেখা� জন্য� সুখপাঠ্য বই একটি� পড়ে দেখত� পারে� ভালো লাগবে।
বর্তমা� সময়কালে� চরিত্রগুলো� থেকে অতীতে� সময়কালে� চরিত্রগুলো বেশি ভালো লেগেছে� পছন্� করার মত অনেক চরিত্র থাকলেও, বিশে� কর� লখ�, শৈ� আর গণপতিক� বেশি ভালো লেগেছে� তব� অতী� সময়ের ক্ল্যাইম্যাক্সটা আর� গ্র্যান্� কিছু আশ� করেছিলাম�
তব� এত বড� কাহিনীতে সবকিছু� যে ঠি� ঠা� মত একটি পরিসমাপ্তি পেয়েছ� এইটা� বড� বিষয়। অলটারনেটিভ হিস্ট্রি� বিষয়গুল� এই সিরিজক� আর� ধা� উপরে নিয়েছে।
একটা fast paced থ্রিলা� পড়ব� বল� সূর্যতামসী বইটা হাতে তুলে নিয়েছিলাম, কিন্তু এত তথ্যের প্রাচুর্� দেখে কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। পড়া� গতিও অনেক কম� গিয়েছিল� বইটা অসম্পূর্� দেখে আর� মন খারা� হয়ে গিয়েছিল�
কিন্তু নিবারসপ্তক সূর্যতামসী� দ্বিগু� গতিত� পড়ে শে� করি। আর তখনই ঠি� কর� ফেলি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভ� অগ্নিনিরয় আমাক� পড়তেই হবে।
আবার অগ্নিনিরয় পড়েছি নিবারসপ্তকের পাঁচ গু� গতিতে। পড়া� পর মন� হয়েছে সূর্� তামসী কিংব� নিবারসপ্তক� লেখক আমাদের যে তথ্যগুলো দিয়েছেন তা� কোনটাই খেলন� নয�, প্রত্যেকটি বিষয়ই কো� না কো� ভাবে এক� সুতোয় গাথা�
প্রিয়না� দারোগা� সময়কালী� কলকাতা � ২০২০ সালে� কলকাতা কোথা� গিয়� এক� বিন্দুতে মিশে গেছে� সে� সাথে রয়েছে একাধিক পরিচিত চরিত্র, যেমন- প্রিয়না� দারোগা, জাদুকর গণপত� চক্রবর্তী, ডাক্তা� গোপা� চন্দ্র প্রমূখ� এছাড়া বর্তমা� সময়ের তুর্বস� তো রয়েছেই।সে� সাথে রয়েছে বইয়ের অলংকরণ, যা অনেক যত্ন নিয়� কর� হয়েছে, সেটা পাঠক মাত্রে� অনুভ� করতে পারবেন�
এক কথায� এম� একটা জম্পেস তথ্যসমৃদ্ধ থ্রিলা� হাতছাড়া করার মত নয়।
সত্য� বলতে কি ভালো লেগেছে� কাহিনী আর টুইস্ট বরাবরই বে� ভালোভাবে� পুরো সিরি� জুড়� পেয়েছি। তব� কিছু জিনিসঃ �. তিনট� বই মিলে একটা মোটা বই করলে� যুক্তিসঙ্গ� হত� কারণ কাহিনী তো একটা�! �. তারিনী আর তুর্বসুর একের পর এক আসাট� ঠি� খাপে খা� মেলেনি� দূরবীনে যেমন এক বাদে এক পর্ব� দুটো কাহিনি সমান্তরালে চল� সেরক� করতে গিয়� তারিনী আর প্রিয়না� কখনও অল্প কখনো বেশি এস� গিয়েছে।
লেখক যেভাবে কলকাতা আত্মস্� কর� তবেই লেখায় বসেছেন, সেইটেই সবচে প্রিয় আমার কাছে� বাংলাদেশ� ইদানী� যাচ্ছেতা� বইয়ের ভিড়� নতুন লেখকের এম� লেখা পড়ে নিরাশা দূ� করছি� মজুমদা� মশাইয়ের জন্য শুভকামনা�
