Sakib A. Jami's Reviews > অবয়�
অবয়�
by
by

লেখক, প্রকাশ� খু � হল� বিষয়ট� পাবলিক সেন্টিমেন্� হয়ে ওঠে। গাদা গাদা স্ট্যাটা�, প্রতিবাদ� ভর� ওঠ� সামাজি� যোগাযো� মাধ্যম� তব� কতটা ফলপ্রস� হয� সেটা সময়� বল� দেয়� বইমেলা� মাঠে খু� হাসি আনন্� সময়ের মাঝে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘট� গিয়েছে। সে� ঘটনা� জেরে� কী না কে জানে! খু � হয়ে গিয়েছ� অহর্নি� প্রকাশনী� নবী� কিন্তু জনপ্রিয় লেখক শীর্ষ। বিভৎ� � খু নে� ঠি� ব্যাখ্যা কর� কঠিন� কা� এম� আক্রোশ থাকত� পারে যে সবকট� আঙ্গুল উপড়� ফেলে এমনভাব� মা � তে পারে?
এক� প্রকাশনী� অন্যতম লেখক রাহা� ফারাজী কে� যে� দেখত� পারত না শীর্ষকে। যদিও শীর্ষে� মৃ ত্যুতে বড়ো এক ধাক্কা খেয়েছিল সে� রাহাতে� বইগুলো� প্রশংস� বে� উদার হস্তেই কর� শীর্ষ। তবুও কে� যে� ছেলেটাকে পছন্� হত� না রাহাতের। সে কারণেই হয়ত� শীর্ষে� কোনো বই পড়েনি রাহাত। কিন্তু মৃ ত্যু মানুষে� মধ্য� আমূল পরিবর্তন আনে। মৃ � ব্যক্তির প্রত� এক সূক্� টা� অনুভ� হয়। হয়ত� সে কারণেই শীর্ষে� বই পড়া শুরু কর� রাহাত। যদিও প্রেমিকা তিথি� এখান� এক বিশে� ভূমিকা আছে।
রাহা� নিজেকে ভেঙে নতুন কর� গড়ত� চায়� লেখালেখি ওর সহজা� প্রতিভা। সে� প্রতিভায� ভর কর� অম� হত� চাওয়া দোষে� কিছু নয়। তা� সাইফাই দিয়� না� কমান� রাহা� এম� কিছু লিখত� চায়, যা� জন্য লেখক হিসেবে অমরত্ব পাওয়া সম্ভব। সে� চেষ্টা� সে করছে� তব� এর জন্য প্রস্তুত� দরকার। আর প্রস্তুতির জন্য সে বেছে নিয়েছ� হর� জাতীয় লেখাকে� যে� হর� সে লিখেনি, সে� লেখা� চেষ্টায় মগ্ন সে� আর এখান� সাহায্যে� হা� বাড়িয়ে দিয়েছ� যে� মৃ � শীর্ষ। তা� বইয়ের মাধ্যমেই নতুন গল্পের সূচন� পেয়েছ� সে� কিন্তু কে জানত! এই লেখা শুরু� পর থেকে� তা� জীবন বদলে যাবে� বিভীষিকাময� এক অধ্যায়ে� শুরু হবে। যেখা� থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাবে সে উপায� � জানে না� কে� জানে না�
যে জিনিসট� অবাক কর�, আর তা আর� একটি খু ন। রবিউ� নামে� ছেলেটি শীর্ষে� অন্ধ ভক্ত ছিল। একটু পাগলাটেও ছিল। সম্প্রতি লেখালেখি শুরু করেছিল সে� শীর্ষে� সাথে যৌ� বই লেখা� কথ� ছিল। হু� কর� একইভাব� সে� যখ� মারা যায় তখ� নড়েচড়ে বসতে হয়। তাহল� কি দেশে এক সিরিয়াল কি লারে� আবির্ভাব হয়েছে? যে বেছে বেছে লেখকদে� তা� নিশানা বানাচ্ছে� হয়ত� এম� কিছু হয়ত� রাহা� ভেবে নি�, যদ� না নি� চোখে� সামন� ওয়াহাবে� এম� মৃত্যু হতো। এম� কিছু সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। এর পেছন� অনেক বড়ো রহস্� লুকিয়� আছে। এক অন্ধকা� জগতে� গল্প� যা� প্রবেশ দ্বা� উন্মুক্ত হয়ে গেছে� কীভাবে? অশুভ শক্তির সাথে লড়া� করার ক্ষমতা যে রাহাতে� নেই। তাহল�? তারও কি শে� পরিণতি এম� হব�? আর ভাবত� চায় না রাহাত। নিজেকে অম� দেখা� আগ� মৃ ত্যুকে দেখা� কোনো ইচ্ছ� নে� তার। তাহল� কী করবে সে?
