“And they lived happily (aside from a few normal disagreements, misunderstandings, pouts, silent treatments, and unexpected calamities) ever after.� �“And they lived happily (aside from a few normal disagreements, misunderstandings, pouts, silent treatments, and unexpected calamities) ever after.� � Jean Ferris
আমার ছোটবেলার আনন্দদায়� স্মৃতি গুলো� মধ্য� একটা হচ্ছ� আমার বাবা আর আম্মুর সাথে শপিং করতে যাওয়া। না, আম� কো� কালে� শপেহোলিক ছিলা� না� ছো� ছিলা� আর চট্টগ্রামে অন্য কো� আত্মী� স্বজ� না থাকা� বাধ্� হয়েই আম্ম� আব্ব� আমাক� সাথে নিয়ে শপিং � বে� হতেন আর আম� সারা মার্কে� তাদে� কানে� পাশে ঘ্যা� ঘ্যা� করতাম। তো � সমস্যা� সহ� সমাধান হিসেবে আমার বাবা মা আমাক� মিমি সুপা� মার্কেটে� নী� তলায় বাবা� পরিচিত বই এর দোকানটাত� বসিয়� রেখে যেতে� আর আম� মনের সুখে ছো� দোকানটার বড় সংগ্রহের বই গুলো পড়তাম। এখনকার সময়ে রেস্টুরেন্� গুলো� বুফে লাঞ্� বা ডিনারে� অফারগুলো� চেয়ে বো� কর� � বই এর বুফে আমার জন্য সবসময়ই অপেক্ষাকৃত রোমাঞ্চক� ছিলো! দুইট� বই কিনে এক দে� ঘন্টায় যা খুশি পড়ার সুযো�! এর কো� তুলন� হয় না কি?! কো� আশ্চর্� না� যে আম� আমার ছোটবেলাটাক� অনেক মি� কর�!
তো � অনেক গুলো বই এর মধ্য� যা কিছু বই আমার মন� সত্যিকার অর্থ� দা� কেটে গিয়েছি�, এব� এখনো মন ভরিয়� যা�, তা� মধ্য� একটা এই ‘ইরিনা’। � বইটাকে সম্ভবত ডিস্টোপিয়া� সাইন্স ফিকশ� জনরা� ফেলা যায়। হুমায়ু� আহমে� আর� অনেক দি� বেঁচ� থেকে আর� অনেক বই যদ� লিখতেন�, তারপরে� আমার মন� আফসো� থেকে যে� যে তিনি যদ� আর� অনেকদি� লিখে যেতে পারতেন, তব� বে� হত! আর সেদি� ইরিন� পড়� ভাবছিলাম, তিনি এত অল্প বৈজ্ঞানি� কল্পকাহিনী লিখে গেলে� কে�? মুহাম্মদ জাফর ইকবা� সহ অন্য আর যে ক’জ� লেখকের বৈজ্ঞানি� কল্পকাহিনী আম� পড়েছ�, সেগুলো� বেশিরভাগের মধ্যেই কেমন যে� একটা ধাতব বা রোবোটি� ভা� থেকে গেছে বল� মন� হয়েছে। কিন্তু হুমায়ু� আহমেদে� বৈজ্ঞানি� কল্পকাহিনী পড়� সবসময়ই মন� হয়েছ�, না�, মানুষে� গল্প� পড়ছি�
ছো� থেকে বড় হত� হত� প্রত্যেক মানুষই সম্ভবত কিছু দার্শনিক প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা ভাবন� করে। আমরা কোথা থেকে এসেছ�, কে� এসেছ�, জীবনের উদ্দেশ্য কি এই সব হাবিজাবি� তব� এদের আগ� সম্ভবত মৃত্যু সম্পর্কি� চিন্তাটা� মানুষক� সবার আগ�, সবচাইত� বেশি নাড়া দে� স্বাভাবিকভাবেই, যেহেতু, মৃত্যু� জীবনের সবচাইত� বাস্তব বিষয়� আর কাঁচ� বয়সে মৃত্যু বিষয়� ভাবনাটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর! একসম� আম� মারা যাবো, আমার বাবা, মা, ভা�, বো� মারা যাবে, ভেবে হুমায়ু� আহমেদে� মত� বলতে ইচ্ছ� কর�, কো� মানে হয়!. আশপাশে� মৃত্যু দেখে আমার মন� হয়েছিল সবচেয়ে ভা� হত যদ� কে� মারা না যেত। আমরা সবাই চিরকাল ধর� সুখে শান্তিতে বসবা� করতে থাকতাম� এর চাইত� সহ� সমাধান আর কি থাকত� পারে! কিন্তু আমার সে� চিন্তা একটা নাড়া খেয়েছি� যখ� � বইতে অম� মানুষদের একজন চিঠি লিখে গেলে�,
