Bishad Shindhu is a poetic novel about the history of Muhammad's grandson Hasan, especially Husayn's assassination, and the war for the position of Khalifa of Muslims. It was written by Mir Mosarraf Hussain, one of the first modern Bengali Muslim writers. Bishad Shindhu was written over the period of 1885-1891. It is one of the best known works of Bengali literature. However, it is not considered an authentic source for the history of Karbala, the location of Husayn's war front, or the place of his death. Bishad Shindhu is written in an epic style. It contains much poetic language, and many dramatic scenes. At the time of its composition, there were few published novels in the Bengali language, and Mosharraf Hussain was part of a community of writers working to pioneer a new tradition of novels in Bengali. The novel was written in Shadhubhasha, a Sanskritised form of Bengali.
Mir Mosharraf Hossain (Bangla: মী� মশাররফ হোসে�) was a Bengali language novelist, playwright and essayist in 19th century Bengal. He is principally known for his famous novel Bishad Sindhu. He is considered as the first novelist to emerge from the Muslim society of Bengal.
মহররমে� দি� এক বন্ধুর সাথে বার্তাবিনিময়ে� সময়� � জানিয়েছিল যে তারা খু� ব্যস্ত দি� কাটাচ্ছে� সারাদি� অনলাইন� বিভিন্� দেশে থাকা তাদে� কমিউনিটি� লোকজ� নানা সময়� মহরর� উপলক্ষ্য� একত্� হচ্ছ� বলে। তখ� মন� পড়ল যে ‘বিষাদ-সিন্ধু� কিনে রেখে পড়া� হচ্ছ� না� তা� সাথে সেদিনে� কথোপকথনে� পর বিশা� এই উপন্যা� ধরেছিলাম� শে� হল গত মাসে� সব দি� দিয়� অতুলনীয় উপন্যাসট� পরিচিত অনেকেই ছোটবেলায� পড়েছে� আম� ছোটবেলায� এত� অলঙ্কৃ� বাংল� পড়ত� পারতাম না, আর ভূতে� গল্প � রহস্� গল্পের সংকলনে� পাশে এই বই দিলে� তখ� পড়তাম না� মুগ্� হয়েছি এই বয়স� পড়েছি বলে। বন্ধুক� ধন্যবা� বইটি� কথ� মন� করার কারন হবার জন্য�
একটি বাস্তব চরিত্রের কাল্পনিক রুপায়ণ। ক্লা� সিক্সে বইটি মন ভর� গিলছিলাম� পর� যখ� জানত� পারি, কাহিনী মিলে সব অতিরঞ্জন, ভূয়� তথ্য� ভরপূ�, সাথে সাথে মন থেকে বম� কর� দিলাম।
তখ� ক্লা� ফাইভ� পড়ি� বরিশাল থাকি� যা পা�, তা-� পড়ি� আশেপাশ� কোনো বই নেই। রীতিমত� দুর্ভিক্� চলছে� তখ� বড়ো খালা� সংগ্রহ� থাকা 'বিষা�-সিন্ধু' পাই। ভাষা তত সহজবোধ্য নয়। তবুও তন্ময় হয়ে পড়ত� থাকি 'বিষা�-সিন্ধু'� এখনো মন� আছ�, কিশো� আম� কারবালার ময়দান� ইমাম হোসেনে� মৃত্যু� বর্ণনা পড়ে প্রচণ্� কষ্ট পেয়েছিলাম� খু� সম্ভবত চোখও ভিজে গিয়েছিল� এখানেই মী� মশাররফ হোসেনে� সাফল্য� কারবালার এত হৃদয়বিদার� বর্ণনা যে কোনো পাঠককে গভীরভাব� স্পর্শ করবে�
বিয়োগান্ত� ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসে� না� করলে 'বিষা�-সিন্ধু'� কথ� না বল� পারা যায় না� যদিও অনেকটা� স্বাধীনত� গ্রহ� করেছিলেন মী� মশাররফ হোসেন। এমনক� মরুভূমিত� বামু� পর্যন্� খুঁজ� পেয়েছিলেন� সবকিছু বা� দিলে� এই উপন্যা� আমার পাঠকমন� বিশিষ্� একটি জায়গা দখ� কর� আছে।
বিষা�-সিন্ধু মী� মশাররফ হোসে� রচিত একটি কালজয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস।বল� যায় মী� মশাররফ হোসেনে� অনবদ্য সৃষ্টি বিষা�-সিন্ধু।এটি ১৮৮৮ থেকে ১৮৯০ সালে� মধ্য� রচিত হয়।অন্যান্য উপন্যাসে� মধ্য� এট� একটি অন্যতম উপন্যাস।
