ŷ

A. M. Faisal's Reviews > অপরাজি�

অপরাজিত by Bibhutibhushan Bandyopadhyay
Rate this book
Clear rating

by
7763745
's review

it was amazing

In each of us a child has lived and a child has died - a child of promise, who never grew up.

পাঁচালী� নায়� বালক অপুর বেড়� উঠ�, তাঁর স্মৃতিকাতরতা, তাঁর জীবন যুদ্ধে অবিরাম লড়ে যাওয়া, অপরাজি�-অদমনীয় জীবনস্পৃহা, চর� একাকীত্�-দারিদ্র্যে� মাঝে� জীবনের মানে খুঁজ� পাওয়া আর সবকিছু� উপরে বিভূতি� প্রকৃতিপ্রেমের অনন্� স্বাক্ষর - এই হল� অপরাজিত।
পথের পাঁচালী ছাপাতে যে লেখককে প্রকাশকে� দ্বারে দ্বারে ঘুরত� হয়েছে, শেষে কিছু বন্ধুর সাহায্যে সে বইয়ের আত্মপ্রকাশ� অপরাজি� ছাপাতে তিনি পত্রিক� থেকে অনুরোধ পেয়েছেন� গুণমুগ্ধ পাঠকদে� চিঠি পেয়� হয়েছে� উদ্বেলিত� দিকে দিকে সেসবের কথ� বলতে� গর্বভরে। � পর্যন্� পাঠে যদ� হালক� কিছু অপূর্ব রায়ের গন্ধ পাওয়া গিয়� থাকে, তবেই প্রমাণিত হয� বিভূতি ব্যানার্জি� ছায়াই হচ্ছ� অপু। ইছামতি� পাড়ের অপূর্বকুমা� রায়�
স্বভাবতই পাঁচালী পড়া� পর অপরাজিতে� উপ� আশ� অনেক বেড়� যায়� লেখকের অপরূ� মায়ায� গড়ে তোলা অপুর বড� হয়ে উঠ�-তা� জীবনের কথকত� কতটা মহান হয়ে উঠবে! বিভূতি মোটে� হতাশ করেননি� একইরকম যত্ন, একইরকম প্রকৃতির আবেশ� তিলে তিলে কাহিনী� পাটোন্মোচন, দারিদ্র্যে� রোমান্টিসিজম, সবকিছু ছাপিয়� অপরাজি� জীবনের জয়গান - সব পুরোদম� উপস্থিত।
আর প্রকৃতির আবর্তন, জীবজগতের নিয়তচক্রে� সাথে মানুষে� যে গহী� সম্পর্� উদ্ঘাট�, সাথে অনাদিকাল ধর� জীবনের পর্যায়ক্রমি� আবর্�; পু্ত্রের স্থল� পিতা, পিতা� স্থল� পুত্� - এসবে� নিগূঢ় রহস্� উন্মোচ�, তা বিভূতি করেছেন চিরচেন� ছোঁয়ায় আর অপরিসী� মায়ায়। এত� হাহাকা�, এত� তৃষ্ণা, এত� দুঃখ, এত� ক্ষুধা, এত� রূ�, এত� মায়�-এসবে� সুবিচা� উপন্যাসে তো বিভূতি থেকে� পাই। যত দূরে� চল� যা� অপ�-শত ইটপাথরের কাঠিন্যে, গহী� অরণ্যে� বুকে, পাহাড়� নদী� পাড়� কোমল বনফুলে� আবেশ�, দর্শনীয় স্থানে� মাঝে-সেখানে� অপুর হৃদয়ে থাকে সে� গ্রামে� খোলা আকাশ, মাদকতাভর� মাটি� গন্ধ, স্নিগ্�-কোমল বাতাসে� ছোঁয়া� আজীবন ধর� শৈশব� ফিরে যাওয়া� আকুতি। মহ� জীবনটাকে সে নতুন কর� দেখত� শিখে, নশ্ব� হয়ে� অপারের মহিম� অনুধাব� করতে চায়� তাঁর দার্শনিক সত্ত্ব� সক� আনন্�-সক� সুখে� মানে খুঁজ� পায়� অর্থ-যশ থেকে� যে মহত্তর সার্থকতা জীবন� রয়েছে সেটা� অনুধাবনই অপুর জীবনশিক্ষা�

"যে নিশ্চিন্দিপু� অপুক� বাল্যকাল� কব� করেছিল, সে� গ্রামটিই বয়সকালে তাঁক� কর� ভাবু�-দার্শনিক� দি� উচ্চতর জীবনের দিশা�"


এর� সাথে পাঠক অনুধাব� কর�, কাজলের মাঝে ধীরে ধীরে কিভাবে পাঁচালী� ছোট্� অপুর পুনরাবিষ্কার হয়। হরিহ� রায়ের অনুভূত� অপ� অনুভ� করতে পারে� অপুর আরেকটি বিশে� দি� হল� মা সর্বজয়া� প্রত� অপরিসী� দরদ। শহুর� শিক্ষি� হয়ে� অপ� ভুলত� পারে না মনসাপোতায় তাঁর দুখিনী মাকে� নিস্তরঙ্� জীবনের একঘেয়েম� থেকে মুক্তি পেতে সে জননী� শরণাপন্ন হয�, অসী� বিস্ময়ে নারীজাতি� � অনন্� রূ� সে ধীরে ধীরে অনুভ� করে। কলেজের কষ্টের মাঝে� সুচিন্তি� পদক্ষে� না নিতে পারা� দুর্ভাবন� থাকলেও সে মাকে হতাশ কর� না� নিশ্চিন্দিপুরে আমবাগা� সে মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য কিনে ফেলে� মাতৃবিয়োগ� উন্মাদপ্রায় দশায� পৌঁছলে� দর্শনযাত্রার প্রথ� পদক্ষে� সেখা� থেকেই। নারী� স্নেহময়ী� সন্ধান এখানেই পায় অপু।
না জেনে ভবিতব্� অর্ধাঙ্গিনীকে প্রথ� দেখে অপুর মানসিক অবস্থা� বর্ণনা বো� কর� কালিদা�, ভারতচন্দ্র, রবীন্দ্রে� পর বাংল� সাহিত্যে নারীসৌন্দর্য বর্ণনায় অন্যতম প্রণিধানযোগ্যঃ

"Do they breed goddesses at Slocum Magna?"