▪️পা� প্রতিক্রিয়া :
আমরা যারা বইমেলায় নিয়মি� যা�, তাদে� কাছে গল্পের শুরুটা পরিচিত মন� হত� পারে� বহুল পরিচিত চেনা এক প্রকাশনী� গল্প এখান� লেখক বলেছেন� বলেছেন তা� লেখকদে� কথা। বইমেলা, লেখক বা বই সম্পর্কে যারা নিয়মি� খোঁজ রাখে�, হয়ত� অনেকেই পরিচিত কিছু মু� দেখত� পারবেন� কিংব� ধারণ� করতে পারবেন কোনো না কোনো মি� অবশ্যই আছে। গল্পের শুরুটা যেখানে এম�, সেখানে বইয়ের প্রত� আকর্ষণ বহুগুণ� বেড়� যায়�
গল্পের ধারা আসলে কোথায় গিয়� ঠেকেছে সেটা বল� শক্ত� শুরুটা যেহেতু খু � দিয়� স্বভাবতই খু নে� তদন্তে� দিকে� গল্প এগোব� ভেবে নেওয়া যায়� কিন্তু এখানেই লেখক এক অন্যরক� খেলা খেলেছেন। গল্পের মাঝপথে এস� বিষয়ট� অতিপ্রাকৃত ছায়ায� নিয়� গিয়েছেন� খুবই ব্যতিক্র� একটি লেখা� বাংল� সাহিত্যে এরকম কা� এর আগ� চোখে পড়েনি� ব্যতিক্র� কোনো কিছু যখ� হয�, তখ� এর উপস্থাপন বা যথায� প্রয়ো� নিয়� এক ধরনে� উৎকণ্ঠ� থাকে� কেমন করেছেন লেখক? আমার কাছে ভালো মতোই উৎরে গিয়েছেন� তারপরও হয়ত� � জাতীয় বই সবার জন্য নয়। কে�? সে কথ� বলছি�
গল্পের সমাপ্ত� কেমন যে� ধোঁয়াশায় ঘেরা� আমাদের পাঠকদে� মাঝে সোজাসাপ্টা গল্পের শেষাংশ খুবই প্রশংসনীয় হয়। যে গল্পের ভালো ধরনে� সমাপ্ত� আছ� সে� গল্প� ভালো লাগে� অনেক ক্ষেত্রে সমাপ্ত� নিয়� অভিযোগ� থাকে� এম� না হয়ে অম� হত� তো পারত! তাহল� কে� হল� না? সে কারণেই হয়ত� লেখক সমাপ্ত� উন্মুক্ত রেখেছেন। লেখকের কাছে যে� জায়গায় গল্প শে� হয়েছে, সে� জায়গায় হয়ত� নতুন গল্পের সূচন� হবে। পাঠক সে� গল্পের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়� নিক। কো� পথ� যাবে, সে বিবেচন� পাঠকের� এখানেই আমার ভাবন� থমকে গিয়েছে। কো� পথ� যাওয়া উচিত? কীভাবে গল্পের রা� টেনে ধর� উচিত? সমাপ্ত� নিয়� এম� ধোঁয়াশা� কারণ� ঠি� যে� উপভো� করতে পারলাম না শেষটা।
লেখকের লেখনশৈলী সাবলীল। বর্ণনাশৈলী ভালো লেগেছে� সূক্� অনেক কিছু� বর্ণনা লেখক দিয়েছেন, যেগুলো হয়ত� অনেক লেখক এড়িয়� যেত। এই বিষয়ট� ভালো লেগেছে� যেমন একটি পরিস্থিতিত� অনেকেই থাকে� অনেকেই অনেকের সাথে আলাপ জমায়। মূ� চরিত্রের পাশাপাশি পার্শ্� চরিত্র� যে গল্প� থাকে সেটা অনেক� ভুলে যায়� ধর� যা�, কোনো এক অবস্থায় আম� কারো সাথে আলাপ করছি� আমার পাশে� কে� অন্যের সাথে কথ� বলছে� সে� কথাগুল� আমার কানে আসবে� এই যে সূক্� বিষয়গুল�, সেগুলো লেখক যেভাবে লিখেছে� আমার পছন্� হয়েছে� বই লেখা নিয়� খুঁটিনাট� যে বিষয়গুল� আলোচনা করেছেন সেগুলো� উপভোগ্� ছিল। সে� চিত্রও বে� আনন্� দিয়েছে।