ম্যাসন সিরি� এর তৃতীয় পার্� ,অগ্নিনিরয়� তৃতীয় খণ্ডটি� জন্য বে� কিছুদি� অপেক্ষ� করতে হয়েছিলো� হাতে পেয়� পড়তেও বে� কিছুদি� লেগে গেলো, কারণ আগের পার্টগুল� মাঝে মাঝে� পড়ে নিতে হচ্ছিল� সূর্যতামসি, নীবারসপ্তক এব� শে� পার্� অগ্নিনিরয় প্রতিট� বইয়ের ভিতরের চিত্রকর্�, প্রাচী� বিজ্ঞাপনগুলো বইটিকে আর� সুন্দর করেছে। প্রত্যেকটি বইয়ের মলাট, প্রচ্ছ�, অলঙ্কর�, বুকমার্ক এব� প্রিন্টি� অসাধারন।
পটভূমি - ১৮৯২ সালে� ডিসেম্বর মাসে কলকাতা� চিনে পাড়ায� (টেরিটি বাজা� সংলগ্ন অঞ্চ�) এক বিভৎ� মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। পে� থেকে লম্বালম্বি ভাবে চিড়� দেওয়া সে� মৃতদেহের যেখানে অন্ডকো� থাকা� কথ� সেটি কে� সুনিপুণভাব� কেটে দিয়েছে। ২০১৮ সা���ে চন্দননগর নিবাসী স্টে� আর্কাই� এর কর্মী দেবাশী� গু� এক� রক� ভাবে হত্য� কর� হয়। অগ্নিনিরয় পড়াকালী� এই ঘটনা গুলোকে মন� হব� কোনো বৃহৎ ষড়যন্ত্রে�, ছোট্� অং� মাত্র। এই বৃহৎ ষড়যন্ত্� যা ব্রিটি� সরকা� এর ভী� নাড়িয়ে দাওয়া� পক্ষ� যথেষ্ট ছিল। এই সিরিজে� তিনট� পার্� এই উল্লেখিত ম্যসনি� লজ, জাবুলন সম্প্রদায়, দারোগা প্রিয়না�, সাইগারসন, তারিণী, জাদুকর গণপত� এর� যেমন ১৮ শতকে� ঘটনা� সঙ্গ� যুক্� তেমন� দেবাশী� গু�, অপর্ণা, তুবুর্সু রায়, অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, এর� জড়ি� ২০১৮ সালে� ঘটনা� সাথে, দুটি আলাদ� সময়কালে� ঘটনা প্রবাহ চলেছ� একসাথে, পড়া� ক্ষেত্রে একটু মনোনিবেশ বিচ্ছিন্� হলেই আবার একটু আগের ঘটনা পড়ত� হবে। পড়ত� পড়ত� অবাক হত� হয� অনেক ট্রিভিয়� জানত� পেরে, আর� অবাক লাগে এডগা� এলান পো, রবার্ট লু� স্টিভেনসনে� মৃত্যু� পিছন� দায়ী সে� বৃহৎ ষড়যন্ত্র। ১৮৯৬ সালে দারোগা প্রিয়না�, সাইগারসন, তারিণী, জাদুকর গণপত� এই ষড়যন্ত্� ফাঁস কর� ফেলে কলকাতায় এব� "প্রিয়নাথে� শে� হাড় তৈমুরে� কাব্যগাথ� গণপতির ভূতে� বাক্� তারিণী� ছেঁড়া খাতা" এই চারট� জিনি� চারজনে� কাছে রেখে দেয়� হয়। গণপতির ভূতে� বাক্� আসলে কী? এই ভু� আসলে কি? ২০১৮ সালে আবার এই চারট� জিনি� একসাথে করার জন্য উঠ� পড়ে লাগে এক নতুন দল যাদে� লক্ষ্য আর� ভয়ানক� তাদে� ষড়যন্ত্� আর� বড়ো, উদ্দেশ্য আর� হিংস্র এইবা� তুবুর্সু রায়, অমিতাভ মুখোপাধ্যায় কী পারব� তাদে� ষড়যন্ত্� ফাঁস করতে? ভু� কী আবার জেগে উঠলো? কে জাগল� ভূতক�? কি উদ্দেশ্য? এই পুরো সিরিজে জুড়� কি নে�, পুরন� কলকাতা� ইতিহাস, ব্রিটি� শাসি� কোলকাতার পুঙ্খানুপুঙ্� বিবর�, রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন কালে� বিবর�, জ্যা� দি রিপা� এর মত সিরিয়াল কিলা� এর ইতিহাস, এডগা� এলান পো� রহস্যময় মৃত্যু থেকে শুরু কর� রবার্ট লু� স্টিভেনসনে� ডক্ট� জেকি� অ্যান্� মিস্টা� হাইড লেখা� পটভূমি � বর্ণিত হয়েছে এই তিনট� বইয়ে।
