"Who controls the past controls the future. Who controls the present controls the past.” �- George Orwell
পুনর্পাঠ � নতুন উপলব্ধ�
রাষ্ট্রে� সব সময় শত�"Who controls the past controls the future. Who controls the present controls the past.” �- George Orwell
পুনর্পাঠ � নতুন উপলব্ধ�
রাষ্ট্রে� সব সময় শত্রুর প্রয়োজন হয়৷ কারণ রাষ্ট্রক্ষমতার ভি� টিকিয়� রাখত� রাষ্ট্রযন্ত্রে� আর� নির্দিষ্� কর� বললে, সরকারে� সর্বাত্ম� কর্তৃত্ব কায়েম রাখত� হল� জনতা� মগজক� নিজে� দখলে রাখত� হবে। রাষ্ট্রে� প্রতিপক্� না থাকল� সরকারে� প্রয়োজন হয� কল্পিত প্রতিপক্� তৈরি কর� নেওয়া� আর, এই প্রতিপক্ষে� জুজু� ভয� দেখিয়� জনগণের স্বাধীনতাক� সীমি� কর� তোলে সরকার। মগ� ধোলাইয়ে� জন্য অত্যন্� যত্নসহকারে বুনত� হয� নতুন ইতিহাসের রূপরেখা। বিভিন্� বন্দোবস্তে� আয়োজন কর� হয়। এস� বন্দোবস্তে� সু�-সুবিধা জনগণের কর্ণকুহর� প্রবেশ করানোর জন্য সুচারুভাবে অতীতক� পুনর্লিখ� কর্মসূচি হাতে নেয় রাষ্ট্র। সেখানে সত্য হয়ে যায় মিথ্যা এব� মিথ্যা রাতারাতি পরিণ� হয� ধ্রুবসত্যে� এই অতী� নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম� রাষ্ট্রযন্ত্� দখলে নেয় বর্তমানকে। নিজেদে� পক্ষ� যাবে এমনস� বয়া� বোনে এব� তা� সাড়ম্বর� প্রকাশ � প্রচারের মহতী দায়িত্ব পালন কর� থাকে পদলেহী গণমাধ্যমগুলো� তারা সার্বক্ষণি� প্রোপাগান্ডায় নিজেদে� ব্যস্ত রাখে� একসময় জনগণের স্মৃতি থেকে সত্য মুছে যায়� ভু� তথ্য � বানোয়াট সত্য সেখানে আশ্রয় নেয় মিনিস্ট্রি অফ ট্রুথে� কল্যাণ�!
তবুও কিছু মানু� রাষ্ট্রে� মহামহি� � সর্বোচ্চ ইজ্জতদার ব্যক্তির ওপ� ঈমান আনতে পারে না� তারা ভুলে যায়, 'বি� বস' নামে� রাষ্ট্রযন্ত্রে� মহামহি� কর্তৃপক্� � তা� পাইক-বরকন্দাজ সারা দেশে� সর্বত্� ছড়িয়� ছিটিয়� আছে। তাদে� লক্ষ্য একটা�: মহামহিমে� রাষ্ট্রীয় চেতন� রক্ষ� কর� এব� ভুলে� কোনো ব্যক্ত� মহামহিমে� চিন্তা� প্রত� প্রশ্নহী� আনুগত্� প্রদশর্ন� ব্যর্থ হল� তাকে চটজলদি ধর� ফেলা� 'থট ক্রাইম' তথ� চিন্তাপরাধকে হালকাভাব� নেওয়া� সুযো� নেই। তা� কল্পিতরাজ্যে� উইনস্ট� স্মি� চায় না চিন্তাপরাধী হতে।
স্বৈরাচা� এব� উদীয়মা� একনায়� সব সময় জনগণের চিন্তা করার ক্ষমতাকে ডরায়। তা� স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে উৎসাহি� কর� হয�, অম�-আকবর-আ্যন্টনিকে এক� ধরনে� মতবাদক� সমর্থন করে। ব্যতিক্রমী চিন্তা� টুঁট� সেখানে চেপে ধর� হয়। ভিন্নমতে� কোনো জায়গা স্বৈরাচারকবলিত রাষ্ট্রে নেই। এমনক� সর্বাত্ম� রাষ্ট্রে� গণমানু� হারিয়� ফেলে ভিন্নধর্মী চিন্তাকে গ্রহ� করার মানসিকতা� তারা চায় বেশি� ভা� মানু� যা চাইব�, আপনাকে� চা� চাইত� হবে। নতুব� আপনি রাষ্ট্রে� প্রতিপক্� শক্তির দোসর অথবা বাতুলতাগ্রস্ত। কারণ তারা বিশ্বা� কর�,