▪️চরিতত্রায়� :
আগেই বলেছ�, এই উপন্যাসে� শুরুতে এম� কিছু চরিত্রের কথ� লেখক বলেছেন যাদে� কথ� পড়ত� গিয়� বারবার পরিচিত লেখক, প্রকাশকদের কথ� মাথায় আসছিল।
তব� চরিত্র গঠনে� দি� দিয়� আমার অভিযোগ আছে। লেখক রাহা� ফারাজীকে প্রাধান্� দিতে গিয়� অন্যান্য চরিত্রকে ঠি� গুরুত্� দেননি। এই তিথি আর শীর্ষক� আরেকটু ভালো মত� ফুটিয়� তোলা যে� বল� মন� হয়েছে�
এছাড়া যে অতিপ্রাকৃত শক্তির কথ� লেখক বলেছেন, সে� বর্ণনা� আমার কিছু জায়গায় ভালো লাগলেও কিছুক্ষেত্রে ধোঁয়াটে লেগেছে� মন� হয়েছে লেখক বে� তাড়াহুড়ো করেছেন� আরেকটু সময় হয়ত� নেওয়া যেত।
▪️কিছু প্রশ্ন :
বইটি পড়া� পর বে� কিছু মনের মধ্য� খচখচ করছে� সেগুলো হল� :
� শুরু� দিকে যে চরিত্রগুলো নিয়� লেখক সময়ক্ষেপণ করেছেন, মূ� গল্প� সেসব চরিত্রের ভূমিকা একেবারেই ছি� না� হয়ত� লেখক এভাবেই লিখেছেন। এম� কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয� না� তবুও মনের মধ্য� একটা খচখচান� থেকে� গেল।
� খু নে� মোটি� বোঝা গেলে� এম� বিভৎ� খু নে� কীভাবে কর� হয়েছে তা� বর্ণনা দেওয়া হয়নি। বিশে� কর� কে� আঙ্গুল উপড়� খু � কর� হল�? এর ফলেই কি মৃ ত্যু ঘটেছ�? ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
� যে অতিপ্রাকৃত শক্তির কথ� বল� হয়েছে, সে� শক্ত� কে� পৃথিবীতে আসছে সেটা বল� হলেও কীভাবে আসছে সে� রহস্� উদঘাটন কর� হয়নি।
▪️প্রচ্ছ� � প্রোডাকশ�:
যেহেতু আম� বইঘর অ্যাপে বইটি পড়েছি, সেহেতু ইবুক নিয়েই কথ� বলি। বানা� ভু� বা ছাপা� ভু� তেমন না থাকলেও ফন্টের ছোটো বড়ো হয়ে যাওয়া বে� পীড়� দিয়েছে। মোবাইলের স্ক্রিনে লম্ব� সময় বই পড়ল� এমনিতে চোখে� উপ� চা� পড়ে� সেখানে ফন্টের অসামঞ্জস্যতায় বে� অসুবিধায� সৃষ্টি হয়। বইঘর টিমক� এই বিষয়গুল� লক্ষ্য রাখা� জন্য অনুরোধ কর� হলো।
প্রচ্ছ� দারুণ। আমাদের মুখে� অবয়বে অনেক কিছু� হয়ত� তৈরি হয়। কিন্তু অনেকেই অনেক অবয়� নিয়� আমাদের সামন� হাজি� হয়। সে� অবয়বে সঠিক আকৃত� আমরা চিনত� পারি না�
▪️পরিশেষ�, আমাদের পরিবেশের কিছু রহস্� থাকে যা প্রকৃত� রহস্� হিসেবে� আড়া� করতে পছন্� করে। সে� রহস্� কখনো উন্মুক্ত হল� নেমে আস� ঘো� অমানিশা। কোথায় কখ� কো� বিপদ কাকে জাপট� ধরবে কে� জানে না� তা� সব রহস্যে� সমাধান প্রয়োজন নেই।
