ŷ

অনার্য অর্ক's Reviews > ম্যালি�

ম্যালিস by Keigo Higashino
Rate this book
Clear rating

by
84448513
's review

really liked it



ভিক্টিমে� না�: কুনিহিকো হিদাকা
বয়স: ৩৭ বছ�
ওজ�: ৫০ কেজি
উচ্চতা: � ফু� � ইঞ্চ�
পেশা: লেখক

মৃত্যু� সময়: ভিক্টিমে� পাকস্থলিতে পাওয়া বার্গারে� পরিপাককৃ� অবস্থা  দেখে বোঝা যায় মৃত্যু ঘটেছ� সন্ধ্য� ছট� থেকে রা� আটটা� মধ্য�

মৃত্যু� কারণ: শ্বাসরোধ

তারি�: ১৬ এপ্রিল,১৯৯৬



ভিক্টি� কুনিহিকো হিদাকা� লা� পাওয়া গেছে তা� বাড়ির বন্ধ অফিস ঘরটায়� উপুড� হয়ে পড়েছিলো সেটা� কপাল�, নাকে,বুকে, উর� আর পায়ের সামন� দিকটায� নীলা� রক্ত জমতে শুরু করেছিলো। সায়ানোসিসের সব লক্ষ� স্পষ্ট� ফুসফুস,শ্বাসনালী,স্বরযন্ত্র অবরুদ্� ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণ� কর� হচ্ছ�, ভিক্টিমে� মাথায় ভোঁত� কোনো অস্ত্র দিয়� বাড়� মেরে গলায� টেলিফোনে� তা� পেঁচিয়ে তাকে হত্য� কর� হয়েছে� মৃতদেহ প্রথ� আবিষ্কার কর� তা� স্ত্রী আর সবচেয়� কাছে� বন্ধ� ওসাম� নোনোগুচি� দুজনের� আছ� বে� শক্তপোক্� অ্যালিবাই। লা� শনাক্তের সময় তদন্তকারী অফিসার হিসেবে ছিলে� ডিটেকটিভ সাকোদা� বেস্টসেলিং লেখক কুনিহিকো হিদাকা স্ত্রী সমেত কানাডায় পাড়� জমানোর কথ� ছি� খু� হবার ঠি� পরের দিন।

কেইগ� হিগাশিনো� ম্যালিসে� প্রধান ঘটনা হল� কুনিহিকো হিদাকা� খুন। তব� কে খু� করেছ� বা কীভাবে খু� করেছ� সেটা� থেকে এই রহস্� উপন্যাসে যে প্রশ্নটা বড� হয়ে উঠেছ� সেটা হল� কে� খুনট� করেছে। যদ� চারভাগ� বইটাকে ভা� কর�,তাহল� শুরু� প্রথ� ভাগে� আপনি জেনে যাবে� খুনী কে,আর তারপ� খুনে� পদ্ধতি নিয়ে। কিন্তু যে প্রশ্নটা� উপ� আসলে পুরো বইটা দাঁড়িয়� আছ� সেটা হল� খুনে� কারণ� প্রতিট� ক্রাইম থ্রিলা� পড়ত� গেলে মন� হয�,একেকটা অপরা� আসলে একেকটা বার্তা� আর অপরাধট� যদ� খু� হয� তাহল� সেটা বার্তা� অর্থবহতা� চূড়ান্ত মাত্রাকে স্পর্শ করে। দুর্বোধ্য� অথ� আশ্চর্� সুন্দর কোনো কবিতার অর্থ যেমন আমাদের মাথা ঘুরিয়� দেয়, আমরা এতোদিন যা ভেবেছিলা� সেইট� পুরো� ভ্রান্তিবিলা� ছি� বল� মন� হয়। একেকটা খুনে� পেছনের জটিল রহস্�,খুনী� মোটি�, খুনে� পদ্ধতি সে� দূরগামী বার্তা� মতো। সে� কবিতায� মৃতদেহ একটা গল্প বল�,সন্দেহভাজনের� বল� আরেকটা� সাক্ষী,সাবু� আর আলামতে� স্তর পেরিয়�
শেষমেশ পেঁয়া� খোসা� ঠি� মাঝামাঝি লুকিয়� থাকে যে গল্পটা সেইট� জানত� পারা� পর মাঝেমাঝে আমাদের মাথা ফাঁক� হয়ে যায়,কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখে� কোণে জল টলমল কর�,আবার কখনো সখনো দাঁত কিড়মিড়িয়ে ক্রোধে� উচ্চমাত্রা প্রকাশ পায়।� হিগাশিনো� ম্যালিসে খুঁজেছেন অপরাধপ্রবণতা� সে� খু� সাধারণ প্রশ্নটা,খুনে� মোটি� কী?আর অপরাধী শেষমেশ কি বার্তা রেখে যায় পৃথিবী� কাছে? কথায� আছ�,যখ� কে� প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কাউক� খু� করতে উদ্য� হয�,তখ� আসলে সে দুইট� কব� খুঁড়ে� তা� একটা নিজে�, আরেকটা তা� ভিক্টিমের।