পা� প্রতিক্রিয়া - কৌশি� মজুমদারে� ম্যাসন ট্রিলজ� মাল্টিপল টাইমলাইনের বর্ণনা, তা� অত্যন্� মনোযোগ সহকারে পড়ত� হয়েছে� লেখক সূর্যতমস� এব� নীবারসপ্তক � আসলে যে রহস্যে� জা� বুনেছিলে� সেটা ছি� ডিকয� মাত্�, সে� রহস্যে� জা� গুটিয়� এনেছেন অগ্নিনিরয় উপন্যাসে� লেখকের গবেষণা এব� পড়াশুনা কে অবশ্যই কুর্ণি� জানাতে হয�, এম� ইতিহাস মিশ্রি� ফিকশ� এব� নন ফিকশনে� এক মেলবন্ধন মাল্টি টাইমলাইন ব্যাপি উপন্যাসে ঘটানোর জন্য� আম� এটুক� বলতে পারি বাংল� থ্রিলা� সাহিত্যে এই কা� একদম ভিন্� এব� ঠি� এইকারণেই এই সিরি� অবশ্যই পড়া উচিৎ�
একজন এককালে� ডিটেকটিভ উপন্যাসে� পোকা যা� মাথায় ঢুকে গেছি� যে বাংল� ভাষায় একটু ভদ্রস্� গোয়েন্দাকাহিনী লেখা আর হবেন�, তা� বদ্ধমূ� ধারণাক� কৌশি� মজুমদারে� ম্যাসন সিরি� ভেঙে দিয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলায� ট্রান্সজঁর সাহিত্� যে হত� পারে, সেটা� এই সিরি� দেখিয়� দিয়েছ� - গোয়েন্দ�, সাইকোলজিকা� থ্রিলা�, কল্পবিজ্ঞা�, অল্টারনে� হিস্টোরি, ফ্যানফিকশন, কনস্পিরেসি, পাল্� এসবে� মিশ্রণেও অত� সুপাঠ্�, সিরিয়াস � রাজনৈতিক এই সিরি� মিলিয়� দিয়েছ� অতী� � বর্তমানে� বহ� সত্যিকারের এব� কল্পনাশ্রি� চরিত্রদের। বাক্সে� ভূতে� চরিত্রকে এই উপন্যাসে� প্রথমে� বল� দেওয়ায় কাহিনী� সূত্� এবার 'কী' থেকে 'কে� এব� কারা' সেইদিক� ঘুরে যায়, সেটা লেখকের তরফে অত্যন্� বিচক্ষ� সিদ্ধান্� আর এই ব্যাপারট� আমার খুবই ভা� লেগেছে� আগের দুটো উপন্যাসে অতীতে� চরিত্রগুলি এব� অতীতে� টাইমলাইনটি� মুখ্� হয়ে গিয়েছিল, এইটায় বর্তমানই মূ� সময়কা� এব� তুর্বস� যে এতদি� দা� কাটেনি সে অনেক পাঠকের� অন্যতম প্রিয় চরিত্র হয়ে উঠতে পারে এটার পর� লেখা সম্পর্কে আর কিছু বেশি বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে তা� এইটুকু বল� যে নতুন যে চরিত্ররা এই অন্তিম উপন্যাসে কাহিনী� প্রয়োজন�-অপ্রয়োজনে এসেছ� তাদে� আমার ভালই লেগেছে।সত্যি বলতে কাহিনী� শেষে গিয়� পুরো রহস্যে� জালটাই সুন্দরভাবে গুটিয়� আস� যেটা ঠিকঠাক সম্পন্� হব� কীনা সেইট� নিয়� আমার মন� একটু সন্দেহ ছি�, এখ� বুঝছ� লেখককে এত সন্দেহ কর� ভালই হয়েছে, তাতে উপন্যা� আমার নিজে� প্রত্যাশার তুলনায� অনেকগু� ভা� লেগেছে� উপন্যাসে� শেষে গিয়� তা� পাঠকের পর� প্রাপ্� ক্যাথারসিস সুদে আসলে মিটে যাবারই কথা।
