Rehnuma's Updates en-US Sun, 27 Apr 2025 01:14:24 -0700 60 Rehnuma's Updates 144 41 /images/layout/goodreads_logo_144.jpg Friend1421142755 Sun, 27 Apr 2025 01:14:24 -0700 <![CDATA[<Friend user_id=135471196 friend_user_id=69598806 top_friend=true>]]> Review7503922725 Tue, 22 Apr 2025 00:52:52 -0700 <![CDATA[Rehnuma added 'তাহা� বাড়� অন্য কোথা�']]> /review/show/7503922725 তাহার বাড়ি অন্য কোথাও by Monowarul Islam (মনোয়ারুল ই... Rehnuma has read তাহা� বাড়� অন্য কোথা� (Hardcover) by Monowarul Islam (মনোয়ারুল ইসলা�)
❛এমন অদ্ভুত দর্শ� প্রাণী কে� দেখেছে কি কোথা�?
দেখব� কী কর�?
তাহা� বাড়� যে অন্য কোথা�!�

এই পৃথিবীতে ব্যাখ্যা� বাইর� ঘটনা� শে� নেই। আমরা যা� ব্যাখ্যা পাইন�, যে ঘটনা প্রকৃতির স্বাভাবি� নিয়মক� বাঁধ� দেয় তাকে আমরা অতিপ্রাকৃত হিসেবে না� দেই। এই বিপুলা পৃথিবী� সব রহস্� উদ্ধার করার সাধ্যি তো আমাদের নেই।

আঠারোশ শতকে� শে� দিকে� কথা। বিষ্ণুপু� জমিদার� চলছে দারুণভাবে। প্রজাপ্রেমী হিসেবে খ্যা� জমিদার অনুপ রায় প্রজাদের জন্য কা� করছেন। সকলে� তাকে সম্মান করে। স্ত্রী অনুরাধাক� নিয়� বে� কাটছ� সময়� তব� একটু কপাল� ভাঁজের ব্যাপা� বাড়ির কুয়ার জল দিনক� দি� শুকিয়� যাচ্ছে� স্ত্রী বন্ধ কুয়াট� পুনরায� খন� করতে চাইছ� কিন্তু অনুপ রায়ের মত নেই। মাটি দিয়� বন্ধ কর� এই মু� খোলা তা� বংশে বারণ� কারণটা বলাও বারণ� স্ত্রী� তা� মু� বেজার।

সময় পেরিয়� বর্তমানে আস� যাক।
সুনন্দ� ব্যাংক� চাকর� পেয়েছে। পোস্টি� হয়েছে কুমারী নামে� গ্রামে� মন� মন� যেমনটা চেয়েছিল তা� পোস্টি� কোনো গ্রামে হো�, সে এক� থাকবে। এখান� এস� গ্রামে� দারু� পরিবেশ বে� লাগে তার। একটা বাসা� অফিসের পিয়নে� সাহায্যে পেয়� যায়� বাসা না বল� রাজবাড়ী বল� ভালো� এত বড� বাসা, চারদিক� গাছপাল�, সবুজের মায়ায� ভর্তি। এত বড� বাড়িত� একলা থাকা বিশা� ব্যাপার। তবুও মানিয়েই যাচ্ছি� সুনন্দার�
তব� একলা থাকা কদ্দিন ভালো লাগে� কিছুদিনে� মধ্যেই আর ভালো লাগছিল না� কেমন একটা ভয� ভয� ভা� এসেছে। বাড়ির পিছন দিকটায� ছুটি� দি� একটু ঘুরেছি� সে� আর এজন্যই রান্না কর� মেয়েট� বানেসা অবাক হয়েছিল। মানা করেছিল যেতে� কিন্তু কে�? এই বাড়িটাই বা এম� অস্বাভাবিক ঠান্ডা কে�?
ছাতি� গাছট� দেখে কেমন জীবন্ত লাগছিল� এম� গর� আবার জীবন্ত গা� হয�? গাছে আবার পেরে� দেয়া। পেরেকগুল� কেমন ঠান্ডা� অদ্ভুত ব্যাপার। এদিক� কোত্থেকে একটা এক চো� কানা কা� এস� হাজি� হয়েছে� ভয়ানকভাবে ডাকে� একলা এই বাড়িত� আর না� তব� যাওয়া� আগ� একটা কা� করতে হবে।

আবার অতীতে ফিরে যাওয়া যাক।
মন� ফজরে� পরেই ঘা� কাটত� বেরিয়েছ� গরুর জন্য� তব� আজকে� দিনট� অন্যান্য দিনে� মত� না� কেমন জানি লাগছে। কে� কি আছ� তা� সাথে? পানিতে কী জানি একটা থপথপ করছে� এরকম এক� এরপর অদ্ভুত এই শব্দ যে� কদিন আগ� ঘট� ইদ্রিস আলী� ঘটনাটা মন� করিয়ে দেয়� জমিত� কেমন ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছি� তা� খাওয়া দেহটা। কোনো মানু� বা প্রাণী এম� করতে পারে?
এই চিন্তা করতে করতে পানিতে সে যা দেখল তা� ব্যাখ্যা নিজে� কাছে� নেই। অন্যকে কী বিশ্বা� করাব� সে�
ওদিক� মনুর বাড়ির কুকু� কালু সকাল থেকে� কেমন কর� ডাকছে।
অনুপ রায়ের জমিদারিত� আবার ঘন মে� দেখা দিচ্ছে তবে। না হয� একইভাব� ছমির� তথ� মনুর মাকে বন্ধ ঘর� কে ঠি� ইদ্রিসের ধরনে� খেয়� ফেলব�?

আর� অতীতে চল� যাওয়া যায়� ১৮০০ সা� তখন। জমিদার বিষ্ণু রায়ের জমিদারিত� এম� ঘটনা ঘটলো যা� ব্যাখ্যা নে�, যা জানব� না অন্য কেউ। তব� এই ঘটনা যুগে� পর যু� বয়ে বেড়াত� হবে।


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝তাহার বাড়� অন্য কোথাও❞ মনোয়ারু� ইসলামে� অতিপ্রাকৃত উপন্যাস।
১৬� পৃষ্ঠা� উপন্যাসট� অল্প সময়েই পড়ে নেয়� যায়� উপন্যাসে� কাহিনি এগিয়েছে মো� তিনট� সময়ে। অতী�, অতীতে� অতী� আর বর্তমান। যেখানে প্রাধান্� ছি� অতী� আর বর্তমানের।
শুরু থেকে� একটা অজান� ধোঁয়াশা দিয়েই এগিয়েছে গল্প� অতীতে� কোনো ব্যাপা� যা বর্তমানে� মানু� তেমন জানে না, শুনে এসেছ� তাদে� পূর্বপুরুষ থেকে� অতিপ্রাকৃত গল্প� যেমন থাকে তাই। তব� এখান� ভূতপ্রেতের ভয� থেকে� ভয� জাগানিয়� ছি� পরিবেশ� ভয়ংকর সুন্দর পরিবেশের মাঝে একটু অতিপ্রাকৃত সত্তার উপস্থিতি বে� দারু� ছিল।
বর্তমানে� ঘটনা� সাথে তা� মিলিয়� চলেছ� অতীত। তব� যেসব গল্প অতী�-বর্তমা� মিশে� থাকে সেসব ক্ষেত্রে কে� জানি আমার কাছে মন� হয� অতীতটাই বে� উজ্জ্ব�, আকর্ষণীয় বা উপভোগ্য। এখানেও অতীতে� ঘটনা বে� দারু� ছিল। বর্তমা� সেখানে একটু মিইয়ে গেলে� গ্রাম্� পরিবেশের বর্ণনায় সেটা পুষিয়� গেছে�
লেখক কুমারী নামক গাঁয়ে� জমিদারবাড়ির খু� সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন� প্রকৃতির রূপে� খেলা, সেইসাথ� একটু ভয� ধর� আব� বে� দারু� ছিল।
বই আগাচ্ছিল কিন্তু সে� অদ্ভুত বর্ণনা পাওয়া সত্তার ঠিকুজি বুঝত� পারছিলাম না অথ� দেখছ� বই ফুরিয়� আসছে� তব� আকাঙ্ক্ষ� পূরণ করতে� যে� সে সম্পর্কে জানা গেল। শেষট� সুন্দর ছিল। তব� এক্ষেত্র� চাইল� কিছুটা লেখা বাড়তি থাকল� মোটে� বিরক্ত� থাকত� না�
উপন্যাসে� শেষে� এসেছ� দূরবর্তী অতীতে� কথা। যা পুরো উপন্যাসে� জট খুলত� সহায়ক ছিল। তবুও প্রশ্ন রয়ে গেছিল।
একদম গা ঠকঠক কর� ভয� ধরান� না হলেও অতিপ্রাকৃত কিংব� ব্যাখ্যাতী� বর্ণনা দারু� ছিল। শেষট� আম� আরেকটু ব্যাখ্যা কিংব� আর� কিছু পৃষ্ঠা আশ� করেছিলাম� শেষে� দিকে� অতীতে� বর্ণনায় কিছুটা তাড়াহুড়ো লক্ষ্য করেছি। সময় নেয়� যেত।
এছাড়া গ্রামে� সাথে শহরে� বর্ণনা� পুরো ব্যাপারট� বে� ছিল। ভালো লেগেছে সুনন্দার ঢাকা� বাড়ির বর্ণনা� একইসাথ� কুমারী গ্রামে ভাড়� নেয়� বাড়ির কথাও�
তব� অতিপ্রাকৃত বইয়ের ক্ষেত্রে যা হয� একটা পুরোনো বাড়� যেখানে কিছু ঘটনা আছ� এম� বাড়িত� যখ� কাঠমিস্ত্র� এল� সে এসেই নিঃসংকোচ� কা� করতে শুরু করলো ব্যাপারট� বেমানান।
এখানেও লেখক কুকু� মে রে দিয়েছেন� আগের লেখা ক্রমিক খু নি ঘরনা� বইগুলোতে� ব্যাখ্যা ছাড়�, কারণ ছাড়� কুকু� মা রা� ব্যাপা� ছিল।


চরিত্র:

সুনন্দ� চরিত্রটা আমার বে� লেগেছে� দু� বাড়ির পরিবেশের সাথে� কেমন কর� যে� এক চরিত্রটা দারু� মানিয়� গেছে�
অনুরাধ� দেবীকে ভালো লেগেছে� জমিদার পত্নী� যেমন হওয়� উচিত তেমন� ছিলেন। একটু জে�, অনেকটুকু মায়�, দায়িত্ববোধে� মিশে� ছিলেন।
অনুপ রায়কে বে� লেগেছে� প্রজাপ্রেমী জমিদারের কথ� পড়ত� ভালো লাগে বেশ।
ছমির� চরিত্রটা আমার কাছে শক্তিশালী লেগেছে� বয়স, অভিজ্ঞতা, অনুভূতির প্রগাঢ়ত� মিলিয়� গ্রাম্� সহ� এই চরিত্রটা� কেমন যে� মুগ্� কর� ছিল।


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

বইয়ের প্রচ্ছদট� আমার একেবারেই ভালো লাগেনি� কিন্তু প্রচ্ছদে� সাথে বইয়ের কাহিনি ওতপ্রোতভাব� জড়িত। ভয়ংকর বা বল� যায় কিম্ভুতকিমাকার যে ছবিট� প্রচ্ছদে দেখা যায় সেটা� পুরো উপন্যাসে� প্রা� কিংব�....
বইতে বানানে� ভু� ছি� বেশ। উড়ে কে কে� ওড়ে লেখা হল� বুঝলাম না� ইদানিং দেখি উঠ� কে ওঠ�, উড়ানো কে ওড়ানো এম� লিখে সে� ধারাবাহিকতায� তা� লেখা হল� নাকি কে জানে� অন্যধারা� সম্পাদনায় আর� মনোযোগী হওয়� দরকার।


