ŷ

Peal's Reviews > কেটজালকোয়াটল � সৃষ্টিবিনা� রহস্�

কেটজালকোয়াটল ও সৃষ্টিবিনাশ রহস্য by তানজীম  রহমান
Rate this book
Clear rating

by
116238811
's review

liked it

� স্পয়লার-ফ্রি রিভিউ�

জাপানি� বইগুলো� অনুবাদ পড়া� পর� অনুভূত� এম� হয� যে, কাহিনি না যতটুকু প্যাঁচ খাওয়ায় তা� চেয়েও ক্যারেক্টা� না� মন� রাখত� পাঠকের মেহন� করতে হয� তা� চেয়েও বেশি� দেশিয় দি� থেকে ❛কেটজালকোয়াটল � সৃষ্টিবিনা� রহস্য❜ নভেলাট� চরিত্রের নামে� দি� থেকে এই প্যাঁচকে একটু ওপরে� দিকে ধাবি� করেছে। না কাহিনি প্যাঁচান� না, না� এই এক আধটু কঠিন-� বটে। যা-� হো�, ইউনি� করতে গিয়� কিছুটা কাটখোট্ট� বানিয়� ফেলেছে�

প্রথমত এই নভেলাত� কোনো মানুষে� ছিঁটেফোঁটা নে�! যেহেতু লেখক মিথলজিক্যা� ফ্যান্টাসি লেখত� চেয়েছেন সেদি� থেকে তিনি ভেবে নিয়েছেন পুরোপুরি সভ্যতা � মি� কেন্দ্রি� সৃষ্টি করবেন। করলেনও তাই। নভেলাত� হুড়মুড় কর� ঢুকেছে অ্যাজটেক থেকে শুরু কর� অলিম্পিয়া�, টাইনটা�, নর্স � জাপানি� মিথ। পাঠক একটু অবাক হত� চাইবেন! কীভাবে এই পিচ্চি উপন্যাসিকাতে লেখক এতকিছু� যোগসূত্র ঘটালেন? বেশি ভাবত� হব� না, কাহিনি খুবই সিম্পল�

অ্যাজটেক সভ্যতা কেন্দ্� কর� তৈরি করেছেন দেবতাদের যুবরাজ কেটজালকোয়াটলকে। যে সৃষ্টি করেছিল পৃথিবী� কিন্তু কালক্রমে সে পৃথিবী ধূলিসা� কর� দেয় কোনো এক দেবত� বা দানব! কেটজালকোয়াটলে� কা� সে-� দেবত� বা দানব তাকে খুঁজ� বে� করা। অনেকটা অ্যাডভেঞ্চারের ফি� আস� তব� সেটা খু� সামান্য৷ এক্সুয়েলি না� উচ্চার� করতে করতে কাহিনি অর্ধেক পিছিয়� যাচ্ছিল। এখ� মানু� বলবে, আম� না� পড়ত� পারি না!

� আখ্যান�

শুধু একটা খু� নয�-ধ্বং� হয়ে গেছে পুরো একটা বিশ্ব। সাধারণ কোনো গোয়েন্দ� নয�, তদন্তে নেমেছে স্বয়ং সে বিশ্বে� স্রষ্ট�, দেবত� কেটজালকোয়াটল। সে জানে না � তদন্� তাকে নিয়� যাবে অজান� ভুবন�, দাঁড� করাব� অকল্পনীয় বিপদের মুখোমুখি, দিতে বাধ্� করবে অসম্ভব সব পরীক্ষা� ধীরে ধীরে উন্মোচিত হব� দেবত�, দানব, জাদু আর মৃত্যু� আড়ালে লুকিয়� থাকা ষড়যন্ত্রে� জাল।

তানজী� রহমানে� মিথোলজিক্যাল মিস্ট্রি ‘কেটজালকোয়াটল � সৃষ্টিবিনা� রহস্য� শুধু থৃলারপ্রেমীদেরই নয�, কিংবদন্ত� আর ফ্যান্টাসিপ্রেমীদেরও সমানভাবে আকর্ষণ করবে�


� পা� প্রতিক্রিয়া � পর্যালোচনা�

যারা পড়েনন� তাদে� একটি জিনি� বল� রাখি, কেটজালকোয়াট� তৈরি করেছ� অ্যাজটেক সভ্যতা� দেবতার পুত্ররূপে। তা� লেখক তাদে� টাইটেল দিয়েছেন ❛জালকোয়াটল❜� নামে� অং� মন� রেখে পড়ে যাবে�, তাহল� আর বেশি হ্যাপা পোহাতে হব� না� নভেল� হওয়াত� লেখক কোনো সাবপ্লটে� জন্ম দিতে চানন�, তা� ব্যাকস্টোর� বা ফ্ল্যাশব্যাক থাকব� এই চিন্তা মাথায় না রেখে পড়া শুরু করবেন।

� প্রারম্ভ�

গল্প শুরু হয� অ্যাজটেক সভ্যতা� দেবত� পুত্� কেটজালকোয়াটলে� পিতা-মাতা অর্থাৎ দেবতাদের প্রধান রাজা-রানি� সাথে কথপোকথনে� মধ্য� দিয়ে। কেটজালকোয়াট� এস� তাদে� জানায় যে, তা� সৃষ্টি কর� পৃথিবী যেখানে মানু� থাকে; সেটা কে� ধ্বং� কর� দিয়েছে। এইবা� সে-� কে� কে সেটা খোঁজার জন্য কেটজালকোয়াট� অনুসন্ধানে বে� হয়।

নামে� কারণ� প্রথমে একটু ধীরগতি� হত� হয়েছিল। কারণ না� আর তাদে� ক্ষমতা সম্পর্কে জানাশোনা প্রয়োজনীয়� মূ� কাহিনি শুরু হলেও ঢুকত� কিছুটা সময় ব্যয� হয়েছে�

� গল্প বুনন�

গল্প বুনন� লেখকের যে বিশে� পারদর্শিতা রয়েছে সেটা অল্পতে আন্দাজ কর� গেছে� গল্পের ভিত্তি গড়ে তুলত� বেশি বিস্তারি� বর্ণনা� প্রয়োজন পড়েনি� দ্রু� প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছ�, ওই সময়ের মধ্য� যতটুকু বিল্ডা� দিয়েছ� ভালোই।

� লেখনশৈলী�

লেখনশৈলী বে� ঝরঝরে। আরাম কর� পড়া গিয়েছে। নামে� জায়গা বা� দিলে বাদবাক� সবকিছু দারুণভাব� টপকে গেছে� শব্দচয়ন� বিশে� দক্ষতা লক্ষ কর� গিয়েছে। ফ্যান্টাসি নির্ভর যেসব শব্দের দরকা� ছি� সেগুলো সাবলীলভাব� বাক্� ঢুকিয়� মুখরোচ� কর� দিয়েছে।

� বর্ণনাভঙ্গি�

কোনো ঘটনা� বর্ণনা হচ্ছ� ফ্যান্টাসি উপন্যাসে� সবচেয়� গুরুত্বপূর্ণ দিক। শব্দ � বাক্যে� মেলবন্ধন� যখ� কোনো ঘটনা� পারফেক্ট বর্ণনা দেওয়া হয� তখ� পাঠক পরিপূর্ণ তৃপ্তি পেয়� থাকে� লেখক এইখানে কোনো ছাড় দেননি। প্রথমত এই উপন্যা� দে�-দেবীদে� ঘিরে আবর্তি� হয়েছে� তা� তাদে� দৈহি� বর্ণনা � কাজে� ব্যবচ্ছে� করতে হল� সূক্ষ্� সূক্ষ্� অনেক কিছু লক্ষ রাখা উচিত� অন্যদিকে দে�-দেবী� সাথে কিছু ক্রিয়েচার� রয়েছে� তাদে� দৈহি� বর্ণনা থেকে কাজে� ধর� সবকিছু সবিস্তার� আলোচনা উঠ� এসেছে।

প্রচলি� দি� থেকে গ্রি� মিথে� হেডি�, পার্সিফোনি, ক্রোনাসে� ঝল� অল্পতে দারুণভাব� ফুটিয়� তুলেছে� দুটো মৃত্যুপুরী� বর্ণনা সে-� সাথে সেখানে অধিষ্ঠিত সবকিছু� যথোপযুক্� ব্যাখা দাঁড� করিয়েছে� লেখক ক্ষান্� দেননি। নিয়� গিয়েছেন নর্স মিথে� যেখানে দেবত� ওডিন-থর-লোকি নিয়� গল্প তৈরি করেছেন� ভালাহালা� বর্ণনা � সেখানে অধিষ্ঠিত নয� রাজ্যে� স্থাপন� কীভাবে হয়েছে সেটা� উল্লেখ করেছেন� অর্থাৎ পুরোপুরি মিথলজিক্যা� ফ্যান্টাসি তৈরি করতে সবরক� মিথে� মিশা� করেছে।

