Mojaffor Hossain's Reviews > আমার দেখা নয়াচী�
আমার দেখা নয়াচী�
by
by

আমরা জানি, ইতোপূর্ব� বঙ্গবন্ধ� দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী� (২০১২) � ‘কারাগারের রোজনামচা� (২০১৭)� ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুক� কারাগা� থেকে মুক্তি দেওয়া� সময় তৎকালী� পাকিস্তা� সরকা� কারাগারে লেখা বঙ্গবন্ধুর দুটো দিনপঞ্জি জব্দ কর�, যা ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে রাজবন্দী হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দ� থাকাকালে লেখা� সে� বিবেচনায� প্রকাশের দি� থেকে ‘আমা� দেখা নয়াচীন� তৃতীয় হলেও রচনা� দি� থেকে এটিই বঙ্গবন্ধুর প্রথ� লেখা� ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দি থাকাকালে এই স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণকাহিনিট� তিনি লেখেন। ১৯৫২ সালে� � অক্টোব� থেকে ১২ অক্টোব� চীনে� পিকিংয়ে এশীয় � প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলি� শান্তি সম্মেল� অনুষ্ঠিত হয়। তরুণ রাজনৈতিক নেতা শে� মুজিবু� রহমা� পাকিস্তা� প্রতিনিধিদলে� সদস্� হিসেবে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন� মন� রাখা প্রয়োজন, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্� চিনে� আত্মপ্রকাশ ঘট�, ঠি� এরপর� বঙ্গবন্ধুর এই চী� সফরে� ঘটনা� দ্বিতীয়বা� তিনি চীনসফর� যা� ১৯৫৭ সালে পাকিস্তা� সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে� তখ� তিনি শিল্�, বাণিজ্�, শ্রম, দুর্নীতি দম� � ভিলে�-এই� দপ্তরে� মন্ত্রী� তব� সে ভ্রমণে� কোনো লেখা পাওয়া যায় নি� এই বইতে আমরা দেখি, বঙ্গবন্ধ� পঞ্চাশের দশকে� শুরু� দিকে� ভবিষ্যৎবাণী করেন, ‘চী� একটি অর্থনৈতি� � রাজনৈতিক শক্ত� হিসেবে আবির্ভূত হবে।� আজ তাঁর সে� দূরদৃষ্ট� আমাদের বিস্মত করে। শুধু তা� নয�, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি এই ভ্রমণকাহিনিত� গণচীনে� শাসনব্যবস্থা� পাশাপাশি আন্তর্জাতি� রাজনীতি� একটা তুলনামূল� চিত্� তুলে ধরেন� অংশগ্রহণকারী বিভিন্� দেশে� প্রতিনিধিবর্গে� বক্তব্যে� সারকথা তুলে ধরেন� এমনকী যাত্রাপথ� যাওয়া� সময় যে দেশে যাত্রাবিরত� দিয়েছেন, সেখানকার রাজনৈতিক অবস্থা� সম্পর্কে� কিছু কথ� তুলে ধরেছেন� পরিস্থিত� বর্ণনা করতে গিয়� চল� আস� বাংলাদেশের কথাও� একেবার� শুরুতে� তিনি বলছে�, ‘অনেকে বলতে পারে� কম্যুনিস্টদে� শান্তি সম্মেলনে আপনারা যোগদান করবে� কে�?...কথাট� সত্য যে আমরা কম্যুনিস্ট না� তথাপ� দুনিয়ায� আজ যারা� শান্তি চায় তাদে� শান্তি সম্মেলনে আমরা যোগদান করতে রাজি�...কারণ যুদ্ধে দুনিয়ার যে ক্ষত� হয� তা আমরা জানি...।� এরপরেই তিনি স্বাধী� দে� হিসেবে পাকিস্তা� তৈরি হওয়ার পর� আমাদের অতৃপ্ত� এব� কষ্ট কোথায় সেটা বোঝাতে তিনি বলছে�, “কথা সত্য, ‘পাকিস্তান� নামট� পেয়েছ� কিন্তু; আর কতটুকু স্বাধী� হয়েছি আপনারা নিজে� দিকে তাকালে� বুঝত� পারবেন।