ŷ

Tazmilur Rahman's Reviews > বিষা�-সিন্ধু

বিষাদ-সিন্ধু by Mir Mosharraf Hossain
Rate this book
Clear rating

by
151244240
's review

really liked it

� বিষা� সিন্ধু বলতে কী বুঝায় �

বিষা� সিন্ধু দুটি আলাদ� আলাদ� শব্দ� বিষা� � সিন্ধু� বিষা� শব্দের অর্থ দুঃখ, বিষন্নতা, ভরাক্রান্ত ইত্যাদি। আবার সিন্ধু শব্দের অর্থ সাগর বা সমুদ্র�
সহ� কথায� বিষা� সিন্ধু অর্থ দুঃখের সাগর বা দুঃখের সমুদ্র�

কিছু ওলাম� এব� শিক্ষাবীদগ� আবার বিষা� সিন্ধু� ব্যাখ্যা করেছেন একটু ভিন্� ভাবে� তারা বলেছেন : বিষা� শব্দের অর্থ বিষে ভরা। আবার সিন্ধু হচ্ছ� নদী� নাম। অর্থাৎ বিষে ভর� সিন্ধু নদীকে� বিষা� সিন্ধু বল� হয়।

� বিষা� সিন্ধু উপন্যাসট� মূলত {হযরত মুহাম্মদ (সা�)এর মেয়� } হযরত ফাতিমা (রা�) এব� মুসলিম জাহানে� চতুর্থ খলিফ� হযরত আলী (রা�) এর দু� ছেলে ইমাম হাসা� (রা�) � ইমান হোসে� (রা�) এর জীবন কাহিনী এব� সেইসাথ� তাদে� চর� শত্র� এজিদের পরাজয়ের কাহিনী নিয়� লেখা�

� সংক্ষিপ্� আলোচনা : �

হিজর� ৬১ সালে সংঘটিত কারবাল� যুদ্ধে� পূর্� এব� পরের কাহিনী এই উপন্যাসে� মূ� বিষয়। উপন্যাসট�
� পর্ব� বিভক্ত� যথ� :
�. মহরর� পর্ব
�. উদ্ধার পর্ব
�. এজিদ - বধ পর্ব
এগুল� যথাক্রমে ১৮৮৫, ১৮৮৭ � ১৮৯১ সালে তি� ভাগে প্রকাশী� হয়। যা পরবর্তীতে বিষা� সিন্ধু নামক একটি সম্পূর্ণ বই আকার� বে� হয়।

� নিচে তিনট� পর্বের সংক্ষিপ্� আলোচনা কর� হল�,

�.মহরর� পর্ব :

বিষা� সিন্ধু বইয়ের প্রথ� পর্বের না� মহরর� পর্ব� এখান� মো� ২৬ টি অধ্যায� রয়েছে�

� একদা মুহাম্মা� (সা�) কিছু সাহাবীদেরক� নিয়� আলোচনা সভ� করছিলেন। তখ� আল্লাহ� তর� থেকে জিবরাই� (আঃ) এস� নবীকে বলেলেন, সভায� থাকা মাবিয়� নামক এক সাহাবী� পুত্� দ্বারা আপনা� জীবনের থেকে� অত� আদরে� নাতি ইমাম হাসা� � ইমাম হোসে� হত্যাকান্ডের স্বীকা�
হবেন�

� কথ� শুনে মাবিয়� বললে� আম� কখনো� বিবা� কর� না� আমার সন্তান� জন্মিব� না�
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কথ� যে বিফল� যায় না সেটা� জানিয়� দিলে� মহানবী�
কয়েকদিন পর মাবিয়� ঘটনা ক্রম� বিবা� কর� এক বয়স্ক� মহিলাকে। বিবাহে� পরোই জন্ম নি� এক পুত্� সন্তান� না� রাখলেন এজিদ�
এজিদ এই উপন্যাসে� প্রধান কয়েকজ� চরিত্রের মধ্য� একজন� এজিদ এম� একজন দানব যা� অত্যাচার মদিন� জুরে কে� সহ্য করতে পারেননি।