❛কিছ� সত্তার বা� অজান� জগতে� সেখানে হয়ত� তারা নিরী� কেউ। কিন্তু পরিচিত জগতে এস� এরাই � ক্� মাংসের প্রাণী� জন্য ভীতিকর হয়ে দাঁড়ায়� যা� বাড়� যেখানে না সেখানে কি সে মানানস�? তাহা� বাড়� অন্য কোথা�, কিন্তু কোথায়?� ]]>
Review7405241329 Sat, 15 Mar 2025 09:54:01 -0700 <![CDATA[Rehnuma added 'নয়পৌর�']]> /review/show/7405241329 নয়পৌরে by Shuhan Rizwan Rehnuma has read নয়পৌর� (Hardcover) by Shuhan Rizwan
❛আটপৌর� জীবনের ❛নয়পৌরে� গল্প!�
সুহা� রিজওয়ানকে আমরা চিনি ভারী বিষয়ে লেখা উপন্যাসে� জন্য� তব� লেখক নিজে� পরিচিত গন্ড� থেকে বেরিয়� এবার হাজি� হয়েছে� গল্প সংকল� নিয়�! আটপৌরে জীবনের গল্পগুলোকে প্যারাসাইকোলজি, হর�, ফ্যান্টাসি, বৈজ্ঞানি� কাহিনি� মধ্য দিয়� বানিয়েছেন ❝নয়পৌরে� গল্প সংকলন।
তো দেখা যা�!
কখনো কি মন� হয� এই যে আমরা সোশ্যা� মিডিয়ায� এত নিয়মি� থাকি, যে আইডিটা আমাদের এত প্রিয় তা� ভবিষ্য� কী? মানে নশ্ব� এই দুনিয়� থেকে আমরা বিদায় নিবো কিন্তু আইডি রয়ে যাবে�
কে� যদ� এই মৃ � লোকে� আইডি গুলো নিয়� বিজ্ঞাপন ব্যবসা কর� তব� কেমন হয�?
❛ড� � সোলস� এমনই এক গল্প বল�!
গোগোলে� এক� নামে� উপন্যাসে� থেকে না� নিয়� লেখক অদ্ভুত এক গল্প বলেছেন� এক� সাইফাই কিংব� ডিস্টোপিয়ান ধাঁচের গল্প বল� যায়� ভালো লেগেছে�
দীর্ঘদিন অসুস্থতা� জন্য অফিস কামা� করেছ� সাদিয়া। তা� রোগট� অদ্ভুত� এক� কী কর� ব্যাখ্যা কর� যায় জানা নেই। রোগী দেখত� গিয়� অরণী আর পারভী� এম� এক গল্প শুনে আস� যা মনের মধ্য� তৈরি কর� ভয� আর পাকিয়� দেয় ❛জট❜�
গল্পটা পড়ে ভয� তো লাগবেই� আদতে� যদ� এম� কিছু হয� তব� কী করার থাকব�? লেখকের ভিন্� ধারা� চিন্তা থেকে� সৃষ্টি এই গল্পের এব� অবশ্যই কেমন শিরশির� অনুভূত� দেয়�
কোরবান� ঈদের আগের দি� ❛ছ� রি ধার❜ করতে গিয়� নাফি� শুনে অদ্ভুত এক কথা। এও হয� নাকি? তব� আমাদের মস্তিষ্ক যা শুনে তা নিয়� চিন্তা করতে গিয়� দেখা যায় বাস্তব আর কল্পনা� ব্যবধা� হারিয়� ফেলে� কিন্তু তা� বল� মাথা� তীব্� অশান্তিক� শান্� করতে নাফি� কো� পথ অনুসরণ করছে?
এই গল্পটা� সাথে কোরবানির ইতিহাসকে লেখক একসূত্রে গেঁথেছেন� শে� লাইনটুকু অবাক কর� দিবে আবার নিজেকে কোনো উপসংহা� বাতল� দিবে� এই গল্পটা বেশ। মেদহী� কিন্তু চমকে দেয়ার মতো।
আফজা� সাহে� ❛বাজি❜ ধরতে ধরতে নিজেকে বে� লাভবান কর� ফেলেছিলেন। তব� একটু রয়ে সয়ে কা� করলে হয়ত� আজকে এম� দশ� হয� না� বেশি লো� যে করতে নে�, আর এর ফল যে কখনো� ভালো হয� না এট� বুঝত� বুঝত� ক্ষত� যা হওয়ার তা হয়ে� গে�!
ক্রিকেটে� বেটি� নিয়� গল্পটা ইন্টারেস্টিং� শেষট� অনুমেয� তব� কিছুটা প্লট হো� রয়ে গে� মন� হয়। এই গল্পটা মোটামুটি লেগেছে�
কাছে� মানুষটার সাথে চলতে চলতে তা� নাড়িনক্ষত্র সব হাতে� তালু� মত� চেনা হয়ে যায়� সে� মানুষটার আচরণ� যদ� একটু এদিক সেদি� হয� তো সন্দেহ দানা বাঁধতে� পারে� কামা� সাহেবে� স্ত্রী� তা� সন্দেহ� তব� তা� সাথে থাকা এই মানুষট� কি কোনো ❛দ্বিতীয় জন�?
এরকম প্লটের গল্প পড়েছি� শেষট� বুঝত� পেরেছিলাম। মোটামুটি ছিল।
❛সঙ্গী� ছাড়� বাঁচ� যায়? পাহাড়ের তাদে� নিয়� মর� ছাড়� এক� থাকা যাবে না� তা� আগের মরদে� দে� রাখা� কয়দিনের মাঝে� খিলু দিদিমা বললে� ঝুমর� যে� নিজে� জন্য মেলা থেকে নতুন কাউক� খুঁজ� নেয়� এবারের মেলায় তা� তেরো বছ� বয়সী কন্য� আদুরীকে� নিক। তাকে� একসময় তো বাছত� হব� সঙ্গী� পাহাড়ের নারী আর নদী� পুরু� এইভাবে� সঙ্গী জোড় বাঁধতে হয়। ঝুমর� তব� এবার কো� নদী� পুরুষে� সাথে চতুর্থবারে� মত� জোড় বাঁধবে?
এই গল্পটা আমার অনেক ভালো লেগেছে� পাহাড়� কিংবদন্ত� নাকি ফ্যান্টাসি বলবো? শেষট� চমকে দিয়েছিল� আম� শেষট� কল্পনা করছিলা� এম� কেমন� হয�! সংকলনে� সবথেকে অদ্ভুত কিন্তু চমকে দেয়� গল্প ছি� এটি।
❛স্বপ্ন❜ দেখে বিশে� কর� দুঃস্বপ্� দেখে ঘু� ভাঙল� মাথা থেকে ব্যাপারট� সরান� যায় না� আর স্বপ্ন যদ� হয� আসন্� যাত্রা নিয়� তখ� কেমন লাগে? এমনটাই হল� নাদিমের। স্বপ্ন কি তব� আসন্� বিপদের সংকে� দেয়? কিন্তু সে� সংকেতে� অর্থ ঠিকভাব� যদ� ধরতে না পারে তখ�?
এই গল্পটা� মোটামুটি� প্লট পরিচিত� শেষটাও অনুমেয়। তব� শেষট� লেখক তা� লেখা� গুনে এমনভাব� করেছেন যে আফসো� লাগব� নাকি হতাশ হয়ে যাবো দোটানায় ছিলাম।
কখনো যদ� জানত� পারি বিশ্বব্যাপী এম� কোনো ঘটনা যা বে� ভুগিয়েছিল দুনিয়াক� তা� শুরুটা এই সুজল� সুফল� দেশে, তখ� কেমন লাগব�? হয়ত� এই শুরু� ঘটনা কে� জানে না� কিন্তু অজপাড়াগায়ে� কে� জানে� এমনট� হয� আসলে�?
মনিরের গল্প শুনে আর সাক্ষা� তাকে দেখে কথ� যারপরনাই বিস্মিত। শুরুতে তা� গল্প শুনত� যদিও একদম ইচ্ছ� ছি� না� কিন্তু ধীরে ধীরে যা শুনল� তা� ব্যাখ্যা আদতে সে নিজে� জানে না� ❛মাছের বাজার❜ � কাদাপানি� দিনে না যাওয়া� তব� উত্ত�!
এই গল্পটা কেমন গা রি রি কর� অনুভূত� দেয়� পড়ত� গিয়� কেমন যে� লাগছিল� ভাবনাট� আসলে� অদ্ভুত এব� চমকে দেয়ার মতো। আমাদের অজান্তেই কত কী ঘট� যাচ্ছে, কত কিছু পরিকল্পন� চলছে আমরা জানিনা� আর এখান� তো পুরোটা� নতুন এক বস্ত�! এই গল্পটা� ভালো লেগেছে� বিশে� কর� শেষে� দিকে� শুরুতে তেমন আগ্র� পাচ্ছিলা� না�
কৈশো� বা তরুণ কালে নী� ছবির প্রত� আগ্র� অনেকের থাকে� সে� আগ্র� থেকে� কয়েকজ� বন্ধ� হল� বস� উপভো� কর� এক্স রেটে� এক ছবি। সিডি থেকে দেখা এই ছব� তারা ভুলে� যায়� কিন্তু বন্ধ� দল মিলে বান্দরবা� ট্যু� দিতে গিয়� বাংলোত� মুখোমুখি হয� এম� এক অভিজ্ঞতা� যা তিনজ� তরুণকে একেবার� কুঁকড়� দেয়� ❛সিড�-সংক্রান্� জটিলতা� তাদে� ট্যু� তো মাটি করেই সেইসাথ� উন্মোচ� হয� তিতা কিছু সত্য�
এই গল্পটা একটু জটিল ছিল। তব� মানব মনের গহী� গোপন ব্যাপারক� লেখক প্রকাশ করেছেন নিপুণভাবে। রগরগ� হলেও গল্পটা বে� ছিল।
তো এই ছি� গল্প সংকলনে স্থা� পাওয়া নয়ট� গল্প� ভিন্� প্লট, লেখা� সাবলীলত� মিলে বইটা ভালো ছিল। বর্তমানে� লেখকদে� মধ্য� সুহা� রিজওয়ান আমার অন্যতম প্রিয়� পরিচিত গন্ড� থেকে বেরিয়� এই ধরনে� গল্প যেখানে বর্ণনা� আতিশয্� নে� কিন্তু রে� আছ� গভী� এম� লেখা� জন্য তাকে সাধুবা� জানাতে� হয়। সবগুলো গল্প� যে উপভোগ্� ছি� এম� নয়। কিছু কম� প্লট ছি�, কিছু গল্প মোটামুটি ছিল। তব� মোটে� উপ� উপভোগ্য। হয়ত� আর� ভালো হত� পারতো। কারণ প্রিয় লেখক বলেই তা� কা� থেকে আকাঙ্খ� সবসময়� বেশি�
ছোটো গল্প লেখা আমার কাছে মন� হয� উপন্যা� লেখা থেকে� জটিল� আর সে� ছোটো গল্পের সংকল� নিয়� রিভি� কর� বরাবরই আমার কাছে কষ্টসাধ্� একটা ব্যাপার। চেষ্টা করেছ� তবুও�
প্রচ্ছ�:
প্রচ্ছদট� বই পড়া� পর বইয়ের সাথে খু� বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ মন� হয়েছে� বইটা গল্পের সাথে� প্রতীকী অর্থ� ব্যবহা� হয়েছে প্রচ্ছদ। দারু� ছি� ব্যাপারট�
❛নয়পৌরে জীবনের অবাস্তবতার মাঝে� আটপৌরে জীবনযাপন কর� যেতে হয়। সেখা� থেকে� তৈরি হয� গল্প, তৈরি হয� নতুন কোনো জগৎ।�


]]>
Review7396669043 Wed, 12 Mar 2025 09:51:42 -0700 <![CDATA[Rehnuma added 'মক্ক� মদিন� জেরুজালে�']]> /review/show/7396669043 মক্কা মদিনা জেরুজালেম by Abdullah Ibn Mahmud Rehnuma has read মক্ক� মদিন� জেরুজালে� (Hardcover) by Abdullah Ibn Mahmud
❛আব্রাহামি� ধর্মের তথ� তি� সেমেটি� ধর্মের পবিত্র নগরী হিসেবে মক্ক�, মদিন� আর জে রু জালে মে� আছ� আলাদ� তাৎপর্য। শত সহস্� বছ� ধর� ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছ� এই তি� নগরী� মুসলিম, খ্রিস্টা� এব� � হু দীদে� কাছে তীর্থস্থান� এই তি� নগরী� আছ� ইতিহাস� এক� ঘিরে আবর্তি� হয়েছে রাজনীতি, ব্যবসাসহ নানা অজান� ব্যাপার।�


মক্ক�

ইসলা� ধর্মানুরাগীদে� কাছে পবিত্রতম নগরী হল� মক্কা। যেখানে আছ� আল্লাহ� ঘর কাবা, মসজিদু� হারা�,আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের � জন্মভূমি� মক্কার পুরো না� ❛মাক্কাহ আল-মুকাররামাহ❜। ইতিহাসের গলিত� ঢু মারল� এই নগরীটি� অতী� জানা যায়�
মক্ক� নামট� আগ� ছি� না� এক� ডাকা হত� বাক্কা নামে� এছাড়া� ইতিহাসবিদদের এই নগরী নিয়� আসছে অবাক কর� গবেষণা� আপনি যদ� শুনে� কে� দাবি করছে মক্কায� আসলে আমাদের নবীজী� � জন্ম� হয়ন�, পুরো ঘটনা আবর্তি� হয়েছে অন্য কোনো নগরীতে যা কালে� বিবর্তনে ধ্বং� হয়ে গেছে!
এছাড়া� মক্কার কাবা শরিফের ইতিহাস বিস্তর� বর্তমানে� কাবা� মডেল ইব্রাহিম (�) এব� ইসমাইল (�) এর তৈরি কর� মডেলের মত� নয়। আছ� কিছু ভিন্নতা।
পবিত্র নগরী� ইতিহাস জানত� গিয়� জানা যায় যে শহরে � ক্তপাত নিষিদ্� সে নগরও ভিজেছি� মানুষে� শোণিতে� হ্যা�, প্রাচীনকাল থেকে নিকটতম অতীতে� কাবায় আক্র মণ হয়েছি�, ঝরেছিল � ক্ত।
এছাড়া� জমজম কূপে� ইতিহাস, কালো পাথর, কাবা� চোখধাঁধানো সে� গিলা� নিয়� আছ� ইতিহাস� মন� আছ� তো মহানবী � জন্মের ঠি� আগ মুহুর্তে ঘটেছিল আব্রাহার বাহিনী� সে� অভিযান যেখানে আল্লাহ� পাঠানো আবাবিলের ঝাঁকের অলৌকিক কীর্তিতে ইতিহাসের রচনা হয়েছি�?
মক্ক� এব� আশপাশে� দেখা� মত� স্থানে ধর্মপ্রা� মুসল্লির� দর্শ� করে। ইসলামে� ইতিহাসের নিদর্শ� দেখে এব� উমরা করতে আসে। মক্ক� অত� প্রাচীনকাল থেকে� ধর্মীয় ক্ষেত্রে ছি� পবিত্র, আছ� এব� থাকবে।


মদিন�

মুসলিমদে� দ্বিতীয় পবিত্রতম নগরী মদিনা। যা� পুরো না� ❛মদিনা� আল মুনাওওয়ারাহ❜। তব� অবশ্যই জানা আছ� নবীজী� � রওজা মুবারক অবস্থি� এই জায়গাটি আগ� মদিন� নামে ছি� না� এর পূর্বনাম ছি� ❛ইয়াসরিব❜� ইসলা� প্রবেশের পর ধীরে ধীরে এর না� হয� মদিনা।
হিজরতে� পর নবীজী � মদিনায� বসবা� করেন এব� এখান� থেকে� ইসলামে� প্রচার করতে থাকেন।
মদিনার ইতিহাস সম্পর্কে বেশিরভাগটা� এসেছ� মহানবী� � হিজরতে� পর�
আজকে আমরা যাকে সৌদি আর� নামে জানি আপনি কি জানে� এই নামট� মূলত একটি পরিবারের না� থেকে এসেছ�?
❛সৌদ� পরিবারের কাছে ক্ষমতা যাওয়া� পর থেকে� আমরা সৌদি আর� নামে জানত� শুরু করি। কিন্তু কীভাবে হা� বদ� হয়ে এল� সৌদি পরিবারের কাছে ক্ষমতা? কীভাবে� বা তারা অর্থনীতিতে এতটা সমৃদ্ধ হল�? এই ইতিহাস অবাক করবে� তর� সোনা তথ� পেট্রো দিয়� এব� পর্যটনের মাধ্যম� দেশট� নিজেকে উন্ন� করেছে। এই নগরী� আশপাশে� আছ� দেখা� মত� অনেক স্থান। এরমধ্য� অবশ্যই আছ� মসজিদে নববী, নবীজী� � রওজা মুবারক সহ নানা মসজিদ।


জেরু জালে �

এই নগরী তি� সেমেটি� ধর্মের জন্য� বিশেষভাব� গুরুত্বপূর্ণ� এট� মুসলিমদে� প্রথ� কিবল� (� হু দীদে� কিবল�), মাসী� তথ� খ্রিস্টে� জন্মস্থা�, � হু দী দে� প্রমিজ� ল্যান্ড। এখানেই আবার ফিরে আসবে� ঈস� (�) তথ� যীশু খ্রিস্ট। এখানেই আবির্ভূত হবেন � হুদী দে� রক্ষাকর্তা� যে তাদে� পবিত্রভূমি উদ্ধার কর� দিবে এব� এখানেই নির্মি� হব� ❛থার্ড টেম্পল অফ সলোমন❜�
জে রুজা লেমে� ইতিহাস বহ� প্রাচীন। এক� কেনা� ভূমি নামে ডাকা হতো। ইয়াকু� (�) কে আল্লাহ স্বপ্ন দেখা� এব� একটু প্রতিশ্রুত ভূমি দিবে� বল� জানান। এখানেই নির্মি� হয� মসজিদু� আকসা� যা কালে� বিবর্ত� হারিয়� গেছে� আছ� এখ� এলাকাট� আর সম্ভাব্য স্থান। বায়তু� মুকাদ্দা� এব� আকসা নিয়� আছ� অনেক বিতর্ক� জানা অজান� তথ্য আছ�, আছ� কিছু ভু� ধারনা। এখানেই মিরাজে� রাতে নবীজী � নামা� আদায� করেছিলেন�
আমরা যাকে মসজিদু� আকসা বল� জানি আদতে এট� নির্দিষ্� কোনো মসজি� নয়। একটি এলাকা। এখানেই আছ� সোনালী গম্বুজের সুন্দর সে� ❛ডোম অফ দি রক❜। এখানেই আছ� দ্� গোল্ডে� গেট। বিশ্বা� কর� হয� এই গে� দিয়েই ঢুকবেন ভন্ড মাসী� তথ� দা জ্জাল।
আমরা তো অনেক ধরনে� সিনড্রোমের না� শুনেছি� তব� নির্দিষ্� নগরী ভ্রমণে� পর কোনো সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার কথ� শুনেছে�? বৈজ্ঞানিকভাব� প্রতিষ্ঠিত না হলেও ❛জ� রুজা লে� সিন্ড্রোম❜ নামে অদ্ভুত এক রো� আছে। এব� এই সিনড্রোম� আক্রান্ত হয়ে মানু� হাসপাতালেও ভর্ত� হয়েছে�
জে রুজালে � পবিত্র নগরী� তব� এই এলাক� কা� অধ্যুষিত, কে এই এলাকার আস� দাবিদা� এই নিয়� চল� আসছে � ক্তক্ষয়ী এক বিবাদ। পবিত্র এব� প্রতিশ্রুত ভূমি� দাবিদা� বন� ইস রা ইল� কিন্তু এখান� আছ� ফি লি স্তি নিরা� এট� তাদেরও ভূমি� কুরআনে� সূরা মায়িদ� আয়া� ২১ � আছ�,
❛হ� আমার জাতি, তোমর� পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদে� জন্য লিখে দিয়েছেন এব� তোমর� তোমাদে� পেছন� ফিরে যে� না, তাহল� ক্ষতিগ্রস্� হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে।❜
এখান� মুসা (�) এর জাতিকে� বল� হয়েছে� যাদে� আমরা বন� ইস রা� � নামে চিনি�

তব� কুরআনে� সুরা বাকারা আয়া� ১২� � বল� আছ�,
❛আমা� অঙ্গীকা� অত্যাচারীদে� পর্যন্� পৌঁছাব� না।❜

নানা চুক্তি, হেলাফেলা মিলিয়� আজ এই শহ� সেমেটি� ধর্মের মানুষগুলোর জন্য পবিত্র� তব� কে আসলে দাবিদা� সেটা উল্লিখিত আয়া� ইঙ্গিত কর� না? আল্লাহ অত্যাচারীদে� সাথে কখনো� থাকে� না�
এখান� দর্শনীয় স্থা� আছে। মুসলমানে� মসজি�, � হু দী উপাসনালয�, খ্রিস্টানে� চার্� রয়েছে� তি� ধর্মের� পবিত্রতা বহ� কর� যাচ্ছে নগরীটি� এখানেই আছ� মিরাজে� সে� পাথর, আছ� বুরাকক� বেঁধ� রাখা দেয়াল, চার্� সহ নানা স্থাপনা।

আমাদের তি� পবিত্র মসজি� মসজিদু� হারা�, মসজিদে নববী এব� মসজিদু� আকসা তথ� বাইতুল মুকাদ্দাসে� অবস্থা� এই তি� নগরীতে� ইতিহাস সামন� আর� রচিত হবে। দেখা যা� সামন� কী কী ঘটে।


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝মক্কা মদিন� জে রুজা লে ম❞ বইটি আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের লেখা ধর্মীয় স্থানে� ইতিহাস বিষয়ক বই�
লেখক সেমেটি� ধর্মের ইতিহাস নিয়� বে� দারু� কিছু বই লিখেছেন। সেগুলো� বেশিরভাগ পড়া�
এই বইটিতে লেখক পবিত্র তি� নগরী� ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন� তব� গুরুত্বপুর্ণ, অজান�, আবার জানা কিন্তু ভু� ব্যাপারগুলোও খোলাসা করেছেন�

বইটি তিনট� ভাগে বিভক্ত নামে� মতোই� শুরু হয়েছে মক্কার ইতিহাস দিয়ে। বইটি� সিংহভা� জুড়েই ছি� মক্কার ইতিহাস� মক্কার ইতিহাস অনেক অনেক আগের� কীভাবে আজকে� এই মক্ক� হিসেবে বিশ্ববাসী� কাছে পরিচিত হল� এই নগরী তা� সংক্ষিপ্� ইতিহাস এনেছেন লেখক� উক্ত নগরী সম্পর্কে আপনা� ধারন� না থাকল� এখান� প্রথ� পা� হিসেবে সুন্দর একটু ধারন� পাওয়া যাবে� বাক্কা থেকে কীভাবে এল� মক্ক�, বিবি হাজেরা� ইতিহাস এব� ইসমাইল (�) এর ইতিহাস, হেজা� থেকে মক্ক� কিংব� হারিয়� যাওয়া পেট্রা� কথ� এসেছে। এসেছ� কাবা ঘরের ইতিহাস, এর আশপাশে প্রতিট� জিনিসে� ইতিহাস�

মক্কার পরেই দ্বিতীয় পবিত্র স্থা� মদিনা। মদিনার ইতিহাস এই বইতে নবীজী� � হিজরতে� পরের ঘটনা� বেশি প্রাধান্� পেয়েছে। ইয়াসরিব থেকে কী কর� আজকে� মদিন� এল� সে আলোচনা হয়েছে� তব� আম� কাছে সবথেকে আকর্ষণীয় লেগেছে সৌদি আর� নামে� পেছনের কথা। � সম্পর্কে আমার ধারন� খু� একটা স্পষ্ট ছি� না� এখান� সংক্ষেপে যা জেনেছি ভালো লেগেছে� সৌদি পরিবারের ইতিহাস, অন্তর্দ্বন্দ্ব, তাদে� নীতি, ক্ষমতায় আসার পর ওয়াহাবী নিদর্শ� এব� প্রাচী� অনেক স্থাপন� গুড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারগুল� এসেছে। তাদে� মাধ্যম� মদিনার উন্নতকরণ সেটা আদতে কতটা ইসলামে� জন্য ভালো বা বিশ্ববাসী� কাছে কেমন দৃষ্টি লেখক সে বিষয়ে� কিছু আলাপ করেছেন� সালাফি আর ওয়াহাবী মুভমেন্ট, বিশ্বা� নিয়েও আলোচনা করেছেন�

এরপর তৃতীয় পবিত্র স্থা� জে রুজা লেম। এই নগরী� ইতিহাস, বর্তমা� এব� সম্ভাব্য ভবিষ্য� নিয়� আলোচনা করেছেন� মসজিদু� আকসা, বাইতুল মুকাদ্দা� নিয়� যে ভু� ধারন� সেটা� আলোচিত বিষয� ছিল। তি� সেমেটি� ধর্মের বিশ্বা� এব� সামন� কী হব� এস� নিয়েও ধারন� দিয়েছেন লেখক�
তব� এই বিষয়ে আগ� বই পড়া থাকায় এব� লেখকের� কিছু লেখা পড়া� জন্য আমার কাছে অনেকগুলো তথ্য� বে� পুনরাবৃত্ত� মন� হয়েছে� প্রাথমিক ধারন� দেয়ার জন্য এগুল� অবশ্যই দরকার। জানা থাকায় আমার কাছে লেগেছে এক� তথ্য আবার পড়ছি। মূ� এই বইতে� কিছু জায়গায় এক� তথ্য এসেছ� তব� সেটা ব্যাখ্যা� প্রয়োজনে।

বইটি� সবথেকে ভালো দি� লেখক গদবাধা বর্ণনায় সীমাবদ্ধ থাকেনি� বর্ণনা� সাথে অনেকগুলো ছবির মাধ্যম� পাঠককে ভ্রম� করিয়ে এনেছেন পবিত্র সে� শহ� গুলোতেও। রঙিন ছব� হওয়ায� সেগুলো বুঝত� আর� সুবিধা হয়েছিল।
বইটি দারুণ। আপনি যদ� সেমেটি� ধর্মের পবিত্র নগরী� ইতিহাস সম্পর্কে জানত� চা� এব� কিছু প্রচলি� ভু� ধারন� ভাঙত� চা� বইটি সানন্দ� পড়ত� পারেন। তব� এগুল� সম্পর্কে অনেক বেশি ধারন� থাকল� হয়ত� বইটি আপনাকে খু� বেশি খুশি না� করতে পারে� তব� ইতিহাস বিষয়ক বই মাত্রে� আমার আগ্র� তৈরি হয়। বইটি পড়ে আমার ভালো লেগেছে� লেখক বইতে কিছু বিষয� উল্লেখ করেছেন যা নিয়� আগাগোড়া একটি বই দাড় করান� যায়� এস� বিষয� নিয়েও জানা� আগ্র� রইলো�


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

প্রচ্ছ� সুন্দর� বইটি� সম্পাদনা মোটামুটি ভালো ছিল। কিছু জায়গায় অভ্র থেকে বিজয� কনভার্� করার সময় ভু� রয়ে গেছিল। অনেকগুলো শব্দের মাঝে� ❛ড়❜ জাতীয় অক্ষ� ঢুকে গেছিল। মুদ্রণ প্রমাদ ছিল।
তব� বইটি� সাজসজ্জা নিয়� কথ� না বললে� নয়। এই বইটি আম� শুধু না� দেখে� নিয়েছিলাম� বইটি নেয়� পর বইয়ের ভেতর দেখে আম� মুগ্ধ। চা� কালারে তৈরি বইটিতে অসংখ্য ছব� আছ� এব� যা� কোয়ালিট� অনেক ভালো� বইটি� পৃষ্ঠা� রঙটা� দারু� এক কথায়। ২৭� পৃষ্ঠা� বইটি� মুদ্রি� মূল্� ৬০� টাকা কিছুটা বেশি মন� হলেও ভেতরের সাজসজ্জা দেখে আমার মন� হয়েছে দামট� একদম গল� কাটা না� অন্যধারা প্রকাশনী� সবথেকে সুন্দর বই আমার মত� এটি।


❛ইতিহাসে� সাক্ষী হয়ে পবিত্রতা� চিহ্� বয়ে নিয়� যাচ্ছে তিনট� নগরী� শে� জামানা� অনেক হিসা� হব� এইখানে� ততদিনে আমাদের বিশ্বা�, পবিত্রতা আর ভবিষ্যদ্বাণী� কতটুকু প্রকাশ পাবে? শে� সময় ঘনিয়ে আসছে� শুকিয়� আসছে ফোরাতে� পানি� গোপন� কি আয়োজন চলছে থার্� টেম্পল নির্মাণে�? গোল্ডে� গে� দিয়� ঐশীবাণী এসেছিল এক ধর্মের ধারনা। এখানেই দেখা হয়েছি� মাতা মেরি� সাথে তা� সঙ্গীর। এখান� দিয়েই কি ঢুকব� কেয়ামতে� অন্যতম লক্ষ� দা জ্জা �?� ]]>
Review7390904175 Mon, 10 Mar 2025 01:01:45 -0700 <![CDATA[Rehnuma added 'দা ভিঞ্চি ক্লা�']]> /review/show/7390904175 দা ভিঞ্চি ক্লাব by Mohammad Nazim Uddin Rehnuma has read দা ভিঞ্চি ক্লা� (Hardcover) by Mohammad Nazim Uddin
❛জগতের অনেকগুলো রহস্যে� মধ্য� আর্ট কিংব� শিল্� তথ� চিত্রশিল্প অন্যতম� রংতুলি� রংয়ের খেলায় কিংব� স্কেচে� আঁচর� তৈরি হয� নানা ছবি। যা� ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়� মানু� কাটিয়� দেয় যুগে� পর যুগ। শিল্পীমনের খেয়াল� একমাত্� জানে সে ব্যাখ্যা� বছ� পেরিয়� শততে গড়ায় সেইসাথ� বাড়তে থাকে শিল্পী� আঁকা ছবির রহস্য। এই যেমন, মোনালিসা� সে� রহস্যময় হাসি� পিছে কত মি� জড়িয়� আছে। আর এই রহস্যে� কিনারা করতে পাঁচ� বছ� পরেও চল� আসছে নানা তর্ক বিতর্ক� চলবে আর� অজান� সময় পর্যন্ত।�
আর্ট নিয়� যেমন মানুষে� কৌতূহল আছ� তেমন এই আর্টের আছ� বিশা� বাজার। যেখানে� টাকা পয়সার আনাগোন� সেখানে� আছ� এক নাম্বারী বা দু� নাম্বারী� উপস্থিতি� সুপ্রাচী� কোনো আর্ট মানে� এর বাজারমূল্য আকাশচুম্বী� ফায়দা নিতে অনেকেই চুরি কিংব� সুন্দর কর� বললে ❛কপি� কর� ফেলে বিখ্যা� চিত্রকর্মগুলো। কপ� হলেও দেখা যায় সেসব আসলে� কাছাকাছি কিংব� বিজ্� চো� ছাড়� ঠাওর কর� যায়না� চুরি করলে� তাকে একেবার� ❛স্টিল লাইক অ্যা� আর্টিস্ট� স্টাইল� কর� হয়। এস� সূক্ষ্� ব্যাপা� ধরতে� হয়ত� ❛আর্� ডিটেকটিভ� টার্মে� কিংব� � ধরনে� পেশা� আবির্ভাব�

গোয়েন্দ� মানে� শার্লক, ফেলুদা� মত� কে� কে রহস্যে� কিনারা করে। সেখানে মূ� থাকে অপরা�, খু � ইত্যাদি। তব� শিল্পে� আস� নক� বে� করার� গোয়েন্দ� থাকে? ফু� ডিটেকটিভ পযর্ন্� আছে। সেখানে আর্ট ডিটেকটিভ তো থাকতেই পারে! এই যেমন আমাদের ডক্ট� জে�!

ডক্ট� জে� এক রহস্যময়, একাকী আর বিচ্ছিন্� একজন মানুষ। জিনিয়াস বলতে প্রচলি� সংজ্ঞায় যা বুঝায় তিনি তাই। সব বিষয়ে তা� অদম্� কৌতূহল� সে� সাথে জ্ঞানও অনেক� এজন্যই লোকে তাকে বল� সবজান্তা� রহস্যময়, জ্ঞানী এই লো� শিল্পে� সমঝদার� তা� আগ্রহে� মূ� লিওনার্দ� দা ভিঞ্চি এব� তা� চিত্রকর্ম। তিনি এম� একটি ক্লাবে� সদস্� যা� না�,
❛দ� ভিঞ্চি ক্লাব❜� যাদে� মূ� উদ্দেশ্য ভিঞ্চি� কর� চিত্রগুলোর হদিশ কর� আদতে� এই শিল্পী� আঁকা কি না সেটা যাচা� আর সেগুলো সংগ্রহ কর� একটা জাদুঘর তৈরি করা। সেইসাথ� রহস্যময় ভিঞ্চি� জীবনের অজান� দিকগুলোও জানা� কেনন� অসম্ভব মেধাবী এই শিল্পী তা� পুরো জীবনকে এক রহস্যে� ভারী চাদর� লেপ্টে রেখেছেন। এত এত বছ� পরেও তিনি এক রহস্�, মিথ। তিনি হয়ত� বিশ্বা� করতে�,
❛Privacy is something you can sell, but you can't buy it back.�
এজন্যই নিজে� বিশ্বা�, জীবন আর মতামতক� একান্ত� ব্যক্তিগ� কর� রেখেছিলেন। যা� কিনা� মেলেনি আজও।

সালট� ২০২০ সালে� ফেব্রুয়ারির দিক। জেডে� মোবাইল� একটি কল এলো। তা� আগ্রহে� এব� সন্দেহের একটি বিষয� নিয়� গবেষণা� সুযো� এস� গেছে� ফোনট� তাকে করেছিল ফরাসী বন্ধ� লু� পাসকেল� তিনি তৈরি হবেন রোমযাত্রার জন্যে। তব� এরমধ্যেই আরেকটি ফোনক� এলো। কলের ওপাশ� তা� বন্ধুস্থানীয় আর্ট ডিলা� রিগবি। তাকে নিয়োগ দিয়েছ� পাঁচ� বছরে� পুরোনো এক পেইন্টিংয়ের তত্ত্বতালা� করতে� রিগব� আর্ট ডিলা� হলেও আর দশটা পয়সালোভী ব্যবসায়ী� মত� না� সে� ভিঞ্চি ক্লাবে� একজন সদস্� এব� আর্ট নিয়� তা� জ্ঞা� হিংস� করার মতোই� তো আমাদের জে� ব্যাগপত্তর গুছিয়� রওনা হয়ে গেলে� রোমে� উদ্দেশ্যে।
লিওনার্দ� দা ভিঞ্চি� এক রহস্যময় চিত্� ❛হলি বেবিস❜� এট� শেষবার কিনেছিলে� যিনি তা� কা� থেকে উত্তরাধিকা� সূত্রে� পেয়েছেন একজন ধন কুবের। ১৯৭৮ সালে পুনরায� লোকচক্ষু� সামন� আস� এই বাচ্চাদ্বয়ে� পেইন্টিং নিয়� তৎকালী� মালি� তা� নিজে� জীবনের প্রায় পুরোটা� ব্যয� করেছেন� কারণ যদ� প্রমাণ কর� যায় এট� আসলে� মায়েস্ত্রার আঁকা তব� এর বাজারমূল্য কেমন হব� সেটা বলার অপেক্ষ� রাখে না�
সময় পেরিয়� তা� ভাগ্নি এর মালি� হো� এব� শুরু করেন পেইন্টিংটি আদতে� ভিঞ্চি� আঁকা নাকি তা� খোঁজ� আর এখানেই আর্ট ডিটেকটিভ হিসেবে কা� করেন আমাদের ডক্ট� জেড।
চিত্রকর্মট� বে� নিরাপত্তার সহিত নির্দিষ্� ল্যাবে নেয়ার পথ� একটু ঝামেলা হয়ে গেলে� বে� ভালোভাবে� সামা� দেয়� হয়। এখ� এই বেবি� নিয়� শুরু হব� ❛অ্যাট্রিবিউশন❜। আর্টের ভাষায় এর মাধ্যম� ছবির আস� নক� যাচা� হয� কতগুলো ধাপে� মাধ্যমে। আর এই কাজট� করছে� ফরাসী লু� পাসকাল�
তিনি একজন আর্ট বিশ্লেষক� ইমেজিং সিস্টেমে� মাধ্যম� নির্দিষ্� তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহা� কর� সুপ্রাচী� পেইন্টিংয়ের রং, তৈরি� কাছাকাছি সময় ইত্যাদ� বে� করার দারু� এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন� বেবিরা� এই পদ্ধতিটি� ধাপে ধাপে নিজেদে� প্রমাণ করবে আদতে� এট� ভিঞ্চি� আঁকা নাকি�
ডক্ট� জে� এই কাজে সাহায্� করছে�, সেইসাথ� তালা� করছে� পরবর্তী ধাপের। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রোমে� নানা জায়গায়� করছে� বেবিদে� প্রভেইনেন্স। এই যাত্রায় তাকে একটু সঙ্গ দিচ্ছে ওরিয়ানা�
আচ্ছ� লুভরের লিসা কি আদতে� মোনা? এই প্রশ্ন একটা রহস্যে� মতো। লুভর মিউজিয়ামে অতী� কা� থেকে বর্তমা� পর্যন্� এই মোনালিসা নামক রহস্যময় হাসি� ছবিটির কোটি দর্শকে� নজ� কেড়� আসছে� আদতে এর রহস্� কি হাসিতে�?
ডক্ট� জে� আর লু� এই রহস্� নিয়েও কা� করছেন। একদিকে চলছে বেবি� হদিশ অন্যদিকে লু� এম� এক রহস্যে� কিনা� পেয়েছ� যা প্রায় টলিয়ে দিতে পারে শত শত বছরে� এক বিশ্বাসকে। আমরা যাকে জোকেন্দা তথ� লিসা নামে জানি তা� ভেতর যে লুকিয়� আছ� বা আমরা যাকে দেখত� পা� তারা আসলে কারা? ডক্ট� জে� তা� অপার জ্ঞা� দিয়� এম� এক সত্যের মুখোমুখি হলেন যা আলোড়ন সৃষ্টি করবে� তব� এর মাঝে� বিশ্� জুড়� তাণ্ডব দেখালো মহামারী করোনা। সবাই থমকে গেল।
তব� কি রহস্যে� কিনা� হব�? বেবি� কি এঁকেছিলে� স্বয়ং লিওনার্দ�? আর আদতে� কি ❛মোন� কিন্তু লিসা নয়❜?