� তব� এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধ� নিজেদে� দুরবস্থা� কথ� বলেননি� তিনি বিশ্বে� কাছে সেসব উপস্থাপন কর� ছো� হত� চাননি। আত্মমর্যাদ� বোধে� পাশাপাশি তাঁর বিনয়ে� দৃষ্টান্তও আমরা পাই। তিনি ভ্রমণপথে� ভূদৃশ্যে� চমৎকার বর্ণনা দেওয়া পাশাপাশি এও বল� নিচ্ছে�: ‘আমি লেখক নই, আমার ভাষা না�, তা� সৌন্দর্যটা অনুভ� করতে পারছ�, কিন্তু গোছাইয়া লেখত� পারছ� না� পাঠকবৃন্� আমায� ক্ষম� করবেন।�
বঙ্গবন্ধ� এই সম্মেলনে বাংল� ভাষায় বক্তৃত� করেন� এর কারণ হিসেবে তিনি বইতে লেখে�: �...আমিও বক্তৃত� করলা� বাংল� ভাষায়� ভারতবর্ষ থেকে বক্তৃত� করলে� মনোজ বস� বাংল� ভাষায়� বাংল� আমার মাতৃভাষা, মাতৃভাষায় বক্তৃত� করাই উচিত� কারণ, পূর্� বাংলার ভাষা আন্দোলনে� কথ� দুনিয়ার সক� দেশে� লোকই কিছু কিছু জানে�...দুনিয়ার সক� দেশে� লোকই যা� যা� মাতৃভাষায় বক্তৃত� করে। শুধু আমরা� ইংরেজি ভাষায় বক্তৃত� কর� নিজেদে� গর্বিত মন� করি।�
বঙ্গবন্ধুর সূক্ষ্� রসবো� আমাদের প্রায়� চোখে পড়বে। তিনি সফরসঙ্গী তফাজ্জ� হোসে� (মানি� মিয়�) সম্পর্কে একটি জায়গায় বলছে�, ‘মানিক ভা� ভালো লিখত� পারে�, কিন্তু এত যে খেতে পারে� তা আগ� জানতাম না�...জিজ্ঞাসা করলা�, মানি� ভা� পেটে কী হল�? বললে� দুর্ভিক্� হয়েছে।�
বইয়ের ভূমিকা লিখেছে� বঙ্গবন্ধুকন্যা শে� হাসিনা� সম্পাদনা করেছেন প্রাবন্ধিক চিন্তক শামসুজ্জামান খান। বইয়ের বিশে� সংযোজন হল� বঙ্গবন্ধুর লিখি� ডায়েরির কয়েকট� পাতা এব� সফরে� ছবি।
বঙ্গবন্ধ� এই সম্মেলনে বাংল� ভাষায় বক্তৃত� করেন� এর কারণ হিসেবে তিনি বইতে লেখে�: �...আমিও বক্তৃত� করলা� বাংল� ভাষায়� ভারতবর্ষ থেকে বক্তৃত� করলে� মনোজ বস� বাংল� ভাষায়� বাংল� আমার মাতৃভাষা, মাতৃভাষায় বক্তৃত� করাই উচিত� কারণ, পূর্� বাংলার ভাষা আন্দোলনে� কথ� দুনিয়ার সক� দেশে� লোকই কিছু কিছু জানে�...দুনিয়ার সক� দেশে� লোকই যা� যা� মাতৃভাষায় বক্তৃত� করে। শুধু আমরা� ইংরেজি ভাষায় বক্তৃত� কর� নিজেদে� গর্বিত মন� করি।�
বঙ্গবন্ধুর সূক্ষ্� রসবো� আমাদের প্রায়� চোখে পড়বে। তিনি সফরসঙ্গী তফাজ্জ� হোসে� (মানি� মিয়�) সম্পর্কে একটি জায়গায় বলছে�, ‘মানিক ভা� ভালো লিখত� পারে�, কিন্তু এত যে খেতে পারে� তা আগ� জানতাম না�...জিজ্ঞাসা করলা�, মানি� ভা� পেটে কী হল�? বললে� দুর্ভিক্� হয়েছে।�
বইয়ের ভূমিকা লিখেছে� বঙ্গবন্ধুকন্যা শে� হাসিনা� সম্পাদনা করেছেন প্রাবন্ধিক চিন্তক শামসুজ্জামান খান। বইয়ের বিশে� সংযোজন হল� বঙ্গবন্ধুর লিখি� ডায়েরির কয়েকট� পাতা এব� সফরে� ছবি।
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
আমার দেখা নয়াচী�.
Sign In »
Reading Progress
Finished Reading
Finished Reading
April 29, 2021
– Shelved