অপ� স্ত্রী� মাধ্যম� আবিষ্কার কর� নারীপ্রেমে� সর্বংসহা রূপ। অভিভূত হয�, আপ্লুত হয়। হয� প্লাবিত। ক্ষণস্থায়ী হলেও এই ঐশ্বরি� প্রেমে� মধ্য দিয়� সে জীবনের আর� বড� সত্য খুঁজ� পায়� সেটা হল আবেগের মূল্য। খু� ছো� ছো� খুনসুট�, ছো� কিছু আক্ষেপ, ছো� কিছু মুহুর্� তাঁক� আজীবন তাড়� কর� ফেরে� আর ছোটবেলার লীলা তাঁর জীবন� আস� রহস্যময় প্রেমে� পতাক� হিসেবে� সে এই সম্পর্কক� কোনভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে পারে না� কিন্তু এর গভীরত� অনুভূত হয� প্রত� পদক্ষেপে� দূরে থেকে� কাছে থাকা, একটি দুটি শব্দ� নৈকট্যের ছোঁয়া লা� কর�-� আবেশ সাধারণ প্রেমে� পরিচায়ক নয়। দূরত্ব-বিরহের মাঝে অপ� নারী� মাঝে মায়াবতী� খোঁজ পায়�
শেষকাল� রানুদি� মাধ্যম� সে ফিরে পায় ভগ্নীস্বরূপ মায়া। নিজে� পছন্দে� সম্প� কাজলকে রেখে অপ� যখ� সাগর-পাহাড়ের ডাকে দেশান্তরী হয�-তা� ভরসা� আশ্রয় ছি� এই রানুদি�
বন্ধুত্বের পর� পিপাসা সে মেটাতে পারে অনিল, প্রণ�, দেবব্রতদের মাধ্যমে। মনের মি�, চিন্তা� উৎকর্ষ আর ভাবে� সাযুজ্�-এসবে� উপ� ভিত্তি করেই অপুর জীবন� আস� কিছু মহ� বন্ধু। অনিলকে অকাল� হারালে� প্রণ� ছি� আজীবন� আর সে� সাথে সত্যিকারের বন্ধ� সম্পর্কে শিক্ষা সে ধীরে ধীরে পেতে থাকে� দুধে� মাছি � সুখে� পায়রাদে� রেখে অপ� আস� সোনা চিনত� শেখে বহ� কষ্টে।
অপুর রুচিশীলত� এখান� চোখে পড়া� মত� দৈন্�-দারিদ্র্যক� ছাপিয়� সে কিছুটা অহ� নিতে শেখে� ছো� থাকা� জায়গা� হালক� শৌখিনত� না আসলে অপুর হয� না� না খেয়�-পর� থাকলেও অপুর মুখচোর� স্বভাব যায় না� প্রব� আত্মসম্মান নিয়� বেড়� উঠ� নায়� অপু। এখানেই তাঁর চরিত্রের শক্তি। এখানেই তাঁর মহত্ত্ব। নিজে� শখের ভা� নিজে� বইতে শেখা-� শিক্ষা� যে অমূল্য� তা অপ� নিজে থেকে� শিখেছিল। প্রকৃতির কাছে শিক্ষি� অপ�, অত সহজে হা� মানা যে তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ।
বিদ্যা আর ভ্রম� পিপাসু অপুর দেখা মেলে সর্বদা� দর্শনে� তত্ত্ব, ইতিহাসের রোমাঞ্�, ভ্রমণকাহিনী-এসবে বুঁদ হয়ে থাকত অপ� হরহামেশা� ক্ষুধায় দুর্বল হয়ে পরলে� লাইব্রেরিত� এলেই চাঙ্গা হয়ে উঠ� আমাদের নায়ক। দারিদ্র্� তাঁর মনের শুভ্রত�, আত্মার শুদ্ধতাত� আঁচড� দিতে পারে নি একটুও। যেখানে� গিয়েছ� অপ�, সেখানে� খুঁজ� ফিরেছে মুক্তি� পথ� আলোর দিশা� এখানেই অপরাজি� স্বত্বার জয়গান� এখানেই জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য�
তাইত� অপ�,সমগ্� ব্রহ্মাণ্ডের যে আত্ম�, সে বলতে পারে�

I am the owner of the sphere
Of the seven stars and the solar year
4 likes · flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read অপরাজি�.
Sign In »

Reading Progress

September 3, 2019 – Started Reading
September 17, 2019 – Shelved
September 18, 2019 – Finished Reading

Comments Showing 1-4 of 4 (4 new)

dateDown arrow    newest »

Md Saiful Islam Excellent review!


A. M. Faisal Md Saiful wrote: "Excellent review!"

Thanks a lot, Saiful. The charm of the book is like that!


Md Saiful Islam My all-time favorite!


A. M. Faisal I liked the prequel better. It's subjective, obviously.


back to top