এখ� যেহেতু জালট� গুটিয়েই এসেছ� তা� দুটো ভালমন্� কথ� এখান� রই�, (এখান� একটু স্পয়লার আছ�) �. সূর্যতামসী� ব্লা� ট্রান্সফিউশনের ব্যাপারট� নীবারসপ্তকের রিচুয়ালিস্টিক খু� হয়ে শেষমেশ ভূতে� কান্� হয়ে গে�, পুরো ব্যাপারট� একটা বিরা� আইওয়া�, এট� কি আরেকটু খোলস� কর� হত� পারতনা? এই জায়গাটায় একটু ইয়ে খচখচ করছে� �. অস্কার ওয়াইল্ডের সোডোমি সংক্রান্� পুরো মামলাট� ঘটেছিল ১৮৯৫ সা� নাগা�, অথ� সেটা� উল্লেখ ১৮৯১ এর ঘটনাপ্রবাহের সূত্রে� �. আশ� কর� আমিই একগাদা উপন্যা� পড়া আর সিনেমা/সিরি� দেখা� সূত্রে বাসু� পরিচয় প্রথ� পাতাতে� অনুমান কর� ফেলেছি, এট� কোনোভাবে� লেখকের বা লেখা� দো� নয�, কিংব� লেখক� বুঝি চেয়েছিলেন কিছু পাঠক সূত্রট� ধর� ফেলু� দিয়� দেখু� যে 'কে' নয� বর� কীভাবে সত্যটা সামন� আসে।
এখ� বল� উচিত, কৌশিকবাব� এক� নন, বর্তমানে বাংলায� আর� দু-একজন লেখকের গোয়েন্দ� উপন্যাসও আমার ইদানিং বে� লেগেছে� শারদীয়� অন্তরীপে কৌশিকবাবুর উপন্যাসটিও বে� জম্পেশ� এখ� চাইব কৌশিকবাব� আর� কিছু স্থা�-কা�-পাত্� ছাপিয়� ওঠ� জঁ� তোলপাড� কর� উপন্যা� লিখুন। ততদিনে বাক্সে� ভূ� আবার কোনোভাবে যে� জেগে উঠ� উৎপা� না চালায়�
পুনশ্চ: বইয়ের প্রচ্ছদট� ছবিত� দেখে পছন্� হয়ন�, তব� হাতে পেয়� বে� ভা� লেগেছে, আগের মত মুদ্রণের ভু� সেরক� চোখে পড়েনি, ছাপা, বাঁধাই, অলঙ্কর� দিব্� হয়েছে� বুকফার্মকে তা� আবার ধন্যবাদ। আর ম্যাসন সিরি� আমার পড়া সমস্� ভাষা� জঁ� সাহিত্যে� অন্যতম শ্রেষ্� � সুখক� পাঠাভিজ্ঞতা। কৌশি� মজুমদারকেও তা� আবার� ধন্যবাদ।
“শতবর্� পূর্বে ঘটিয়া যাওয়া ভয়াবহ পা�, যাহা প্রকাশ পাইল� স্বয়ং ব্রিটি� সাম্রাজ্যে� ভিত্তি টলিয়া যাইত� পারে� আপনা� মন� হতেই পারে, লেখক এরকম রহস্যে� জা� বুনে শেষে সামলাত� পারবেন তো? যা হো� কিছু একটা দাবী করলে� হল�? কি বা এম� থাকব� বইতে যেটা এরকম প্রত্যাশাক� পূরণ কর� দেবে? আমার� মন� হয়েছি�, যখ� প্রথ� বইটা টেনে পড়ত� বসেছিলাম� তারপ� তো মাঠে� সাইড লাইন� দাঁড়িয়� হাততাল� দিয়� যাওয়া শুধু� পড়ু� আর পড়ে অবাক হোন। প্রথ� দুটো� সাথে শে� পর্বটা তুলন� করতে গেলে বলতে হয�, প্রথ� দুটি হল� মহাভারতে� উদ্যোগ পর্ব, আর এই শেষখান� হল� যুদ্�, যুদ্� আর যুদ্ধ। লেখক কল� তুলে তী� চালিয়েছেন, তলোয়া� � চালিয়েছেন� অত্যুক্ত�? কে