ইমাম হাসানক� বিষপান করান�,কারবালার ঐতিহাসিক কাহিনী ফোরা� নদীতীরে রক্তস্রোতে বহমা� ঘটনাকে কেন্দ্� কর� এট� রচিত হলেও ঐতিহাসিক তথ্য� অনেক ভু� রয়েছে।যেহেত� আম� সঠিক ঘটনা জানিনা তা� কতটুকু ভু� আছ� বলতে পারছিনা।তব� উপন্যাসট� পড়া� সময় কো� ঘটনা� প্রেক্ষিতে এট� রচিত এট� মন� না কর� অন্যান্য উপন্যাসে� মত পড়েছি�
উপন্যাসট� তিনট� পর্ব� বিভক্ত ১।মহরম পর্ব ২।উদ্ধার পর্ব ৩।এজিদ-বধ পর্ব�
#মহরম_পর্ব- হযরত মুহাম্মদ (সা�) জীবি� থাকা অবস্থায় ভবিষ্যৎবাণী কর� যা� তাঁর� ভক্ত মাবিয়� পুত্� কর্তৃক তাঁর প্রিয় দৌহিত্� ইমাম হাসে� এব� ইমাম হোসে� মৃত্যুবর� করবেন।� কথ� শোনা� পর সকলে� মধ্য হাহাকা� সৃষ্টি হলেও এট� রো� করার সাধ্� সৃষ্টিকর্ত� ছাড়� যে কারো নে� তিনি সেটি� জানিয়� দেন।মাবিয়� বিবাহি� ছিলনা। সে সংকল্প কর� কখনো বিয়� করবেনা।কিন্ত� আল্লাহ� বিধা� লঙ্ঘ� করার সাধ্� কার।ঘটনাচক্র� মাবিয়� বয়স্ক� এক নারীকে বিবা� করতে বাধ্� হয� এব� তিনি পুত্� সন্তান প্রাপ্� হন।তখন মাবিয়� পুত্� হত্য� করার সিদ্ধান্� নেন। অনেক চেষ্টা করেও মাবিয়� প্রাণপ্রিয� সন্তানকে হত্য� করতে পারেনা� এই সন্তান� পিশাচরূপী মানব এজিদ।যার কারণ� মদীনায় কান্নায় হাহাকা�,নি� স্ত্রী জাএদ� কর্তৃক ইমাম হাসানক� কৌশল� বিষপান করিয়ে মৃত্যু,পরিবারের শোকছায়া,কারবালায� প্রান্তর� হৃদয� বিদারক ঘটনা, অজস্� শিরচ্ছেদ, রক্তস্রো� বয়ে যায়�
মহরম পর্ব� ইমাম হাসা� ইমাম হোসেনে� মৃত্যু এব� ইমাম বংশে� বাকিদে� এজিদ মন্ত্রী মারওয়ান কর্তৃক কারাবন্দী� ঘটনা উল্লেখ আছে।ইমাম বংশে পুরু� বলতে হোসে� এর কনিষ্ঠ পুত্� জয়নাল আবেদিন বেঁচ� যায়�
#উদ্ধার_পর্ব- হযরত মুহাম্মদ (সা�) এটিও ভবিষ্যৎবাণী করেন যে ইমাম হাসা� এব� ইমাম হোসেনে� পরিবারকে এজিদ কারা হত� তাঁদের� বৈমাত্� ভা� মোহাম্মদ হানিফা উদ্ধার করবেন।
উদ্ধার পর্ব� হাজারো রক্তাক্ষয়ী যুদ্� শেষে মোহাম্মদ হানিফা, তা� ছো� ভা� ওম� আলী মন্ত্রী গাজী রহমা� সহ কাছে� মানুষে� সহিত মিলি� হয়ে জয়নাল আবেদিন সহ বাকিদে� উদ্ধার করতে সফ� হন�
#এজিদ_বধ_পর্ব-� পর্ব� এজিদের বিনা� এব� জয়নাল আবেদিন এর পৈত্রিকরাজ্য উদ্ধার � সিংহাস� লাভে� ঘটনা উল্লেখ আছে।
আমার_বিশ্লেষণ - শুনেছি কারবালার ঘটনা ইমাম হাসা�,হোসে� প্রত� এজিদের হিংস্র মনোভাব দামেস্� সিংহাস�, রাজনৈতিক ঘটনাকে কেন্দ্� কর� সূচি� হয়।কিন্তু উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষ� কর� জয়নাব (ইমাম হাসানে� তৃতীয় স্ত্রী) প্রাপ্তি লা� না হওয়াক� প্রাধান্� দেওয়া হয়েছে।এখানে মূ� নায়� এজিদ।ধর্মীয় ব্যাখ্যা� তুলনায� জয়নাবের রূপে আকৃষ্ট হয়ে তাকে পাবা� আশায� এজিদের এক একটি কুকর্ম সাহিত্যরসে মিশ্রি� হয়ে উপন্যাসে স্থা� পেয়েছে। তা� আমার উপদে� বইয়� উল্লেখিত ঘটনা বিশ্বা� কর� যাবেনা।আমা� অনেকটা কষ্ট হয়েছে এটাক� সাধারণ উপন্যাসে� মত পড়তে।বারবার মন� হয়েছে ঠি� বুঝি এমনটায� ঘটেছে।মনের এই ভ্রম দূ� করার জন্য কারবালাক� উদ্দেশ্য কর� লেখা দুটো বই কিনেছি।আশা কর� সেগুলো পড়ে সত্যতা জানত� পারবো।
উপন্যাসট� সাধু ভাষায় রচিত।ঐতিহাসি� কাহিনীতে গড়মিল থাকলেও লেখনী চমৎকার।শুরুত� কিছু শব্দ অভিধান দেখে মানে জেনে নিয়েছিলাম :D পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়নি। কিছু উক্ত� মন ছুয়� গিয়েছে।কয়েকট� শেয়ার করছি
৩।'মন� করিলেই যদ� মনের দুঃখ যায়,তব� জগতে কে না মন� কর�?'