“Perhaps a lunatic was simply a minority of one.”�
গণতন্ত্রের নামাবলী গায়� দিয়� 'বি� বস' হয়ে ওঠ� সর্বময� ক্ষমতা� অধিকারী� এরপর নির্বাসি� কর� গণতন্ত্রকে, কথ� বলার স্বাধীনতাক�, চিন্তা� করার অধিকারকে� চারপাশ� পোষা ভূতে� মত� কর্মীবাহিনী তৈরি করে। তারা স্বৈরাচা� ওস্তাদের বাণী প্রচার � রক্ষায� জা� কবুল কর� রাজি থাকে�
জর্জ অরওয়েলে� '1984' সব সময় প্রাসঙ্গিক� অগণতান্ত্রিক সমাজ� প্রাসঙ্গিক� আর� বেশি প্রাসঙ্গিক অগণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা থেকে উত্তরণকামী রাষ্ট্রে� পাঠকদে� জন্য� তাদে� বুঝত� হব�, গণতন্ত্রের নামে�, শত্রুর হা� থেকে জনতাকে হেফাজত করার ওয়াদা� মাধ্যমেই জন্ম নেয় 'বি� বস'� এরপর বাটন চেপে বুনত� শুরু কর� নিজে� পছন্দমতো অতীতে� বয়া�, দখ� নেয় বর্তমানে� এব� ভবিষ্য� চল� আস� তা� করতলে। যা তাকে সুরক্ষ� দেবে ; অক্ষয় করবে তা� গদির থাকা� বাসনা। কারণ বি� বস চায় সবাই বিশ্বা� করুক,
“War is peace. Freedom is slavery. Ignorance is strength.”�
জর্জ অরওয়ে� সহ� ভাষায় লেখে� না� তাঁর লেখা একবসায� পড়া� মত� না� বিশে� কর�, '1984' এর মত� কালজয়ী কেতা� বারবার পড়ত� হয়। প্রতিবার নতুন রূপে আবিষ্কার করবে� 'বি� বস'কে� ভিন্নরূপ� পাবে� উইনস্টনে� দ্বন্দ্বমুখর মনোজগতকে এব� অবশ্যই প্রত্যেকবা� পড়া� পর স্বৈরাচারে� ভিন্� এক রূ� � মু� ভেসে আসবে আপনা� সামনে৷...more
'A revolution is not a bed of roses. A revolution is a struggle between the future and the past.' - Fidel Castro
বিদ্রোহী কব� নজরুলক� কবিত� লেখা� দায়'A revolution is not a bed of roses. A revolution is a struggle between the future and the past.' - Fidel Castro
বিদ্রোহী কব� নজরুলক� কবিত� লেখা� দায়� এক ইংরে�-কব� বিচারকের কাঠগড়ায� দাঁড়াতে হয়েছিল। সেখানে কব� নজরু� আত্মপক্ষ সমর্থন কর� একটি নাতিদীর্� বক্তৃত� দেন। যা বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস� অম� হয়ে আছ� 'রাজবন্দী� জবানবন্দী' নামে� দুনিয়ার অপ� প্রান্তে ১৯৫৩ সালে বিদ্রোহী ফিদে� কাস্ত্রোকে মনকাদা ব্যারাকে ব্যর্থ অভিযানের দায়� কাঠগড়ায� দাঁড়াতে হয়। জেনারে� বাতিস্তা� পদলেহী বিচারকের সামন� নিজে� বক্তব্� পে� করেন আইনে� ছাত্� কাস্ত্রো� যা দুনিয়� জুড়� বিখ্যা� হয়ে আছ�, 'History Will Absolve Me' নামে� নিজেকে সমর্থন কর� প্রায় সাড়� তি� ঘন্ট� একটানা কথ� বলেন কাস্ত্রো�
অভ্যুত্থান আর বিপ্লব যা-� বলুন, ব্যর্থ হল� দ্রোহী� নসিব� দুর্দশার কমতি থাকে না� এসময� মনোব� ভেঙে পড়ত� পারে� কিন্তু কাস্ত্রো ননী� পুতু� নন� বিপ্লবচেষ্টায় সাফল্য না পেলে� তা� কণ্ঠ� কোনো বিষা� পাইনি। বর� তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। স্বৈরাচা� বাতিস্তা� সেনাবাহিনীকে তিনি ভয� পা� না� কারণ কাস্ত্রো জানে�,
