What do you think?
Rate this book
অপুর পাঁচালী #2
অপরাজি�
অপরাজি� বইয়ের ফ্লাপে� লেখা:
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ। নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি। নিঃসঙ্� শূন্যতার আক্রমণ� এমনক� সদ্যোজাত পুত্�-কাজল সম্পর্কে অনীহা� চাদপানিত� উদ্দেশ্যহী�, ইত�-সংসর্গ� অতিবাহিত জীবনযাত্রা� চাদপান� থেকে দিল্লি� পূর্বগৌরবে� স্মৃতিসমাকুল� ভগ্নাবশে� � মধ্যপ্রদেশের আরণ্� বিজনতা� প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন� বাল্যবান্ধবী অসুখী দাম্পত্যজীবনের শিকা� লীলা� সঙ্গ� মধুর� সম্বন্�-সমবেদনার মধ্য দিয়� প্রেমে� কাছাকাছি পৌছনাে� মুহূর্তে লীলা� অতর্কি� আত্মহত্যায� এই ফুটমান প্রেমে� অকাল পরিসমাপ্তি� অপুর কাশীযাত্রা� সেখানে নিশ্চিন্দিপুরে� বাল্� সহচরী রানুদি� সঙ্গ� সাক্ষা� | মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� কিছুদি� সেখানে থাকা� পর� কাজলকে রানুদি� কাছে রেখে অপুর� নিরুদ্দেশযাত্রা। নিশ্চিন্দিপু� ‘অপুকে বাল্�-জীবন� কব� করিয়াছিল—প্রৌঢ� বয়স� তাহাকে দার্শনিকের � যােগী� ধ্যানদৃষ্ট� উপহা� দিয়� তাহা� দিগবিজয়-যাত্রা� পাথেয় সঞ্চয় করিয়া দিল। এই উচ্চতম দার্শনিক সুরে� এই মহাকাব্যের ন্যায় বিরা� উপন্যাসে� পরিসমাপ্তি�
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ। নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি। নিঃসঙ্� শূন্যতার আক্রমণ� এমনক� সদ্যোজাত পুত্�-কাজল সম্পর্কে অনীহা� চাদপানিত� উদ্দেশ্যহী�, ইত�-সংসর্গ� অতিবাহিত জীবনযাত্রা� চাদপান� থেকে দিল্লি� পূর্বগৌরবে� স্মৃতিসমাকুল� ভগ্নাবশে� � মধ্যপ্রদেশের আরণ্� বিজনতা� প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন� বাল্যবান্ধবী অসুখী দাম্পত্যজীবনের শিকা� লীলা� সঙ্গ� মধুর� সম্বন্�-সমবেদনার মধ্য দিয়� প্রেমে� কাছাকাছি পৌছনাে� মুহূর্তে লীলা� অতর্কি� আত্মহত্যায� এই ফুটমান প্রেমে� অকাল পরিসমাপ্তি� অপুর কাশীযাত্রা� সেখানে নিশ্চিন্দিপুরে� বাল্� সহচরী রানুদি� সঙ্গ� সাক্ষা� | মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� কিছুদি� সেখানে থাকা� পর� কাজলকে রানুদি� কাছে রেখে অপুর� নিরুদ্দেশযাত্রা। নিশ্চিন্দিপু� ‘অপুকে বাল্�-জীবন� কব� করিয়াছিল—প্রৌঢ� বয়স� তাহাকে দার্শনিকের � যােগী� ধ্যানদৃষ্ট� উপহা� দিয়� তাহা� দিগবিজয়-যাত্রা� পাথেয় সঞ্চয় করিয়া দিল। এই উচ্চতম দার্শনিক সুরে� এই মহাকাব্যের ন্যায় বিরা� উপন্যাসে� পরিসমাপ্তি�
Hardcover
First published January 1, 1932
110 people are currently reading
2,458 people want to read
About the author
Bibhutibhushan Bandyopadhyay
196books990followers
This author has secondary bangla profile-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায�.
Bibhutibhushan Bandyopadhyay (Bangla: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায�) was an Indian Bangali author and one of the leading writers of modern Bangla literature. His best known work is the autobiographical novel, Pather Panchali: Song of the Road which was later adapted (along with Aparajito, the sequel) into the Apu Trilogy films, directed by Satyajit Ray.
The 1951 Rabindra Puraskar, the most prestigious literary award in the West Bengal state of India, was posthumously awarded to Bibhutibhushan for his novel ইছামতী.
Bibhutibhushan Bandyopadhyay (Bangla: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায�) was an Indian Bangali author and one of the leading writers of modern Bangla literature. His best known work is the autobiographical novel, Pather Panchali: Song of the Road which was later adapted (along with Aparajito, the sequel) into the Apu Trilogy films, directed by Satyajit Ray.
The 1951 Rabindra Puraskar, the most prestigious literary award in the West Bengal state of India, was posthumously awarded to Bibhutibhushan for his novel ইছামতী.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 150 reviews
April 1, 2017
আমার কাছে বিভূতিভূষণের লেখা মানে� মায়াময় কিছু� তাঁর লেখা পড়ে আম� মুগ্� হই, কখনও কখনও মনের ভেতর আনন্দে� একটা শিহর� বয়ে যায়, আবার কখনও বা পড়া ফেলে ঝাপস� চোখে জানালা� বাইর� তাকিয়� থাকি! অজান� এক অনুভূতিত� ভেতরটা ভর� যায়� চিনি না, জানি না, তবুও সে� অস্তিত্বহী� মানুষগুলোক� কত� আপ� লাগে! তাদে� কষ্ট� কেমন বু� পোড়�!
অপুর এই কথাট� খু� মিথ্যা ছি� না� ফ্যান্টাসি নভেল আমরা হরহামেশা� পড়ি� গরী� ঘরের ছেলে পড়ে খু� বিদ্বা� হয়ে দুহাতে টাকা রোজগার কর� খু� বড়োলো� হয়ে গে�, প্রাসা� গড়ল, খু� না� কর�! হ্যা�, এমনটাই হয� সে� ফ্যান্টাসি নভেলগুলোয়� কিন্তু অপুর পাঁচালী কো� ফ্যান্টাসি না, বাস্তব জীবনের কঠিন সত্য�
মায়ের আঁচলের ছায়ায� বড� হয়ে ওঠ� অপুর স্বপ্ন ছি�, ইচ্ছ� ছি�, প্রতিভ� ছিল। কিন্তু � যে,
অপুর ক্ষেত্রে� ব্যাতিক্রম কিছু ঘট� নি� ইট-কা�-পাথরের সে� শহ� প্রায় যে� শুষে� নিয়েছিল অপুকে। কিন্তু সে� শুষ্কতার মধ্য� এক পশলা বৃষ্টি� মত� তা� জীবন� এসেছিল অপর্ণা� মায়ামায়া চেহারা� সে� কলাব� অপুর জীবনকে এক আশ্চর্� আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিল। পত্রিকার অফিসের কম মাইনের চাকর� কিংব� ছেলে পড়ানো� খাটুনি কোনটাই সে� আনন্দক� মলিন করতে পারেনি এক বিন্দু�!
রোম্যান্টি� গল্প তো কত� পড়লাম� তা� কোনটিক� কি অপ� এব� অপর্ণা� ছোট্� সংসা� জীবন� রচিত ভালবাসার গল্পের উপরে জায়গা দিতে পারব�? হয়ত� পারব� না�
সে� অপর্ণাকে ভুলে যাওয়া কি অপুর জন্য সহ� ছি�? দিদি, মা, অনিল, লীলা, এই মানুষগুলোক� কি অপ� কোনদিন ভুলত� পেরেছি�? প্রিয় মানুষগুলোক� এক� এক� হারিয়� ফেলবার ভয়ানক অনুভূতির সাথে আম� পরিচিত নই� জানি না কেমন লাগে! ভেতরটা খা� খা� কর� নিশ্চয়ই!
কাজল ছি� অপুর শে� সম্বল। কিন্তু তাকে� আঁকড়ে পড়ে থাকা� তো হয়ে উঠলো না অপুর! বড্ড নির্মম লাগে সবকিছু� অপুর জন্য কষ্ট হয�, কাজলের জন্য কষ্ট হয�, কষ্ট হয� অপর্ণা� জন্য�
আর� কষ্ট হয� দুর্গা� জন্য� অপুর ভাবনায� প্রায়� দিদি আসে। নিশ্চিন্দিপুরে কাটানো সে দিনগুল� যে� আজ� তা� চিন্তায় অমলিন। সে� দিদি-যা� বয়স বাড়� নি, যা� শিশুসুলভ মনখানি আছ� সে� আগের মতনই, সে� দিদি, দুর্গা�
এস� পড়ে কেমন যে� বিষণ্ণ লাগে, মন ভারী হয়। তবুও পড়ি, মুগ্� হই, মুগ্� হবও।
"যাহাদে� থাকে তাহাদে� কি সব দি� দিয়াই এম� করিয়া ভগবা� দিয়� দে�!"
অপুর এই কথাট� খু� মিথ্যা ছি� না� ফ্যান্টাসি নভেল আমরা হরহামেশা� পড়ি� গরী� ঘরের ছেলে পড়ে খু� বিদ্বা� হয়ে দুহাতে টাকা রোজগার কর� খু� বড়োলো� হয়ে গে�, প্রাসা� গড়ল, খু� না� কর�! হ্যা�, এমনটাই হয� সে� ফ্যান্টাসি নভেলগুলোয়� কিন্তু অপুর পাঁচালী কো� ফ্যান্টাসি না, বাস্তব জীবনের কঠিন সত্য�
মায়ের আঁচলের ছায়ায� বড� হয়ে ওঠ� অপুর স্বপ্ন ছি�, ইচ্ছ� ছি�, প্রতিভ� ছিল। কিন্তু � যে,
"এই আবহাওয়ায় খু� বড� প্রতিভাও শুকাইয়া যায়!"
অপুর ক্ষেত্রে� ব্যাতিক্রম কিছু ঘট� নি� ইট-কা�-পাথরের সে� শহ� প্রায় যে� শুষে� নিয়েছিল অপুকে। কিন্তু সে� শুষ্কতার মধ্য� এক পশলা বৃষ্টি� মত� তা� জীবন� এসেছিল অপর্ণা� মায়ামায়া চেহারা� সে� কলাব� অপুর জীবনকে এক আশ্চর্� আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিল। পত্রিকার অফিসের কম মাইনের চাকর� কিংব� ছেলে পড়ানো� খাটুনি কোনটাই সে� আনন্দক� মলিন করতে পারেনি এক বিন্দু�!
রোম্যান্টি� গল্প তো কত� পড়লাম� তা� কোনটিক� কি অপ� এব� অপর্ণা� ছোট্� সংসা� জীবন� রচিত ভালবাসার গল্পের উপরে জায়গা দিতে পারব�? হয়ত� পারব� না�
সে� অপর্ণাকে ভুলে যাওয়া কি অপুর জন্য সহ� ছি�? দিদি, মা, অনিল, লীলা, এই মানুষগুলোক� কি অপ� কোনদিন ভুলত� পেরেছি�? প্রিয় মানুষগুলোক� এক� এক� হারিয়� ফেলবার ভয়ানক অনুভূতির সাথে আম� পরিচিত নই� জানি না কেমন লাগে! ভেতরটা খা� খা� কর� নিশ্চয়ই!
