প্রথ� যখ� আমরা “অ-অজগর আসছে তেড়ে� পড়ত� শিখি, তখ� আমরা কেবল অক্ষ� শিখি না—আমর� একটা দুনিয়ার সীমানা ছুঁয�পাঠবিমুগ্ধতা: “অ � � খ…� � এক জাগরণে� ধ্বন�:
প্রথ� যখ� আমরা “অ-অজগর আসছে তেড়ে� পড়ত� শিখি, তখ� আমরা কেবল অক্ষ� শিখি না—আমর� একটা দুনিয়ার সীমানা ছুঁয়ে ফেলি� বিদ্যাসাগর এই পাঠ্যবইট� রচনা করেছিলেন এম� এক সময়, যখ� বাংল� ভাষা� ছেলেবেলা� ছি� না কোনো মায়াময় ব্যাকরণ। তা� আগ� শিশুদে� শিক্ষাদা� ছি� মূলত কাক্তা� বেতে� ভয� আর মনোহী� মুখস্থ করানো। বিদ্যাসাগর সে� নিরুত্তা� অন্ধকারে আনলে� “বর্ণপরিচয়� নামক এক জ্যোতির্ময� প্রদীপ।
“অ � � খ…� � এস� অক্ষ� শুধু ধ্বন� নয�, এগুল� বাংলার ছন্দের পাথেয়� বিদ্যাসাগরের যাদু-হাতে, বাংল� বর্ণমালা হয়ে উঠ� রূপকথা� রাজ্যে� চাবিকাঠি� তা� উপস্থাপনাভঙ্গি এত সহ�, এত সংবেদনশী� যে শিশুমনের ভয� দূ� হয়ে যায়; শিখত� চায় নিজে নিজে� এক একজন অক্ষ� যে� চরিত্র: “ঋ-ঋষ� বন� থাকে�, “এ-এল দুধ� � প্রতিট� বাক্যে� এক রকমে� কবিত্ব, এক রকমে� দৃশ্যপ� নির্মাণ।
প্রথ� ভাগে কোনো কঠিন ব্যাকর� নে�, নে� ভারী শব্দের জট� আছ� কেবল অনুভব—শব্দে�, ধ্বনির, দৃশ্যের। বর্ণের সঙ্গ� ছবির ব্যবহা� ছি� অনন্য। আজকে� গ্রাফি� ডিজাইনারের� যেটাকে বল� “visual learning�, সে� ধারণ� ঈশ্বরচন্দ্� প্রয়ো� করেছিলেন ১৮৫৫ সালে�!
বিদ্যাসাগর জানতেন, শেখানো মানে� চাপিয়� দেওয়া নয�; শেখানো মানে আগ্র� জাগানো� এই জন্য� তাঁর এই বই এমনভাব� লেখা, যে� শিশু কেবল পা� করছে না—স� দেখছ�, শুনছ�, অনুভ� করছে� এই কারণেই আজ� বর্ণপরিচয় শিশু� কাছে প্রথ� ভালোবাসা� বই হয়ে থাকে�
রবীন্দ্রনাথের ওপ� প্রভাব: বর্ণের মধ্য� যাত্রা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকু� নিজে� “বর্ণপরিচয়� নিয়� বলেছিলেন যে এই বই না থাকল� বাংল� ভাষা� সঙ্গ� তাঁর প্রথ� প্রে� শুরু� হত� না� "বর্ণপরিচয়" তাঁর ভাষাজীবনের প্রকৃত ‘আব্রাহ্মণ মুহূর্ত’। ‘অ� থেকে ‘হ� পর্যন্� যে পথচল�, তাতে� তৈরি হয়েছি� ভবিষ্যতে� সে� কব�, যিনি লিখবেন�
“আমি ছুটি-ছুটি বল�, আম� পড়ত� চাই”।
রবীন্দ্রনাথের ভাষা-প্রে�, ছন্দের অনুভ�, শিশুমনের স্বভাব বোঝা� ক্ষমতা—সবই এই প্রথ� পাঠে� ভিতরেই ছি� নিহিত। তা� যখ� তিনি ‘সহজ পাঠ� রচনা করেন, তখ� তাঁর রচনায় বিদ্যাসাগরের ছায়� স্পষ্ট� তব� রবীন্দ্রনাথ সে� ছায়াক� আলোত� রূপান্তর করেছেন, কিন্তু মূলে ছিলে� তো বিদ্যাসাগরই।
এক ছোট্� বই, এক বিশা� উত্তরাধিকা�:
এই প্রথ� ভাগে� প্রতিট� পৃষ্ঠা যে� বাংলাভাষার নতুন ইতিহাস� বর্ণপরিচয় আমাদের শেখায় অক্ষ� চেনা� চেয়� অনেক বেশি কিছু—শেখায� অনুভ� করতে, ভালোবাসত�, চিন্তা করতে� এট� কেবল শিশুদে� জন্য লেখা হয়নি—এটা এক জাতি� ভাষাজাগরণে� দলিল�
শুধু অক্ষ� শেখানো নয�, বিদ্যাসাগর বাঙালি শিশুকে দিলে� মেধা � মননে� আত্মবিশ্বাস। তাঁর এই পাঠব� আজ� বাংল� ভাষা-সংস্কৃতি� প্রাচীনত� ধ্বজাবাহ� হিসেবে অমর।
বর্ণপরিচয় প্রথ� ভা� হল� সে� অর্ঘ্যপত্রের প্রথ� স্তব�, যেখানে শব্দ নয� শুধু, উচ্চারিত হয� মুক্তি� ডাক। বিদ্যাসাগর যে� কেবল বই লেখেনন�, বাংল� শিশুমনের ঘর� ঘর� রেখে গেছে� এক মহাজাগরণের চাবিকাঠি�...more
Neil deGrasse Tyson-এর ‘Scientific Thinking and Communication� পাঠে� অনুধ্যান
পাঠপ্রতিক্রিয়�:
"Curiosity is not a luxury of science, it is the foundatNeil deGrasse Tyson-এর ‘Scientific Thinking and Communication� পাঠে� অনুধ্যান
পাঠপ্রতিক্রিয়�:
"Curiosity is not a luxury of science, it is the foundation of civilization." –� এই একটিমাত্� বাক্যে� যে� নিহি� আছ� Neil deGrasse Tyson-এর Scientific Thinking and Communication বইয়ের মর্মার্থ� শুধু বৈজ্ঞানি� তথ্য বা তত্ত্ব নয�, এই রচনা পাঠককে ভাবত� শেখায়—একজ� সচেত� মানু� হিসেবে তথ্যের মূল্যায়� কীভাবে কর� যায়, যুক্তি কীভাবে গঠিত হয�, এব� যোগাযো� কীভাবে হয়ে ওঠ� বোঝাপড়া� প্রধান সেতু�
Tyson-এর বক্তব্যে� শক্ত� তাঁর স্পষ্টতা � অনাড়ম্ব� উপস্থাপনায়। তিনি বিজ্ঞানে� ভাবক� একাডেমিক উচ্চারণে নয�, বর� মানুষে� সহজা� জিজ্ঞাসা� সঙ্গ� জুড়� দেন।
তিনি মন� করিয়ে দেন—বিজ্ঞানের মূ� ভিত্তি কোনো জটিল সূত্� নয�, বর� প্রশ্ন করার সাহস� আজকে� তথ্য� ভর� পৃথিবীতে যেখানে সিদ্ধান্তে� উপ� প্রভাব ফেলে অপূর্ণ বা বিকৃ� তথ্য, সেখানে Tyson-এর অনুশাস� হয়ে উঠতে পারে একান্ত প্রয়োজনীয়�
বইয়ের শুরুতে তিনি বৈজ্ঞানি� চিন্তা� মৌলি� দিকগুল� ব্যাখ্যা করেন—যেম� সত্যের অনুসন্ধা�, অনুমানের যাচা�, � আত্ম-সংশয়। লেখকের মত�, সত্যিকারের বৈজ্ঞানি� মন� মানে� ‘ভুল হওয়ার প্রস্তুত� থাকা’—এবং তাতে� নম্র থাকা� এই অংশগুলোত� Tyson মূলত একজন চিন্তানায়� হিসেবে আবির্ভূত হন; পাঠককে শুধু তথ্য নয�, একটি দৃষ্টিভঙ্গিও দেন।
এরপর লেখক আলোচনা করেন বিজ্ঞানে� ভাষা � উপস্থাপনরীতি নিয়ে। তাঁর মত�, একজন বিজ্ঞানী যদ� সাধারণ মানুষে� সঙ্গ� সংযো� স্থাপন করতে না পারে�, তব� তাঁর জ্ঞা� সমাজ� মূল্যহীন। এই অংশে Tyson-এর উপস্থাপনায� দেখা যায় জনপ্রিয় বিজ্ঞা� আন্দোলনে� প্রত� তাঁর দায়বদ্ধতা� জটিল ভাষা নয�, উপলব্ধির ক্ষমতা—তাঁ� বিজ্ঞানে� সংজ্ঞা�
Tyson-এর দৃষ্টিতে, বিজ্ঞানচিন্ত� মানে কেবল গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ থাকা নয়। এট� দৈনন্দিন জীবনের সিদ্ধান্তে—হোক তা স্বাস্থ্�, রাজনীতি বা জলবায়� পরিবর্তন—চিন্তার অনুশীলন� তাঁর মত�, "If people don’t understand science, they’ll fall prey to those who mislead." এই উপলব্ধ� বিশে� প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠ� এম� সময়�, যখ� ভু� তথ্যের বিস্তা� সামাজি� � রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে গভী� ছা� ফেলছে।
Tyson-এর লেখায় দৃঢ় যুক্তি� পাশাপাশি রয়েছে একধরনে� কাব্যি� দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর ভাষায় বিজ্ঞা� যে� কেবল বস্তুগ� অন্বেষ� নয়—একট� নান্দনিক বোধেরও বাহক� “Science is poetry in motion”—এ� ভাবনাই তাঁর বক্তব্যে� অন্তরসূত্র�
পরিশেষ� এটাই বলবো যে Neil deGrasse Tyson-এর Scientific Thinking and Communication শুধুমাত্� একটি বিজ্ঞানে� ক্লা� নয�, বর� একটি নৈতি� আহ্বান—পাঠকক� দায়িত্বশী� যুক্তি� পথ� হাঁটার নিমন্ত্রণ। এই বই বর্তমা� সময়� যতটা প্রয়োজনীয়, ততটা� সময়োপযোগী� পা� শেষে এট� একটি প্রশ্ন রেখে যায়: আপনি কি তথ্য� বিশ্বা� করেন, না বিশ্বাসযোগ্যতায়? Tyson এই দ্বিধা� মাঝখান� দাঁড়িয়� বলেন—“তথ্যে� পথেই সত্যের সন্ধান।� ...more
“नेत� नेति� (Brihadaranyaka Upanishad 2.3.6) "Not this, not this."
