Sign in with Facebook
Shreejit Sarkar's Reviews > মৈত্রেয় জাতক
মৈত্রেয় জাতক
by
by
গড্ডলিকা� সহবাসে উত্যক্�
তারা খুঁজেছিল সাযুজ্� সংরক্ত ;
কল্পতরুর নতশাখে সংসক্ত
শুক্� শশীরে ভেবেছি� করাগত।
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের এই পঙতিটি দিয়েই শুরু হয� বাণী বসুর ‘মৈত্রেয� জাতক’। আর সঙ্গ� সঙ্গ� যে� সময়-ঘড়ি পিছিয়� যায় সহস্রাধি� বছর—যখন কোনও বিদেশী জাতি সাম্রাজ্যবিস্তারের আশায� এই দেশে� মাটিতে পা রাখেনি, যখ� পাহাড়-জঙ্গ� চিরে সড়কপথ চল� যায়নি, যখ� মানু� প্রযুক্ত�-সর্বস্� হয়ে বেঁচ� থাকা� কথ� কল্পনা� করতে শেখেনি�
উপন্যা� মানে আসলে তো এক নির্মাণ। চরিত্রদেরক� পরপর সাজিয়�, ঘটনা� গাঁথুন� দিয়� গড়ে তোলা কাহিনীমালা�
জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গ� যেমন ভেসে যায় বিবি� জল� জীব—বিশাল সময়ের সঙ্গ� তেমন ভেসে যায় বিচিত্� চরিত্ররা� বুদ্ধকালী� ভারতের পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাসে উপস্থি� তক্ষশীলা� মেধাবী ছাত্� চণ�, শ্রেষ্ঠীকন্য� পঞ্চকল্যাণী বিশাখা, বিদুষী নট� জিতসোম�, নগরবধূ আম্রপালি, ধুরন্ধ� রাজপুরুষ পরিবেষ্টিত সম্রাট বিম্বিসা�, তথাগতর বুদ্ধত্ব নিয়� দোলাচল� ভোগা মহারাজ প্রসেনজি�, কৌতূহল আর প্রশ্ন� পরিপূর্ণ রাজকুমার তিষ্�, শিশুহন্ত� বল� পরিচিত যক্ষিণী... এব� আর� বহুজন।
আর আছেন স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ—যার আবির্ভাবের সঙ্গ� সঙ্গ� যে� চতুর্দিক আলোয� ভর� ওঠ�, যা� সত্যদর্শ� আর উপদে� মনের মধ্য� জলতরঙ্গে� মত� বেজে ওঠ�, জীবনের তুচ্ছাতিতুচ্� জিনিসগুলোর প্রতিও যা� তাচ্ছিল্� অনুভ� কর� নিজেদে� লোভী প্রবৃত্তিগুল� লজ্জায� ভর� ওঠে।
কিন্তু এই বিশা� উপন্যাসে� নায়� কিন্তু বুদ্� নন� বহ� রত্ন� সজ্জিত অলংকার ‘মহালতাপসাদন�-এর আস� আকর্ষণ যেমন সে নিজে, এই উপন্যাসে� আস� নায়কও তেমন এর ব্যপ্ত কাহিনী� বুদ্� হলেন সে� অলংকারের এম� এক রত্ন—নিজগুণে এব� লেখিকা� চরিত্রচিত্রণের দক্ষতায় যিনি উজ্জ্বলত� হয়ে উঠেছেন�
কী নিপু� দক্ষতায় সজী� কর� তোলা হয়েছে প্রতিট� চরিত্রকে! কী প্রগাঢ� কুশলতায় একবারও দিগভ্রষ্� না হয়ে উপন্যাসক� এগিয়ে নিয়� যাওয়া হয়েছে তা� অন্তিম পরিণতি� দিকে! যে� বহতা নদী এগিয়ে গেছে নিজে� পথ কেটে...