কাজল ছি� অপুর শে� সম্বল। কিন্তু তাকে� আঁকড়ে পড়ে থাকা� তো হয়ে উঠলো না অপুর! বড্ড নির্মম লাগে সবকিছু� অপুর জন্য কষ্ট হয�, কাজলের জন্য কষ্ট হয�, কষ্ট হয� অপর্ণা� জন্য�
আর� কষ্ট হয� দুর্গা� জন্য� অপুর ভাবনায� প্রায়� দিদি আসে। নিশ্চিন্দিপুরে কাটানো সে দিনগুল� যে� আজ� তা� চিন্তায় অমলিন। সে� দিদি-যা� বয়স বাড়� নি, যা� শিশুসুলভ মনখানি আছ� সে� আগের মতনই, সে� দিদি, দুর্গা�
"আজ চব্বিশ বৎসর ধরিয়া সাঁঝ-সকাল� তা� আশ্রয়স্থানটিত� সোনা� সূর্যকির� পড়ে� বর্ষাকালের নিশী� মে� ঝরঝর জল ঢালে, ফাল্গু� দিনে ঘেঁটুফুল, হেমন্ত দিনে ছাতিমফুল ফোটে� জ্যোৎস্ন� ওঠে। কত পাখি গা� গায়� সে এসবই ভালবাসিত� এস� ছাড়িয়া যাইত� পারেনি কোথাও।"
এস� পড়ে কেমন যে� বিষণ্ণ লাগে, মন ভারী হয়। তবুও পড়ি, মুগ্� হই, মুগ্� হবও।
September 23, 2022
শে� কর� আমার মন� হইসে, এই উপন্যা� একটা টাইমলাইনকে সমৃদ্ধশালী করেছে। বুঝেছি, বাংলার প্রকৃত� বর্ণনা, গ্রামী� জীবনপ্রবাহের বিচিত্� রূ�, কিশো� মনের কল্পনামালা লেখক যেভাবে তুলে ধরেছেন, সেটা কেনো এক শতাব্দী শেষে� সাহিত্যে� বেঞ্চমার্ক হয়ে আছে। বনাচঞ্চলের নৈর্সগিক সৌন্দর্য্য� তা� লেখাতে ধর� পড়েছে মায়াবী বর্ণনা� মাধ্যম�...
পড়ত� পড়ত� কোথায় যানি হারিয়� গেসিলাম। এখনো ফিরত� পারিনি� আমার দু�- চোক্ষে� সামন� এখ� শুধু গত শতাব্দী� কোলকাতার ছব� ভাসে!!
অপুর পাচালি� দ্বিতীয় পর্ব প্রথ� পর্বকে ছাড়িয়ে গেছে বল� আম� মন� করি। অপুর যে কৌতূহল, বিষ্ময�, চিন্তাধারা� বিশালত� যেখানে নতুন যে কোনোকিছু দীপ্তিমা�, অজানার প্রত� অসহ্� আকর্ষণ পাঠক হিসেবে আমাক� স্তব্ধ � বিষ্মি� করেছ�!!
উপন্যা� টা পড়বার পর থেকে আম� ভাবছি। ভাবছ� না, আদতে ভাবাচ্ছে আমায়। যদ� নিজে� উপলব্ধির কথ� বল� তব� আমার ভাবনাচিন্ত� ছিলো নেতিবাচক� একটা সময় ছিলো, যখ� মাথা� চুলগুল� তেলে চুবিয়� একপাশে সিথি কেঁট� রাখতাম� রো� সকাল� ঘু� থেকে উঠ� চো� ডলতে ডলতে ক্লাসরুটিন দেখে বই ব্যাগে ঢুকাতা� আর ভাবতাম, "ইংলি� সেকেন্� বইটা মোটা, ওট� অন্য কে� নিবে"� স্কুলে এস� ব্যা� রেখে� বারান্দায় ছুটোছুটি আর পিটি পালিয়� ব্যাঞ্চে� তলায� লুকিয়� থাকা ছিলো খু� সাধারণ ঘটনা� কে জানে, হু� করেই হয়ত আম� টাইমস্পে� আঁটক� দিয়েছিলাম নিজে�! এখ� আর চুলে তে� দিইনা। যাচ্ছেতা� ভাবে দৌড়াদৌড়ি করিনা। এখ� আর পিটি� করতে হয়না। হয়ত, এটাই নিজে� "কিছু� না" জগতে� এক অপরিহার্� অংশ। তখনো আম�, সুশিলদের নষ্টাম� দেখিনি... হয়ত, এখ� নিজে� নষ্ট হয়ে গেছি� তা� এত এত নষ্টাদের ভীড়েও দিব্যি চো� মেলে হাটছ� কি কর�? ১ট� সময় এসেছিল�, আবেগ নামে� বস্ত� ঘিরে ছিলো কিছু স্বপ্ন� একটুকর� জম�, ক্যালেন্ডারে� ছবির মত ঘর, অনেকগুলো কবুত� আর ফুটফুট� এক আমার মত কিশোরী� কিশোরী� কিশোরবয়সে� ছলনা, বালিকা বয়স� এস� তখ� "ছেলেমানুষি ভু�" হিসেবে বুকে ধাক্কা মারল! একটা সময় ছিলো, অনেক অনেক বন্ধ� ছিলো� ধাক্কাধাক্কি কর� বড� হত� হত� কোথায় যে কে ছিটক� গেলা�, টেরই পেলা� না! "� - � " পর্যন্� সবগুলো বন্ধ� আজ গ্যাসবেলুনের মত হাপি�! হয়ত, আমিই কাউক� খুঁজতে যাইনি। অথবা নিজেকে লুকোতে গিয়� সবাইকে হারিয়েছি। ভালোবাসা কি খালি দিয়েই গিয়েছ�? উহহু একটা সময় ছিলো, কিশো� বয়স শেষে বালিকা এসেছিল� ভালোবাসতে। ওর� বল�, "খু� ভালোবেসেছিলাম। তুমি মূল্� বুঝোনি"� আম� বলতে চেয়েছিলাম, "খু� ভালোবেসেছো� কিন্তু যা দরকা� তা বুঝত� শেখাওন�"� যে কারণ�, কর্পোরেট মানুষগুলোর বুকে� উর্ধাং� মেলে ধরতে এতটুকু কাঁপেনাহ�... আম্র� কিন্তু এম� ছিলাম্না... আজ দিনশেষ�, একলা পথ� হাটত� গিয়� যখ� সমীকর� মেলাতে যা�, আমার যো�-বিয়োগের কাটাকুটিতে উত্ত� হয� তি�... তি� কেনো? আম�, তুমি, আমরা... সমীকরণে� শুরু� দিকে� যোগা� আম� দিয়েছ�, আমার যোগানে� শেষে গিয়� তা ''আমরায়" মিলিয়েছে। মন� হইতো কিছু কিছু সম্পর্কে� কখনো� কো� মানে হয়না। এই সিঁথিকাট� ছেলেগুলো যখ� ধুলোপড়া পায়� রাস্তায় উদাস হয়ে হাটে, তখ� তাদে� বলতে ইচ্ছ� কর�:- "এই বুঝি চেয়েছিল�?" হয়ত তারা বলবে, "ভা�, আপনি কে? আপনাকে তো চিনলাম না!" উত্তরে বলতে চা�, "হেঁহেঁহে�, আম� কে? আমিও তো আমাক� চিনছ� না!"...
কিন্তু উপন্যা� এর উপলব্ধ� ভিন্ন। সুরমার বুকে পালতোল� নৌকায় শুয়� সারারা� আকাশ দেখা ছেলেটাকে দৌড়ুত� হয� প্রখ� রোদে লোকা� বাসে� পেছনে। ঘাসে� ডগ� চিবুতে চিবুতে শুয়� শুয়� আকাশ আর পাহাড়ের প্রে� দেখা মেয়েটাক� দৌড়ুত� হয� প্রব� বৃষ্টি মাথায় কর� বাস্তবতা� পেছনে। আদতে জীবন সব করয়� নেয়� কিছু� অপরিবর্তিত থাকে না� জীবন - নিজে ছাড়া। 'জীবন' শুধু অপরাজিত। আমরা কী চা�? দিনশেষ� সে� অনুযায়ী কত টুকু আদতে পা� আমরা? এই দু� এর পার্থক্য আর তাকে মেনে নেওয়া� ক্ষমতা একটা স্বত্ত্বাক� শুধু অপরাজি� করতে পারে বল� বুঝেছি আমি। উপন্যা� টা ভাবায়, আগ� থেকে এন্টিসপিটে� ফিউচার থেকে বাস্তব কতটা ভিন্� হইতে পারে� অতী� বা ভবিষ্য� নয�- শুধু বর্তমানে বা� করতে পারল� যে মায়াবী স্নিগ্ধত� পাওয়া যায় সেটা� ভাবাচ্ছে এই উপন্যা�!
পড়ত� পড়ত� কোথায় যানি হারিয়� গেসিলাম। এখনো ফিরত� পারিনি� আমার দু�- চোক্ষে� সামন� এখ� শুধু গত শতাব্দী� কোলকাতার ছব� ভাসে!!
অপুর পাচালি� দ্বিতীয় পর্ব প্রথ� পর্বকে ছাড়িয়ে গেছে বল� আম� মন� করি। অপুর যে কৌতূহল, বিষ্ময�, চিন্তাধারা� বিশালত� যেখানে নতুন যে কোনোকিছু দীপ্তিমা�, অজানার প্রত� অসহ্� আকর্ষণ পাঠক হিসেবে আমাক� স্তব্ধ � বিষ্মি� করেছ�!!
উপন্যা� টা পড়বার পর থেকে আম� ভাবছি। ভাবছ� না, আদতে ভাবাচ্ছে আমায়। যদ� নিজে� উপলব্ধির কথ� বল� তব� আমার ভাবনাচিন্ত� ছিলো নেতিবাচক� একটা সময় ছিলো, যখ� মাথা� চুলগুল� তেলে চুবিয়� একপাশে সিথি কেঁট� রাখতাম� রো� সকাল� ঘু� থেকে উঠ� চো� ডলতে ডলতে ক্লাসরুটিন দেখে বই ব্যাগে ঢুকাতা� আর ভাবতাম, "ইংলি� সেকেন্� বইটা মোটা, ওট� অন্য কে� নিবে"� স্কুলে এস� ব্যা� রেখে� বারান্দায় ছুটোছুটি আর পিটি পালিয়� ব্যাঞ্চে� তলায� লুকিয়� থাকা ছিলো খু� সাধারণ ঘটনা� কে জানে, হু� করেই হয়ত আম� টাইমস্পে� আঁটক� দিয়েছিলাম নিজে�! এখ� আর চুলে তে� দিইনা। যাচ্ছেতা� ভাবে দৌড়াদৌড়ি করিনা। এখ� আর পিটি� করতে হয়না। হয়ত, এটাই নিজে� "কিছু� না" জগতে� এক অপরিহার্� অংশ। তখনো আম�, সুশিলদের নষ্টাম� দেখিনি... হয়ত, এখ� নিজে� নষ্ট হয়ে গেছি� তা� এত এত নষ্টাদের ভীড়েও দিব্যি চো� মেলে হাটছ� কি কর�? ১ট� সময় এসেছিল�, আবেগ নামে� বস্ত� ঘিরে ছিলো কিছু স্বপ্ন� একটুকর� জম�, ক্যালেন্ডারে� ছবির মত ঘর, অনেকগুলো কবুত� আর ফুটফুট� এক আমার মত কিশোরী� কিশোরী� কিশোরবয়সে� ছলনা, বালিকা বয়স� এস� তখ� "ছেলেমানুষি ভু�" হিসেবে বুকে ধাক্কা মারল! একটা সময় ছিলো, অনেক অনেক বন্ধ� ছিলো� ধাক্কাধাক্কি কর� বড� হত� হত� কোথায় যে কে ছিটক� গেলা�, টেরই পেলা� না! "� - � " পর্যন্� সবগুলো বন্ধ� আজ গ্যাসবেলুনের মত হাপি�! হয়ত, আমিই কাউক� খুঁজতে যাইনি। অথবা নিজেকে লুকোতে গিয়� সবাইকে হারিয়েছি। ভালোবাসা কি খালি দিয়েই গিয়েছ�? উহহু একটা সময় ছিলো, কিশো� বয়স শেষে বালিকা এসেছিল� ভালোবাসতে। ওর� বল�, "খু� ভালোবেসেছিলাম। তুমি মূল্� বুঝোনি"� আম� বলতে চেয়েছিলাম, "খু� ভালোবেসেছো� কিন্তু যা দরকা� তা বুঝত� শেখাওন�"� যে কারণ�, কর্পোরেট মানুষগুলোর বুকে� উর্ধাং� মেলে ধরতে এতটুকু কাঁপেনাহ�... আম্র� কিন্তু এম� ছিলাম্না... আজ দিনশেষ�, একলা পথ� হাটত� গিয়� যখ� সমীকর� মেলাতে যা�, আমার যো�-বিয়োগের কাটাকুটিতে উত্ত� হয� তি�... তি� কেনো? আম�, তুমি, আমরা... সমীকরণে� শুরু� দিকে� যোগা� আম� দিয়েছ�, আমার যোগানে� শেষে গিয়� তা ''আমরায়" মিলিয়েছে। মন� হইতো কিছু কিছু সম্পর্কে� কখনো� কো� মানে হয়না। এই সিঁথিকাট� ছেলেগুলো যখ� ধুলোপড়া পায়� রাস্তায় উদাস হয়ে হাটে, তখ� তাদে� বলতে ইচ্ছ� কর�:- "এই বুঝি চেয়েছিল�?" হয়ত তারা বলবে, "ভা�, আপনি কে? আপনাকে তো চিনলাম না!" উত্তরে বলতে চা�, "হেঁহেঁহে�, আম� কে? আমিও তো আমাক� চিনছ� না!"...
