Fårzâñã's Updates en-US Sun, 13 Apr 2025 07:08:24 -0700 60 Fårzâñã's Updates 144 41 /images/layout/goodreads_logo_144.jpg Review7484974273 Sun, 13 Apr 2025 07:08:24 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'আজ হিমু� বিয়�']]> /review/show/7484974273 আজ হিমুর বিয়ে by Humayun Ahmed Fårzâñã gave 4 stars to আজ হিমু� বিয়� (হিমু, #15) by Humayun Ahmed
মে� না চাইতেই জল এর মত� হিমু� কাছে হঠাৎ মাজেদা খালা� ফোন। হ্যালো! কে হিমু? হিমু শো�, আজ তো� বিয়�!
অন্য কে� হল� ভয়ানক চমকে যে� কিন্তু হিমু আনন্দে খাবি খাওয়া� মত� কর� বললো, কখ� বিয়�?
রা� ন’টার মধেয� মগবাজারে� কাজি সাহে� চল� আসবেন। লেখালেখিতে পাঁচ-দশ মিনি� যাবে� রা� দশটা� মধ্য� কর্ম সমাধান� ইনশাল্লাহ।
হিমু বললো, আম� কখ� আস�?
তু� অবশ্যই আটটা� আগ� চল� আসবি� বাসায় এস� হট ওয়াটা� শাওয়া� নিবি� পায়জামা-পাঞ্জাবি আম� আনিয়ে রাখব�
মেয়� আসবে কখ�?
মেয়� আসবে কখ� মানে? মেয়� তো এসেই আছে। আমার শোবা� ঘর� তালাবন্ধ কর� আছে। যথাসময়ে খুলে বে� কর� হবে।

হিমু� মাথায় অবশ্� কিছু� ঢুকছ� না� যাকে সে বিয়� করবে খামোখা তাকে ঘর� আটকে রাখা কে� হয়েছে� হিমু বললো, ঠি� সময়� কবুল বলবে তো?
বলবে না মানে? থাপড়ায়� দাঁত ফেলে দে� না! বদমেয়ে। আমাক� চেনে� সে বুনো ওল আর আম� ঘেতুল।
ঘেতু� কী?
ঘেতু� হল� বাঘা তেঁতুলের মা�
মেয়ের না� কী?
না� রেনু�
রেনুকে পেয়েছ কোথায়?
সে এক বিরা� ইতিহাস� এই মেয়� ড্রা*� অ্যাডিক্� এক ছোকরার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল। তাকে বিয়� করার জন্য বাড়� থেকে পালিয়েছিল� কমলাপু� রেলস্টেশনে ধর� পড়েছে� আম� তালাবন্ধ কর� রেখেছি� এখ� সে� মেয়� দরজায় মাথা ঠুকছে।

একটু পরেই মাজেদা খালা রেনু� সাথে কথ� বলার ব্যবস্থা কর� দিলে� হিমুকে� কিশোরী টাইপ গলায� একটি মেয়� বল�, অ্যা� তু� কে?
হিমু বললো, আমার না� হিমু�
� আচ্ছ� তুই। তু� আমাক� বিয়� করবি?
মাজেদা খালা চেপে ধরলে করব। আম� আবার খালা� অনুরোধ ফেলত� পারি না�
রেনু বল�, আম� তো� চো� গেলে দেব।
বাসররাতে� গেলে দিবে? না এক দু� দি� পর� গালব�?
আমার সাথে ফাইজলামি করিস? শালা!
মেয়েদের মুখে শালা গা� সচরাচর শোনা যায় না� হিমু মোহি� হয়ে গেল। এব� কিছুক্ষণের জন্য চু� মেরে গেল।

রেনু বল�, শালা, তু� একবা� আয� আমার সামন�, কামড� দিয়� তো� কা� যদ� আম� ছিঁড়ে না আন� তাহল� আমার না� রেনু না� আমার না� কেনু� শালা� বাচ্চা শালা!
হিমু বললো রেনু, তুমি সম্পর্কে গণ্ডগো� কর� ফেলছ� শালা� বাচ্চা শালা হব� না� ভাতিজা হবে।

বুঝু� অবস্থা! বিয়ের আগেই মেয়� গালাগা� দিচ্ছে হিমুকে� ওদিক� অন্য কে� হল� এতক্ষণ� বলতো বিয়� করবো না� কিন্তু এট� হচ্ছ� হিমু� সহজে এত বিচলিত হয� না� মাজেদা খালা� থেকে ঠিকানা নিয়� হিমু গে� হাসপাতালে। রেনু� মায়ের সাথে দেখা করতে� বড়লোকদে� অসুখ-বিসু� হওয়াও আনন্দে� ব্যাপার। তাদে� হাসপাতালগুলি সুন্দর� ডাক্তা�-নার্সদের চেহারা সুন্দর� কেবি� দেখে মন� হয� ফাইভ স্টা� হোটেলে� স্যুইট� রেনু� মা’র কেবিনে হিমু অনেকক্ষণ হল� দাঁড়িয়� আছে। কেবিনে� সাজসজ্জা দেখে মুগ্� হচ্ছে। রোগী ঘুমুচ্ছেন। রোগী দেখত� অবিক� রেনু� মতো। যে� দু� যম� বো�, কোনো এক বিচিত্� কারণ� একজনের বয়স বেড়� গেছে�

হিমু� মায়ের সাথে দেখা কর� হিমু গে� খালু সাহেবে� কাছে� সেখানে গিয়� ড্রাইভার মকবুলে� দিকে তাকিয়� বললো, গাড়� বে� কর� তো�
ভাইজান! স্যা� কি বে� হবেন?
হিমু বললো, স্যা� বে� হবেন না, আম� বে� হবো। তে� আছ� তো?
তে� পুরা টেঙ্কি আছে।
ভালো হয়েছে, খালু সাহে� সারাদিনে� জন্য� এই গাড়� আমাক� ধা� দিয়েছেন� আজ রাতে আমার বিয়�, খব� পেয়েছ না?
মকবু� দাঁত বে� কর� বল�, খব� জানি�
বিয়ের বাজা�-টাজা� কর�, গাড়� দরকার।
অবশ্যই�
তুমি যা� খালু সাহেবে� কাছে জেনে আস—গাড়ি নিয়� যেতে পারব� কি-না�
মকবু� বিস্মি� হয়ে বল�, আপনে বলার পর আবার জিজ্ঞে� কর� লাগব! কী কন আপনে!

হিমু খালু সাহেবে� নতুন গাড়� নিয়� বেরিয়� পড়ল� খালু সাহেবক� না বলেই� ওদিক� মাজেদা খালা পড়েছে� বিয়ের আয়োজন নিয়ে। আচ্ছ� হিমু� কী আদৌও বিয়� হওয়� সম্ভ� নাকি শে� মুহূর্তে সে আরেক কান্� ঘটাব�? দেখা যা� শেষমেশ�

🥑পা� প্রতিক্রিয়া🥑

হুমায়ূন আহমেদে� হিমু সিরিজে� এই বইটি আমাক� বে� ভালো আনন্� দিলো� গল্পটা এগিয়ে নিতে লেখক এম� মোক্ষম উপাদান ব্যবহা� করেছেন বিয়� নিয়� তাতে কাহিনী আর� জম� উঠেছে। এব� গতানুগতি� আগের বইটি� থেকে এই বইটি আমাক� আনন্� দিয়েছে। হাসি� উপাদান ছি� বে� ভালো মাত্রায়� হিমু� পাগলাম� যে� পরিপূর্ণ ভাবে উপভো� করতে পারলাম� এইজন্য বে� ভালো লেগেছে�

পরিপূর্ণ মাত্রায় চরিত্রগুলো নিয়� কা� কর� হয়েছে� হিমু� মাজেদা খালা যে বইয়� থাকে সে� বই যে� আসলে� ফাটাফাটি হয়ে ওঠে। এই মহিলাক� আমার বে� পছন্� এইজন্য� যে হিমু সিরিজে হিমু� পাশাপাশি তিনি বে� গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই বইয়� হিমু� কর্মকাণ্� দেখে মজাও পাবে� আবার কিছু জায়গায় রা� হত� পারে� তব� হিমুকে তা� বাবা যেভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন হিমু বোধহয় তা� বাইর� কখনো যেতে পারব� না�

সে� কত বছ� আগ� পড়া� পুরন� স্মৃতি� মত� মাঝে মাঝে পুরন� পড়া বইগুলো আবার পড়ি, বই নিয়� নিজে� মনের কথ� লিখি� এট� বে� পছন্দে� কা� আমার� কালক� ছি� আমার বিবাহবার্ষিকী� তো তা� বল� যায় হিমু� বিয়� পড়া� হিমুকে বিয়� দিলে কেমন হত�, কী হত� এস� নিয়� হুমায়ুন আহমে� মন্দ লেখেননি।

🥑বইয়ের নামঃ "আজ হিমু� বিয়�"
🥑লেখক� হুমায়ূন আহমে�
🥑ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�/� ]]>
Review7481938471 Fri, 11 Apr 2025 23:13:43 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'সুজন হরবোলা']]> /review/show/7481938471 সুজন হরবোলা by Satyajit Ray Fårzâñã gave 4 stars to সুজন হরবোলা (Hardcover) by Satyajit Ray
~সুজন হরবোলা~

সুজন দিবাকর মুদি� ছেলে� তা� একটা বড� বো� ছি�, তা� বিয়� হয়ে গেছে, আর একটা বড� ভা� মারা গেছে তি� বছ� বয়সে। সুজন তাকে দেখেইনি। সুজনের মা খু� সুন্দরী, সুজন তা� মত� না�-চো� পেয়েছ�, তা� রঙটা� বে� পরিষ্কার�

দিবাকরের ইচ্ছ� ছেলে লেখাপড়া শেখে, তা� সে সুজনকে হারা� পণ্ডিতের পাঠশালায� ভর্ত� কর� দিল। কিন্তু পড়াশুনায় সুজনের একেবারেই মন নেই।

সুজনের বাড়ির পিছনেই ছি� একটা সজনে গাছ। তাতে থাকত একটা দোয়েল� সুজনের যখ� আট বছ� বয়স, তখ� একদি� দোয়েলের ডা� শুনে সে ভাবল–আহা, � পাখি� ডা� কেমন মিষ্টি� মানুষে কি কখনও এম� ডা� ডাকত� পারে? সুজন সেইদিন থেকে মু� দিয়� দোয়েলের ডা� ডাকা� চেষ্টা করতে লাগল� একদি� হঠাৎ সে দেখল যে, সে ডা� দেবা� পরেই দোয়েলটা যে� তা� ডাকে� উত্তরে ডেকে উঠল। তখ� সে বুঝল যে, এই একটা পাখি� ডা� তা� শেখা হয়ে গেছে� তা� মা দয়াময়ী� শুনে বললে�, বা� রে খোকা, মানুষে� গলায� এম� পাখি� ডা� তো শুনিনি কখনও! সুজন তাতে যারপরনাই খুশি হল�

কিন্তু বাবা দিবাকর তাতে অখুশি। ছেলে পড়াশোনা শিখত� পারল� না� পাখি� ডা� ডেকে হরবোলা হয়ে লা� কী� তবুও সে সুজনকে পাশে� গ্ৰামে� আরেক হরবোলা� কাছে পাঠালো� এবার কী সুজনের ভাগ্� ফিরব� তব�?

~গঙ্গারামের কপাল~

নদী� ধারে খোলামকুচ� দিয়� ব্যাঙবাজ� খেলত� খেলত� হঠাৎ গঙ্গারামের চোখে পড়ল পাথরটা� � নদীতে জল নে� বেশি; যেখানে সবচেয়� গভী� সেখানে� হাঁট� ডোবে না� জলটা কাচে� মত� স্বচ্ছ, তা� তা� নীচে লা� নী� সবুজ হলদে খয়েরি অনেক রক� পাথর দেখা যায়� কিন্তু এম� পাথর গঙ্গারাম এর আগ� কোনোদি� দেখেনি� যত রক� রং হয� রামধনুতে, সব রং আছ� এই পাথরে। আকার� একটা পায়রা� ডিমে� মতো। গঙ্গারাম জল থেকে পাথরটা তুলে নিয়� কিছুক্ষণ অবাক হয়ে সেটাকে ঘুরিয়� ফিরিয়� দেখল� ‘বাঃ, কী সুন্দর!’—আপন� থেকে� বেরিয়� পড়ল তা� মু� থেকে� তারপ� সেটাকে সে ট্যাঁক� গুঁজ� নিয়� বাড়িমুখ� রওনা হল�

গ্ৰামে� সবাই ওক� ভালোবাসতো। কিন্তু এই পাথরটা বাড়িত� আনার পর থেকে ঘট� চলেছ� বিভিন্� ঘটনা� গঙ্গারামের কপাল� এবার কী আছ�?

~রত� আর লক্ষ্মী~

রত� থাকে শিমুলিতে� সেখা� থেকে চা� ক্রো� দূরে উজলপুর� সংক্রান্তি� খু� বড� মেলা হয়। রত� গিয়েছিল সে� মেলা দেখতে। শুধু দেখত� নয�, মেলা থেকে বাঁশের বাঁশ� কেনা� শখ� ছি� তা�, সেটা� একটা উদ্দেশ্য বটে। রতনে� গানে� গল� খু� ভালো; যে কোনো গা� দুবা� শুনল� নিজে� গলায� তুলে নিতে পারে�

উজলপুরের রাজকন্যা লক্ষ্মী এসেছেন ডুলিতে কর� মেলা দেখতে। এমনিতে রাজকন্যারা রাজবাড়ি� অন্তঃপুরেই বন্দী থাকে, তাকে বাইরের লোকে দেখত� পায় না� কিন্তু লক্ষ্মী তেমন মেয়� নয়।

রাজকন্যা লক্ষ্মী� চোখে চো� পড়তেই রতনে� মন খুশিতে ভর� উঠল। এম� সুন্দর মেয়� সে দেখেনি কখনো� আহ�, এক� যদ� গা� শোনাতে পারত সে তাহল� কেমন ভালো হত! দেখা যা� ভাগ্যক্রমে আবার রত� � লক্ষ্মী� দেখা হয� কী না�


~কানাইয়ে� কথা~

নস� কবিরাজ প্রায় পাঁচ মিনি� ধর� বলরামে� নাড়ী ধর� বস� রইলেন। শিয়রে� কাছে দাঁড়িয়� বলরামে� সতের বছরে� ছেলে কানা� একদৃষ্টে চেয়� আছে। আজ দশ দি� হল� তা� বাপে� অসুখ� কোনো কিছু খাবারে তা� রুচি নে�; এক টানা দশ দি� না খেয়� সে শুকিয়� গেছে, তা� চো� কোটর� বস� গেছে, তা� সর্বাঙ্গ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে�

� রোগে� না� কী তা কানা� জানে না� কবিরাজ জানে� কি? তাঁর চোখে� ভ্রূকুটি দেখে কেমন যে� সন্দেহ হয়। মো� কথ� � যাত্রা তা� বা� না বাঁচলে তা� মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। আপ� লো� বলতে তা� আর কে� নেই।

‘চাঁদনি�, নাড়ী ছেড়� মাথা নেড়� বললে� কবিরাজ মশাই� নস� কবিরাজের খ্যাতি অনেক দূ� পর্যন্� ছড়িয়েছে। তাঁর নাড়ী জ্ঞা� নাকি যেমন-তেমন নয়। তিনি জবাব দিয়� গেলে রোগীকে বাঁচান� অসাধ্য, আর তিনি ওষুধ বাতল� গেলে রোগী চাঙ্গা হয়ে উঠবেই। কিন্তু চাঁদনি আবার কী? ‘আজ্ঞে?� ভুরু কুঁচকে জিগ্যে� কর� কানাই।

‘চাঁদন� পাতা� রস খাওয়াতে হব�, তাহলেই রো� সারবে। সংস্কৃ� না� চন্দ্রায়ণী� আর রোগে� না� হল শুখ্‌নাই।� ‘চাঁদন� একটা গাছে� না� বুঝি?� ঢো� গিলে জিগ্যে� কর� কানাই।

নস� কবিরাজ ওপ� নীচে মাথা নাড়লে� দুবার। কিন্তু তাঁর চো� থেকে ভ্রূকুটি গে� না� ‘কিন্ত� চাঁদনি � যেখানে সেখানে পাবে না বাপু�, শেষটায� বললে� তিনি� কানা� তবুও কবিরাজের কথ� মানত� নারাজ। যেখানে� পাওয়া যা� কানা� বাবাকে বাঁচাত� যাবে চাঁদনি গা� আনতে� কিন্তু শে� পর্যন্� কানা� কী পারব� বাবাকে বাঁচাত�?

🍞 পা� প্রতিক্রিয়া 🍞

সত্যসত্যজি� রায়ের লেখনী� মধ্য� এক ধরনে� মজ� আছে। হু� করেই পড়ে ফেলা যায় এক বসায়। এব� রসবোধে� � পরিচয় আছ� কিছু কিছু গল্পে।

এই শিশুতো� বইটি লেখা হয়েছে একদম ছোটবেলায� আমরা যেমন রুপকথা� গল্প পড়তাম সেভাবে� প্রতিট� গল্প আমাদের মন� করিয়ে দেবে সে� ছোটবেলায� পড়া রুপকথা� গল্পের স্মৃতি� শব্দচয়ন, গল্পের প্লট বে� ভালো লাগলো। পড়ে আনন্� পেয়েছি। ছোটদের জন্য� সত্যজি� যে এম� দারু� লিখেছে� যে আসলে� বোঝা যায় গুনী� গুন।

প্রতিট� গল্প� আলাদ� আলাদ� সময়, প্রেক্ষাপট� তব� দুটো গল্প� শেষট� অনেকটা মিলে গে� যেন। আগেই ধারণ� করতে পেয়েছিলাম� তব� ওই যে বললা� পড়ত� ভালো লেগেছে� শিশুদে� জন্য এই বইটি হত� পারে ভালো অপশন অবশ্যই�

আম� মশাই বাচ্চাকাচ্চাদে� বই পড়ে বে� মজ� পাই। এই ধারা অব্যাহ� থাকবে। আশ� করছি ইনশাআল্লাহ আর� ভালো বইয়ের খোঁজ পাবো�


🍞বইয়ের নামঃ "সুজন হরবোলা"
🍞লেখক� সত্যজি� রায়
🍞ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�/� ]]>
Review6900478984 Fri, 11 Apr 2025 08:24:48 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'টেনিদা � ভূতুড়� কামর�']]> /review/show/6900478984 টেনিদা ও ভূতুড়ে কামরা by Narayan Gangopadhyay Fårzâñã gave 4 stars to টেনিদা � ভূতুড়� কামর� (Hardcover) by Narayan Gangopadhyay
"টেনিদা � ভুতুড়� কামর�" বইটি পড়ত� শুরু করলে প্রথমে� টেনিদা� কথ� মাথায় আসতে পারে� কিন্তু এই বইয়� স্থা� পেয়েছ� বেশিরভাগ অন্য গল্প� ছো� বইটি পড়ত� গিয়� আমার কাছে ভালো� লেগেছে� সবগুলো গল্প এত ফাস্� যে পড়ত� পড়ত� মন� হল� এই যা! এত তাড়াতাড়ি শে� হয়ে গে� এট�! অবশ্� লেখকের গু� বলতে হবে। ছোটগল্পে� ক্ষেত্রে উন� বে� সাবলী� ভাবে গল্প বলেন� পড়ত� পড়ত� একঘেয়েম� লাগে না�

বইটিতে স্থা� পেয়েছ� মো� দশটি ছোটগল্প। তব� এই বই হার্ডকভারে� যা আকাশচুম্বী দা�! আনন্� জুয়েলার্স (পাবলিশার্স) এর বইগুলো পড়ত� হল� আমার মত� গরী� পাঠকদে� তা� ভরসা ইবুক� প্রতিট� গল্প� আলাদ� আলাদ� স্বা� পাওয়া যাবে� নারায়� গঙ্গোপাধ্যায� এর ছোটগল্� আম� এইজন্য� বে� আগ্ৰ� নিয়� পড়ি� এগুলোর মধ্য� কিছু গল্প আছ� একদম আবার বেশি ছোট। কিছু আছ� অর্থহী� ছেলেমানুষী ধরনের। আবার কিছু গল্প বে� ইন্টারেস্টিং� তব� সব মিলিয়� আমার ভালো লেগেছে�

একটা জিনি� বোধগম্� হল� না বইয়ের না� এট� কেন। কারণ বইয়ের নামে� সাথে গল্পগুলো� মি� নেই। এক বাসায় সময় কাটানো� জন্য � ধরনে� বইগুলো পড়ত� শান্তি লাগে� অনেক সময় বড� সাইজের বইয়� অনীহা চল� আসে। তখ� এই ছো� সাইজের বইগুলো বে� সাহায্� কর� আমাকে। হ্যাপি রিডিং। ওহ� চলুন জেনে নি� এই বইয়ের গল্পগুলো সম্পর্কে কিছু�

�. প্রভাত সঙ্গী�: চারমূর্ত� এবার খুলেছে শরীরচর্চা� জন্য ব্যায়ামাগার� কিন্তু পাড়ার কে� তেমন সাহায্যই করছে না� সাহায্� ছাড়� এতবড� ব্যায়ামাগার� জিনিসপত্� কেনা হব� কীভাবে! টেনিদা বে� করেছেন এক অভিন� বুদ্ধি চাঁদ� তোলার। শুরু হব� এবার প্রভাত সঙ্গীত। কিন্তু লোকে সাতসকালে এদের গা� শুনে চাঁদ� দেবে তো শেষমেশ? আমার খু� প্রিয় গল্প এটা। টেনিদা সমগ্� তে পড়েছিলা� আগেও�

�. গুরুপ্রাপ্তি: এক পকেটমা� এসেছ� গড়ে� মাঠে লেখকের কাছে সাহায্� চাইতে। সে এই পেশা ছেড়� দিয়� নাকি আসানসো� পালিয়� গিয়� তা� মামা� দোকানে চপ, কাটলেট ভাজতেও রাজি� তবুও তা� হঠাৎ করেই পাওয়া গুরু� থেকে সে মুক্তি চায়� লেখক যদ� � ব্যাপারে সাহায্� করতে পারেন। কিন্তু গুরু নিয়� এই ঝামেলা হল� কীসে?

�. চু� কাটা� ভয়ে: ভদ্রলোকে� টা� মাথা� কিন্তু ছেলেবেলা� কথ� মন� পড়ে যায়� যখ� তা� মাথায় ছি� ঘন কালো চুল। তখ� চু� কাটাতে রীতিমত� ভয� পেতে� তিনি� এব� চু� কাটা� ভয়ে করেছিলেন এক কান্ড। কী কান্�?

�. ভূতুড়� কামর�: ভূতুড়� কামরার কথ� খানি� গোপন রাখলাম� যদ� ভয� চল� যায়� প্যালাকে ওর পাড়াতুত� দাদা কী গল্প শুনিয়েছিলেন পড়ে না হয� জানবেন� এই গল্পটা ভালো লেগেছে�

�. একটি খুনে� ঘটনা: বে� রহস্যময় গল্প� অনেক সময় ছো� একটা কথ� অনেক বড� রহস্যে� জট খুলত� সাহায্� করে। গল্পটা খুনে� কিন্তু যাকে সন্দেহ কর� হয়েছে সে কী আদৌও খুনট� করেছ�?

�. ভূ� মানে ভূ�: একেবার� আগাগোড়া ছেলেমানুষী গল্প� তব� শেষটায� লেখক যুক্তিখানা দিয়েছেন বে� মোক্ষম�

�. টুটুনে� প্রতিজ্ঞ�: টুটু� প্রতিজ্ঞ� করেছ� কখনো বেগু� খাবে না� কিন্তু কে�? এই গল্পটা শিশুতো� গল্প হিসেবে দারু� হয়েছে�

�. দিবা-দ্বিপ্রহরে: আরেকটা ছেলেমানুষী গল্প� শুরুতে ভালো লাগছিল� বে� জম� উঠেছিল� শেষট� এস� নিজে� বললা� ধু�! জমলো না তো!

�. তি� আনার আমের জন্য: আমার ভালো লেগেছে এটা। তি� আন� আমের জন্য প্যালা� প্রতিবেশী� যা লেজে গোবর� দশা। হাস্যরসাত্মক গল্প�

১০. ছেলে ধরার ইতিহাস: এটাও মজ� লেগেছে আমার� নারায়� গঙ্গোপাধ্যায� এর হাস্যরসাত্মক হিউমার ভালো ভাবে� ফুটে উঠেছ� এখানে।

শেষে এস� বল� পাঁচ মিশালি বইটা মন্দ নয়। বে� আনন্� পেয়েছি। বইটা� না� "টেনিদা � ভুতুড়� কামর�" হলেও একটা গল্প� শুধু টেনিদা আছেন� কে� নামে মি� না পেয়� চট� যাবে� না�

🧁বইয়ের না�: "টেনিদা � ভুতুড়� কামর�"
🧁লেখক: নারায়� গঙ্গোপাধ্যায�
🧁 ব্যক্তিগ� রেটি�: �.�/� ]]>
Review7479896118 Fri, 11 Apr 2025 04:34:29 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'তোমাদে� এই নগরে']]> /review/show/7479896118 তোমাদের এই নগরে by Humayun Ahmed Fårzâñã gave 3 stars to তোমাদে� এই নগরে (হিমু, #10) by Humayun Ahmed
হিমুকে চেনে� তো? অবশ্যই চেনা� কথা। তো এই হিমু� একটা থিউর� দিয়েই বর� শুরু কর� গল্পের শুরুটা বুঝত� সুবিধা হবে।

"রাতে দরজা জানালা খোলা রেখে ঘুমানো� কিছু উপকা� আছে। ঘর� বাতা� খেলে, নিজেকে প্রকৃতির অং� বল� মন� হয�, খাঁচার ভেতর ঘুমুচ্ছি এরকম মন� হয� না� খোলা দরজা দিয়� চো*� ঢুকব� এব� ঘরের জিনিসপত্� সা� কর� দেবে তা� কিন্তু না� চো*রদের গাইড-বু� বল�, তালাবন্ধ ঘর� তালা ভেঙে ঢুকবে। কিন্তু দরজা জানালা সব� খোলা এম� ঘর� কখনো ঢুকব� না–সমস্য� আছে। কে� খামাখা দরজা খোলা রাখে না� নিশ্চয়ই কোথা� কিন্তু আছে। চো*রেরা কিন্তু ভয� পায়�"

তো হিমু এই চো*রদের সাইকোলজি� উপ� ভরসা করেই দিনে� পর দি� দরজা জানালা খোলা রেখে ঘুমায়� কখনো� কোনো সমস্যা হয� নি� কিন্তু কোনো একটা ব্যাপা� কয়েকদিন হল ঘটেছ� হিমু� সাথে� ‌প্রায� রাতে� ঘর� চো*� আসছে বলেই হিমু� ধারণা। চো*� ধরতে পারছ� না সে� চো*রে� জন্য কিছু কৌশল কর� দরকা�, হিমু সেটা� করছে না� সে একপ্রকার গড্ডালিকায� গা ভাসিয়� দিয়েছ� যে চো*� আসলে ধর� পড়া� প্রয়োজন হল� পড়বে।

অবশেষে চো*� ধর� পড়ল� হঠাৎ ঘু� ভেঙে হিমু দেখে চো*� চেয়ার� বসা। ঘর� চাঁদের আলো। চারপাশ মোটামুটি পরিষ্কার দেখত� পাচ্ছে হিমু।চ�*রে� পরনে চে� লুঙ্গি, গায়� স্যান্ডো গেঞ্জি� তা� মু� দেখা যাচ্ছে না� সে বস� আছ� হিমু� দিকে পি� দিয়ে। পায়� স্পঞ্জের স্যান্ডেল। দ্রু� পা নাচাচ্ছে বল� স্যান্ডেলে থপথপ শব্দ হচ্ছে। শব্দের মধ্যেও ছন্দ আছে।


থপথপ থপ থপথপ
থপথপ থপ থপথপ

বে� শব্দ কর� ড্রয়া� খুলল� এই শব্দ� হিমু� ঘু� ভাঙল কি না চো� চট কর� হিমু� দিকে একবা� তাকিয়� দেখে� নিল। এখ� সে আগ্র� নিয়� ড্রয়া� হাতড়ে দেখছে। চো*রট� হিমু� খাটে� কাছে উব� হয়ে বসল। হা� বাড়িয়ে খাটে� নি� থেকে কী যে� নিল। আবার গিয়� চেয়ার� বসল। চো*রে� হাতে এখ� হিমু� বিস্কুটে� টিন। চো*� আয়ে� কর� বিস্কু� খেলো� হিমু হঠাৎ করেই উঠ� সরাসরি চো*রক� জিজ্ঞে� করলো কেমন আছেন? চো*রে� পরিচয় তখ� জানা গে� দু� � আঠার� নম্বরে� বোর্ডার। না� জয়নাল� মতিঝিল ব্রাঞ্চে� কৃষি ব্যাংক� কা� করেন, কেশিয়ার� রাতে তা� ঘু� হয� না বলেই হিমু� ঘর� মাঝে মাঝে এম� আসেন�

হিমু� ফরিদ� খালা কখনো� হিমুকে ধম� না দিয়� কথ� শুরু করতে পারে� না� একদৃষ্টিতে তাকিয়� থাকেন। বাড়ির পুরোনো ড্রাইভার দুদিনে� কথ� বল� পনের� দি� পর ফিরে এল� তা� দিকে যে দৃষ্টিতে তাকিয়� থাকা হয� সে� দৃষ্টি� তারপ� শুরু হয� ধমক। প্ৰথমে� বাড়� থেকে বে� হয়ে যেতে বলেন� তারপ� বলেন� হিমু� মত� অপদাৰ্�, অকর্মণ্য মানু� তিনি তাঁর জীবন� দেখে� নি� হিমু এখনো কে� বাংলাদেশ চী�-মৈত্রী সেতু থেকে লা� দিয়� বুড়িগঙ্গায় পড়ছ� না তা জানত� চান। তারপ� এক সময় তা� রাগী রাগী মু� হাসি হাসি হয়ে যায়� তিনি হিমুকে বলেন� রামছাগলে� মত� দাঁড়িয়� দাঁড়িয়� মাথা নাড়ছি� কী জন্য�? বোস। কী খাবি চা না� শরবত� বর� দিয়� লেবু� এক গ্লা� শরবত খা� কিছু ভিটামি� সি শরীরে যাক।

এইবা� ফরিদ� খালা� বাসায় হিমু� সাথে দেখা হল� এক মেয়ের� অপরিচি� মেয়েট� ঘর থেকে দ্রু� বে� হয়ে এস� ফি� ফি� কর� বলল� "আন্টির অত� নিম্নমানের আচরণবিধি� জন্য� আম� ক্ষম� প্রার্থন� করছি� এব� দুঃখ প্রকাশ করছি� আমার ধারণ� তিনি কিঞ্চি� অসুস্থ� হাইপার টেনশনঘটি� ব্যাধি� রোগীরা এরকম আচরণবিধি করে।" মেয়েটার কথ� শুনে� বোঝা যাচ্ছে� এই দেশে� মেয়� হলেও দেশে� শ্ৰী� সঙ্গ� এর সম্পর্� নেই। বড� হয়েছে বিদেশে� তা� বল� "আচরণবিধি" শব্দটি পত্রিকার ভাষা� মতো। বাংলাদেশের কোনো মেয়� কথোপকথনে আচরণবিধি বলবে না� মেয়েট� ফরিদ� খালা� দূ� সম্পর্কে� ভাগনী� নামটাও সুন্দর আশা। আশ� নিউজার্সিত� থাকে� এবার হাইস্কুল পা� করেছে। ইউনিৰ্ভাসিটিতে ঢুকবে। ইউসিএল � সুযো� পেয়েছে। প্ৰথ� বাংলাদেশ� এসেছ� তা নয�, তব� এবার সে বাংলাদেশ নিয়� একটা বই লিখবে। হিমুকে ফরিদ� খালা দায়িত্ব দিয়েছেন আশাক� নিয়� ঘুরত� হবে।

"তোমাদে� এই নগরে" আমাদের চিরচেন� ঢাকা শহরে হিমু আশাক� নিয়� ঘুরত� গিয়� কী কী ঘটনা� সম্মুখী� হয� দেখা যাক। সাথে তো ওই জয়নাল সাহে� আছেনই। তিনি সিন্দাবাদে� ভূ*তে� মত� হিমু� সাথে সাথে থাকে� রাতবিরেতে। তা� গল্প� শোনা যাবে�

🍨পা� প্রতিক্রিয়া 🍨

হুমায়ূন আহমেদে� হিমু পড়া� সময় আমার প্রত্যাশ� একটু হা� লেভেলে� থাকে� হিমু সিরিজে� এই বইটি আমাক� কিছুটা হতাশ করলো� ঠি� হিমু হিমু ফ্লেভা� কম পেলাম। এখান� গল্পের প্লট খুবই স্লো� হিমু বইয়� গতানুগতি� হিসেবে প্লট খুবই ফাস্� থাকে� মন� হয� যে� এই শুরু করলা�, এই শেষ। এই বইটি একটু স্লো লেগেছে মাঝখান� মাঝে মাঝেই। তা� জন্য বোধহয় কিছুটা বিরক্ত এসেছে।

হিমু� চিরচেন� স্বভাব ঠিকই আছ� বর� আমার ধারণ� আশেপাশের গল্পটা আরেকটু মজাদার কর� যেত। আসলে দোষট� আমার� না� সিরিজে� অন্যান্য বইগুলো এম� হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনায� লেখা যে এখান� কিছু খামত� লেগে গেল। তব� হুমায়ূন আহমেদে� বই বল� কথা। আপনি শে� না কর� উঠতে� পারবেন না� উপরে তো বললা� কিছু দো� এবার চলুন গুনগুন কর� গুনে� কথ� বলি। শেষট� ভালো লেগেছে আমার� বে� আবেগ� � মায়াময়� হিমু� পাগলাম� আছ� কিন্তু তবুও সে মানবিক� মানুষক� সাহায্� করে। আশ� মেয়েটাক� যেভাবে উপস্থাপন কর� হয়েছে ভালো লেগেছে� অচেন� একটা মেয়� দেশে এস� যা যা আচরণ কর� আশ� এটাই করেছে। দারু� সাবলী� ভাষায় হুমায়ূন আহমেদে� লেখা বরাবরই ভালো লাগার।

হুমায়ূন আহমেদে� অনেক মাস্টরিড বই আছ� তেমন� অর্থহী� কিছু বই আছে। এই বইটি আপনা� কাছে হয়ত� ভালো লাগব� আমার কাছে কম ভালো লেগেছে মানে বইটি অখাদ্য নয়। হিমু� পাগলাম� সবসময় পছন্� করি। তা� তো আবার� পড়ে ফেললাম এমনিতেই।

🍨বইয়ের নামঃ "তোমাদে� এই নগরে"
🍨লেখক� হুমায়ূন আহমে�
🍨ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�/� ]]>
Rating846112566 Fri, 11 Apr 2025 04:33:18 -0700 <![CDATA[Fårzâñã Täzrē liked a review]]> /
হলুদ পোড়া by Manik Bandopadhyay
]]>
Rating845457249 Wed, 09 Apr 2025 07:52:28 -0700 <![CDATA[Fårzâñã Täzrē liked a review]]> /
খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক by Zamsedur Rahman
"আবার� খা� ফ্যামিলি, আবার� কিছু পাগলামি। শান্তি� সাথে সাকিবে� বিয়� হয়েছে কিছুদি� আগে। তব� ঘট� কর� কোনো বিয়� নয়। জেলখানার মধ্যেই সম্পন্� হয়েছে এই বিয়ে। আপনারা যারা “খান ফ্যামিলি� পড়েছে�, তাদে� হয়ত� শেষট� মন� আছে। আর সে� কারণ� বে� কিছুদি� থানায় বন্দ� থাকত� হয়।

আজকে� খা� পরিবারের বাড়িত� বিয়ের পরিবেশ� তব� এবার সাকিবে� এক বন্ধুর বিয়ে। যেখানে অতিথ� হিসেবে কেবল পোষা প্রাণীরা� আমন্ত্রিত। যেকোনো আয়োজন� মানুষদের দাওয়া� দেওয়া� রেওয়া� থাকে, কিন্তু কুকু�-বিড়ালদে� কথ� কয়জ� চিন্তা কর�?

গল্পের শুরু এখান থেকেই। সাকিবে� কুকু�-বিড়ালের প্রত� ভালোবাসা পুরোপুরি নিখাঁদ� সে� সাথে তা� পরিবার� এই ভালোবাসায় নিজেকে শামি� করেছে। শাকে� খা�, সালম� খা�, সুমাইয়া খা�, সাকি� খানে� সাথে নতুন কর� এই পরিবার� জুড়েছ� শান্তি� যে আসলে� শান্তভাব� সবকিছু সামল� রাখে� পরিবারের একমাত্� স্বাভাবি� মানু� হিসেবে� ধর� যায়�

সিরিজে� প্রথ� বই পড়ে থাকল� পরিবারের মানুষগুল� সম্পর্কে আইডিয়� আপনাদে� ঠিকই হয়েছে� এই যেমন শাকে� খা� প্রচুর গাঁজ� পাগল মানুষ। গাঁজায� দম দিয়� সে বেঁচ� থাকে� সালম� খা� নিত্�-নতুন রান্না� উপাদান খুঁজতে মশগুল। ভিন্� সব রান্নায় পরিবারের সকলে� পেটে� ব্যামো না বাঁধাল� তা� শান্তি হয� না� তা� সবাই আতঙ্কে থাকে� সে� সাথে তা� সামাজি� যোগাযো� মাধ্যমের নেশা, ছোটো ছোটো ভিডিয়�-রিলস বানানো� শখ তো আছেই�

অন্যদিকে সুমাইয়া খা� ম্যাট্রি� পরীক্ষায় ফে� করলে� জীবন� তা� সবটুকু মনোযোগ মুখে আট�-ময়দ� মাখাতেই। মেকাপে কে� যে এতটা সময় ব্যয� করতে পারে, সেটা তাকে না দেখল� বোঝা যে� না!