▪️বই : অবয়�
▪️লেখক : তানজিম রহমা�
▪️ইবুক : বইঘর
▪️মূল্� : ৬৫ টাকা
▪️ ব্যক্তিগ� রেটি� : �.�/�
এক� প্রকাশনী� অন্যতম লেখক রাহা� ফারাজী কে� যে� দেখত� পারত না শীর্ষকে। যদিও শীর্ষে� মৃ ত্যুতে বড়ো এক ধাক্কা খেয়েছিল সে� রাহাতে� বইগুলো� প্রশংস� বে� উদার হস্তেই কর� শীর্ষ। তবুও কে� যে� ছেলেটাকে পছন্� হত� না রাহাতের। সে কারণেই হয়ত� শীর্ষে� কোনো বই পড়েনি রাহাত। কিন্তু মৃ ত্যু মানুষে� মধ্য� আমূল পরিবর্তন আনে। মৃ � ব্যক্তির প্রত� এক সূক্� টা� অনুভ� হয়। হয়ত� সে কারণেই শীর্ষে� বই পড়া শুরু কর� রাহাত। যদিও প্রেমিকা তিথি� এখান� এক বিশে� ভূমিকা আছে।
রাহা� নিজেকে ভেঙে নতুন কর� গড়ত� চায়� লেখালেখি ওর সহজা� প্রতিভা। সে� প্রতিভায� ভর কর� অম� হত� চাওয়া দোষে� কিছু নয়। তা� সাইফাই দিয়� না� কমান� রাহা� এম� কিছু লিখত� চায়, যা� জন্য লেখক হিসেবে অমরত্ব পাওয়া সম্ভব। সে� চেষ্টা� সে করছে� তব� এর জন্য প্রস্তুত� দরকার। আর প্রস্তুতির জন্য সে বেছে নিয়েছ� হর� জাতীয় লেখাকে� যে� হর� সে লিখেনি, সে� লেখা� চেষ্টায় মগ্ন সে� আর এখান� সাহায্যে� হা� বাড়িয়ে দিয়েছ� যে� মৃ � শীর্ষ। তা� বইয়ের মাধ্যমেই নতুন গল্পের সূচন� পেয়েছ� সে� কিন্তু কে জানত! এই লেখা শুরু� পর থেকে� তা� জীবন বদলে যাবে� বিভীষিকাময� এক অধ্যায়ে� শুরু হবে। যেখা� থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাবে সে উপায� � জানে না� কে� জানে না�
যে জিনিসট� অবাক কর�, আর তা আর� একটি খু ন। রবিউ� নামে� ছেলেটি শীর্ষে� অন্ধ ভক্ত ছিল। একটু পাগলাটেও ছিল। সম্প্রতি লেখালেখি শুরু করেছিল সে� শীর্ষে� সাথে যৌ� বই লেখা� কথ� ছিল। হু� কর� একইভাব� সে� যখ� মারা যায় তখ� নড়েচড়ে বসতে হয়। তাহল� কি দেশে এক সিরিয়াল কি লারে� আবির্ভাব হয়েছে? যে বেছে বেছে লেখকদে� তা� নিশানা বানাচ্ছে� হয়ত� এম� কিছু হয়ত� রাহা� ভেবে নি�, যদ� না নি� চোখে� সামন� ওয়াহাবে� এম� মৃত্যু হতো। এম� কিছু সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। এর পেছন� অনেক বড়ো রহস্� লুকিয়� আছে। এক অন্ধকা� জগতে� গল্প� যা� প্রবেশ দ্বা� উন্মুক্ত হয়ে গেছে� কীভাবে? অশুভ শক্তির সাথে লড়া� করার ক্ষমতা যে রাহাতে� নেই। তাহল�? তারও কি শে� পরিণতি এম� হব�? আর ভাবত� চায় না রাহাত। নিজেকে অম� দেখা� আগ� মৃ ত্যুকে দেখা� কোনো ইচ্ছ� নে� তার। তাহল� কী করবে সে?