কিন্তু উপন্যা� এর উপলব্ধ� ভিন্ন। সুরমার বুকে পালতোল� নৌকায় শুয়� সারারা� আকাশ দেখা ছেলেটাকে দৌড়ুত� হয� প্রখ� রোদে লোকা� বাসে� পেছনে। ঘাসে� ডগ� চিবুতে চিবুতে শুয়� শুয়� আকাশ আর পাহাড়ের প্রে� দেখা মেয়েটাক� দৌড়ুত� হয� প্রব� বৃষ্টি মাথায় কর� বাস্তবতা� পেছনে। আদতে জীবন সব করয়� নেয়� কিছু� অপরিবর্তিত থাকে না� জীবন - নিজে ছাড়া। 'জীবন' শুধু অপরাজিত। আমরা কী চা�? দিনশেষ� সে� অনুযায়ী কত টুকু আদতে পা� আমরা? এই দু� এর পার্থক্য আর তাকে মেনে নেওয়া� ক্ষমতা একটা স্বত্ত্বাক� শুধু অপরাজি� করতে পারে বল� বুঝেছি আমি। উপন্যা� টা ভাবায়, আগ� থেকে এন্টিসপিটে� ফিউচার থেকে বাস্তব কতটা ভিন্� হইতে পারে� অতী� বা ভবিষ্য� নয�- শুধু বর্তমানে বা� করতে পারল� যে মায়াবী স্নিগ্ধত� পাওয়া যায় সেটা� ভাবাচ্ছে এই উপন্যা�!
September 2, 2012
This one is right there at the top with Dostoyevsky's Crime and Punishment in my reading list. I have read quite a few books (in English and Bengali) in my life but nothing beats these two. If crime and Punishment is all about the conflict that pushes a character into gray,forces him to stand for himself and at the same time doubt his own decisions, Aparajito speaks of the simplicity of human life- people are borne, they experience happiness and sorrow, they suffer and they win. They move on until the end of their time. If crime and Punishment teaches us that being wrong in our own way is better than being right in someone else's, Aprajito speaks of how life is to be embraced at every moment no matter how hard it hits us. Dostoyevsky's work shows us that truth triumphs in the end while Bibhuti Bhusan's timeless classic gives us a simple truth- Life triumphs over death as we keep on living through sorrow,through all the suffering, through death. Looking for love and truth. Poetry in the form of a novel. Simple and beautiful.
July 30, 2021
পথের পাঁচালী, দেশে-বিদেশে পড়া� পর� এত� খারা� লাগে না� যেমনটা এট� পড়া� পর লাগতেছে। কোনো কাজে� মন বসতেছে না� সবকিছুতে� কেমন যে� নিঃসঙ্গত� � বিষন্নতা� ছোয়� :(
মাত্� পাঁচটি তারক� যেনো অনেক কম হয়ে গেছে বইটা� জন্য� It deserves a thousand stars.
৩০ জুলা� ২০২১
মাত্� পাঁচটি তারক� যেনো অনেক কম হয়ে গেছে বইটা� জন্য� It deserves a thousand stars.
৩০ জুলা� ২০২১
November 24, 2020
চর� মাত্রা� দরিদ্রতা, হাভা�, দুঃখ-কষ্ট, স্বজ�-বিয়োগেও যা� চোখে� জিজ্ঞাসু দৃষ্টি অবদমিত হয� নি, যা� জানা� আগ্র� শে� হয়ে যায় নি, যে প্রতিনিয়ত মানুষে� মাঝে মায়� খুঁজ� বেড়ায� আর প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজ� বেড়ায� সে-� তো অপরাজিত। এত ঝড�-ঝাপটার মাঝে� যে নুইয়ে পড়েনি,জীবনাদর্� হারিয়� যায় নি সে-� তো অপরাজিত।
বিভূতিবাবু� ছি� অন্যরকম। গ্রামে� একটি সাধারণ পরিবারের সহ�-সর� জীবন ফুটিয়� তুলেছিলে� শুধু� কিন্তু এট�! অপুর ধীরে ধীরে বড� হওয়� থেকে শুরু কর� যৌবন� পদার্প�, সংসারে জড়িয়� যাওয়া কিংব� অপুর আশেপাশের মানুষে� সাথে গড়ে ওঠ� সম্পর্কে� অর্থ উপলব্ধ� কর� � সবকিছু� সহ� মন� হলেও এইগুলো� মানুষে� জীবনের একদম জটিল বিষয়।"অপ� বুঝি� সে লীলাকে ভালবাস�, গভীরভাব� ভালবাস�, কিন্তু তা আবেগহী�,শান্�, ধী� ভালবাসা। মন� তৃপ্তি আন�, স্নিগ্� আনন্� আন�, কিন্তু শিরায় উপশিরায় রক্তের তাণ্ডব নর্ত্ত� তোলে না� লীলা তাহা� বাল্যে� সাথী, তাহা� উপ� মায়ের পেটে� বোনে� মত একটা মমতা, স্নে� � অনুকম্পা, একটা মাধুর্য্যভরা ভালবাসা। "যেমন কর� অপুর মধ্য দিয়� বিভূতি বাবু সম্পর্কে� ব্যবচ্ছে� করেছেন, কতজন মানু� এই সহ� সম্পর্কগুলোর ভেতরকা� গূঢ়তত্ত্ব উদ্ভাব� করতে পারে!?
এবার আস� অপূর্ব আর অপর্না� কাছে� কি করেই যে দুজন দুজনের অগোচরে তারা এক� অপরক� আবিষ্কার করতো! অদ্ভুত সুন্দর , এভাবেই তো এত মায়� মমতা তৈরি হয�, আজীবন পথ চলার আশ� তৈরি হয� তা হো� কঠিন পরিস্থিতি।
A glimpse of
movie by Satyajit Ray.
অপুর অপর্নাকে এই তিনরূপ� আবিষ্কার কর�! এটাই তো ভালবাসায� ঘিরে থাকা� মূ� ভিত্তি� কখনও সে প্রেয়সী/বন্ধ�, মনের কথ� বলার আপনারজ�; কখনও সে চপলা কিশোরী/ছোট্� মেয়�; আর কখনও সে স্নেহময়ী, দূ� থেকে মন� হয� মাতৃত্� ফুটে আছ� সক� চলনে! একজন পুরু� যদ� নারী� এই তিনরূপ খুঁজ� না পেলো তব� তা আর ভালবাস� কই! প্রে�/মো� বৈ আর কিছু নয�, দুদি� পর� তা আপনাতে� কেটে যাবে।ঠিক নারী� বেলাতে� এক� কথ� খাটে� যদ� সে কঠোরতা� বিপরীতে পুঁচকে বালকের দেখা না পায় সে� ব্যর্থ! নতুন কর� একজন মানুষে� ভেতর� এই মানুষগুলোক� খুঁজ� পাওয়া� তো বার্ধক্যতে� একটা অদৃশ্য সুতোয় বেঁধ� রাখে�
অপরাজি� অদ্ভুত সুন্দর!
এই বই পড়ত� গিয়� বোধহয় আমার হু� হলো। জীবন তো নির্মমই। কে� ডাস্টবিন� উচ্ছিষ্ট খুঁজ� বেড়ায� আবার কে� এক চামচ খেয়� কাজে� উদ্দেশ্য� বেড়িয়ে পড়ে বাকিটা অনাদরে প্লেটে� পড়ে থাকে যা� গন্তব্� � ডাস্টবিনই। স্বয়ং সৃষ্টিকর্ত� যেখানে পরীক্ষা নিচ্ছে� বিভিন্� ভাবে সেখানে বিভূতিবাবুকে আর সৃষ্টি� প্রত� এই নির্মমতা� জন্য কথ� শুনিয়েই কি হবে। যেখানে সত্য সেখানে� নির্মমতা :)
~২৩ নভেম্ব�, ২০২০
June 27, 2022
বিভূতিভূষণ একজনই। তা� চমৎকার জীবন দর্শ� আর প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া� মধ্য দিয়� প্রত্যেক বাঙালি সন্তান যুগে যুগে নিজে� শেকড়ে� অস্তিত্বকে উপলব্ধ� করবে� প্রত্যেকটা শব্দ যে� নাড়িয়ে দিয়� যায়�
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ।
পথের পাঁচালী� প্রত� যতটুকু ভালোবাসা ছি�,তারচেয়ে� বেশি ভালোবেসে ফেললাম এই অপরাজি� বইখানাকে।হয়তো অপুর প্রাপ্তবয়স্� অবস্হা� সংগ্রামই আমাক� বেশি আকৃষ্ট করেছে।জীবনকে ভিন্� এক রূপে দর্শ� করতে শিখিয়� গেলো এই উপন্যাসটি।
নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি।
জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা কী সুখে� ঘোরে� বসবা� কর�?নাকি নিষ্ঠু� সংগ্রামে� বেদনার মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা? আমরা মূলত যেভাবে বসবা� কর� আসছি,তা� বিপরীতে এক তীক্ষ্� প্রশ্নের ঝংকা� ছুঁড়ে দেয় এই মহান উপন্যাসে� মহান লেখক�
প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন�
অপ� কখনো� সংসারী ছি� না� তা� মন� এক পর্যটক বা� করতো� ঘটনাচক্র� সে চাকরী পেয়� যায় মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে� প্রকৃত� যা� এত প্রিয় সে কি আর এই লো� সামলাত� পারে! দীর্� পাঁচ বছ� বিভিন্� জায়গায় ঘুড়� সে থিতু হয� সে� পুরোনো ঠিকানা, তা� গ্রামে� কাজলকে নিয়� কাটাতে চায় বাকিটা জীবন�
অপ� বাঁধ� পড়ত� চায় না কোনো বাঁধনে� মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� তা� সে তা� ছেলেকে দিয়� আস� তা� ছো� বেলা� সঙ্গী রানুদী� কাছে� অপ� জাহাজে কর� বেড়িয়ে পর� ফিজি� উদ্দেশ্য�, সেখা� থেকে হয়ত কোনো অজানার উদ্দেশ্যে।
অপ� আমাদের সমাজের� একটি চরিত্র� এম� মানু� আমাদের আশেপাশেই আছ�, যারা জীবন যুদ্ধে অপরাজি� থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমানক� উপভো� করছে� আমাদের শৈশব থেকে যৌবনটা খু� বেশি বইয়� এত স্পষ্ট কর� লেখা আছ� বল� মন� হয� না� অপুর বড� হওয়�, অর্থকষ্ট� জর্জরি� হয়ে পদ� পদ� আটকে পড়া, তা� জীবনের ভালবাস�, আশাগুল� এত বাস্তব লাগে,মন� হয� নিজে� সে� চরিত্র�
ঘটনা� বৈচিত্র্�,অথবা চরিত্রচিত্রণ,কিংব� প্রকৃতির বর্ণনা,সবটাতে� এতটা দুর্দান্� খু� কম লেখককে� দেখত� পেয়েছি।
তীব্� বেদনার সাথে পাঠকের মন বেদনামিশ্রিত আনন্দে পরিপূর্ণ করাই আমার কাছে এই উপন্যাসে� সবচেয়� বড� দিক। পরিশেষ� বল� যায় নিঃসন্দেহে অসাধার� একটি উপন্যাস।
'অপরাজি�' বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এট� 'পথের পাঁচালী'� অপ�-কাহিনিরই সম্প্রসারি� রূপ।
পথের পাঁচালী� প্রত� যতটুকু ভালোবাসা ছি�,তারচেয়ে� বেশি ভালোবেসে ফেললাম এই অপরাজি� বইখানাকে।হয়তো অপুর প্রাপ্তবয়স্� অবস্হা� সংগ্রামই আমাক� বেশি আকৃষ্ট করেছে।জীবনকে ভিন্� এক রূপে দর্শ� করতে শিখিয়� গেলো এই উপন্যাসটি।
নিশ্চিন্দিপুরে� অপুক� এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্ত� প্রেক্ষাপটে। পিতা� মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহী� গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধ� কেটে কলেজ� ভর্ত� হওয়�, কলেজ জীবনের নিদারু� দারিদ্রে� বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রা�, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবা�, স্ত্রী অপর্ণা� সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তি� নীড়রচনা� প্রয়া� এব� অপর্ণা� আকস্মি� মৃত্যুতে সে প্রয়াসে� সমাধি।
জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা কী সুখে� ঘোরে� বসবা� কর�?নাকি নিষ্ঠু� সংগ্রামে� বেদনার মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা? আমরা মূলত যেভাবে বসবা� কর� আসছি,তা� বিপরীতে এক তীক্ষ্� প্রশ্নের ঝংকা� ছুঁড়ে দেয় এই মহান উপন্যাসে� মহান লেখক�
প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষা� পর অপুর বাংলাদেশ� প্রত্যাবর্তন�
অপ� কখনো� সংসারী ছি� না� তা� মন� এক পর্যটক বা� করতো� ঘটনাচক্র� সে চাকরী পেয়� যায় মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে� প্রকৃত� যা� এত প্রিয় সে কি আর এই লো� সামলাত� পারে! দীর্� পাঁচ বছ� বিভিন্� জায়গায় ঘুড়� সে থিতু হয� সে� পুরোনো ঠিকানা, তা� গ্রামে� কাজলকে নিয়� কাটাতে চায় বাকিটা জীবন�
অপ� বাঁধ� পড়ত� চায় না কোনো বাঁধনে� মাতৃহারা কাজলকে নিয়� নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্� নিয়� গ্রামে প্রত্যাবর্তন� তা� সে তা� ছেলেকে দিয়� আস� তা� ছো� বেলা� সঙ্গী রানুদী� কাছে� অপ� জাহাজে কর� বেড়িয়ে পর� ফিজি� উদ্দেশ্য�, সেখা� থেকে হয়ত কোনো অজানার উদ্দেশ্যে।
অপ� আমাদের সমাজের� একটি চরিত্র� এম� মানু� আমাদের আশেপাশেই আছ�, যারা জীবন যুদ্ধে অপরাজি� থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমানক� উপভো� করছে� আমাদের শৈশব থেকে যৌবনটা খু� বেশি বইয়� এত স্পষ্ট কর� লেখা আছ� বল� মন� হয� না� অপুর বড� হওয়�, অর্থকষ্ট� জর্জরি� হয়ে পদ� পদ� আটকে পড়া, তা� জীবনের ভালবাস�, আশাগুল� এত বাস্তব লাগে,মন� হয� নিজে� সে� চরিত্র�
ঘটনা� বৈচিত্র্�,অথবা চরিত্রচিত্রণ,কিংব� প্রকৃতির বর্ণনা,সবটাতে� এতটা দুর্দান্� খু� কম লেখককে� দেখত� পেয়েছি।
তীব্� বেদনার সাথে পাঠকের মন বেদনামিশ্রিত আনন্দে পরিপূর্ণ করাই আমার কাছে এই উপন্যাসে� সবচেয়� বড� দিক। পরিশেষ� বল� যায় নিঃসন্দেহে অসাধার� একটি উপন্যাস।
March 11, 2022
মন� হচ্ছ� আত্মাট� একদম জুড়িয়ে গেলো!
