Sign in with Facebook
Kazi Md. Al-Wakil's Reviews > মধ্যাহ্ন �
মধ্যাহ্ন �
by
by
Kazi Md. Al-Wakil's review
bookshelves: 2019, humayun-ahmed, 2022
Oct 06, 2020
bookshelves: 2019, humayun-ahmed, 2022
Read 2 times. Last read November 7, 2022.
** spoiler alert **
মধ্যাহ্ন � যেখানে শে�, সেখা� থেকে� শু� মধ্যাহ্ন ২।
মৎস্যকণ্যা� মাংস খেতে গিয়� মৃত্যু হয� শশাঙ্ক পা� এর� এমনিতে� মারা যেতো� কিন্তু শে� মুহূর্তে বাচা� জন্য আর একটু চেষ্টাটুকু কর� গেলেন। তাকে আগুন দেয়ার কে� ছিলো না তা� মাউলান� ইদরি� শশাঙ্ক পালক� আগুন দেয়� ১৯০০ সা� এর দিকে সুন্দর সাম্প্রদায়িকত� ফুটে উঠ� এখানে।
এক কড়ি সাহা� চালে� আরত। যুদ্ধে� কারণ� চা� ডা� এর দা� ফেলে ফেপে একাকার� আগ� থেকে� কিছু চা� মজুদ কর� রেখেছিলো তিনি� তা� তিনি মানুষে� দুঃসময়ে সবচেয়� বড়লোক� মানু� খেতে না পেয়� মরছে� দুঃর্ভিক্ষ হছে। ভা� খাওয়া� ভা� নাই। মানু� ভা� এর মাড় খেতে বাড়� বাড়� ঘুড়ছে� তখ� প্রধান বিনোদন এর মাধ্যম নিউজপেপার। এক কড়ি সাহা� দোকানে আয়োজন কর� খব� পা� কর� হয়। সবাই তাদে� মতাম� দেয়�
এদিক� লাবু�/জহির এর খানা পিনা� অবস্থা ভালো না� এক বেলা খায় তো � বেলা খাবা� পায় না� ভিক্ষা কর� চলতে হয� এম� অবস্থা�
ইমাম করিম এর মন� ক্ষো� লাবুসে� প্রতি। লাবু� তাকে শিক্ষা দিয়েছে। ল্যাংট� কর� বাড়িত� পাঠিয়েছে। কিভাবে লাবুসক� শায়েস্ত� কর� যায় তাইই প্রধান চিন্তা� বিষয� ইমাম করিম এর�
ধন� শে� হরিচড়ণে� সম্প� বুঝিয়� দিয়েছ� লাবুসকে। ভিখারি থেকে এখ� জমিদার হয়ে গেলো লাবুস। হাদি� উদ্দিন না� এর এক চো� � শ্রী নাথক� চাকর� দেয়� হয� লাবু� এর বিষয� সম্পত্তি দেখা� জন্য� এদিক� শ্রী না� শুদ্� ব্রাহ্মন�
মাউলান� ইদরি� এর বউ জুলেখা� সন্তান্ত হবে। সন্তান হওয়ার পর� জুলেখা মাউলানার কাছে তাকে রেখে চল� যায়� মাউলানার এম� অবস্থা যে দি� আন� দি� খায়� এর মধ্য� বাচ্চাকে সামলাত� তা� খু� কষ্ট হচ্ছিলো। তাকে উদ্ধার কর� লাবুস। মাউলান� ইদরিসক� নিজে� বাড়িত� এন� রাখে, সাথে তা� সৎ বোনকেও�
লাবুসক� শিক্ষা দেয়ার জন্য ইমাম করিম মজ� গুন্ডাকে ঠি� কর� ১০� টাকা দিয়ে। খু� করার পরিকল্পন� ছিলো� এই ১০� টাকা� চুরি কর� তা� বউ শরিফ� থেকে� কিন্তু মজ� কা� শে� করতে পারে নাই। রাতে� আধার� খু� করতে গিয়� লাবু� এর আদ্ধাত্মিক ক্ষমতা চোখে পড়ে মজুর� পুকু� ঘাটে লাবু� এক� বস� নাই। আর� একজন থাকে লাবু� এর সাথে� লাবু� এর অনেক ধরণে� অজান� ক্ষমতা আছে। কে� সেটা জানে না� যা� হো�, মজ� ভয� পেয়� চল� আস� কা� না সেড়েই� ১০� টাকা ফেরত দেয় শরীফা� কাছে� এদিক� শরীফা