অর্থ: চূড়ান্ত সত্যকে সংজ্ঞায়িত কর� যায় না; সব ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ।
‘The Inexplicable Universe� বইটি পড়ত� পড়ত� এই শ্লোকট� বারবার মন� পড়ে� টাইস� এখান� বিজ্ঞানে� এক অপার সীমায় দাঁড়িয়� আমাদের বলেন� এই যে আমরা জানি, সে� জানাটুকু� আসলে অজানার প্রবেশপথ� যে� বিজ্ঞা� নিজে� হাতজোড� কর� স্বীকা� কর� নেয়, “এইখানেই আমার জ্ঞা� শেষ।�
টাইসনে� লেখায় একধরনে� আশ্চর্� বিনয� আছে। আধুনিক বিজ্ঞানী� কণ্ঠ� এম� স্বীকারোক্তি বিরল� যে, আমাদের সবচেয়� বড� প্রশ্নগুলো� উত্ত� আমরা জানি� না�
মহাবিশ্বের সৃষ্টি� মুহূর্�, ডার্� ম্যাটা�, মাল্টিভার্�, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনস� এস� বিষয়ে টাইস� যে আল� ফেলে যা�, তা বিজ্ঞা� নয�, যে� দর্শনে� আল�!
�. মহাবিশ্বের শুরু: যজ্ঞ না বি� ব্যা�?
“ॐ तत� सवितुर्वरेण्यं भर्ग� देवस्य धीमहि। धियो यो नः प्रचोदयात्॥� (Rig Veda 3.62.10 � Gayatri Mantra) "We meditate on the divine light of Savitar; may it inspire our intellect."
টাইসনে� মত�, বি� ব্যা� ছি� সময় � স্থানে� শুরু, কিন্তু তা� আগেও কি কিছু ছি�? এই প্রশ্ন� বিজ্ঞা� থমকে দাঁড়ায়� গায়ত্রী মন্ত্রেও দেখা যায়, আমরা কোনো এক ‘দিব্য আলো�-কে ধ্যা� করছি, যে আমাদের ‘বুদ্ধি� উদ্দীপ্� করুক� অর্থাৎ, সত্য উপলব্ধ� করতে আমাদের যুক্তিবোধই একমাত্� ভরসা�
টাইসনে� ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বি� ব্যা�-এর আগের ঘটনা আমরা জানত� পারি না, কারণ সময়� তখ� ছি� না� বেদে� ভাষায় বললে, "অদ্রশ্যম গ্রাহ্যত্বাতীতম"� ‘অদৃশ্� এব� ধারণাতীত’।
“एको देवः सर्वभूतेषु गूढः सर्वव्यापी सर्वभूतान्तरात्मा।� (Shvetashvatara Upanishad 6.11) "One divine being hidden in all beings, omnipresent, the inner soul of all."
টাইসনে� আলোচনায় মাল্টিভার্সে� ধারণ� আস� কসমোলজির সূত্� ধরে। কিন্তু সে� আলোচনা পড়ত� পড়ত� মন� হয�, ভারতীয় দর্শ� বহ� আগেই বলেছিল, এক ঈশ্ব� বহ� রূপে, বহ� স্থানে, বহ� জীবন� নিজেকে প্রকাশ করছেন।
এই ‘এ� � অনেক�-এর দ্বন্দ্ব টাইসনে� মাল্টিভার্� তত্ত্বেও ধ্বনিত হয়।
টাইসনে� লেখা নিছক বৈজ্ঞানি� তথ্যভাণ্ডা� নয�, এট� এক বিনী� আত্মসমালোচনা� দলিল� তিনি বলেন, মহাবিশ্ব এত বিশা�, এত জটিল, যে বিজ্ঞানক� একমাত্� সত্য বলার মত� ঔদ্ধত্� আর থাকা উচিত নয়।
এই শিক্ষা ভারতীয় জ্ঞানচর্চা� মূলে ছি� সবসময়� আমরা কখনো� ‘পরম সত্য� জানি না� কেবল তা� ছায়� ছুঁত� পারি�
�. উপসংহা�: বিজ্ঞা� � দর্শনে� যুগল নৃত্�
“सत्यं ज्ञानं अनन्तं ब्रह्म� (Taittiriya Upanishad 2.1.1) "Brahman is truth, knowledge, and infinity."
‘The Inexplicable Universe� এই সত্যের� অনুসন্ধান। টাইসনে� হা� ধর� আমরা বুঝি, সত্য মানে কেবল বৈজ্ঞানি� নথিভুক্ত� নয়� সত্য মানে এম� এক বো�, যা কখনো� পূর্� হব� না, কিন্তু যা� পেছন� ছুটতেই আমাদের মানব অস্তিত্ব�
� বই তা� শুধু বিজ্ঞানপ্রেমীদে� জন্য নয�; � বই তাঁদের জন্য, যারা চায় জিজ্ঞাসা� আলোয� নিজেদে� সংকীর্ণতাক� ধুয়� ফেলতে।
পরিশেষ� বলবো, নী� ডি গ্রা� টাইসনে� ‘The Inexplicable Universe� এক অলৌকিক বই� যেটা বিজ্ঞানে� পাঠে� মধ্য� দিয়েও আমাদের নিয়� যায় এক মহাজাগতি� দর্শনে� দিকে� বইটি যে� ভারতীয় উপনিষদীয় চেতনার আধুনিক প্রতিধ্বনি� এই বই পড়ে পাঠক শুধু মহাবিশ্বের বিস্ময� নিয়� ভাবে� না, বর� নিজে� ক্ষুদ্রত� নিয়� এক গভী� চিন্তায় ডুবে যান।
� বই পড়া মানে এক অর্থ� নিজে� অস্তিত্বের গভীরে নামা� যেখা� থেকে উঠ� আসে� "Who am I?", "Why is there something rather than nothing?", এব� "What if we never know?"
Book: The Wages of Destruction Author: Adam Tooze Publisher: � Penguin Books; Reprint edition (26 February 2008) Language: � English Paperback: � 848 pageBook: The Wages of Destruction Author: Adam Tooze Publisher: � Penguin Books; Reprint edition (26 February 2008) Language: � English Paperback: � 848 pages ISBN-10: � 0143113208 ISBN-13: � 978-0143113201 Reading age: � 18 years and up Item Weight: � 680 g Dimensions: � 21.34 x 13.97 x 4.57 cm
Introduction: A New History of Old Catastrophes --
Adam Tooze’s The Wages of Destruction is a seismic intervention in the historiography of Nazi Germany. Tooze, with lucid prose and forensic scholarship, recasts the Third Reich not merely as a political and military tyranny, but as an economic experiment driven by acute resource anxiety, strategic delusions, and Darwinian capitalism. Where traditional historians have emphasized ideology and personality, Tooze boldly contends that economics—not just ideology—was the motor of Nazi expansionism.
“The war economy is not an economy directed by pacifists.� � Carl Schmitt, paraphrased in Tooze's economic vision of Nazi Germany
This is a story where numbers are as lethal as bullets, and spreadsheets matter as much as tanks.
Structure and Scope: Beyond the Battlefield --
The book spans from the economic humiliation of the Treaty of Versailles to the final gasps of the Nazi war machine in 1945. The core thesis pivots on this: Nazi Germany was economically constrained, especially by the global economic order dominated by the United States and the British Empire. These constraints shaped Hitler’s grand strategy, which Tooze suggests was a desperate gamble to break out of what he calls a “blocked economic system.�
Hitler’s fixation on Lebensraum (living space) in the East, Tooze argues, was less about mystical racism than a cold calculation of agricultural self-sufficiency. Nazi policy thus emerges as “economic imperialism� under a genocidal mask. The invasion of the USSR was not irrational but tragically rational within the confines of Nazi economic logic.
The Economy as Destiny: Autarky and Expansion -- Tooze gives economic teeth to Hitler’s ideas, especially as expressed in Mein Kampf. The Führer is revealed not just as a mad ideologue but as an economic thinker obsessed with grain production, oil supply, and currency reserves. The Nazi regime’s Four Year Plan (1936) is shown to be less about Keynesian stimulus and more about preparing for total war through resource consolidation.
“War is the continuation of economics by other means.� � adapted from Carl von Clausewitz, inverted by Tooze’s narrative
Tooze challenges the notion that the Nazi economy was “strong� or “modernized.� In fact, the regime was constantly on the brink of economic collapse. Military expansion and genocide were not just ideological tools—they were budgetary strategies. The Holocaust itself, chillingly, is partially contextualized as a logistics solution to the problem of feeding the Wehrmacht.
This is not to reduce the moral horror of genocide to numbers, but to highlight how the Nazi regime weaponized economics to pursue an agenda of extermination.
A Critique of American and British Myopia �
Tooze also turns his gaze westward. One of the book’s more provocative threads is the way it critiques Anglo-American complacency in the 1930s. The U.S., in particular, emerges not just as a distant observer but as the “arsenal of democracy� and also the linchpin of the global capitalist system that made Nazi autarky appear necessary to Berlin.
“Capital is reckless of the health or length of life of the laborer, unless under compulsion from society.� � Karl Marx, Das Kapital
Tooze, while not a Marxist, borrows this spirit to explore how Nazi Germany tried to build an economy that could rival the global financial empires of the time—through slavery, plunder, and terror. He debunks the myth of Nazi efficiency, showing how forced labor was not only morally depraved but economically disastrous.
Statistics, Terror, and Bureaucracy: The Banality of Numbers The power of this book lies in its granular detail. Tooze dives deep into steel production numbers, foreign currency reserves, and oil import logistics, revealing how even minute statistical discrepancies could have geopolitical consequences. In this, he echoes Hannah Arendt’s idea of the banality of evil—but it becomes the banality of spreadsheets.
“The death of one man is a tragedy. The death of millions is a statistic.� � often attributed to Stalin, haunting the structure of Tooze's analysis
The chilling insight is that economic planning in the Third Reich was an accomplice to annihilation. This is not an abstract macroeconomic history—it is a forensic autopsy of a regime that tried to make death profitable.
Philosophical Implications: Can Markets Be Moral? �
Tooze’s work raises profound philosophical questions about the moral dimension of economic systems. If a modern industrial state can organize genocide through a command economy, what does that say about the neutrality of economics?
“What is rational is actual, and what is actual is rational.� � G.W.F. Hegel
Tooze invites us to invert Hegel. In the Nazi case, the actual was a nightmare, and its rationalization became a weapon. The reader is left wondering whether any economic system—capitalist, fascist, or socialist—is immune to moral collapse when divorced from democratic checks and humanistic values.
The Wages of Destruction has reshaped academic debates about the Third Reich. It unsettles conventional wisdom and challenges the triumphalist narrative of Allied moral superiority by exposing how economic warfare, embargoes, and the race for oil shaped strategy on all sides.
It is a book that blends the intellectual rigor of a Cambridge don with the urgency of a war correspondent. For economic historians, it is indispensable. For philosophers of history, it is disturbing. For economists, it is a cautionary tale.
“Those who do not learn history are doomed to repeat it.� � George Santayana
Tooze’s work is a testament to why this learning must include not only battles and speeches, but also supply chains and ration cards.
To conclude, in an age of geopolitical turmoil, resource nationalism, and authoritarian resurgence, The Wages of Destruction feels almost too timely. Tooze warns us not with alarms but with footnotes, not with ideology but with data. He shows how economic policy, if wielded by tyrants, can become a blade more lethal than any sword.
This is not just a history book. It’s a grim reminder of how thin the veneer of civilization can be—and how easy it is to trade morality for efficiency. ...more
In Critical Children, Richard Locke offers a compelling critical investigation into the figure of the child in ten landmark novels of the 19th and 20tIn Critical Children, Richard Locke offers a compelling critical investigation into the figure of the child in ten landmark novels of the 19th and 20th centuries. Drawing from canonical works by authors such as Charles Dickens, Henry James, Vladimir Nabokov, William Golding, and Toni Morrison, Locke interrogates the literary child not merely as a passive figure of innocence or sentimentality, but as a site of psychological, moral, and cultural complexity.