February 12, 2024
কত গ্রামে� কত গল্প, একাল সেকালে� কত কথ�, পল্লীগৃহস্থের কত সু� দুঃখের কাহিনী জড়ানো � বই� লেখায় কি আন্তরিকা� সু�! যে� কত কালে� পুরাতন পরিচিত� সারা দে� মন উপভো� করিতেছিল� যে�, কি দারু� এক তৃপ্তি� বো�!
May 29, 2018
"যে জীবন যে জগৎক� আমরা প্রতিদিনের কাজকর্মে হাটে-ঘাটে হাতে� কাছে পাইতেছ� জীবন তাহা নয�,এই কর্মব্যাস্� অগভী� একঘেয়� জীবনের পিছন� লুকানো আছ�-সে এক শাশ্বত রহস্যভরা গৃ� গভী� জীবন-মন্দাকিনী,যাহা� গত� কল্প হইতে কল্পান্ত�;দুঃখকে তাহা করিয়াছে অমৃতের পাথেয়,অশ্রুক� করিয়াছে অনন্� জীবনের উৎসধার�..."
একটা ভালো বই অপরিসী� আনন্দে� উৎসস্থল।আর তা যদ� হয� বিভূতিভূষণের মায়� ভর� লেখা তাহল� তো কথাই নেই।দুঃখ-দারিদ্র্যে ভর� সাদামাটা জীবনটাকে এত গভীরভাব� কে� হয়ত কখনো দেখেনি যেমনটা দেখেছে বিভূতিভূষণ� অপ�-অপর্ণা,কাজল,সর্বজয়া,লীলাদে� মাধ্যম� জীবনকে যেভাবে দেখিয়েছেন তা সত্যিই অতুলনীয়�
একটা ভালো বই অপরিসী� আনন্দে� উৎসস্থল।আর তা যদ� হয� বিভূতিভূষণের মায়� ভর� লেখা তাহল� তো কথাই নেই।দুঃখ-দারিদ্র্যে ভর� সাদামাটা জীবনটাকে এত গভীরভাব� কে� হয়ত কখনো দেখেনি যেমনটা দেখেছে বিভূতিভূষণ� অপ�-অপর্ণা,কাজল,সর্বজয়া,লীলাদে� মাধ্যম� জীবনকে যেভাবে দেখিয়েছেন তা সত্যিই অতুলনীয়�
November 4, 2023
‘পথে� পাঁচালী� � অপ�-কাহিনীরই সম্প্রসারণ ‘অপরাজিত’।পড়ত� যেয়� সবকিছু� যেনো চোখে� সামন� ভাসছিলো।এত� সুন্দর,এত� মায়� দিয়� কিভাবে লিখে?প্রত্যেকটা বর্ণ�,প্রত্যেকটা শব্দ� যেনো মায়� জড়িয়� আছে।এই বইয়ের রিভি� শব্দ� ব্যাখ্যা কর� অসম্ভব�
December 27, 2023
২০২৩ সালে� পড়া শে� ক্লাসি� বই 'অপরাজি�'� অসাধার� লেগেছে বইটা� বিভূতিভূষণ এক লেখা মানে� শহরে� সে� অল� গল� পেরিয়� সবুজ শ্যামল প্রকৃতিত� ডু� দেওয়া� অপুর উত্থান পত� সব� চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে।
February 7, 2018
সে� কব� কো� ছোটবেলায� পথের পাঁচালী পড়েছিলাম। অপরাজি� তখ� পড়ত� সাহস করিন�, মন� হয� দুঃখ পাবা� ভয়ে।আরও অনেক পর� আরণ্যক পড়ে নতুন কর� বিভূতিভূষণ এর ভক্ত হয়েছিলাম। আজ এতদি� পর অপরাজি� পড়লাম।বিভূতিভূষ� এর উপন্যা� সবগুলো এখনও আমার পড়া হয� নি� দৃষ্টিপ্রদী�, দেবযান মোটে� ভালো লাগে নি।আদর্শ হিন্দু হোটেলও অসাধার� কিছু মন� হয� নি� ইছামতী এখনও পড়ি নি� তব� পথের পাঁচালী, আরণ্যকের সাথে অপরাজিতও শুধু বিভূতি ভূষণ এর নয�, বাংল� সাহিত্যে� সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্য� প্রথ� সারিতে থাকব� বল� আমার ধারণ�, আম� আমার নিজে� তালিকায় এই তিনটিকেই সেরা পাঁচ� রাখবো। একটা ভালো উপন্যা� লিখে তা� ধারাবাহিকতায� আরেকটি সেরা সৃষ্টি কর� অনেক শক্ত� বিভূতি ভূষন এর� অনেক দূর্বল লেখা অাছে, হয়ত� তাড়াহুড়ো কর� লেখা বলেই� কিন্তু অপরাজি� সত্যিই পথের পাঁচালীকে ধর� রেখেছে এক� ভাবে� � যে� এক� উপন্যা�, কেবল এক সাথে লেখা হয� নি এই যা� পথের পাঁচালী, আরণ্যক কিংব� অপরাজি� তিনট� উপন্যাসে� সার্থকতা এই জায়গা থেকে� সম্ভবত এসেছ� যে এর পটভূমি অনেকটা� লেখকের ব্যক্তিগ� অভিজ্ঞতালব্ধ, তা� তাতে বানানো কাহিনী কম, কৃত্রিমত� নেই। অপুর বড� হওয়�, দুঃখ�-দারিদ্র্যে ভর� ছাত্� জীবন যে� বিভূতি� � জীবন কাহিনী।অপু� মত� বিভুতি� বি� পড়ে এম.� পড়া চালিয়� যেতে পারে� নি� চাকরী থেকে বরখাস্� হওয়ার অভিজ্ঞতা তা� � তো ছিলো� সেটা তা� জীবন� না এল� তিনি� হয়ত� সাহিত্যি� বিভূতি ভূষণ হয়ে উঠতে পারতেন না, জীবন� এত� বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা� হয়ত� হত� না।অপু চাকরী করেছ� মধ্য ভারতের জঙ্গলে, বিভূতি বিহারে� বন্য ভূমিতে� কি আশ্চর্� বিভূতি� মত� অপুর প্রথ� স্ত্রী� বিয়ের কয়ে� বছরে� মধ্য� মারা গেলো, তফাতটা এই কাজলের মত� কো� সন্তান বিভূতি� প্রথ� স্ত্রী� ঘর� হয� নি� যতদূ� জানি তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায� এর জন্মের আগ� পর্যন্� বিভূতি ভূষণ একটি সন্তানের জন্য, বাবা ডা� শোনা� জন্য দীর্ঘদিন আকুল ছিলেন। কাজল তা� সে� তৃষি� পিতৃ হৃদয়ে� কল্পনা� এত� মায়� দিয়� চরিত্রটি বিভূতি ভূষণ সৃষ্টি করেছেন তা� কো� তুলন� হয� না� জীবন� দারিদ্র্যে� সাথে, অবহেলা� সাথে, হৃদয� হীনতার সাথে বিভূতি ভূষণ এর ঘনিষ্ঠ যোগাযো� ছিলো বলেই বিভূতি� বর্ণনা এত� নিঁখুত, অপারিজ� এত� জীবন্ত, সর্বজয়া যে� তা� � মা, সারা জীবন যিনি দুঃখ পেয়েই কাটিয়� দিলেন। বিভূতি ভূষণ যদ� ভাগ্যে� সাথে নিয়� যুদ্ধে হেরে দুঃখ� হতাশ হয়ে হা� ছেড়� দিতে�, লেখা লেখিতে উৎসা� ধর� না রাখতেন তা হল� এই সাহিত্� আমরা পেতা� কই� অপরাজিতত� বিভূতি ভূষণ নিজে� বলেছেন আফ্রিকার কো� নিভৃ� পল্লী� দরিদ্র বালক যাকে তা� বাবা মায়ের কা� থেকে দা� ব্যবসায়ীরা কেড়� নিয়� দূ� দেশে চল� গে�, কত দে� কত সমুদ্র দূরে, সে যদ� নিজে� দুঃখ বেদন� ভর� জীবনের কথ� লিখত� পারত� কত� মহ� সাহিত্� আমরা পেতাম। বিভূতি ভূষণ এর মত� লেখকদে� আজ� বড� দরকার। দে� কা� সময়ের ব্যবধানে মানু� তো এক�, দুঃখ গুলো� কারণ হয়ত� পালটেছ�, চেহারা পল্টায� নি, সুখে� হেতু হয়ত� বদলেছে পরিমাণ বাড়� নি বা কম� নি� এই সময়ের মানুষে� কথ� এভাব� লেখা� মানু� কি আছ�? মহ� দুঃখ বা মহ� সু� যা� হো� না কে� সত্যিকারের জীবনের গল্প সব লেখায় পা� না� অপরাজি� সে� বিরল লেখাগুলো� মধ্য� একটা যা আমার চোখে জল নিয়� এসেছে। এই কৃতিত্� বিভূতি ভূষণ আর� অনেকবা� দেখিয়েছেন� যু� যু� বেঁচ� থাকু� বিভূতি ভূষণ পাঠকের হৃদয়ে, যু� যু� বেঁচ� থাকু� অপরাজি� বইয়ের পাতায়, �-বুকে� ফাইল�, লাইব্রেরী� তাকে, পাঠকের ভাবনায়।
June 26, 2023
"অপরাজি�"
নামে� মতোই অপরাজেয় এক আখ্যান�
নামে� মতোই অপরাজেয় এক আখ্যান�
April 9, 2021
এর থেকে সুন্দর আর কিছু হত� পারে?