‘দীর্� জীবন কাটালাম। জীবন এত ক্লান্তিকর কল্পনা� করিনি। কোথা� বিরা� একটা গন্ডগো� হয়েছে। মন� হচ্ছ� সমস্তই ভুল। শে� লাইনটা লা� কালি দিয়ে দাগানো� তিনি বিড়বিড় কর� বললে�, মন� হচ্ছ� সমস্তই ভুল। এই বাক্যট� তাঁর মাথা� বিঁধ� গেল। তিনি বারবার বলতে লাগলেন, মন� হচ্ছ� সমস্তই ভু�, মন� হচ্ছ� সমস্তই ভু�, মন� হচ্ছ� সমস্তই ভুল।�
তব� বইটা� গল্পটা কিন্তু কো� জটিল কিছু নয়� ২০০৫ সালে� মহ� ধবংসযজ্ঞের পর পুরো পৃথিবী� সমাজব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে� চল্লিশজন অম� বিজ্ঞানী� চালু করেছেন প্রথ�, দ্বিতী� আর তৃতী� শহ� ভিত্তি� সমাজ ব্যবস্থা� এই সমাজ� সাধারণের জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চ� নিষিদ্ধ। কারণ, প্রাচী� পৃথিবী� উন্মুক্ত জ্ঞা� ভিত্তি� সমাজ মানুষক� ধ্বংসে� পথ� নিয়ে গেছে� তা� এই নতুন সমাজ� জ্ঞানে� চর্চ� করবে� যোগ্� কিছু মানু� আর রোবটেরা। কিন্তু তা কি আসলে� মানুষক� রক্ষ� করতে পারব�?
হ্যা বইটা� কাহিনীটা অনেক সহজ। কিন্তু বইটা আমার ভালো লেগেছিলো সম্পূর্ণ ভিন্� কারণে। যেহেতু এট� পড়� আম� নতুন কিছু ধারণ� পেয়েছিলা�, নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিখেছিলা� এব� খু� ভালো ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলাম তা� � বই সবসম� আমার প্রি� বই এর তালিকাতে� থাকবে। এর আগ পর্যন্� আমার জীবনের লক্ষ্য ছিলো প্রফেস� শঙ্কুর মত টিকটিকির ডি� আর আর� কিছু উদ্ভ� জিনিসপাত� মিশিয়ে ততোধিক উদ্ভ� কিছু আবিস্কার করা। ‘ইরিনা� পড়েই সম্ভবত ‘সিরিয়াস� কিছু পড়� শুরু করেছিলাম� মানু� যদ� হঠাৎ কর� অম� হয়� পড়� তাহল� কি তা� জীবনের আর সব উদ্দেশ্য পূরণ হয়� যা�? বেঁচ� থাকলেই কি সব সমস্যা� সমাধান হয়? আপাত� দৃষ্টিতে যা ভালো মন� হয় তা কি আসলে� আমাদের জন্য ভালো? এক আজ� জী� আমরা, আমরা যে কি চা� সেটা সম্পর্কে� কে� যে� মন� হয় আমরা এখনো নিশ্চি� হত� পারিনি! পড়� শে� হবার পর ভেবেছিলা�, মানুষে� জন্য কো� সমস্যা� চিরন্ত� সমাধান বল� কো� কিছু থাকা উচিত নয়� একেবার� সংকটহী� জীবন মানুষে� কাছে সবসময়ই ক্লান্তিকর ঠেকবে। মানুষে� শেষে� শুরুটা� হব� ওখান থেকেই। এইচ। জি� ওয়েল� এর ‘দ্য টাইম মেশিন� পড়েও এক� ধরণে� চিন্তা� উদ্রেক হয়েছিল� আর সে কারণেই রূপকথা� চিরসুখী শেষটাও আসলে কো� সমাপ্ত� নয়� এরপর� আবার শুরু হয় নতুন কো� সংঘা� আর এভাবেই চলতে থাকে নতুন কো� জীবনের কথকতা। ...more