তব� এদের মধ্য� সাকি� একটু স্বাভাবি� হলেও পরিবারের চাপে তাকে� পাগল হত� হয়। অন্যদিকে শান্তি মেয়েট� যে� এক হাতে সবকিছু সামা� দেয়� শ্বশুরের গাঁজার চাহিদা মেটায়, শাশুড়ির রান্না� পাগলামিক� শান্� রাখে� স্বামী� দেখভাল করে। ভালোমন্দের দিকে ভালো� নজ� তার। কে বলবে এই মেয়েট� � পড়ছ�!

বিয়ের পর সাকি� কাজে মন দিয়েছে। একটা হোটেলে� দায়িত্ব� আছে। বন্ধুর বিয়ের পর তা� মন� শখ জেগেছে বউকে নিয়� হানিমুনে যাবে� কিন্তু তা� পরিবার তাকে এক� যেতে দিবে কে�? পুরো পরিবার তা� সাথে যাবে�

এর আগ� একটা ঘটনা ঘটে। শান্তি� বান্ধবী নতুন একটি দোকা� দিয়েছে। সেখা� থেকে জিনিসপত্� কিনল� একটা কুপন, আর সে� কুপন জিতল� কক্সবাজা� ট্যুর। সে� কুপন� জিতে গিয়েছ� তারা! ফল� এবার চল� কক্সবাজার। সেখানে� পাগলাম� হোক।

“খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক� খা� ফ্যামিলি সিরিজে� দ্বিতীয় বই বে� মজাদার লেগেছে� হাসি তামাশা বইটা কখ� যে শে� হয়ে গে� বুঝত� পারিনি� সিরিজে� প্রথ� বইয়ের তুলনায� দ্বিতীয় বই বে� পরিণ� মন� হলো। প্রথ� বইতে কিছু সমস্যা ছিল। হাসি-ঠাট্টাগুলো কিছুটা আরোপিত মন� হয়েছিল। মন� হয়েছি� লেখক জো� কর� হাসানো� চেষ্টা করেছেন�

এই বইতে সে� সমস্যা ছি� না� বে� ন্যাচারা� লেগেছে বিষয়গুলো। সিরিয়াস � ভারী ভারী বইয়ের মাঝখান� � জাতীয় এক দুইট� বই পড়ত� পারল� মনটা খুশি খুশি হয়ে ওঠে।

এই বইয়ের ক্ষেত্রে বে� কিছু নতুন চরিত্রের আবির্ভাব হয়েছে� পুরোনো চরিত্রগুলোকে আর� পোক্� করেছেন লেখক� বিশে� কর� এই গল্পের পুরোটা জুড়� ছি� শান্তি� শান্তি চরিত্রটাকে বে� উপভোগ্� � মায়াবী মন� হয়েছে� তব� সবকিছুতে শান্তিকে সুপা� ওম্যান বানিয়� তোলা একটু অতিরঞ্জি� লেগেছে�

লেখক তা� বইয়ের চরিত্রগুলো� না� আশেপাশের মানুষগুলোর থেকে ধা� করেন� এই বিষয়ট� ভালো লেগেছে� তা� ফলশ্রুতিতে আমিও ছোট্� একটা চরিত্র পেয়েছি। যদিও আমার সাথে যে কান্� করেছেন, এইটা আম� মন� রেখে দিলাম। হু�!

বইতে যে শুধু হাসি-তামাশা ছি� এম� না, এর মাঝে লেখক সমাজের এক অং� তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন� যেখানে মানুষে� পোষা প্রাণীদে� জায়গা হয� না� অবলা প্রাণীদে� হোটে�-রেস্টুরেন্�, বা� বা অন্য অনেক জায়গায় প্রবেশের এখতিয়ার নেই। কিন্তু যে মানুষট� এস� প্রাণীদে� ভালোবাসে তাদে� পক্ষ� এগুল� মেনে নেওয়া কষ্টকর� পোষা কুকু�-বিড়ালদে� দূ� দূ� কর� তাড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। এত� তাদে� মালি� মনক্ষুন্� হয়। অমানবিকও বটে। তব� আম� এটাও মন� কর�, তারা যেমন ভালোবাসা ডিজার্� কর� এক� সাথে অতিরিক্ত আদিখ্যেত� দেখানোটা� অনুচিত� সবকিছুরই একটা ভারসাম্য রক্ষ� কর� চলতে হয�

বইতে ভালোবাসাময� কিছু ঘটনা� অবতারণ� লেখক ঘটিয়েছেন। শাকে� খা� � সালম� খানে� খুনসুঁটি, দু� বৃদ্�-বৃদ্ধা� ভালোবাসা মন� ধরেছে। তব� সাকি� � শান্তিকে যেভাবে ভালোবাসা� জুটি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, এক কথায� দারুণ। গল্পের গতিত� এখান� লেখক লাগা� ধরতে পেরেছিলেন। তাদে� ভালোবাসা� মুহূর্তগুল� প্রাণবন্� ছিল। সুমাইয়া� প্রত� রাসেলে� অনুভূতিও বে� ভালোভাবে� প্রাধান্� পেয়েছে।

বিয়� করার শখ প্রতিট� মানুষে� থাকে� বিয়� যে� দিল্লিকা লাড্ডু, খেলে� পস্তাত� হয�, না খেলে� পস্তাত� হয়। সাকিবে� বন্ধুর বিয়ের শখ ছিল। তব� সে� শখ কতটা তা� আর কতটা সাকিবে� পরিবারের, সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ। সে বিয়ের পর শখগুলো চান্দে� দেশে উড়ে যায়� কঠিন বাস্তবতা� মুখোমুখি হল� শখ হয়ে যায় শোক। তব� রিফা� � নূপু� নামে� দু� চরিত্রকে আরেকটু ঘষামাজ� কর� যেত। তাদে� দিয়� ঘটনাক্রম দুর্দান্তভাব� উপস্থাপন করার সক� সুযো� থাকা� পর� কে� লেখক এড়িয়� গেলে�, জানি না�

সে� সাথে তীব্� আক্রোশ, প্রতিশোধ, প্রেমে ব্যর্থতা� গল্প� এখান� এসেছে। এই বিষয� নিয়� একটু দ্বিধা আছে। লেখক এখান� তাড়াহুড়ো করেছেন� ব্যাকস্টোর� আর� স্পষ্ট � আকর্ষণীয়ভাবে ফুটিয়� তোলা যেত। তাহল� শেষে� ঘটনা� সাথে অতীতে� যে সংযো� লেখক আবছাভাবে দেখিয়েছেন, সেটা আর� উপভোগ্� হত� পারত�

শেষট� দারুণ। তব� এখান� লেখক নতুন এক গল্পের ইঙ্গিত দিয়েছেন� যেখানে আবার� খা� ফ্যামিলি আসবে� আবার� নতুন গ্যাঞ্জা�, পাগলামি। নতুন নতুন নতুন চরিত্র ডালপাল� ছড়িয়� মহীরু� হয়ে সাকি� আর শান্তি� মাথা নষ্ট করবে� সে� ঘটনাগুলো পড়া� জন্য মুখিয়� আছি।

প্রচ্ছদট� বে� দারু� লেগেছে� পুরো পাগলাট� পরিবার এখান� ফুটে উঠেছে। বইয়ের সম্পাদনা ভালো ছিল। বানা� ভু� তেমন চোখে পড়েনি� প্রকাশনী এই দি� দিয়� বে� ভালো কা� দেখিয়েছে। প্রোডাকশ� কোয়ালিট� টপনচ�

পরিশেষ�, গল্পটা এখানেই শে� হত� পারত� কিন্তু একটি গল্পের শে� হয�, সেখা� থেকে� নতুন গল্পের উপাখ্যান� খা� পরিবার কখনও শান্তিতে থাকত� পারব� না� শান্তি থাকা� পর� ঘো� অশান্তি। যেখানে� যাবে সেখানে� গ্যাঞ্জাম। কোনো না কোনো ঝামেলা� টোস্�-বিস্কু� যেমন হারিয়� গে�! তাদে� খুঁজ� বে� করার কাহিনি� বড়ই বিচিত্র। এই বিচিত্�, পাগলাট� পরিবারের ঘটনা পড়ত� পড়ত� নিজেকে� পাগল মন� হয়।

▪️বই : খা� ফ্যামিলি ইজ ব্যা�
▪️লেখক : জামসেদুর রহমা� সজী�
▪️প্রকাশনী : বেনজিন প্রকাশ�
▪️ব্যক্তিগ� রেটি� : �/�"
]]>
Review7474987678 Wed, 09 Apr 2025 05:46:12 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'হিমু রিমান্ডে']]> /review/show/7474987678 হিমু রিমান্ডে by Humayun Ahmed Fårzâñã gave 4 stars to হিমু রিমান্ডে (হিমু, #16) by Humayun Ahmed
~তু� মহাত্ম� গান্ধিকে খু*� করেছিস?

~জি স্যা� করেছি।

~উনাক� কীভাবে খু*� করলি?

~কীভাবে করেছ� এখ� মন� নেই। একটু যদ� ধরায়ে দে� তাহল� বলতে পারব� তব� খু*� যে করেছ� ইহ� সত্য�

~গল� টিপে মে*রেছি�?

~এই তো মন� পড়েছে� জি স্যা�, গল� টিপে মে*রেছি�

~উনার যে ছাগল ছি� সেটা কী করেছিস?

~ছাগলের কথ� মন� না� স্যা�, একটু ধরায়ে দেন। ধরায়ে দিলে� বলতে পারব�

~ছাগলটা কেটেকুটে খেয়� ফেলেছি� কি-না বল�

~অবশ্যই খেয়েছ� স্যার। কচ� ছাগলের মাংস অত্যন্� উপাদেয়। এই বিষয়ে একটা ছাড়াও আছ� স্যার। বল�?