▪️পা� প্রতিক্রিয়া :
আমরা যারা বইমেলায় নিয়মি� যা�, তাদে� কাছে গল্পের শুরুটা পরিচিত মন� হত� পারে� বহুল পরিচিত চেনা এক প্রকাশনী� গল্প এখান� লেখক বলেছেন� বলেছেন তা� লেখকদে� কথা। বইমেলা, লেখক বা বই সম্পর্কে যারা নিয়মি� খোঁজ রাখে�, হয়ত� অনেকেই পরিচিত কিছু মু� দেখত� পারবেন� কিংব� ধারণ� করতে পারবেন কোনো না কোনো মি� অবশ্যই আছে। গল্পের শুরুটা যেখানে এম�, সেখানে বইয়ের প্রত� আকর্ষণ বহুগুণ� বেড়� যায়�
গল্পের ধারা আসলে কোথায় গিয়� ঠেকেছে সেটা বল� শক্ত� শুরুটা যেহেতু খু � দিয়� স্বভাবতই খু নে� তদন্তে� দিকে� গল্প এগোব� ভেবে নেওয়া যায়� কিন্তু এখানেই লেখক এক অন্যরক� খেলা খেলেছেন। গল্পের মাঝপথে এস� বিষয়ট� অতিপ্রাকৃত ছায়ায� নিয়� গিয়েছেন� খুবই ব্যতিক্র� একটি লেখা� বাংল� সাহিত্যে এরকম কা� এর আগ� চোখে পড়েনি� ব্যতিক্র� কোনো কিছু যখ� হয�, তখ� এর উপস্থাপন বা যথায� প্রয়ো� নিয়� এক ধরনে� উৎকণ্ঠ� থাকে� কেমন করেছেন লেখক? আমার কাছে ভালো মতোই উৎরে গিয়েছেন� তারপরও হয়ত� � জাতীয় বই সবার জন্য নয়। কে�? সে কথ� বলছি�
গল্পের সমাপ্ত� কেমন যে� ধোঁয়াশায় ঘেরা� আমাদের পাঠকদে� মাঝে সোজাসাপ্টা গল্পের শেষাংশ খুবই প্রশংসনীয় হয়। যে গল্পের ভালো ধরনে� সমাপ্ত� আছ� সে� গল্প� ভালো লাগে� অনেক ক্ষেত্রে সমাপ্ত� নিয়� অভিযোগ� থাকে� এম� না হয়ে অম� হত� তো পারত! তাহল� কে� হল� না? সে কারণেই হয়ত� লেখক সমাপ্ত� উন্মুক্ত রেখেছেন। লেখকের কাছে যে� জায়গায় গল্প শে� হয়েছে, সে� জায়গায় হয়ত� নতুন গল্পের সূচন� হবে। পাঠক সে� গল্পের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়� নিক। কো� পথ� যাবে, সে বিবেচন� পাঠকের� এখানেই আমার ভাবন� থমকে গিয়েছে। কো� পথ� যাওয়া উচিত? কীভাবে গল্পের রা� টেনে ধর� উচিত? সমাপ্ত� নিয়� এম� ধোঁয়াশা� কারণ� ঠি� যে� উপভো� করতে পারলাম না শেষটা।
লেখকের লেখনশৈলী সাবলীল। বর্ণনাশৈলী ভালো লেগেছে� সূক্� অনেক কিছু� বর্ণনা লেখক দিয়েছেন, যেগুলো হয়ত� অনেক লেখক এড়িয়� যেত। এই বিষয়ট� ভালো লেগেছে� যেমন একটি পরিস্থিতিত� অনেকেই থাকে� অনেকেই অনেকের সাথে আলাপ জমায়। মূ� চরিত্রের পাশাপাশি পার্শ্� চরিত্র� যে গল্প� থাকে সেটা অনেক� ভুলে যায়� ধর� যা�, কোনো এক অবস্থায় আম� কারো সাথে আলাপ করছি� আমার পাশে� কে� অন্যের সাথে কথ� বলছে� সে� কথাগুল� আমার কানে আসবে� এই যে সূক্� বিষয়গুল�, সেগুলো লেখক যেভাবে লিখেছে� আমার পছন্� হয়েছে� বই লেখা নিয়� খুঁটিনাট� যে বিষয়গুল� আলোচনা করেছেন সেগুলো� উপভোগ্� ছিল। সে� চিত্রও বে� আনন্� দিয়েছে।
▪️চরিতত্রায়� :