জানে! পড়ে দেখুন। মুগ্ধতার বশ� একআধটা আপনারও মু� থেকে বেরিয়� যেতে পারে� রহস্� উপন্যাসে� একেবার� যথার্থ পরিসমাপ্তি� হ্যা�, বইটা� উপরে ডিটেকটিভ উপন্যা� লেখা থাকতেই পারে, তব�, � বই তা� চেয়েও এক কাঠি সরেস� শেষে� � ঝটকাতে জাস্� �-মেরে গিয়েছিলাম� � যে� Now You See Me সিনেমাটা� মতো। “Look closely, because the closer you think you are, the less you will actually see.� আম� গণপত� চক্রবর্তী কে দে��িন�, কিন্তু আমার মত� লেখক� কম যা� না� তা� ওনার উপরে� প্রত্যাশ� অনেক বেড়� গেল। দেখা যা� পরবর্তীতে ওনার জাদু থল� থেকে কি বে� হয়ে আসে। খালি তিনট� জিনি� একটু মন� খটকা দিয়� গেছে� না�, হয়ত� কিছু জিনিষে কার্যকার� খুঁজতে নেই। তা� আমার শুধু এটুকুই বলার, যাঁর� পড়েনি, please পড়ুন। আপনি/আপনারা জানে� না, কি miss করছেন।
✒️ বিগত � বছ� যাবত যে ,মহ� মারি� কালো ছায়� গোটা ভূখণ্ড� ,ত্রাসে� সৃষ্টি করেছ�, তা� থেকে মুক্তি এখনো পাওয়া যায় নি।।
**আজকে বস� যখ� ম্যাসন সিরিজে� শে� বই,বা গোটা সিরিজে� পা� প্রতিক্রিয়া লিখত� বসেছ� , তখ� শুধু বই এর কাহিনী পড়ে কেমন লাগল� এট� লেখা� আগ� কিছু ব্যক্তিগ� ভা� প্রকাশ কর� জরুর� মন� হচ্ছ�**
"লেখকের জবান বন্দী�" সুরে� নিজে� মনের ভা� টা প্রকাশ কর�, ২০২০ সালে� মার্� মাসে� পর থেকে কোরোনা সবাই যখ� মানসিক ভাবে বিপর্যস্� চারিদিকে মৃত্যু� মিছি� দেখে, ঠি� তখনই লেখক Kaushik Majumdar তা� পূর্বপ্রকাশি� বই এর সূত্� ধরেই এক মহ� যজ্ঞ� ব্রতী হলেন।।
নিজে� ছোট্� ওয়ার্� স্পে� � বস� , তৈরি করতে থাকলেন , একের পর এক প্ল্যা� কিভাবে তিনি , কোনা� ডয়ে� এর সেরা সৃষ্ঠি শার্লক কে এই বঙ্গদেশে� এক রহস্যে ধরাতলে বাঁধবেন।
একজন অরিজিনাল ফ্যাক্� বে�, ফিকশ� চরিত্রের জীবনের কিছু অজ্ঞাতবা� দিনে� ওপ� ভর কর� লিখত� বসলে� তা� নিজে� একটি সম্পূর্ণ সতন্ত্� ডিটেকটিভ কাহিনী।। 🌟 অতঃপ� ,পূর্বে হোমস� নামা নিয়� কা� করার সূত্রে� ডয়েলে� দু� বিখ্যা� চরিত্রের টাইম লাইন নিয়� গেঁথ� ফেললেন এক সম্পূর্ন নতুন কাহিনী, যেখানে রয়েছে ব্রিটি� আমলে� কলকাতা , চন্দননগর , চুঁচুড়া � রয়েছে বিখ্যা� কিছু চরিত্র ।।