আমার পড়া সব থেকে বেস্� � টা বইয়ের মদ্ধ্য� থাকব� পথের পাঁচাল�-অপরাজিত। কিন্� অপরাজি� যে� পথের পাঁচালির থেকে� সুন্দর�
কত্ত মায়� দিয়� প্রতিট� লাইন লেখা� পড়ত� পড়ত� ইচ্ছ� হয� আস্ত� আস্ত� পড়ি, পড়লেই তো শেষ। আফসো�, এম� লেখা এখ� আর পাওয়া যায়না�
আমার পড়া সব থেকে বেস্� � টা বইয়ের মদ্ধ্য� থাকব� পথের পাঁচাল�-অপরাজিত। কিন্� অপরাজি� যে� পথের পাঁচালির থেকে� সুন্দর�
কত্ত মায়� দিয়� প্রতিট� লাইন লেখা� পড়ত� পড়ত� ইচ্ছ� হয� আস্ত� আস্ত� পড়ি, পড়লেই তো শেষ। আফসো�, এম� লেখা এখ� আর পাওয়া যায়না�
March 3, 2021
যদ� কে� বাংল� ভাষা পড়িতে পারে পথের পাঁচালী � অপরাজি� যে� সে পড়িয়� দেখে
February 14, 2019
I don't consider myself a book reviewer. No. These are not reviews. I write these as little notes to remind me of the books I read. Giving a star doesn't cut it for me. I would like to know years later what I had thought of a particular book, the words that had moved me, and the voices that had shaped me then.
I don't need to write a little note for 'Aparajito'. This book I will remember for the rest of my life along with 'Anna Karenina.' I cried at the end for Apu because you can't help but fall in love with him. I was awed at Bibhutibhushan's marvelous writing vision. Just simply one of the best books I have ever read in my life.
I don't need to write a little note for 'Aparajito'. This book I will remember for the rest of my life along with 'Anna Karenina.' I cried at the end for Apu because you can't help but fall in love with him. I was awed at Bibhutibhushan's marvelous writing vision. Just simply one of the best books I have ever read in my life.
April 2, 2015
Sinhala Translation by Late Chintha Lakshmi Sinhaarachchi ( I'm not very sure about the name) is a great one. She has translated this great novel from Bengali to Sinhala. The relationship between Apoorva and his close friend was fascinating.
April 15, 2022
বইটা শে� কর� এত মন খারা� লাগছে। কতবা� যে কাঁদলাম। এতটা মায়� কি কর� হত� পারে কো� গল্প? অপুর ভাবনাচিন্ত� গুলো মনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে� ইস কি সুন্দর� বিভূতিবাবু� লেখা� প্রেমে বারবার পড়ি আমি। আহ� কি অসাধার� বর্ণনা�
March 10, 2022
পথের পাঁচালী থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিলো অপুর� কিন্তু সেটাতে আর� অনেক প্বার্শচরিত্� মূ� চরিত্রের প্রাধান্� পেয়েছিলো। এটাত� প্রাধান্� দেয়� হয়েছে শুধু অপুকে।
অপ� যে অত� দরিদ্র ঘরের ছেলে� দুনিয়� দেখা� চোখট� তা� সবার থেকে আলাদা। বৈষয়ি� বিষয়গুল� সে বো��� না, পছন্দও কর� না� দু� চোখে অনেক স্বপ্ন পড়ালেখা শিখব�, দে� বিদে� ঘুরবে। বই পড়ত� পছন্� কর� সে�
অনেক আশ� নিয়� কলকাতায় এসেছিল� সে� তা� জীবনযুদ্ধে� গল্প শুরু হয� কলকাতা থেকেই। কোনোদি� একবেলা কোনোদি� আধবেলা কোনোদি� একেবারেই না খেয়�, অর্থের চিন্তায় পাগলপারা,অপমা� অসম্মা� কতকিছু অর্থাভাব� দরিদ্র স্বপ্নদর্শী এই ছেলেটা সহ্য করেছ�!
উপন্যাসে� নায়� বলেই তাকে একদম পারফেক্ট দেখানো হয়েছে তা কিন্তু না� অপ� একটু নির্বো�,একটু বড়া� কর� স্বভাব তার। যেটা সে একেবারেই দেখায় না সেটা হচ্ছ� তা� অভাব� না খেয়� সারাদি� কাটালে� সে কারো কাছে দারিদ্র্যে� কথ� মু� ফুটে বলতে পারে না, বর� মিথ্যা বড়া� কর� বা�-দাদা� জমিদারির� এমনই অদ্ভুত ছেলে অপু।
অপ� জীবন� কখনো সু� পায়নি,যখ� যেখানে থেকেছে তখনই সেখানে কষ্ট পেয়েছে। তারপরে� জীবনের শেষদিক� এস� তা� মন� হয়েছে "জীবন সার্থক,সবই তো পেলা�!" এই যে পথ চল�, দারিদ্র্যে� সাথে লড়া�,এই যে সর্বদা নতুন কিছু করবা� আকাঙ্ক্ষ� এগুল� যথেষ্ট ভোগায়,তা সত্ত্বেও এগুলোই তো মানুষক� পরবর্তী পথটা দেখায়! এগুলোর দরকা� আছে। ঠি� সে কারণেই অপ� চেয়েছিল� তা� ছেলে কাজলও লড়া� কর� বাঁচতে শিখুক।
অপুর জীবন� তা� বন্ধ� লীলা� গুরুত্� অনেক� লীলা একমাত্� মেয়� যে অপুক� দরিদ্র বল� দূরে ঠেলে দেয়নি,সে সবসময় অপুক� বুঝবার চেষ্টা করেছ�,মায়� করেছ�, ভালোবেসেছে� তা সত্ত্বেও কখনো� এট� ভাবা যায় না অপুর জীবন� তা� অর্ধাঙ্গিনী হয়ে অপর্ণা ছাড়� আর কে� আসতে পারে� অপুর সাথে সাথে অপর্ণাও শ্বাশত,আর অপর্ণাকে ছাড়� কাজলই বা কি কর� আসতো?
এই উপন্যাসে� কিছু কিছু জায়গা মনস্তাত্ত্বিক। সেটা বুঝত� হল� আপনাকে অপুর মতোই দুঃখী হত� হব�,তবেই অপুর কষ্টগুলো আপনাকে ছুঁত� পারবে।
কিছু কিছু কথ� এত ভালো লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ কর� যায় না� অপ� যখ� আফসো� কর� বলেছ�, � যে সমুদ্র� যে নাবিকট� চাকর� নিয়� যাচ্ছে ওর দেখা� আকাঙ্ক্ষ� হয়ত� অপুর মত� না� হয়ত� কোথা� তা� দেশে� বন্য ফু� ফুটে আছ� সে চেয়েও দেখে না,আকাশের রং পরিবর্তন তা� দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না,দক্ষিণ� বাতা� তারজন্� কো� নতুনত্� বয়ে আন� না� তা সত্ত্বেও ওই দে� বিদে� ঘুরব�,অপ� যে সব কিছু দেখে ফেলত� চায়, তুচ্ছাতিতুচ্� জিনিসও যাকে মুগ্� কর� সে কে� দেখত� পারে না?
অপ� দুঃখী� তা� জীবন� যত মানুষে� সংস্পর্শ তাকে আনন্� দিয়েছ� এক� এক� সবাই গেছে� আজ তাদে� কে� বেঁচ� নেই। অপ� এক�,অপ� সঙ্গীহীন। অপ� সর্বদা জীবনের সাথে লড়া� চালিয়� যায় বেঁচ� থাকা� জন্য,অর্থ উপার্জ� কর� দূরে কোথা� যাবা� জন্য,প্রানভরে পৃথিবীটাকে দেখা� জন্য� যদিও ক্ষণিকের জন্য কাজল তাকে আষ্টেপৃষ্ঠ� বেঁধ� ফেলেছিলো� কাজলের মধ্য� অপ� নিজেকে খুঁজ� পায়� তা� ছেলেবেলা� মূর্তিমা� রু� যে� কাজল�
যদিও গল্পটা কাজলের না� গল্পটা অপুর� বাংল� সাহিত্যে আমার সবচেয়� প্রিয় নায়� চরিত্র অপু। শুদ্ধত� � পবিত্র মনের প্রতী� অপু। একদম স্বপ্নের মত� অপু। ছন্নছাড়�,বোকা,জীবন পথের পথিক এই ছেলেটা যে কি মুগ্ধও করতে পারে! তা� কষ্টগুলো এতও কাঁদাত� পারে!
অপরাজি� পড়বার সময় প্রত� লাইন� মশগু� ছিলাম। একবারে না দুইবার পড়া� পর মন� হয়েছে উপন্যাসটার অন্তর্নিহি� অর্থ কিছুটা ধরতে পেরেছি� এট� এম� একটা উপন্যা� যে আপনি যতবারই পড়ে� নতুন কিছু পাবে�,যা আগেরবা� ধরতে পারেনন� বা অভিজ্ঞতা না থাকা� দরুন হৃদয� দিয়� অনুভ� করতে পারেননি। বাংল� সাহিত্যে আগাগোড়া লাইন� লাইন� খাপে খা� পারফেক্ট উপন্যা� বল� যদ� কিছু থেকে থাকে,আমার কাছে সেটা অপরাজিত।
অপুর মত� দুর্গারও যদ� একটা গল্প থাকত�! বিভূতিভূষণের হাতে দুর্গার� জীবনও যদ� পরিণতি পেতো! আহ� দুর্গা! আহ�!
অপ� যে অত� দরিদ্র ঘরের ছেলে� দুনিয়� দেখা� চোখট� তা� সবার থেকে আলাদা। বৈষয়ি� বিষয়গুল� সে বো��� না, পছন্দও কর� না� দু� চোখে অনেক স্বপ্ন পড়ালেখা শিখব�, দে� বিদে� ঘুরবে। বই পড়ত� পছন্� কর� সে�
অনেক আশ� নিয়� কলকাতায় এসেছিল� সে� তা� জীবনযুদ্ধে� গল্প শুরু হয� কলকাতা থেকেই। কোনোদি� একবেলা কোনোদি� আধবেলা কোনোদি� একেবারেই না খেয়�, অর্থের চিন্তায় পাগলপারা,অপমা� অসম্মা� কতকিছু অর্থাভাব� দরিদ্র স্বপ্নদর্শী এই ছেলেটা সহ্য করেছ�!
উপন্যাসে� নায়� বলেই তাকে একদম পারফেক্ট দেখানো হয়েছে তা কিন্তু না� অপ� একটু নির্বো�,একটু বড়া� কর� স্বভাব তার। যেটা সে একেবারেই দেখায় না সেটা হচ্ছ� তা� অভাব� না খেয়� সারাদি� কাটালে� সে কারো কাছে দারিদ্র্যে� কথ� মু� ফুটে বলতে পারে না, বর� মিথ্যা বড়া� কর� বা�-দাদা� জমিদারির� এমনই অদ্ভুত ছেলে অপু।
অপ� জীবন� কখনো সু� পায়নি,যখ� যেখানে থেকেছে তখনই সেখানে কষ্ট পেয়েছে। তারপরে� জীবনের শেষদিক� এস� তা� মন� হয়েছে "জীবন সার্থক,সবই তো পেলা�!" এই যে পথ চল�, দারিদ্র্যে� সাথে লড়া�,এই যে সর্বদা নতুন কিছু করবা� আকাঙ্ক্ষ� এগুল� যথেষ্ট ভোগায়,তা সত্ত্বেও এগুলোই তো মানুষক� পরবর্তী পথটা দেখায়! এগুলোর দরকা� আছে। ঠি� সে কারণেই অপ� চেয়েছিল� তা� ছেলে কাজলও লড়া� কর� বাঁচতে শিখুক।
অপুর জীবন� তা� বন্ধ� লীলা� গুরুত্� অনেক� লীলা একমাত্� মেয়� যে অপুক� দরিদ্র বল� দূরে ঠেলে দেয়নি,সে সবসময় অপুক� বুঝবার চেষ্টা করেছ�,মায়� করেছ�, ভালোবেসেছে� তা সত্ত্বেও কখনো� এট� ভাবা যায় না অপুর জীবন� তা� অর্ধাঙ্গিনী হয়ে অপর্ণা ছাড়� আর কে� আসতে পারে� অপুর সাথে সাথে অপর্ণাও শ্বাশত,আর অপর্ণাকে ছাড়� কাজলই বা কি কর� আসতো?