বিষা� সিন্ধুতে এজিদ ইমাম হাসা� (রা�) স্ত্রী জয়নাবকে লাভে� তিব্� কামনাক� চিহ্নত কর� হয়েছে� এজিদ চরিত্র� নিষ্ঠুরত�, নির্মমতা,দানবীয় পৈশাচিকত� � অমানবি� আচরণ সবকিছু� ব্যাখ্যা � জয়নাম প্রেম।

জয়নাবকে পাওয়া� আসায� এজিদ ইমান হাসা� (রা�) কে মারা� ফন্দ� আাঁটলেন। এজিদ হাসানে� মধ্য� স্ত্রী জায়েদাক� দিয়� তা� স্বামী হাসা� (রা�) কে বি� পা� করিয়ে মৃত্যু বর� করান�

এরপর এজিদ হোসে� (রা�) কে� শে� করার জন্য কৌশল� তাকে তা� পরিবার � সৈন্যস� কারবালার প্রান্তর� নিয়� আসেন� সেখানে এজিদের সৈন্যর� হোসে� � তা� সাথীদে� সাথে যে কারখান� কর� বসেন তা ছি� খুবই হৃদয� বিদারক� কারবালার প্রান্তর বয়ে যায় রক্ত স্রতে। সেখানে� ইমাম হোসেনক� হত্য� করেন এজিদ সেনাপত� সিমার। ইমাম বংশে হোসে� পুত্� জয়নাল আবেদী� ছাড়� সেদি� আর কে� বেচে রই� না�

�. উদ্ধার পর্ব :

বিষা� সিন্ধু বইয়ের দ্বিতীয় পর্ব হল� উদ্ধার পর্ব� এখান� মো� ৩০ টি অধ্যায� রয়েছে�

� কারবালার যুদ্� শে� হবার পর এজিদ জয়নাল সহ,ইমাম বংশে� সব মহিলাক� তারা গৃহবন্দী কর� রাখেন।
উদ্ধার পর্ব� উল্লেখ আছ�, মহানবী (সা�) ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে, মোহাম্মদ হানিফা এস� এজিদ গৃহে বন্দী ইমাম বংশীয় সকলক� উদ্ধার করবেন।
পরবর্তীতে মহানবী (সা�) এর বাণী সঠিক হিসেবে প্রমানিত হয়।

এই পর্ব� ইমাম বংশীয়দে� উদ্ধার কর� হয� কীভাবে সে সব ইতিহাস ভালো ভাবে জানা যায়�
উদ্ধার কাজে হানিফা বাদে আর� কয়েকজ� যো� দিয়েছিল তারা হলেন : ওম� আলী, গাজী রহমা� এব� জয়নাল আবেদী� সহ আর� অনেক নবী প্রেমী ভাইয়েরা�

�. এজিদ - বধ পর্ব :

বিষা� সিন্ধু বইয়ের শে� পর্ব এটি। উপসংহারস� মো� � টি পর্ব রয়েছে এই অংশে�

� � পর্ব� এজিদের বিনা�, জয়নাল আবেদীনে� দামেস্� সিংহাস� লাভে� ঘটনা খু� সুন্দর ভাবে
বর্নিত রয়েছে�

� ভালো লাগা� মত� কিছু শিক্ষনীয় উক্ত� : �

�. “প্রণয�, স্ত্রী, রাজা,ধন এই কয়েকট� বিষয়ে� লো� বড� ভয়ানক� এই লোভে লোকে� ধর্ম,পুন্�,সাধুতা পবিত্রতা সমস্তই একেবার� সমূল� বিনা� প্রাপ্� হয়। �
�.“বিনাশ কর� অত� সহ�, রক্ষ� কর� বড়ই কঠিন"
�.“কপা� মন্দ হইলে তাহা� ফলাফ� ফিরাইত� কাহারো সাধ্� নেই।"
�.“সময়ে সকলে� সহ্য হয� কো� বিষয়ে অনভ্যা� থাকিলে বিপদকালে তাহা অভ্যস্� হইয়� পর�,মহ�
সুখে� শরীরে মহ� কষ্ট সহ্য হইয়� থাকে�"
�.“কপা� মন্দ হইলে তাহা� ফলাফ� ফিরাইত� কাহারো সাধ্� নেই। "
�.“য� আমার নয� আম� তাহা� কে� হইব।"
�.“বিশ্বাসী না হইলে নিরাপদের সু� ভো� কর� যায় না ; দুঃখ ভো� না করিল� সুখে� স্বা� পাওয়া যায় না�"