৪।বাইরের শত্র� হত� রক্ষ� পাওয়া সহ� কিন্তু ঘরের শত্র� হইতে রক্ষ� পাওয়া দুষ্কর
৫।স্ত্রীজাতি� এমনি একটি মোহনীশক্ত� আছ� যে, পুরুষে� মন অত� কঠিন হইলে� সহজে নোয়াইতে পারে,ঘুরাইত� পারে,ফিরাইতেও পারে�(কথ� অধিকাং� সত্য)তব� অন্যের প্রণয়� মজিল� একটু কথ� আছ� বট�,কিন্তু হাতে পাইয়া নির্জন� বসাইতে পারিলে,কাছে ঘেঁষিয়া মোহন মন্ত্রগুলি ক্রম� ক্রম� আওড়াইতে পারিলে অবশ্যই কিছু কিছু ফল ফলাইতে পারিবে� পারবে।� যে না পারে সে নারী নহ�
৬।জল� অগ্ন� নির্বা� হয�,কিন্তু প্রেমাগ্নি অন্তরে প্রজ্বলি� হইয়� প্রথমে নয়ন দুটি� আশ্রয়� বাষ্� সৃষ্টি কর�,পরিণাম� জল� পরিণ� হইয়� স্রো� বহিত� থাকে।স� জল� হয়ত� বাহ্যবহ্নি সহজে� নির্বাপি� হইতে পারে, কিন্তু মনের আগুন দ্বিগু�, চতুর্গুণ, শতগু� জ্বলিয়া উঠ�
I would not recommend this book because not only it’s based on falsehood but also the writer has portrayed the enemies of Islam in an inaccurate way� The incidents that took place in Karbala are not correctly stated and this book is completely misleading for those who aren’t aware of the tragedy of Karbala. The writer is clearly ignorant of the actual story
I love reading translated books and this has become one of my favourites now. The story was originally written in Bengali by Bishad Sindhu. The book is about the the incident of Karbala on 10th October, AD680, i.e the demise of Hassan and Hussain, the grandson of prophet Mohammad. Sometimes it happens that we dont visit some places and we just heard about them but with the help of this book, i could relate to the incident. We all know that Muhharam is a sad day but we never knew the real story behind it. This book explains that in detail. The characters are well balanced. It might make you emotional but at the same time surprised by the history. I am impressed by the way all the events are put out.
বিষাদসিন্ধ� নিয়� আমার মায়ের একমাত্� স্মৃতি তাঁর ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। কারবালার প্রান্তর� হোসে�(রা�) শহী� হওয়ার ঘটনা পর্যন্� পড়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন� রক্তাক্ত কাঁট� মাথা� স্বপ্ন দেখে ত্রাহিত্রাহি চিৎকার� ঘু� ভাঙে� নানাজা� স্বপ্নের বিবর� শুনে সকালবেলা ঘর থেকে এই বই হাপি� কর� দে�, আম্মুর আর বিষাদসিন্ধ� সম্পন্� কর� হয়নি। কাটা মাথা� আকাশমুখি যাত্রা� বর্ণনা শুনে অতিরঞ্জি� কিছু পড়ব�, সে কথ� মাথায় রেখে পড়া শুরু করেছিলাম, লেখক একেবারেই হতাশ করেননি�
কারবালার প্রধান কারন হাশে� � উমাইয়� বংশে� বহ� পুরন� দ্বন্দ্ব, ক্ষমতা� আধিপত্� ইত্যাদ� জেনে আসলে� এই বইয়� লেখক ঝামেলা� সম্পূর্ন ভা� দিয়েছেন ইমাম হাসানে� তৃতীয় পত্নী জয়নাবের ওপ�, এজিদ যা� পাণিপ্রার্থী ছিলেন। ইলিয়াডে� হেলেনে� কথ� মন� পড়ছিল�, লেখক সেখা� থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন কিনা কে জানে� বইয়ের শেষে� দিকে এসেও ইলিয়াডে� কথ� মন� পড়ছিল�, তব� তা বাক্যশৈলির জন্য� হেক্টরের সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধে একিলিস বলেছিল, " You won't have eyes tonight; you won't have ears or a tongue. You will wander the underworld blind, deaf, and dumb, and all the dead will know: This is Hector. The fool who thought he killed Achilles"(Troy movie 2004)" অন্যদিকে প্রতিশোধস্পৃহায় ক্ষীপ্� মোহাম্মদ হানিফা, এজিদকে উদ্দেশ্য কর� বল�, "এজিদ! � অবস্থায় তোমায় প্রাণে মারি� না, জীবন্ত ধরিব� তোমা� খন্ডিত শিরে� ধরালুন্ঠিত ভা�, শিরশূন্য দেহে� ক্রিয়ার দৃশ্�, হানিফা এক� দেখিতে ইচ্ছ� করেন�..তু� নিশ্চয� জানি�, এই রঞ্জিত অস� তো� পরিশুষ্ক হৃদয়ে� বিকৃ� রক্তাধার� আবার রঞ্জিত করিব� সূর্যরাগ� মিশাইয়া উদয় অস্ত একত্� দেখি�!"
মী� মোশারর� হোসেনে� সময়কালে নিম্নবিত্ত মুসলমা� বাদে বাকি মুসলমানগ� বাংল� চর্চ� করতে� না বললে� চল�, আরবী ফার্সি উর্দুই ছি� তাদে� প্রাত্যহিক ভাষা� সেখা� হত� তিনি বিশুদ্� বাংলায� এম� বিশা� কলেবরে� একটি উপন্যা� লিখেছে�, যাতে ব্যবহা� করেছেন প্রভ�, ঈশ্ব�, উপাসনা� মত বাংল� শব্দ যা এই যুগে এসেও ব্যবহা� করতে আমাদের কুন্ঠাবো� হয়। তব� এই উপন্যাসক� ইসলামি উপন্যা� বা তথ্যসূত্� হিসেবে বিবেচন� না করলে� ভালো� "উদ্ধার পর্ব" এর চতুর্থ প্রবাহ� ফেরেশত� জিবরাই�, রাসু�(সা�), আল�(রা�), ফাতেমা(রা�) ইত্যাদির কিছু কথোপকথ� ছি� যা পড়ত� অস্বস্তি হচ্ছিলো। এই ব্যাপারে হয়ত� লেখক কল্পনাপ্রসূত ভাবাবেগে� আশ্রয় না নিলে� পারতেন�
সাধুভাষায় জড়ত� না থাকল� এব� স্থানেস্থানে অতিরঞ্জি� আবেগ আমলে না নিতে পারল� এট� একটি সুখপাঠ্য মহাকাব্য!