আগেই বলেছ�, এই উপন্যাসে� শুরুতে এম� কিছু চরিত্রের কথ� লেখক বলেছেন যাদে� কথ� পড়ত� গিয়� বারবার পরিচিত লেখক, প্রকাশকদের কথ� মাথায় আসছিল।
তব� চরিত্র গঠনে� দি� দিয়� আমার অভিযোগ আছে। লেখক রাহা� ফারাজীকে প্রাধান্� দিতে গিয়� অন্যান্য চরিত্রকে ঠি� গুরুত্� দেননি। এই তিথি আর শীর্ষক� আরেকটু ভালো মত� ফুটিয়� তোলা যে� বল� মন� হয়েছে�
এছাড়া যে অতিপ্রাকৃত শক্তির কথ� লেখক বলেছেন, সে� বর্ণনা� আমার কিছু জায়গায় ভালো লাগলেও কিছুক্ষেত্রে ধোঁয়াটে লেগেছে� মন� হয়েছে লেখক বে� তাড়াহুড়ো করেছেন� আরেকটু সময় হয়ত� নেওয়া যেত।
▪️কিছু প্রশ্ন :
বইটি পড়া� পর বে� কিছু মনের মধ্য� খচখচ করছে� সেগুলো হল� :
� শুরু� দিকে যে চরিত্রগুলো নিয়� লেখক সময়ক্ষেপণ করেছেন, মূ� গল্প� সেসব চরিত্রের ভূমিকা একেবারেই ছি� না� হয়ত� লেখক এভাবেই লিখেছেন। এম� কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয� না� তবুও মনের মধ্য� একটা খচখচান� থেকে� গেল।
� খু নে� মোটি� বোঝা গেলে� এম� বিভৎ� খু নে� কীভাবে কর� হয়েছে তা� বর্ণনা দেওয়া হয়নি। বিশে� কর� কে� আঙ্গুল উপড়� খু � কর� হল�? এর ফলেই কি মৃ ত্যু ঘটেছ�? ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
� যে অতিপ্রাকৃত শক্তির কথ� বল� হয়েছে, সে� শক্ত� কে� পৃথিবীতে আসছে সেটা বল� হলেও কীভাবে আসছে সে� রহস্� উদঘাটন কর� হয়নি।
▪️প্রচ্ছ� � প্রোডাকশ�:
যেহেতু আম� বইঘর অ্যাপে বইটি পড়েছি, সেহেতু ইবুক নিয়েই কথ� বলি। বানা� ভু� বা ছাপা� ভু� তেমন না থাকলেও ফন্টের ছোটো বড়ো হয়ে যাওয়া বে� পীড়� দিয়েছে। মোবাইলের স্ক্রিনে লম্ব� সময় বই পড়ল� এমনিতে চোখে� উপ� চা� পড়ে� সেখানে ফন্টের অসামঞ্জস্যতায় বে� অসুবিধায� সৃষ্টি হয়। বইঘর টিমক� এই বিষয়গুল� লক্ষ্য রাখা� জন্য অনুরোধ কর� হলো।
প্রচ্ছ� দারুণ। আমাদের মুখে� অবয়বে অনেক কিছু� হয়ত� তৈরি হয়। কিন্তু অনেকেই অনেক অবয়� নিয়� আমাদের সামন� হাজি� হয়। সে� অবয়বে সঠিক আকৃত� আমরা চিনত� পারি না�
▪️পরিশেষ�, আমাদের পরিবেশের কিছু রহস্� থাকে যা প্রকৃত� রহস্� হিসেবে� আড়া� করতে পছন্� করে। সে� রহস্� কখনো উন্মুক্ত হল� নেমে আস� ঘো� অমানিশা। কোথায় কখ� কো� বিপদ কাকে জাপট� ধরবে কে� জানে না� তা� সব রহস্যে� সমাধান প্রয়োজন নেই।
▪️বই : অবয়�
▪️লেখক : তানজিম রহমা�
▪️ইবুক : বইঘর
▪️মূল্� : ৬৫ টাকা
▪️ ব্যক্তিগ� রেটি� : �.�/�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
অবয়�.
Sign In »
Reading Progress
June 25, 2023
–
Started Reading
June 25, 2023
– Shelved
June 28, 2023
–
Finished Reading