� লেখক এব� লেখকের লিখনশৈলী : �

বিষা� সিন্ধু উপন্যাসে� লেখক মী� মশাররফ হোসেন। তা� ছদ্ম না� গাজীমিয়াঁ� তিনি ১৩ নভেম্ব� ১৮৪৭ সালে কুষ্টিয়� জেলায় জন্মগ্রহ� করেন� এব� ১৯ ডিসেম্বর ১৯১২ সালে নবাবপু�,বালিয়াকান্দ�, রাজবাড়ীতে মৃত্যুবর� করেন� তিনি তা� জীবন� অনেক গ্রন্থ লিখে গেছেন। তা� প্রকাশী� গ্রন্থ প্রায় ৩৬ টি�

মী� মশাররফ হোসে� এর বিষা� সিন্ধু উপন্যা� দিয়� তা� বই পড়া� সূচন� হল� আমার� এট� একটি মহাকাব্যিক � বাংল� সাহিত্যে� জনপ্রিয় � প্রাচীনত� উপন্যাস।

লেখকের লিখনশৈলী� প্রশংস� অবশ্� কাম্য। সম্পূর্ণ উপন্যাসটিত� সাধু ভাষা� ব্যবহা� করেছেন তিনি�
উপন্যাসে� শুরু থেকে শে� অবধি যে ভাবে গল্প এগিয়ে নিয়েছেন তিনি, তা বইটি পড়ল� বুঝত� পাবেন। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে খু� সুন্দর ভাবে বুঝিয়� দিয়েছেন সব কাহিনী গুলো�

তাছাড়� তা� বইয়ের শব্দের ব্যবহারগুল� কিছু কিছু জায়গায় একটু জটিল করেছেন� সেজন্য পরামর্� থাকল�,বইটি পড়া� সময় সাথে একটি বাংল� ডিকশোনার� রাখবেন� তাহল� পড়ত� সুবিধা হবে।

� বানা� : �

৩৫� পৃষ্ঠা� বই হওয়� সত্ত্বেও বইটিতে বানানে� ভু� খুবই সামান্য। কিছু জায়গায় একটি শব্দের ভিতর থেকে অক্ষ� হারিয়েছে। কিছু জায়গায় ডাবল শব্দ পর পর ব্যবহা� হয়েছে� তব�, তাতে পড়ত� কোনো অসুবিধ� বো� হয়নি।

� প্রচ্ছ� : �

বইটি� প্রচ্ছ� নিয়� আম� সন্দিহান� এই বইটি বিভিন্� প্রকাশনী থেকে ছাপানো হয়েছে� (সঠিক প্রকাশনী� না� কারো জানা থাকল� কমেন্ট� জানানো� অনুরোধ রই�)� তা� এর সঠিক প্রচ্ছ� কোনট�, সেইট� আম� নিজে� জানি না� তব� আমার সংগ্রহ� যে প্রচ্ছ� নির্মি� বইটি আছ�,সেটি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো লাগেনি� অনলাইন� এই বইয়ের বাকী প্রচ্ছ� নির্মি� বইগুলো� দেখেছি� বইয়ের মা� হিসেবে একটি প্রচ্ছদও আমার কাছে ভালো লাগেনি�

� মলাট � বাঁধাই � পৃষ্ঠা�

আগেই বলেছ� বইটি বিভিন্� প্রকাশনী থেকে বে� হয়েছে।তাই একেক প্রকাশনী� বইয়ের মা� একেক রকম। আমার সংগ্রহের বইটি� মলাট, বাধা�,পৃষ্ঠা সবকিছু� অনুন্নতই বল� চলে। পৃষ্ঠায় ঘষাঘষি একটু বেশী হল� হাতে গুড়� লেগে যায়� বাধা�, মোলা� একদম� হালকা। তা� বই কেনা� সময় অবশ্যই দেখে কিনবেন� কারণ বইয়ের মলাট ,বাঁধাই কিংব� পৃষ্ঠা যদ� উন্ন� হয� তাহল� বই পড়া� ফিলিংসটা আর� বেড়� যায়�

(বিঃদ্র� বই পড়া� সময় বইয়ের প্রচ্ছ�, মলাট,বাঁধাই, পৃষ্ঠা এস� ম্যাটা� কর� না� বইয়ের গল্পটা� বেশি ম্যাটা� করে। শুধু ফি� একটু কম আর বেশি�)

� খুচর� আলাপ : �

বিষা� সিন্ধু উপন্যাসে� প্রধান প্রধান চরিত্র গুলো� সন্ধান ইতিহাস� স্পষ্ট পাওয়া যায়� কিন্তু অনেক অপ্রধা� চরিত্র ইতিহাসের কোনো গ্রন্থ� পাওয়া যায়নি� যেহেতু,উপন্যাসট� অনেক বাস্তব ঘটনা কিংব� ঐতিহাসিক ঘটনা� উপ� নির্মি�, তা� এটিক� ঐতিহাসিক উপন্যাসও বল� হয়।

বইটিতে যে সম্পূর্ণ বাস্তব ইতিহাসের উপ� মি� রয়েছে তা নয়। গল্পের মি� রাখা� জন্য কিছু অপ্রধা� চরিত্র বানিয়� মিলিয়েছেন লেখক�

সে� বল� বইটিকে একদম এভোয়ে� করবে� না� কারণ, এখান� প্রধান চরিত্র গুলো সব ঠি� আছে।
বড� বড� যেসব কাহিনী, যেমন: কারবালার যুদ্�, জয়নালের রাজ্� জয� এস� ধর্মগ্রন্থেও উল্লেখ আছে।
আম� বা� বা� বলছি, গল্পের মি� রাখা� কারণ� অপ্রধা� কিছু চরিত্র সাজিয়েছেন তিনি�

� বইটি কে� পড়া প্রয়োজন / পড়বেন : �

অনেক� নামে মাত্� মুসলমা�,কিন্তু কাজে নেই। আল্লাহ� আদেশ পালন তো দূরে থা�,আল্লাহ� নামট� মুখে নেয়ার� সময় হয� না� সেইস� ভা� বোনদের আম� এই ইসলামি� ইতিহাস রচিত বইগুলো বেশী পড়ত� বলব। এর মধ্য� বিষা� সিন্ধু একটি�

কারণ তাদে� দেখা দরকা� আগেকার মুসলিমদে� আর আমাদের মধ্য� পার্থক্যটা কী?
তারা কখনো� তাদে� জীবনের পরোয়া কর� না� তাদে� ধর্ম রক্ষ� আগ�,আল্লাহ� আদেশ পালন আগ�, তারপ� অন্যকথা। তারা সামান্� ধর্মের অপমা� সহ্য করতে পেতে� না� অনায়াসে দিয়� দি� জীবন�
এস� হৃদয� বিদারক কাহিনী বেশি বেশি পড়ল�, শুনল� হৃদয� উজার হয়।তা� সক� আল্লাহ ভোলা মুসলমা� ভা� বোনদের অনুরোধ কর�, ইসলামে� ইতিহাস গুলো বেশী বেশী জানুন। দেখবেন আল্লাহ� না� এমনিতে� মু� থেকে বে� হয়ে আসবে� ইসলামে� প্রত� হৃদয� এমনিতে� নর� হয়ে যাবে�

� এছাড়া� বল�,যাদে� ইসলামে� ইতিহাস নিয়� আগ্র� রয়েছে তাদে� জন্য অবশ্� পাঠ্� একটি বই এটি। যাদে� ইমাম হাসা� (রা), হোসে� (রা�) এর মৃত্যু কাহিনী, এজিদ বধ কিংব� কারবালার করুণ ইতিহাস জানা� আগ্র� আছ� তাদে� জন্য বিষা� সিন্ধু� বেস্ট।

� বই : বিষা� সিন্ধু
� লেখক : মী� মশাররফ হোসে�
➟জনর� : ইসলামি� ইতিহাস
� প্রকাশনী : শব্দশিল্�
� মূল্� : ৩৫� টাকা
� পৃষ্ঠা : ৩৫�
flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read বিষা�-সিন্ধু.
Sign In »

Reading Progress

Finished Reading
September 6, 2022 – Shelved

No comments have been added yet.