লেখকের এই উদ্দেশ্যকে স্বাগত জানাতে� হয়। নিতান্� এতটি উপন্যা� হিসেবে এর কাহিনীটা� মন্দ নয়। তব� এম� একটি ঐতিহাসিক ঘটনা� ওপ� কল� ধরার জন্য বিশুদ্� উৎ� হত� মূ� ঘটনাগুলো নেওয়া আবশ্যক ছিল। কিন্তু সেটা না কর� যত্তসব জা�, বানোয়াট � অতিরঞ্জি� কাহিনী দিয়� ভরপু� কর� রেখেছেন। হযরত মুআবিয়া (রা.), হযরত হাসা�-হুসাইন (রা.) � তাঁর পরিবারকে মূ� চরিত্র হিসেবে ব্যবহা� কর� বিশুদ্�-অবিশুদ্ধ উৎ� থেকে (লেখকের ভাষ্যমতে পারস্য � আরব্� গ্রন্থ হত�) ঘটনা� সারাংশ নিয়� আর তা� সাথে নিজে� কলমে� খোঁচ� দিয়� কাহিনী লিখে ফেললেন, আর পাঠকগণ� এত আগ্রহে� সাথে গ্রহ� করলো যে সেটা� হয়ে গেলো তাঁর ‘অমর উপন্যাস’। যতকিছু� হো� না কে�, অন্ত� এই চরিত্রগুলো ব্যবহা� কর� এম� কোনো কাহিনী রচনা কর� উচিত নয� যেটা পাঠকদে� প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়� সাধারণ পাঠকদে� লেখা এই বইয়ের রিভিউগুল� পড়লেই সেটা বে� ভালো� টে� পাওয়া যায়� এট� নিতান্তই তাঁর অজ্ঞতা নাকি তিনি জনসাধারণের আবেগ নিয়� খেলা করলে�, কে জানে! এখনও কারবালার ঘটনা জানত� যখ� ‘বিষাদ-সিন্ধু� পড়া� পরামর্� দিতে দেখি তখ� হতাশ হওয়� ছাড়� আর কী� বা উপায� থাকে!
তাছাড়� পড়া� সময় যেটা মন� হল�, উপন্যাসট� যে� সনাত� ধর্মালম্বী পাঠকদে� নিকট সহজে বোধগম্� হয� সেজন্য লেখক তাদে� ব্যবহার্� শব্দসমূহ দিয়� উপন্যাসট� রচনা করেছেন� ভালো কথা। কিন্তু মুসলিম সংস্কৃতিতে করজোড়� প্রার্থন�, পদচুম্বন, পদধূলী গ্রহ� ইত্যাদ� ব্যাপারগুল� কোথায় পেয়েছেন? এট� একটু অতিরিক্ত হয়ে গে� না?
এবার ইতিহাস প্রসঙ্গে আসি। মুআবিয়া (রা.) মুত্রত্যাগকালে কুলুখে� মাধ্যম� বিষগ্রস্� হন এব� এর পরিপ্রেক্ষিত� বর্ণিত ঘটনা� সত্যতা কতটুকু? ভিত্তি কী? কারবালার বিয়োগান্ত� ঘটনা� প্রেক্ষাপট অনেক রাজনৈতিক বিষয়ে� সাথে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু এটাক� তিনি জয়নাব চরিত্রের ওপ� আলোকপা� করেছেন� ইয়াজি�, সীমা�, মারওয়ান, ওয়ালি� প্রভৃত� চরিত্রতে খলনায়কে� ভূমিকা বণ্ট� করতে গিয়� হুসাইন (রা.)-এর আস� হত্যাকারীকে� গোপন কর� ফেলেছে�! তুলনামূল� বিশুদ্� সূত্রমতে শিমা� নয�, বর� হুসাইন (রা.)-কে সিনা� বি� আনাস শহিদ করেছিল� হ্যা�, শিমা�, ওম� বি� সা’দ কারবালার এই মর্মান্তিক ঘটনা� সাথে প্রত্যক্ষভাব� জড়ি�, কিন্তু তা� বল� আস� হত্যাকারী� নামট� মোটে� উহ্য থাকা উচিত নয়। আজ� যে নি� হাতে তা� তি� পুত্রক� হত্য� করলো- এই ঘটনা কোথায় পেয়েছেন? মোহাম্মদ হানিফা কর্তৃক এজিদ বধের ঐতিহাসিক ভিত্ত��� কী? রওজা শরী� সা� বা� তওয়াফ করতে হয�? প্রথমবার দেখলাম, তা� এই উপন্যাসে!�
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করলে এরকম আর� অসংখ্য প্রশ্নের উদয় হয়। আমার চোখে আপাত� এইগুলো� ধর� পড়েছে� তাছাড়� যারা � বিষয়ে বিজ্� তারা আর� ভালো জানবেন� আগ্রহী পাঠক যারা কারবালার দালিলি� � নির্ভরযোগ্� বর্ণনাগুলো জানত� চা� তারা ফরিদ আল-বাহরাইনি� “কারবালা: কল্পকথ� বনাম বাস্তবতা� বইটি পড়ত� পারেন।
এখ� অনেক� আপত্তি করবে� যে, ইতিহাস � সাহিত্� দুটি ভিন্� শাস্ত্�, ধারাবহিকতা রক্ষার্থ� এরক�� ঐতিহাসিক উপন্যাসে বাস্তবের সঙ্গ� কিছু কিছু কাল্পনিক বিষয� যুক্� হত� পারে� কিন্তু হাসা�-হুসাইন (রা.)-এর মত� এরকম ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো� সাথে এট� কীভাবে যায়? সাহিত্� সমালোচনা� করার মত� অত জ্ঞা� আমার নেই। আবার লেখকের ওপ� ব্যক্তিগ� কোনো রো� থেকে� নয়। কিন্তু ‘বিষাদ-সিন্ধু’র মত� অতিরঞ্জি� কাহিনীতে ভরপু� একটা বই যখ� পাঠকসমাজ সাদর� গ্রহ� কর� তখ� আর কিছু না বল� থাকি কীভাবে?