এই উপন্যাসে� কিছু কিছু জায়গা মনস্তাত্ত্বিক। সেটা বুঝত� হল� আপনাকে অপুর মতোই দুঃখী হত� হব�,তবেই অপুর কষ্টগুলো আপনাকে ছুঁত� পারবে।
কিছু কিছু কথ� এত ভালো লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ কর� যায় না� অপ� যখ� আফসো� কর� বলেছ�, � যে সমুদ্র� যে নাবিকট� চাকর� নিয়� যাচ্ছে ওর দেখা� আকাঙ্ক্ষ� হয়ত� অপুর মত� না� হয়ত� কোথা� তা� দেশে� বন্য ফু� ফুটে আছ� সে চেয়েও দেখে না,আকাশের রং পরিবর্তন তা� দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না,দক্ষিণ� বাতা� তারজন্� কো� নতুনত্� বয়ে আন� না� তা সত্ত্বেও ওই দে� বিদে� ঘুরব�,অপ� যে সব কিছু দেখে ফেলত� চায়, তুচ্ছাতিতুচ্� জিনিসও যাকে মুগ্� কর� সে কে� দেখত� পারে না?
অপ� দুঃখী� তা� জীবন� যত মানুষে� সংস্পর্শ তাকে আনন্� দিয়েছ� এক� এক� সবাই গেছে� আজ তাদে� কে� বেঁচ� নেই। অপ� এক�,অপ� সঙ্গীহীন। অপ� সর্বদা জীবনের সাথে লড়া� চালিয়� যায় বেঁচ� থাকা� জন্য,অর্থ উপার্জ� কর� দূরে কোথা� যাবা� জন্য,প্রানভরে পৃথিবীটাকে দেখা� জন্য� যদিও ক্ষণিকের জন্য কাজল তাকে আষ্টেপৃষ্ঠ� বেঁধ� ফেলেছিলো� কাজলের মধ্য� অপ� নিজেকে খুঁজ� পায়� তা� ছেলেবেলা� মূর্তিমা� রু� যে� কাজল�
যদিও গল্পটা কাজলের না� গল্পটা অপুর� বাংল� সাহিত্যে আমার সবচেয়� প্রিয় নায়� চরিত্র অপু। শুদ্ধত� � পবিত্র মনের প্রতী� অপু। একদম স্বপ্নের মত� অপু। ছন্নছাড়�,বোকা,জীবন পথের পথিক এই ছেলেটা যে কি মুগ্ধও করতে পারে! তা� কষ্টগুলো এতও কাঁদাত� পারে!
অপরাজি� পড়বার সময় প্রত� লাইন� মশগু� ছিলাম। একবারে না দুইবার পড়া� পর মন� হয়েছে উপন্যাসটার অন্তর্নিহি� অর্থ কিছুটা ধরতে পেরেছি� এট� এম� একটা উপন্যা� যে আপনি যতবারই পড়ে� নতুন কিছু পাবে�,যা আগেরবা� ধরতে পারেনন� বা অভিজ্ঞতা না থাকা� দরুন হৃদয� দিয়� অনুভ� করতে পারেননি। বাংল� সাহিত্যে আগাগোড়া লাইন� লাইন� খাপে খা� পারফেক্ট উপন্যা� বল� যদ� কিছু থেকে থাকে,আমার কাছে সেটা অপরাজিত।
অপুর মত� দুর্গারও যদ� একটা গল্প থাকত�! বিভূতিভূষণের হাতে দুর্গার� জীবনও যদ� পরিণতি পেতো! আহ� দুর্গা! আহ�!
May 29, 2021
সে� 'পথের পাঁচালী'� পর থেকে� আমার সবচে' প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।এম� না যে বিভূতিভূষণের গল্প বলার ধর� খু� গতিময় বা গল্পটা� খু� অনন্য।কিন্তু কোথা� যে� বিভূতিভূষণ অন্য সবার চেয়� আলাদ�,অনন্য।তা� লেখা� প্রত� ছত্র� ছত্র� যে� মাটি� সোঁদ� গন্ধ ঠিকর� বেরোয়,একটা মায়াময় আব�,অকৃত্রিমতা - যা আর কে� তৈরি করতে পারেনন�,কখনো আর কে� পারবেন বল� মনেও হয� না�
'পথের পাঁচালী' আমার মন� একটা ছা� রেখে গিয়েছিলো।তীব্� দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ছোটখাট� আনন্� যে কতোটুক� প্রার্থনীয় হত� পারে আমাক� তা বুঝত� শিখিয়েছিল� 'পথের পাঁচালী'।খুব ইচ্ছ� থাকা সত্ত্বেও তখনই 'অপরাজি�' শুরু করতে পারিনি�'পথের পাঁচালী'� অনুভূত� নিঃশেষ হয়ে যাওয়া� পর শুরু করলা� 'অপরাজি�'।আবা� ফিরে এল� সে� মন কেমন কর� সময়,তীব্� দুঃখবো�,খানি� আনন্� এই বুঝি এবার আমাদের অপুর জীবন� ভালো কিছু হব�...এব� দিনশেষ� অনিঃশে� নিঃসঙ্গত�...
বিভূতিভূষণ অপুক� চিরাচরিত নায়কে� মত� গড়ে তুলেননি।তারও অনেক দো�-ত্রুটি রয়েছে আমাদের� মতোন।স� নিজেকে জাহি� করতে পছন্� কর�,মিথ্যা গর্ব কর� বেড়ায়।ইচ্ছ� করলে� সে লীলাকে অপর্ণা� কথ�,কাজলের কথ� বলতে পারে না কিংব� চায় না।স্ত্রী� গহনা বিক্রি কর� সে বই ছাপায়...তবুও অপুর রয়েছে একটা সবুজ,স্নিগ্� মন,যা তৈরি হয়েছিলো সে� নিশ্চিন্দিপুরে।বারবা� এই বইয়� ফিরে এসেছ� সে� নিশ্চিন্দিপু�,সে� দুর্গা,সে� বাল্যবন্ধুরা।সময়ে� ফেরে আজ নিশ্চিন্দিপু� ঠিকই আছ� কিন্তু নে� সে� দুর্গা,নে� সে� বাল্যবন্ধু� দল আর নে� সে� বয়স,সে� শৈশব...
অপুক� নিয়�,বিভূতিভূষণকে নিয়� চাইল� পাতা� পর পাতা লিখে যাওয়া যায়।কিন্ত� মনের সব অনুভূতিক� প্রকাশ কর� শব্দের কি সে� সাধ্� আছ�?'পথের পাঁচালী','অপরাজি�'� আবেদ� এব� টা� একেকজনের একেকরক�,একটা জীবনাদর্� যে� নিজে� মাটিকে অনুভ� কর�...জীবনকে নতুন রূপে দেখা� চো� খুলে যাওয়া...
একটা প্রশ্ন মাথায় বারবার আসছিলো 'অপরাজি�' পড়া� সময় থেকে� - বিভূতিভূষণ 'অপরাজি�' কিংব� 'পথের পাঁচালী' লিখেছে� প্রকৃতিক� অনুভ� করে।বর্তমানকালের বিষাক্� আবহাওয়া� যুগে,দূষণের যুগে,জনঅরণ্যে তিনি কি পারতেন এভাব� লিখত�?নাকি শহরে� মানুষে� মত� তা� মন� একটা ক্ষুদ্� গন্ডিত� আটকে যেতো চিরতরে?
'পথের পাঁচালী' আমার মন� একটা ছা� রেখে গিয়েছিলো।তীব্� দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ছোটখাট� আনন্� যে কতোটুক� প্রার্থনীয় হত� পারে আমাক� তা বুঝত� শিখিয়েছিল� 'পথের পাঁচালী'।খুব ইচ্ছ� থাকা সত্ত্বেও তখনই 'অপরাজি�' শুরু করতে পারিনি�'পথের পাঁচালী'� অনুভূত� নিঃশেষ হয়ে যাওয়া� পর শুরু করলা� 'অপরাজি�'।আবা� ফিরে এল� সে� মন কেমন কর� সময়,তীব্� দুঃখবো�,খানি� আনন্� এই বুঝি এবার আমাদের অপুর জীবন� ভালো কিছু হব�...এব� দিনশেষ� অনিঃশে� নিঃসঙ্গত�...
বিভূতিভূষণ অপুক� চিরাচরিত নায়কে� মত� গড়ে তুলেননি।তারও অনেক দো�-ত্রুটি রয়েছে আমাদের� মতোন।স� নিজেকে জাহি� করতে পছন্� কর�,মিথ্যা গর্ব কর� বেড়ায়।ইচ্ছ� করলে� সে লীলাকে অপর্ণা� কথ�,কাজলের কথ� বলতে পারে না কিংব� চায় না।স্ত্রী� গহনা বিক্রি কর� সে বই ছাপায়...তবুও অপুর রয়েছে একটা সবুজ,স্নিগ্� মন,যা তৈরি হয়েছিলো সে� নিশ্চিন্দিপুরে।বারবা� এই বইয়� ফিরে এসেছ� সে� নিশ্চিন্দিপু�,সে� দুর্গা,সে� বাল্যবন্ধুরা।সময়ে� ফেরে আজ নিশ্চিন্দিপু� ঠিকই আছ� কিন্তু নে� সে� দুর্গা,নে� সে� বাল্যবন্ধু� দল আর নে� সে� বয়স,সে� শৈশব...
অপুক� নিয়�,বিভূতিভূষণকে নিয়� চাইল� পাতা� পর পাতা লিখে যাওয়া যায়।কিন্ত� মনের সব অনুভূতিক� প্রকাশ কর� শব্দের কি সে� সাধ্� আছ�?'পথের পাঁচালী','অপরাজি�'� আবেদ� এব� টা� একেকজনের একেকরক�,একটা জীবনাদর্� যে� নিজে� মাটিকে অনুভ� কর�...জীবনকে নতুন রূপে দেখা� চো� খুলে যাওয়া...
একটা প্রশ্ন মাথায় বারবার আসছিলো 'অপরাজি�' পড়া� সময় থেকে� - বিভূতিভূষণ 'অপরাজি�' কিংব� 'পথের পাঁচালী' লিখেছে� প্রকৃতিক� অনুভ� করে।বর্তমানকালের বিষাক্� আবহাওয়া� যুগে,দূষণের যুগে,জনঅরণ্যে তিনি কি পারতেন এভাব� লিখত�?নাকি শহরে� মানুষে� মত� তা� মন� একটা ক্ষুদ্� গন্ডিত� আটকে যেতো চিরতরে?
February 7, 2024
*� � ১০
যত� বল� না কে� প্রশংসার ঘাটত� থেকে যাবে� এত� সুন্দরভাবে একজন মানুষে� জন্ম থেকে তা� জীবন� ঘট� যাওয়া ঘটনা গুলো কে� তুলে ধরতে পারে! পুরো বইজুরে যে� দারিদ্� নামক অভিশাপকে লেখক ভালো ভাবে তুলে ধরেছেন� পুরো বইজুরে লেখক দেখানো� চেষ্টা করেছেন, নিজে� শিকড� ছেড়� অন্য কোথা� থাকত� গেলে সে� শিকড� বা� বা� মন� করিয়ে দেয় তা� অস্তিত্ব� শেষে� দিকে লেখক খু� ভালোভাবে এই আধুনিক যুগে� মানুষে� লক্ষ্যকে প্রশ্নের মধ্য� ফেলেছেন। এইযে আমরা টাকা আর ফেমে� পিছে ছুটছ�, এইগুলা কি আস� সুখে� কারন?