🌟🌟 এক "রহস্�" যা� তা� জুড়� আছ� সুদূ� লন্ডনে , কলংকের ইতিহাস রক্তের ধারা বেয়� কিভাবে যে এই পোড়� পরাধী� দেশে এস� পড়ল , সে� বর্ণনা পড়ত� থাকল� মনের মধ্যেই প্রশ্ন জাগে , এরকম� কি হত� পারে না ??? হ্যা� পারে , আর সেটা� বইয়ের পাতায় সত্য� কর� দেখিয়েছ� লেখক।। 🌟🌟🌟 মরিয়াটি� মত তুখোড় মস্তিষ্কের অপরাধী , কিভাবে রাজনৈতিক যাঁতাকলে পর� শেষে স্বেচ্ছায় নিজে� চি� প্রতিদ্বন্ধী গোয়েন্দার কাছে, মুত্যু� আগ� বাঁচার জন্য� মিনত� করেন এই কাহিনী পড়ল� কোথা� গিয়� মন� হয�, হ্যা� আদতে মানুষে� কাছে প্রা� টা� আসল। ক্ষমতা তো সামান্� নিমিত্� মাত্র। 🌟🌟🌟🌟 যেভাবে , এক বাবা� কাছে তা� সন্তান অতী� প্রিয়, ঠি� সেভাবে� এক রনির কাছে তা� আজন্� লালি� বংশে� সন্মান।। রা� পরিবার� এক কলংকিত অধ্যায� যা কিনা ব্রিটি� শাসনের ভী� নড়িয়� দিয়� পারে , তা থেকে পরিত্রাণ হেতু,রানী যে যেকোনো ধরনে� চর� পন্থ� বেছে নেবে� � আর বলতে।।
🌟🌟🌟🌟🌟 ওদিক� , হিলি� ভু� ভারত বর্ষ� এসেই নিজে� জা� চিনিয়�, ছিনিয়� নিচ্ছে একের পর এক প্রা� , � ভূ� বেলাগা� , কারো� পক্ষ� তাকে বস কর� সম্ভ� নয়।� সে� ভূতে� ভারত� আগমনের পরেই , মাইক্রফটের ভা�, ছদ্ম নামে � দেশে আসিয়াছে� ,হিলি� ভূ� � জাবুলা� দে� চক্রান্ত ভন্ডুল করতে� 🌟🌟🌟🌟🌟🌟 ওদিক� এক গোপন সংঘে� অন্দরে� মত বিরো� � টানাপোড়েন এর মধ্যেই , এক গভী� চক্রান্তের সৃষ্ঠি, পিতৃ স্নে� বড়ই নিষ্ঠু� ।। ঠি� যেভাবে বংশে� গরিমা।� ⚔️🌟🌟🌟🌟🌟🌟🌟⚔️ 📕সূর্� তামিশি থেকে নিবা� সপ্ত� জুড়� যে রম� পাষ্ঠি� খেলা চলছি� আদতে � যে এক বিশা� অপরাধে� প্রারম্ভ মাত্র।�
১৫ আগস্� ১৯৮৫ , লন্ডনে� বেডলামের 🔒🔒 সে� গোপন অধিবেশ� 😈B.H.U.T😈 এর আগমনের পর থেকে যা যা হয়েছে
🔥🔥অগ্নিনিরয় বই তারই আখ্যান 🔥🔥
তারিণী, প্রিয়না�, শৈ�, গণপত� , হোমস� এর বদান্যতায় হিলি� ভূ� , এর ধর � চূড়� আলাদ� কর� যে চর� আঘাত কে প্রতিহ� কর� হয়েছি� , সে� আঘাতের ক্ষত পুনরায� কোনো এক মন্ত্র বল� আবার জেগে উঠেছ�, শুধু কি তা�, হিলি� ভূ� � আবার জেগে উঠ� নিজে� কর্ম� পুনরায� লিপ্� ।।
কিন্তু কিভাবে জেগে উঠলো ? কে জাগালো ? কি উদেশ্য�? কোথায় ছি� সে� ভূ� এত দি� ? এত দি� বাদে ফিরে এস� , কো� রহস্যে� সৃষ্টি করতে চাইছ� ? নাকি সে� পুরোনো ইতিহাসের� পুনরাবৃত্ত� � তা� গতিধার� বজায� রেখে� নতুন কাহিনী লিখব� এই ভূত।
গল্পের নায়� তুবর্স�, এদিক� তা� মক্কেল তথ� বন্ধুর খুনে� তদন্� করতে গিয়� ক্ষমশই তা� প্রপিতামহে� জীবন� ঘট� যাওয়া ঘটনা� , একের পর এক তথ্য পেতে পেতে অতিষ্ঠ , কোনোটাতে� � রহস্যে� জা� খুলছ� না �
কে করলো এই খু�, তা� আবার সে� পুরোনো চিনা পদ্ধতি তে ।।
তা� দেবাশি� দা কে� খু� হওয়ার আগ� whatsapp � লিখে গেলে� তুর্বস� জানে ।। সে কি জানে !☠️
তা� এই পুলি� সহকর্মী কি জড়ি� ? সে� বা এই কে� কে এত টা পার্সোনা� ভাবে নিচ্ছে কে� !