ঠি� কব� পড়েছিলা� মন� নেই। সম্ভবত ক্লা� ফোরে থাকত�, ২০০৭ সালে� এখ� ভাবল� অবাক লাগে এত কঠিন সংস্কৃ� শব্দবহুল বইটা তখ� শে� করেছিলাম কীভাবে�
বইটাকে মুসলিম সমাজ� খানিকট� ধর্মীয় দৃষ্টিকো� থেকে দেখা হয়। তখ� খারা� লাগেনি, চারতার� পেয়� যেত। কিন্তু পর� জানত� পারলাম এত� কিছু ঐতিহাসিক ভু� রয়েছে� কারবালার কাহিনী বলতে গিয়� লেখক ইতিহাসের চেয়� বাংলার প্রচলি� বিকৃ� ইতিহাসের কাছাকাছি থেকেছে�, যা মূলত পুঁথিকারদে� হাতে সৃষ্টি� তা� একতারা কেটে নিলাম। :-(
বিষা� সিন্ধু—মী� মশাররফ হোসেনে� কালজয়ী উপন্যাস। কারবালার হৃদয়বিদার� ঘটনা এব� হযরত ইমাম হাসা� � হোসাইনের ট্র্যাজি� পরিণতি তুলে ধর� হয়েছে� ভাষা� প্রাঞ্জলতা, বর্ণনা� আবেগ, এব� ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গ� সাহিত্যি� রূপায়� উপন্যাসটিক� মহাকাব্যের উচ্চতায় পৌঁছ� দিয়েছ� ঠিকই কিন্তু ঐতিহাসিক একটা ঘটনাকে বিকৃ� কর� উপস্থাপন করার অনেক বৈশিষ্ট্� দেখা যায়� তাছাড়� যেহেতু ঘটনা প্রেক্ষাপট মুসলমা� ধর্মের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়� রচিত তা� শব্দ ব্যবহারে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহৃ� শব্দগুলো অধিক ব্যবহা� না কর� মুসলমানদের ধর্মীয় চর্চায� ব্যবহৃ� শব্দগুলো ব্যবহা� করলে আর উপভোগ্� হতো।
বিষা� সিন্ধু দুটি আলাদ� আলাদ� শব্দ� বিষা� � সিন্ধু� বিষা� শব্দের অর্থ দুঃখ, বিষন্নতা, ভরাক্রান্ত ইত্যাদি। আবার সিন্ধু শব্দের অর্থ সাগর বা সমুদ্র� সহ� কথায� বিষা� সিন্ধু অর্থ দুঃখের সাগর বা দুঃখের সমুদ্র�
কিছু ওলাম� এব� শিক্ষাবীদগ� আবার বিষা� সিন্ধু� ব্যাখ্যা করেছেন একটু ভিন্� ভাবে� তারা বলেছেন : বিষা� শব্দের অর্থ বিষে ভরা। আবার সিন্ধু হচ্ছ� নদী� নাম। অর্থাৎ বিষে ভর� সিন্ধু নদীকে� বিষা� সিন্ধু বল� হয়।
� বিষা� সিন্ধু উপন্যাসট� মূলত {হযরত মুহাম্মদ (সা�)এর মেয়� } হযরত ফাতিমা (রা�) এব� মুসলিম জাহানে� চতুর্থ খলিফ� হযরত আলী (রা�) এর দু� ছেলে ইমাম হাসা� (রা�) � ইমান হোসে� (রা�) এর জীবন কাহিনী এব� সেইসাথ� তাদে� চর� শত্র� এজিদের পরাজয়ের কাহিনী নিয়� লেখা�
� সংক্ষিপ্� আলোচনা : �
হিজর� ৬১ সালে সংঘটিত কারবাল� যুদ্ধে� পূর্� এব� পরের কাহিনী এই উপন্যাসে� মূ� বিষয়। উপন্যাসট� � পর্ব� বিভক্ত� যথ� : �. মহরর� পর্ব �. উদ্ধার পর্ব �. এজিদ - বধ পর্ব এগুল� যথাক্রমে ১৮৮৫, ১৮৮৭ � ১৮৯১ সালে তি� ভাগে প্রকাশী� হয়। যা পরবর্তীতে বিষা� সিন্ধু নামক একটি সম্পূর্ণ বই আকার� বে� হয়।
� নিচে তিনট� পর্বের সংক্ষিপ্� আলোচনা কর� হল�,
�.মহরর� পর্ব :
বিষা� সিন্ধু বইয়ের প্রথ� পর্বের না� মহরর� পর্ব� এখান� মো� ২৬ টি অধ্যায� রয়েছে�
� একদা মুহাম্মা� (সা�) কিছু সাহাবীদেরক� নিয়� আলোচনা সভ� করছিলেন। তখ� আল্লাহ� তর� থেকে জিবরাই� (আঃ) এস� নবীকে বলেলেন, সভায� থাকা মাবিয়� নামক এক সাহাবী� পুত্� দ্বারা আপনা� জীবনের থেকে� অত� আদরে� নাতি ইমাম হাসা� � ইমাম হোসে� হত্যাকান্ডের স্বীকা� হবেন�
� কথ� শুনে মাবিয়� বললে� আম� কখনো� বিবা� কর� না� আমার সন্তান� জন্মিব� না� কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কথ� যে বিফল� যায় না সেটা� জানিয়� দিলে� মহানবী� কয়েকদিন পর মাবিয়� ঘটনা ক্রম� বিবা� কর� এক বয়স্ক� মহিলাকে। বিবাহে� পরোই জন্ম নি� এক পুত্� সন্তান� না� রাখলেন এজিদ� এজিদ এই উপন্যাসে� প্রধান কয়েকজ� চরিত্রের মধ্য� একজন� এজিদ এম� একজন দানব যা� অত্যাচার মদিন� জুরে কে� সহ্য করতে পারেননি।