The book’s central thesis rests on the idea that the child figure serves as a “critical� entity—both in the sense of being subject to critique and in serving as a vehicle for critique. Locke deftly demonstrates how these children function as narrative focal points through which the authors examine the anxieties and contradictions of their respective societies. In doing so, he positions the literary child as an active agent within the symbolic economy of the text, rather than a peripheral or decorative presence.
Locke’s methodology is rooted in close reading and historical contextualization, and his prose—though clearly aimed at a general literary readership—retains a sophisticated critical edge. His readings of novels such as Lolita and Beloved are particularly powerful, as he navigates the moral ambiguity and psychological intricacies with sensitivity and insight. The book also benefits from its comparative framework, allowing the reader to trace evolving representations of childhood across periods, genres, and national literatures.
Though the selection of novels skews toward Western literary tradition and could benefit from broader global or postcolonial perspectives, Critical Children nonetheless succeeds in foregrounding the child as a central, rather than secondary, figure in the literary imagination. Locke’s work is a valuable contribution to both literary criticism and childhood studies, offering a nuanced and richly textured account of how childhood is not simply depicted in fiction, but critically deployed....more
ডায়ার্মিড ম্যাককালকে� লেখা Lower than the Angels বইটি এম� এক সাহসী রচনা� নিদর্শ�, যা ধর্ম, যৌনত� � ইতিহাসের জটিল সম্পর্কক� উন্মোচ� কর� এক অনন্� সংলা�ডায়ার্মিড ম্যাককালকে� লেখা Lower than the Angels বইটি এম� এক সাহসী রচনা� নিদর্শ�, যা ধর্ম, যৌনত� � ইতিহাসের জটিল সম্পর্কক� উন্মোচ� কর� এক অনন্� সংলাপে� জন্ম দেয়� এই বইয়� খ্রিস্টধর্মে� সূচনালগ্� থেকে শুরু কর� আধুনিক সময় পর্যন্� ধর্মীয় যৌননৈতিকতা� বিবর্তনক� নিঁখুত ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ� উপস্থাপন কর� হয়েছে�
লেখকের ভাষা যেমন সাবলী�, তেমন� মর্মস্পর্শী� তিনি পল, অগাস্টিন, থমাস অ্যাকুইনাস থেকে শুরু কর� রিফর্মেশ� যু�, ভিক্টোরীয় কালে� নৈতিকত�, এমনক� সমকালী� কুইয়া� প্রশ্নাবলীতে� প্রবেশ করেছেন অকপটে—তবু কখনও বিদ্বে� নয�, বর� এক ধরনে� অনুসন্ধিৎস� সহানুভূত� রয়েছে প্রতিট� অধ্যায়ে�
সবচেয়� আকর্ষণীয় দি� হল�, তিনি কেবল ধর্মীয় মতবা� নয�, বর� সমাজ, রাষ্ট্� � ব্যক্তিজীবনের সংযোগসূত্র খুঁজেছেন—যেখান� যৌনত� কেবল শরীরে� নয�, বর� ক্ষমতা, আত্মপরিচয় � আত্মসংযমের রাজনৈতিক এক উপাদান হয়ে উঠেছে।
ম্যাককাল� যে� গির্জা� অতীতে� ভেতর দিয়� আমাদের নিজেদে� আজকে� প্রশ্নগুলোকে� খুঁজ� আনছেন—আমর� কে? আমাদের লজ্জ� কোথা থেকে আস�? ঈশ্ব� কি সত্যিই আমাদের শরীরক� "নিম্নত�" মন� করেন?
If you're into ghost stories that go beyond the usual bumps in the night, Something Dark in the Doorway: A Haunted Anthology by Gregory Miller might jIf you're into ghost stories that go beyond the usual bumps in the night, Something Dark in the Doorway: A Haunted Anthology by Gregory Miller might just be your next spooky read. This collection isn't just about apparitions; it's a deep dive into the various ways we can be haunted—by supernatural entities, our own emotions, or the lingering shadows of the past.
The anthology features a range of tales, from the classic ghost story "DWF" to the introspective "My Ghost," which explores how childhood memories can be haunting. Other standout stories include "The Door of Gingercove Hotel," with its Lovecraftian vibes, and "An Apple for Teacher," a chilling tale involving a teacher and a problematic student.
Readers have praised the anthology for its variety and depth. One reviewer noted, "There's nothing like a collection of ghost stories for late-night reading... stories of people haunted not only by ghosts, but by other supernatural creatures as well as human emotions, regret, and worry."
So, if you're looking for a collection that offers more than just traditional scares, Something Dark in the Doorway provides a hauntingly good mix of stories that explore the many facets of what it means to be haunted....more
“It was just a color� but no color that belonged to our world.�
Imagine if a crayon from another dimension crash-landed on your farm, and instead of ma“It was just a color� but no color that belonged to our world.�
Imagine if a crayon from another dimension crash-landed on your farm, and instead of making rainbows, it started sucking the life out of everything it touched. That's The Colour Out of Space in a nutshell � a story so weird, even rainbows go, “nah fam, that ain’t me.�
Set in the fictional Arkham countryside, the story is told through a narrator investigating a patch of "blasted heath" � a desolate area where nothing grows, animals mutate, and people go stark raving mad. The reason? A meteorite crash brings with it a strange, indescribable "colour" (Lovecraft’s signature ambiguity � thank you, sir), which slowly seeps into the land, infecting the flora, fauna, and, tragically, the Gardner family.
Nahum Gardner, the patriarch, watches helplessly as his farm transforms into a surreal hellscape. Crops grow grotesquely large but tasteless. Animals twist into unholy forms. His wife and children descend into madness. It’s slow-motion horror, the kind that gnaws at you instead of jumping out from behind a curtain.
Lovecraft didn’t write horror to make you scream � he wrote to make you feel small. In “The Colour Out of Space,� the villain isn’t a monster with fangs � it’s a force of nature beyond human comprehension. You can’t fight it, reason with it, or even see it properly. You just slowly rot under its influence.
This story is an early and brilliant example of cosmic horror � the idea that we are mere ants in a vast, indifferent universe. And sometimes, a random space thing will show up and wreck your tomatoes just because.
Also, the way the “colour� affects mental health, the soil, the weather � you can’t help but read modern climate change fears and environmental decay into it. Unintentional foresight? Maybe. But terrifyingly relevant.
Lovecraft’s prose is famously dense and ornate, but here he’s actually kinda restrained. He avoids melodrama in favor of a creeping, almost scientific dread. The use of indirect description � “no colour known to man� � adds to the unnamable terror (which, let’s be honest, was his favorite vibe). It’s the horror of not knowing what’s killing you.
And bro, the mood? Gloomy, decaying, surreal. This isn’t your jump-scare horror � it’s more like watching mold grow over your life while you're still breathing.
“The Colour Out of Space� is a milestone in horror and sci-fi. It’s inspired everything from Stephen King’s “The Tommyknockers� to Annihilation by Jeff VanderMeer, and even got a bonkers Nicolas Cage film adaptation in 2020 (go watch that neon nightmare � it’s like if LSD had an anxiety attack).
The story shows how fear doesn’t always need a face. Sometimes, it’s just an idea. An aura. A vibe. And that’s what Lovecraft mastered here � a vibe that kills.
If you’re new to Lovecraft, this is the gateway drug. It's eerie, thought-provoking, and disturbingly calm � like someone whispering the end of the world into your ear....more
At first glance, Afternoon Raag seems like a novella where not much “happens.� There’s no dramatic arc, no shocking twist, no hero’s journey. And yet,At first glance, Afternoon Raag seems like a novella where not much “happens.� There’s no dramatic arc, no shocking twist, no hero’s journey. And yet, it’s full of things � memory, identity, longing, music, nostalgia, and cultural dissonance.
Set in the late 1980s, the novel follows an unnamed Bengali narrator � a student at Oxford � navigating the fluid space between India and England, past and present, East and West. The voice is gentle, almost hesitant, but fiercely intelligent and sharply observant.
Imagine if a Satyajit Ray character decided to write stream-of-consciousness prose while listening to Hindustani classical music � that’s the vibe.
The term rāg in Indian classical music is more than a melody � it’s an emotion, a time of day, a personality. The Afternoon Raag, or Madhyama, is known to evoke mellow introspection, warmth, and a touch of wistfulness. Chaudhuri doesn’t just title his book after a raag � the novel is a raag. It loops, it improvises, it repeats images (like water, old songs, sunlight), and it quietly builds mood over narrative.
The narrator is constantly in a state of "in-betweenness" � caught between Kolkata and Oxford, tradition and modernity, India and the West, nostalgia and present living. There's a sense of being a foreigner everywhere, even at home. The beauty of the book is how Chaudhuri refuses to exoticize this experience � instead, he presents it as ordinary, banal, and deeply human.
“When I first heard the Afternoon Raag,� the narrator says, “it was like a memory I never had.� This paradox becomes the soul of the novel � feeling at home in places that were never quite home.
Amit Chaudhuri doesn’t write prose. He writes liquid silk. His sentences are like brushstrokes � impressionistic, elegant, richly detailed, and often lingering on a single image or idea for a page. The rhythm is slow, like alap before the raag kicks in. If you're looking for page-turners, this might feel like a literary lullaby � but if you surrender to its pace, it’s deeply rewarding.
For example: “The sun fell like a blessing on the yellow stone, the lawns, the solemn buildings, and the girls with open mouths lying on the grass like sacrificial offerings to the season.�
Uff. Tell me that isn’t lush.
There’s a quiet undercurrent of emotional tension throughout. The narrator has two primary friendships � with Shehnaz, a cosmopolitan Indian student, and Mandira, more rooted in Indian culture. Through these women, we get fragmented glimpses of affection, jealousy, cultural commentary, and a kind of subdued yearning. But nothing is explicit. In classic Chaudhuri style, everything is implied, never spelled out.
If you’re even remotely interested in Indian classical music, this book will sing to you. Music isn't just a hobby for the narrator � it’s a metaphysical space. References to raags, tanpuras, and gharanas are scattered throughout the text, not just as decoration, but as structure. The novel’s form mirrors the way music unfolds � cyclically, through repetition and return.
And for those not steeped in classical music, don’t worry � Chaudhuri writes with such ease that even unfamiliar terms feel like part of the rhythm.
Instead of loud postcolonial angst, we get small, exquisite ironies. Like the way the narrator’s English professors are more interested in Shakespeare than he is. Or the way he notices the “unspoken� rules of class and race among his white classmates. The colonial hangover is still there, but it’s whispered in undertones, not banged on a drum.
Afternoon Raag is not a novel for everyone. It’s for the readers who love to pause, re-read, reflect, and sink into a mood. If you're in a hurry, you'll miss the music. But if you let it wash over you, it becomes a meditative experience. It’s about the unsaid, the in-between, the blurred edges of identity and memory.