যত� বল� না কে� প্রশংসার ঘাটত� থেকে যাবে� এত� সুন্দরভাবে একজন মানুষে� জন্ম থেকে তা� জীবন� ঘট� যাওয়া ঘটনা গুলো কে� তুলে ধরতে পারে! পুরো বইজুরে যে� দারিদ্� নামক অভিশাপকে লেখক ভালো ভাবে তুলে ধরেছেন� পুরো বইজুরে লেখক দেখানো� চেষ্টা করেছেন, নিজে� শিকড� ছেড়� অন্য কোথা� থাকত� গেলে সে� শিকড� বা� বা� মন� করিয়ে দেয় তা� অস্তিত্ব� শেষে� দিকে লেখক খু� ভালোভাবে এই আধুনিক যুগে� মানুষে� লক্ষ্যকে প্রশ্নের মধ্য� ফেলেছেন। এইযে আমরা টাকা আর ফেমে� পিছে ছুটছ�, এইগুলা কি আস� সুখে� কারন?
September 17, 2019
In each of us a child has lived and a child has died - a child of promise, who never grew up.
পাঁচালী� নায়� বালক অপুর বেড়� উঠ�, তাঁর স্মৃতিকাতরতা, তাঁর জীবন যুদ্ধে অবিরাম লড়ে যাওয়া, অপরাজি�-অদমনীয় জীবনস্পৃহা, চর� একাকীত্�-দারিদ্র্যে� মাঝে� জীবনের মানে খুঁজ� পাওয়া আর সবকিছু� উপরে বিভূতি� প্রকৃতিপ্রেমের অনন্� স্বাক্ষর - এই হল� অপরাজিত।
পথের পাঁচালী ছাপাতে যে লেখককে প্রকাশকে� দ্বারে দ্বারে ঘুরত� হয়েছে, শেষে কিছু বন্ধুর সাহায্যে সে বইয়ের আত্মপ্রকাশ� অপরাজি� ছাপাতে তিনি পত্রিক� থেকে অনুরোধ পেয়েছেন� গুণমুগ্ধ পাঠকদে� চিঠি পেয়� হয়েছে� উদ্বেলিত� দিকে দিকে সেসবের কথ� বলতে� গর্বভরে। � পর্যন্� পাঠে যদ� হালক� কিছু অপূর্ব রায়ের গন্ধ পাওয়া গিয়� থাকে, তবেই প্রমাণিত হয� বিভূতি ব্যানার্জি� ছায়াই হচ্ছ� অপু। ইছামতি� পাড়ের অপূর্বকুমা� রায়�
স্বভাবতই পাঁচালী পড়া� পর অপরাজিতে� উপ� আশ� অনেক বেড়� যায়� লেখকের অপরূ� মায়ায� গড়ে তোলা অপুর বড� হয়ে উঠ�-তা� জীবনের কথকত� কতটা মহান হয়ে উঠবে! বিভূতি মোটে� হতাশ করেননি� একইরকম যত্ন, একইরকম প্রকৃতির আবেশ� তিলে তিলে কাহিনী� পাটোন্মোচন, দারিদ্র্যে� রোমান্টিসিজম, সবকিছু ছাপিয়� অপরাজি� জীবনের জয়গান - সব পুরোদম� উপস্থিত।
আর প্রকৃতির আবর্তন, জীবজগতের নিয়তচক্রে� সাথে মানুষে� যে গহী� সম্পর্� উদ্ঘাট�, সাথে অনাদিকাল ধর� জীবনের পর্যায়ক্রমি� আবর্�; পু্ত্রের স্থল� পিতা, পিতা� স্থল� পুত্� - এসবে� নিগূঢ় রহস্� উন্মোচ�, তা বিভূতি করেছেন চিরচেন� ছোঁয়ায় আর অপরিসী� মায়ায়। এত� হাহাকা�, এত� তৃষ্ণা, এত� দুঃখ, এত� ক্ষুধা, এত� রূ�, এত� মায়�-এসবে� সুবিচা� উপন্যাসে তো বিভূতি থেকে� পাই। যত দূরে� চল� যা� অপ�-শত ইটপাথরের কাঠিন্যে, গহী� অরণ্যে� বুকে, পাহাড়� নদী� পাড়� কোমল বনফুলে� আবেশ�, দর্শনীয় স্থানে� মাঝে-সেখানে� অপুর হৃদয়ে থাকে সে� গ্রামে� খোলা আকাশ, মাদকতাভর� মাটি� গন্ধ, স্নিগ্�-কোমল বাতাসে� ছোঁয়া� আজীবন ধর� শৈশব� ফিরে যাওয়া� আকুতি। মহ� জীবনটাকে সে নতুন কর� দেখত� শিখে, নশ্ব� হয়ে� অপারের মহিম� অনুধাব� করতে চায়� তাঁর দার্শনিক সত্ত্ব� সক� আনন্�-সক� সুখে� মানে খুঁজ� পায়� অর্থ-যশ থেকে� যে মহত্তর সার্থকতা জীবন� রয়েছে সেটা� অনুধাবনই অপুর জীবনশিক্ষা�
"যে নিশ্চিন্দিপু� অপুক� বাল্যকাল� কব� করেছিল, সে� গ্রামটিই বয়সকালে তাঁক� কর� ভাবু�-দার্শনিক� দি� উচ্চতর জীবনের দিশা�"
এর� সাথে পাঠক অনুধাব� কর�, কাজলের মাঝে ধীরে ধীরে কিভাবে পাঁচালী� ছোট্� অপুর পুনরাবিষ্কার হয়। হরিহ� রায়ের অনুভূত� অপ� অনুভ� করতে পারে� অপুর আরেকটি বিশে� দি� হল� মা সর্বজয়া� প্রত� অপরিসী� দরদ। শহুর� শিক্ষি� হয়ে� অপ� ভুলত� পারে না মনসাপোতায় তাঁর দুখিনী মাকে� নিস্তরঙ্� জীবনের একঘেয়েম� থেকে মুক্তি পেতে সে জননী� শরণাপন্ন হয�, অসী� বিস্ময়ে নারীজাতি� � অনন্� রূ� সে ধীরে ধীরে অনুভ� করে। কলেজের কষ্টের মাঝে� সুচিন্তি� পদক্ষে� না নিতে পারা� দুর্ভাবন� থাকলেও সে মাকে হতাশ কর� না� নিশ্চিন্দিপুরে আমবাগা� সে মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য কিনে ফেলে� মাতৃবিয়োগ� উন্মাদপ্রায় দশায� পৌঁছলে� দর্শনযাত্রার প্রথ� পদক্ষে� সেখা� থেকেই। নারী� স্নেহময়ী� সন্ধান এখানেই পায় অপু।
না জেনে ভবিতব্� অর্ধাঙ্গিনীকে প্রথ� দেখে অপুর মানসিক অবস্থা� বর্ণনা বো� কর� কালিদা�, ভারতচন্দ্র, রবীন্দ্রে� পর বাংল� সাহিত্যে নারীসৌন্দর্য বর্ণনায় অন্যতম প্রণিধানযোগ্যঃ
"Do they breed goddesses at Slocum Magna?"
অপ� স্ত্রী� মাধ্যম� আবিষ্কার কর� নারীপ্রেমে� সর্বংসহা রূপ। অভিভূত হয�, আপ্লুত হয়। হয� প্লাবিত। ক্ষণস্থায়ী হলেও এই ঐশ্বরি� প্রেমে� মধ্য দিয়� সে জীবনের আর� বড� সত্য খুঁজ� পায়� সেটা হল আবেগের মূল্য। খু� ছো� ছো� খুনসুট�, ছো� কিছু আক্ষেপ, ছো� কিছু মুহুর্� তাঁক� আজীবন তাড়� কর� ফেরে� আর ছোটবেলার লীলা তাঁর জীবন� আস� রহস্যময় প্রেমে� পতাক� হিসেবে� সে এই সম্পর্কক� কোনভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে পারে না� কিন্তু এর গভীরত� অনুভূত হয� প্রত� পদক্ষেপে� দূরে থেকে� কাছে থাকা, একটি দুটি শব্দ� নৈকট্যের ছোঁয়া লা� কর�-� আবেশ সাধারণ প্রেমে� পরিচায়ক নয়। দূরত্ব-বিরহের মাঝে অপ� নারী� মাঝে মায়াবতী� খোঁজ পায়�
শেষকাল� রানুদি� মাধ্যম� সে ফিরে পায় ভগ্নীস্বরূপ মায়া। নিজে� পছন্দে� সম্প� কাজলকে রেখে অপ� যখ� সাগর-পাহাড়ের ডাকে দেশান্তরী হয�-তা� ভরসা� আশ্রয় ছি� এই রানুদি�
বন্ধুত্বের পর� পিপাসা সে মেটাতে পারে অনিল, প্রণ�, দেবব্রতদের মাধ্যমে। মনের মি�, চিন্তা� উৎকর্ষ আর ভাবে� সাযুজ্�-এসবে� উপ� ভিত্তি করেই অপুর জীবন� আস� কিছু মহ� বন্ধু। অনিলকে অকাল� হারালে� প্রণ� ছি� আজীবন� আর সে� সাথে সত্যিকারের বন্ধ� সম্পর্কে শিক্ষা সে ধীরে ধীরে পেতে থাকে� দুধে� মাছি � সুখে� পায়রাদে� রেখে অপ� আস� সোনা চিনত� শেখে বহ� কষ্টে।
অপুর রুচিশীলত� এখান� চোখে পড়া� মত� দৈন্�-দারিদ্র্যক� ছাপিয়� সে কিছুটা অহ� নিতে শেখে� ছো� থাকা� জায়গা� হালক� শৌখিনত� না আসলে অপুর হয� না� না খেয়�-পর� থাকলেও অপুর মুখচোর� স্বভাব যায় না� প্রব� আত্মসম্মান নিয়� বেড়� উঠ� নায়� অপু। এখানেই তাঁর চরিত্রের শক্তি। এখানেই তাঁর মহত্ত্ব। নিজে� শখের ভা� নিজে� বইতে শেখা-� শিক্ষা� যে অমূল্য� তা অপ� নিজে থেকে� শিখেছিল। প্রকৃতির কাছে শিক্ষি� অপ�, অত সহজে হা� মানা যে তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ।
বিদ্যা আর ভ্রম� পিপাসু অপুর দেখা মেলে সর্বদা� দর্শনে� তত্ত্ব, ইতিহাসের রোমাঞ্�, ভ্রমণকাহিনী-এসবে বুঁদ হয়ে থাকত অপ� হরহামেশা� ক্ষুধায় দুর্বল হয়ে পরলে� লাইব্রেরিত� এলেই চাঙ্গা হয়ে উঠ� আমাদের নায়ক। দারিদ্র্� তাঁর মনের শুভ্রত�, আত্মার শুদ্ধতাত� আঁচড� দিতে পারে নি একটুও। যেখানে� গিয়েছ� অপ�, সেখানে� খুঁজ� ফিরেছে মুক্তি� পথ� আলোর দিশা� এখানেই অপরাজি� স্বত্বার জয়গান� এখানেই জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য�
তাইত� অপ�,সমগ্� ব্রহ্মাণ্ডের যে আত্ম�, সে বলতে পারে�
I am the owner of the sphere
Of the seven stars and the solar year
November 13, 2014
second book of apu trilogy is a bit more sad... less hopes... but yes... full of life.. I felt.. you can see the cycle of life nd time moves forward with no sympathy to you... but the nature , your dear ones still adds meaning, beauty and love to your life... even the melancholy has a tune in this novel which turns our heart a bit dense.. but at the same time u are curious about apus future.. I avoided reading the third book.. just because I know it will make me do nothing else but complete that book... so kept the book for later reading..