অগ্ন� নিরয� আসলে , গোটা ঘটনা� শুরু থেকে যবনিকা পতনে� আখ্যান�
পূর্বে� খন্ড গুলোয় যেসব জায়গা� না� � তা� ইতিহাস নিয়� বল� হয়েছে , তা� যে একটা সুনির্দিষ্� কারণ ছি� , এট� এই বই পড়ল� পরিষ্কার হয়ে যাবে।।
**সূর্� তামসী � নিবা� সপ্ত� পাঠক দে� মন� যে রহস্যে� আঁধা� সৃষ্টি কর� এই বই , একের পর এক পরিচ্ছদে সে� আঁধা� দু� করেছে।�
একটি সামান্� কন�, যত� সাধারণ হো� , অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে সে� সামান্� কনাই,বড� জটিল� এই বই এর শেষে গিয়� এট� মন� হতেই পারে।।� (নিজস্ব উপলব্ধ�)
এক সময়ের কুখ্যা� কিলার🕴️ জ্যা� the রিপা� কে ,লেখক নিজে� লেখনী� জাদুবল� , এক অসাধার� মোড়কে পুড়� এই কাহিনী তে জুরেছেন। তা� প্রশংস� যত� কর� কম হবে।�
🧔🏾প্রফেস� মরিয়ার্টি� মত মানু� কে সেরফ� বোরে বানিয়� , ব্যবহা� করতে গেলে সাহস লাগে বইকি� ভাবত� অনেকেই পারব� হয়ত�, কিন্তু সাবলী� ভাবে সেটা কর� দেখানো সবার কম্য নয়।�
� কাহিনী মূলত নন ফিকশ� ফ্যাক্� থেকে ফিকশ� তৈরী, কিন্তু এতটা� লেখনী� জো� যে বোঝা প্রায় অসম্ভব , কোথা� অতিরঞ্জি� আমার ব্যক্তিগ� ভাবে লাগে নি।।
এই কাহিনী সত্য � অর্ধসত্য � মিথ্যা এই তিনে� অসাধার� মিশেল।�
বই এর কভার� "⚜️" চিহ্নে� ছব� , কাহিনীতে এর গুরত্ব এব� বর্ণনা এক কথায� অনবদ্য।।
বইতে ব্যবহৃ� প্রত্যেকটি ছব� � সাংকেতিক চিন্হহের গুরুত্� অপরিসী�, অনেক� আছ� যারা এই বই পড়ব� তারা , Freemasonry or Masonry ⚔️করমর্দ� সম্পর্কে অবগত না� থাকত� পারে, তাদে� কাছে ছব� গুলো ন্যায্যতার দাবি রাখে।।
মাল্টিপল ডাইমেনশন দিয়� লেখক বই এর রহস্যে� যবনিকা পতনে� দিকে এগিয়েছে� , এত� কর� প্রত্যেক মুহূর্তে থ্রি� এই বইয়ের ইউএসপি।।
✒️"বইয়ের পাতা পড়ে পাঠক ভূ� � আস� গল্প কথ�"
শে� মুহূর্তে যে নাটকীয় পরিবর্তন রয়েছে তা নিয়� কিছু বল� উচিত মন� কর� না , লেখকের তর� থেকে বইয়ের সাথে সে� বিষয� টি� পাঠকদে� উপহা� বল� যেতে পারে।।
** লেখক 👑 কৌশি� মজুমদা� কে ধন্যবা� 🙏 এরকম একটা কাহিনী বাংলার পাঠকদে� ক��ছ� তুলে ধরার জন্যে।� 💥💥💥💥💥💥 � কাহিনী আর পাঁচটা ডিটেকটিভ কাহিনী নয�, মরিয়ার্টি � শার্লক এর জীবন� এই অধ্যায� টা নতুন কর� লেখা হয়েছে।। এট� বিশ্� সাহিত্যে� সম্পদ।� আশ� করবো , এই বই এর ব্যাপ্তি আর� বাড়বে ।।
বই এর সাথে জড়ি� __ প্রত্যেক কে অভিনন্দন এরকম একটা বই এর সহযোগী হওয়ার জন্য� � Boi Porbo Bole Akash Ray তোমাদে� চ্যানে� � আকাশ কে ধন্যবা� দে�, কারণ তুমি রিভি� না দিলে পড়া হত� না।। BOOK FARM কে ধন্যবা� ,এত সুন্দর একটা বই তৈরী করার জন্য� ।।