যান্ত্রিকসভ্যতার জটিলতা না থাকলেও, মানবমনের চিরাচরিত জটিলতা; ভিন্� ভিন্� রাজনীতি, আধ্যাত্মিক এব� ব্যক্তিগ� মূল্যবোধের সংঘা�; ক্ষমতা� লো�, প্রতিষ্ঠার মো� আর বিচিত্� মানসিক দ্বন্দ্ব—ছত্রে ছত্র� ফুটে উঠেছ� কাহিনীতে�
তৎকালী� সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসাপদ্ধত�, কুসংস্কা�... কী নে�! হয়ত নে� শুধু ঔপন্যাসিকে� দীনতা—দু’হাত ভর� তিনি গোটা কাহিনীতে ছড়িয়� গেছে� সাহিত্যসুধা।
যেমন ঢিমে আঁচে দু� জ্বা� দিয়� ক্ষী� বানানো হয�, যেমন সূক্ষ্� আঁচড়ে অপূর্ব সব চিত্রকলা ফুটিয়� তোলা হয়—তেম� অতিসন্তর্পণে তিনি বুনেছে� এই নিটো� কাহিনী� অনুপ� ভাষায়, যথাযোগ্য আঙ্গিক�, মেধা� বৈদুর্য্যে, প্রজ্ঞার গভীরতায� এই উপন্যা� হয়ে উঠেছ� অতুলনীয়�
একটানে দ্রু� পড়ে তুলে রেখে দেওয়া� মত� বই এট� নয়। এই বই ধীরলয়� আত্মস্� করার, বারংবা� হাতে তুলে নেওয়ার। এই উপন্যা� আসলে আত্মানুসন্ধানে� এক দলিল� এক দীর্� ভ্রমণ—হয়� যা� শে� হব� মৈত্রেয়� আবির্ভাবের পর�
বা হয়ত শে� নেই। চলতে� থাকবে—যেম� চলছে চলিষ্ণ� বসুধ�, যেমন চলছে সৃষ্টি-লয়ে� চক্র, যেমন চলছে বুদ্ধে� অনন্� দর্শনে� ধারা—চিরায়ত, শাশ্বত�
তারা খুঁজেছিল সাযুজ্� সংরক্ত ;
কল্পতরুর নতশাখে সংসক্ত
শুক্� শশীরে ভেবেছি� করাগত।
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের এই পঙতিটি দিয়েই শুরু হয� বাণী বসুর ‘মৈত্রেয� জাতক’। আর সঙ্গ� সঙ্গ� যে� সময়-ঘড়ি পিছিয়� যায় সহস্রাধি� বছর—যখন কোনও বিদেশী জাতি সাম্রাজ্যবিস্তারের আশায� এই দেশে� মাটিতে পা রাখেনি, যখ� পাহাড়-জঙ্গ� চিরে সড়কপথ চল� যায়নি, যখ� মানু� প্রযুক্ত�-সর্বস্� হয়ে বেঁচ� থাকা� কথ� কল্পনা� করতে শেখেনি�
উপন্যা� মানে আসলে তো এক নির্মাণ। চরিত্রদেরক� পরপর সাজিয়�, ঘটনা� গাঁথুন� দিয়� গড়ে তোলা কাহিনীমালা�
জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গ� যেমন ভেসে যায় বিবি� জল� জীব—বিশাল সময়ের সঙ্গ� তেমন ভেসে যায় বিচিত্� চরিত্ররা� বুদ্ধকালী� ভারতের পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাসে উপস্থি� তক্ষশীলা� মেধাবী ছাত্� চণ�, শ্রেষ্ঠীকন্য� পঞ্চকল্যাণী বিশাখা, বিদুষী নট� জিতসোম�, নগরবধূ আম্রপালি, ধুরন্ধ� রাজপুরুষ পরিবেষ্টিত সম্রাট বিম্বিসা�, তথাগতর বুদ্ধত্ব নিয়� দোলাচল� ভোগা মহারাজ প্রসেনজি�, কৌতূহল আর প্রশ্ন� পরিপূর্ণ রাজকুমার তিষ্�, শিশুহন্ত� বল� পরিচিত যক্ষিণী... এব� আর� বহুজন।