Like the afternoon itself � neither morning nor evening, neither here nor there � it’s a story that exists in liminal light. ...more
"� তো অসামান্য হয়েছে গেঁদু। তোমা� এই কবিত�, শব্দ-সাম্প্রদায়িকতাক� চুরমার করার স্পর্ধ� দেখিয়েছে। হিন্দু � ইসলামীয় পুরাণে� অণ�-পরমাণু এস� মিলেছে এত�"� তো অসামান্য হয়েছে গেঁদু। তোমা� এই কবিত�, শব্দ-সাম্প্রদায়িকতাক� চুরমার করার স্পর্ধ� দেখিয়েছে। হিন্দু � ইসলামীয় পুরাণে� অণ�-পরমাণু এস� মিলেছে এতে। ‘আমি বজ্র, আম� ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,/ আম� ইস্রাফিলের শিঙ্গা� মহ�-হুঙ্কার� কিংব� ‘তাজ� বোর্রা� আর উচ্চৈঃশ্রব� বাহন আমার/ হিম্মত-হ্রেষা হেঁক� চলে’র মধ্য� লাগাতা� চলেছ� গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণ� করার এই প্রয়া� অসামান্য�"
"সত্য� বলছো দুখু মিঞা ? তোমা� ভালো লেগেছে? তাহল� প্রকাশ কর� দা� নিজে� নামে� আম� পারব� না জানো� তো� "
চমকে উঠলো নজরুল। না� এবার� আর সে হুসেইনের কথ� শুনব� না� আশ্চর্� নিস্পৃ� � নির্লিপ্� একজন মানু� এই বন্ধুট� তার। কবিত� লিখে ফেলে নিমেষে, গা� বেঁধ� ফেলে�
এর আগেও 'আমরা শক্ত� আমরা বল' আর 'কান্ডারী হুঁশিয়া�' নামে� দু'টি কবিত� আর 'মুসাফি� মো� রে আঁখিজল' বল� একটি অনিন্দ্যসুন্দর গা� হুসেইন নিজে রচনা কর� নজরুলক� দিয়� বলপূর্বক তা� নামে প্রকাশ করিয়েছে�
১৯০৫ সালে তখ� হুসেইনের মাত্� তেরো বছ� বয়স� আর সে� বছরটিই বিশ্ববরেণ্� আইনস্টাইনে� জীবনের অন্যতম বিস্ময়ক� বছর। এই বছরে তাঁর তিনট� পেপা� প্রকাশ পায়� প্রথ� পেপারে বিশে� আপেক্ষিকতাবাদে� ভি� তৈরি� দ্বিতীয় পেপারে ব্রাউনিয়া� মোশন থেকে অণুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা। আর তৃতীয় পেপারে আলোর কণ� কোয়ান্টামের প্রয়ো�, যা� সূত্রে আইনস্টাইনে� নোবে� পুরস্কার� কিন্তু পৃথিবীতে স্রে� নজরুলই তৃতীয় এম� ব্যক্ত� যিনি তাঁর বন্ধ� হুসেইনের নূরানী করিশ্ম� জানেন।
আইনস্টাই� সাহেবে� দ্বিতীয় � তৃতীয় পেপারে অবিস্মরণীয় যোগদান করেছিল তাঁর বন্ধ� হুসেইন� নজরল জানে� কারণ আইনস্টাইনক� বাংলায� লেখা চিঠিটি� ইংরেজি তর্জমা কর� তাকে� প্রথ� দেখিয়েছিল হুসেইন�
চিঠিটি� সে� মুক্তো� মত� ভাষা -- আহা। মারহাবা।
জনাব আইনস্টাই� , এই ব্রহ্মাণ্ডের মূ� চালিকাশক্তির কোনও বিনা� নেই। সে� শক্ত� অবিনাশী! ব্রহ্মাণ্ড কালে কালে যুগে যুগে দিনে দিনে যত� ফুলে-ফেঁপ� উঠুক না কে�, ছড়িয়� পড়ু� না কে� হইহই কর� চা� পাশে, সে� আদ�, অনন্� চালিকাশক্তির ঘনত্� (বা ডেন্সিটি) আগেও যা ছি�, এখনও তা� আছে। কোটি কোটি বছ� পরেও ব্রহ্মাণ্ডের সে� চালিকাশক্তির ঘনত্� এক� থাকবে। এটাক� আপনি না� দি� ‘কসমোলজিক্যা� কনস্ট্যান্ট’।
ডাকনাম ভজ� ভা� না� বিধান। এই বন্ধুটির ভা� না� রাখা� দিনে নাকি হাজি� ছিলে� কেশবচন্দ্র সেন। ভজ� মাত্� ১২০০ টাকা সম্ব� কর� বিলে� গিয়� দু’বছর� মেডিসি� � সার্জারি� চূড়ান্ত সম্মান এম আর সি পি এব� এফ আর সি এস প্রায় এক� সঙ্গ� অর্জ� করেছিল�
সে অর্থটি হুসেইনের� দেওয়া� টাকা� অভাব নে� হুসেইনের� সুবিশা� ধনসম্প� তার। এক জীবন� দু'হাতে বিলিয়� দিলে� অর্থাভাব হবেনা। তা� জাকা� করতে দু'বা� ভাবেনা ওবায়দুল্লাহ অল ওবাইদী� নওয়াস� � জাস্টি� স্যা� জাহিদে� ছেলে হুসেইন� সোনা� মোহর মাঝে মধ্যেই ছদ্মবে� ধারণ কর� রাতে� কলকাতায় অকাতরে বিলিয়� দেয় ইসলামে� প্রথ� খলিফার এই বংশধর।
আজ� পুরোনো বন্ধুত্বের টানে বা কোনও ক্রিটিকা� মেডিক্যা� কে� নিয়� আলোচনা করতে হল� ভজ� চল� আস� এখানে। চিকিৎস� বিজ্ঞানে� হুসেইনের সাংঘাতিক বুৎপত্তি�
বেনামে সে বহুবার (ভজনে� প্রশ্রয়েই) মেডিক্যা� কলেজ হাসপাতাল� গিয়� কোনও সাংঘাতিক জটিল ওপেন হার্� বা ব্রেইন সার্জারি কর� মানবপ্রা� বাঁচিয়ে, ইবলিশে� বুলন্দ কদ� রুখে দিয়েছে।
আর হুসেইনের কাব্যপ্রীতি� কথ� মাথায় রেখে� ভজ� স্বতঃপ্রণোদি� হয়ে বন্ধুর আলাপ করিয়ে দিয়েছ� রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে।
চিত্তরঞ্জন দাশে� মহাপ্রয়াণের পর দেশবন্ধু� একটা ছব� বিক্রি কর� ভজ� কিছু টাকা তোলবার পরিকল্পন� করেন� চিত্তরঞ্জনের একটা ছব� নিয়� ভজ� � হুসেইন কবির কাছে গিয়� বললে� এর উপ� একটা কবিত� লিখে দিন।
কব� সেদি� কিঞ্চি� অসুস্থ ছিলেন। বলেন , “ডাক্তার, � তো প্রেসক্রিপশন কর� নয়। কাগজ ধরলে আর চটপট কর� লেখা হয়ে গেল।�
উত্ত�: “বেশ অপেক্ষ� করছি।�
কিন্তু বেশি ক্ষণ অপেক্ষ� করতে হল না� কব� সহসা� বল� উঠলে�, "ডাক্তা�, তোমা� এই বন্ধুটির কাব্যচেতনা আমায� বিস্মি� করেছে। সমগ্� সংস্কৃ� সাহিত্�, পাশ্চাত্� সাহিত্�, চিত্রকলা, সংগী�, সব� এর গুলে খাওয়া� অ্যালবার্ট তো এই ছেলেকে নিয়� রীতিমত� শিশুতো� উচ্ছাস করলো আমার কাছে� এই ছেলে নাকি অ্যালবার্টকে ডার্� ম্যাটা� নিয়� যা যা লিখেছে তা যুগান্তকারী !!"
সে বলতে লাগল� -- "এই ব্রহ্মাণ্ড আসলে যে তিনট� জিনি� দিয়� গড়া, এই আদ� � অনন্� চালিকাশক্ত� তা� অন্যতম� তা� না� ‘ডার্ক এনার্জি’। যা� জন্ম কী ভাবে হল, কোথা থেকে হল, তা� জন্মের পিছন� কলকাঠি নাড়� কে, তা এখনও জেনে বা বুঝে ওঠ� সম্ভ� হয়ন� বিজ্ঞানীদের। তাঁর� এত দিনে শুধু এইটুকু� জানত� পেরেছে� যে, প্রায় ১৪০০ কোটি বছ� আগ� বি� ব্যা� বা এই ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি� প্রা�-মুহূর্তে� সে� মহ� বিস্ফোরণের পর কোনও সাড়াশব্� ছি� না বহ� দিন। যে� কিছু� হয়ন�! অত প্রচণ্� বিস্ফোরণের পর সব চুপচাপ মেরে গিয়েছিল� তা� প্রায় � লক্ষ বছ� পর হঠাৎ করেই জন্ম হল আমাদের দৃশ্যমান আলোর�"
"চমৎকার !" উচ্ছসি� হলেন রবীন্দ্রনাথ� " একেই বল� কিছু একটি লিখতে। আম� হস্তাক্ষ� দিয়� দেব।"
ছবির উপ� সে� অপূর্ব কবিতাট� লেখা হল সেদি� -- "এনেছিল� সাথে কর� মৃত্যুহী� প্রাণ। মরণে তাহা� তুমি কর� গেলে দান।"
সেদি� রব� বাবু� বাড়� থেকে চল� আসার সময় হুসেইন সসম্ভ্রম� বলেছিল, "গুরুদে� , আপনাকে আম� স্বরচি� একটি কবিত� উপহা� দিতে চাই। কিন্তু কস� খা� আপনি আপনাদে� মা কালী� , কে� যে� কোনোদি� না জানে যে এট� আমার লেখা� আপনি স্বনাম� প্রকাশ করবে� এটি। " এই বল� কবির হা� নিজে� মাথা� উপরে রেখে প্রতিজ্ঞ� নিয়� নিয়েছিল সেদি� হুসেইন�
তারা চল� যাওয়া� পর� নির্বা� বিস্ময়ে রবীন্দ্রনাথ পা� করেছিলেন সে� কবিতা। আনন্দাশ্রু তাঁর চোখে --
বহ� দি� ধ’র� বহ� ক্রো� দূরে বহ� ব্যয� কর� বহ� দে� ঘুরে দেখিতে গিয়েছ� পর্বতমাল�, দেখিতে গিয়েছ� সিন্ধু� দেখা হয� না� চক্ষ� মেলিয়� ঘর হত� শুধু দু� পা ফেলিয়� একটি ধানে� শিষে� উপরে একটি শিশিরবিন্দু।
উপমহাদেশ তথ� বিশ্�-রাজনীতি আঙুলের ডগায� থাকে হুসেইনের� সে সির্� বললো , "ভারত সরকারে� দুর্ভিক্� কমিশ� রিপোর্� ঠি� যখ� 'চা� উৎপাদক � চা� ভোক্তাদে� একটি ভূমি' হিসাবে বর্ণনা করলো আম� তখনই বুঝেছিলা� ভজন। চতুর ইংরে� সরকারে� নিয়� নিয়� আমায� আলাদ� কর� বুঝত� হব� না� "
দু� বন্ধুর মধ্য� সেদি� বহ� আলোচনা হলো। মানুষক� বাঁচাত� হবে। প্রয়োজন হল� ঢাকা � মুজফ্ফরনগরের পাঁচশো বিঘা জম� জনাব ইস্পাহানীকে বন্ধ� দিয়েও টাকা তুলত� হবে। চা� চাই। মানুষে� মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে। হুসেইন মন� মন� স্মর� করলো বীরেশ্বর বিবেকানন্দকে� স্মর� করলো নবী মোহাম্মদকে� শক্ত� দাও। শক্ত� দা� আমায়।
কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের কাছে সেদি� হেরে গিয়েছিল হুসেইন� বাংলায� শম� এল� যেন। চলমা� দুর্ভিক্�! নদীতীরে পড়ে আছ� পোকা-ধর�, ধুলোভর্ত� পরিত্যক্� চালে� বস্তা। আর তা� নিতে ভিড় করেছেন শ’য়ে শ’য়ে ক্ষুধার্� মানুষ। তব� সে চালে� গুণগ� মা� এতটা� খারা� যে মানু� তো দূরে� কথ� পশুখাদ্যের জন্য� তা অনুপযুক্ত।...
