সে�, সত্যেন (১৯০৭-১৯৮১) সাহিত্যি�, সাংবাদিক, রাজনীতিক। ১৯০৭ সালে� ২৮ মে মুন্সিগঞ্জ জেলা� টঙ্গিবাড়ি উপজেলা� সোনারঙ গ্রামে তাঁর জন্ম� তাঁর পিতৃব্� ক্ষিতিমোহন সে� ছিলে� পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব আচার্য�
সত্যেন সে� সোনারঙ হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পা� (১৯২৪) কর� কলকাতা যা� এব� সেখানকার একটি কলেজ থেকে এফ.� � বি.� পা� কর� কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়� এম� (ইতিহাস) শ্রেণীতে ভর্ত� হন� কিন্তু যুগান্তর দলের সদস্� হিসেবে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি� সঙ্গ� সম্পৃক্ত থাকা� কারণ� তিনি ১৯৩১ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাবর� করেন এব� জেলে থেকে� বাংল� সাহিত্যে এম.� পা� করেন� জে� থেকে মুক্তিলাভে� (১৯৩৮) পর বিক্রমপুরে ফিরে তিনি কৃষক আন্দোলনে যো� দে� এব� আমৃত্য� বামপন্থী আন্দোলনে� সঙ্গ� যুক্� ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্� পার্টি� নেতা নির্বাচি� হন� সত্যেন সে� ১৯৪৯, ১৯৫৪, ১৯৫৮ � ১৯৬৫ সালে রাজনৈতিক কারণ� গ্রেফতার হয়ে বিভিন্� মেয়াদ� কারাভো� করেন�
সত্যেন সে� ১৯৫৪ সালে দৈনি� সংবা�-� সহকারী সম্পাদ� হিসেবে যোগদানের মাধ্যম� তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। � দেশে� সামাজি� � সাংস্কৃতিক আন্দোলনে� সঙ্গ� সত্যেন সে� ওতপ্রোতভাব� জড়ি� ছিলেন। তিনি প্রগতি লেখক � শিল্পী সংঘে� সংগঠ� এব� উদীচী (১৯৬৯) সাংস্কৃতিক সংগঠনে� প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলে� রবীন্দ্রসঙ্গী� � গণসঙ্গীতে� সুকণ্ঠ গায়� এব� গণসঙ্গী� রচয়িতা।
সত্যেন সে� সাহিত্যচর্চা শুরু করেন পরিণ� বয়স� এব� অত� অল্পসময়ের মধ্য� অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন� তাঁর রচিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় চল্লিশ� উল্লেখযোগ্� কয়েকট� গ্রন্থ: উপন্যা� ভোরে� বিহঙ্গী (১৯৫৯), অভিশপ্� নগরী (১৯৬৭), পদচিহ্�, (১৯৬৮), পাপে� সন্তান (১৯৬৯), কুমারজী�, (১৯৬৯), বিদ্রোহী কৈবর্ত (১৯৬৯), পুরুষমেধ (১৯৬৯), আলবেরুনী (১৯৬৯), মা (১৯৬৯), অপরাজেয় (১৯৭০), রুদ্ধদ্বার মুক্তপ্রাণ (১৯৭৩); ইতিহাস মহাবিদ্রোহের কাহিনী (১৯৫৮), বাংলাদেশের কৃষকের সংগ্রা� (১৯৭৬), মানবসভ্যতা� ঊষালগ্নে (১৯৬৯), ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনত� সংগ্রামে মুসলমানদের ভূমিকা (১৯৮৬); শিশুসাহিত্� পাতাবাহা� (১৯৬৭), অভিযাত্রী (১৯৬৯); বিজ্ঞা� আমাদের এই পৃথিবী (১৯৬৭), এটমে� কথ� (১৯৬৯); জীবনী মনোরমা মাসীমা (১৯৭০), সীমান্তসূর্য আবদু� গাফফার খা� (১৯৭৬) ইত্যাদি।
চিরকুমার সত্যেন সে� বামপন্থী রাজনীতি� সঙ্গ� যুক্� থেকে প্রগতিশী� � গণমুখী চেতন� দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহিত্যসাধনা করেন� তাঁর রচনায় ঐতিহ্য, ইতিহাস, দেশে� মাটি � মানুষে� শ্রেণী-সংগ্রা� প্রাধান্� পেয়েছে। তিনি উপন্যাসে� জন্য ‘বাংলা একাডেমী সাহিত্� পুরস্কার� (১৯৭০) লা� করেন�
১৯৮১ সালে� � ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন� তাঁর মৃত্যু হয়।
আম� ডেভেলপমেন্� স্টাডিজে পড়াশোনা করছি� ইউনিভার্সিটিতে যেদি� প্রথ� ক্লা� করতে আস�, সেদি� ক্লাসে শিক্ষকের প্রথ� কথাট� ছিলো,Why some countries are poor while others are rich. প্রথ� বর্ষতে� জানত� পারি এই উপনিবেশবাদের মূ� কাহিনী� এই বইটা� কথ� আগ� জানা থাকল� আর� আগ� পড়তাম�
আমার সাবজেক্টের কল্যাণ� মশলা পলিটিক্সের কথ� কমবেশি আগেই জানতাম� তব� এভাব� গল্পের ছল� পরিপাটিভাব� এক মোড়কে আগ� পড়া হয� নি� পড়ত� পড়ত� ক্রো�, হতাশ�, দুঃখবো� সবকিছু� একটা মিশে� অনুভূত� হয়েছে� এরকম সহ� ছল� ইতিহাস বল� এম� বই আমাক� আর� সাজেস্� করবে� যারা কমেন্টটা দেখবেন�
একটা ব্যাপা� আম� না বল� পারছ� না, আমার মন� আছ� বাংলাদেশের ক্লা� �/� � বোধহয় Rapid Reader নামে একটা পাতল� কর� স্টোরিবু� ছিলো আমার সময়ে। সেখানে কলোম্বাসের খু� গু�-কীর্তন লেখা ছিলো� এরপর সামাজি� বিজ্ঞা� বইয়� ভাস্কো দা গামা� অভিযানের প্রশংস� ছিলো� কিন্তু এই 'মহামান্য' ব্যক্তিদের প্রকৃত রূপট� যে কতোট� রেসিজম আর নিষ্ঠুরতায� ভর� তা কেনো তুলে ধর� হল� না আমার পরবর্তীতে তা ভেবে বে� অবাক লাগতো। তারা Environmental Determinism নামে� গালভরা থিওরিক� কাজে লাগিয়� নিজেদে� কাজক� জাস্টিফা� করতে চেয়েছ� যে, আফ্রিক�, ল্যাটি� আমেরিক� বা ভারতবর্ষ যেখানে� হো� না কেনো, নেটিভর� *অসভ্�*� নেটিভদের থেকে এই ইউরোপীয়ানরা মানু� হিশেবে উঁচুস্তরের এব� যেহেতু তারা উঁচুস্তরের তাদে� তো একটা নৈতি� দায়িত্ব আছ� এই *অসভ্যদের সভ্য* কর� তোলা�! স্কুলে বইয়� যা পড়েছি, পর� গিয়� দেখেছি সেখানে সব� পলিটিক্স কর� লেখা� এই দেশে� মানু� হয়ে, ভারতবর্ষের সত্যকা� ইতিহাস ইউরোপীয় শোষকদে� আদলে গিলিয়� খাওয়ানো� ব্যাপারট� খুবই লজ্জাজনক�
এখ� অবাক লাগে না� এখ� বুঝি কলোনিয়ালিজম কিংব� মশলা� যুদ্� কোনোটা� আমাদের ছেড়� যায় নি� এখনো উত্ত� পেয়� গিয়েছ� কিভাবে কিছু দে� ধনী হয়েছে: রিসোর্সফুল দেশে গিয়� দস্যুর মত� লুটপাট কর�, তাদে� নিজেদে� মাটিতে রক্তের বন্য� বইয়�,তাদে� সম্প� চুরি কর� নিজে� দেশে পাচা� করে। এই রক্তের মূল্� কি তাদে� শো� করতে হব� না? কাগজের নো� রক্তের স্রো� শুষে নিতে পারে, আম� তা বিশ্বা� কর� না�
মসলা না থাকল� কিন্তু পর্তুগিজরা � দেশে আসতো না, আসতো না ডাচর� � তাদে� পিছু পিছু আংরেজর�! অবাক হচ্ছেন? ছোট্� বইটা পড়ে ফেলু�, আর� অবাক হবেন � কলোনিয়া� ইতিহাস যাদে� রীতিমত 'হিরো' বল� আখ্যায়ি� তাদে� আস� চেহারা� জানত� পারবেন � জানত� পারবেন এই মসলা� ব্যবসা নিয়েই হয়েছে কত সংঘর্ষ, শোষণ আর মৃত্যু � বইয়ের দুটো প্যারা উল্লেখ করছি-
খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা মহামান্য পোপে� আশীর্বাদপুস্ট পর্তুগী� রাজা ডো� ম্যানুয়েলের ঘোষণ�-অনুযায়ী ভাস্কো দ্� গামা ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেই সামন� পড়া অন্য জাহাজগুলোর লোকজনক� আট� কর� তাদে� মালামা� লুটপাট করতে শুরু করে। ভারত মহাসাগরে� বুকে ভাস্কো দ্� গামা এব� তা� সহচরদে� নৃশং� যথেচ্ছাচ্চার অব্যাহ� গতিত� চলতে লাগল� সে� নিষ্ঠু� এব� করুন কাহিনিগুলো ইতিহাস ধর� রাখত� পারেনি� সে� অগন্� কীর্তি থেকে একটি� উল্লেখ করছি� ভাস্কো দ্যা গামা� কীর্তি� স্বরুপ এথেকেই কিছুটা বোঝা যাবে� মক্ক� থেকে হজযাত্রীদে� নিয়� কয়েকট� নিরস্ত্র জাহা� ফিরে আসছিল। দূর্ভাগ্যক্রমে তারা পর্তুগিজ জাহাজগুলোর সামন� পড়ে গেল। জাহাজগুল� আট� কর� মালপত্� যা ছি�, সবকিছু তুলে এন� জাহাজগুলোত� আগুন লাগিয়� দেয়� হল� কিন্তু ভাস্কো ডা গামা� কড়া আদেশ ছি�, জাহাজে যে সমস্� আরবী লো� আছ�, তাদে� যে� তুলে না আন� হয়। হতভাগ্� আরবীরা সে� জাহাজে� মধ্যেই পুড়� কয়ল� হল� ভাস্কো দ্যা গামা পর� আনন্দে সে� দৃশ্� উপভো� করলেন।
আরেকটা ব্যাপা� জানত� পারবেন, মী� জাফরের� কেবল নবাব সিরাজদ্দৌলার আমলে� নয� এই উপমহাদেশ� প্রত� শতাব্দীতে� জন্ম নিয়েছ� :)
আমরা খাবারে স্বা� বৃদ্ধি করতে যতটা প্রয়োজন মসলা ব্যবহা� করি। আমরা অনেক� হয়ত� জানি না এই মসলা নিয়� কত মারামারি, কাটাকাটি, গুটিবাজি হয়েছে� এই মসলা� জন্য� কত নিরি� মানু� যে রক্ত দিয়েছ� এব� ক্রিতদাসের মত ব্যবহৃ� হয়েছে।। মসলা বাণিজ্� নিজেদে� হাতে� মুটে নিতে, একচেটিয়� বাণিজ্� করতে কত বিদেশী বাবুরা কত কি যে করেছ� তা জানত� এই ছো� বইটি পড়ত� হব�
এই নৃশং� যুদ্� করেছিল পর্তুগিজ আর ডাচর�, পরবর্তীতে মসলা� গন্ধ শুঁক� শুঁক� ইংরেজরা। আর পর্তুগিজদে� মুসলমানদের মারা টা তো ছি� রীতিমত� বিভৎ�! সে� যুদ্� কি এখনো চলছেনা? কব� বন্ধ হব� এই হানাহানি?
মসলা নিয়� এত� যুদ্ধে� কথ� জানত� চাইল� পড়ত� পারে� এই ছোট্� বইটি� সবার জন্য রেকমেন্ডেড�
খাবারক� সুস্বাদু করতে ব্যবহৃ� হয� মসলা� খাবারক� সুস্বাদু কর� সে� মসলা� যে এত ঝাঁজ, এই বই না পড়ল� জানতেই পারতাম না! মধ্যযুগে এই মসলা পাওয়া যে� শুধু প্রাচ্যে---নির্দিষ্� কর� বললে ভারতীয় � পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে। পাশ্চাত্যে মসলা� ব্যাপক চাহিদা� কারণ� শুধু মসলা� ব্যবসা করেই সমৃদ্ধিত� ফুলে-ফেঁপ� উঠেছিল এই অঞ্চল। মসলা� বাণিজ্� নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় পোরা� জন্য উঠেপড়� লেগেছি� পাশ্চাত্যে� অর্থলোলু� শাসক-বেণিয়ারা। এই মসলা� সূত্রে� ঔপনিবেশিকতার সূচন� হয� ভারতবর্ষে। প্রা� হারায় হাজা�-হাজা� নিরী� মানুষ। প্রথমে এল পর্তুগিজরা, তারপ� ওলন্দাজরা। তাদে� পথ ধর� এরপর এল ব্রিটিশরা। এদের আগমনের সাথে জড়িয়� আছ� প্রবঞ্চন�, অন্যায�, নির্যাতনের ইতিহাস� হারিয়� যাওয়া সে� সময়ের কথ� ইতিহাসের গলিঘুপচি খুঁজ� তুলে এনেছেন সত্যেন সেন।
কলোনিয়া� ইতিহাস এতদি� ভাস্কো দা গামা'� মত� যেসব তস্করদের নায়�(!!) হিসেবে দেখিয়� এসেছ�, তাদে� সত্যিকারের বীভৎ�, নোংর� চেহারাটা তুলে ধরেছ� ছোট্�, সুলিখি�, তথ্য� ভরপু� এই বইটি�
পায়েস আমার খুবই প্রিয়।� মাঝেমাঝে� আম্মুক� পায়েস রাঁধতে বল� আর আয়ে� কর� খাই। আজও বইটা পড়া শেষে ভাতে� বদলে পায়েস খাচ্ছিলা�... হঠাৎ এলাচ� কামড� পড়তেই মেজা� খারা� হয়ে গেল। বাক্যবাণ� এলাচের চৌদ্দগুষ্ট� উদ্ধার করতে গিয়েও থমকালাম। � কারণ? কারণ এই বইটা�
স্কুলে থাকত� রাতে সমাজ পড়া মুখস্থ করতা� ঘুমে আচ্ছন্� হয়ে� সমাজ� বইয়ের আর সব মুখস্থ না হলেও ‘ভাস্ক� দ্� গামা� নামট� কে� জানি ভালোভাবে� মন� থাকত� এই বই পড়া� আগ পর্যন্� মানুষটাক� খু� বড� কিছু মন� হতো। কিন্তু উপন্যা� পড়ে ঘেন্নায় আর রাগে টগবগ করছি� ভেতরটা� ধর্মান্ধতা� কী বীভৎ� রূ�! সাথে � প্রশ্নও মন� জাগে, যুগে যুগে কেবল অসহায় চাষীগুলো� নিঃস্ব হয়ে গে�...?
কত বিশা� পরিধির এক ইতিহাস কত ছোট্� একটা বইয়�, তা� আবার পানি� মত� সহ� ভাষায় লেখা যায়� অসাধার� বললে� কম বল� হয়। ইতিহাসের না� শুনলেই আমার মত� যাদে� হা� ওঠ�, তাদে� জন্য বইটা অবশ্যপাঠ্য।�
এক পাউন্ড গোলমরিচে� দা� � শিলি� থেকে � শিলি� � বাড়িয়ে দি� হল্যান্ডের বণিকগোষ্ঠী, ১৫৯৯ সালে� ব্যস, মানুষে� ইতিহাসের গতিপ� গে� পাল্টে! এক লাফে অত� প্রয়োজনীয় মসলা গোলমরিচে� দা� বাড়ায� ক’জ� ইংরে� ভাবল তারা নিজেরা� কে� ভারত আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মসলা সংগ্রহ কর� এন� কম দামে ইংল্যান্ডে সরবরাহ করতে পারে কিনা, ব্যস মসলা� ব্যবসা শুরু কর� ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ( ইংরেজদেরটা)!
মানুষে� ইতিহাস� প্রস্ত� যুগে, তাম্� যু�, লৌ� যুগে, শিল্� যু�, আধুনিক যু� ইত্যাদির ফাঁক� কিন্তু মসলা যু� যে আছ� এট� আমরা অনেকেই খেয়াল কর� না� অথ� এই মসলা� খোঁজেই ইউরোপিয়ানদে� বিস্বা� খাবারক� সুস্বাদু করতে যেয়� সারা বিশ্বে� কোণে কোণে যেয়� সে� যে খুঁট� গেড়� বস� কলোন� কর�, সে� ইতিহাসের ধারাবাহিকত� এখনো শে� হয� না�!