December 10, 2014
"পথের পাঁচালী"� সিক্যুয়াল "অপরাজি�"� দুটো উপন্যা�-� কিছুটা বায়োগ্রাফ� টাইপের� সত্যজি� রায় এই দু� উপন্যাসে� উপ� বেইজ কর� তিনট� মুভি করেছিলেন� "পথের পাঁচালী" পড়ে তারপ� যখ� মুভি দেখত� বসলা� তখ� মন� হল�, বই পড়া� পর মুভি দেখা ঠি� না� কারন মুভিতে অনেক ছো� ছো� চরিত্র ইগনো� কর� হয়। যাইহোক, "অপরাজি�" পড়ত� গিয়� অনেক বা� গল� জড়িয়� এসেছিলো। সন্তানের জন্য মায়ের আত্নত্যা�, দারিদ্রত�/ক্ষুধা কে জয� কর�, বই পড়া� অদম্� ইচ্ছ�, ক্ষনিকের অপূর্ব প্রে�, আপনজ� হারানো� কষ্ট, এতিমের মত কারো সহানুভুত�/ভালোবাসা পাওয়া� আকূল ইচ্ছ� এব� আর কিছু বলবো না� বই পড়ে�.. :)
August 21, 2023
এক স্নিগ্ধতার আবেশ� মুড়োন� একটি সেরা উপন্যা�! আমার প্রিয় লেখকের সেরা একটা উপন্যা�,জীবন� একবা� হলেও অপরাজি� পড়া উচিত!
November 28, 2023
"MESMERIZING"
May 18, 2018
রিভি� টা মোটামুটি "পথের পাঁচালী এব� অপরাজি�" এর� একসাথেই। দুইট� উপন্যা� আলাদ� কর� / তাদে� মধ্য� কোনট� বেশি ভা� এরকম প্রশ্নের উত্ত� বে� কর� সম্ভ� হয� নি আমার দ্বারা�
বিভূতিভূষণের লিখা নিয়� কিছু বলার নাই। কিছু কিছু লিখা এত স্ট্রং হয� যে গল্প/উপন্যা� এর চরিত্রগুলো মাথা� ভিতর ঘুরত� থাকে� চাঁদের পাহাড়ের শংকর, ডিয়েগ� আলভারে�; আরন্যক এর সত্যচর� (Narrator) এর মত পথের পাঁচালী এব� অপরাজি� এর অপ� এম� � একটা চরিত্র�
অপরাজি� এর মূ� ম্যাজি� টা হল চরিত্রগুলো মোটে� ম্যাজিক্যা� কিছু না� বাস্তব জীবন থেকে বে� কর� আন� একেকটা চরিত্র� নিশ্চিন্দপুরের সে� ছোট্� অপুর জীবনের অনেককিছু যেমন আমার নিজে� সাথে মিলে যায়, তেমন� গৃহে� বাঁধ� ছেড়� নতুন স্কুলে যাওয়া, নতুন নতুন মানুষে� সাথে পরিচয়, কেমন জানি একটা বাঁধনছাড়া ভা�, সবকিছুতে প্রায় একটা মা� মোহাচ্ছন্ন ছিলা� যতক্ষন বইটা পড়েছি�
সব হারানো� দুঃখ সয়ে� জীবনকে নিজে� মত কর� উপভো� কর� যাওয়া� একটা তীব্� প্রবনত� খুঁজ� পাওয়া যায় বিভুতি� লেখনিতে। অদ্ভুত বিষন্নতায় ভর� অপুর শে� চিঠিতে� তা� খুঁজ� পাওয়া যায়, "জীবন খু� বড� একটা রোমান্� - বেঁচ� থেকে এক� ভো� করাই রোমান্� - অত� তুচ্ছত�, হীনত� একঘেয়� জীবন � রোমান্�"
নিজে� সৃষ্� চরিত্রগুলো� মাধ্যম� আজীবন পাঠকদে� মধ্য� বেঁচ� থাকা - একজন লেখকের জন্য এটাই বো� হয� সবচেয়� বড� সার্থকতা� সেদি� দিয়� বিভূতি এর চেয়� সার্থক খু� কম লেখক � আছেন�
বিভুতি� আরেকটি উপন্যাস। আরেকটি 5.0/5.0�
বিভূতিভূষণের লিখা নিয়� কিছু বলার নাই। কিছু কিছু লিখা এত স্ট্রং হয� যে গল্প/উপন্যা� এর চরিত্রগুলো মাথা� ভিতর ঘুরত� থাকে� চাঁদের পাহাড়ের শংকর, ডিয়েগ� আলভারে�; আরন্যক এর সত্যচর� (Narrator) এর মত পথের পাঁচালী এব� অপরাজি� এর অপ� এম� � একটা চরিত্র�
অপরাজি� এর মূ� ম্যাজি� টা হল চরিত্রগুলো মোটে� ম্যাজিক্যা� কিছু না� বাস্তব জীবন থেকে বে� কর� আন� একেকটা চরিত্র� নিশ্চিন্দপুরের সে� ছোট্� অপুর জীবনের অনেককিছু যেমন আমার নিজে� সাথে মিলে যায়, তেমন� গৃহে� বাঁধ� ছেড়� নতুন স্কুলে যাওয়া, নতুন নতুন মানুষে� সাথে পরিচয়, কেমন জানি একটা বাঁধনছাড়া ভা�, সবকিছুতে প্রায় একটা মা� মোহাচ্ছন্ন ছিলা� যতক্ষন বইটা পড়েছি�
সব হারানো� দুঃখ সয়ে� জীবনকে নিজে� মত কর� উপভো� কর� যাওয়া� একটা তীব্� প্রবনত� খুঁজ� পাওয়া যায় বিভুতি� লেখনিতে। অদ্ভুত বিষন্নতায় ভর� অপুর শে� চিঠিতে� তা� খুঁজ� পাওয়া যায়, "জীবন খু� বড� একটা রোমান্� - বেঁচ� থেকে এক� ভো� করাই রোমান্� - অত� তুচ্ছত�, হীনত� একঘেয়� জীবন � রোমান্�"
নিজে� সৃষ্� চরিত্রগুলো� মাধ্যম� আজীবন পাঠকদে� মধ্য� বেঁচ� থাকা - একজন লেখকের জন্য এটাই বো� হয� সবচেয়� বড� সার্থকতা� সেদি� দিয়� বিভূতি এর চেয়� সার্থক খু� কম লেখক � আছেন�
বিভুতি� আরেকটি উপন্যাস। আরেকটি 5.0/5.0�
April 12, 2022
** Books 29 - 2022 **
Buku ini untuk menyelesaikan Red Taylor's Reading Challenge 2022 - RED dan Tsundoku Books Challenge 2022
3,6 dari 5 bintang!
Sudah lama buku sekuelnya bertengger di rak lemari digitalku. Ketika ada tantangan baca membaca buku dengan cover buku berwarna merah aku jadi teringat memiliki buku ini
Kisah tokoh utama Apu dikala anak-anak hingga dewasa diceritakan dengan baik dan sendu. Kenapa dikatakan sendu karena kisah lika-liku kehidupannya dari awal sampai akhir halaman berakhir dengan pahit. Tidak ada bagian kehidupan Apu yang membahagiakan rasanya dibuku kecuali ketika dia menikah dengan Aparna. Sisanya hanya kedukaan, kemiskinan, rasa kehampaan hati hingga Apu yang ingin selalu berpetualang ke tempat-tempat yang ia belum pernah datangi tanpa ada keterikatan dengan apapun.
Thanks a lot Scoop for the 80% discount from IDR 72.900 into IDR 14.580! Happy 6th Anniversary!
Buku ini untuk menyelesaikan Red Taylor's Reading Challenge 2022 - RED dan Tsundoku Books Challenge 2022
3,6 dari 5 bintang!
Sudah lama buku sekuelnya bertengger di rak lemari digitalku. Ketika ada tantangan baca membaca buku dengan cover buku berwarna merah aku jadi teringat memiliki buku ini
Kisah tokoh utama Apu dikala anak-anak hingga dewasa diceritakan dengan baik dan sendu. Kenapa dikatakan sendu karena kisah lika-liku kehidupannya dari awal sampai akhir halaman berakhir dengan pahit. Tidak ada bagian kehidupan Apu yang membahagiakan rasanya dibuku kecuali ketika dia menikah dengan Aparna. Sisanya hanya kedukaan, kemiskinan, rasa kehampaan hati hingga Apu yang ingin selalu berpetualang ke tempat-tempat yang ia belum pernah datangi tanpa ada keterikatan dengan apapun.
Thanks a lot Scoop for the 80% discount from IDR 72.900 into IDR 14.580! Happy 6th Anniversary!
December 10, 2019
অনেককা� (!) আগ�, বয়ঃসন্ধিত� একবা� পড়েছিলাম। এখ� আবার পড়লাম, বহুদিন ইচ্ছ� কর� দূরে সরিয়ে রাখা� পর� পড়া� পর অনেককিছু নতুন ঠেকলো। মাথা� মধ্য� অনেককিছু ঘুরছে।
প্রথমে আস� এই বইয়ের সাহিত্যমানের জায়গায়� সাহিত্� আর কাব্� কিন্তু এক জিনি� না� সাহিত্� হচ্ছ� সমাজের হিতে আস� যা, কাব্� হিতাহিতে� বিচা� কর� না�
তো, আমাদের যে হিতাহিতে� বিবেচন�, তাতে এই বইটিকে কোনোভাবে� সাহিত্� বল� চল� না� কেরাণী পিতা-মাতারা (কেরাণী এখান� পেশা না, স্বভাব� মধ্যবিত্তে� ছাপোষা জীবনের স্বভাব�) এরকম বইকে 'আউ� বই' বল� সন্তানের হাতে নাগালে� বাইর� রাখত� চান। নাহল� দুরন্ত পড়ুয়�, উদার, বাউণ্ডুল� হয়ে যেতে পারে� তাতে কেরাণী হওয়ার বড্ড অসুবিধা। এমনট� আমাদের জন্য হিতক� নয�, এমনট� তা� সাহিত্� নয়।
কাব্� অবশ্� হিতে� ধা� ধারে না� কারো কাছে সাহিত্� হবার আবদা� ধর� না� অপরাজি� যথার্থ কাব্য। অত্যন্� ব্যক্তিগ�, যে� নিজে� সঙ্গ� কথ� বলার মত� অপ� অসামাজিক� সংবেদনশী�, উদার, তব� অসামাজিক� সেটা� তা� জোর। সে শুধু কুড়োয�, কিচ্ছু ফেলে না, কিচ্ছু তা� কাছে ছো� না� জীবনকে দেখা� এই শিশুত্� সারাজীবন বয়ে নিয়� গেছে সে� অথ�, কোথায় বড়ও হয়ে গেছে ইতমধ্যে। মাঝখান� একটা দীঘি� মত স্থি� বিষা�, পুরোটা বই জুড়ে।
প্রথমে আস� এই বইয়ের সাহিত্যমানের জায়গায়� সাহিত্� আর কাব্� কিন্তু এক জিনি� না� সাহিত্� হচ্ছ� সমাজের হিতে আস� যা, কাব্� হিতাহিতে� বিচা� কর� না�
তো, আমাদের যে হিতাহিতে� বিবেচন�, তাতে এই বইটিকে কোনোভাবে� সাহিত্� বল� চল� না� কেরাণী পিতা-মাতারা (কেরাণী এখান� পেশা না, স্বভাব� মধ্যবিত্তে� ছাপোষা জীবনের স্বভাব�) এরকম বইকে 'আউ� বই' বল� সন্তানের হাতে নাগালে� বাইর� রাখত� চান। নাহল� দুরন্ত পড়ুয়�, উদার, বাউণ্ডুল� হয়ে যেতে পারে� তাতে কেরাণী হওয়ার বড্ড অসুবিধা। এমনট� আমাদের জন্য হিতক� নয�, এমনট� তা� সাহিত্� নয়।
কাব্� অবশ্� হিতে� ধা� ধারে না� কারো কাছে সাহিত্� হবার আবদা� ধর� না� অপরাজি� যথার্থ কাব্য। অত্যন্� ব্যক্তিগ�, যে� নিজে� সঙ্গ� কথ� বলার মত� অপ� অসামাজিক� সংবেদনশী�, উদার, তব� অসামাজিক� সেটা� তা� জোর। সে শুধু কুড়োয�, কিচ্ছু ফেলে না, কিচ্ছু তা� কাছে ছো� না� জীবনকে দেখা� এই শিশুত্� সারাজীবন বয়ে নিয়� গেছে সে� অথ�, কোথায় বড়ও হয়ে গেছে ইতমধ্যে। মাঝখান� একটা দীঘি� মত স্থি� বিষা�, পুরোটা বই জুড়ে।
February 16, 2016
সবচেয়� প্রিয় বই� সবচেয়� প্রিয় চরিত্র�
Displaying 1 - 30 of 150 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.