চো� জল� ভর� আস� হুসেইনের� বেনামে সে লিখে ফেলে এক মনোজ্ঞ প্রবন্ধ। ‘ক্যাপাবিলিট� ডিপ্রাইভেশন�?, এই শিরোনামে�
১৯৪৩-এর সে� মৃত্যুমিছিলে� বে� কিছু ছব� আজ এই পঞ্চাশ সালে এসেও ভেসে ওঠ� হুসেইনের মনে। সে দেখত� পায় মৃ� শিশু কোলে মা, কালীঘা� মন্দিরের কাছে গাছে ঝুলছ� মৃতদেহ� মহানগরী� রাজপ� � গলিপথে পড়ে থাকা মৃতদেহ ডিঙিয়� ডিঙিয়� চলছে নাগরিক জীবন� অসংখ্য মানুষে� হাহাকা�: ‘ফ্যান দা� মা...ফ্যা� দাও।লর� থেকে গুড় পড়েছে রাস্তায় আর সে গুড় তুলে চেটেপুটে খাচ্ছে শিশু� দল�
নিজে� নব্ব� শতাং� জমিজমা, মোহর, অজস্� ধনরত্ন বিক্রি কর� সেদি� কোটি কোটি টাকা বেনামে বিলিয়� দিয়েছিল হুসেইন� বিপদের দিনে রাজা যদ� প্রজার পাশে না থাকে তব� কব� থাকব�?
জটিল, বহুমাত্রিক আবেশ� পঁয়তাল্লি� থেকে এগিয়ে চল� ইতিহাস� সহজিয়�, বাউল মেজাজে� হুসেইনকে বদলে দেয় সাম্রাজ্যবাদীদে� নোংর� রাজনীতি� মন� মন� হেসে ওঠ� হুসেইন� তা� মন� পড়ে যায় অনেক আগের লেখা সে� কবিতার দুটো লাইন --
রাজনৈতিক উসকানি� প্রসঙ্গে সবচেয়� বেশি আঙুল ওঠ� আজ অবধি� হুসেইনের দিকেই। অনেক মিথ্যাবাদী ঐতিহাসিক তো এমনও বলেন যে সে-� নাকি দাঙ্গা� রূপকার� তা� পরিকল্পন�-মাফিকই প্রায় সব কিছু ঘটেছে। কিন্তু সে কেন্দ্রে থাকলেও এই মিথ্যাবাদীদে� গোটা মুসলিম লিগ।
এর উৎ� হিন্দু � মুসলিমদে� মধ্য� চর� হিংসাত্ম� মনোবৃত্তি। প্রচলি� ধারণ�, হুসেইন� পুলিশে� রা� টেনে রেখেছিলে�, সেনা� সাহায্� চাইত� দেরি করেছিল এব� পুলি� নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তা� দুর্বৃত্� অনুচরদের নির্দে� দিয়� যাচ্ছিল।
� ভাবে সাম্প্রদায়ি� বিদ্বেষক� যে� সুযো� দেওয়া হল, অমনি সে তা� অন্ধকা� আস্তান� থেকে লা� দিয়� বেরিয়� এস� গোটা শহরটাক� গ্রা� করল।
কিন্তু হুসেইন নিজে জানে আস� সত্যিটা। আজ অবধি� প্রত্যক্ষদর্শী� স্মৃতি � সে যুগে� নথিপত্� থেকে যে ছব� মেলে, তা সুপরিকল্পি� হিংসার ছব� নয়। তা সম্পূর্ণ অরাজ�, বিস্ফোরক এক পরিস্থিতির ছব�, যা� গতিপ্রকৃতি আগাগোড়া� ছি� অনিশ্চিত�
কখ� তা কো� দিকে ঘুরে যাবে, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব ছিল। অবাধ� লুটতরা� চলেছিল, যাতে অং� নিয়েছিল পুলি� অফিসাররাও। সোনা� গয়নার দোকা� একেবার� খালি কর� সব লুটেপুটে নিয়� আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রেশনের দোকা� লু�, গলিত� পিছন থেকে ছুরি মেরে খু�, প্রতিবেশীদে� বাঁচাত� পাড়ায� পাড়ায� পিকে�, শহ� জুড়� পর পর অগ্নিকাণ্ড� ফাঁক� শে� খুঁজ� জড়ো হত হিংস্র জনতা, হাতে� কাছে যা মেলে, তা দিয়� অস্ত্র বানানো হত� প্রোমোটারদের চক্রান্ত� সংখ্যালঘ� মধ্যবিত্� বাড়িগুলিত� নৃশং� হত্যালীলা চলতে থাকে� আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পাল্টা আক্রমণ চলে।
মুক্তবঙ্গে� শে� সম্রাট সেদি� নিঃসঙ্গ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সে� দাঙ্গা� প্রথ� দি� পুলি� কন্ট্রোল রুমে বস� ট্রাফি� নিয়ন্ত্রণ করছি� সে� হাজা� হাজা� স্বেচ্ছাসেবককে সে নিজে নামিয়েছিল রাস্তায়� প্রত্যেক মুহূর্তে� বিবর� সে নিজে দেখছিল সিসিটিভিতে�
সে সময়ের নথিপত্� স্পষ্ট কর� দেয় যে ১৬ অগস্� দুপুরে� পর থেকে� পরিস্থিতির উপ� সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল পুলি�, কারণ তাদে� সংখ্যা ছি� প্রয়োজনের তুলনায� অনেক কম� পুলি� থানাগুলো� উপরে� আক্রমণ শুরু হয�, রাস্তায় রাস্তায় হিংস্র জনতা� সঙ্গ� পুলিশে� খণ্ডযুদ্� চলতে থাকে� কলকাতা দ্রু� চল� যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পরিস্থিত� বুঝে হুসেইন নিজে অস্ত্র� সজ্জিত হয়ে গোলা� সারোয়ার, মুজিবু� রহমা�, ইস্কান্দার মির্জা, মীনা পেশোয়ারী � গোপা� মুখোপাধ্যায়কে নিয়� নামে রাস্তায়� প্রত্যেকের কাছে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার জন্য সা� আটটি গ্রেনে� , কাঁদান� গ্যাসে� শেল।, পাইপগা� , দশ-বারোটি কর� দেশী কাট্টা� প্রত্যেকের কোমরেই তলোয়ার। যা� দিবো ফিরভ� দাঙ্গা রুখে দিবো�
ব্রিগেডিয়ার সিক্সস্মিথ, যিনি সেনা সাহায্� পাঠানো� অনুরোধকে স্থগিত রাখা� সিদ্ধান্� নে�, পরবর্তী কালে বিবৃতি দে� যে তিনি ভয� পেয়েছিলেন, ‘মিলিটার� শক্তির ব্যবহা� হয়ত� এই দল� দল� আস� জনতা� অভিমুখকে ঘুরিয়� দিতে পারে... আমরা জানতাম ১৬ তারিখে� পরিস্থিত� পালট� হয়ত� সরকা�-বিরোধী দাঙ্গা� রূপও নিতে পারে।�
অতএব হুসেইন যে পুলিশক� চেপে রেখেছি�, সেনা সহায়তার আবেদনে ইচ্ছ� কর� বিলম্ব করেছিল, এই ধারণ� ধোপে টিকছ�?
সেদি� একদিকে মীনা পেশোয়ারী � অন্যদিকে গোপা� মুখ্যযেক� নিয়� পার্� সার্কা� থেকে শেয়ালদা, অক্টারলোনি মনুমেন্ট থেকে মেটিয়াব্রুজ , মানিকতলা থেকে তপসিয়� চোষে বেরিয়েছিল হুসেইন� রক্ষ� করেছিল কয়ে� লা� হিন্দু� প্রা� , হিন্দু নারী� সম্ভ্রম।
চোখে দিয়� এক ফোঁট� জল বেরিয়� এল� হুসেইনের� আজ করাচির প্রাসাদট� তা� কাছে জেলখানা। লেখালেখি বন্ধ হয়ে গেছে� গা� লেখেনি সে অনেকদিন।
মানু� বুঝল� না তাকে� বাঙালি তাকে চিনত� পারল� না�
আসলে ছেচল্লিশের দাঙ্গা� ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়� সাম্প্রদায়ি� বিদ্বে� বা উসকানিকে সম্পূর্ণ বা� দেওয়া উচিত� � দুটো� দাঙ্গা� হিংস্রতাকে বাড়িয়েছি�, কিন্তু দাঙ্গাকে বুঝত� হল� কেবল আলাদ� কর� � দুটো কারণকে চিহ্নি� করাই যথেষ্ট নয়। আর� নানা বিষয়ে� দিকে তাকাতে হবে। যেমন, সে� সময়ের আর্থিক � সামাজি� কাঠামো, জনসংখ্যা� চা�, শহরে� এলাকার উপ� দখ� � তা� ব্যবহারে� নকশায় পরিবর্তন প্রভৃতি।
বই: Hindu Genocide & Gandhian Secularism: An Untold Story লেখক: Dr. H. B. Singh
রিভ্যু: সিকিভাগদের পক্ষ থেকে, যারা এখনও ঘুমোয় না
লে� , কে� রিভ্যু করেননিবই: Hindu Genocide & Gandhian Secularism: An Untold Story লেখক: Dr. H. B. Singh
রিভ্যু: সিকিভাগদের পক্ষ থেকে, যারা এখনও ঘুমোয় না
লে� , কে� রিভ্যু করেননি এই বইয়ের? কে�?
Comfort Zone বিনষ্ট হব� বল�?