কয়েকট� যুদ্ধে� বর্ণনা� অল্পতে সুন্দর কর� বর্ণনা করেছে। সবমিলিয়� বর্ণনাভঙ্গির জায়গাতে লেখল নিজে� মুনশিয়ানা� প্রমাণ দিয়েছেন�

� চরিত্রায়ন�

যেহেতু প্রধান চরিত্র� কেটজালকোয়াট� ছি�; যে কি-না শুকতার�, আল�, দয়া, বাতা�, বুদ্ধি, ন্যায়ের � ভোরে� তারা� দেবতা। এইরক� আর� বিভিন্� দে�-দেবী� ক্ষমতা সম্পর্কে অল্পবিস্তর বাক্যালা� করেছেন� তাদে� প্রয়োজনমত� ব্যবহা� কর� চরিত্রায়ন� কোনো কমতি প্রস্ফুট� করতে দেননি।

ওডিন-থর-লোকি থেকে হেডি�-পার্সিফোনি-ক্রোনাসে� মত� হা� ভোল্টে� মিথলজিক্যা� ক্যারেক্টারে� সাথে কেটজালকোয়াট� মানিয়� নেওয়া� দক্ষতা নজরকাড়া ছিল। যে চরিত্র যেভাবে ঠি� সেইভাব� ব্যবহারে� উপযোগী করেছেন�

তব� হেডি�-পার্সিফোনি� সম্পর্� একটু অন্যরক� লাগল� ওদিক� থরের বর্ণনায় প্রথমে ভেবেছিলা� সে কোনো ক্রিয়েচার! এই দুদি� ছাড়� বাকি সবকিছু ঠিকঠাক�

� সমাপ্তি�

সমাপ্ত� আহামরি না� টুইস্ট ছি� তব আন্দাজ কর� যাচ্ছিল। কারণ কী সেটা পাঠক পড়ল� বুঝবেন� টুইস্ট অতটা নজ� না কাড়লে� গল্প আমাক� আকৃষ্ট করেছে। হয়ত� আমার মিথলজি মাত্রাতিরিক্� ভালো লাগে তাই। তব� লেখকের বিচক্ষণতার জন্য আম� সাধুবা� জানাই৷ এইরক� ভাবে মিথে� মিশেলে সহজবোধ্য গল্প খু� কম লেখত� পারে�

সমাপ্তির কারণ এব� কেটজালকোয়াটলে� ফাইন্ড আউ� করতে পারে প্রধান কালপ্রিট কে সেগুলো� ভালো ছিল। এই গল্প টেনে ট্রিলজ� থেকে সিরিজও বানিয়� ফেলা যাবে যদ� সাবপ্ল� আর ব্যাকস্টোর� নিয়� আসে৷ শূন্� থেকে সৃষ্টি হয়ে আবার শূন্যে মিলিয়� যাওয়া� মত� উপন্যাসিকা�

যারা মিথলজি পছন্� করেন তাদে� একবা� হলেও পড়ে দেখা দরকার।

� লেখক নিয়� কিছু কথা�

অক্টারিন বা আর্ক� না ধর� তানজী� রহমানে� এই গল্প কে� বেছে নিলা� জানি না� তব� বুঝত� পেরেছি ওনার ফ্যান্টাসিতে দক্ষতা অসামান্য� চাইব কখনও বৃহৎ পরিসরে ফ্যান্টাসি নিয়� কা� করুক� বাকি থাকল ওনার আলোচিত অক্টারিন � আর্ক�; সেগুলো অচিরেই পড়ে ফেলব� লেখকের জন্য শুভকামনা�

� বই : কেটজালকোয়াট� � সৃষ্টিবিনা� রহস্�
� লেখক : তানজী� রহমা�
� জনরা : মিথলজিক্যা� ফ্যান্টাসি থ্রিলা�
� প্রথ� প্রকাশ : জু�, ২০১৬
� প্রচ্ছ� : ডিলা�
� প্রকাশনা : বাতিঘর প্রকাশনী
� পৃষ্ঠা : ৭৯
3 likes · flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read কেটজালকোয়াটল � সৃষ্টিবিনা� রহস্�.
Sign In »

Reading Progress

March 31, 2021 – Started Reading
March 31, 2021 – Shelved
March 31, 2021 – Finished Reading

No comments have been added yet.