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝দ� ভিঞ্চি ক্লাব❞ মোহাম্মদ নাজি� উদ্দিনের লেখা ভিন্নধর্মী একটি আর্ট ডিটেকটিভ ঘরনা� উপন্যাস।
এম� ধাঁচের লেখা এই প্রথমবার পড়া হলো। প্রচলি� অর্থ� গোয়েন্দ� কাহিনি কিংব� থ্রিলা� বলতে যা বুঝায় এই উপন্যাসট� এর ব্যতিক্রম। লেখকের অনেকদিনে� আকাঙ্ক্ষার ফল এই উপন্যাস।
উপন্যাসে লেখক আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বে�-বা স্টার্� দুনিয়ার একজন চরিত্র ডক্ট� জেডে� সাথে� যা� উপস্থিতি ছি� ❛নেমেসিস� উপন্যাসে খু� স্বল্প পরিসরে� এবার তিনি মূ� হয়ে এসেছেন আপ� দুনিয়ায়।
লিওনার্দ� দা ভিঞ্চি� জীবন আগাগোড়া রহস্যে ঘেরা� রহস্�, মি�, কনস্পিরেসি থিওর� আছ� তা� আঁকা চিত্রগুল� নিয়েও� এরমধ্য� বিখ্যা� ❛লাস্ট সাপার❜, ❛ভার্জিন অব দি রকস❜, ❛হলি বেবিস❜ আর অবশ্যই none other than ❛মোনালিসা❜� হারিয়� গেছে শিল্পী� আঁকা অনেক চিত্রকর্ম। যেগুলো উদ্ধার হয়েছে সেগুলো নিয়েও আছ� অনেক রহস্য। আদতে� স্বয়ং শিল্পী� আঁকা না উন্নতমানের কপ� কিংব� তা� শিষ্যদের আঁকা কি না এই নিয়� তত্ত্বের অভাব নেই। অভাব নে� বইয়ের� এক মোনালিসা নিয়েই বই আছ� অনেক�
লেখক উপন্যাসে এই এক� রহস্যক� সত্য দস্তাবেজ আর কল্পনা� মিশেলে মিলিয়� লিখেছেন। নাজি� উদ্দিনকে আমরা চিনি থ্রিলা� লেখক হিসেবে� যা� অত� দ্রু� গতির লেখা আর ক্ষণ� ক্ষণ� দেয়� রহস্যে� মোচড�, টুইস্ট টার্� পড়ে আমরা অভ্যস্ত। তব� এখান� লেখক বল� যায় নিজে� চেনা পরিচিত খোলস থেকে বেরিয়� ভিন্� এক গল্পের তৈরি করেছেন� যেখানে ক্ষণ� ক্ষণ� আপনা� চোয়াল ঝুলে যাবে না� কী হয� কী হয� ভা� নে� আবার কিছুক্ষণ পরপর লা শও পড়ছ� না�
ইতিহাসের দলিল, ভিঞ্চিকে নিয়� হওয়� গবেষণা এব� ভিঞ্চিবিদদের নানা ইতিহাসকে লেখক নিজে� মত� কর� গল্পের মধ্য� এনেছেন� অনেকগুলো সত্যের সাথে আপ� কল্পনা মিশিয়েছেন� কখনো পড়ত� গেলে মন� হতেই পারে এট� ফিকশনে� আড়ালে একটি নন ফিকশ� বই� তব� সবকিছু� যে নির্জল� সত্য সেটা ভেবে নিলে দায় নিজের।
লেখকের লেখা এমনিতে� যথেষ্ঠ দ্রু� গতির� সেইসাথ� ইতিহাসের এম� এক রহস্� নিয়� লেখক গল্প বলেছেন যা আমার মত� ইতিহাসপ্রেমী, রহস্� পছন্� কর� পাঠকের কাছে ভালো লেগেছে� ভাবতেই কেমন লাগে বিখ্যা� কোনো চিত্রকর্� যেখানে মিশে আছ� স্বয়ং কিংবদন্তিতুল্য এক আঁকিয়ের স্পর্শ� লেখকের বর্ণনায় ভিঞ্চি যে� বাস্তব হয়ে উঠ� এসেছিল� সেইসাথ� ভ্রম� হয়ে গেছি� রো�, বেলজিয়ামে� অলিগলিতে, কস্তির বস্তিতে।
আর্ট নিয়� এত বিশদ আলোচনা, আর্ট ডিটেকটিভের বিভিন্� টার্� নিয়� লেখক ধারন� দিয়েছেন� ব্যবহা� করেছেন অনেকগুলো ছবি। আমার কাছে মন� হয়েছে ছবিগুল� ব্যবহারে� কারণ� আর্ট নিয়� নোভি� হয়ে� ব্যাখ্যাগুলো বুঝত� সুবিধা হয়েছে� কিছু ছব� রিপি� ছি�, আর অল্প কিছু ছব� মন� হয়েছে না দিলে� হত�, তব� সেগুলো বিরক্তির পর্যায়ে যায়নি�
পুরো উপন্যাসে খু� খুবই স্বল্প পরিমাণ� ছি� বাংলাদেশের উপস্থিতি� পুরোটা� আবর্তি� হয়েছে ভিনদেশে। একমাত্� জে� ব্যতী� সকলে� বিদেশী� তা� সেখানে বিদেশী ভাষা� পরিমাণ বেশি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। যদিও সংলাপে� ক্ষেত্রে লেখক খু� বেশি ইংরেজী� সাহায্� নেননি। তব� ইতালির ভাষা� প্রয়ো� ছিল। Yes, no, very good (উদাহরণস্বরূপ) ধরনে� শব্দ উক্ত ভাষায় ব্যবহা� হয়েছিল। যেহেতু � ভাষা জানিনা বিধায় পড়ত� শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। তব� সামন� এগোত� এগোত� সেগুলো� অর্থ আপনা� বুঝে গিয়েছিলাম� তা� সমস্যা হয়নি। আমার মন� হয� এখান� পাঠক যদ� দেশী ভা� খুঁজতে যায় তব� সে নিশ্চিতভাবেই হতাশ হবেন� কারণ আদ্যোপান্ত বিদেশে� মাটিতে হওয়� ঘটনায় স্বাভাবি� ভাবে� দেশী ভা� বিরা� করবে না�
লেখক যথেষ্ঠ পড়াশোনা করেই নেমেছে� এই লেখায় সেটা প্রত� পৃষ্ঠা� বিপু� তথ্য� প্রমাণ করে। এত তথ্য পড়ত� গিয়� অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম। অল্পবিস্তর ধারন� থাকলেও সেটা ধর্তব্যে� মধ্য� পড়ে না�
শেষট� চমকে যাওয়া� মত� হলেও উপন্যা� পড়ত� পড়ত� � রহস্যটুক� আঁ� কর� গেছে� তবুও শেষট� লেখক করেছেন দারুণভাবে। শেষটায� এস� আপনি সত্য� মিথ্যা� এক অদ্ভুত দোলাচল� ভুগবেন� মোনালিসা যে রহস্যে� আঁধা� সে� রহস্যে� মধ্য� একটু আলোর ঝলকানিতে সন্দেহ হতেই পারে� কারণ এই চিত্রকর্� নিয়� কন্সপিরেসি থিওর� আর উপন্যা� পড়ে আমরা অনেকেই ব্রাউনিয� সিন্ড্রোমে আক্রান্ত� এখান� লেখক ❛লাস্ট সাপার❜ নিয়� মাঝে� দিকে এম� একটা তথ্য খোলাসা করেছেন যেটা আম� একসময় আসলে� সত্য ভেবেছিলা� (আমার জ্ঞানে� স্বল্পতা অবশ্যই)�
এছাড়া� লেখক উপন্যাসে� মাধ্যম� সমাজের কিছু অসঙ্গত�, অস্থিতিশী� কাজকারবা� এব� নিখাঁদ কিন্তু তিতা সত্যকে উপস্থাপন করেছেন� আমার কাছে সবথেকে ইন্টারেস্টিং লেগেছে শেলফ� শিকারিদে� কবলে� ব্যাপারটা। তিক্� হলেও আসলে সত্য ছিল।
ডক্ট� জে� কি আবার ফিরে আসবে� দীর্� লকডাউন কাটিয়�? নতুন কোনো রহস্যে� ব্যবচ্ছে� কিংব� অ্যাট্রিবিউশ� পাবো কি আমরা তা� থেকে?

চরিত্র:

অবশ্যই ডক্ট� জেড। লেখক তাকে উপস্থাপন করেছেন দারুণভাবে। শুরুতে সে� রহস্যে� চাদর� নিজেকে ঢেকে রেখেছিল। ভাবছিলাম কে এই জে�? কে� তা� না� জে�?
শেষে এস� তা� অতীতও খোলাসা করেছেন যা এই চরিত্রকে পূর্ণভাব� বুঝত� সাহায্� করেছে। জেডে� সাথে লেখক অতীতে� এম� একটা ঘটনা জুড়� দিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয় ছিল।

ওরিয়ানা চরিত্রটা খুবই নির্মল এব� মায়াবতী (বিদেশিনী� ক্ষেত্রে মায়াবতী শব্দটা কি খাটে?)� তাকে নিয়� একটু রহস্� করলে� পুরো চরিত্রটা খুবই সুন্দর ছিল। জে� এব� তা� বোঝাপড়া দারু� ছিল। এখান� একটা জিনি� খু� ভালো লেগেছে অযাচিত কোনো ১৮+ কিছু ছি� না� আগাগোড়া তথ্যবহুল বর্ণনা, চরিত্রদে� সুন্দর বোঝাপড়া� ছি� মূল। ওরিয়ানা� কোমল হৃদয� পাঠককে তা� প্রত� ভালো লাগা তৈরি করবে�

লু� এব� রিগব� চরিত্রটা বে� ছিল। মার্কাসকেও তা� নিজে� জায়গায় ভালো লেগেছে�

এখান� খো� লিওনার্দোকেই কি একটা আলাদ� চরিত্র হিসেবে ধর� যায়? লেখকের বর্ণনায়, জেডে� ব্যাখ্যায় তা� উপস্থিতি� তো বে� ছিল।

একটু আলাদ� কথ�:

শুরুতে� বলেছ� লেখক নাজি� উদ্দিনকে আমরা চিনি ধু� ধারাক্কা থ্রিলা� লেখক হিসেবে� দ্রু� গতির বর্ণনা আর চোয়াল ঝুলিয়� দেয়� থ্রি� বা চম�, একশন দৃশ্যে� বর্ণনায় তিনি আমাদের কাছে পরিচিত� স্বাভাবিকভাবেই এই উপন্যাসে� পাঠক তাকে চিরচেন� রূপে� আশ� করতে পারেন। আমার মন� হয়েছে এই চিরচেন� রূপে� আশায� কে� এই বই পড়ত� গিয়� নিশ্চিতভাবেই হতাশ হবেন� এখান� বল� যায় ভিন্� এক লেখককে আবিষ্কার করবে পাঠক� আর সে আবিষ্কার কারো কাছে দারু� লাগব� তো কারো কাছে বিরক্তির উদ্রেক করবে� বইটাতে আপনি জয়েন্টে জয়েন্টে থ্রি� পাবে� না কিংব� মিনিটে মিনিটে উত্তেজিত হবেন না� ইতিহাস, আর্ট নিয়� আগ্র� না থাকল�, টানা বর্ণনা পড়ত� যদ� আপনা� ধৈর্যচ্যুত� ঘট� তো আপনি এই উপন্যাসক� অখাদ্য বলতে� পারেন। ব্যক্তিগতভাব� আম� ইতিহাস, বর্ণনা পছন্� করি। আর কোনোরক� পূর্বাশা ছাড়াই আম� উপন্যাসট� শুরু করেছ� বল� আমার বে� লেগেছে� লেখকের অন্যতম সেরা কা� মন� হয়েছে�
ভূমিকায় লেখক নিজে� বলেছেন � ধরনে� লেখা এই দেশে নতুন� এক� গ্রহ� করার ক্ষেত্রে� পাঠকের দু� তিনভাগ হয়ে যাওয়া খু� দোষে� না� আমরা নতুন গ্রহ� করতে বরাবরই একটু দ্বিধায় ভুগি� আর সেইসাথ� আমাদের মগজে আগেই আছ� ভিঞ্চি নিয়� কে� কিছু লিখল� মানে� এইটা ব্রাউনের লেখা� সস্ত� কপ� কিংব� ভালো কপি। ব্রাউনিয� সিন্ড্রো� এক কথায়।
অনেকেই না� এব� প্রচ্ছ� দেখে ভেবেছি� এট� আবার ❛ভিঞ্চ� কোড❜ এর পরের পার্� নাকি! লেখক ভূমিকাতে� সেটা খোলাসা কর� দিয়েছেন� এব� এই উপন্যা� পড়া� পর লেখকের প্রোফাইল ঘেঁট� কোথা� এম� কথ� উল্লেখ পাইনি। এক� উক্ত উপন্যাসে� সাথে তুলন� দিয়েছেন কিংব� সিকুয়েল হেনতেন বলেছেন এম� প্রমাণ পাইনি।
আমার মন� হয� বাড়তি এই হাইপ সৃষ্টি� দোষট� বুকশপগুলোক� দেয়� উচিত� ভিঞ্চি কোডে� সাথে তুলন� কিংব� এক� পুরোদস্তুর থ্রিলা� বল� আখ্য� দেয়ার দায়ভা� তাদের। এর থেকে� আমার মন� হয� পাঠকের অসন্তো� সৃষ্টি হয়েছে� এই দায় আদতে লেখকের কিংব� প্রকাশনী� নাকি আমার জানা নেই। প্রচার� অনেক কিছু� পরিবর্তন হয়ে যায়� আমার মন� হয� যারা প্রচার কর� তাদে� এই বিষয়ে সতর্� থাকা উচিত� দিনশেষ� বই� একটা পণ্য এব� পাঠক নিজে� কষ্টার্জিত অর্থ দিয়েই সেটা সংগ্রহ করে।
আমার লেখায় আম� লেখককে কিংব� কাউক� কোনোভাবে� তে� দেইনি। ইদানিং এমনিতে� ইফতারি তৈরিতে প্রচুর তে� খর� হচ্ছে। বাড়তি তে� দেয়ার অবস্থা নেই।


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

প্রচ্ছদট� বইয়ের সাথে মানানসই।
বাতিঘর তা� চিরায়� বাইন্ডিং এব� সম্পাদনা থেকে বেরিয়� উন্নতি করছে� তব� সে� পথ আর� মসৃণ হল� আমাদের পা� অভিজ্ঞতা আর� ভালো হতো। একেবার� ফ্ল্যপেই বানা� ভু�, প্রমাদ ছিল। ভেতরেও বে� কিছু প্রমাদ, ভু� ছিল। সম্পাদনায় আর� একটু সময় দিলে পাঠকের জন্য সেটা স্বস্তির হবে। এছাড়া� আর্ট টার্� কিছু আছ� ব্যাখ্যা ছি� না� চাইলেই সেখানে ফুটনোট ব্যবহা� কর� যেত।

❛মোনালিস� তা� রহস্� নিয়� হেসে যাচ্ছে� সে� হাসি� এই অর্থ আদ� কি আমরা বুঝত� পেরেছি? নাকি মোনালিসা পুরোটা� একটা রহস্�? অতীতে� � সময়গুলোতে একটু ফিরে গিয়� যদ� দেখত� পারতাম নি� কাজে� ঘর� বস� ভিঞ্চি কী কর� পরতে পরতে সাজিয়েছিলেন তা� বিখ্যা� শিল্পগুলোক�! মোনালিসা� কিংব� লাস্� সাপারে� মুগ্ধতার মাঝে কো� অজান� রহস্� লুকিয়� রেখেছিলে� যদ� জানত� পারতাম!� ]]>
Review7382884038 Sat, 08 Mar 2025 00:24:00 -0800 <![CDATA[Rehnuma added 'আম� এব� একটি বনসা� গা�']]> /review/show/7382884038 আমি এবং একটি বনসাই গাছ by সুফাই রুমিন তাজিন Rehnuma has read আম� এব� একটি বনসা� গা� (Unknown Binding) by সুফা� রুমি� তাজি�
❛কাটেন� সময় যখ� আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বস� না
জানালা� গ্রিলটাত� ঠেকা� মাথা
মন� হয� বাবা� মত কে� বল� না,
আয� খুকু আয�, আয� খুকু আয়।�

এই দুনিয়ায� বা�-বেটি� সম্পর্� হল� সবথেকে স্নিগ্�, মধুর� কন্যার প্রত� বাবা� ভালোবাসা� সাথে তুলন� চল� এম� কিছু এই জগতে নেই। বাবা� রাজকন্যা হয়ে থাকে প্রতিট� মেয়ে। বাবা� দুঃখ� যেমন মেয়� ছটফটিয়ে উঠ�, তেমন� কন্যার যেকোনো প্রয়োজন� ঢা� হিসেবে থাকে বাবা�
কিন্তু জীবন কখনো ধ্রু� এই সত্যকে বদলে দেয়� বাস্তবতা অনেক কঠিন� জীবন কখনো এম� মোড়� এস� দাঁড়ায় যেখানে সম্পর্কগুল� বদলে যায়� সেটা কখনো ইচ্ছাকৃত আবার কখনো প্রকৃতির নিয়মে� কাছে ইচ্ছাক� বিলী� করার মতো।
পারিবারি� বন্ধ�, ভালোবাসা একটা আশীর্বাদ। বাঙালি� ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার� সেখানে সবাই মিলেমিশে কেমন কোলাহল� থাকে, এই কোলাহলের মধুরতা পৃথিবী� কোনো সঙ্গী� দিতে পারে না� কিন্তু সুন্দর এই অভিজ্ঞতা কি সবার জীবন� হয�?

মাঈশ� বাইর� থেকে বে� সুখী এব� পূর্ণত� ভর্ত� জীবনের একটি মেয়ে। মা, আব্ব�, দু� ছোটো বো� নিয়� বিদে� বিভুঁইয়� থাকছে। সম্পর্� আছ� খালাতো ভা� সাদমানের সাথে� সামন� তাদে� মালাবদলে� কথাও আছে। সুন্দর একটা পরিবার, একজন সঙ্গী আর কী লাগে সুখে� জন্য?
কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে বাইর� থেকে যাকে সুখী মন� হয� তা� ভেতর� যে এক অসী� পরিমাণ শূন্যত� আর দুঃখের বা� হত� পারে সে খব� কে� বা রাখে? মাঈশার ছন্দের জীবন� একটা সু� কেটে গেছে সে� ছোট্টকালেই� মা-বাবা আর অন্যান্যদে� নিয়� বেহেশতী সুখে� এক পরিবার ছি� তার। কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় সব যে� তছনছ হয়ে গেল। যে বাবা মাঈশাক� কলিজার টুকর� মন� করতে�, দুর্ঘটনা� পর সে� বাবা� যে� প্রাণাধি� প্রিয় কন্যাক� সহ্য করতে পারতেন না� অসহ্� ঠেকছিল এককালে� মানিকজোড� উপাধ� পাওয়া স্ত্রীকেও। কে� এই পরিবর্তন?

