Shariful Sadaf's Reviews > অপরাজি�
অপরাজি�
by
by

বিভূতিভূষণ একজনই। তা� চমৎকার জীবন দর্শ� আর প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া� মধ্য দিয়� প্রত্যেক বাঙালি সন্তান যুগে যুগে নিজে� শেকড়ে� অস্তিত্বকে উপলব্ধ� করবে� প্রত্যেকটা শব্দ যে� নাড়িয়ে দিয়� যায়�
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ।
পথের পাঁচালী� প্রত� যতটুকু ভালোবাসা ছি�,তারচেয়ে� বেশি ভালোবেসে ফেললাম এই অপরাজি� বইখানাকে।হয়তো অপুর প্রাপ্তবয়স্� অবস্হা� সংগ্রামই আমাক� বেশি আকৃষ্ট করেছে।জীবনকে ভিন্� এক রূপে দর্শ� করতে শিখিয়� গেলো এই উপন্যাসটি।
নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি।
জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা কী সুখে� ঘোরে� বসবা� কর�?নাকি নিষ্ঠু� সংগ্রামে� বেদনার মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা? আমরা মূলত যেভাবে বসবা� কর� আসছি,তা� বিপরীতে এক তীক্ষ্� প্রশ্নের ঝংকা� ছুঁড়ে দেয় এই মহান উপন্যাসে� মহান লেখক�
প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন�
অপ� কখনো� সংসারী ছি� না� তা� মন� এক পর্যটক বা� করতো� ঘটনাচক্র� সে চাকরী পেয়� যায় মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে� প্রকৃত� যা� এত প্রিয় সে কি আর এই লো� সামলাত� পারে! দীর্� পাঁচ বছ� বিভিন্� জায়গায় ঘুড়� সে থিতু হয� সে� পুরোনো ঠিকানা, তা� গ্রামে� কাজলকে নিয়� কাটাতে চায় বাকিটা জীবন�
অপ� বাঁধ� পড়ত� চায় না কোনো বাঁধনে� মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� তা� সে তা� ছেলেকে দিয়� আস� তা� ছো� বেলা� সঙ্গী রানুদী� কাছে� অপ� জাহাজে কর� বেড়িয়ে পর� ফিজি� উদ্দেশ্য�, সেখা� থেকে হয়ত কোনো অজানার উদ্দেশ্যে।
অপ� আমাদের সমাজের� একটি চরিত্র� এম� মানু� আমাদের আশেপাশেই আছ�, যারা জীবন যুদ্ধে অপরাজি� থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমানক� উপভো� করছে� আমাদের শৈশব থেকে যৌবনটা খু� বেশি বইয়� এত স্পষ্ট কর� লেখা আছ� বল� মন� হয� না� অপুর বড� হওয়�, অর্থকষ্ট� জর্জরি� হয়ে পদ� পদ� আটকে পড়া, তা� জীবনের ভালবাস�, আশাগুল� এত বাস্তব লাগে,মন� হয� নিজে� সে� চরিত্র�
ঘটনা� বৈচিত্র্�,অথবা চরিত্রচিত্রণ,কিংব� প্রকৃতির বর্ণনা,সবটাতে� এতটা দুর্দান্� খু� কম লেখককে� দেখত� পেয়েছি।
তীব্� বেদনার সাথে পাঠকের মন বেদনামিশ্রিত আনন্দে পরিপূর্ণ করাই আমার কাছে এই উপন্যাসে� সবচেয়� বড� দিক। পরিশেষ� বল� যায় নিঃসন্দেহে অসাধার� একটি উপন্যাস।
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ।
পথের পাঁচালী� প্রত� যতটুকু ভালোবাসা ছি�,তারচেয়ে� বেশি ভালোবেসে ফেললাম এই অপরাজি� বইখানাকে।হয়তো অপুর প্রাপ্তবয়স্� অবস্হা� সংগ্রামই আমাক� বেশি আকৃষ্ট করেছে।জীবনকে ভিন্� এক রূপে দর্শ� করতে শিখিয়� গেলো এই উপন্যাসটি।
নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি।
জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা কী সুখে� ঘোরে� বসবা� কর�?নাকি নিষ্ঠু� সংগ্রামে� বেদনার মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা? আমরা মূলত যেভাবে বসবা� কর� আসছি,তা� বিপরীতে এক তীক্ষ্� প্রশ্নের ঝংকা� ছুঁড়ে দেয় এই মহান উপন্যাসে� মহান লেখক�
প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন�
অপ� কখনো� সংসারী ছি� না� তা� মন� এক পর্যটক বা� করতো� ঘটনাচক্র� সে চাকরী পেয়� যায় মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে� প্রকৃত� যা� এত প্রিয় সে কি আর এই লো� সামলাত� পারে! দীর্� পাঁচ বছ� বিভিন্� জায়গায় ঘুড়� সে থিতু হয� সে� পুরোনো ঠিকানা, তা� গ্রামে� কাজলকে নিয়� কাটাতে চায় বাকিটা জীবন�
অপ� বাঁধ� পড়ত� চায় না কোনো বাঁধনে� মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� তা� সে তা� ছেলেকে দিয়� আস� তা� ছো� বেলা� সঙ্গী রানুদী� কাছে� অপ� জাহাজে কর� বেড়িয়ে পর� ফিজি� উদ্দেশ্য�, সেখা� থেকে হয়ত কোনো অজানার উদ্দেশ্যে।
অপ� আমাদের সমাজের� একটি চরিত্র� এম� মানু� আমাদের আশেপাশেই আছ�, যারা জীবন যুদ্ধে অপরাজি� থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমানক� উপভো� করছে� আমাদের শৈশব থেকে যৌবনটা খু� বেশি বইয়� এত স্পষ্ট কর� লেখা আছ� বল� মন� হয� না� অপুর বড� হওয়�, অর্থকষ্ট� জর্জরি� হয়ে পদ� পদ� আটকে পড়া, তা� জীবনের ভালবাস�, আশাগুল� এত বাস্তব লাগে,মন� হয� নিজে� সে� চরিত্র�
ঘটনা� বৈচিত্র্�,অথবা চরিত্রচিত্রণ,কিংব� প্রকৃতির বর্ণনা,সবটাতে� এতটা দুর্দান্� খু� কম লেখককে� দেখত� পেয়েছি।
তীব্� বেদনার সাথে পাঠকের মন বেদনামিশ্রিত আনন্দে পরিপূর্ণ করাই আমার কাছে এই উপন্যাসে� সবচেয়� বড� দিক। পরিশেষ� বল� যায় নিঃসন্দেহে অসাধার� একটি উপন্যাস।
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
অপরাজি�.
Sign In »
Reading Progress
June 23, 2022
–
Started Reading
June 23, 2022
– Shelved
June 27, 2022
–
Finished Reading