Sign in with Facebook
Fårzâñã Täzrē's Reviews > পাগল� দাশু
পাগল� দাশু
by
by
"ক্ষীণদেহ খর্বকায় মুণ্� তাহে ভারি
যশোরের কই যে� নরমূরতিধারী�"
আমাদের স্কুলে� যত ছাত্� তাদে� মধ্য� এম� কেহই ছি� না, যে পাগল� দাশুকে না চিনে� যে লো� আর কাহাকে� জানে না, সে� সকলে� আগ� পাগল� দাশুকে চিনিয়� ফেলে� সেবা� এক নতুন দারোয়ান আসিল, একেবার� আন� কোরা পাড়াগেঁয়� লো�, কিন্তু প্রথ� যখ� সে পাগল� দাশু� না� শুনি�, তখনই সে আন্দাজ� ঠি� করিয়া লই� যে, এই ব্যক্তিই পাগল� দাশু� কারণ মুখে� চেহারায়, কথ�-বার্তায়, চা�-চলনে, বোঝা যাইত যে, তাহা� মাথায় একটু ‘ছিট্� আছে। তাহা� চো� দুটি গো� গো�, কা� দুটি অনাবশ্যক রকমে� বড�, মাথায় এক বস্ত� ঝাঁকড়� চুল।
সুকুমা� রায়ের "পাগল� দাশু" বিখ্যা� এই চরিত্রের সঙ্গ� আমার প্রথ� আলাপ ক্লা� টু তে� ছো� খালামন� উপহা� দিয়েছিল পাগল� দাশু� একটা বই� তাতে বড� বড� ইলাস্ট্রেশ� এব� গল্পগুলো বড্ড সুস্বাদু� ক্লা� টু এর একটা বাচ্চা� জন্য আসলে� মজাদার অভিজ্ঞতা� যুক্তবর্� এল� বানা� কর� কর� পড়তাম তবুও পড়া শে� কর� তারপ� শান্তি� পাগল� দাশুকে আমার বে� পছন্� হয়েছিল। তখ� তো আর জানতাম না কোনট� উপন্যা� কোনট� গল্প সমগ্র। বড়বেলায� এস� এখ� জানা হল� এখান� সুকুমা� রায়ের আর� কিছু গল্প স্থা� পেয়েছে।
তো পাগল� দাশু বইয়� স্থা� পেয়েছ� সুকুমা� রায়ের নিজে� আঁকা ছব�! জ্বি হ্যা� এই তথ্যটা ঘাঁটাঘাঁটি কর� আবিষ্কার করলাম। ছোটদের নিকট আকর্ষণীয় কর� তোলা� জন্য � গ্রন্থ� ২৫টি হাতে আঁকা ছব� সংযোজি� হয়েছিল। এগুলির মধ্য� ১৫টি ছব� এঁকেছিলে� সুকুমা� রায় নিজে� বাকী ১০টি এঁকেছিলে� চিত্রশিল্পী হিতেন্দ্রমোহ� বসু।
পাগল� দাশু গ্রন্থটি� জন্য একটি ভূমিকা লিখেছিলে� নাকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। � ভূমিকায় তিনি লিখেছিলে�: “সুকুমারের লেখনী থেকে যে অবিমিশ্র হাস্যরসে� উৎসধার� বাংল� সাহিত্যক� অভিষিক্ত করেছ�, তা অতুলনীয়� তাঁর সুনিপু� ছন্দের বিচিত্� � স্বচ্ছন্� গত�, তাঁর ভা�-সমাবেশের অভাবনীয় অসংলগ্নত� পদ� পদ� চমৎকৃত� আনে। তাঁর স্বভাবের মধ্য� বৈজ্ঞানি� সংস্কৃতি� গাম্ভীর্� ছি�, সে� জন্যেই তিনি তা� বৈপরীত্� এম� খেলাচ্ছল� দেখাতে পেরেছিলেন। বঙ্গসাহিত্যে ব্যঙ্গরসিকতা� উৎকৃষ্� দৃষ্টান্� আর� কয়েকট� দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুকুমারে� অজস্� হাস্যোচ্ছ্বাসে� বিশেষত্ব তাঁর প্রতিভার যে স্বকীয়তা� পরিচয় দিয়েছ�, তা� ঠি� সমশ্রেণী� রচনা দেখা যায় না।�
গল্পগুলো� নামও কিন্তু বেশ। আশ্চর্� কবিত�, নূতন পণ্ডিত, সবজান্তা, নন্দলালে� মন্দ কপাল, দাশু� খ্যাপামি, ডিটেকটিভ, আজ� সাজা, ব্যোমকেশের মাঞ্জা, জগ্যিদাসের মামা, চীনে পটকা, সবজান্তা দাদা ,দাশু� কীর্তি, হিংসুট�, বাজে গল্প, যতীনে� জুতো, পেটু�, চালিয়াত, ভোলানাথে� সর্দার�, কালাচাঁদের ছব�, গোপালে� পড়া, ভু� গল্প�
আমার তো সবগুলো গল্প� পছন্� হয়েছে� ছোটবেলায� পড়া পাগল� দাশুকে আবার� খানিকট� সতেজ কর� তুললাম� সবচেয়� লক্ষণীয় বিষয� হচ্ছ� সুকুমা� রায়ের গল্প বলার ধরন। স্যাটায়ার জাতীয় গল্প� সুকুমারে� জুড়� মেলা ভার। স্কুলে� দাশুকে নিয়� আছ� এত সব মজার গল্প, আবার অন্যান্য গল্প সেগুলোতে� কিন্তু খে� হারাননি। হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনায� সুকুমা� রায় "পাগল� দাশু" চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন পাঠকের মন� এখনো প্রিয় চরিত্র হিসেবে�
আম� প্রচুর ছোটদের বই পড়ি� সবার কাছে পাগল� দাশু ভালো লাগব� না� কে� কে� বলবে� আর� কম বয়স� পড়ল� ভালো লাগতো। কী জানি! আম� এখনো পড়া শে� কর� সে� ছেলেবেলা� মত� আনন্� পেলাম। কিছু বই থেকে শিক্ষনীয় কিছু দরকা� নেই। মনের আনন্দটাই বড়।
🧶বইয়ের না�: "পাগল� দাশু"
🧶লেখক: সুকুমা� রায়
🧶 প্রকাশনা: আনন্� পাবলিশার্স
যশোরের কই যে� নরমূরতিধারী�"
আমাদের স্কুলে� যত ছাত্� তাদে� মধ্য� এম� কেহই ছি� না, যে পাগল� দাশুকে না চিনে� যে লো� আর কাহাকে� জানে না, সে� সকলে� আগ� পাগল� দাশুকে চিনিয়� ফেলে� সেবা� এক নতুন দারোয়ান আসিল, একেবার� আন� কোরা পাড়াগেঁয়� লো�, কিন্তু প্রথ� যখ� সে পাগল� দাশু� না� শুনি�, তখনই সে আন্দাজ� ঠি� করিয়া লই� যে, এই ব্যক্তিই পাগল� দাশু� কারণ মুখে� চেহারায়, কথ�-বার্তায়, চা�-চলনে, বোঝা যাইত যে, তাহা� মাথায় একটু ‘ছিট্� আছে। তাহা� চো� দুটি গো� গো�, কা� দুটি অনাবশ্যক রকমে� বড�, মাথায় এক বস্ত� ঝাঁকড়� চুল।
সুকুমা� রায়ের "পাগল� দাশু" বিখ্যা� এই চরিত্রের সঙ্গ� আমার প্রথ� আলাপ ক্লা� টু তে� ছো� খালামন� উপহা� দিয়েছিল পাগল� দাশু� একটা বই� তাতে বড� বড� ইলাস্ট্রেশ� এব� গল্পগুলো বড্ড সুস্বাদু� ক্লা� টু এর একটা বাচ্চা� জন্য আসলে� মজাদার অভিজ্ঞতা� যুক্তবর্� এল� বানা� কর� কর� পড়তাম তবুও পড়া শে� কর� তারপ� শান্তি� পাগল� দাশুকে আমার বে� পছন্� হয়েছিল। তখ� তো আর জানতাম না কোনট� উপন্যা� কোনট� গল্প সমগ্র। বড়বেলায� এস� এখ� জানা হল� এখান� সুকুমা� রায়ের আর� কিছু গল্প স্থা� পেয়েছে।