আট কিংব� নয� বছ� বয়স� বাবাকে ছেড়� মায়ের হা� ধর� নতুন এক জীবনের শুরু করেছিল সে� কিন্তু বাবা� সে� অবহেলা ভুলেনি� তেমন� কমেন� বাবা� প্রত� ভালোবাসা� যাকে সে আব্ব� বল� আদতে সে মাঈশার সৎ বাবা� কিন্তু আপ� সন্তানের থেকে� বেশি ভালোবাসা আর গুরুত্� দিয়েছেন তিনি মাঈশাকে। তবুও � ক্� তো � ক্তই� আব্বুক� সে সম্মান কর� কিন্তু আপ� বাবা� জায়গাটা দিতে পারেনি�
অনেক পরিকল্পন� কর� মাঈশ� এবার ঠি� করেছ� বাবা� মুখোমুখি হব� আবার� কে� সে� রা� আর অবহেলা করেছিল তা� পিতা তাকে? কারণ কী ছি� সে� আচরণের? তব� ভয� এখনো আছ� গেলে� কি পিতা তাকে আপ� কর� নিবে�? সতের� বছ� অনেক বেশি দীর্� এক সময়!
মাঈশ� দেশে এসেছে। ভেতর� কোনো আনন্� বা উত্তেজনা নেই। আছ� একরা� শূন্যতা। দুঃখী এই মেয়েটির প্রত� বিধাতা কি এবার সদয় হবেন?
পিতা আহাদ নিজেকে বন্দী কর� ফেলেছে� একটা কক্ষে। যেখানে একটা হুইলচেয়ার, অসংখ্য বই আর বনসা� গা� তা� সঙ্গী� মেয়ের মুখোমুখি হবেন কি তিনি?
পারিবারি� বন্ধ�, ভালোবাসা সবকিছু ছাপিয়� পিতা আর কন্যার পুনর্মিলনী কেমন হব�? নীরব বাড়িট� আবার প্রা� ফিরে পা�, বন্ধ জানালা খুলে যা� এইতো চাওয়া�

❛আয়রে আমার সাথে গা� গেয়� যা
নতুন নতুন সু� নে শিখে নে....
গর� কফির মজ� জুড়িয়ে যায়
কবিতার বইগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মন� হয� বাবা যদ� বলতো আমায�,
আয� খুকু আয�, আয� খুকু আয়।�

এরকম একটা সময় কি পাবে মায়াবতী তরুণীটি? অতী� খুঁড়ত� গেলে অনেক সত্য বেরিয়� আস� যা অনেকসময় সুখে� হয়না। তবুও মানু� অতী� খুঁড়ে� সে� আশ� নিয়েই হয়ত� সব ঠি� হয়ে যাবে�
যে মানুষট� অনেক বিশালত� নিয়েও নিজেকে বনসাইয়ে� মত� আবদ্� কর� রেখেছে সে কি পাবে মুক্তি� স্বা�?


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝আমি এব� একটি বনসা� গাছ❞ সুফা� রুমি� তাজিনে� লেখা বিষন্ন সুন্দর একটা উপন্যাসিকা�
উপন্যাসিকা� কাহিনি সামাজি�, যাপি� জীবনের কোনো ঘটনাকে নিয়েই� কিন্তু সাধারণ ঘটনা� লেখা� গুণে অসাধার� হয়ে যায়� এতটা� অসাধার� হয� যে পড়া� পর কেমন শূন্যত� বিরা� করে। কিছু� ঘটেন� কিন্তু কী জানি একটা পরিবর্তন হয়ে গে� এম� অনুভূত� হয়। এই বইটি� তেমন�
এক কন্য� যে সতেরোট� বছ� তৃষ্ণার্� ছি� পিতা� আদরে�, এক পিতা যে নিজেকে গুটিয়� রেখেছে� বছরে� পর পর ধরে। এক মা যিনি সন্তানের জন্য কঠোর এক সিদ্ধান্� নিয়েছিলেন�
উপন্যাসিকা� শুরুটা খু� সুন্দর� মাঈশার বাবা� প্রত� ভালোবাসা আর নিজেকে ফিরে পাওয়া� গল্প এত দারুণভাব� বর্ণনা হয়েছে যে মুগ্� না হয়ে উপায� নেই।
কিছু গল্প আছ� নিজে� সাথে রিলে� কর� যায়� এই উপন্যাসিকায় নিজে� অতী� যে� ভেসে উঠেছিল� স্মৃতি� পাতায় আমিও হারিয়� গিয়েছিলাম বনেদী বাড়ির সে� কোলাহলে।
পিতা কন্যার সম্পর্কে� কথ� বলতে গিয়� এখান� এসেছ� অসাধার� সুন্দর এক পরিবারের বর্ণনা� যেখানে সবাই একত্� হয়ে আনন্� করছে� নিশ্চু� বাড়� পরিবারের সদস্যেদে� আগমন� গমগম করছে� পারিবারি� বন্ধ� এত সুন্দর কর� বর্ণনা করেছেন যে� সব নিজে� চোখে� দেখছিলাম� উপলব্ধ� করতে পারছিলাম নিজে� ছেলেবেলা�
একটা সময় আমার বাড়� ছি� কোলাহলের কেন্দ্রবিন্দু। সপ্তাহান্ত� পরিবারের সবাই আসতো ঈদ ঈদ একটা খুশি বিরা� করতো� হাসি আনন্দে কেটে যেত।
পরিবারের সবার মধ্য� মিলে� সাথে কিছুটা টানাপোড়� থাকে সেটা� এখান� খু� সুন্দরভাবে উঠ� এসেছে।
প্রশংসনীয় একটা দৃষ্টিভঙ্গ� উঠ� এসেছে। সৎ পিতা মানে� যে� অবহেলা করছে এই বিশ্বাসক� একদম বদলে দিয়েছেন� সৎ কন্যার জন্য নিখাঁদ ভালোবাসা আর তাকে গুরুত্� দেয়ার অদ্ভুত সুন্দর চিত্� ফুটিয়� তুলেছে� গল্পের মাধ্যমে।
পরিবারের সকলে� একত্� হওয়�, বহ� বছ� পর দাদী� তা� নাতনিক� চোখে� সামন� দেখা� পরের অনুভূত�, কলাপাত� রংয়ের শাড়িত� দু� তরুণী� বাড়িময় বিচর� এই দৃশ্যগুল� চোখে� শান্তি, পড়া� তৃপ্তি�

YJHD এর bunny এর মত� � বর্ণনা গুলোতে আমার� বলতে ইচ্ছ� হচ্ছিল,
❛আগা� মেরে পা� দি� হোতা তো পাক্কা ইয়ে সি� দেখকার রো দেতি� (মডিফাই� আরকি!)

একটা ভেঙে যাওয়া পরিবারের মধ্যেও যে বন্ধ� থাকে, কুটিলত� বর্জিতভাবে� যে থাকা যায় তা এই ছোট্� উপন্যাসিকা� মধ্য� দিয়� বুঝিয়� দিয়েছেন�
টানাপোড়� সত্ত্বেও জাদু� মত� কারো উপস্থিতিতে যে� সবকিছু প্রা� ফিরে পাচ্ছিলো� শেষট� খু� সুন্দর� সত্য তিক্� হলেও সে সত্যির মাধ্যম� ইত� বে� নির্মল� হয়ত� বিধাতা� ইচ্ছাই ছি� এটা।

চরিত্র:

মাঈশ� চরিত্রটা খুবই সুন্দর� নির্মল, স্নিগ্�, মায়াবতী� এম� ভালোবাসায় ভর্ত� চরিত্রের প্রত� গল্প� সুবিচা� হয়েছে� তাকে কল্পনা করতে পারা গেছে� তা� অনুভূতিগুল� উপলব্ধ� কর� গেছে�

গল্পের জাদু� কাঠি� মত� এক চরিত্র ছি� মাশাল। এত প্রাণবন্� এক তরুণী যে কিনা নিজে� পরশে সবাইকে রাঙিয়� দেয়� যে সবার বন্ধু। যা� সামন� নিজেকে মেলে ধর� যায়� এই চরিত্রটা পুরো উপন্যাসে� প্রা� ছিল।

আহাদ চরিত্রটা রূপক সে� বনসাইয়ে� মতোই ছিল। বিশালতার মাঝে� ক্ষুদ্� হয়ে ছিলেন। ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, আবেগ আর অভিমানের মিশেলে তৈরি�

এখান� না বললে� নয� রাফিয়� চরিত্র নিয়ে। তাকে কিছুটা নেগেটি� দেখালে� তা� ব্যক্তিত্বের ভালো দিকগুল� হালক� � খারা� দিকক� ঢেকে দিয়েছে। ওইটু� খারা� কি যৌক্তি� ছি� না? মানু� স্বার্� ছাড়� ত্যা� স্বীকা� কর� না� সেখানে রাফিয়ার আচরণ ভু� নয়। তাকে বে� লেগেছে�


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

বইটা� প্রচ্ছ� স্নিগ্ধ। বইতে মুদ্রণ প্রমাদ লক্ষ্য কর� গেছে� মাঈশ� আর মাশা� নামে� ক্ষেত্রে অল্প জায়গায় পেঁচিয়ে গেছিলো�


❛পরিবা� এক বন্ধনে� নাম। এই বন্ধ� কখনো সু� কেটে গিয়� থমকে যায়� কিন্তু ইচ্ছ� আর ভালবাসাই পারে সব বাঁধাক� টপকে সুখে� সন্ধান দিতে� পরিবারের অনেকগুলো ভালোবাসা� এক� বন্ধন।� ]]>
Review7326239722 Sun, 16 Feb 2025 22:29:42 -0800 <![CDATA[Rehnuma added 'শিউল� ফুলে� ভা�']]> /review/show/7326239722 শিউলি ফুলের ভাত by Monowarul Islam (মনোয়ারুল ই... Rehnuma has read শিউল� ফুলে� ভা� (Hardcover) by Monowarul Islam (মনোয়ারুল ইসলা�)
❛চারদিকে হাহাকা� সব হাভা�
অভাব শুধু এক থালা ভা�!�

সাদা মেঘে� মত� এক থালা গর� ভাতে� সাথে মাংস ভুনা, একটু কাঁচ� মরিচ, পেঁয়া� আর সাথে ডি� ভাজি হল� খেয়� তৃপ্তি� ঢেঁকুর তোলা যায়� আহ কি সুস্বাদু!
❛ভাত দে� সিনেমা� কথ� মন� আছ�? অল্প একটু ভাতে� জন্য কী কষ্ট, ত্যা� আর হাহাকা� ছি�! ভাতে� কষ্ট বড়ো কষ্ট� দু’বেল� দু’মুঠ� ভাতে� জন্য মানুষে� ছুটে চল�, কত সংগ্রা�!

মেহেরজান, অপূর্ব এক রমণী� দেখল� বয়স বোঝা যায় না� বিশা� বাড়িত� তা� সঙ্গী দুটো সারমেয� আর দারোয়ান আবেদ আলী� রাতে� বেলা গাড়� নিয়� ঘুরত� বে� হয� সে� সাথে বক্স ভর্ত� কর� খাবার। রাস্তায় ঠাঁই কর� নেয়� অসহায় মানুষগুলোর মুখে মাঝেমাঝে সে খাবা� তুলে দেয়� কে� যদ� ভা� চায় তব� মেহেরজান না করতে পারে না� গাড়ির দরজায় টোকা দিয়� শিশুরা যদ� বল�,
❛ভাত খামু�, তব� মেহেরজানের কী জানি হয়ে যায়! না করতে পারে না� বাড়� নিয়� এস� খাওয়ায় যত্ন করে। এটাই তা� নেশা� এরপর?

নয� বছ� আগের এক বিভৎ� � ত্যাকাণ্ড। স্বামী আর অন্ধ স্ত্রী� জোড়� খু ন। পুরো শরী� ঠি� আছ� কিন্তু মাথা দুটো একেবার� ভর্তা। পিবিআই দক্ষিণের এসআই শাকি� আবার এই পুরোনো কেসে� খাতা খুলে� এবার ধরতে পারে খু নে� আসামিকে। না� সেলিম। কিন্তু এই চেহারা সুরতের লো� কীভাবে এই কর্ম করলো সে এক বিস্ময়। যা� হো�, বান্দা এক জিনিস। শাকি� সহ তা� দলকে ধর� পড়া� পরেও অদ্ভুতভাবে ঘো� খাইয়ে রাখছে। ঘো� খেয়� হলেও শাকি� শুনব� সেলিমে� খু � করার পিছনের ঘটনা�
মুতাওয়া� মন� প্রাণে কবি। কব� হওয়ার জন্য� সে� কো� কালে ঘর ছেড়েছিল� ভেবেছি� কবিতাই তা� জীবন� কব� হয়ে� সে জীবনের কয়ট� দি� পা� কর� দিবে� কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কব� হলেও আশানুরূপ সাড়� ফেলত� পারেনি তা� ছন্দ� লোকে আজকা� কবিত� গিলে না� প্রকাশ� বললে� উপন্যা� ফাঁদতে� কিন্তু � ক্তে যা� কবিতার নাচন, সে কী কর� কল্পিত জীবনের গল্প লিখব�?

বা�-মা ছেড়� প্রেমে� টানে কুদ্দুসক� নিয়� ভেগেছি� আমেনা। সুখে� সন্ধান� পেতেছি� সংসার। কিন্তু জামাইট� জুতে� না� ভালবাস� তাকে, নে� কোনো মেয়ের দোষ। কিন্তু আছ� এক নেশা� কত থানা পুলি� হল� কিন্তু এই নেশা কম� না�

ফ্লাইওভারে� নিচে একদল টোকা� থাকে� � স্যিপন�, টুকটাক কা� আর চেয়� খেয়েই যাদে� জীবন চলছে� এদের প্রত� মুতাওয়ারে� ভীষণ মায়া। হয়ত� তাদে� মধ্য� নিজে� অসহায়তা খুঁজ� পায় সে� এদের মধ্য� হাফস� নামে� একটি মেয়� দি� দুয়েক ধর� নিখোঁজ� কোথায় গে�?
সৎমায়ের সাথে রা� কর� শাহানা ঘর ছেড়েছে। পিতা আজিজ মিয়� হন্য� হয়ে খুঁজছে মেয়েকে। হদিস নেই। যে� মেয়েট� হাওয়ায় মিলিয়� গেছে� তাকে খুঁজতে সর� হয়েছে গোলা� গনি।
শহরে গত কয়ে� বছরে নিখোঁজ হয়েছে বেশকিছ� শিশু� যাদে� প্রায় সকলে� বয়স� ১৪ এর আশেপাশে। কমবেশি হত� পারে� এদের সকলে� পথশিশু, যাদে� পরিচয় নে�, সহায� সম্ব� নেই। হারিয়� গেলে খোঁজ করার, অপেক্ষ� করার কে� নেই। এদের মধ্য� কয়জ� ফিরে এলেও সংখ্যাটা কম� কোথায় হারিয়� গে� শিশুগুলো?
সে অতী� মন� কর� দুঃখ পায়� বিধাতা যে� তা� জীবন� সু� দিলো না� সুখে� নাগা� পেতে না পেতে� কেমন কর� অশান্তির বাতা� ঝাঁপটা দিয়� সব তছনছ কর� দেয়� অসম্ভব দুঃখ গ্রা� কর� তাকে� এরপর কী যে হলো। নেশা উঠলো, শোণিতে� নেশা!
গা� শুনত� শুনত� কিংব� কবিত� মন� করতে করতে সে ভিক্টিমে� দে� থেকে চামড়া আলাদ� কর�, মাংস কাটে, � ক্� মেখে বস� থাকে� কী যে শান্তি লাগে তখ�! বাঁচার আহাজার�, হাড় কোপানো� শব্দ� যে� শরীরে শিহর� বয়ে যায় তার। সে তো কষ্ট দিচ্ছে না� বর� কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি দিচ্ছে!
এরপর সে রান্না করে। কে� কখনো খেয়� খারা� বলেনি। শুধুমাত্� যে রাফসান চৌধুরী� রান্না ভালো কর� এম� না! রান্নাটা ভালো সে� করে। মানুষক� খাইয়ে, খেতে দেখে তৃপ্তি পায়� যে� এক প্লে� শিউল� ফুলে� ভা� খাচ্ছে সামন� বস� মানুষট�! এর থেকে সুন্দর দৃশ্� আর হত� পারে?

শাহানা নিখোঁজ হওয়ার আগ� শাহবাগ থেকে বিক্রি� উদ্দেশ্য� গোলা� আর শিউল� ফু� কিনেছিল। কোথায় গে� সে?

নিখোঁজ হওয়� বাচ্চাদে� ভাগ্যে কী ঘটেছ� জানত� পিবিআই অফিসার দুর্জয� শাকি� যো� দিয়েছ� গোলা� গনির সাথে� কিছু ফুটে� আছ�, যাচা� বাছা� চলছে� এর� মাঝে নিখোঁজ হয� আরেকটি ফুটফুট� মেয়ে। কিছু হওয়ার আগেই কি তাকে পাওয়া যাবে?


