ŷ

Fårzâñã Täzrē's Reviews > সুজন হরবোলা

সুজন হরবোলা by Satyajit Ray
Rate this book
Clear rating

by
165369974
's review

really liked it

~সুজন হরবোলা~

সুজন দিবাকর মুদি� ছেলে� তা� একটা বড� বো� ছি�, তা� বিয়� হয়ে গেছে, আর একটা বড� ভা� মারা গেছে তি� বছ� বয়সে। সুজন তাকে দেখেইনি। সুজনের মা খু� সুন্দরী, সুজন তা� মত� না�-চো� পেয়েছ�, তা� রঙটা� বে� পরিষ্কার�

দিবাকরের ইচ্ছ� ছেলে লেখাপড়া শেখে, তা� সে সুজনকে হারা� পণ্ডিতের পাঠশালায� ভর্ত� কর� দিল। কিন্তু পড়াশুনায় সুজনের একেবারেই মন নেই।

সুজনের বাড়ির পিছনেই ছি� একটা সজনে গাছ। তাতে থাকত একটা দোয়েল� সুজনের যখ� আট বছ� বয়স, তখ� একদি� দোয়েলের ডা� শুনে সে ভাবল–আহা, � পাখি� ডা� কেমন মিষ্টি� মানুষে কি কখনও এম� ডা� ডাকত� পারে? সুজন সেইদিন থেকে মু� দিয়� দোয়েলের ডা� ডাকা� চেষ্টা করতে লাগল� একদি� হঠাৎ সে দেখল যে, সে ডা� দেবা� পরেই দোয়েলটা যে� তা� ডাকে� উত্তরে ডেকে উঠল। তখ� সে বুঝল যে, এই একটা পাখি� ডা� তা� শেখা হয়ে গেছে� তা� মা দয়াময়ী� শুনে বললে�, বা� রে খোকা, মানুষে� গলায� এম� পাখি� ডা� তো শুনিনি কখনও! সুজন তাতে যারপরনাই খুশি হল�

কিন্তু বাবা দিবাকর তাতে অখুশি। ছেলে পড়াশোনা শিখত� পারল� না� পাখি� ডা� ডেকে হরবোলা হয়ে লা� কী� তবুও সে সুজনকে পাশে� গ্ৰামে� আরেক হরবোলা� কাছে পাঠালো� এবার কী সুজনের ভাগ্� ফিরব� তব�?

~গঙ্গারামের কপাল~

নদী� ধারে খোলামকুচ� দিয়� ব্যাঙবাজ� খেলত� খেলত� হঠাৎ গঙ্গারামের চোখে পড়ল পাথরটা� � নদীতে জল নে� বেশি; যেখানে সবচেয়� গভী� সেখানে� হাঁট� ডোবে না� জলটা কাচে� মত� স্বচ্ছ, তা� তা� নীচে লা� নী� সবুজ হলদে খয়েরি অনেক রক� পাথর দেখা যায়� কিন্তু এম� পাথর গঙ্গারাম এর আগ� কোনোদি� দেখেনি� যত রক� রং হয� রামধনুতে, সব রং আছ� এই পাথরে। আকার� একটা পায়রা� ডিমে� মতো। গঙ্গারাম জল থেকে পাথরটা তুলে নিয়� কিছুক্ষণ অবাক হয়ে সেটাকে ঘুরিয়� ফিরিয়� দেখল� ‘বাঃ, কী সুন্দর!’—আপন� থেকে� বেরিয়� পড়ল তা� মু� থেকে� তারপ� সেটাকে সে ট্যাঁক� গুঁজ� নিয়� বাড়িমুখ� রওনা হল�

গ্ৰামে� সবাই ওক� ভালোবাসতো। কিন্তু এই পাথরটা বাড়িত� আনার পর থেকে ঘট� চলেছ� বিভিন্� ঘটনা� গঙ্গারামের কপাল� এবার কী আছ�?

~রত� আর লক্ষ্মী~

রত� থাকে শিমুলিতে� সেখা� থেকে চা� ক্রো� দূরে উজলপুর� সংক্রান্তি� খু� বড� মেলা হয়। রত� গিয়েছিল সে� মেলা দেখতে। শুধু দেখত� নয�, মেলা থেকে বাঁশের বাঁশ� কেনা� শখ� ছি� তা�, সেটা� একটা উদ্দেশ্য বটে। রতনে� গানে� গল� খু� ভালো; যে কোনো গা� দুবা� শুনল� নিজে� গলায� তুলে নিতে পারে�

উজলপুরের রাজকন্যা লক্ষ্মী এসেছেন ডুলিতে কর� মেলা দেখতে। এমনিতে রাজকন্যারা রাজবাড়ি� অন্তঃপুরেই বন্দী থাকে, তাকে বাইরের লোকে দেখত� পায় না� কিন্তু লক্ষ্মী তেমন মেয়� নয়।