যা হো�, সে� মসলা আম� নিয়� বিখ্যা� সত্যেন সে� লিখেছিলে� � মসলা� যুদ্ধ� , ৫৫ পাতা� এক ছোট্� বই, আর মূলত সা�, স্থা� � নানা রসহী� তথ্য দ্বারা ভর্ত�, কিন্তু এর আড়ালে আছ� ইতিহাসের নানা তথ্য গেঁথ� চমৎকার এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা� চমকপ্র� ব্যাপার। বইয়ের শুরু ১৪৮৮ সালে� কালিকট বন্দ� দিয়�, যদিও প্রায়� লেখক গল্পচ্ছল� ক্রুসেডে� যুদ্ধে� সময় থেকে ইউরোপিয়ান শক্তিগুলোর আধিপত্� বিস্তা� নিয়� ইতিহাস ঠিকুজি কুলুজি টেনে ভাস্কো দা গামা হয়ে, সুরাটে ১৬১২ সালে ইংরেজদের বাণিজ্� ঘাটি স্থাপন পর্যন্� যাবতীয় মূল্যবান তথ্য জানিয়েছেন আমাদের� বইয়ের শে� পাতাটা হুবহ� তুলে দেবা� লো� সামলাত� পারলাম না,
� ভারতবর্ষ � ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাস� মসলা� ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য। এখানকা� মসলা পরপর তিনট� ইউরোপীয় শক্তিক� আকর্ষণ কর� নিয়� এসেছে। বাণিজ্� করতে এস� শে� পর্যন্� এর� সাম্রাজ্� বিস্তা� কর� বসল।
এই মসলা-যুদ্ধে� মধ্য দিয়� কত শক্তির উত্থান পত� ঘটেছ�, বণিকদে� মুনাফা� তৃষ্ণা মিটাতে গিয়� কত মানু� প্রা� দিয়েছে। তাদে� রক্ত তি� সমুদ্রের জল� মিশে আছে।
এই মসলা-যুদ্ধে� মধ্য দিয়� কত দে� তাদে� স্বাধীনত� হারিয়েছ�, কত মানুষে� মর্যাদ� ধূলায় লুণ্ঠি� হয়েছে� এই মসলা� যুদ্� সাধারণ মানুষে� স্বাভাবি� জীবনযাত্রা� উপ� কঠিন আঘাত হেনেছে� যে-চাষীরা মসলা উৎপন্ন কর�- তাদে� জম� আর স্বাধী� জীবিকা থেকে উচ্ছিন্ন কর� দিয়� নিঃসম্বল কুলীতে রূপান্তরিত হয়েছে� তাদে� সম্প� তাদে� অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছ�- আপনা মাংস� হরিন� বৈরী�
এই মসলা� যুদ্� রক্তাক্ত, হিংস্র, বীভৎস। আবার এই মসলা� যুদ্� প্রাচ্যে� পরিবর্তনহী� পশ্চাৎমুখী সমাজের সামন� বৃহৎ বিশ্বে� দ্বা� উম্মুক্ত কর� দিয়েছে। বদ্ধ জীবনের উপরে দুরন্ত ঝটিকার আলোড়ন জাগিয়েছ�, প্রচণ্� অত্যাচারের শক্ত� স্বপ্ন-দেখা ঘুমন্ত মানুষক� চুলে� ঝুঁট� ধর� টেনে তুলেছে�
'আর্কিটেকচা� অব বেঙ্গল' নামে এক কোর্� আছ� চতুর্থ বর্ষে। ক্লাসে� প্রথমদিন শিক্ষকের মুখে প্রথ� বইটা� না� শুনি� ওদিন� দোকানে গিয়� কিনে আন� বই� পড়ত� দু সপ্তাহ দেরী হল� ঠিকই, তব� দেরী করলে� শে� কর� মন� হল� বই পড়া সার্থক�
স্কুলে থাকত� প্রিয় বিষয� ছি� সমাজবিজ্ঞান। এখ� তো ইতিহাসের অংশট� কত ছো� হয়ে এসেছে। তখনকার বইগুলোতে সে� পা� বং�, সে� বং�, অশোক পড়ে, ইউরোপীয়দে� আগমন, যুদ্�, বিদ্রো� পা� হয়ে দেশভাগের কাহিনীতে আসতে হতো। গোগ্রাসে সেসব গিলতাম� অবিশ্বাস্য লাগত� তব� এমুহুর্ত� তারচেয়ে� বেশি যা অবিশ্বাস্য লাগছ� সেটা বোধহয় বইয়ের পাতায় ভাস্কো দা গামা� গুনকীর্তণ যে পড়েছিলা� সেগুলো! মসলা নিয়� রাজনীতি অনেকটা খাপছাড়া ভাবে জানতাম! যা জানতাম না, যা কল্পনা� � অতী� ছি�, এই বইটা পড়ে তা� জানত� পারা!
বইটা পড়ে অবাক হয়েছি, রা�, ক্রো�, কষ্ট� মনটা ভর� উঠেছ�, খানিকট� হাসি� পেয়েছ� এই ভেবে পর্তুগীজদের এই নৃশংসত� ভুলে গেছি কত সহজে! আমরা যে বোকা ছিলা�, সে বোকা� রয়ে গেছি! জয়ীরা ইতিহাস লেখেনি, নিজেদে� ইতিহাস নিজেরা� ভুলে গেছি!
ইতিহাস, ফিকশ� নয�, এস� ভেবে বইটা না হাতে নিলে ভীষণ বড� ভু� হবে। ছোট্� ১০� পাতা� বইয়� এত সুন্দর কর� উঠ� এসেছ� আমাদের ওপ� হওয়� শোষণের ঘটনা!
মসলাকে কেন্দ্� কর� এতোকিছ�! যুদ্�, রক্তপা�, শাসন-শোষণ কোনোকিছু বা� যায় নি� নিজেদে� স্বার্� হাসিলে� জন্য� উপনিবেশবাদী দেশগুল� যা যা করেছ�, তাকে কোনো যুক্তিতে নায্যত� কিংব� সমর্থন দেওয়া সম্ভ� না�
উপনিবেশি� দেশগুলোর মনোভাব আর শাসন - শোষণের প্রকৃত� বে� ভালো ভাবে অল্পপৃষ্ঠায় ফুটিয়� তুলেছে� লেখক� ভারতবর্ষ চিরকাল� প্রকৃতির প্রাচুর্যে� আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে� বঞ্চিত হয়েছে� ভারতবর্ষের ইতিহাস বোধহয় কেবল ব��্চন� আর শোষণের� ইতিহাস :")
"মানবতাবিরোধী অত� জঘন্� কাজে� সাথে যদ� কোনো মত� ধর্মকে সংশ্লিষ্� কর� রাখা যায়, তব� তা� সব দো� কেটে যায়� শুধু দো� কেটে যাওয়া� নয�, সময় সময় তা অত� মহ� � পবিত্র কা� বলেও কীর্তি� হয়ে থাকে�"
এবারের ঢাকা-চট্টগ্রা� ট্রেনজার্নিত� পড়া� জন্য � বইটিকে বেছে নিয়েছিলাম, ভেবেছিলা� উপভোগ্� হব� জার্নিটা� কিন্তু তা আর হল� কই! বর� মন খারা� হলো। রক্তচোষা ইউরোপীয়ান দে� লোলুপতার কাছে শান্তিপ্রিয়, নীরি� ভারতীয় উপমহাদেশ আর জাভা� নাগরিকদে� শোষি� হবার গল্প পড়ত� পড়ত� দীর্ঘশ্বাস বেরিয়� এল� আর মন� হল� "Peace was never an option"
যেকোনো অপকর্মের সাথে যদ� একটু ধর্মের ছোঁয়া লাগিয়� দেওয়া যায়, তব� দেখা যায় সেটা একটা বৃহৎ অংশে� মানুষে� কাছে পবিত্র কা� হয়ে যায়� এট� একটি চিরন্ত� সত্য� অতীতে হয়েছে, বর্তমানে� হচ্ছে। আশ� কর� ভবিষ্যতে� হতেই থাকবে। এই ধরুন আজকে� জেহাদে� নামে আত্মঘাতী বোমা হামলার কথাই বিবেচন� করি। অনেক মানু� মন� কর� ইহ� পবিত্র কাজ। শুধুমাত্� ধর্মের ছোঁয়া লাগানো� কারনেই মানু� মানবিকতা� ধা� ধর� না� যা� হো� বই এর কথায� আসি। সত্যেন সে� তা� এই "মসলা� যুদ্�" বইটি লিখেছে� এই উপমহাদেশ� কিভাবে পশ্চিমার� সু� হয়ে ঢুকে ফা� হয়ে বেড়িয়েছি� সেসব কথ� বলার জন্য� লেখক দারু� ভাবে অনেক অজান� ইতিহাস সামন� নিয়� এসেছ� সে� সাথে মুখো� খুলে দিয়েছ� অনেক নায়কের।
ভাস্কো দ্যা গামা কে আমরা অনেকটা হিরো� মন� করতাম। অথ� কতোট� জঘন্� ছি� তা� কা� কারবার তা এই বই না পড়ল� জানতাম না� � হ্যা এই বই এর না� কে� মসলা� যুদ্� হল সেটা� তো জানা দরকার। আসলে সে� পঞ্চদশ বা ষোড়� শতকে� দিকে ফ্রি� ছি� না, অথ� পশ্চিম� দেশগুল� একটা দীর্� সময় শীতে� কবলে থাকতো। তো সেসময়� খাওয়া� জন্য মাংস সংরক্ষ� কর� রাখত� হতো। এই মাংস লব� আর গো� মরিচ দিয়� সংরক্ষ� কর� হতো। এই কারন� গোলমরিচে� চাহিদা পশ্চিম� খু� বেশি ছিল। আর গোলমরি� হত� ভারত, ইন্দোনেশিয়া এই সব এলাকায়। এই গোলমরি� এর একচেটিয়� ব্যাবস� একসময় ছি� রোমানদের হাতে� কিন্তু অধিক লা� করার লালস� বাকিদে� বাধ্� কর� গো� মরিচের উৎ� সন্ধান� বে� হতে। সেভাবে� পর্তুগিজ নাবি� ভাস্কো দ্যা গামা পথ খুজত� খুজত� চল� আস� ভারতে। আর ভ্যাটিকা� সিটি থেকে তৎকালী� পো� পর্তুগাল কে এই এলাকায� ব্যাবস� করার একছত্র আধিপত্� দিয়� দেয়� ফল� শুরু হয� পর্তুগিজ নোংরামি। আরবদের সাথে ছি� পর্তুগিজদে� জা� শত্রুতা। তা� নিদর্শ� আপনি বইটা পরলে� বুঝত� পারবেন�
কিন্তু যখ� থেকে প্রটেস্টান্ট মতবা� মাথা চারা দিতে থাকল� তখ� থেকে পোপে� ক্ষমতা কমতে থাকলো। ফল� এবার ভারত� এল� প্রটেস্টান্ট মতবাদে বিশ্বাসী ডাচরা। এরপর এল� ইংরেজরা। শুরু হল দীর্� মেয়াদী ঔপনিবেশি� শাসন� আর � পথ আর � সোজা কর� দিলে কিছু বিশ্বাসঘাত� ভারতীয় রাজা�
বইটা পড়ে ফেলু�, অনেক অজান� ইতিহাস মনের জানালায় টোকা মেরে যাবে� লেখক দারু� ভাবে সেসময়ের ইতিহাস তুলে ধরেছেন প্রাঞ্জল ভাবে সংক্ষিপ্� পড়িসরে।
বে� অনেকদি� ধর� বইটা� রিভি� গুডরিড� এব� সোসা� মিডিয়াত� দেখে পড়া� ইচ্ছ� ছিল। অবশেষে পড়া হল� শুধুমাত্� মসলা� জন্য শোষণের গল্প পড়লাম� তি� তিনট� ইউরোপীয় শক্ত� মসলা� জন্য এস� যেভাবে ভারতবর্ষ শোষণ করেছ� তা আসলে� নির্মম� কিন্তু এই নির্মমতায় যু� যু� ধর� চল� আসছে এব� যারা শোষণ করছে কো� না কোনভাব� যা নিজেদে� লজিক� হালা� বানানো� প্রচেষ্টাও কম করছেনা� এব� দিনশেষ� যারা শোষণের স্বীকা� হচ্ছ� তারা� ভুক্তভোগী� বইটা ভালো লাগল�, আলোচনা দেখে এক্সপেকটেশ� যেমন ছি� সেটা পূরণ হয়েছে�
প্রথমে� জেনে নি� এট� কিন্তু ঐতিহাসিক কাহিনী।ব্যক্তিগত ভাবে আমার ইতিহাস সংক্রান্� লেখা ভালো লাগেনা তা� বইটা� খু� প্রশংস� শুনে পড়া� সির্ধান্� নিই। ছোট্� একটা বই অথ� কত তথ্য� পরিপূর্ণ।ভারতীয়দে� ওপ� ঔপনিবেশিকদের শোষণের অত� বিভৎ� � নগ্ন রূ� এখান� ফুটিয়� তোলা হয়েছে� ইতিহাসপ্রেমী হল� অবশ্যই পড়ু�, ইতিহাসপ্রেমী না হলেও পড়ে দেখতেই পারে� মসলা� সাথে জড়ি� ইতিহাস�
মুখরোচ� � বৈচিত্র্যময় খাবা� প্রস্তুতিত� যা� কোনো বিকল্প না� সে� মসলা, যা ছি� এককালে মনিমুক্তের মত� মূল্যবান� প্রাচ্� � পাশ্চাত্যে� মধ্য� বাণিজ্যে� প্রথ� � প্রধান পণ্য ছি� এই মসলা।এ� মসলা� রয়েছে এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাস।ভাবলে� অবাক লাগব� এই মসলা� জন্য কত বড� বড� যুদ্ধও হয়েছে� সামান্� মসলা� জন্য !! একটা বিস্ফোরক তথ্য, ভাস্কো দা গামা� কীর্তি� স্বরূপ এটাই প্রমাণ কর� যে তিনি আসলে ধর্মবিদ্বেষী � জলদস্য� ছাড়� আর কিছু� না�
ভারতবর্ষ এব� পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ� উৎপাদি� হত বিভিন্� ধরনে� মসলা� আর ইউরোপীয়দে� রান্নায় মসলা� ব্যাপক চাহিদা ছিল৷ এস� মসলা ভারতবর্ষ, মালয� আর ইন্দোনেশিয়া ছাড়� কোথা� পাওয়া সম্ভ� ছি� না� মসলা� বাণিজ্� কর� কালিকট রাজ্যর ব্যাপক সমৃদ্ধিত� লোলু� দৃষ্টি পড়ে পর্তুগালের� পরবর্তীতে পঞ্চদশ শতকে এই মসলা� জন্য কুৎসিত লোভে বর্ব� অন্যায� দিয়� শুরু হয� দখ�-অধিকার, হানাহানি, উপনিবে� স্থাপন � সাম্রাজ্যেবিস্তারে� অন্যরক� এক যুদ্ধ৷ এই মসলা� যুদ্� রক্তাক্ত, হিংস্র � বীভৎস৷ পর্তুগালের দেখানো পথ ধর� সেখানে এল� ওলন্দাজর�, গঠিত হয� ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তাদে� পিছু নিয়েই আসলো ইংরেজর�- সপ্তদশ শতাব্দীতে� পরবর্তী দুইশ বছরে� ইতিহাস সবার জানা!
উপমহাদেশ� পর্তুগালের ভিত্তিস্থাপন করতে অনেক নু� তে� কা� খর� করতে হয়েছিল৷ ক্রুসেডস� বিভিন্� রাজনৈতিক কারণ� মুসলমা� � খ্রিস্টানর� তখ� ঘো� প্রতিদ্বন্দ্বী� ইউরোপে আর� বাণিজ্যর একচেটিয়� ব্যবসা� প্রধান পণ্য ছি� 'মসলা'� কিন্তু এই মসলা� ব্যবসায় প্রভাব খাটাতে হল� পর্তুগালের মুসলিম দে� অতিক্র� কর� ভারতবর্ষ পৌঁছান� ছি� অসম্ভব ব্যাপার৷ তা� পৃথিবীতে নিজেদে� আধিপত্� বিস্তারে পোপে� সাহায্� রাজা হেনর� দক্ষ নাবি�, গাণিতি�, মানচিত্রকারক � জ্যোতির্বেত্তাদে� নিয়� ভারতবর্ষ যাবা� বিকল্প পথের অনুসন্ধা� চালালেন৷ অতপর দীর্� পঁচি� বছ� পর বিকল্প জলপথ আবিস্কার হল� রাজা ডো� ম্যানুয়েলের আদেশ� ভাস্কো দা গামা� নেতৃত্বে কালিকট� আক্রমণ চালায়� এই আক্রমণ� রাজ্� রক্ষার্থ� হিন্দু- মুসলমা�- আর� বণিক সবাই ভেদাভে� ভুলে কামানে� বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠল৷ ফলাফ� আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র নিয়েও পর্তুগিজের শোচনীয় পরাজয়� তাহল� কিভাবে পরবর্তীতে পর্তুগিজরা এই উপমহাদেশ� আবাস গড়ে তুলল? কিভাবে ইন্দোনেশিয়া, মালাক্কা, কলম্বো, কোচিনস� বিভিন্� বড� বাণিজ্যকেন্দ্র দখ� কর� নি�? ডা� (ওলন্দা�) বাহিনী জম� দখ� নিয়� কিভাবে চাষীদে� শোষণ করেছিল? এইসব প্রশ্নের উও� আর উপমহাদেশ� অনেক ইতিহাস জানত� তথ্যপূর্� ছো� বই 'মসলা� যুদ্�' পড়ে ফেলুন৷
কলোনিয়া� ইতিহাস� বী� 'ভাস্কো দা গামা'� নৃশং� মনোভাবের এক ঘটনা নিম্নরূপ� 'মক্ক� থেকে হজ-যাত্রীদে� নিয়� কয়েকট� নিরস্ত্র জাহা� দুর্ভাগ্যক্রমে পর্তুগিজ জাহাজে� সামন� পড়ে গেল৷ জাহাজগুলোক� আট� কর� সব মালপত্� লু� কর� তারা জাহাজগুলোত� আগুন লাগিয়� দিল৷ কিন্তু ভাস্কো দা গামা� কড়া আদেশ ছি� জাহাজে যে সমস্� আরবীয়রা আছ� তাদে� যে� তুলে আন� না হয়৷ হয়ভাগ্য আরবীয়রা সে� জাহাজে জ্বল� পুড়� মরল৷ আর ভাস্কো দা গামা সে� দৃশ্� পর� আনন্দে উপভো� করলেন৷
প্রথমে তেলে� মধ্য� এলাচ, তেজপাত�, দারুচিনি দিয়� একটু ভেজে নিন। একটা সুঘ্রা� ছড়িয়� পড়বে। এরপর পেঁয়া� কুচি (নায়িকাদের মত� moon moon শেপে না কাটলেও হব�!) কর� কেটে নিয়� তেলে� মধ্য� ছেড়� দিন। হালক� লালচ� হয়ে আসলে সেখানে হলুদ, মরিচ, জিরা আর গর� মসলা� গুঁড়া দিয়� অল্প একটু পানি সহকারে নাড়তে থাকুন। মসলা ভাজা হয়ে গেলে আরেকটু পানি দিয়� নিন। এরপর আদ�, রসুন আর পেঁয়া� বাটা দিয়� আবার কষাত� থাকু� হালক� আঁচে...