ব্যাকু� হয়ে সে� টাকা খুজছিলো। এট� নিয়েই ইমাম এর সাথে ঝগড়� হয়ে তালা� হয়ে যায়� কিন্তু ইমাম করিম আবার যখ� বিয়� করতে চায়, তখ� শরীফা� হিল্লা বিবা� হওয়� লাগতো। মানে কারো সাথে বিয়� হয়ে তালা� হত� হবে। ধন� শে� হিল্লা বিবা� করতে রাজি হয়। কিন্তু তালা� দিতে আর রাজি হয� না� আমোদ ফুর্তি করার ইচ্ছা। বউ হারিয়� ইমাম করিমের পাগল প্রায় অবস্থা� শরীফাকে নিয়� পালানো� সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। আত� শরীফাকে পালিয়� যেতে সাহায্� করে। কিন্তু ভাগ্যে� নির্মম পরিহাস�, তাকে নিয়� পালানো� জন্য যে� নৌকা ছিলো, সে� নৌকা� মাঝিরা তাকে ধর্ষ� কর� মা� নদীতে� শরীফা� জায়গা হয� রঙ্গীলা নটিবাড়িতে�
শিবশঙ্করের এর শরী� খারাপ। তা� বান্ধবপু� � থাকত� এসেছে। এখানেই তা� দেখা হয� ধন� শে� এর মেয়� আত� এর সাথে এব� ভালো� লেগে যায় তাকে�
এদিক� লাবু� এর বো� মীরা একটা� শব্দ বলতে পারে, তা হল� "রা�"� দূ� দূরান্� থেকে মানু� আসছে, মীরা� পা ধোঁয়া পানি নিয়� যাচ্ছে� এই কাজট� করেছ� শ্রী নাথ। নিজে� ধর্ম প্রকাশ করায� শ্রীনা� এর অনেক ইচ্ছা। তাকে নাকি স্বপ্ন� আদেশ পেয়েছেন মীরা� নামে একটি মন্দির করার�
মাউলান� ইদরি� ভ্রমণে বে� হয়েছেন। বগুড়া� মহাস্থান না� এর এক জায়গায় যেতে গিয়� তিনি তা� সব সম্ব� হারালেন। তাকে অচেত� অবস্থায় হাসপাতাল� ভরতি কর� হয়। তা� সেবা কর� যমুন�, যাকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন যখ� সবাই যমুনাক� ত্যা� করে। তা� প্রতিদান হিসাবে যমুন� সবচেয়� বড� ডাক্তা� নিয়� আস� মাউলান� ইদরি� এর চিকিৎস� করার জন্য�
শ্রীনা� লাবুসে� ঘর থেকে মূর্তি চুরি কর� এক কড়ি সাহা� মন্দির� রেখে দিয়েছে। হাদি� উদ্দিন এর এট� নিয়� অনেক রাগ। কেনো মূর্তি চুরি হলো। লাবুসক� এই ঘটনা বল� হয়েছে� কিন্তু লাবু� এর মধ্য� কোনো ভা� এর পরিবর্তন নেই। কিন্তু মন্দির থেকে� মূর্তি চুরি হয়ে গেছে� শ্রীনা� এর বিহি� করতে চেয়েছে। ধন� শে� এর কাছে বিচা� দিতে এসেছ� লাবু� � হাদি� উদ্দিন এর নামে� এদিক� মসজিদে� নতুন ইমাম রাখা হয়েছে� মোহম্ম� সিদ্দিক। বয়স অল্প এই ইমাম এর� এই ইমামের অনেক জ্ঞান।
অনেক শী� পড়েছে বান্ধবপুরে� শী� কমানোর ব্যবস্থা করেছ� ধনুশেখ� পুরো দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হচ্ছে। হিন্দু কিছু কমানোর জন্য হিন্দু ঘর� আগুন লাগানো� ব্যবস্থা করেছে। সে� সাথে মসজি� জ্বালানো� ব্যবস্থা� কর� হয়েছে যাতে মুসলমা� এর উপ� দো� না চাপাতে পারে কেউ। এতেই মারা গেলো নতুন ইমাম মোহাম্মদ সিদ্দিক। মসজিদে আগুন দেয়ার জন্য ধর� হয� এক কড়ি সাহাকে� পুলিশক� টাকা দিতে দিতে এক কড়ি সাহা� সব টাকা শে� হয়ে যায়� নিঃস্ব � পাগল হয়ে যায় তিনি�
এদিক� জুলেখা এখ� অনেক বড� গায়িকা। কাজী নজরু� ইসলামে� সাথে তা� উঠ� বসা।
ধন� শে� তা� মেয়� আতরে� বিয়� ঠি� কর� শাহনেয়া� এর সাথে� শাহনেয়াজে� কবিত� লেখা� শখ� পাগল ধরণে� মানুষ। বিয়ের আগ� দিয়� শিবশঙ্করকে তা� ভালো লাগা� কথ� জানায় আতর। কিন্তু শি� তা বুঝত� বুঝত� অনেক দেরী হয়ে যায়� এদিক� শিবও অসুস্থ হয়ে পড়ে� শিবশঙ্কর অনেক পড়ুয়� ছিলেন। তা� Ph.D গবেষণাপত্র An Intro to Tantric Buddhism তিনি উৎসর্গ করেছিলেন আতরকে।
আত� এর বিয়� হয়ে যায় শাহনেয়াজে� সাথে� শাহনেয়া� তা� স্ত্রীকে দিয়� নানা� ধরণে� কা� করাচ্ছ�, বই পড়ানো, কবিত� পড়ত� দেয়�, সেজেগুজে বস� থাকা কব� শাহনেয়াজে� সামন�, এত� কর� নাকি প্রেমে� কবিত� আসে। সুখে� আছ� আত� শশুড়বাড়িতে�
কৈবর্ত পাড়ার নড়ে� এর মেয়� ভা� খেতে চায়� কিন্তু এক কড়ি তাকে ফিরিয়� দিলে লাবু� তাকে তা� ঘর� এন� ভা� খাওয়ায়� এতেই লাবু� এর মন গল� যায়� সে ঠি� কর� সে লঙ্গরখান� দিবে� সবাইকে খাওয়াবেন। লাবুসে� এই লঙ্গরখান� খুবই পরিচিত হয়ে যায়� দুনিয়ার মানু� এস� এখান� খাওয়া দাওয়া করে। ধন� শে� কিছু সাহায্� পাঠালো, রঙ্গীলা নটিবাড়ি থেকে� � হাজা� টাকা চল� এলো। হিন্দু মুসলিম একসাথে বস� খাচ্ছে� সময়টা ১৯৪৩ সাল।
মাউলান� ইদরি� এর সাথে পথেই পরিচয় হয� জয়নুল আবেদিন এর� জয়নুল আবেদিন মাউলানাক� কা� আঁকা শিখায় দেয়� মাউলান� ইদরি� এর সাথে বিভূতিভূষণ এর� যোগাযো� থাকে� বিভূতিভূষণ আলাভোল� মানু�, খাওয়া দাওয়া করতে পছন্� করেন� মাউলান� ইদরি� জানে� না তিনি বিখ্যা� মানুষদের সাথে উঠ� বস� করছেন।
মাউলান� ইদরি� ফিরে এসেছেন বান্ধবপুরে� মীরাকে কা� আঁকা দেখালো� এতেই মীরা� যে� আনন্দ।
করিম পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে� তাকে লঞ্চ� তুলে দেয়� হয়েছে� কোনো এক অজান� গ্রামে তাকে রেখে আস� হবে। তা� পাশে বোরক� পড়া অবস্থায় আছ� শরীফা� শরীফা শে� বারে� মত� দেখে নিচ্ছে বান্ধবপুরে� রঙ্গিল� বাড়ি। আর কোনোদি� এখান� ফিরব� না সে� তারা আত� এর বাড়িত� গিয়� উঠেছে। সেখানে সুখে� আছ� তারা�
ধন� শে� দাঙ্গা লাগানোয় ব্যস্ত কিন্তু তা� কোনো ট্রিকই কাজে লাগল� না� বান্ধবপু� পড়েছে হিন্দুস্থানে�
লাবু� খুবই অসুস্থ� তাকে দেখত� এসেছ� তা� মা জুলেখা� মীরা তাকে দেখে জিজ্ঞে� করলো, "তুমি কি আমার আর লাবুসে� মা?" জুলেখা লাবুসক� ঘু� পাড়ানোর চেষ্টা করছে� পুকুরঘাট থেকে যে সুরধ্বনি আসছে, তা� জন্ম এই পৃথিবীতে নয়।