ঘু� আস� না� চারদিক নিস্তব্ধ, কিন্তু মাথা� ভেতর� চলছে এক অনর্গল অ্যালার্ম—যার শব্দ বাইরের কে� শুনত� পায় না�
ইতিহাসের পাতা ওল্টাত� গিয়� হঠাৎ খুঁজ� পাওয়া এই বইটি—Hindu Genocide & Gandhian Secularism—আসল� এক নিঃশব্� বিস্ফোরণ�
লেখক Dr. H. B. Singh শুধু ইতিহাস বলেননি, আমাদের collective denial-এর মুখোমুখি দাঁড� করিয়েছেন।
আমরা যারা ভেবেছিলা�, “বেলাত্রিক�? সে আবার কে?”—তাদের কাছে এই বই একটি অত্যন্� অস্বস্তিকর আয়না।
বইটি সে� ইতিহাসের কথ� বল�, যেটা আমরা জানি না, জানলেও মানি না, মানলেও বল� না� আমরা সে� ছেলেরা যারা বলে—“আসেনি, ফিরে আসেন�!� অথ� সামন� দাঁড়িয়� থাকা আত্মার� তাদে� অস্তিত্ব জানা� দেয় পাতা� পর পাতা জুড়ে।
Dr. Singh-এর লেখা� ভঙ্গ� শুষ্� একাডেমিক নয়—এটা যে� এক করাতের মত� ধারা�, একেকটা অনুচ্ছেদ যে� হাড় চিরে ফেলে� তিনি তুলে ধরেছেন Partition-এর আগ� � পর� ঘটিত Hindu গণহত্য�, তা কিভাবে 'সেকুলারিজম'-এর নামে ঢাকা পড়েছে�
কিভাবে "গান্ধীবা�" নামক এক রাজনৈতিক মোহর ব্যবহা� কর� আসলে হিন্দুদে� আত্মপরিচয় চূর্� কর� হয়েছে, এব� কীভাবে এক deliberate silence-� তা আজ� অস্বীকা� কর� হচ্ছে।
এখান� গান্ধীজি ভগবানে� চরিত্র� নন� বর� এক ট্র্যাজি� অথ� স্ট্র্যাটেজি� চরিত্র, যা� স্যাক্রিফাইসের রাজনীতি আজ একেকটা কমিউনিটিকে নিজস্ব অস্তিত্বের প্রশ্ন� নিয়� এসেছে। এই বই দাবি কর� না, এট� ‘একই সত্য’। বর� প্রশ্ন তোলে—তোমার সত্য কি সত্যিই সত্য?
এই বই পড়ত� গিয়� বারবার মন� হয়েছে, যে ইতিহাস আমাদের শেখানো হয়ন�, সেটা� কি প্রকৃত ইতিহাস? না কি যা শেখানো হয়েছে, সেটা� শুধু� একাধিক ক্যানন� ঢেকে রাখা কল্পকথ�? �. সিংহের সবচেয়� বড� সাফল্য হলো—তিন� ইতিহাসকে 'নিরপেক্ষ' করার ভা� করেননি� বর� বলেন�"You can either be neutral or be truthful. Not both."
এই বই আমাদের সে� ঘরের কথ� বল�, যেখানে আমরা ভাবতাম পুলি� এস� বাঁচাবে। কিন্তু পুলি� তো ফোনটাই তোলে না� এই বই সে� বাংলার কথ� বল�, যেখানে 'হিন্দুত্�' এখ� ডাম্বেলড�, আর Malfoy রা আজ� সমাজতন্ত্রের ক্লোকে মু� লুকিয়� হাঁটে।
আর আমরা?
আমরা পড়ে থাকি পাড়ার মোড়ে। মা� খেলে� বল�, কে� মারেনি� পুড়লে বল�, গ্যা� লি� ছিল। স্মৃতি হারালে বল�, দাদু� গল্প শুনছিলাম� আর রিভ্যু লিখি রা� তিনটেয�, কারো না বল� কথার হয়ে�
এই বই শুধু পড়া� জন্য নয�, বোঝা� জন্য� আর তারপ�, ভাঙা� জন্য—নিজের ভেতরের সে� ঘুমন্ত denial কে�
এই বই পড়বেন না যেন। আশপাশে� জন্মান্ধ লোকজ� আপনা� নুঙ্কুতে কামড়ে দিতে পারে�
Jamaica Kincaid’s Wingless is a haunting, elliptical meditation on identity, loss, and t#Binge Reviewing all my past Reads:
Wingless by Jamaica Kincaid
Jamaica Kincaid’s Wingless is a haunting, elliptical meditation on identity, loss, and the painful weight of memory. Told in her signature lyrical, incantatory prose, the story blurs the boundaries between the personal and the political, the physical and the spiritual. At its core is a narrator grappling with a profound sense of dislocation � a woman marked by absence: of love, of belonging, and metaphorically, of wings.
The story unfolds not through plot, but through rhythm and image. Kincaid uses repetition and fragmentation to evoke the psychological landscape of a woman stripped of flight, of transcendence. The title Wingless becomes a metaphor for colonial displacement, gendered limitation, and the aching sense of being grounded in a world where escape � emotional, cultural, existential � feels impossible.
Kincaid’s prose is intimate yet searing, capturing the inner life of someone wounded by history and haunted by the self. The result is less a traditional narrative and more a poetic elegy, a lamentation for all that was never given, and all that was taken away.
Deeply introspective and emotionally raw, Wingless is a powerful exploration of how the past shapes the body, the voice, and the imagination � and how, even without wings, we dream of flight.
Give it a go. One of the finest short stories ever penned!! ...more
Winter Dreams is F. Scott Fitzgerald at his most poetic and distressing, a shim#Binge Reviewing all my past Reads:
Winter Dreams by F. Scott Fitzgerald
Winter Dreams is F. Scott Fitzgerald at his most poetic and distressing, a shimmering tale of ambition, love, and the cruel illusions of the American Dream.
The story follows Dexter Green, a middle-class boy with big aspirations, who falls for the dazzling and unattainable Judy Jones � a woman who becomes the embodiment of all he desires: wealth, beauty, status, and the thrill of life always just out of reach.
With graceful, melancholic prose, Fitzgerald paints Dexter’s rise in fortune and slow disillusionment as he realizes that the glittering dreams of his youth � and Judy herself � were never what they seemed. Judy, charming yet capricious, becomes a symbol of transient beauty and the hollowness that often accompanies desire fulfilled too late or never at all.
In many ways a precursor to The Great Gatsby, Winter Dreams distills Fitzgerald’s signature themes: the ache of nostalgia, the pursuit of ideals, and the quiet tragedy of growing up. It’s not just a story of lost love, but of a lost self � of winter dreams that melt under the heat of reality.
Gracefully written and expressively resonant, Winter Dreams lingers long after the last line, like the memory of a snow-covered afternoon that never quite was.
Give it a go. One of the finest short stories ever penned!!
Wisteria Lodge is one of Arthur Conan Doyle’s more bizarre and atmospheric Sher#Binge Reviewing all my past Reads:
Wisteria Lodge by Arthur Conan Doyle
Wisteria Lodge is one of Arthur Conan Doyle’s more bizarre and atmospheric Sherlock Holmes tales, blending murder mystery with political intrigue.
The story follows Mr. John Scott Eccles, who arrives at Baker Street with a strange tale: he was invited to a country house for a visit, only to wake up and find the house abandoned � and soon after, learns his host has been murdered.
The case quickly unfolds into a web of cryptic clues, strange servants, and secrets from abroad, particularly tied to a South American dictatorship. Holmes, ever the keen observer, works alongside Inspector Baynes � a rare instance where another detective earns Holmes’s respect � to unravel the layers of deception and bring justice to light.
Though not as firmly constructed as some of Holmes’s classic cases, Wisteria Lodge stands out for its eerie mood, unusual setting, and subtle commentary on colonialism and foreign politics. It showcases Doyle’s flair for blending the detective genre with broader themes, and highlights Holmes’s sharp intellect against a backdrop of suspense and uncertainty.
A convincing read for fans who enjoy a touch of the uncanny in their crime fiction, Wisteria Lodge reminds us that even in the quiet English countryside, sinister forces can lurk just beneath the surface.
Give it a go. One of the finest Holmes stories!! ...more
Isaac Bashevis Singer’s Yentl the Yeshiva Boy is a poignant and provo#Binge Reviewing all my past Reads:
Yentl the Yeshiva Boy by Isaac Bashevis Singer
Isaac Bashevis Singer’s Yentl the Yeshiva Boy is a poignant and provocative tale that explores identity, gender, and the thirst for knowledge in a world bound by tradition. Set in an Orthodox Jewish community, the story follows Yentl, a young woman with an unquenchable desire to study Torah � a pursuit forbidden to women. After her father’s death, she cuts her hair, dresses as a man, takes the name Anshel, and enters a yeshiva to follow her intellectual calling.
Singer unfolds Yentl’s inner turmoil with masterful restraint. Her disguise grants her access to sacred texts, but it also entangles her in emotional and moral conflicts � especially when she forms a bond with a fellow student and becomes engaged to a woman. The tale becomes a meditation on freedom and deception, where the lines between self-realization and self-denial blur.
Singer does not offer easy answers. Instead, he invites us to consider the cost of defying boundaries � religious, societal, and personal. Yentl emerges as both rebel and exile, driven by a noble yet lonely pursuit of truth.
Layered with irony, compassion, and existential depth, Yentl the Yeshiva Boy is a quietly radical story that remains hauntingly relevant in its questions about who we are and who we are allowed to be.
Give it a go. One of the finest short stories ever penned.
Isaac Bashevis Singer’s Yentl the Yeshiva Boy is a poignant and provo#Binge Reviewing all my past Reads:
Yentl the Yeshiva Boy by Isaac Bashevis Singer
Isaac Bashevis Singer’s Yentl the Yeshiva Boy is a poignant and provocative tale that explores identity, gender, and the thirst for knowledge in a world bound by tradition. Set in an Orthodox Jewish community, the story follows Yentl, a young woman with an unquenchable desire to study Torah � a pursuit forbidden to women. After her father’s death, she cuts her hair, dresses as a man, takes the name Anshel, and enters a yeshiva to follow her intellectual calling.
Singer unfolds Yentl’s inner turmoil with masterful restraint. Her disguise grants her access to sacred texts, but it also entangles her in emotional and moral conflicts � especially when she forms a bond with a fellow student and becomes engaged to a woman. The tale becomes a meditation on freedom and deception, where the lines between self-realization and self-denial blur.
Singer does not offer easy answers. Instead, he invites us to consider the cost of defying boundaries � religious, societal, and personal. Yentl emerges as both rebel and exile, driven by a noble yet lonely pursuit of truth.
Layered with irony, compassion, and existential depth, Yentl the Yeshiva Boy is a quietly radical story that remains hauntingly relevant in its questions about who we are and who we are allowed to be.
Give it a go. One of the finest short stories ever penned.
Isaac Bashevis Singer’s short story Zlateh the Goat is a loving, snow-bl#Binge Reviewing all my past Reads:
“Zlateh the Goat� by Isaac Bashevis Singer:
Isaac Bashevis Singer’s short story Zlateh the Goat is a loving, snow-blanketed tale of existence, innocence, and the profound, unspoken bonds that form between humans and animals.
Set in a Jewish village during Hanukkah, the story follows a young boy named Aaron, who is asked by his family to take their aging goat, Zlateh, to the butcher due to hard times.
But nature intervenes: a fierce snowstorm traps Aaron and Zlateh in a haystack for days. What unfolds is a quiet, almost sacred companionship � Zlateh's warmth and milk sustain the boy, while Aaron’s presence gives Zlateh trust and comfort. The ordeal shifts something fundamental in Aaron, as he comes to view Zlateh not as livestock, but as family.
Singer’s prose, laced with gentle humor and folkloric rhythm, captures the simple wisdom of shtetl life. Maurice Sendak’s soft pencil illustrations complement the narrative’s intimacy and evoke the quiet awe of a world paused in snow.
Ultimately, Zlateh the Goat is more than a story of survival; it's a fable of empathy, gratitude, and the unexpected graces that arise in life’s bleakest winters.