মসলা কষতে থাকুক। এবার� একটু মসলা� অতীতে যাই।
আমাদের খাওন মানে� মসলা� বাহার। এই একটু ফোড়�, এই গর� মসলা একদম ভেজে তেলে ভেসে উঠলে কী সুবাসটাই না আস�! বিদেশি মানু� মসলা, ঝা� কম খায়� এদের অনেক� তো ক্যাপ্সিকা� খেয়� বল�, ❛O my god! Toooo spicy!� জাপানে তো পাতল� ল্যারলের� স্যু� খায়, নে� মসলা� কোনো উপস্থিতি� ভোজন রসিক জাতি হিসেবে মসলাদা� খাবারে� বদলে এস� দেখল� মু� ব্যাকা হবেই!
তব� এই যে স্বা� বৃদ্ধি করতে এত মসলা� ব্যবহারে� হিড়িক, এর অতীতট� � ক্তাক্ত। শ্রমিকের � ক্তে, ঘামে আর জুলুমে সিক্ত।
মসলা উৎপন্ন হয়ে তা বিকোতে আসার সবথেকে বিখ্যা� বন্দ� কালিকট� তারা মসলা� একচেটিয়� ব্যবসা করছে� আর ওদিক� কালিকট থেকে আর� বণিকের� সে� মসলা ইউরোপে নিচ্ছে� তুমু� লা� করছে� ভেনিসও চড়া দামে এগুল� বিক্রি কর� পয়স� কামাচ্ছে� এভাবেই চলছিল। কিন্তু সমুদ্রের অনেক দূরে� একটি দে� ভাবল� না এভাব� হব� না� অন্যের মাধ্যম� আর নয়। আমরা নিজেরা� এই মসলা� রাজত্ব করবো� যে� ভাবা সে� কাজ। তব� পরিকল্পন� করলো অনেকদি� ধরে। বলছিলা� পর্তুগিজদে� কথা। তারা মসলা� খোঁজ করতে লাগলো। কীভাবে ভারতবর্ষ� আস� যায় সে পথ খুঁজলো� পথের মাঝে বাঁধ� আছ� মুসলিম রাজ্য। ক্রু সে� পরবর্তী থেকে খ্রিস্টা� আর মুসলিম� দা কুড়ালের সম্পর্ক। তা� খুঁজলে� অন্য পথ� একদল ম্যা� তৈরি কর� জাহা� নিয়� সমুদ্র পাড়� দিয়� আগ� হা� হকিক� দেখে গেল। এরপর কামা� দাগা নিয়� আফ্রিক� পাড়� দিয়� ভারতবর্ষ� ঢুকলেন ❛ভাস্ক� দা গামা❜। তাকে এই উপমহাদেশের আবিষ্কার� বললে� ভেতরের ইতিহাস একটু ভিন্ন। তিনি এব� তা� দল এলেন, � স্যুবৃত্তি শুরু করলেন। নিজেদে� সমুদ্রের অধিপতি বল� বয়া� নিয়� নিলে� আর নির্বিচারে শুরু করলে� � ত্যা� মুসলিমদে� প্রত� অগাধ ঘৃণা� বর্ষ� করতে লাগলেন� হজ যাত্রীদে� জাহা� লু�, তাদে� পুড়িয়ে দিয়� আপ� ধর্মের দোহা� দিয়� নিজেদে� শ্রেষ্ঠত্ব জাহি� করতে লাগলেন� এর� মাঝে উদ্দেশ্য পূরণের কা� করতে লাগলেন� কালিকট এস� ব্যবসা� অনুমতি নিয়� নিলেন। তব� সেখানে রাজা আর প্রজায� ভাব। কালিকট বন্দরে� রাজা� সাথে ভা� আছ� আর� বণিকদের। তারা বলেন এই পর্তুগিজদে� উদ্দেশ্য ভালো নয়। রাজা শুনলেন� এব� প্রমাণ পেলেন।
এরপর পর্তুগিজদে� সাথে বেধে গেলো তাদে� সং ঘর্ষ� শুরুটা হয়েছি� ১৪৮৮ সা� থেকে� এরপর থেকে শুরু (১৪৯৭) হল� ❛মসলার যু দ্ধ❜� তব� তাদে� ঐক্যের সাথে পেরে উঠলো না গিজরা। পিছু হটলো� আবার লোকব� নিয়� অন্যদিকে দখলে� চেষ্টা করলো� এব� সফ� হলো। এই সফলত� অনেকটা� ছি� কূটনৈতিক কৌশল আর ধর্মের দোহাই। যুগে যুগে সবাই এই ধর্ম ব্যবসা করেছে। জাগতিক আপ� স্বার্থে, ক্ষমতা� লোভে ঈশ্বরক� যু দ্ধে নামিয়েছে। ১৫০৩/০৪ থেকে প্রায় ১৫৯৯ পর্যন্� বা আরেকটু বেশি সময় ইউরোপে নিজে� আধিপত্� বিস্তা� কর� ফেলেছি� পর্তুগিজরা� মসলা� ব্যবসা কর� ফুলে ফেঁপ� উঠেছিল� এরপর এক� পথ� পা দিলো ডাচেরা� তারা� এক� আধিপত্� বিস্তারে� জন্য পথ খুঁজ� এলো। পর্তুগিজদে� হটালো। সাথে দেশীয় কিছু লোকে� সহায়ত� তো ছিলই�
জা লি� পরিবর্তন হল� কিন্তু মজলু� অপরিবর্তিত� ইন্দোনেশিয়া� লোকেরা আপ� ভূমিতে� নির্যাতি�, নিষ্পেষি� হত� লাগলো। একসময় ডাচর� নিজেদে� নানা নিয়� চাপিয়� দিতে লাগল�, করায়ত্ব করলো জম�, জো� কর� লবঙ্� চা� নিষিদ্� করলো� উপনিবে� তৈরি করলো� এভাবেই নির্যাতনের স্বীকা� হত� লাগল� এই উপমহাদেশের মানুষ। এরপর এল� সাদা চামড়া� ব্রিটিশরা। এরাও মসলা� ঘ্রাণে� এসেছিল� আধিপত্� ছড়িয়েছিল� রা� করেছিল দুইশ বছরে� মতো। ডাচর� যেমন চাষে� জন্য নি র্যাতন করতো, তেমন� ইংলিশর� করলো নী� চাষে� জন্য অকথ্� নি র্যাতন� সে এক অন্য ইতিহাস� মসলা� জন্য, শুধু মাত্� স্বা� বর্ধনে� একটা উপকরণে� আধিপত্�, সাম্রাজ্� বিস্তা� আর ধর্মের দোহা� দিয়� অগণি� মানুষে� � ক্তে রঞ্জিত হল� ভূমি� যা চলমা� আছ� ভিন্� কোনো রূপে, চলমা� থাকবে। ধর� বদলাবে কিন্তু মূ� এক� থাকবে।
হায়রে মসলা!
পা� প্রতিক্রিয়া:
❝মসলার যু দ্ধ❞ সত্যেন সেনে� লেখা অসাধার� এক বই� থ্রিলা� উপন্যাসে যেমন থ্রি� পাওয়া যায় ১০� পৃষ্ঠা� ছোট্� এই প্রবন্ধে রোমাঞ্চে� পরিমাণ কম নয�!