তো পাগল� দাশু বইয়� স্থা� পেয়েছ� সুকুমা� রায়ের নিজে� আঁকা ছব�! জ্বি হ্যা� এই তথ্যটা ঘাঁটাঘাঁটি কর� আবিষ্কার করলাম। ছোটদের নিকট আকর্ষণীয় কর� তোলা� জন্য � গ্রন্থ� ২৫টি হাতে আঁকা ছব� সংযোজি� হয়েছিল। এগুলির মধ্য� ১৫টি ছব� এঁকেছিলে� সুকুমা� রায় নিজে� বাকী ১০টি এঁকেছিলে� চিত্রশিল্পী হিতেন্দ্রমোহ� বসু।
পাগল� দাশু গ্রন্থটি� জন্য একটি ভূমিকা লিখেছিলে� নাকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। � ভূমিকায় তিনি লিখেছিলে�: “সুকুমারের লেখনী থেকে যে অবিমিশ্র হাস্যরসে� উৎসধার� বাংল� সাহিত্যক� অভিষিক্ত করেছ�, তা অতুলনীয়� তাঁর সুনিপু� ছন্দের বিচিত্� � স্বচ্ছন্� গত�, তাঁর ভা�-সমাবেশের অভাবনীয় অসংলগ্নত� পদ� পদ� চমৎকৃত� আনে। তাঁর স্বভাবের মধ্য� বৈজ্ঞানি� সংস্কৃতি� গাম্ভীর্� ছি�, সে� জন্যেই তিনি তা� বৈপরীত্� এম� খেলাচ্ছল� দেখাতে পেরেছিলেন। বঙ্গসাহিত্যে ব্যঙ্গরসিকতা� উৎকৃষ্� দৃষ্টান্� আর� কয়েকট� দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুকুমারে� অজস্� হাস্যোচ্ছ্বাসে� বিশেষত্ব তাঁর প্রতিভার যে স্বকীয়তা� পরিচয় দিয়েছ�, তা� ঠি� সমশ্রেণী� রচনা দেখা যায় না।�
গল্পগুলো� নামও কিন্তু বেশ। আশ্চর্� কবিত�, নূতন পণ্ডিত, সবজান্তা, নন্দলালে� মন্দ কপাল, দাশু� খ্যাপামি, ডিটেকটিভ, আজ� সাজা, ব্যোমকেশের মাঞ্জা, জগ্যিদাসের মামা, চীনে পটকা, সবজান্তা দাদা ,দাশু� কীর্তি, হিংসুট�, বাজে গল্প, যতীনে� জুতো, পেটু�, চালিয়াত, ভোলানাথে� সর্দার�, কালাচাঁদের ছব�, গোপালে� পড়া, ভু� গল্প�
আমার তো সবগুলো গল্প� পছন্� হয়েছে� ছোটবেলায� পড়া পাগল� দাশুকে আবার� খানিকট� সতেজ কর� তুললাম� সবচেয়� লক্ষণীয় বিষয� হচ্ছ� সুকুমা� রায়ের গল্প বলার ধরন। স্যাটায়ার জাতীয় গল্প� সুকুমারে� জুড়� মেলা ভার। স্কুলে� দাশুকে নিয়� আছ� এত সব মজার গল্প, আবার অন্যান্য গল্প সেগুলোতে� কিন্তু খে� হারাননি। হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনায� সুকুমা� রায় "পাগল� দাশু" চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন পাঠকের মন� এখনো প্রিয় চরিত্র হিসেবে�
আম� প্রচুর ছোটদের বই পড়ি� সবার কাছে পাগল� দাশু ভালো লাগব� না� কে� কে� বলবে� আর� কম বয়স� পড়ল� ভালো লাগতো। কী জানি! আম� এখনো পড়া শে� কর� সে� ছেলেবেলা� মত� আনন্� পেলাম। কিছু বই থেকে শিক্ষনীয় কিছু দরকা� নেই। মনের আনন্দটাই বড়।
🧶বইয়ের না�: "পাগল� দাশু"
🧶লেখক: সুকুমা� রায়
🧶 প্রকাশনা: আনন্� পাবলিশার্স
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
পাগল� দাশু.
Sign In »
Reading Progress
March 10, 2025
–
Started Reading
March 10, 2025
– Shelved
March 16, 2025
–
Finished Reading