আর আছেন স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ—যার আবির্ভাবের সঙ্গ� সঙ্গ� যে� চতুর্দিক আলোয� ভর� ওঠ�, যা� সত্যদর্শ� আর উপদে� মনের মধ্য� জলতরঙ্গে� মত� বেজে ওঠ�, জীবনের তুচ্ছাতিতুচ্� জিনিসগুলোর প্রতিও যা� তাচ্ছিল্� অনুভ� কর� নিজেদে� লোভী প্রবৃত্তিগুল� লজ্জায� ভর� ওঠে।
কিন্তু এই বিশা� উপন্যাসে� নায়� কিন্তু বুদ্� নন� বহ� রত্ন� সজ্জিত অলংকার ‘মহালতাপসাদন�-এর আস� আকর্ষণ যেমন সে নিজে, এই উপন্যাসে� আস� নায়কও তেমন এর ব্যপ্ত কাহিনী� বুদ্� হলেন সে� অলংকারের এম� এক রত্ন—নিজগুণে এব� লেখিকা� চরিত্রচিত্রণের দক্ষতায় যিনি উজ্জ্বলত� হয়ে উঠেছেন�
কী নিপু� দক্ষতায় সজী� কর� তোলা হয়েছে প্রতিট� চরিত্রকে! কী প্রগাঢ� কুশলতায় একবারও দিগভ্রষ্� না হয়ে উপন্যাসক� এগিয়ে নিয়� যাওয়া হয়েছে তা� অন্তিম পরিণতি� দিকে! যে� বহতা নদী এগিয়ে গেছে নিজে� পথ কেটে...
যান্ত্রিকসভ্যতার জটিলতা না থাকলেও, মানবমনের চিরাচরিত জটিলতা; ভিন্� ভিন্� রাজনীতি, আধ্যাত্মিক এব� ব্যক্তিগ� মূল্যবোধের সংঘা�; ক্ষমতা� লো�, প্রতিষ্ঠার মো� আর বিচিত্� মানসিক দ্বন্দ্ব—ছত্রে ছত্র� ফুটে উঠেছ� কাহিনীতে�
তৎকালী� সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসাপদ্ধত�, কুসংস্কা�... কী নে�! হয়ত নে� শুধু ঔপন্যাসিকে� দীনতা—দু’হাত ভর� তিনি গোটা কাহিনীতে ছড়িয়� গেছে� সাহিত্যসুধা।
যেমন ঢিমে আঁচে দু� জ্বা� দিয়� ক্ষী� বানানো হয�, যেমন সূক্ষ্� আঁচড়ে অপূর্ব সব চিত্রকলা ফুটিয়� তোলা হয়—তেম� অতিসন্তর্পণে তিনি বুনেছে� এই নিটো� কাহিনী� অনুপ� ভাষায়, যথাযোগ্য আঙ্গিক�, মেধা� বৈদুর্য্যে, প্রজ্ঞার গভীরতায� এই উপন্যা� হয়ে উঠেছ� অতুলনীয়�
একটানে দ্রু� পড়ে তুলে রেখে দেওয়া� মত� বই এট� নয়। এই বই ধীরলয়� আত্মস্� করার, বারংবা� হাতে তুলে নেওয়ার। এই উপন্যা� আসলে আত্মানুসন্ধানে� এক দলিল� এক দীর্� ভ্রমণ—হয়� যা� শে� হব� মৈত্রেয়� আবির্ভাবের পর�
বা হয়ত শে� নেই। চলতে� থাকবে—যেম� চলছে চলিষ্ণ� বসুধ�, যেমন চলছে সৃষ্টি-লয়ে� চক্র, যেমন চলছে বুদ্ধে� অনন্� দর্শনে� ধারা—চিরায়ত, শাশ্বত�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
মৈত্রেয় জাতক.
Sign In »
Reading Progress
Finished Reading
April 9, 2020
– Shelved