এই মোটিভে� পেছন� আমরা যখ� দৌড়াত� থাকি আর ভাবত� থাকি,এই তো, এইবা� ব্যাটাকে বাগে পেয়েছি। হিগাশিনো নতুন একটা প্রশ্ন আমাদের সামন� নিয়� আসেন,আর এতোক্ষ� যা ভেবেছি সে� সমস্� ধারণাক� ভেঙে চুরমার কর� দেন। ম্যালিসে� বর্ণনা নন-লিনিয়ার ধরনের। একবা� অপরাধী� দৃষ্টিকো� থেকে,একবা� ডিটেকটিভ কিয়োচির� কাগা� তদন্� রিপোর্� থেকে বর্ণিত হয়েছে পুরো গল্পটা� প্রতিট� অধ্যায়ে পাঠকের চিন্তাশক্তিক� নিয়� রীতিমত� ফুটব� খেলেছে� হিগাশিনো� ডিটেকটিভ কাগা আর ডিটেকটিভ গ্যালিলি� দুটো চরিত্রকে ভিন্� মাত্রা দিতে হিগাশিনো বদলে দিয়েছেন তাদে� কাজে� পদ্ধতি� গ্যালিলি� যেখানে অপরাধে� ক্লু,ফরেন্সিকের আলামতে� ভিত্তিতে বারবার অপরাধে� একটা জ্যান্� ছব� তৈরি কর� বোঝা� চেষ্টা করেন সেটা কীভাবে কর� হয়েছে,কাগা মোটে� সেরক� নন� তিনি বর� জো� দে� ভিক্টি� আর অপরাধী� অতীতে,তাদে� কর্মক্ষেত্রে,বিভিন্� সাক্ষ্যর জবানবন্দীতে, সেসবকে বারবার বারবার খতিয়ে দেখে, ক্রসচে� কর� কর� আস� সত্যটাকে খুঁড়ে বে� করতে� অনুমানের উপ� জো� দিলে� সেটাকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে বদলে নিতে আপোস করেন না কাগা� ম্যালিসে� প্রতিট� চ্যাপ্টারে খুনে� আলাদ� আলাদ� কারণ নিয়� একটা বিকল্প ছব� হাজি� হয� পাঠকের কাছে� এই প্রতিট� সম্ভাবনাকে কাগা খতিয়ে দেখে�,আর বারবার ভেঙে দেন।

‘ডিভোশ� অব সাসপেক্ট এক্স� শেষে যখ� ইয়াসুকো কান্নায় ভেঙে পড়ে আর ইশিগামির গল� দিয়� বেরিয়� আস� অসহায় চিৎকার, আমরা তখ� একটু হলেও টল� যাই। চারপাশের বাস্তব জগতট� দুলত� থাকে� মন� হয� এতোক্ষ� কী পড়লাম? ম্যালিসে প্রত্যেকবা� সত্যের মুখোমুখি করার না� কর� হিগাশিনো মূ� অপরাধী� প্রত� আমাদের একটা সহানুভূত� তৈরি করেন� তা� অসহায়ত্বে� কথ� ভেবে সহমর্মী হই� কিন্তু শেষটায� গিয়� এইবা� আমাদের তাজ্জব কর� রেখে দে� ডিটেকটিভ কাগা� অপরাধী আর কাগা দুজনকে� পাঠকের বাধ্� হয়ে বলতে হব�,ব্রিলিয়ান্ট!  
হিগাশিনো আসলে পুরোটা সময় হাতে� আস্তিনের নিচে সন্তর্পণ� লুকিয়� রাখে� একটা তা�,যা� দরুণ সোজাসাপ্টা একটা গল্পকে জিলাপি� মত� প্যাঁচান� লাগে� আর আমরা বিভ্রান্� হত� থাকি�
মানুষে� মনস্তত্ত্বকে প্রভাবিত করার একটা সহজা� প্রবণত� হিগাশিনো� ন্যারেটিভে� মাঝে আছে। তিনি প্রথমে আমাদের খেলানো� জন্য একটা লু� বল দেন। আমরা প্রলোভিত হই,আর তারপরই চালে� মোক্ষম চালটা। ইয়োর্কারে� আকস্মিকতায� বোল্� আউ� হয়ে যাই। আমাদের চোয়াল ঝুলে পড়ে�

বইটাকে এমবেডে� ন্যারেটি� বা গল্পের ভেতর গল্প ক্যাটাগরিত� ফেলা যায় কিনা সেইট� নিয়� আম� একটু দ্বিধান্বিত। তবে� যারা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের ‘শেষ মৃ� পাখি�,জুবায়ের আলমে� ‘শব্দযাত্র� লেখক সংঘ�, অ্যান্টন� হরোউইটযে� ‘ম্যাগপা� মার্ডার্স� পড়ে থাকবেন তাদে� এরকমটা মন� হবার কথ� নয়। ম্যালিসে� মূ� চরিত্রেই আছেন দুজন সাহিত্যিক। তা� পাতা পেরিয়� সাহিত্যিকদের যে জীবনকে ধরার চেষ্টা কর� হয়েছে সেইট� বে� উপভো� করবা� মতোই� এম� অপ্রাসঙ্গি� কিছু আস� নি যেটা বইটাকে মেদযুক্ত করতে পারে� বইয়ের শেষভাগ� মিডল স্কুলে� সাক্ষীদে� সাথে কাগা� জিজ্ঞাসাবাদে� একটা চ্যাপ্টা� আছে। সেইট� বে� এলোমেল� বল� পড়ত� বে� বে� পেতে হয়।

সালমান হক আর ইশরা� অর্ণবে� যুগলবন্দী অনুবাদ বইটাকে সুখপাঠ্য করেছে। কিয়েচিরোর কাগা� নিউকামার বা � ডে� ইন টোকিওর জন্য আর তর সইছে না�
54 likes · flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read ম্যালি�.
Sign In »

Reading Progress

January 13, 2021 – Shelved as: to-read (Other Hardcover Edition)
January 13, 2021 – Shelved (Other Hardcover Edition)
April 2, 2023 – Started Reading
April 2, 2023 – Shelved
April 12, 2023 – Finished Reading

No comments have been added yet.