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝শিউলি ফুলে� ভাত❞ মনোয়ারু� ইসলামে� সাইকোলজিক্যা� থ্রিলা� ধাঁচের উপন্যাস।
লেখকের ক্রমিক খু নি ধাঁচের লেখা পড়েছি আগে। সাথে মানুষে� মনস্তত্ত্বের মিশেলে পূর্� থ্রিলারগুল� সাজিয়েছেন তিনি� এই উপন্যাসটিও সাইকোলজিক্যা� ধারার। এখ� পর্যন্� লেখকের লেখা দীর্� উপন্যা� এটি।
শুরুটা আমার কাছে একটু ধী� গতির লেগেছে� গল্প, চরিত্র সাজাতে একটু সময় নিয়েছেন লেখক� অতী�, বর্তমানে� ঘটনা গল্পের মাঝে এসেছে। কাহিনি� বিন্যাসে একেক সময় প্রাধান্� পেয়েছ� অতীত। এক ঘটনা থেকে আরেক ঘটনায় মু� হয়েছে দ্রুত। তব� সেখানে সামঞ্জস্� ছি�, ভালো লেগেছে ব্যাপারটা।
এবারের খু নি বা আসামির ঘটনা এসেছ� ভিন্� ভাবে� একজন ধর� পড়েছে� সে নানাভাবে তদন্� কর্মকর্তাদের যাতন� দিয়� যাচ্ছে�
আর আরেকজন?
সে একেবার� ফাটিয়� দিচ্ছে! তা� বর্ণনা পড়ে মায়� হয়েছে, কখনো কোমল লেগেছে� আবার তা� কর্ম একেবার� ভয়াবহ আকার দেখিয়েছে। খু নে� এই বিভৎসতাক� দারু� বল�, না-কি ভয়ানক বল�? কোমল মু� থেকে সাইক� মুডে� টার্� ছি� অসাধারণ।
এবারের � ন্তারক শুধু � ক্তে� হোলি খেলে না� একেবার� রান্না কর� সুস্বাদু করে। ভুনা মাংস, পুডি�, স্যু� ওর� মা গো! মুখরোচ� খাবা� তৈরি কর� ফেলে আশরাফু� মাখলুকাত দিয়ে।
উপন্যাসে জায়গায় জায়গায় থ্রি� ছি� না� টুইস্ট টার্নও একেবার� পাতায় পাতায় নেই। কিন্তু পড়ত� বে� লেগেছে� বিভৎসতার বর্ণনা দিয়েছেন লেখক নিখুঁতভাবে� চো� পুলিশে� খেলা সেভাবে ছি� না� আমাদের খু নি এস� নিয়� কোনো ভয়ই পায়নি� কারণ তা� সিস্টে� আলাদা।
তব� আম� পড়া� আগ� একটু চিন্তায় ছিলা� খু নোখু নি সহ্য করতে পারব� নাকি! তব� আমার কাছে তেমন বিভৎ� লাগেনি (কেয়� পাতা আমিও পা গল হয়ে যাচ্ছি নাকি!)�

উপন্যাসে� সবথেকে ভালো লেগেছে সমাজের অসামঞ্জস্য বিষয়গুলোক� লেখক তুলে ধরেছেন� সমাজ� অবহেলি�, অসহায় মানুষগুলোর জীবনের কথ�, তাদে� জন্য সমাজের তেমন কিছু� আস� যায় না� বিশে� কর� পথশিশুদে� অনিশ্চিত বয়ে চল� জীবনের বর্ণনা লেখক দিয়েছেন দারুণভাবে। ঘটনাগুলো� স্থা� আমার চেনা পরিচিত খু�, তা� দৃশ্যগুল� কল্পনা করতে অসুবিধ� হয়নি।
ছোটবেলার ঘটনা মানুষে� জীবন� কী রক� প্রভাব ফেলে আর সে� প্রভাব যে একটা সাধারণ মানুষক� অস্বাভাবিক, অসুস্থ কর� তুলত� পারে এই বিষয়ট� মোটাদাগে দেখিয়েছেন� একটা সুন্দর জীবনের জন্য একটা সুন্দর পরিবার, স্বাভাবি� পরিবার দরকার।
মানু� সুখে� আশায� চাতকপাখি� মত� অপেক্ষ� করে। কিন্তু বাস্তবতা� গ্রাসে সে অপেক্ষ� ধুলিস্যা� হয়ে যায়� আর সে� অভিজ্ঞতা তাকে কখনো সাইক� কর� তুলে�
ঘটনা অনেক জায়গায় মোড় নিয়েছে। তব� কিছু জায়গায় আমার একটু কনফিউস� লেগেছে� যেমন আরিফ কী কর� সন্দেহ কর�, ব্যাপারট� সেটা বুঝত� পারিনি�
এর আগের থ্রিলা� গুলোতে লেখক হুদা� কুকু� মে রে ফেলতেন� এবার তাদে� প্রত� সদয় হয়েছেন।
মানুষে� মনের অদ্ভুত খেয়াল, আশ�, জিঘাংস� মানুষক� যে কো� পর্যায়ে নিয়� যেতে পারে সেটা নাগা� পাওয়া মুশকিল!

চরিত্র:

মেহেরজান!
আমার দারু� লেগেছে� তা� সবকিছু� ভালো লেগেছে� লেখক আগের বইয়ের টানা অভিযোগ এবার ঘুচিয়েছেন� আর এটাই সবথেকে ভালো লেগেছে� মেহেরজানের অতী�, বর্তমা� সবকিছু নির্দিষ্� সময় নিয়� পরতে পরতে সাজিয়েছেন� শেষে� আগ� দিয়� ভালো� ধাক্কা লেগেছে� উপন্যাসে� নামে� সাথে মিলট� ভালো হয়েছে�
দুর্জয� শাকি� আগের থেকে এখান� পরিপক্� হয়েছে� তা� তদন্� প্রক্রিয়া ভালো লেগেছে� তব� তাকে আম� আর� তুখোড় আশ� করি।
সেলি� চরিত্রটা পিকুলিয়ার লেগেছে� এর সাথে অতীতে� সংযো� ভালো ছিল।
আবেদ আলীকে� লেখক ভালো স্পে� দিয়েছেন� কাহিনি� খাতিরে এদের সকলে� অতী� এব� বর্তমানে� সুতো মিলিয়েছেন বে� ভালো ভাবে�
উপন্যাসে� শেষে দিকে এস� ❛দুনিয়া গোল❜ এট� আবার প্রমাণিত হয়েছে� শেষে সব কিছু� সুতা একদিকে এসেছে।

প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

বইটা� প্রচ্ছ� ভালো� লেগেছে� নামলিপিট� পুরোনো দিনে� একটা ভাইব দেয়�
অন্যধারা� সম্পাদনায় আর� মনোযোগী হওয়� উচিত� মুদ্রণ প্রমাদ, বানা� ভু�, �/য় এর কিছুক্ষেত্রে সমস্যা, শব্দের সমস্যা লক্ষণীয় মাত্রায় ছিল। এদিক� আর� যত্নশী� হওয়� উচিত�

❛একট� শিউল� ফুলে� ভাতে� উপ� যদ� � ক্তে� ফোঁট� টপাট� টপাট� পড়ত� থাকে সে ভাতে� স্বা� কি বাড়�?�


]]>
Review7314860284 Wed, 12 Feb 2025 10:22:36 -0800 <![CDATA[Rehnuma added 'মসলা� যুদ্�']]> /review/show/7314860284 মসলার যুদ্ধ by Satyen Sen Rehnuma has read মসলা� যুদ্� (Paperback) by Satyen Sen
❛কষা মাংস খাবে�? আসেন একটু রেসিপিটা বলি।�

প্রথমে তেলে� মধ্য� এলাচ, তেজপাত�, দারুচিনি দিয়� একটু ভেজে নিন। একটা সুঘ্রা� ছড়িয়� পড়বে। এরপর পেঁয়া� কুচি (নায়িকাদের মত� moon moon শেপে না কাটলেও হব�!) কর� কেটে নিয়� তেলে� মধ্য� ছেড়� দিন। হালক� লালচ� হয়ে আসলে সেখানে হলুদ, মরিচ, জিরা আর গর� মসলা� গুঁড়া দিয়� অল্প একটু পানি সহকারে নাড়তে থাকুন। মসলা ভাজা হয়ে গেলে আরেকটু পানি দিয়� নিন। এরপর আদ�, রসুন আর পেঁয়া� বাটা দিয়� আবার কষাত� থাকু� হালক� আঁচে...

মসলা কষতে থাকুক। এবার� একটু মসলা� অতীতে যাই।

আমাদের খাওন মানে� মসলা� বাহার। এই একটু ফোড়�, এই গর� মসলা একদম ভেজে তেলে ভেসে উঠলে কী সুবাসটাই না আস�! বিদেশি মানু� মসলা, ঝা� কম খায়� এদের অনেক� তো ক্যাপ্সিকা� খেয়� বল�, ❛O my god! Toooo spicy!� জাপানে তো পাতল� ল্যারলের� স্যু� খায়, নে� মসলা� কোনো উপস্থিতি� ভোজন রসিক জাতি হিসেবে মসলাদা� খাবারে� বদলে এস� দেখল� মু� ব্যাকা হবেই!

তব� এই যে স্বা� বৃদ্ধি করতে এত মসলা� ব্যবহারে� হিড়িক, এর অতীতট� � ক্তাক্ত। শ্রমিকের � ক্তে, ঘামে আর জুলুমে সিক্ত।

মসলা উৎপন্ন হয়ে তা বিকোতে আসার সবথেকে বিখ্যা� বন্দ� কালিকট� তারা মসলা� একচেটিয়� ব্যবসা করছে� আর ওদিক� কালিকট থেকে আর� বণিকের� সে� মসলা ইউরোপে নিচ্ছে� তুমু� লা� করছে� ভেনিসও চড়া দামে এগুল� বিক্রি কর� পয়স� কামাচ্ছে� এভাবেই চলছিল।
কিন্তু সমুদ্রের অনেক দূরে� একটি দে� ভাবল� না এভাব� হব� না� অন্যের মাধ্যম� আর নয়। আমরা নিজেরা� এই মসলা� রাজত্ব করবো� যে� ভাবা সে� কাজ। তব� পরিকল্পন� করলো অনেকদি� ধরে। বলছিলা� পর্তুগিজদে� কথা। তারা মসলা� খোঁজ করতে লাগলো। কীভাবে ভারতবর্ষ� আস� যায় সে পথ খুঁজলো� পথের মাঝে বাঁধ� আছ� মুসলিম রাজ্য। ক্রু সে� পরবর্তী থেকে খ্রিস্টা� আর মুসলিম� দা কুড়ালের সম্পর্ক। তা� খুঁজলে� অন্য পথ� একদল ম্যা� তৈরি কর� জাহা� নিয়� সমুদ্র পাড়� দিয়� আগ� হা� হকিক� দেখে গেল। এরপর কামা� দাগা নিয়� আফ্রিক� পাড়� দিয়� ভারতবর্ষ� ঢুকলেন ❛ভাস্ক� দা গামা❜। তাকে এই উপমহাদেশের আবিষ্কার� বললে� ভেতরের ইতিহাস একটু ভিন্ন। তিনি এব� তা� দল এলেন, � স্যুবৃত্তি শুরু করলেন। নিজেদে� সমুদ্রের অধিপতি বল� বয়া� নিয়� নিলে� আর নির্বিচারে শুরু করলে� � ত্যা� মুসলিমদে� প্রত� অগাধ ঘৃণা� বর্ষ� করতে লাগলেন� হজ যাত্রীদে� জাহা� লু�, তাদে� পুড়িয়ে দিয়� আপ� ধর্মের দোহা� দিয়� নিজেদে� শ্রেষ্ঠত্ব জাহি� করতে লাগলেন� এর� মাঝে উদ্দেশ্য পূরণের কা� করতে লাগলেন� কালিকট এস� ব্যবসা� অনুমতি নিয়� নিলেন। তব� সেখানে রাজা আর প্রজায� ভাব। কালিকট বন্দরে� রাজা� সাথে ভা� আছ� আর� বণিকদের। তারা বলেন এই পর্তুগিজদে� উদ্দেশ্য ভালো নয়। রাজা শুনলেন� এব� প্রমাণ পেলেন।

এরপর পর্তুগিজদে� সাথে বেধে গেলো তাদে� সং ঘর্ষ� শুরুটা হয়েছি� ১৪৮৮ সা� থেকে� এরপর থেকে শুরু (১৪৯৭) হল� ❛মসলার যু দ্ধ❜� তব� তাদে� ঐক্যের সাথে পেরে উঠলো না গিজরা। পিছু হটলো� আবার লোকব� নিয়� অন্যদিকে দখলে� চেষ্টা করলো� এব� সফ� হলো। এই সফলত� অনেকটা� ছি� কূটনৈতিক কৌশল আর ধর্মের দোহাই। যুগে যুগে সবাই এই ধর্ম ব্যবসা করেছে। জাগতিক আপ� স্বার্থে, ক্ষমতা� লোভে ঈশ্বরক� যু দ্ধে নামিয়েছে।
১৫০৩/০৪ থেকে প্রায় ১৫৯৯ পর্যন্� বা আরেকটু বেশি সময় ইউরোপে নিজে� আধিপত্� বিস্তা� কর� ফেলেছি� পর্তুগিজরা� মসলা� ব্যবসা কর� ফুলে ফেঁপ� উঠেছিল� এরপর এক� পথ� পা দিলো ডাচেরা� তারা� এক� আধিপত্� বিস্তারে� জন্য পথ খুঁজ� এলো। পর্তুগিজদে� হটালো। সাথে দেশীয় কিছু লোকে� সহায়ত� তো ছিলই�

জা লি� পরিবর্তন হল� কিন্তু মজলু� অপরিবর্তিত� ইন্দোনেশিয়া� লোকেরা আপ� ভূমিতে� নির্যাতি�, নিষ্পেষি� হত� লাগলো। একসময় ডাচর� নিজেদে� নানা নিয়� চাপিয়� দিতে লাগল�, করায়ত্ব করলো জম�, জো� কর� লবঙ্� চা� নিষিদ্� করলো� উপনিবে� তৈরি করলো� এভাবেই নির্যাতনের স্বীকা� হত� লাগল� এই উপমহাদেশের মানুষ।
এরপর এল� সাদা চামড়া� ব্রিটিশরা। এরাও মসলা� ঘ্রাণে� এসেছিল� আধিপত্� ছড়িয়েছিল� রা� করেছিল দুইশ বছরে� মতো। ডাচর� যেমন চাষে� জন্য নি র্যাতন করতো, তেমন� ইংলিশর� করলো নী� চাষে� জন্য অকথ্� নি র্যাতন� সে এক অন্য ইতিহাস�
মসলা� জন্য, শুধু মাত্� স্বা� বর্ধনে� একটা উপকরণে� আধিপত্�, সাম্রাজ্� বিস্তা� আর ধর্মের দোহা� দিয়� অগণি� মানুষে� � ক্তে রঞ্জিত হল� ভূমি�
যা চলমা� আছ� ভিন্� কোনো রূপে, চলমা� থাকবে। ধর� বদলাবে কিন্তু মূ� এক� থাকবে।

হায়রে মসলা!


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝মসলার যু দ্ধ❞ সত্যেন সেনে� লেখা অসাধার� এক বই� থ্রিলা� উপন্যাসে যেমন থ্রি� পাওয়া যায় ১০� পৃষ্ঠা� ছোট্� এই প্রবন্ধে রোমাঞ্চে� পরিমাণ কম নয�!

এই উপমহাদেশ� রা� করেছ� অনেকে। সম্পদে� ভান্ডা� থেকে লু�, নি র্যাতন আর কাড়াকাড়ি হত� হত� বাকি নে� কিছুই।
সত্যেন সে� সে� ইতিহাসের� এক টুকর� এন� হাজি� করেছেন বইতে� মসলা� ইতিহাস করুণ� এত� লেগে আছ� মানুষে� � ক্ত।
আধিপত্� বিস্তারে� খেলায় পর্তুগিজ, ডা�, ওলন্দা�, ব্রিটি� সবাই এসেছে। দেখে গেছে কী আছ� এই উপমহাদেশে। থেকেছে, জুলু� করেছ�, নিজে� কো� ভর্ত� কর� নিয়� ভেগে গেছে�
মসলা� এই আধিপত্� বিস্তারে� জন্য হানাহানি� শুরুটা পঞ্চদশ দশকে� একদম শেষে� দিকে� একটু প্রস্তুত� শুরু হয� এরপর প্রায় দশ বছ� পর তথ� ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয� গিজদের অভিযান� সাফল্যের মু� দেখত� একটু দেরি হলেও তা পুষিয়� নিয়েছে। বণিকের� শুধু বাণিজ্� করে। কিন্তু পর্তুগিজ এই � স্যু গুলো বাণিজ্যে� সাথে করতো লুণ্ঠন� মন� অসী� ঘৃণা রাখত� মুসলিমদে� জন্য� সে� ঘৃণা� প্রমাণ তারা দিয়েছ� তাদে� কাজে�
স্কুলে থাকত� ইতিহাস� ভাস্কো দা গামাকে নিয়� সুবাক্� পড়ে তা� প্রত� যে ধারন� মন� থাকব� তা� ভি� নড়ে যাবে ইতিহাসের ভেতর� পা� করলে� মসলা� এই অভিযান, মৃ ত্যু� মিছিলে� সামন� নেতৃত্� দিয়েছিলেন তিনি� নিজে� বর্বতা� প্রকাশ করেছিলেন, করেছিল তারপ� আগ� গিজরাও�
লেখক কালো এই অধ্যায়ে� বর্ণনা করেছেন নিপুণভাবে। প্রশ্ন রেখে গেছে�, করেছেন স্বগক্তি� ইতিহাসের করুণ এই অধ্যায� গুলো যে� সব কালে� জন্য� এক�
সবখানে� আছ� ক্ষমতা� লো�, আধিপত্� বিস্তা�, ধর্ম ব্যবসা, হানাহানি� এই দুনিয়ার কাঠামো যে কত লা শে� উপ� দাঁড়িয়� আছ� তা� কোনো সীমা নেই।
পর্তুগিজ থেকে ডা� এরপর ব্রিটি� রাজে এস� ইত� টেনেছে� লেখক� মাঝে এনেছিলেন অল্প বিস্তর কফির ইতিহাস� সেখানে� আপ� স্বার্�, আপ� আঁখে� গোছানো আর জু লুমে� কথ� আছে।
বইটা দারুণ। এত সুন্দর কর� ইতিহাস যে লেখা যায় সেটা এই বইটা না পড়ল� বোঝা যাবে না�
আমরা বল� আগের যু�, মানুষে� অতী� ভালো ছিল। তারা সুখে ছিল। কিন্তু ইতিহাস ঘাটল� দেখা যায় যুগে যুগে সাধারণ মানু� কত নি র্যাতনের মধ্য� দিনাতিপা� করেছে। কত হাহাকা� যে চাপা পড়ে গেছে আধুনিক সভ্যতা� নিচে তা� ইয়ত্ত� নেই।


❛ক্ষমতার � ড়াই ছি�, আছ� থাকবে। দাপট দেখানো� জন্য বল� হব� সাধারণ মানুষ। এটাই ইতিহাস� ইতিহাস পড়ত� পড়ত� সে� নিয়� দুঃখ করতে করতে� হয়ত� আম� কিংব� আপনি এক প্লে� সুস্বাদু বিরিয়ান� কিংব� মসলা� গুণে তৈরি কষ� মাংস নিয়� বসবো� খাবো আর বল�, ❛আ�! কী সুস্বাদু� আহার� ইতিহাসটা কত দুঃখের!❜❜

ওহ, থাকন� কষ� মাংসের রেসিপি অসম্পূর্�!