গহী� গুহা� ভেতর থেকে আস� একটা যুক্তি� ক্ষমতা সমগ্� সেনাবাহিনী� চাইত� বেশি�
কাস্ত্রোকে প্রহসনমূলক বিচারে ২৬ বছরে� কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিশ্চি� ছিলে� না যে, তা� এই জবানবন্দ� কোনোদি� আলোর মু� দেখবে। তা� নিজে� মত� কর� কথ� বলেছেন� পাঠক হিসেবে প্রত্যাশ� কম ছিল। সুতরাং, হতাশ হইনি�
শিবরাম চক্রবর্তী বলতে�, পাইলেই পড়ি আর পড়লেই পাই। � এক ধ্রুপদী সত্য� ভূয়োদর্শী সাংবাদিক আবদু� রহিমের 'সুপ্রভাত বাংলাদেশ' পড়ে তা� মন� হলো। ননী প্রক�শিবরাম চক্রবর্তী বলতে�, পাইলেই পড়ি আর পড়লেই পাই। � এক ধ্রুপদী সত্য� ভূয়োদর্শী সাংবাদিক আবদু� রহিমের 'সুপ্রভাত বাংলাদেশ' পড়ে তা� মন� হলো। ননী প্রকাশনী� মাত্� ১৬� পাতা� বইটা দীর্ঘদিন আউ� অফ প্রিন্ট। এট� আবদু� রহিমের কলামসংকলন। যেখানে তাঁর চা� দশকে� বেশি সংবাদকর্মী জীবনের নানা স্মৃতি � দুর্লভ অভিজ্ঞতা� কথ� লিখেছে� আশ্চর্� রসবো� নিয়ে।
সংবা� সংগ্রহ করতে গিয়� বিচিত্� অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন আবদু� রহিম� দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাজনীতিবি� � রাষ্ট্রনায়কদে� ভালো-মন্দ খু� গভীরভাব� পর্যবেক্ষণ করতে হয়েছে পেশাগত কারণেই� হক সাহেবক� নিয়� দুইট� ঘটনা উল্লেখ করার লো� সামলাত� পারলাম না�
ঘটনা - �
'নির্বাচনের কিছুদিনে� মধ্যেই ৯২ � ধারা জারি� ফল� বন্ধ হয়ে যায় সবরক� রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম। এর মধ্য� ১৯৫৫ সালে� কো� এক সময় কয়েকজ� ছাত্রনেতাক� সঙ্গ� নিয়� শেরে বাংল� যা� ময়মনসিং� শহরে� পাকিস্তানী শাসকদে� বদৌলতে তিনি তখ� সুবে বাংলার শাসনকর্তার পদ থেকে অপসারিত। ময়মনসিং� সফরে� সময় একদি� সকাল বেলায় সার্কি� হাউজের বারান্দায় বস� নাস্তা করছিলে� হক সাহে�, সঙ্গ� ছাত্রনেতাস� ওখানকা� তাঁর দলীয় নেতারা� দুঃস্থ এক লো� দূরে দাঁড়িয়� রয়েছে, তা� মুখে কো� কথ� নেই। মন� হল� দণ্ডায়মান ব্যক্তিট� সাহায্যে� প্রত্যাশী� হক সাহে� লোকটিক� দেখে তাঁর নিত্� সহচর ইয়াকুবক� সম্বোধ� কর� ফোকল� দাঁত� বললে�, � লোকটাক� কিছু দিয়� দা� না� জি স্যা�, ইয়াকু� জানালো, দিছি আট আনা। আট আন� তখ� ভিক্ষা হিসেবে অনেক� হক সাহেবে� মন� খটকা লাগল�, ইয়াকু� কি ঠি� বলছে? দুঃস্থ লোকটিক� হক সাহেবে� সামন� হাজি� করার নির্দে� হলো� তিনি নিজে� জেনে নেবে�, কি প্রত্যাশ� � লোকটির তাঁর কাছে� কাছে এল� হক সাহে� লোকটির দিকে গভী� দৃষ্টি দিয়� দেখলেন, লোকট� অন্ধ� খু� সহানুভূতির সাথে জানত� চাইলেন, কি চা� বাবা? লোকট� অত� বিনয়ে� সাথে ময়মনসিংহে� আঞ্চলি� ভাষায় জানালো, শেরে বাংলাক� দেখত� আইছুইন� আপনি চোখে দেখত� পা�? জিজ্ঞে� করলে� গরী� মানুষে� নেতা� চোখে দেখত� পা� না, তব� মন দিয়� কা� থেকে শেরে বাংলাক� দেখবার চেষ্টা করছি� ' পৃ. ৬৪