মৎস্যকণ্যা� মাংস খেতে গিয়� মৃত্যু হয� শশাঙ্ক পা� এর� এমনিতে� মারা যেতো� কিন্তু শে� মুহূর্তে বাচা� জন্য আর একটু চেষ্টাটুকু কর� গেলেন। তাকে আগুন দেয়ার কে� ছিলো না তা� মাউলান� ইদরি� শশাঙ্ক পালক� আগুন দেয়� ১৯০০ সা� এর দিকে সুন্দর সাম্প্রদায়িকত� ফুটে উঠ� এখানে।
এক কড়ি সাহা� চালে� আরত। যুদ্ধে� কারণ� চা� ডা� এর দা� ফেলে ফেপে একাকার� আগ� থেকে� কিছু চা� মজুদ কর� রেখেছিলো তিনি� তা� তিনি মানুষে� দুঃসময়ে সবচেয়� বড়লোক� মানু� খেতে না পেয়� মরছে� দুঃর্ভিক্ষ হছে। ভা� খাওয়া� ভা� নাই। মানু� ভা� এর মাড় খেতে বাড়� বাড়� ঘুড়ছে� তখ� প্রধান বিনোদন এর মাধ্যম নিউজপেপার। এক কড়ি সাহা� দোকানে আয়োজন কর� খব� পা� কর� হয়। সবাই তাদে� মতাম� দেয়�
এদিক� লাবু�/জহির এর খানা পিনা� অবস্থা ভালো না� এক বেলা খায় তো � বেলা খাবা� পায় না� ভিক্ষা কর� চলতে হয� এম� অবস্থা�
ইমাম করিম এর মন� ক্ষো� লাবুসে� প্রতি। লাবু� তাকে শিক্ষা দিয়েছে। ল্যাংট� কর� বাড়িত� পাঠিয়েছে। কিভাবে লাবুসক� শায়েস্ত� কর� যায় তাইই প্রধান চিন্তা� বিষয� ইমাম করিম এর�
ধন� শে� হরিচড়ণে� সম্প� বুঝিয়� দিয়েছ� লাবুসকে। ভিখারি থেকে এখ� জমিদার হয়ে গেলো লাবুস। হাদি� উদ্দিন না� এর এক চো� � শ্রী নাথক� চাকর� দেয়� হয� লাবু� এর বিষয� সম্পত্তি দেখা� জন্য� এদিক� শ্রী না� শুদ্� ব্রাহ্মন�
মাউলান� ইদরি� এর বউ জুলেখা� সন্তান্ত হবে। সন্তান হওয়ার পর� জুলেখা মাউলানার কাছে তাকে রেখে চল� যায়� মাউলানার এম� অবস্থা যে দি� আন� দি� খায়� এর মধ্য� বাচ্চাকে সামলাত� তা� খু� কষ্ট হচ্ছিলো। তাকে উদ্ধার কর� লাবুস। মাউলান� ইদরিসক� নিজে� বাড়িত� এন� রাখে, সাথে তা� সৎ বোনকেও�
লাবুসক� শিক্ষা দেয়ার জন্য ইমাম করিম মজ� গুন্ডাকে ঠি� কর� ১০� টাকা দিয়ে। খু� করার পরিকল্পন� ছিলো� এই ১০� টাকা� চুরি কর� তা� বউ শরিফ� থেকে� কিন্তু মজ� কা� শে� করতে পারে নাই। রাতে� আধার� খু� করতে গিয়� লাবু� এর আদ্ধাত্মিক ক্ষমতা চোখে পড়ে মজুর� পুকু� ঘাটে লাবু� এক� বস� নাই। আর� একজন থাকে লাবু� এর সাথে� লাবু� এর অনেক ধরণে� অজান� ক্ষমতা আছে। কে� সেটা জানে না� যা� হো�, মজ� ভয� পেয়� চল� আস� কা� না সেড়েই� ১০� টাকা ফেরত দেয় শরীফা� কাছে� এদিক� শরীফা ব্যাকু� হয়ে সে� টাকা খুজছিলো। এট� নিয়েই ইমাম এর সাথে ঝগড়� হয়ে তালা� হয়ে যায়� কিন্তু ইমাম করিম আবার যখ� বিয়� করতে চায়, তখ� শরীফা� হিল্লা বিবা� হওয়� লাগতো। মানে কারো সাথে বিয়� হয়ে তালা� হত� হবে। ধন� শে� হিল্লা বিবা� করতে রাজি হয়। কিন্তু তালা� দিতে আর রাজি হয� না� আমোদ ফুর্তি করার ইচ্ছা। বউ হারিয়� ইমাম করিমের পাগল প্রায় অবস্থা� শরীফাকে নিয়� পালানো� সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। আত� শরীফাকে পালিয়� যেতে সাহায্� করে। কিন্তু ভাগ্যে� নির্মম পরিহাস�, তাকে নিয়� পালানো� জন্য যে� নৌকা ছিলো, সে� নৌকা� মাঝিরা তাকে ধর্ষ� কর� মা� নদীতে� শরীফা� জায়গা হয� রঙ্গীলা নটিবাড়িতে�
শিবশঙ্করের এর শরী� খারাপ। তা� বান্ধবপু� � থাকত� এসেছে। এখানেই তা� দেখা হয� ধন� শে� এর মেয়� আত� এর সাথে এব� ভালো� লেগে যায় তাকে�
এদিক� লাবু� এর বো� মীরা একটা� শব্দ বলতে পারে, তা হল� "রা�"� দূ� দূরান্� থেকে মানু� আসছে, মীরা� পা ধোঁয়া পানি নিয়� যাচ্ছে� এই কাজট� করেছ� শ্রী নাথ। নিজে� ধর্ম প্রকাশ করায� শ্রীনা� এর অনেক ইচ্ছা। তাকে নাকি স্বপ্ন� আদেশ পেয়েছেন মীরা� নামে একটি মন্দির করার�
মাউলান� ইদরি� ভ্রমণে বে� হয়েছেন। বগুড়া� মহাস্থান না� এর এক জায়গায় যেতে গিয়� তিনি তা� সব সম্ব� হারালেন। তাকে অচেত� অবস্থায় হাসপাতাল� ভরতি কর� হয়। তা� সেবা কর� যমুন�, যাকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন যখ� সবাই যমুনাক� ত্যা� করে। তা� প্রতিদান হিসাবে যমুন� সবচেয়� বড� ডাক্তা� নিয়� আস� মাউলান� ইদরি� এর চিকিৎস� করার জন্য�
শ্রীনা� লাবুসে� ঘর থেকে মূর্তি চুরি কর� এক কড়ি সাহা� মন্দির� রেখে দিয়েছে। হাদি� উদ্দিন এর এট� নিয়� অনেক রাগ। কেনো মূর্তি চুরি হলো। লাবুসক� এই ঘটনা বল� হয়েছে� কিন্তু লাবু� এর মধ্য� কোনো ভা� এর পরিবর্তন নেই। কিন্তু মন্দির থেকে� মূর্তি চুরি হয়ে গেছে� শ্রীনা� এর বিহি� করতে চেয়েছে। ধন� শে� এর কাছে বিচা� দিতে এসেছ� লাবু� � হাদি� উদ্দিন এর নামে� এদিক� মসজিদে� নতুন ইমাম রাখা হয়েছে� মোহম্ম� সিদ্দিক। বয়স অল্প এই ইমাম এর� এই ইমামের অনেক জ্ঞান।
অনেক শী� পড়েছে বান্ধবপুরে� শী� কমানোর ব্যবস্থা করেছ� ধনুশেখ� পুরো দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হচ্ছে। হিন্দু কিছু কমানোর জন্য হিন্দু ঘর� আগুন লাগানো� ব্যবস্থা করেছে। সে� সাথে মসজি� জ্বালানো� ব্যবস্থা� কর� হয়েছে যাতে মুসলমা� এর উপ� দো� না চাপাতে পারে কেউ। এতেই মারা গেলো নতুন ইমাম মোহাম্মদ সিদ্দিক। মসজিদে আগুন দেয়ার জন্য ধর� হয� এক কড়ি সাহাকে� পুলিশক� টাকা দিতে দিতে এক কড়ি সাহা� সব টাকা শে� হয়ে যায়� নিঃস্ব � পাগল হয়ে যায় তিনি�
এদিক� জুলেখা এখ� অনেক বড� গায়িকা। কাজী নজরু� ইসলামে� সাথে তা� উঠ� বসা।