এই উপমহাদেশ� রা� করেছ� অনেকে। সম্পদে� ভান্ডা� থেকে লু�, নি র্যাতন আর কাড়াকাড়ি হত� হত� বাকি নে� কিছুই। সত্যেন সে� সে� ইতিহাসের� এক টুকর� এন� হাজি� করেছেন বইতে� মসলা� ইতিহাস করুণ� এত� লেগে আছ� মানুষে� � ক্ত। আধিপত্� বিস্তারে� খেলায় পর্তুগিজ, ডা�, ওলন্দা�, ব্রিটি� সবাই এসেছে। দেখে গেছে কী আছ� এই উপমহাদেশে। থেকেছে, জুলু� করেছ�, নিজে� কো� ভর্ত� কর� নিয়� ভেগে গেছে� মসলা� এই আধিপত্� বিস্তারে� জন্য হানাহানি� শুরুটা পঞ্চদশ দশকে� একদম শেষে� দিকে� একটু প্রস্তুত� শুরু হয� এরপর প্রায় দশ বছ� পর তথ� ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয� গিজদের অভিযান� সাফল্যের মু� দেখত� একটু দেরি হলেও তা পুষিয়� নিয়েছে। বণিকের� শুধু বাণিজ্� করে। কিন্তু পর্তুগিজ এই � স্যু গুলো বাণিজ্যে� সাথে করতো লুণ্ঠন� মন� অসী� ঘৃণা রাখত� মুসলিমদে� জন্য� সে� ঘৃণা� প্রমাণ তারা দিয়েছ� তাদে� কাজে� স্কুলে থাকত� ইতিহাস� ভাস্কো দা গামাকে নিয়� সুবাক্� পড়ে তা� প্রত� যে ধারন� মন� থাকব� তা� ভি� নড়ে যাবে ইতিহাসের ভেতর� পা� করলে� মসলা� এই অভিযান, মৃ ত্যু� মিছিলে� সামন� নেতৃত্� দিয়েছিলেন তিনি� নিজে� বর্বতা� প্রকাশ করেছিলেন, করেছিল তারপ� আগ� গিজরাও� লেখক কালো এই অধ্যায়ে� বর্ণনা করেছেন নিপুণভাবে। প্রশ্ন রেখে গেছে�, করেছেন স্বগক্তি� ইতিহাসের করুণ এই অধ্যায� গুলো যে� সব কালে� জন্য� এক� সবখানে� আছ� ক্ষমতা� লো�, আধিপত্� বিস্তা�, ধর্ম ব্যবসা, হানাহানি� এই দুনিয়ার কাঠামো যে কত লা শে� উপ� দাঁড়িয়� আছ� তা� কোনো সীমা নেই। পর্তুগিজ থেকে ডা� এরপর ব্রিটি� রাজে এস� ইত� টেনেছে� লেখক� মাঝে এনেছিলেন অল্প বিস্তর কফির ইতিহাস� সেখানে� আপ� স্বার্�, আপ� আঁখে� গোছানো আর জু লুমে� কথ� আছে। বইটা দারুণ। এত সুন্দর কর� ইতিহাস যে লেখা যায় সেটা এই বইটা না পড়ল� বোঝা যাবে না� আমরা বল� আগের যু�, মানুষে� অতী� ভালো ছিল। তারা সুখে ছিল। কিন্তু ইতিহাস ঘাটল� দেখা যায় যুগে যুগে সাধারণ মানু� কত নি র্যাতনের মধ্য� দিনাতিপা� করেছে। কত হাহাকা� যে চাপা পড়ে গেছে আধুনিক সভ্যতা� নিচে তা� ইয়ত্ত� নেই।
❛ক্ষমতার � ড়াই ছি�, আছ� থাকবে। দাপট দেখানো� জন্য বল� হব� সাধারণ মানুষ। এটাই ইতিহাস� ইতিহাস পড়ত� পড়ত� সে� নিয়� দুঃখ করতে করতে� হয়ত� আম� কিংব� আপনি এক প্লে� সুস্বাদু বিরিয়ান� কিংব� মসলা� গুণে তৈরি কষ� মাংস নিয়� বসবো� খাবো আর বল�, ❛আ�! কী সুস্বাদু� আহার� ইতিহাসটা কত দুঃখের!❜❜
স্কুলে� পাঠ্যব�, ভর্ত� পরীক্ষা কিংব� চাকুরি� পরীক্ষা� বদৌলতে সবাই কমবেশি "ভাস্কো দ্� গামা�" গুণকীর্তন সমন্ধে হালক�-পাতল� জ্ঞা� রাখি� হয়ত� তিনি� প্রথ� ইউরো� থেকে ভারতবর্ষ� আসার সমুদ্র পথ আবিস্কার করেন বলে। কিন্তু ভাস্কো দ্� গামা মানুষট� আসলে কেমন ছিলে�? কেনই বা এসেছিলেন? এসেই বা কী করেছিলেন? আসলে ইউরোপিয়ানরা কেমন ছিলো? এস� প্রশ্নের উত্ত� এই ছোট্� বইটাতে পেয়� যাবেন।
একসময়কা� ধনকুবে� রাষ্ট্�, সহজসরল মানুষদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতবর্ষের পরাধীনতার বী� বপ� শুরু হয� এই "ভাস্কো দ্� গামা�" কারণে। পর্তুগিজরা জলদস্য� ছিলো একথা হালক� পাতল� জানা থাকলেও বা পাঠ্� বইয়� পড়ানো হলেও আস� অনেক কাহিনী বা তাদে� বর্বরত� লুকায়িত� থেকে গেছে� হত� পারে ভয়ে বা ইউরোপিয় থাবা থেকে বাঁচতে� পশ্চিমাদের আজকে� যে মনোভাব সেটি এই বর্তমা� যুগে� শুধু না� তারা অতীতে� এমোন� ছিলো� E.M. Forster তা� বই A Passage to India তে যেমন বল� গেছে� কলোনিয়ালিস্টদের মনোভাব কেমন ছিলো সে সমন্ধে�
"You're superior to them, anyway. Don't forget that. You're superior to everyone in India except one or two of the Ranis, and they're on an equality."
ঠি� তেমোনি কথ� এই বইতে� বলা। ভারতবর্ষের মানুষর� অত্যাচারী� নিপিড়ী� হবার যোগ্য। ইউরোপিয়রা যে� সক� ক্ষমতা� উৎস। তারা যা বলবে সেসব� সঠিক� যেমন খ্রিস্টানদের সে সময়কা� সর্বোচ্চ ধর্মনেতা বলেছিলেন পর্তুগিজদে� ভারতবর্ষ আক্রমন, ভারতবর্ষ� জলদস্যুত� সমন্ধে�
"কিন্তু মহামান্য পোপে� বিধা�-অনুযায়ী পর্তুগালরা� জলরাজ্যে� অধিপতি� কাজে� তিনি যা� করুন না কে� তাকে জলদস্য� কখনই বল� চলেনা।"
পর্তুগিজদে� আসার পর� কী ভারতবর্ষ� বানিজ্� শুরু হয�? না তা� আগ� থেকে� ভারতবর্ষ মসলা� জন্য সমৃদ্ধ� আর� বণিকদে� সাথে মসলা� ব্যবসা অনেক পুরনো। এমনক� আরবর� কালিকট� তাদে� নিজে� বাসস্থান� তৈরী কর� ফেলেছিলো� কিন্তু তারা কখনো পর্তুগিজ, ডা� কিংব� ইংরেজদের মত� দস্যুত� করেনি। মুসলমা� আর হিন্দুদে� সমন্বয়ে গঠিত সু� নগরীকে নরকে পরিন� করার জন্য প্রথমে� দায়ী পর্তুগিজরা� আর এসবে� মূলে ছিলো মুসলমানদের হত্য� করার প্রয়াস। বিশেষত আরবদের� পর্তুগিজরা বর্বরতার এত নিচু পর্যায়ে গেছিলো যে তারা অস্ত্রছাড়� জাহাজগুলোকেও রেহা� দিতোনা� হজ্জের যাত্রীদে� পুড়িয়ে মারতো।
এখানেও শে� না� এর পর� আস� ডা� আর ইংরেজরা। পর্তুগিজরা কে কা� কর� যেতে পারেনি সেটা এর� আসার পর শো� কর� নেয়� অন্ত� তখনও ভারতবর্ষের কৃষকদে� হাতে নিজে� জম� ছিলো� নিজেরা� চাষাবা� কর� আর বিক্রি� করত। কিন্তু ডাচর� আসার পর� সেটুকু� তারা হারায়� জমিত� তারা আজ� চাষাবা� কর� কিন্তু মালি� হিসাবে নয�, দিনমজু� হিসাবে�
বইটা ছোট্� হলেও সমৃদ্ধ একটা বই� আমার তো মন� হয� সবার� এই বই পড়া উচিৎ� পড়া� সময় একটা কথাই মাথায় ঘুরপাক খাবে "পশ্চিমার� হঠাৎ কর� বেজন্ম� হয়ন�, তারা জন্মগতভাবে বেজন্ম�, তাদে� রক্ত দূষি�, এই রক্ত কখোন� ভালো কিছু বয়ে আনবেনা কারো� জন্য�, এর� ���েখানে� যাবে সেখানে� ধ্বংসলীলা চালাবে�"