Give it a go. One of the finest short stories ever penned. ...more
রা�: ভাগ্যাহত পুরু� - রামচন্দ্রক� আমরা চেনা অভ্যেস� দেখি—ধর্মে� রক্ষ�, ন্যায়পরায়ণ রাজা, বিষ্ণু� অবতার। কিন্তু এই মুখোশে� আড়ালে লুকিয়� আছ� এম� এক রা�, যিনি তীব্রভাব� ভাগ্যাহত, একজন প্রেমি� মানু� যা� প্রে� তা� নিজেরই হা� থেকে ছিনিয়� নেয় এক নির্মম সামাজি� চাপে গড়া রাজনৈতিক কাঠামো�
প্রেমি� রামে� উত্থান - রা� যখ� সীতাকে স্বয়ম্বরে জয� করেন, তখ� তিনি এক যুবক রাজপুত্র� প্রেমে পড়া, সঙ্গিনী পাওয়া� আনন্দে উদ্ভাসিত, জীবন তখ� এক সম্ভাবনা� মঞ্চ� বনবাসে যাওয়া� সিদ্ধান্তে� তাঁর ভেতর� এক আশ্চর্� স্থৈর্�, কারণ সীতা এব� লক্ষ্ম� সঙ্গ� থাকছেন� এই বনবা� যে� এক প্রেমি� দম্পতি� অন্তরঙ্গ অভিযাত্রা। কিন্তু ঠি� এই সময় থেকে� ধীরে ধীরে রামক� গ্রা� করতে থাকে তা� "অবতারত্ব"�
ধর্মের ভারে ক্লিষ্� প্রে� - রামক� জীবনের একেকটি বাঁক� দাঁড়িয়� নিতে হয� এম� সিদ্ধান্�, যেগুলো ব্যক্তিগ� মানবিক অনুভূতির বিরুদ্ধে যায়� শূর্পণখা� না� কাটা, বালি-� বধ, সুবর্ণ-মৃগে� পেছন� ছোটা, সীতা� অপহর�, এব� তারপ� রাবণের বধ—এ� ধারাবাহি� ঘটনাপুঞ্� রামে� মধ্য� একটি পরিবর্তন আনে। তিনি কেবল প্রেমি� নন আর, তিনি হয়ে ওঠেন "ধর্মরক্ষ� পুরুষোত্তম"�
যুদ্ধে জিতে ফিরে এস� যখ� তিনি সীতাকে বললে�, "আম� তোমা� পবিত্রতা প্রমাণ চা�," তখ� আমরা যে প্রেমি� রামক� মন� রেখেছিলা� সুন্দরকাণ্ডে� পৃষ্ঠায়—তিন� যে� নিঃশব্দে কোথা� হারিয়� যান। যে মানু� সীতা� জন্য পাহাড়-সমুদ্র পেরিয়েছিলেন, তিনি� আজ তাকে জনতা� চোখে প্রমাণ দিতে বলছেন। এই কি সে� প্রেমি�?
প্রেমে� পরাজয়, রাজনীতি� জয� - রা� এই সিদ্ধান্� নে� না ব্যক্তিগ� বিশ্বাসে, তিনি নে� একজন রাজা� দায়বদ্ধতা থেকে� তাঁর চোখে হয়ত� সীতা� সতীত্� প্রশ্নাতী�, কিন্তু তাঁর কর্ণকুহর� বাজত� থাকে প্রজার কানাকানি:
“রাজ� সীতাকে ফিরিয়� এনেছেন, কিন্তু আমরা কি নিশ্চি� উন� পবিত্র?�
এই কথাগুল� রামে� মাথা� ভিতর� ধ্বন� তোলে, আর তিনি হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রে� প্রতীক। তখ� তিনি সীতা বা প্রেমক� নয�, রক্ষ� করতে চা� "রামরাজ্যের ভাবমূর্ত�"� কিন্তু তা� বিনিময়ে যা দে� তা সীতা নন, নিজেকেই।
সর্বহারা রা� - এইখানে� রামে� ট্র্যাজেডি� আলিমুদ্দিন� যখ� সর্বহারা হন, তিনি সমাজের চোখে দোষী� কিন্তু রা�? তিনি দেবত�, রাজা, আদর্� পুরুষ—তাই তাঁর যন্ত্রণা সমাজ দেখে না, দেখত� চায় না� তিনি প্রে� পা�, তাকে হারা�, ফে� পা�, আবার হারান—নিজের� আদর্শে� কারণে। এক অর্থ�, রা� আত্মবিরোধিতা� মধ্য� দিয়� প্রেমক� গিলোটিনে চড়িয়� দেন।
আমরা পাঠকরা সে� নির্মম মুহূর্তে দাঁড়িয়� পড়ি� কে� রামে� দিকে আঙুল তুলি, কে� সীতা� প্রত� সহানুভূতিত� নত হই� কিন্তু আমরা ভুলে যাই—সিদ্ধান্ত নেওয়া� মুহূর্তে রামও এক� ছিলেন। তিনি জানতেন, এই সিদ্ধান্� তাঁক� চিরকাল পোড়াবে। তব� নেন।
পাঠকের নির্মমতা - আমরা পাঠকরা কখনো কখনো অতিরিক্ত বুদ্ধিমা� হয়ে যাই। আমরা ভেবে নি�, "আহ�, রা� তো সীতাকে ত্যা� করেছেন, তা� তিনি কুলাঙ্গার।" আমরা ভুলে যাই—রাম বনেও দীর্ঘশ্বাস ফেলে�, গুহা� প্রান্তে বস� থাকে�, সীতা� স্মৃতিতে উদভ্রান্� হয়ে যান। আমরা লেখকের দেয়� বিরত� বুঝি না, কারণ আমরা কেবল নাটকীয়তাকে খুঁজি। কিন্তু সাহিত্যে� গভীরে পাঠক যদ� ডু� না দেয়, তাহল� তো রা� চিরকাল ভিলেনই থেকে যান।
রামে� নীরবতা - রামে� চরিত্র� সবচেয়� তীব্� শব্দহীনত� আস� তখ�, যখ� তিনি নিজে� কষ্ট নিয়� কিছু বলেন না� তিনি উচ্চার� করেন না, “আমি দুঃখিত।� তিনি কেবল সীতাকে ছেড়� দে�, আবার তাঁক� পৃথিবীকে ফিরিয়� দে� কু�-লাভে� মাধ্যমে। এই নীরবতা কোনো হৃদয়হীনত� নয�, এইটা এক সুপ্� ভাঙনের ক্রন্দন।
কৈফিয়তে� শে� কথ� - রা� ভাগ্যাহত� কারণ তিনি প্রেমি� হত� চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁক� অবতা� হত� হলো। তিনি মানু� ছিলে�, কিন্তু তাঁক� দেবত� হত� বাধ্� কর� হলো। তিনি সীতা চেয়েছিলেন, কিন্তু পেলে� রামরাজ্য� আমরা যখ� রামে� চরিত্র বিচা� কর�, তখ� এই ট্র্যাজেডি ভুলে গেলে চলবে না�
রা� ভিলে� নন� তিনি সে� মানু�, যাঁর প্রে� ‘ধর্ম� নামক দেবতার কাছে বল� হয়েছে� আর আমরা যারা তাঁক� বিচা� কর�, তারা মাঝেমাঝে পাঠে� অঙ্গনে দাঁড়িয়� নীরব হত্যাকারী� মত� হয়ে উঠি।
Kartikey K Poddar-এর ‘Being Rama� বইটি শুরু থেকে� একটি মৌলি� � আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গ� উপস্থাপন করে। এখান� রামচন্দ্� শুধুমাত্� একজন পৌরাণি� চরিত্র নন, তিনি এক আধুনিক মানুষে� মনের দ্বন্দ্ব, সিদ্ধান্� এব� আত্মজিজ্ঞাসা� প্রতী� হয়ে ওঠেন� লেখক রামায়ণে� আখ্যানকে সমসাময়ি� মনস্তত্ত্ব � সমাজ-সংকটের নিরিখে বিশ্লেষণ করেন, যা একদিকে সাহসী, অন্যদিকে তাত্ত্বিকভাবেও দৃঢ়�
“য� মানস� হই� বুদ্ধি, তা কর্ম� হইবে ধর্ম।� (অর্থ: যে সিদ্ধান্� মন থেকে আস�, সে� কর্মেই প্রকৃত ধর্মের প্রকাশ ঘটে।)
লেখক যেভাবে রামচরিত্রে� অন্তর্লী� দ্বন্দ্বগুলিকে ফুটিয়� তুলেছে�, তা অভূতপূর্ব। রামে� সিদ্ধান্ত—বিশেষ� সীতাবিচ্ছে�, বা বালী� হত্যার মত� কঠিন অধ্যায়গুলো—এখানে একান্ত মানবিক দ্বিধা � দায়বদ্ধতা� আলোক� ব্যাখ্যা পেয়েছে। এই বইয়ের বড� প্রাপ্তি হল, রামক� ঈশ্ব� না ভেবে এক ‘Being� হিসেবে দেখা, যা� প্রতিট� সিদ্ধান্তই এক আত্মবীক্ষণের ফল�
‘Being Rama� একটি অভ্যন্তরী� যাত্রা� কাহিনি, যেখানে রামচন্দ্� নিজে� কর্তব্�, আবেগ এব� শাসকের ভূমিকা� মধ্য� ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন� এখান� লেখক আধুনিক ম্যানেজমেন্ট তত্ত্ব, decision science, এব� leadership ethics-এর সাথে রামে� সিদ্ধান্তগুলিক� সংযুক্� করেছেন, যা বইটিকে শুধুমাত্� পৌরাণি� বিশ্লেষণের মধ্য� আটকে রাখে না, বর� আধুনিক নেতৃত্বে� মডেল হিসেবে� তুলে ধরে।
“ধর্মসন্ধানে নিরুপায়, রঘুপতি� দৃষ্টি� ক্ষয়।� (অর্থ: ধর্মরক্ষার চেষ্টায় কখনও কখনও রঘুপতি� (রামে�) দৃষ্টি� জ্যোতি হারায়, দ্বিধাগ্রস্ত হয়।)
বইটি� একটি গুরুত্বপূর্ণ দি� হল এর ভাষা� ব্যবহার—গভী� কিন্তু ক্লান্তিকর নয়। আত্মজিজ্ঞাসা � দর্শনে� সঙ্গ� সঙ্গ� লেখক পাঠকের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছেন গল্পের আঙ্গিকেও� একাধিক ক্ষেত্রে লেখক নিজস্ব কল্পনা � বিশ্লেষণ ব্যবহা� করেছেন, যেমন রামে� মানসিকতা বিশ্লেষণ করতে গিয়� তাঁক� existential dilemma-� মাঝে দাঁড� করান� হয়েছে—এটা রামায়ণে� প্রচলি� পাঠে বিরল এব� সাহসী প্রয়াস।
‘Being Rama� নিছক চরিত্র-ভিত্তি� বিশ্লেষণ নয�, বর� একটি সংস্কৃতি� মধ্যস্� থেকে একজন পুরুষে� বিকাশে� অন্বেষা। রামে� জীবনের প্রতিট� পর্ব এখান� এক-একটি স্তর, যা আধুনিক পাঠকের কাছে নিজেকে বুঝবার ক্যানভাস হয়ে ওঠে। এই বইতে “Being� শব্দটি শুধু অস্তিত্ব নয�, এক দার্শনিক উপস্থিতি—একট� নিঃশব্� � নিবিষ্� পথচলা—যেখান� একজন মানু� নিজে� নিজে� সঙ্গ� বোঝাপড়ায় পৌঁছায়।
সমালোচনা� দি� থেকে বললে, কিছু কিছু অধ্যায� অত্যন্� বুদ্ধিদীপ্� হলেও সেখানে কিছুটা টানাপোড়েন� আছে—বিশেষ কর� যেখানে লেখক হঠাৎ করেই একধরনে� দার্শনিক বিমূর্ততায� চল� যান। তব� সামগ্রিকভাবে বললে, বইটি এক নতুন ধারা� সূচন� করে—যেখান� পৌরাণি� চরিত্রগুলি ধর্মীয় আবরণ ছাড়িয়ে ব্যক্তিগ� � সামাজি� প্রতিরূপ হয়ে ওঠে।
শেষে� কথ�:
“ন� তু রামসমো রাজা, না স্ত্রী সীতাসম� প্রভো।� অর্থ: রামে� মত� রাজা আর কে� নে�, যেমন সীতা� মত� স্ত্রী� নয়।
Being Rama শে� পর্যন্� পাঠকের মন� এই প্রশ্নটা� জাগিয়� তোলে—আমর� নিজে� ভেতরের ‘রাম�-কে কতটা চিনি? তাঁর মত� সিদ্ধান্� নেওয়া� প্রয়োজন পড়ল�, আমরা কী করতা�? এই বই সে� উত্ত� খোঁজার একটা অনন্� হাতিয়ার� কার্তিকেয় কে. পোদ্দা� তাঁর এই সাহিত্যকর্মে যে বৌদ্ধি� � মানবিক ভারসাম্য রেখেছে�, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে�...more
"History is written by the victors." � Winston Churchill
অ্যান্টন চেখভের ‘An Anonymous Story� নিছক এক ব্যক্তির আত্মকথ� নয�; এট� রু� সমাজের এক নিখুঁত প্"History is written by the victors." � Winston Churchill
অ্যান্টন চেখভের ‘An Anonymous Story� নিছক এক ব্যক্তির আত্মকথ� নয�; এট� রু� সমাজের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি� ঊনবিংশ শতকে� শে� ভাগে� সমাজ বাস্তবতা, ব্যক্তিগ� অনুভূত�, এব� রাজনৈতিক টানাপোড়েনকে অত্যন্� সংবেদনশীলতার সঙ্গ� চেখভ এখান� ফুটিয়� তুলেছেন। উপন্যাসি� ধারায় লেখা এই গল্পটিতে একটি নামহী� চরিত্রের জীবনসংগ্রা�, প্রে�, এব� আদর্শি� বিবর্ত� ধর� পড়েছে�
"The past is never dead. It's not even past." � William Faulkner
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন বেনামী যুবক, যিনি একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির সহচর হিসেবে কা� নে�, মূলত রাজনৈতিক গোয়েন্দাগিরির জন্য� গল্পটি যত এগোয�, তত� তাঁর ব্যক্তিগ� দ্বন্দ্ব, আদর্শগ� পরিবর্তন এব� মানবিক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁর প্রত� পাঠকের সহানুভূত� ক্রম� গড়ে ওঠ�, কারণ চেখভ অত্যন্� সূক্ষ্মভাব� চরিত্রটি� মনস্তাত্ত্বি� টানাপোড়েন তুলে ধরেছেন�
"Those who cannot remember the past are condemned to repeat it." � George Santayana
গল্পটি রাজনৈতিক সচেতনত� এব� ব্যক্তিগ� নৈতিকতার সংঘাতক� বিশ্লেষণ করে। ঊনবিংশ শতকে� রাশিয়ায� একদিকে রয়েছে ধনী � ক্ষমতাশালী অভিজাতরা, অন্যদিকে রয়েছে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা সাধারণ মানুষ। প্রধান চরিত্রটি প্রথমে রাজনৈতিক বিশ্বাসে অনড় থাকলেও, পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা� আলোক� সে বুঝত� পারে বাস্তবতা কতটা জটিল� চেখভ এখান� একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন—নৈতিকতা কি কেবল ব্যক্তিগ�, নাকি তা সমাজের কাঠামো� মধ্যেই নিহি�?
"To understand the present, one must study the past." � Confucius
গল্পের প্রেমে� উপাদানটি অত্যন্� স্বাভাবি� � অনায়াস। জিনিয়� চরিত্রটি চেখভের অন্যান্য নারী চরিত্রদে� মতোই বাস্তবধর্মী, সংবেদনশী� এব� দোদুল্যমান� চেখভ দেখা�, প্রে� শুধু আবেগের বিষয� নয�, বর� সামাজি� � রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতের মধ্যেও তা রূপান্তরিত হয়। প্রে� এব� রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা� টানাপোড়েন� জিনিয়ার সঙ্গেও প্রধান চরিত্রের সম্পর্� একটি করুণ পরিণতি� দিকে ধাবি� হয়।
"History repeats itself, first as tragedy, second as farce." � Karl Marx
চেখভের কাহিনি বলার ভঙ্গ� এখান� অত্যন্� সংযত এব� সূক্ষ্ম। চরিত্রগুলো� সংলা�, অভিব্যক্তি এব� ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� ক্রিয়াকলাপে� মাধ্যম� তিনি পাঠকের সামন� এক গভী� মনস্তাত্ত্বি� ছব� এঁকেছেন। তাঁর লেখনীতে রাজনীতি � মানবিক সম্পর্কে� যে জটিল মেলবন্ধন দেখা যায়, তা আধুনিক পাঠকের কাছে� সমানভাবে প্রাসঙ্গিক�
"The only thing new in the world is the history you do not know." � Harry S. Truman
'An Anonymous Story' শুধুমাত্� ব্যক্তিগ� আত্মজীবনী নয�; এট� একটি সমাজ, একটি সময়কা�, এব� এক ব্যক্তির আত্মজিজ্ঞাসা� দলিল� গল্পটি রাজনীতি � ব্যক্তিগ� সম্পর্কে� মধ্য� যে জটিল বিন্যা� তৈরি কর�, তা চেখভের সাহিত্যে� অনন্� বৈশিষ্ট্যক� স্পষ্ট করে। একবিংশ শতকে� এই গল্পের প্রাসঙ্গিকতা অনস্বীকার্�, কারণ এট� কেবল অতী� নয�, বর্তমা� এব� ভবিষ্যতে� প্রতিচ্ছবি� বহ� করে।
“Sangeet is a gift from the divine; it soothes the soul and uplifts the spirit.�
কুমা� প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'কুদ্রত্� রঙ্গবিরঙ্গী' শুধুমাত্� একটি বই “Sangeet is a gift from the divine; it soothes the soul and uplifts the spirit.�
কুমা� প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'কুদ্রত্� রঙ্গবিরঙ্গী' শুধুমাত্� একটি বই নয�, এট� ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে� রঙিন � বহুমাত্রিক ইতিহাসের এক অনন্� আলেখ্য� বইটি� কেন্দ্রবিন্দুত� রয়েছে সংগী� � তা� বিবর্ত�, যা কেবল সুরে� নয�, বর� এক বিস্তৃ� সাংস্কৃতিক প্রবাহের গল্প� লেখক তাঁর অসাধার� গবেষণা � বিশ্লেষণী দক্ষতা দিয়� সংগীতে� বিভিন্� ধারাকে আমাদের সামন� তুলে ধরেছেন�
“Nada Brahma � the world is sound.�
বইটি� অন্যতম আকর্ষণীয় দি� হল এর ভাষা� সাবলীলত� � সাহিত্যি� সৌন্দর্য� কুমা� প্রসাদ মুখোপাধ্যায় তথ্য-ভিত্তি� আলোচনা করলে�, তাঁর লেখনী কখনো শুষ্� হয়ে ওঠেনি। প্রতিট� অধ্যায়ে তিনি সংগীতে� সঙ্গ� মানবজীবনের গভী� সংযোগক� ব্যাখ্যা করেছেন, বিশেষত ভারতীয় দর্শনে� সঙ্গ� সংগীতে� যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্�, তা ফুটিয়� তুলেছেন।
“যেখান� ভাষা� সীমা শে�, সেখানে সংগী� শুরু।�
'কুদ্রত্� রঙ্গবিরঙ্গী' শুধুমাত্� একটি ইতিহাস নয�, এট� শাস্ত্রীয় সংগীতে� নানা দিকে� এক অন্তর্দৃষ্টি� বইটিতে দীক্ষি� � অনদীক্ষিত—উভয� শ্রেণি� পাঠকের জন্য উপযোগী নানা তথ্য � বিশ্লেষণ স্থা� পেয়েছে। লেখক সংগীতে� তাত্ত্বি� � ব্যবহারি� দিকগুল� অত্যন্� দক্ষতা� সঙ্গ� ব্যাখ্যা করেছেন, যা পাঠককে গভী� ভাবে ভাবত� বাধ্� করে।
“Raga is not merely a scale; it is a living entity, evolving with time.�
লেখক বিশেষভাব� নজ� দিয়েছেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে� পরিব্যাপ্ত� � প্রভাবের ওপর। হিন্দুস্থানি � কর্ণাটকী সংগীতে� তুলনামূল� বিশ্লেষণ, বিভিন্� ঘরান� � গুরুশিষ্� পরম্পরার বিবর�, এব� প্রাচী�-আধুনিক সংগীতচিন্তার ধারাবাহিকতা—স� মিলিয়� এট� এক পরিপূর্ণ কাজ। বিশেষত, সংগীতে� মনস্তাত্ত্বি� � আবেগগত দিকগুল� আলোচনায় উঠ� এসেছ�, যা বইটিকে আর� অর্থবহ কর� তুলেছে�
“সংগী� শুধু বিনোদন নয�, এট� এক আধ্যাত্মিক সাধনার পথ।�
'কুদ্রত্� রঙ্গবিরঙ্গী' পাঠকের সামন� সংগী� জগতে� এক গভী� � বিস্তৃ� ছব� তুলে ধরে। তব� কখনো কখনো তথ্যের আধিক্যের কারণ� বইটি একটু ভারী মন� হত� পারে, বিশেষত যারা সংগীতে� প্রাথমিক পা� নিতে আগ্রহী, তাদে� জন্য� কিন্তু যাঁর� সত্যিকারের সংগীতপ্রেমী, তাঁদের জন্য এট� নিঃসন্দেহে এক অমূল্য রচনা�
“Music is the shorthand of emotion.�
সমগ্রভাব�, 'কুদ্রত্� রঙ্গবিরঙ্গী' কেবল সংগীতে� ইতিহাস বা তথ্যভাণ্ডা� নয�, এট� এক অনুপ্রেরণাদায়ী রচনা, যা পাঠককে সংগীতে� গভীরে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
শাস্ত্রীয় সংগীতে� প্রত� আগ্রহী যে কোনো পাঠকের জন্য এট� অবশ্যপাঠ্য�
কুমা� প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই অনন্� সৃষ্টি সংগীতসাধকদের জন্য এক দৃষ্টান্� হয়ে থাকবে।...more
Loading...