"কচ� পাঠা বৃদ্� মে�
দধির অগ্র ঘোলে� শেষ।"

পাঠা� জায়গায় হব� ছাগল�

উপরে� কথোপকথ� রি*মান্ডে পু*লিশে� মা*� খাওয়া� পরের অবস্থা� �*সামি যেসব অপরা� সে কর� নি তা� স্বীকা� করে। এবার ফে�*সে গেছে হিমু� তাকে রি*মান্ডে নেয়� হয়েছে� রি*মান্� শব্দটা এতদি� শুধু পত্র-পত্রিকায� পড়েছি� সে� অমুক নেতা রি*মান্ডে মু� খুলেছেন। অমুক শিল্পপতি গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন ইত্যাদি। রি*মান্ডে হালুয়� টাইট কর� দেয়� হয� এব� ব্ৰেইন হালুয়� কর� দেয়� হয়।

হিমু মোটামুটি চিন্তায় আছ� কারণ সে শুনেছে রি*মান্ডে যাদে� নেয়� হয� তাদেরক� চো*রকুঠুর� টাইপ ঘর� রাখা হয়। সে� ঘরের কোনো দরজা জানালা থাকে না� উচ� সিলি� থেকে লম্ব� একটা তা� নেমে আসে। তারে� মাথায় দি�-রা� চারশ পাওয়ারে� লাইট জ্বলে। ইলেকট্রি� �*� দেয়ার ব্যবস্থা থাকে� ট্রেতে কোয়েলের ডি� থেকে শুরু কর� রাজহাঁসে� ডি� সাজানো থাকে� একটা পর্যায়ে সাইজমাফি� ডিমে� ব্যবহা� শুরু হয়। � ধরনে� কথাবার্ত� সে বহ� শুনেছে�

অবাক করার বিষয� হল� বাস্তব� তেমন দেখছ� না� হিমুকে যে ঘর� বসান� হয়েছে তা� দরজা-জানালা সব� আছে। জানালায় রঙজল� পর্দ� আছে। মাঝে মাঝে পর্দ� সর� যাচ্ছে, তখ� জানালা� ওপাশ� শিউল� গা� দেখা যাচ্ছে� গাছভর্তি ফুল। হিমু এতদি� জানত� শিউল� ফুলে� গন্ধ থাকে না� হিমু কিন্তু মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছে� তব� এই গন্ধ ওর সামন� বস� থাকা স্যারে� গা থেকে ভেসে আস� সেন্টেরও হত� পারে� যিনি জেরা করছে� তাকে নেহাতই ভদ্রলো�, কলেজের প্রফেস� টাইপ লাগছে।

হিমু হু� কর� চা খেতে চাইল� পু*লি� ভদ্রলো� একটু হকচকিয়ে গেলে� পর� বললে�, "চা খাওয়াচ্ছি� যা জিজ্ঞা� কর� ধানাইপানাই না কর� উত্ত� দিবে�"

অবশ্যই দিব।

আস� না� কী?

আমার একটা� না� হিমালয�, ওরফে হিমু�

তুমি আয়ন� মজিদ�

বলেন কী স্যা�?

পু*লি� ভদ্রলোকে� না� কবীর। কবী� সাহে� ভুরু কুঁচকে আবার বললে�, "চা খেতে চেয়েছিল� চা খাওয়াচ্ছি� আরাম কর� যে� চা খেতে পা� তা� জন্য� হ্যান্ডক�*ফও খুলে দেয়� হবে। শর্ত একটা�, চা খেয়� আমার সঙ্গ� যাবে� লম্ব� খোকনের ঠিকানায় আমাক� নিয়� উপস্থি� হবে। পারব� না?"

লম্ব� খোকনের ঠিকানাটা দিলে অবশ্যই নিয়� যাব।

কবী� সাহে� বে� টিপলেন� দুকা� চা এব� সিংগার� দিতে বললেন। তিনি নিজে� চাবি দিয়� হ্যান্�*কা� খুললেন�

হিমুকে থা*না� লোকজ� আয়ন� মজিদ ভাবছে। এখ� এই বেচারা হিমুকে কী সত্যিই আয়ন� মজিদ হিসেবে জে*� খাটত� হব� নাকি হিমু নিজে� আয়ন� মজিদকে খুঁজ� বে� কর� ফেলব�? আস� আয়ন� মজিদ কোথায় আছ� হিমু কীভাবে জানবেন ভাবছেন তো, ঘটনা তো আর� বাকি� শুধু শেষটায� আয়ন� মজিদের মুখোমুখি হয়ে হিমু কী কর� জানত� হল� পড়ে ফেলু� তাড়াতাড়ি�

🍜পা� প্রতিক্রিয়া 🍜

হুমায়ূন আহমেদে� হিমু পড়া� সময় আপনাকে খু� সিরিয়াস মুডে� হল� চলবে না� হিমুরা কোনো যুক্তি� ধা� ধারে না তো আপনি� আসলে হিমু সিরিজে� বইগুলোতে কিছু কিছু জায়গায় লজিক খুঁজলে ভু� করবেন। তব� হিমু� পাগলাম� আপনাকে আনন্� দেবে, হাসিয়েও দিতে পারে যদ� হালক� মন� পড়েন। খু� আহামরি নয� আমার কাছে তব� ওই যে বললা� আম� হুমায়ূন পড়ত� বসলে খুঁজ� খুঁজ� সেইস� বই পড়ি যেগুলোতে আম� আনন্� খুঁজ� পাবো�

হিমু� গল্প তো আমাদের অজান� নয� বর� এত জনপ্রিয় যে হুমায়ূন আহমেদে� হিমু পড়ে এদেশের বহ� তরুণ হিমু হত� চেয়েছ�, হলুদ পাঞ্জাবী গায়� ঘুরেছে রাস্তায়� হিমু� অর্থহী� কর্মকাণ্� কারো কারো কাছে খুবই বিরক্তিকর। আম� হিমু সিরিজে� বইগুলো� বহ� কট্ট� সমালোচ� দেখেছি� এট� কোনো চরিত্র হল� নাকি! অতিরঞ্জি� কর� লেখা, বাস্তব� এস� অসম্ভব ইত্যাদি। কিন্তু হিমুকে একবা� হলেও পড়েনন� এম� পাঠক কম� আছেন�

হুমায়ূন আহমেদে� অনেক মাস্টরিড বই আছ� তেমন� অর্থহী� কিছু বই আছে। আপনি পড়ল� বিনোদন পাবে� না পড়লেও ক্ষত� নেই। হিমু তেমন� এক চরিত্র� যা� বাবা তাকে জো� কর� মহাপুরুষ বানাতে চেয়েছিলেন� হিমু অর্থহী� তবুও সে মন ভালো কর� দেয় তা� পাগলাট� স্বভাব দিয়ে। হাস্যরসাত্মক কাজকর্� দিয়ে।

🌭বইয়ের নামঃ "হিমু রি*মান্ডে"
🌭লেখক� হুমায়ূন আহমে�
🌭ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �/� ]]>
Rating845321544 Tue, 08 Apr 2025 21:15:23 -0700 <![CDATA[Fårzâñã Täzrē liked a readstatus]]> / ]]> Review7474390413 Tue, 08 Apr 2025 21:08:50 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'হিমু মামা']]> /review/show/7474390413 হিমু মামা by Humayun Ahmed Fårzâñã gave 4 stars to হিমু মামা (Hardcover) by Humayun Ahmed
টগরদের বাড়িত� আজ সন্ধ্যায� ধুন্ধুমা� কাণ্� হবে।একজনকে ‘ছেঁচা� দেয়� হবে। সে� একজন ভয়ঙ্ক� একটা অপরা� করেছে। ছেঁচ� দেয়ার আয়োজন সকাল থেকে� চলছে� আনুষ্ঠানিক শাস্তি তো, তা� আসলে আয়োজন লাগে� ছেঁচ� দেবে� টগরে� বড� চাচা, চৌধুরী আজমল হোসেন। চৌধুরী আজমল হোসে� ছোটখাট� মানুষ। একসময় হাইকোর্ট� ওকালতি করতেন। এখ� করেন না� চৌধুরী আজমল হোসে� সব সময় হাসি হাসি মু� কর� থাকেন। নিচু গলায� কথ� বলেন� তাকে দেখে মন� হয� তিনি বে� আনন্দে আছেন� তারপরও সবাই তাকে ভয� পায়�


চৌধুরী আজমল হোসে� � বাড়ির প্রধান বিচারক� টগরদের বাড়ির যে কোনো অন্যায়ে� বিচা� তিনি কর� থাকেন। তা� কথার ওপ� কথ� বলার সাহস কারোরই নেই। শুধু একজনের আছ�, তিনি টগরে� দাদিয়া। তব� তা� খু� শরী� খারা� বল� তিনি বেশি� ভা� সময় বিছানায় শুয়� থাকেন। কারো সঙ্গেই কথ� বলেন না� কে� তাঁর ঘর� ঢুকল� তিনি কড়া গলায� বলেন, "� চায় কী? এই ছাগল� কী চায়? � আমার ঘর� ঢুকছ� কী জন্য? আমার ঘর� কি সোনা� খন� আছ�?"