]]>
Review7309046289 Tue, 11 Feb 2025 11:14:38 -0800 <![CDATA[Rehnuma added 'দ্� হাউজ হোয়্যার আই ডাইড ওয়ান্�']]> /review/show/7309046289 দ্য হাউজ হোয়্যার আই ডাইড ওয়ান্স by Keigo Higashino Rehnuma has read দ্� হাউজ হোয়্যার আই ডাইড ওয়ান্� (Hardcover) by Keigo Higashino
❛অতী� কখনো� পিছু ছাড়� না� অতী� সুখে� হল� মানু� আপনা� সে� অতীতক� আঁকড়ে রাখে� আর বিপরী� হল� দুঃখী অতী� � মানুষটাক� আষ্টেপৃষ্ট� রাখে� ভুলে গেলে� কোথা� যে� সুঁইয়ের ফোঁটার মত� বিধে।❜


ছেলেবেলা� ঘটনা আমরা অনেকেই আছ� ভুলে যাই। সব কথ� মন� থাকব� এট� সম্ভ� না� আবছা আবছা একদম শিশুকালে� কথ� কিছু হলেও মন� থাকে� তব� ক্ষেত্রবিশেষ� কে� আছ� একদম কুট্টিকালে� সবকিছু মন� রাখে�
এম� কি কখনো হয� যে কারো একটা নির্দিষ্� সময়ের কোনো স্মৃতি� মানসপট� নে�? একেবার� ফাঁক�?

সায়াক� কুরাহাশি চাইলেও স্বাভাবি� জীবন যাপন করতে পারেনা� শৈশবের স্মৃতি তা� মন� নেই। প্রাইমার� ভর্তির আগের জীবনের স্মৃতি বলতে কিছু� নে� তার। বাবা-মাকে জিজ্ঞে� করলে� তারা এড়িয়� যেতেন। এমনক� একদম শিশুকালে� কোনো ছব� পর্যন্� নে� তার। কী এম� রহস্� আছ� এত�?

এক বছ� আগ� তা� বাবা মা রা গেলে তা� ঘর� নিজে� না� লেখা একটা খা� খুঁজ� পায় সে� ভেতর� একটা চাবি আর ম্যাপ। চাবিতে ভিন্নরকম নকশা কর� এক সিংহের ছবি। সায়াকার মন� হয� এখান� তা� যেতে হবে। হয়ত� স্মৃতিতে বন্ধ হয়ে থাকা কোনো জানালা খুলত� পারে� এর উত্তরও হয়ত� পেতে পারে কে� ছুটি� দিনগুলোত� তা� বাবা মা� ধরার না� কর� যেতেন। কিন্তু ফিরতেন মা� ছাড়া। এমনক� ছি� পরিষ্কার করতে� না� এই ম্যাপে উল্লিখিত জায়গা� হয়ত� তা� অস্বাভাবিক জীবনের অজান� প্রশ্নের উত্ত� দিতে পারে�
কিন্তু এক� যেতে চাইছিল না সে� কিছুদি� আগেই তা� প্রাক্তনের লেখা পত্রিকার একটা আর্টিকেল তা� নজরে আসে। যা� বিষয়বস্তু তা� ব্যক্তিগ� জীবনের এক কঠিন কিন্তু তিক্� সত্যের সাথে মিলে যায়� শৈশবের কোনো ট্রমাই কি তা� বর্তমানে� এম� দশার কারণ?
পাহাড়� ঘেরা পশ্চিম� ধাঁচের এক সাদা বাড়িত� তাকে যেতে হবে। তা� সঙ্গী হিসেবে সে নিলো তা� প্রাক্তনকে� সন্তান শ্বশুর-শাশুড়ির জিম্মায় আর স্বামী চাকরির কাজে বিদেশ। এই সুযোগে বন্ধ জানালা� আল� খোঁজার উদ্দেশ্য� যাত্রা শুরু করলো সায়াক� এব� তা� প্রাক্তন�

এম� এক বাড়� যা দেখলেই ভূতুড়� অনুভূত� জাগে, কর� গা ছমছম� অদ্ভুত এই বাড়িট� কীসে� সাক্ষী বা কো� অতী� ঢেকে রেখেছে জানেনা তারা� বাড়িত� ঢুকে তারা বে� কিছু অদ্ভুত ব্যাপা� খেয়াল করে। দীর্ঘদিন খালি পড়ে আছ� এটা। চমকে যাওয়া� মত� ঘটনা হল� বাড়ির সবগুলো ঘড়ি ঠি� ১১:১০ � এস� বন্ধ হয়ে আছে। কাকতালীয় নিশ্চয়ই না� তব� এখান� কি সময় থমকে গেছি�?

স্মৃতি� জানালায় দোলা পেতে� যে� তারা সেখানে আবিষ্কার কর� ছোট্� এক ছেলে� ডায়েরি। আবিষ্কার কর� একটা কো� দেয়� সিন্দুক। অনেকগুলো ব্যাপা� চোখে আস� কিন্তু রহস্� খোলা� বদলে যে� নতুন কর� রহস্যে� আবির্ভাব হয়। কী জানি মন� এসেও আসেনা। সায়াকার স্মৃতি� সমাধ� হয়েছি� কোথাও। সে� রহস্� বে� করতে তাকে মুখোমুখি হত� হব� অনেক কঠিন সত্যের� তা� জন্য কি সে প্রস্তুত?

খালি সে আওড়� যাচ্ছে,
❛খাওয়ানোর দরকা� নে�, বকবে কিন্তু� খাওয়াবে না.....�


পা� প্রতিক্রিয়া:


❝দ্য হাউজ হোয়্যার আই ডাইড ওয়ান্স❞ কেইগ� হিগাশিনো� লেখা অনবদ্য এক উপন্যাস। ❛দ্য ডিভোশন অভ সাসপেক্ট এক্স� এর আগ� এটিই ছি� লেখকের সবথেকে সাড়� জাগানো উপন্যাস। বইটা পড়া� পর সে সম্পর্কে দ্বিধা একেবারেই নে� কে� পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল বইটি�

বইটি নামে� সাথে শতভা� সার্থক� কাহিনি সংক্ষে� পড়ে আম� কিছুটা হর� ধাঁচের ভেবেছিলাম। এছাড়া� এম� একটা নির্দিষ্� সময়ের স্মৃতি বলতে কিছু নে� � ধরনে� একটা বই পড়েছিলা� আগে। রাইল� র‍্যাগারে� লেখা ❛হোম বিফো� ডার্ক❜ বইটি� স্মৃতি ভুলে যাওয়া� ব্যাপারট� সিমিলা� (অবশ্যই দুটো বই একেবারেই আলাদ�)� এছাড়া� পাকিস্তানি একটা ড্রামা দেখেছিলা� ❛Yeh Dil Mera❜। ছোটকাল� কোনো উল্লেখযোগ্� ঘটনায় বা ট্রমায� মানসপট থেকে স্মৃতি মুছে যাওয়া� ব্যাপা� ছিল।

বইটা শুরু থেকে� রহস্যে� মে� তৈরি করেছে। গল্পের মূ� চরিত্র দুইজন। সায়াক� যাকে নিয়� পুরো উপন্যাসে� কাহিনি এগিয়েছে� আরেকজন তা� প্রাক্তন� মূলত তা� জবানিতেই বর্ণিত হয়েছে পুরো কাহিনি�
হিগাশিনো� লেখা সবসময়� চমকপ্রদ। নানা রক� বিষয� নিয়� লেখক দৃষ্টিপা� করেন� আর ❛হিগাশিন� টুইস্ট� তো থাকেই। এই উপন্যাসে কোনো গোয়েন্দ�, পুলি�, আসাম� নেই। তবুও আছ� একঝাঁক রহস্য। ক্রমেই যে� সে� রহস্� ঘনীভূ� হয়েছে� পৃষ্ঠা এগিয়েছে আর নতুন নতুন অবাক কর� ব্যাপা� সামন� এসেছে।
শৈশবের ঘটনা মানুষে� পুরো জীবন� কী রক� প্রভাব ফেলত� পারে তা� বাস্তব চিত্� লেখক এই উপন্যাসে দেখিয়েছেন� আমাদের আচরণ অনেকখানি নির্ভর কর� আমরা কো� পরিবেশ� থেকে এসেছ�, কী অভিজ্ঞতা নিয়েছ�, নিজে� সাথে কেমন হয়েছে তা� উপর। একজন শিশু� শৈশবকে ঝলমল� করতে না পারল� সে� অভিজ্ঞতা প্রাপ্� বয়স্ক হলেও পিছু ছাড়� না� কেইগ� হিগাশিনো এই উপন্যাসে শৈশবের ট্রম�, নিপীড়নে� তিক্� সত্যটা তুলে ধরেছেন�

ইউসুকে� ডায়ের� পড়ে কিছু জায়গায় ধারন� করতে পারলেও লেখক শেষে এস� দারু� টুইস্ট দিয়েছেন� রহস্� একত্রে এস� শেষে যখ� একটা� পর একটা খুলে যাচ্ছি� বলাই বাহুল্� অবাক হওয়ার মাত্রা বেড়� যাচ্ছিল। জাপানি� থ্রিলা� এজন্যই পড়ত� ভালো লাগে� বিশে� কর� হিগাশিনো মানে� চোয়াল ঝুলিয়� দেয়� টুইস্ট� আগ� পড়া উপন্যা� গুলো� বেশিরভাগ হয়ত� ছি� ক্ষুরধার মস্তিষ্কের কোনো গোয়েন্দার তদন্তে� ব্যবচ্ছেদ। তব� এবার সাধারণ একজন পদার্থবি� এব� সাহিত্যে� স্নাতক কর� সায়াকার মাধ্যম� রহস্যে� বুনন আর শেষে সমাধান ছি� একেবারেই ভিন্ন। এজন্যই বইটি� অনন্যত� আছে।

সায়াকাক� ঘিরে ঘটনা ঘটলে� উপন্যাসে তা� প্রাক্তনের অবদা� ছি� অনেক বেশি� আমার মন� হয� সে না থাকল� সায়াক� এতদূ� এসেও আলোর মু� দেখতো। এছাড়া� তাদে� অতী� এব� প্রাক্তনের ব্যক্তিগ� অতীতে� কথাও এসেছ� এখানে। যা উপন্যাসট� পড়া� গতিক� আর� ভালো করেছে।

সমাজের খারা� দি�, ট্যাবু, কিছু ঘৃণ্� কাজক� লেখক স্মৃতি� পট� হারিয়� যাওয়া ঘটনা হিসেবে দেখিয়েছেন� যা� সমাধান হল� অনুশোচনা বাড়� কিন্তু বর্তমানে� কষ্ট কিছু হলেও লাঘব হয়। দারু� একটা উপন্যা� পড়লাম� হিগাশিনো কখনো� আশাহ� করেন না�

উপন্যাসে ভয়ে� আব� বিরা� করছিল। আম� সত্যিই ভাবছিলাম এই বুঝি অতৃপ্ত আত্ম� এস� হাজি� হয়। লেখক রহস্যে� মাঝে� ভয়ে� আব� তৈরি করেছেন� সেটা সম্ভ� হয়েছে আশপাশে� প্রকৃতির বর্ণনা� জন্যেই�

শেষট� অবাক করবে, বিষন্ন লাগব�, আফসো� হবে। কিন্তু শেষট� উপভোগ্� লাগব� অবশ্যই�


অনুবাদ:

আগেই বলেছ� আমার কাছে কেইগ� হিগাশিনো মানে� সালমান হকের অনুবাদ� সুতরাং অনুবাদের মা�, সাবলীলত� নিয়� আলাদ� কর� কিছু বলার প্রয়োজন নেই।


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

ভিন্টে� প্রচ্ছদট� দারু� লেগেছে� চিরকুটের নান্দনিক প্রোডাকশন।
অল্প কিছু টাইপ� ছাড়� তেমন ভু� নেই। তব� ডায়েরির কথায� এক জায়গায় লেখা ছি� এরপর একেবার� � জুলাইয়ে লেখা� কিন্তু এরপরেই নিচে তারি� দেয়� ছি� � জুন। ছাপা� ভু� হত� পারে�


❛আমাদে� জীবন নানাদিকে বাঁক নেয়� অতী� কখনো আমাদের জীবনকে দুলিয়� দেয়� কখনো সে� অতী� এম� কিছু নয� ফিরে আছ� যা� সঠিক ভু� বিবেচন� করার মত� কিছু� থাকে না� শুধু তা� মুখোমুখি হত� হয়। বাকিটা সময়� হদিশ দিয়� দেয়।❜ ]]>
Review7296742647 Fri, 07 Feb 2025 10:15:49 -0800 <![CDATA[Rehnuma added '৮৪, চ্যারি� ক্রস রো�']]> /review/show/7296742647 ৮৪,  চ্যারিং ক্রস রোড by Helene Hanff Rehnuma has read ৮৪, চ্যারি� ক্রস রো� (Hardcover) by Helene Hanff
❛করুণা কর� হলেও চিঠি দি�,
ভুলে গিয়� ভু� কর� একখানি চিঠি দি� খামে�

আমাদের চিঠিযু� তো গেছে সে� কবেই� খামে ভর� এখ� আর চিঠি তেমন একটা আস� না� কে� অপেক্ষ� কর� থাকে না আর� প্রযুক্তির তরতর কর� দৌঁড়ে যাওয়া� এই যুগে সেকেন্ডে� মধ্যেই বার্তা পৌঁছান� যায়� সেখানে হাতে লিখে, খামে পুরে কে� বা কয়ট� ডাকটিকিট জুড়� দিয়� চিঠি পাঠাতে যাবে? আধুনিক দুনিয়ায� চিঠি এখ� অ্যাস্থেটি� একটা ব্যাপারে চল� গেছে�
কোনো কিছু� অপেক্ষায� থাকা কেমন একটা কী হয�, কী হয� অনুভূত� দেয়না? একরা� কথায� সাজানো পৃষ্ঠায় লেখা� জবাব� অক্ষরগুল� কীভাবে সেজে আসবে জানত� কত আগ্র� কম� থাকে� এই অপেক্ষ� কখনো মধুর, কখনো বিস্বাদের।