ধন� শে� তা� মেয়� আতরে� বিয়� ঠি� কর� শাহনেয়া� এর সাথে� শাহনেয়াজে� কবিত� লেখা� শখ� পাগল ধরণে� মানুষ। বিয়ের আগ� দিয়� শিবশঙ্করকে তা� ভালো লাগা� কথ� জানায় আতর। কিন্তু শি� তা বুঝত� বুঝত� অনেক দেরী হয়ে যায়� এদিক� শিবও অসুস্থ হয়ে পড়ে� শিবশঙ্কর অনেক পড়ুয়� ছিলেন। তা� Ph.D গবেষণাপত্র An Intro to Tantric Buddhism তিনি উৎসর্গ করেছিলেন আতরকে।
আত� এর বিয়� হয়ে যায় শাহনেয়াজে� সাথে� শাহনেয়া� তা� স্ত্রীকে দিয়� নানা� ধরণে� কা� করাচ্ছ�, বই পড়ানো, কবিত� পড়ত� দেয়�, সেজেগুজে বস� থাকা কব� শাহনেয়াজে� সামন�, এত� কর� নাকি প্রেমে� কবিত� আসে। সুখে� আছ� আত� শশুড়বাড়িতে�
কৈবর্ত পাড়ার নড়ে� এর মেয়� ভা� খেতে চায়� কিন্তু এক কড়ি তাকে ফিরিয়� দিলে লাবু� তাকে তা� ঘর� এন� ভা� খাওয়ায়� এতেই লাবু� এর মন গল� যায়� সে ঠি� কর� সে লঙ্গরখান� দিবে� সবাইকে খাওয়াবেন। লাবুসে� এই লঙ্গরখান� খুবই পরিচিত হয়ে যায়� দুনিয়ার মানু� এস� এখান� খাওয়া দাওয়া করে। ধন� শে� কিছু সাহায্� পাঠালো, রঙ্গীলা নটিবাড়ি থেকে� � হাজা� টাকা চল� এলো। হিন্দু মুসলিম একসাথে বস� খাচ্ছে� সময়টা ১৯৪৩ সাল।
মাউলান� ইদরি� এর সাথে পথেই পরিচয় হয� জয়নুল আবেদিন এর� জয়নুল আবেদিন মাউলানাক� কা� আঁকা শিখায় দেয়� মাউলান� ইদরি� এর সাথে বিভূতিভূষণ এর� যোগাযো� থাকে� বিভূতিভূষণ আলাভোল� মানু�, খাওয়া দাওয়া করতে পছন্� করেন� মাউলান� ইদরি� জানে� না তিনি বিখ্যা� মানুষদের সাথে উঠ� বস� করছেন।
মাউলান� ইদরি� ফিরে এসেছেন বান্ধবপুরে� মীরাকে কা� আঁকা দেখালো� এতেই মীরা� যে� আনন্দ।
করিম পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে� তাকে লঞ্চ� তুলে দেয়� হয়েছে� কোনো এক অজান� গ্রামে তাকে রেখে আস� হবে। তা� পাশে বোরক� পড়া অবস্থায় আছ� শরীফা� শরীফা শে� বারে� মত� দেখে নিচ্ছে বান্ধবপুরে� রঙ্গিল� বাড়ি। আর কোনোদি� এখান� ফিরব� না সে� তারা আত� এর বাড়িত� গিয়� উঠেছে। সেখানে সুখে� আছ� তারা�
ধন� শে� দাঙ্গা লাগানোয় ব্যস্ত কিন্তু তা� কোনো ট্রিকই কাজে লাগল� না� বান্ধবপু� পড়েছে হিন্দুস্থানে�
লাবু� খুবই অসুস্থ� তাকে দেখত� এসেছ� তা� মা জুলেখা� মীরা তাকে দেখে জিজ্ঞে� করলো, "তুমি কি আমার আর লাবুসে� মা?" জুলেখা লাবুসক� ঘু� পাড়ানোর চেষ্টা করছে� পুকুরঘাট থেকে যে সুরধ্বনি আসছে, তা� জন্ম এই পৃথিবীতে নয়।
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
মধ্যাহ্ন �.
Sign In »
Reading Progress
Started Reading
April 9, 2019
–
Finished Reading
September 7, 2020
– Shelved as:
2019
September 7, 2020
– Shelved
September 7, 2020
– Shelved as:
humayun-ahmed
Started Reading
November 7, 2022
–
Finished Reading
December 31, 2022
– Shelved as:
2022