প্রথমে� মা� চেয়� নিচ্ছি� কারণ অত� অল্প রজনী� ব্যাবধান� বাংল� সাহিত্� দরিয়া ঝঞ্ঝ� বাতাসে আকুল কর� তোলা সূর্যতামসী সিরিজে� এই শে� বইটি� নিখুঁত দোষগুণ বিচা� এখান� আগ� অনেকেই করেছেন� আম� এক সামান্� পাঠক হিসেবে এই বইটি পড়ে রহস্� - রোমাঞ্� ধাঁধায� ভীষনভাবে আলোড়ি� হয়ে পড়ায় অল্প কয়েকট� কথ� এখান� উপচে পড়ল � প্রথ� দুটি বইয়ের মতোই এটির� কাহিনী গঠ� চিতা� হলদে বিদ্যু� এর মতোই দ্রুতগামী আর নেকড়ে� তীক্ষ্� নখের মতোই ধারালো� পরাধী� ভারত� প্রিয়না�, তারিনী , বড়োলা� , সাইগারসন , শৈ� , ল্যানস� , আর হিলি সমন্বি� গল্পসূত্� একফোঁট� � বিঘ্নি� না কর� কোনো গুপ্� ম্যাসন সমিতির দুঁদ� মাস্টা� অথবা জাদুকর গণপতির অসাধার� ইন্দ্রজালে� মতোই স্বাধী� ভারতের তুর্বস� ঊর্ন� , বিশ্বজিৎ চালি� গল্প ধারায় একদম 'খাপে খা� বিশ্বকাপ' জুড়েছেন লেখক�
লেখকের অন্যতম কৃতিত্� এখানেই যে ঐতিহাসিক চরিত্র কে বাব্যহার কর� গল্পের সঙ্গ� পাঠকের একাত্মতা শুধু বাড়িয়ে দিয়েছেন তা� নয� (কারন কমবেশি ইতিহাস আর দুনিয়� কাপানো গোয়েন্দ� সাহিত্� গুলি আমরা সকলে� কখনও না কখনও চেখেছি) কল্পনা� রোদচশমার যথায� প্রয়োগে রীতিমত লাঠালাঠি লাগিয়� দিয়েছেন পাঠকের স্মৃতি � যুক্তি� মধ্যে।বে� কয়েকবার গুগল কে বিব্রত করেছ� আমি।
আর শেষটা। না বল� পারছ� না " what a mindmessing twist"� মাথায় কিন্তু � আর � � বলছি� অনেক টা ফ্রেডেরি� ফর্সিথ (Forsyth) গোছে� অভাবনীয় দুনিয়� দোলানো ধাক্কা দিয়� গল্পের ইত� টেনেছে� কৌশিক।
একদম শেষে লেখকের মনের কথ� বিভাগে একটি সামান্� (অনিচ্ছাকৃত) ভু� চোখে পড়লো। Gone girl Gillian Flynn এর লেখা, Paula Hawkins এর নয়।
কিছু বলার নেই। বুঝত� পারছ� না কোথায় শুরু কর� আর কোথায় শেষ। দেড় বছ� আগ� কৌশি� মজুমদারে� সূর্যতামসী পড়েছিলাম। এর বহুদিন পর কিনলাম এর পরবর্তী খন্ড নীবারসপ্তক � অগ্নিনিরয়� তারপ� টানা এক মা� ধর� চলেছ� মেসন সিরিজে� যাত্রা� ঠি� যে� মন� হচ্ছ� টাইম মেশিনে কর� roller coaster ride চড়ে চলেছি। লেখক প্রিয়না� মুখোপাধ্যায়ের মত আস� চরিত্রের সাথে শার্লক হোমসের মত কাল্পনিক চরিত্রের সাক্ষা� ঘটিয়েছে�, তাঁদের এক সাথে এক� সমস্যা� সমাধান করতে দিয়েছেন এমনভাব�, যে বোঝা দায় কে আস� আর কে কাল্পনিক� তা� সাথে ছি� ব্রিটি� আমলে� কলকাতা� ছব�, সে� সাথে বর্তমা� কলকাতা� অলিগলি, স্বল্প পরিচিত জায়গায় রোমহর্ষক বিবরণ। আর বেশি কিছু লিখব না� পাঠককে কিছু পরামর্� দেব। আম� দেড় বছ� আগ� সূর্যতামসী পড়ে সব ভুলে গেছি� আবার পড়ত� হয়েছে� তা� বলছি মেসন সিরিজে� তিনট� উপন্যা� একসাথে পড়বেন� আমরা যখ� গোয়েন্দ� উপন্যা� পড়ি তখ� নিজে� রহস্যে� সমাধান চিন্তা করি। এই ক্ষেত্রে তা করতে গেলে খু� গুলিয়� যাবে� তা� বলবো হা� ছেড়� না দিয়� জাস্� পড়ে যান। পর� সব মিলবে। রহস্যে� সমাধানের দিকে ছুটবেন না, বর� গল্প� কলকাতা� অলিগলি আর সমাজের যে চিত্� দেখা যায় সেটা উপভো� করুন� যারা ডিটেকটিভ আর থ্রিলা� পছন্� করেন তাঁদের জন্য সংগ্রহ� রাখা� মত একটি সিরিজ। অবশ্যই পড়ুন।