১৯৪৯ সালে� � অক্টোব� আমেরিকার এক ফ্রিল্যান্� স্ক্রিপ্� রাইটারের (হেলে� হ্যানফ) লেখা একটা চিঠি� যা� প্রাপক ছি� তি� হাজা� মাইল দূরে� ৮৪, চ্যারি� ক্রস রোডে� ❛মার্ক� অ্যান্� কো.❜। যারা পুরোনো বই বিক্রি করেন� পত্রিকায� দেয়� তাদে� এক বিজ্ঞাপন দেখে� হেলে� তাদে� কাছে একটি পত্র লিখেছিলেন। যেখানে উল্লেখ ছি� পুরোনো কিছু বইয়ের� তখনও তিনি জানতেন না এই এক চিঠি� সূচন� ঠি� কত দূ� গড়াবে!
হেলেনে� চিঠি� উত্তরে পুরোনো বইয়ের দোকানে� কর্মকর্ত� ফ্র্যাঙ্� ডোয়েল জানা� তা� চাওয়া বইগুলো� কিছু খুঁজ� পেয়েছেন এব� তাকে পাঠানো হয়েছে� কী অদ্ভুত না! একটা চিঠি থেকে লন্ড� থেকে আমেরিকায� কোনো দ্বিধা ছাড়াই বই পাঠিয়� দিলেন। মহাকাল মন� হয� জানত� এই বিশ্বা� সূচন� করবে অপূর্ব এক বন্ধুত্বের� না হয� এই খেয়াল কি আসতো না, যদ� হেলে� নামধারী ব্যক্ত� যদ� মূল্� না দে�!
এভাবেই শুরু হল� চিঠি, পাল্টা চিঠি, বইয়ের ফরমায়েশ আর বইয়ের অনুসন্ধান। তি� হাজা� মাইল যে� থোরা� দূরত্ব হয়ে গে� বই প্রেমী আর বই বিক্রেতা� কাছে�
হেলে� বে� চটপট�, প্রাণে ভরপু� এক মানুষ। তা� চিঠিতে সে প্রচলি� নিয়মক� কোনো প্রকার অ্যাটেনশ� না দিয়েই খোশমেজাজ� লিখে গেলেন। আলাপ কর� গেলে� বই নিয়�, বই পাওয়া� পরের অনুভূত� নিয়�, যে� ফ্র্যাঙ্� তা� দু� বাড়� পরেই থাকে এম� ভা� নিয়ে। ব্রিটি� হিসেবে শুরুতে ফ্র্যাঙ্� বে� গাম্ভীর্� নিয়েই এব� ক্রেতা-বিক্রেতা� মধ্যকা� প্রফেশনালিজম বজায� রেখে� চিঠি� উত্ত� দিচ্ছিলেন। অপ� পাশে হেলে� তা� বিপরীত। কখনো তাকে ফ্রাঙ্কি, কখনো মশাই, কখনো কুঁড়ে� বাদশ� ইত্যাদ� মজাদার নামে সম্বোধ� কর� চিঠি লিখেছেন। ওপাশ থেকে বরাবরই ফ্র্যাঙ্� বে� গম্ভী� থেকেছেন। কিন্তু এত প্রাণোচ্ছলতা� মাঝে কত� আর গম্ভী� থাকা যায়? ফ্র্যাঙ্কও ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের মমতায় ডুবে গেলে� আর তা� চিঠি� ভাষা� ধীরে ধীরে প্রাণবন্� হত� লাগলো।
হেলে� একজন দারু� মনের অধিকারী ব্যক্তি। যু দ্� পরবর্তী অবস্থায় লন্ড� যখ� বাজে দি� পা� করছে তখ� বন্ধুত্বের বিশা� এক নিদর্শ� দেখিয়েছিল হেলেন। ৮৪, চ্যারি� ক্রস রোডে� � বইয়ের দোকানে� কর্মীদে� উদ্দেশ্য� তিনি নানা উপহা�, খাবা� পাঠিয়েছেন� কখনো ডি�, পাওডার্ড ডি�, গরুর জিহ্বা, হ্যা�, কুকি� সহ কত কী! এমনক� ফ্র্যাঙ্কে� স্ত্রী এব� কন্যাদের জন্য নাইলনে� মুজা� পাঠিয়েছেন� গোটা বইয়ের দোকানে� সাথে� এক গভী� সম্পর্� হয়ে গেছি� তার। এক� এক� দোকানে� অন্যান্য কর্মী সেসিলি, মেগ্যানও চিঠি লিখে হেলেনকে। তাদে� পত্র মিতালী চলতে থাকে� চলতে থাকে বইয়ের ফরমায়েশ আর সে� বই অনুসন্ধান। সাথে হেলেনে� চিঠি� সাথে পাঠানো মূল্� পরিশোধ হিসেবে ডলার�
১৯৫০ এর দিকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয� লন্ডনে আসার� কিন্তু নিয়তি ছি� ভিন্ন। প্রতিবার� লন্ডনে আসার জন্য যে সঞ্চয় সেটা অন্য কোনো কাজে খর� হয়ে যেতো� অগত্যা চিঠি� ভরসা� তাদে� বন্ধুত্ব কতটা গভী� ছি� সেটা বোঝা যায় বইয়ের বাইরেও ব্যক্তিগ� জীবনের খোঁজ নেয়�, ইয়র্কশায়ার পুডিংয়ে� রেসিপি শেয়ার পর্যন্� পত্রের মাধ্যম� হয়েছিল। বই পাওয়া� পর সেটা মনঃপুত না হল� হেলে� বক� দিতে� ছাড় দেননি। অপরপাশ� ফ্র্যাঙ্� এই বকাগুলোক� হজ� করেছেন� চিঠিতে বইয়ের আলাপ, ফিকশনে� প্রত� অনাগ্র�, দারু� বইয়ের একটা প্রায় বিলুপ্� সংস্কর� নিজে� ছোট্� বাসায় থাকা� সৌভাগ্� নিয়� অনর্গল লিখে গেছে� হেলেন। বইয়ের আবদা� চলেছ�, সাথে জানিয়েছেন নিজে বাড়� ছাড়ার কথ�, নতুন ঠিকানা� কথ�, আবার কা� চল� যাওয়া, কা� পাওয়া, জীবনের কঠিন সময়গুলো� কথ� বে� কৌতু� ভরেই চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি� এই বন্ধুত্ব ডালপাল� মেলেছিল। এই চিঠি� মিতালীতে শামি� হয়েছি� ফ্রাঙ্কে� পত্নী নোরা, একসময় তা� কন্যাও� শামি� হয়েছি� নোরাদে� পাশে� বাসা� এক বৃদ্ধা মেরি বোল্টন� যা� হাতে বোনা লিলে� কাপড়ে� উপ� টেবিলক্লথে� কা� উপহা� পেয়েছিল হেলেন।
এভাবেই বিশট� বছ� কেটে যায়� বইয়ের আলাপ, সু� দুঃখ অনুভূত� এক অপরক� জানাতে জানাতে� এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮ সালে হেলে� লিখেছি� তা� শে� চিঠি� ফ্র্যাঙ্� লিখেছি� এক� সালে� অক্টোবরে� ১৬ তারিখ। এরপর কী হয�?
ডিসেম্বরের ২২, ১৯৬৮ সালে চল্লিশ বছ� পুরোনো সে� বইয়ের দোকানে কা� করার পর শে� নিঃশ্বাস ত্যা� করেন ফ্র্যাঙ্ক। এই খবরট� হেলে� জানত� পারে জোয়ান টডের লেখা � জানুয়ার�, ১৯৬৯ এর চিঠিতে� কেমন লেগেছি� ২০ বছ� ধর� চল� পত্র বন্ধুর এই প্রয়া� সংবা�?
একটা বইয়ের দোকা�, চিঠি� বন্ধুত্ব, ২০ বছরে� অদেখ� এক বন্ধন। যা� যা� করেও লন্ডনে� সে� দোকানে যাওয়া হলোন� হেলেনের। দায়ী আর্থিক অবস্থা, দায়ী হয়ত� নিয়তি� এম� অদেখ� বন্ধুত্ব� হয়ত� আর� বেশি অনুভূত হয়েছে�
আলাপ থেমে গেছে� আর চাওয়া হয়ন� হ্যজলিটে� লেখা ভার্জিনিবা� পুয়েরিস্ক, পেপি� এর ডায়ের�, সোনালী তরলে বানানো বইয়ের পৃষ্ঠা, আলাপ হয়ন� কে� এম� পঁচা পেপি� দিলো, কথ� হয়ন� প্রাইড অ্যান্� প্রিজুডাইস নিয়েও� থেমে গেছে একটা মৃ ত্যুতে�
শুধু রয়ে গেছে স্মৃতি আর স্মৃতি� দলিল স্বরূপ চিঠিগুলো� অতী� ফেলে নতুন রূপে দাঁড়িয়� আছ� ❛৮�, চ্যারি� ক্রস রোড❜� ওখান� এখনো ধুলায় মোড়� বইয়ের তাকগুল� অনুভ� কর� যায় কী?


পা� প্রতিক্রিয়া:

ছোটকাল� ইংরেজিতে চিঠি কিংব� অনুচ্ছেদ লেখা� সময় একটা বিষয� ছি� ❛পেন ফ্রেন্ড❜� এম� এক বন্ধ� যা� সাথে শুধু চিঠিতে� কথ� হয়েছে সামন� সাক্ষা� হয়নি। � সময় থেকে� আমার খু� শখ ছি� আমার� এম� এক বন্ধ� হো� যা� সাথে সামনাসামনি সাক্ষা� কখনো হবেনা। পত্রতে� হব� মিতালী� শখ পূরণ করার চেষ্টা� হয়ত� করেছিলাম� সফ� হইনি�
আর এই যুগে না দেখে বন্ধুত্ব হওয়ার জো নেই। একদম অচেন� ভাবে ফেসবুক� অনেকের সাথে পরিচয়, সে� উসিলায� সাক্ষাৎও হয়েছে� আর সে� পরিচয় গুলো� সিংহভাগই ছি� ❛বই❜ কে ঘিরে� বইয়ের আলাপ করতে গেলে অপরপাশ� ব্যক্তিক� ছেলে কিংব� মেয়� কোনো আলাদ� লিঙ্গে যাচা� কর� না� বই নিয়� সে আলোচনা করছে, আগ্র� আছ� এটাই যথেষ্ট� কথার ফুলঝুড়ি ফোঁটে। বই সংগ্রহের কথ�, আসন্� বইয়ের কথ�, খুঁজ� পাওয়া যাচ্ছে না এম� বইয়ের কথ�, বই পড়া� পর এই সে� আলোচনা তো আছেই�
এক� আলোচনা আজ থেকে ৭৫-৭৬ বছ� আগেও হয়েছিল। আর সেটা হয়েছি� ঝড়ে� বেগে বার্তা� মাধ্যম আসার আগের মাধ্যমে। হাতে লেখা চিঠিতে� সূচন� হয়েছি� মুগ্� কর� এক বন্ধুত্বের�
❝৮�, চ্যারি� ক্রস রোড❞ বইটি হেলে� হ্যানফের লেখা তা� বন্ধুত্বের চিঠি সংকলন।
কিছু বই আছ� পড়ল� একরা� অজান� অনুভূত� খেলা করে। ভালো লাগা না বিস্বা� লাগা কেমন না� না জানা এক অনুভূতি। এই বইটা� ঠি� তেমন� অনেকদিনে� অপেক্ষার পর বইটা সংগ্রহ করেছিলাম� পড়ে ফেললাম এক বসাতেই�
হেলে� হ্যানফ একটি কয়েকট� বইয়ের খোঁজ করতে চিঠি লিখেছিলে� লন্ডনে� পুরোনো বইয়ের দোকানে� পুরোনো বই সংগ্রহ ছি� তা� এক রক� নেশা� পাশাপশ� দুর্লভ এই বইগুলো পড়ে তিনি ব্যক্ত করতে� নিজে� অনুভূতি। এভাবেই বিশা� দূরত্বের এক বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছি� তার। যেখানে ছি� পারস্পরি� সম্পর্�, শ্রদ্ধাবোধ, ছি� ভালোবাসা�
বইটা পড়ত� গিয়� বারবার হেলেনে� বই প্রেমে� সাথে নিজেকে সংযুক্� করতে পারছিলাম� পুরোনো বই, প্রথ� সংস্কর� ইত্যাদ� সংগ্রহ করতে হেলে� যেমন মুখিয়� থাকতো। আমিও তাই। পাওয়া যায় না, আর আসবে না এম� জিনিসে� প্রত� আমার ব্যাপক আগ্রহ। দুর্লভ কপ� সংগ্রহ করতে আম� কত ঘটনা ঘটিয়েছি শে� নেই। এমনও হয়েছে এম� না� না� বইয়ের সন্ধান পেয়েছ� রাতে� আম� খোঁজ খব� শুরু কর� দে� সে� সময়েই, আবার দেখা গেছে উক্ত বইয়ের না� খোঁজ কর� আগ� যারা সে� বই পড়েছে বে হায়ার মত� তাদে� মেসে� কর� বসি। তাদে� জবাব পেয়� কখনো হতাশ হয়েছি, কখনো সফ� হয়েছি� তব� কাঙ্ক্ষি� বই ঠিকই সংগ্রহ করেছি। আবার � রিয়� হয়ে সংগ্রহ কর� বইটা যে� সাধ্যে� মধ্য� দামে পাওয়া যায় সেজন্য� অনেক কষ্ট করেছি। হেলেনও যেমন বলেছিল,
❛পরিচ্ছন্ন কপ� এব� প্রতিট� বইয়ের দা� যে� পাঁচ ডলারের বেশি না হয়।�
সক� বই পড়ুয়াদের বইয়ের আবদা� বুঝি এক� হয়। ভাবনাও এক� হয়। না হয� পুরোনো বই শুধু বইয়ের গল্প� বল� না, বল� আগের মালিকে� গল্পও। ওত� আগের মালিকে� ছোঁয়া থাকে� হয়ত� কোথা� কোনো লেখা, নো�, সাক্ষর থাকে - এই এক� চিন্তা হেলে� করতো তেমন � যুগে� পুরোনো বই পছন্� কর� এম� বই পড়ুয়ারাও করে।
হেলেনে� উচ্ছলত�, কৌতুকপূর্ণ চিঠি� সম্ভাষ�, তা� দি� দরিয়া মনের যে প্রকাশ চিঠিগুলোতে ছি� সেটা এত বছ� বাদে এসেও তাকে পছন্� করতে বাধ্� করবে� তা� চিঠি� ভাষা পড়ত� গিয়� ঠোঁটের কোণায় কখনো চিলত� হাসি ফুটেছে� আবার একসময় বে� জোরে� হাসি এসেছে।
বারবার পরিকল্পন� করেও তা� লন্ডনে পা রাখত� না পারা� ঘটনাগুলো পড়ে খারা� লেগেছে� তা� বন্ধুর� সে� মার্কস অ্যান্� কোম্পানি নামক বইয়ের দোকানে পা রাখত� পারলেও যতদি� দোকানট� ছি� ততদি� সে পা রাখত� পারেননি। এরকম আফসো� আর হয�? যে বন্ধুট� তা� আবদারে� বইগুলো জোগাড় করেছ� তা� সাথে সাক্ষাতে� আগেই পৃথিবী ছেড়েছ� এম� আক্ষেপ আর হয�?
বইটা দারুণ। এক� ভালো মন্দের কোনো মাপকাঠিত� না ফেলে শুধুমাত্� পত্র বন্ধুর সাথে আলাপ, তাদে� অনুভূত� বিনিময়ে ব্যাপারগুল� কে অনুভ� করার ব্যাপারটাই মূল।
৮৪ টি চিঠি� সমন্বয়ে বইটি সাজিয়েছেন তিনি� ২০ বছরে লেনদেন হয়েছে আর� অনেক চিঠি� সবগুলো সংরক্ষ� না থাকায় আমরা বঞ্চিত হয়েছি আর� অনেকগুলো আলাপের� শুরু� দিকে চিঠিগুলো� ধারাবাহিকত� থাকলেও পর� দিয়� সময়ের ব্যবধা� অনেক হয়ে যাচ্ছিল। এত� কর� জানত� পারলাম না, কী হল� এম� একটা না পাওয়া ভা� বিরা� করছিল। আমার খু� ইচ্ছ� করছি� ডোয়েলের প্রয়া� সংবা� শুনে হেলেনে� জবাব কী ছিল।
১৯৭০ সালে হেলে� বইটি প্রকাশ করে। ডোয়েলের প্রয়াণে� পর দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়� আজীবন আর্থিক অস্বচ্ছলতা� সাথে লড়া� কর� হেলেনক� ব্যাপক জনপ্রিয়তা এন� দেয় বইটি� ১৯৭১ সালে তিনি পা রাখে� লন্ডনে� মাটিতে� চক্ষুশ করেন লালি� সে� স্বপ্নের� কিন্তু আহ�! ততদিনে দোকানট� বন্ধ হয়ে গেছে� এই বুঝি ছি� নিয়তি�
বইটি অবলম্বনে সিনেমা তৈরি হয� ১৯৮৭ সালে� অভিনয় করেন অ্যা� ব্যানক্রফট � অ্যান্থন� হপকিন্স। বইটিতে অভিনেত্রী� লেখা ভূমিকা আছে।
আজ� দাঁড়িয়� আছ� ৮৪, চ্যারি� ক্রস রোড। তব� এখ� সেখানে মানু� আর বই খায় না� M'Cdonals এর খাবা� খায়� আর� ৭০-৮০ বছ� পর সেখানে কে স্থা� কর� নিবে?

অনুবাদ:

বইটি অনুবাদ করেছেন এপার বাংলার আঞ্জুমান লায়লা নওশি� এব� ওপার বাংলার অরূপরতন। দু� অনুবাদকে� মাঝে� আছ� দূরত্বের ব্যবধান। তাদে� কর� প্রথ� অনুবাদ এটি। বলতে� হয� দারু� হয়েছে�

প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

বইটি� এই প্রচ্ছ� আমার খুবই পছন্দের। অনেকদি� অপেক্ষ� কর� বইটা সংগ্রহ করেছি। হেলেনে� মত� আমার� দশ� ট্যাকা নাই। তা� সংগ্রহ করতে করতে বইটি� দ্বিতীয় মুদ্রণ এস� গেছে� তবুও সই� পছন্দে� কপিটাই নিতে পেরেছি�
বইটি� বাঁধাই বে� দারুণ।

❛চিঠির মধ্য� যদ� বেঁচ� থাকে অদেখ� বন্ধুত্ব, আর সে বন্ধুত্বের কাহিনি কা� পেরিয়� লোকে জানে এখানেই কি তব� সে বন্ধুত্বের সার্থকতা? সময় পেরিয়� যায়, পুরোনোকে ঘিরে ধর� জরাজীর্ণতা। কা� গ্রা� কর� নতুন স্থা� করে। কফ� হাউজের আড্ডাটাও রয� নি� নতুন চিঠি� থেমে গেছে� আছ� শুধু হলদে হয়ে আস� স্মৃতি।❜ ]]>