আজ যাকে ছেঁচ� দেয়� হব� সে টগরে� ছো� মামা� তা� না� শুভ্ৰ। খুবই ভালো ছাত্র। এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে। ফার্স্�-সেকেন্� কিছু একটা হবে। অবশ্যই হবে। কিছু ছেলেমেয়� আছ� যারা পরীক্ষায় ফার্স্�-সেকেন্� না হয়ে থাকত� পারে না� যে ভয়ঙ্ক� অপরাধে� কারণ� শুভ্ৰক� আজ সন্ধ্যায� শাস্তি দেয়� হব� তা হল�, গত বুধবার সকাল এগারোটায� হলুদ পাঞ্জাবি পর� সে হিমু হয়ে গেছে� টগরক� ডেকে বলেছ� এখ� থেকে আমাক� ছো� মামা ডাকব� না� হিমু মামা ডাকবি।

হিমু হওয়� ব্যাপারট� ঠি� কী টগ� জানে না� এইটুকু শুধু জানে, যারা হিমু হয� তাদে� খালি পায়� হাঁটাহাঁটি করতে হয়। কটকট হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পরতে হয� এব� বেশি� ভা� সময় জ্ঞানী-জ্ঞানী কথ� বলতে হয়। কে� কিছু জিজ্ঞে� করলে মিষ্টি কর� হাসত� হয়। হিমু হওয়� এম� কোনো বড� অপরা� বল� টগরে� মন� হচ্ছ� না� তব� বড়দের কাছে নিশ্চয়ই বিশা� অপরাধ। তা না হল� এম� আয়োজন কর� বিচারসভা বসবে না�


টগরে� মা সুলতানা। নতুন ধরনে� রান্নাবান্না করার সময় তাকে খুবই হাসিখুশি দেখায়� তা� জীবনের শখ তিনি একটা রেস্টুরেন্� দেবেন। রেস্টুরেন্টে� না� "উনুন"� সে� রেস্টুরেন্টে স্পেশা� আইটে� ছাড়� অন্য কোনো আইটে� থাকব� না� সুলতান� স্পেশা� আইটে� রান্না খু� পছন্� করেন� প্রায়� তিনি স্পেশা� কিছু না কিছু বানাচ্ছেন। বেশি� ভা� সময়� জিনিসট� হয�- অদ্ভুত এব� খেতে বিস্বাদ। টগরে� বাবা চৌধুরী আলতা� হোসে� এমনিতে খু� হাসিখুশি মানুষ। একেবারেই রাগে� না� শুধু সুলতান� নতুন কিছু রান্না করেছেন শুনল� চট কর� রেগে যান। রেগেমেগে বলেন "ঝা� রসগোল্লা, মিষ্টি গরুর মাংসের কালিয়� এইসব বন্ধ কর� নরমা� কোনো রান্না রাঁধতে পা� না? সাধারণ ভা�-মা�, আলুভর্তা, ডাল।" "আবার যদ� স্পেশা� কিছু রান্না কর�, আম� অবশ্যই বাড়িঘ� ছেড়� চল� যাব।"

� বাড়িত� টগরে� একটা গোপন জায়গা আছে। গোপন জায়গা� খব� � বাড়ির কেউই জানে না� গোপন জায়গাটায় ছাদে� সিঁড়িঘর দিয়� যেতে হয়। সিঁড়িঘরের যে বাথরুম সে� বাথরুমের ফল� সিলি� হল� টগরে� গোপন জায়গা� সে জায়গাটা সুন্দর কর� সাজিয়েছে।
সেখানে কার্ডবোর্ডের একটা বাক্� আছে। বাক্সটার ওপরে লা� মার্কা� দিয়� লেখা "THIEF BOX"
"চোরবাক্স"

এই বাক্সে টগ� কিছু চুরি কর� জিনি� অল্প কিছু দিনে� জন্য লুকিয়� রাখে� চোরবাক্স� কোনো জিনিসই টগ� বেশি দি� রাখে না� শুধু দাদিয়ার দাঁতের পাটি এক সপ্তাহ রেখে দিয়েছিল� তব� সে খু� ভালো করেই জানে এস� কা� কর� তা� পা� হচ্ছে। এই পা� কাটা� দেয়ার জন্য তাকে পুণ্� করতে হবে। সে তখ� পুণ্� করে। পা�-পুণ্যে� হিসা� রাখা� জন্য তা� একটা খাতা আছে।

তো টগরে� মামা শুভ্� এই যে হিমু হয়ে গেছে এট� নিয়� ভাববেন না "ছেঁচ�" খেয়� সে শুধর� গেছে� বর� সমস্যা হচ্ছ� সে এখ� বাড়ির কলঘরের চৌবাচ্চায় শরী� ডুবিয়� বস� আছে। এব� সে এই পানি থেকে কখ� উঠবে নিজে� জানে না� ওইদিকে নাকি টগরদের বাড়িত� ভূ*তে� উপদ্রব হয়েছে� জিনিসপত্� আপনাআপনি এদিক ওদিক চল� যায়� টগরে� বড� চাচা পড়েছে� মহ� সমস্যায়� একদিকে শুভ্রক� নিয়� ঝামেলা� তাকে কলঘরের চৌবাচ্চায় দেখা যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। আবার নাকি ভূ*�! শেষমেশ শুভ্� কী সত্য� সত্য� টগরে� হিমু মামা হয়ে যাবে?

🌭পা� প্রতিক্রিয়া 🌭

হুমায়ূন আহমেদে� এই বইটা অনেক আগ� আম� প্রথ� পড়েছিলাম। আম� সত্য� কথ� বলতে বই পড়ায় আনন্� খুঁজতে চেষ্টা করি। তা� হিমু মামা ভালো লেগেছে� প্রথমে অবশ্� না� দেখে ভেবেছিলা� হিমু সিরিজে� বই� কিন্তু পড়া� পর বোঝা যায় এট� আসলে কিশো� উপন্যাস।চরিত্রদে� কান্ডকীর্তি, কিছু হাস্যরসে� উপস্থিতি সবকিছু মোটামুটি ভালো� আমার বই পড়া� ইচ্ছ� আসলে মু� অনুযায়ী নির্ভর করে। হু� কর� মন� হল� কোনো বই, সাথে সাথে পড়ত� শুরু করি। হয়ত� দেখা যায় সাথে আর� একটা বই চলছে এরকম� কয়েকদিন থেকে এই বইটা পড়ত� ইচ্ছ� করছিল।

হুমায়ূন আহমেদে� হিমু পড়ে এদেশের বহ� তরুণ হিমু হত� চেয়েছ�, হলুদ পাঞ্জাবী গায়� ঘুরেছে রাস্তায়� এই বইটিতে ওইটা� আসলে হাইলাই� কর� গল্প এগিয়েছে� এখ� একটা পরিবারের ছেলে হু� কর� হিমু হত� চাইলেই তো হয� না� ব্যাপারট� নিয়� আশেপাশ� যে কী ঘটতে পারে হুমায়ূন আহমে� মজ� কর� সে� গল্প শুনিয়েছেন� খু� আহামরি নয� তব� আমার কাজে লেগেছে অস্থিরতা কাটাতে� এই পৃথিবীতে এখ� যা হচ্ছ� তা মনকে শান্� থাকত� দেয় না� আম� বইটাকে মধ্য� সারিতে রাখলাম� কারণ হুমায়ূন আহমেদে� খু� কম বই � আমার কাছে বিরক্তিক� লেগেছে� মাঝে মাঝে মন ভালো করতে� কিছু পড়ত� হয়।

🌭বইয়ের নামঃ "হিমু মামা"
🌭লেখক� হুমায়ূন আহমে�
🌭ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �/� ]]>
Review6347877064 Wed, 26 Mar 2025 08:22:54 -0700 <![CDATA[Fårzâñã added 'স্টপার']]> /review/show/6347877064 স্টপার by Moti Nandi Fårzâñã gave 4 stars to স্টপার (Hardcover) by Moti Nandi
”প্র্যাকটিসট� আর� ভা� কর� কর� হতাশ� আসবে, তাকে জয� করতে� হবে। ইন্ডিয়া টিমে খেললেই কি বড� প্লেয়ার হয�? বড� তখনই হয�, যখ� সে নিজে অনুভ� কর� মনের মধ্য� আলাদ� এক ধরনে� সু�, প্রশান্তি। সেখানে হতাশ� পৌঁছোয� না� তু� খেলা ছেড়� দিবি বলছি�, তা� মানে তু� বড� খেলোয়াড� হত� পারিসনি।�

শোভাবাজা� স্পোর্টিংয়ে� প্রথ� দু’বছর, তারপ� ভবানীপু�, দু’বছর পর এরিয়ানে, সেখানে এক বছ� কাটিয়� যুগে� যাত্রীতে চা� বছ�, মোহনবাগানে এক বছ�,আবার যুগে� যাত্রীতে দু’বছর, তারপ� আবার শোভাবাজারে�

গত পনের� বছরে কম� দু’বার চাকর�, ছয� বা� বাসা এব� ছয� বা� ক্লা� বদ� করেছে। শোভাবাজা� স্পোর্টি�, ভবানীপু�, এরিয়া�, যুগে� যাত্রী, মোহনবাগা� এব� আবার যুগে� যাত্রী হয়ে এখ� শোভাবাজারে আছে। এই সময়� সে দর্জিপাড়া, আহিরিটোল�, শ্যামপুকুর, কুমারটুল�, আবার শ্যামপুকুর হয়ে এখ� বাগবাজার� বাসা নিয়েছে। ক্লাবে� জন্ম শোভাবাজারে এব� না� শোভাবাজা� স্পোর্টি� হলেও তা� কোনও অস্তিত্ব জন্মস্থানে এখ� আর নে�, যেমন কমলে� জন্ম ফরিদপুরে হলেও, তি� বছ� বয়স সেখা� থেকে চল� আসার পর আর সে দেশে� মু� দেখেনি� শোভাবাজা� স্পোর্টি� এখ� ময়দানের তাঁবুত� আর বেলেঘাটায় কেষ্টদার অর্থাৎ কৃষ্ণপ্রসা� মাইতির বাড়িতেই বিদ্যমান�

স্ত্রী শিখা দশ বছ� আগ� মারা গেছে, কমলে� খেলা� জীবনের সঙ্গ� মানিয়� চলতে পারেনি একদিনও� ছেলে অমিতাভ তা� মা’র কা� থেকে� ফুটবলক� ঘৃণা করতে শিখেছে� পলিটিক্সের কথ� বল�, তা� নিয়� বন্ধুদের সঙ্গ� তর্ক কর�, গা� গায়, কবিত� লেখা� চেষ্টা কর�, কিন্তু ফুটব� সম্পর্কে একদিনও একটি কথ� বলেনি। একতলায� দুটি ঘর নিয়� কম� থাকে� একটিতে সে, অপরটিত� অমিতাভ�

দুটি লোকে� এই সংসারে� যাবতীয় কা� � রান্না কর� দিয়� কালো� মা রাতে চল� যায়� দশ বছ� আগ� শিখা মারা যাবা� পর� সা� বছরে� অমিতাভকে তা� দিদিমা গৌহাটিতে নিয়� চল� যান। দু’বছর আগ� সে বাবা� কাছে ফিরেছে� প্রথমে দু’জনে� সম্পর্কট� ছি� স্কুলে ভর্ত� হওয়� নতুন দুটি ছেলে� মতো। দু’বছরেও কিন্তু ওদের মধ্য� ভা� হয়নি। ওর� কথ� কম� বল�, দু’জনে দু’জনক� যতটা সম্ভ� এড়িয়� চলে। কে� কারো� ঘর� পর্যন্� ঢোকে না�

কমলে� বর্তমা� ক্লা� শোভাবাজারে� অবস্থা খুবই শোচনীয়� ভালো কোনো প্লেয়ার নে� দলে। অথ� দল চালাতে হাতি� খোরা� যাচ্ছে� কো� সরোজ ঠিকঠাক খেলাতে পারছ� না নাকি ফিটনেসের অভাব প্লেয়ারদে� এটাও একটা প্রশ্ন� কারণ এর� মাঝমাঠ� বলের দখ� রাখতেই পারছ� না� সিনিয়� প্লেয়ার হিসেবে কম� গু� তবুও চেষ্টা করছে� যদ� একজনকে� গড়ে তোলা যায়� সলীলক� নিয়� বড� আশা। গরীবে� ছেলে তবুও খেলায় খু� ঝোঁক� কম� গু� একসময় রাইট ইন ছিল। পল্টুদ� তাকে স্টপার পজিশনে আনে। কিন্তু এখ� শোভাবাজা� বল� যায় নিয়� করেই ম্যা� হারছে। এক� কম� কী করবে?

হঠাৎ করেই খব� এল� পল্টুদ� স্ট্রো� করেছেন� একশোটা টাকা নিতে তাকে শেষমেশ রথীনে� কাছে তা� শে� ক্লা� যুগে� যাত্রী� তাঁবুতেই যেতে হচ্ছ� এখন। কম� যুগে� যাত্রী� তাঁবুত� শে� বা� পা দিয়েছিল সা� বছ� আগে। মোহনবাগা� থেকে যাত্রীতে আসার জন্য ট্রান্সফার ফর্ম� সে সই কর� এক হাজা� টাকা আগাম নিয়ে। কথ� ছি� পাঁচ হাজা� টাকা যাত্রী তাকে দেবে�

বছ� শেষে সে মো� পায় চা� হাজা� টাকা� দিল্লিতে ডুরান্ডে কোয়ার্টার ফাইনাল� হেরে আসার পর� সে গুলোদা� কাছে বাকি টাকাটা চায়� যুগে� যাত্রী� সব থেকে ক্ষমতাশালী গুলোদা অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্� প্রতাপ ভাদুড়ি। গুলোদা নম্রস্বর� বিনীতে ভঙ্গিত� কথ� বলে।

”স� কী, তু� টাকা পাসন� এখনও!� গুলোদা� বিস্ময়ে কম� অভিভূত হয়ে যায়�

”ছ� ছি, অন্যায�, খু� অন্যায়। আম� এখুন� তপেনকে বলছি।� গুলোদা অ্যাকাউন্ট্যান্ট তপেন রায়কে ডেকে পাঠাল। সে আসতে� ঈষ� রুষ্টস্বরে বল�, ”একী, কমলে� টাকা পাওন� আছ� যে? না না, যত শিগগির� পারো দিয়� দা�, কম� আমাদের ডিফেন্সে� মু� খুঁট�, ওক� কমজোরি করলে যাত্রী শক্ত হয়ে দাঁড়াবে কী কর�!� তপেন তি� দি� ঘুরিয়� টাকা দেয়নি�

আজকে এত সময় পর কমলক� দেখে সবাই বে� অবাক� কম� গু� একসময় যুগে� যাত্রী� কত ভালো প্লেয়ার ছিলো� কম� পুরন� কথ� গায়� না মেখে ছুটল� টাকা নিয়ে। অবশ্� রথী� তাকে নামিয়� দিয়েছিল গাড়� করে। যাবা� সময় হুঁশিয়ারি দেয় অফিস থেকে দুপু� তিনটার পর যে� বে� না হয� হুটহাট� অফিসের একটা নিয়� আছে। খেলোয়াড� কোটায় এই ব্যাংকের চাকরিট� কমলক� রথীনই পাইয়ে দিয়েছিল� ব্যাংকের হয়ে অফিস লীগে খেলত� হয� তাকে� কিন্তু শোভাবাজারে� ম্যা� � বা কীভাবে হেলাফেলা কর� কম�! জীবনটাকে বড� অসাড� লাগে কমলের।

প্রতিনিয়ত সবার থেকে কটুক্ত� কানে আস� কম� গু� এবার ফুরিয়� গেছে� বুড়� ঘোড়� বা� দিয়� শোভাবাজারে� উচিত নতুন কম বয়সী ছেলে নিয়� দল গড়া� ম্যা� যতগুলো খেলা হয়েছে লীগে এবার সবচেয়� বেশি অপমানি� হয়েছে কম� যুগে� যাত্রী� সাথে �-� তে হেরে� গ্যালারি থেকে দর্শকদের ইট এসেও লেগেছে� হতাশ� ঘিরে ধর� কমলকে। না� আর নয়। এই স্টপার এবার ফুরিয়� গেছে� আর সে ডিফেন্� আগলাতে পারে না� তা� জন্য� নাকি এত গো� হয়েছে দোষারো� শুনত� হল� খো� শোভাবাজারে� কিছু প্লেয়ার থেকে�

কিন্তু হঠাৎ করেই যে� আলোর একটা বিন্দু জাগিয়� দিলো কমলকে। লীগে� খেলায় শোভাবাজারে� শে� ম্যা� আছ� যুগে� যাত্রী� সাথে� ছেলে অমিতাভ যে জীবন� ফুটব� নিয়� আগ্ৰ� দেখায়নি আজকে বাবা� খেলা দেখত� চায়� সলী� আবার ফিরে এসেছে। সে শোভাবাজারে� বিধ্বস্ত দলের হয়ে চা� ম্যা� খেলে ফেলেছে� কমলে� মধ্য� হঠাৎ করেই উদ্দাম ফিরে আসে। নিয়� নেয় এই স্টপার কঠিন শপথ। জীবনের শে� ম্যা� সে খেলব� এবার� এম� কর� খেলব� যাতে জীবন� যা হারিয়েছ� শেষবেলায� কিছু যাতে পায়� স্টপারের জীবনের শে� ম্যাচে� সাক্ষী হবেন নাকি?

🍨পা� প্রতিক্রিয়া 🍨

এই বইটি কিশো� উপন্যা� হলেও আমার বে� ভালো লাগলো। মত� নন্দী� লেখা আগেও পড়া হয়েছে� ওনার বই থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমাও। একজন ক্রিড়� সাংবাদিক হবার সুবাদে তিনি খেলা বিষয়ক বে� কয়েকট� লেখা লিখেছেন। সহ� ভাষায় ঝরঝর� লেখা� এব� একটা বিষয� খেয়াল করলা� উন� ওনার খেলা বিষয়ক বইগুলো একটা থি� ধর� লিখেছেন। আজ "স্টপার" পড়ে রীতিমত� অবাক হয়েছি� এই বইটি� থি� অনুযায়ী কিন্তু দারুণ। খেলোয়াড়ি জীবন� যে চড়া� উৎরা� থাকে সেটা তিনি অনুধাব� করতে সাহায্� করেছেন� এব� কিছু কিছু লাইন মোটিভেশনাল লেগেছে� অন্ত� স্টপার, যে রুখে দেয় বিপক্ষ দলের রক্ষণভাগ তাকে ভেঙে পড়ল� চল� না� জীবনের শে� দি� পর্যন্� তাকে অবিচ� হত� হয়।

কম� গু� যে� এক অদৃশ্য প্রতী� হিসেবে উঠ� এসেছেন জীবনের প্রতিক্ষেত্র� স্টপার হয়ে আমাদের যেভাবে রুখত� হয� প্রতিকূলতা, তেমন� বয়সকে পা� কাটিয়� কম বয়সী প্লেয়ারদে� টেক্কা দিয়� কম� গু� খেলা� মাঠে� হয়ে উঠেছেন স্টপার হিসেবে এক দূর্ভেদ্� দেয়াল হিসেবে� এত সহজে ভাঙা যায় না তাকে�

আম� মত� নন্দী� লেখা সবসময়� পছন্� করি। খেলা বিষয়ক ছাড়াও ওনার আর� বিখ্যা� বই রয়েছে� চেষ্টা করবো সবগুলো� স্বা� নেয়ার�

🍨বইয়ের না�: "স্টপার"
🍨লেখক: মত� নন্দী
🍨প্রকাশনা: আনন্� পাবলিশার্স
🍨ব্যক্তিগ� রেটি�: �.�/� ]]>