রাজকন্যা লক্ষ্মী� চোখে চো� পড়তেই রতনে� মন খুশিতে ভর� উঠল। এম� সুন্দর মেয়� সে দেখেনি কখনো� আহ�, এক� যদ� গা� শোনাতে পারত সে তাহল� কেমন ভালো হত! দেখা যা� ভাগ্যক্রমে আবার রত� � লক্ষ্মী� দেখা হয� কী না�


~কানাইয়ে� কথা~

নস� কবিরাজ প্রায় পাঁচ মিনি� ধর� বলরামে� নাড়ী ধর� বস� রইলেন। শিয়রে� কাছে দাঁড়িয়� বলরামে� সতের বছরে� ছেলে কানা� একদৃষ্টে চেয়� আছে। আজ দশ দি� হল� তা� বাপে� অসুখ� কোনো কিছু খাবারে তা� রুচি নে�; এক টানা দশ দি� না খেয়� সে শুকিয়� গেছে, তা� চো� কোটর� বস� গেছে, তা� সর্বাঙ্গ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে�

� রোগে� না� কী তা কানা� জানে না� কবিরাজ জানে� কি? তাঁর চোখে� ভ্রূকুটি দেখে কেমন যে� সন্দেহ হয়। মো� কথ� � যাত্রা তা� বা� না বাঁচলে তা� মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। আপ� লো� বলতে তা� আর কে� নেই।

‘চাঁদনি�, নাড়ী ছেড়� মাথা নেড়� বললে� কবিরাজ মশাই� নস� কবিরাজের খ্যাতি অনেক দূ� পর্যন্� ছড়িয়েছে। তাঁর নাড়ী জ্ঞা� নাকি যেমন-তেমন নয়। তিনি জবাব দিয়� গেলে রোগীকে বাঁচান� অসাধ্য, আর তিনি ওষুধ বাতল� গেলে রোগী চাঙ্গা হয়ে উঠবেই। কিন্তু চাঁদনি আবার কী? ‘আজ্ঞে?� ভুরু কুঁচকে জিগ্যে� কর� কানাই।

‘চাঁদন� পাতা� রস খাওয়াতে হব�, তাহলেই রো� সারবে। সংস্কৃ� না� চন্দ্রায়ণী� আর রোগে� না� হল শুখ্‌নাই।� ‘চাঁদন� একটা গাছে� না� বুঝি?� ঢো� গিলে জিগ্যে� কর� কানাই।

নস� কবিরাজ ওপ� নীচে মাথা নাড়লে� দুবার। কিন্তু তাঁর চো� থেকে ভ্রূকুটি গে� না� ‘কিন্ত� চাঁদনি � যেখানে সেখানে পাবে না বাপু�, শেষটায� বললে� তিনি� কানা� তবুও কবিরাজের কথ� মানত� নারাজ। যেখানে� পাওয়া যা� কানা� বাবাকে বাঁচাত� যাবে চাঁদনি গা� আনতে� কিন্তু শে� পর্যন্� কানা� কী পারব� বাবাকে বাঁচাত�?

🍞 পা� প্রতিক্রিয়া 🍞

সত্যসত্যজি� রায়ের লেখনী� মধ্য� এক ধরনে� মজ� আছে। হু� করেই পড়ে ফেলা যায় এক বসায়। এব� রসবোধে� � পরিচয় আছ� কিছু কিছু গল্পে।

এই শিশুতো� বইটি লেখা হয়েছে একদম ছোটবেলায� আমরা যেমন রুপকথা� গল্প পড়তাম সেভাবে� প্রতিট� গল্প আমাদের মন� করিয়ে দেবে সে� ছোটবেলায� পড়া রুপকথা� গল্পের স্মৃতি� শব্দচয়ন, গল্পের প্লট বে� ভালো লাগলো। পড়ে আনন্� পেয়েছি। ছোটদের জন্য� সত্যজি� যে এম� দারু� লিখেছে� যে আসলে� বোঝা যায় গুনী� গুন।

প্রতিট� গল্প� আলাদ� আলাদ� সময়, প্রেক্ষাপট� তব� দুটো গল্প� শেষট� অনেকটা মিলে গে� যেন। আগেই ধারণ� করতে পেয়েছিলাম� তব� ওই যে বললা� পড়ত� ভালো লেগেছে� শিশুদে� জন্য এই বইটি হত� পারে ভালো অপশন অবশ্যই�

আম� মশাই বাচ্চাকাচ্চাদে� বই পড়ে বে� মজ� পাই। এই ধারা অব্যাহ� থাকবে। আশ� করছি ইনশাআল্লাহ আর� ভালো বইয়ের খোঁজ পাবো�


🍞বইয়ের নামঃ "সুজন হরবোলা"
🍞লেখক� সত্যজি� রায়
🍞ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�/�
flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read সুজন হরবোলা.
Sign In »

Reading Progress

April 11, 2025 – Started Reading
April 11, 2025 – Shelved
April 12, 2025 – Finished Reading

No comments have been added yet.