হয়ত� আপনা� মন� প্রশ্ন জাগত� পারে, এই সামান্� মসলা� জন্য কে� যুদ্� কর�? তা-� আবার এক� এক� ইউরোপে� তি� পরাশক্তি এই যুদ্ধে সামি� হয়েছিল—ভাব� যায়? ঘটনা� শেষট� হয়েছি� ‘ইস্� ইন্ডিয়া কোম্পানি� হা� ধরে। এর শুরুটা করেছিল ডাচরা। যারা ইন্দোনেশিয়া হয়ে ভারতবর্ষকে চুষে ছিবড়ে বানিয়েছিল নিজেদে� লাভে� খেয়েছিল কৃষক শ্রেণি থেকে সাধারণ মানুষদের � ক্ত। শোষণ করেছিল কলুর বলদে� মতো। খেটে খাওয়া চাষীদে� তারা মানু� হিসেবে গণ্য কর� না� ভারতবর্ষের মুসলিম ব্যতী� বাকি মুসলমানদের যারা চিরশত্রু মন� করত। থামিয়� দিতে চেয়েছিল তাদে� যাত্রা� বন্ধ করার পরিকল্পন� করেছিল আর� বণিকদে� বাণিজ্য। এতটুকু পড়ে আপনি নির্ঘা� এর শুরুটা জানত� চাইবেন� কীভাবে এম� বর্ব� ইতিহাসের সৃষ্টি হয়েছিল।
এই সবকিছু� আরম্� হয়েছি� ‘ক্রুসেড� যুদ্ধে� মাধ্যমে। মুসলমা� আর খ্রিস্টানদের মধ্যকা� চল� এই যুদ্� চল� বহ� বছ� ধরে। এর সূচন� ঘট� তৎকালী� জেরুজালেমক� কেন্দ্� করে। তখ� জেরুজালে� খ্রিষ্টানদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র ছিল। যিশুখ্রিষ্টক� ক্রুশবিদ্ধ কর� হত্য� করার কারণ� খ্রিষ্টা� ধর্মাবলম্বীরা জায়গাটিকে পবিত্র মন� করত। কিন্তু জেরুজালেমে বেশিদি� খ্রিষ্টানদের মুঠোবন্দ� থাকেনি� মুসলমানর� সে� স্থা� নিজেদে� কর� নেয়� এব� এই ঘটনা� পর থেকে এশিয়া, ইউরো� আর আফ্রিকা─এই তি� মহাদেশ� মুসলমা� � খ্রিষ্টানর� পরস্পরের ঘো� প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। সে� সময় মুসলমানদের দাপট ছি� আকাশচুম্বী� তাদে� হা� থেকে জেরুজালে� উদ্ধার করতে খ্রিষ্টা� রাজ্যগুল� হা� মেলা� এক অপরে� সাথে� ফল� ইউরোপে প্রব� ধর্মোন্মাদনা� সৃষ্টি হয়েছিল। এই ধর্মোন্মাদনা� না� দেওয়া হয� ‘ক্রুসেড’।
ইংল্যান্�, ফ্রান্�, হল্যান্ড এব� জার্মানি─সবাই একজো� হয়ে এই যুদ্ধে সামি� হয়েছিল। শুধু ধর্মীয় কারণ� তারা এমনট� করেছ� তা নয়। ধর্মটা এখান� স্রে� একটি নাম। এর পিছন� লুকানো আছ� ভিন্� উদ্দেশ্য� স্বাভাবিকভাব� তি� তিনট� ক্রুসে� যুদ্ধে তারা বিজয� লা� করে। তারপরে� দেখা দিলো ইউরো� ঐক্যজোটদের দুঃসময়। ১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বী� সালাদি� খ্রিষ্টানদের হা� থেকে জেরুজালে� পুনরধিকা� করেন� এরপর� যখ� মিশর মুসলমানদের হাতে এস� পড়ল, তখ� খ্রিষ্টা� রাজ্যগুল� বে� অসুবিধায� পড়ে গেল। আর এভাবেই থেকে শুরু হয� মসলা� যুদ্ধের। কিন্তু কীভাবে? পর্তুগীজর� বা এখান� জড়িয়� যায় কেমন কর�? এর পিছন� কারণগুলা কী কী?
এই ইতিহাস বহ� লম্বা। তা� ওপ� ‘মসলার যুদ্ধ� বইটি� খু� ছোটো কর� লেখা� এখান� লেখক সত্যেন সে� তুলে এনেছেন মূ� প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো। যা আমাদের না জানলেই নয়। ‘ক্রুসেড� যুদ্ধে যে ধর্মীয় কারণ� তৈরি হয়েছি�, সেটিকে উসকে দিয়েছিল পর্তুগীজরা। আর এর পিছন� রয়েছে মসলা� দুনিয়ার বুকে সবচেয়� বেশি মসলা উৎপাদন হত� ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জ� আর ভারতবর্ষে। কালিকট বন্দ� ছি� এর জন্য বিখ্যাত। আর� বণিকরা তখ� একচেটিয়� এই মসলা� ব্যাবস� কর� পুরো পৃথিবীতে� কালিকটের সাথে মিশরের সুলতানের সম্পর্� বে� সৌহাদ্যপূর্ণ� ওদিক� ইউরোপে মসলা� চাহিদা ব্যাপক� আরবদের থেকে মসলা কিনে নি� ডাচর�, তারপ� ভেনি� শহ� হয়ে তারা ইউরোপে এই মসলা সরবরাহ করত। ফল� ইউরোপে একচেটিয়� মসলা� বাজা� দখ� তখ� ডাচদের হাতে� উন্নতি হত� থাকল ভেনিসের। কিন্তু এত উন্নতি আবার ভেনিসে� প্রতিবেশ� জেনোয়� রাজ্যে� পছন্� হল� না� স্বাভাবি� প্রতিবেশ� যখ� প্রতিদ্বন্দ্বী বন� যায় তখ� যা হওয়ার তা-� হয়। তারা� মসলা� বাজারে নিজেদে� দখলদারিত্ব বজায� রাখা� সিদ্ধান্� নিল। এর জন্য তারা খুঁজতে লাগল কীভাবে একটানা জলপথ ব্যবহা� কর� ভারতবর্ষ� যাওয়া যায়� যে� ভাবন� সে� কাজ। তাদে� লক্ষ্য হয়ে দাঁড়া� কীভাবে মুসলমা� আর ভেনিসে� একচেটিয়� ব্যবসা� ওপ� ঘা মারা যায়� তব� কাজট� জেনোয়ার� শুরু করলে সেটি ঘটনাক্রম� পৌঁছ� যায় পর্তুগীজদের হাতে� তা� পর্তুগীজর� জেনোয়ার কাছে ঋণী� কীভাবে কী হয়েছে তা নাহয� বই পড়ে জেনে নিলেন।
এরপর কেটে যায় আর� পঁচাত্তর বছর। এর ভেতর ক্রুসেডে� ক্রে� তখনও চলমান। মসলা� সাথে মিলে গে� সেটা� ফল� পুরোনো যুদ্� রূ� নি� মসলা� যুদ্ধে� পর্তুগাল আর স্পেনক� সদ� সতর্� থাকত� হত� মুসলিম রাজ্যগুল� থেকে� কারণ, ভারতবর্ষ � ইন্দোনেশিয়া� মসলা� বাজা� সম্পূর্ণভাবে মুসলমানদের হাতে� কোনো ইউরোপীয় শক্ত� সেখানে দন্তস্ফু� করার সুযো� ছি� না� আর এখানেই যত আতঙ্ক। মুসলমানদের পত� ঘটাত� হল� মোক্ষম জায়গায় আঘাত হানত� হবে। সেজন্য তারা বেছে নি� মসলা� বাণিজ্যকে। যদ� ভারতবর্ষের মসলা� বাজা� তারা কোনোভাবে দখলে আনতে পারে তাহল� ভবিষ্য� উজ্জ্ব� হয়ে উঠবে� ডো� হেনর� ছি� এসবে� নাটে� গুরু� তা� পরিকল্পন� মাফি� সবকিছু ঘটতে থাকে� সে স্বপ্ন দেখে একদি� সোনা� দৌলত� ক্ষুদ্� � নগণ্� পর্তুগাল সারা ইউরোপে� সম্রাট হয়ে দাঁড়াবে� সমস্� পৃথিবী একদি� খ্রিষ্টা� ধর্ম� উপনী� হবে। আর তাদে� সবার সামন� পুরোভাগে থাকব� পর্তুগাল! এই মহাপ্রেরণা হেনরিক� ুউদ্বুদ্ধ করে। তারপ� শুরু হল� পর্তুগী� আর আর� বণিকদে� মধ্য� দ্বন্দ্ব� এর শুরুটা হয� ১৪৯৭ খ্রিষ্টাব্দে� ভাস্কো দা গামা� আগমনের মধ্য� দিয়ে। কিন্তু ইতিহাস� অন্যান্য পর্যায়ে গামাকে যতটা প্রাধান্� দেওয়া হত�, ততটা কৃতিত্ব তা� ছিলই না� কে� সেটা বই পড়ল� জানবেন�
এই মসলা যুদ্ধে� কেন্দ্রস্থ� ছি� কালিকট� সেখানকার রাজা ছিলে� জামোরিন। পর্তুগীজদের আগমনকে তিনি প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যি� আগমন হিসেবে ভেবেছিলেন। কিন্তু যখ� দেখলেন পর্তুগীজর� তাদে� জাহাজে কর� কামা� বইয়� নিয়� এসেছ�; তখ� সেটাকে আর ইতিবাচ� হিসেবে নেনন� জামোরিন। পর্তুগীজদের ওপ� আদেশ ছি� ‘তার� জামোরিনে� কাছে একটি বাণিজ্� ঘাঁট� স্থাপনের জন্য এব� পাঁচ জন পাদ্রি� ধর্মপ্রচারের জন্য অনুমতি দাবি করবে� জামোরি� যদ� তাতে সম্ম� না হয�, তব� যুদ্ধে� হুমক� দিয়� তাকে পথ� আনবে।� কিন্তু সোজা আঙুল� জামোরি� এম� প্রস্তাব মেনে নেয়নি� তিনি আর� বণিকদে� সহায়ত� নিয়েছেন� সাহায্� চেয়েছেন মিশরের কাছে� কারণ যুদ্ধে পর্তুগীজদের কাছে কামা� ছিল। কালিকটের কাছে ঢা�-তলোয়া� ছাড়� তেমন ভারী অস্ত্র বলতে কিছু� নেই। মিশরীয়দে� নিকট আবার কামা� সংযুক্� যুদ্� জাহা� ছিল। তা� লড়াইট� যাতে শেয়ান� শেয়ান� হয� সে� উদ্যেগ গ্রহ� করেছিল কালিকট রাজা জামোরিন। এরপর শুরু হয� লড়া�, পালট� লড়াই। কেটে যায় বহ� বছর। মহাসাগরগুলোর ওপ� দখলদারিত্ব নেয় পর্তুগীজরা। সাথে ঘটতে থাকে অনাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা� মক্ক� থেকে হজ-যাত্রীদে� নিয়� নিরস্ত্র জাহা� পর্যন্� রক্ষ� পায়নি পর্তুগীজদের ঘৃণ্� কর্মকাণ্� থেকে�
এভাব� কয়ে� যু� কেটে যাওয়া� পর যখ� ডাচর� দেখল পর্তুগীজর� তাদে� হক মেরে জলসীমনায� আর বাণিজ্যি� বাজারে একচেটিয়� আধিপত্� বজায� রেখেছে তখ� তারা আটঘাঁট বেঁধ� ময়দান� নামে� ডাচর� ছি� পর্তুগীজদের থেকে� হিংস্র� তাদে� কর্মকাণ্ডক� বিস্তা� লা� করতে গড়ে তুলল ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি� তারা ইন্দোনেশিয়াকে বানিয়েছিল নিজেদে� ব্যবসা� ঘাঁটি। ইচ্ছামতো শাসন করছি� তখন। এর ভেতর চীনে� শাসন, মসলা হাটিয়� কফ� বাজা� দখ� কর�-সহ অনেক কিছু ঘট� যেতে থাকে� তারপরে� ইংল্যান্ডবাসী যখ� দেখল ডাচর� পুরো ইউরোপে� বাজা� দখ� কর� ইচ্ছামতো মসলা� দা� বাড়িয়ে চলেছ� তখ� তারা� আর বস� থাকে কীভাবে� নেমে পড়ে তারাও। তৈরি কর� নিজেদে� ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি; যদিও সেটা ডাচদের কোম্পািন প্রতিষ্ঠার এক বছ� আগ� করেছিল� ইংল্যান্ডে মসলা� প্রচুর চাহিদা ছিল। তাদে� শরৎকাল� থেকে বসন্তকাল পর্যন্� নোনা-মাংস খেয়� থাকত� হতো। ভালো টাটক� মাংস তাদে� কপাল� খুব কম� জুটত� জেলেদে� স্বার্থে� দি� ভেবে মা� খেতে বাধ্� কর� হত� তাদের। কিন্তু মা� তাদে� পছন্দে� খাদ্� ছি� না� মাছগুলোক� মুখরোচ� করার জন্য তাদে� ঝা� মসলা� প্রয়োজন হতো। আর এভাবেই তারা� ঢুকে গে� মসলা� বাজারে� প্রথমে ইন্দোনেশিয়া তারপ� ভারত� এরপর তো ইতিহাস সবার� জানা�
মসলা� যুদ্� নিয়� বইটি লেখা হলেও, এখান� এক শোষি� সমাজের চিত্� লেখক স্পষ্টভাবে তুলে ধরার চেষ্� করেছেন� তিনি লিখেছে�:এই মসলা� যুদ্� রক্তাক্ত, হিংস্র, বিভৎস। এই মসলা� যুদ্ধে� মধ্য� দিয়� কত শক্তির উত্থান-পত� ঘটেছে। বণিকদে� মুনাফা তৃঞ্চা মিটাতে গিয়� কত মানু� প্রা� দিয়েছে। তাদে� রক্ত তি� সমুদ্রের জল� মিশে আছে।
লিখত� গেলে আর বহ� লেখা� জন্ম নিবে� তা� থামত� হচ্ছে। বইটি ছোটো হলেও গোলমরিচে� মত� ঝা� বহ� করে। আঘাত কর� মন� � মগজে� লেখক যে বামপন্থি রাজনীতি� সাথে যুক্� থেকে প্রগতিশী� � গণমুখী চেতন� দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহিত্যসাধনা করেছেন তা এই একটি বই দিয়� প্রস্ফুটিত হয়েছে� ইউরোপীয়রা যে শোষণ মসলা� জন্য বা ক্রুসেডে� হীনতাক� প্রতিষ্ঠিত করতে করেছে─তা এক কথায� বিকৃত। যে রাজনীতি আর কূটনৈতিক চা� তারা মুসলিম তথ� হিন্দু ধর্মের মানুষদের মধ্য� ছড়িয়� দিয়েছ�, সেটা� ছি� এক� অপরে� প্রত� বিদ্বেষে� অন্যতম একটি কারণ� মানু� ইতিহাস না কা� কথায� উদ্বুদ্ধ হয়ে কলহে জড়িয়� পড়ে� অথ� পশ্চিম� বিশ্� এমনই চেয়েছিল� তারা সে� ক্রুসে� যুদ্ধে জয়ী� আর আমরা ক্ষমতা� লোভে অন্ধ জুয়াড়ি�
বইটি মাস্� রিড। এম� সোজা-সাপট� ব্বিধংসী সত্য তুলে ধর� কোনো চাট্টিখানি বিষয� না� লেখক সত্যেন সে� যা অকপট� করেছেন� বইটি প্রকাশ করার জন্য বেনজিন প্রকাশনাকে ধন্যবা� জানাতে হয়। এম� ইতিহাসমূলক আর� বই নিয়� তারা যে� কা� করে। ৮০ পৃষ্ঠা� বইটি মুদ্রি� মূল্� ১২� টাকা� কিনত� পারবেন অর্ধেক মূল্যে� প্রোডাকশ� বে� ভালো�
ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্য ছি� মসলা� সমস্� পৃথিবী� একমাত্� রপ্তানীকারক ছি� এর�, যা� ঘ্রাণে ক্ষুধার্� বাঘে� মত এই বাণিজ্� নিজে� হাতে� মুঠোতে আনতে হামল� পড়ে পরতুগীজরা। নৌপথের রাজা হিসেবে খ্যা� এই পর্তুগীজর� তাদে� কামানে সুসজ্জিত জাহা� নিয়� উপর্যুপর� আঘাত হানত� থাকে এই মসলা� বাজারে� কিন্� বারবার সে� চেষ্টায় বিফল হয়ে অবশেষে প্রায় ১০� বছ� পর� তারা মসলা বিক্রি� জন্য বিখ্যা� কালিকা� বন্দরে ঘাটি গাড়ে। পরবর্তীতে বোঝা যায়, শুধু মসলা ব্যবসাকে কব্জ� নয� বর� আরেকটি গূড় উদ্দেশ্য হাসি� করতে চেয়েছিল পর্তুগীজর�, তা হল তাদে� সবচেয়� বড� প্রতিদ্বন্দ্বী, আর� বণিকদে� � মাটি থেকে হটানো। শে� পর্যন্� সক্ষ� হয়েছিলও� বাণিজ্যে� সাথে ধর্মান্ধতা তাদে� কে হিংস্র কর� তুলেছিল। এদের পথ ধর� পরবর্তীতে আস� ডাচরা। শুধু মসলা না, কফ� উতপাদন নিয়েও তারা শুরু কর� বাণিজ্যে� নামে সন্ত্রাসী� বছরে� শেষে এস� এম� তথ্যবহুল একটা বই পড়ে ভা� লাগল� এক মসলা নিয়� কিভাবে এই উপমহাদেশ� এক নতুন উপাখ্যান লেখা হয়ে গে� তা� খু� সংক্ষিপ্� বরণন� পাওয়া যাবে এই বইতে