জয়নাবকে পাওয়া� আসায� এজিদ ইমান হাসা� (রা�) কে মারা� ফন্দ� আাঁটলেন। এজিদ হাসানে� মধ্য� স্ত্রী জায়েদাক� দিয়� তা� স্বামী হাসা� (রা�) কে বি� পা� করিয়ে মৃত্যু বর� করান�
এরপর এজিদ হোসে� (রা�) কে� শে� করার জন্য কৌশল� তাকে তা� পরিবার � সৈন্যস� কারবালার প্রান্তর� নিয়� আসেন� সেখানে এজিদের সৈন্যর� হোসে� � তা� সাথীদে� সাথে যে কারখান� কর� বসেন তা ছি� খুবই হৃদয� বিদারক� কারবালার প্রান্তর বয়ে যায় রক্ত স্রতে। সেখানে� ইমাম হোসেনক� হত্য� করেন এজিদ সেনাপত� সিমার। ইমাম বংশে হোসে� পুত্� জয়নাল আবেদী� ছাড়� সেদি� আর কে� বেচে রই� না�
�. উদ্ধার পর্ব :
বিষা� সিন্ধু বইয়ের দ্বিতীয় পর্ব হল� উদ্ধার পর্ব� এখান� মো� ৩০ টি অধ্যায� রয়েছে�
� কারবালার যুদ্� শে� হবার পর এজিদ জয়নাল সহ,ইমাম বংশে� সব মহিলাক� তারা গৃহবন্দী কর� রাখেন। উদ্ধার পর্ব� উল্লেখ আছ�, মহানবী (সা�) ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে, মোহাম্মদ হানিফা এস� এজিদ গৃহে বন্দী ইমাম বংশীয় সকলক� উদ্ধার করবেন। পরবর্তীতে মহানবী (সা�) এর বাণী সঠিক হিসেবে প্রমানিত হয়।
এই পর্ব� ইমাম বংশীয়দে� উদ্ধার কর� হয� কীভাবে সে সব ইতিহাস ভালো ভাবে জানা যায়� উদ্ধার কাজে হানিফা বাদে আর� কয়েকজ� যো� দিয়েছিল তারা হলেন : ওম� আলী, গাজী রহমা� এব� জয়নাল আবেদী� সহ আর� অনেক নবী প্রেমী ভাইয়েরা�
�. এজিদ - বধ পর্ব :
বিষা� সিন্ধু বইয়ের শে� পর্ব এটি। উপসংহারস� মো� � টি পর্ব রয়েছে এই অংশে�
� � পর্ব� এজিদের বিনা�, জয়নাল আবেদীনে� দামেস্� সিংহাস� লাভে� ঘটনা খু� সুন্দর ভাবে বর্নিত রয়েছে�
� ভালো লাগা� মত� কিছু শিক্ষনীয় উক্ত� : �
�. “প্রণয�, স্ত্রী, রাজা,ধন এই কয়েকট� বিষয়ে� লো� বড� ভয়ানক� এই লোভে লোকে� ধর্ম,পুন্�,সাধুতা পবিত্রতা সমস্তই একেবার� সমূল� বিনা� প্রাপ্� হয়। � �.“বিনাশ কর� অত� সহ�, রক্ষ� কর� বড়ই কঠিন" �.“কপা� মন্দ হইলে তাহা� ফলাফ� ফিরাইত� কাহারো সাধ্� নেই।" �.“সময়ে সকলে� সহ্য হয� কো� বিষয়ে অনভ্যা� থাকিলে বিপদকালে তাহা অভ্যস্� হইয়� পর�,মহ� সুখে� শরীরে মহ� কষ্ট সহ্য হইয়� থাকে�" �.“কপা� মন্দ হইলে তাহা� ফলাফ� ফিরাইত� কাহারো সাধ্� নেই। " �.“য� আমার নয� আম� তাহা� কে� হইব।" �.“বিশ্বাসী না হইলে নিরাপদের সু� ভো� কর� যায় না ; দুঃখ ভো� না করিল��� সুখে� স্বা� পাওয়া যায় না�"
� লেখক এব� লেখকের লিখনশৈলী : �
বিষা� সিন্ধু উপন্যাসে� লেখক মী� মশাররফ হোসেন। তা� ছদ্ম না� গাজীমিয়াঁ� তিনি ১৩ নভেম্ব� ১৮৪৭ সালে কুষ্টিয়� জেলায় জন্মগ্রহ� করেন� এব� ১৯ ডিসেম্বর ১৯১২ সালে নবাবপু�,বালিয়াকান্দ�, রাজবাড়ীতে মৃত্যুবর� করেন� তিনি তা� জীবন� অনেক গ্রন্থ লিখে গেছেন। তা� প্রকাশী� গ্রন্থ প্রায় ৩৬ টি�
মী� মশাররফ হোসে� এর বিষা� সিন্ধু উপন্যা� দিয়� তা� বই পড়া� সূচন� হল� আমার� এট� একটি মহাকাব্যিক � বাংল� সাহিত্যে� জনপ্রিয় � প্রাচীনত� উপন্যাস।
লেখকের লিখনশৈলী� প্রশংস� অবশ্� কাম্য। সম্পূর্ণ উপন্যাসটিত� সাধু ভাষা� ব্যবহা� করেছেন তিনি� উপন্যাসে� শুরু থেকে শে� অবধি যে ভাবে গল্প এগিয়ে নিয়েছেন তিনি, তা বইটি পড়ল� বুঝত� পাবেন। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে খু� সুন্দর ভাবে বুঝিয়� দিয়েছেন সব কাহিনী গুলো�
তাছাড়� তা� বইয়ের শব্দের ব্যবহারগুল� কিছু কিছু জায়গায় একটু জটিল করেছেন� সেজন্য পরামর্� থাকল�,বইটি পড়া� সময় সাথে একটি বাংল� ডিকশোনার� রাখবেন� তাহল� পড়ত� সুবিধা হবে।
� বানা� : �
৩৫� পৃষ্ঠা� বই হওয়� সত্ত্বেও বইটিতে বানানে� ভু� খুবই সামান্য। কিছু জায়গায় একটি শব্দের ভিতর থেকে অক্ষ� হারিয়েছে। কিছু জায়গায় ডাবল শব্দ পর পর ব্যবহা� হয়েছে� তব�, তাতে পড়ত� কোনো অসুবিধ� বো� হয়নি।
� প্রচ্ছ� : �
বইটি� প্রচ্ছ� নিয়� আম� সন্দিহান� এই বইটি বিভিন্� প্রকাশনী থেকে ছাপানো হয়েছে� (সঠিক প্রকাশনী� না� কারো জানা থাকল� কমেন্ট� জানানো� অনুরোধ রই�)� তা� এর সঠিক প্রচ্ছ� কোনট�, সেইট� আম� নিজে� জানি না� তব� আমার সংগ্রহ� যে প্রচ্ছ� নির্মি� বইটি আছ�,সেটি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো লাগেনি� অনলাইন� এই বইয়ের বাকী প্রচ্ছ� নির্মি� বইগুলো� দেখেছি� বইয়ের মা� হিসেবে একটি প্রচ্ছদও আমার কাছে ভালো লাগেনি�
� মলাট � বাঁধাই � পৃষ্ঠা�
আগেই বলেছ� বইটি বিভিন্� প্রকাশনী থেকে বে� হয়েছে।তাই একেক প্রকাশনী� বইয়ের মা� একেক রকম। আমার সংগ্রহের বইটি� মলাট, বাধা�,পৃষ্ঠা সবকিছু� অনুন্নতই বল� চলে। পৃষ্ঠায় ঘষাঘষি একটু বেশী হল� হাতে গুড়� লেগে যায়� বাধা�, মোলা� একদম� হালকা। তা� বই কেনা� সময় অবশ্যই দেখে কিনবেন� কারণ বইয়ের মলাট ,বাঁধাই কিংব� পৃষ্ঠা যদ� উন্ন� হয� তাহল� বই পড়া� ফিলিংসটা আর� বেড়� যায়�
(বিঃদ্র� বই পড়া� সময় বইয়ের প্রচ্ছ�, মলাট,বাঁধাই, পৃষ্ঠা এস� ম্যাটা� কর� না� বইয়ের গল্পটা� বেশি ম্যাটা� করে। শুধু ফি� একটু কম আর বেশি�)
� খুচর� আলাপ : �
বিষা� সিন্ধু উপন্যাসে� প্রধান প্রধান চরিত্র গুলো� সন্ধান ইতিহাস� স্পষ্ট পাওয়া যায়� কিন্তু অনেক অপ্রধা� চরিত্র ইতিহাসের কোনো গ্রন্থ� পাওয়া যায়নি� যেহেতু,উপন্যাসট� অনেক বাস্তব ঘটনা কিংব� ঐতিহাসিক ঘটনা� উপ� নির্মি�, তা� এটিক� ঐতিহাসিক উপন্যাসও বল� হয়।
বইটিতে যে সম্পূর্ণ বাস্তব ইতিহাসের উপ� মি� রয়েছে তা নয়। গল্পের মি� রাখা� জন্য কিছু অপ্রধা� চরিত্র বানিয়� মিলিয়েছেন লেখক�
সে� বল� বইটিকে একদম এভোয়ে� করবে� না� কারণ, এখান� প্রধান চরিত্র গুলো সব ঠি� আছে। বড� বড� যেসব কাহিনী, যেমন: কারবালার যুদ্�, জয়নালের রাজ্� জয� এস� ধর্মগ্রন্থেও উল্লেখ আছে। আম� বা� বা� বলছি, গল্পের মি� রাখা� কারণ� অপ্রধা� কিছু চরিত্র সাজিয়েছেন তিনি�
� বইটি কে� পড়া প্রয়োজন / পড়বেন : �
অনেক� নামে মাত্� মুসলমা�,কিন্তু কাজে নেই। আল্লাহ� আদেশ পালন তো দূরে থা�,আল্লাহ� নামট� মুখে নেয়ার� সময় হয� না� সেইস� ভা� বোনদের আম� এই ইসলামি� ইতিহাস রচিত বইগুলো বেশী পড়ত� বলব। এর মধ্য� বিষা� সিন্ধু একটি�
কারণ তাদে� দেখা দরকা� আগেকার মুসলিমদে� আর আমাদের মধ্য� পার্থক্যটা কী? তারা কখনো� তাদে� জীবনের পরোয়া কর� না� তাদে� ধর্ম রক্ষ� আগ�,আল্লাহ� আদেশ পালন আগ�, তারপ� অন্যকথা। তারা সামান্� ধর্মের অপমা� সহ্য করতে পেতে� না� অনায়াসে দিয়� দি� জীবন� এস� হৃদয� বিদারক কাহিনী বেশি বেশি পড়ল�, শুনল� হৃদয� উজার হয়।তা� সক� আল্লাহ ভোলা মুসলমা� ভা� বোনদের অনুরোধ কর�, ইসলামে� ইতিহাস গুলো বেশী বেশী জানুন। দেখবেন আল্লাহ� না� এমনিতে� মু� থেকে বে� হয়ে আসবে� ইসলামে� প্রত� হৃদয� এমনিতে� নর� হয়ে যাবে�
� এছাড়া� বল�,যাদে� ইসলামে� ইতিহাস নিয়� আগ্র� রয়েছে তাদে� জন্য অবশ্� পাঠ্� একটি বই এটি। যাদে� ইমাম হাসা� (রা), হোসে� (রা�) এর মৃত্যু কাহিনী, এজিদ বধ কিংব� কারবালার করুণ ইতিহাস জানা� আগ্র� আছ� তাদে� জন্য বিষা� সিন্ধু� বেস্ট।
� বই : বিষা� সিন্ধু � লেখক : মী� মশাররফ হোসে� ➟জনর� : ইসলামি� ইতিহাস � প্রকাশনী : শব্দশিল্� � মূল্� : ৩৫� টাকা � পৃষ্ঠা : ৩৫�
Name- Ocean of Melancholy:The tragedy that was Karbala Originally written in Bengali as Bishad Sindhu by Mir Mosharraf Hossain Translated by- Alo Shome Published by- Niyogi Books Pages- 206 Storyline- The original Bishad Sindhu was a retelling of the horrific events that took place in Karbala, Iraq on the 10th of October, AD 680. Till date people all over the world mark it as a day of mourning for the grandsons of Prophet Muhammad, Hassan, who was poisoned and Hussain, who was killed brutally in Karbala. This book translated by Alo Shome explores the events in the manner Mir Mosharraf Hossain narrated them in Bishad Sindhu. Review- ●Most of the people are aware of the gist that took place in Karbala, but the manner in which this book retells the heart wrenching story is beyond words. ●The graphic descriptions, the foreplay of human emotions, desires, foolishness, greed, suffering everything were definitely well balanced. ●Bishad Sindhu retells this story with a mixture of romanticism, spiritualism, mysticism, supernaturalism instead of just stating the historical records. I was impressed by the research that Alo Shome did for this book which he included as footnotes where he deemed them necessary and also sometimes omitting some subplots of Bishad Sindhu which is debatable. Personal Views- I remember reading proses and poetries on Muharram, in bengali as a part of school curriculum. They never elaborated on the events that took place which lead to the tragedy in Karbala. Hence, reading a book which not just states the history but makes the readers feel the story has been a great experience for me.
বে� কয়েকবার পড়েছি� যতবারই পড়েছি ততবারই চোখে পানি এসেছে। বিশে� কর� হাসা� � হোসেনে� হৃদয়বিদার� হত্যার বর্ণনা যেভাবে দেওয়া হয়েছে, সত্যিই লোমহর্ষক! যেহেতু ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়� লেখা হয়েছে, তা� কোথা� কিছু বাড়িয়ে বলার অবকা� নেই। কিন্তু লেখক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে� অতিরঞ্জি� করেছেন বল� মন� হয়েছে আমার� তাছাড়� ধর্মীয় ঘটনাকে কেন্দ্� কর� লেখা যথেষ্ট দুঃসাহসিকতার কা� ও। কারন কোনো রক� বিকৃতি বা অতিরঞ্জন করলে পাপে� � ভয� আছে। কিছু কিছু জায়গায় মন� হয়েছে লেখক ভাবাবেগবশত হয়ে কিছু অসামঞ্জস্য পূর্� বিষয� � যুক্� করেছেন, যা� সত্যতা আদ� আছ� কিনা বল� মুশকিল, এব� এই ঘটনাগুলো� উল্লেখ পুরন� দিনে� পুঁথিত� পাওয়া যেত। মহরর� পর্বটা বেশি ভালো লেগেছে আমার� ইসলামি� ঐতিহাসিক ঘটনা� বর্ণনায় পুরোপুরি বাংল� ভাষা� ব্যাবহার আমার কাছে ব্যতিক্রমধর্মী মন� হয়েছে� যেমন: আল্লাহ না বল� বল� হয়েছে ভগবা�, জগদীশ্বর বা ঈশ্ব�, নামা� না বল� বল� হয়েছে উপাসনা, ইত্যাদি। খলনায়� এব� খলনায়িকার বর্ণনাগুলো বে� জীবন্ত মন� হয়েছে আমার কাছে� এজিদ, মারওয়ান, জায়দা, মায়মুনা প্রত্যেকেই তাদে� চারিত্রি� রিপু নিয়� বিভৎসভাব� উপস্থাপি� হয়েছে� সব কিছু মিলিয়� পড়ে দেখা� মত একটা বই�
First of all a must read to know the history of Islam.Secondly , Mir Mosarraf Hossain's magnum opus is Bishad Shindhu, depicting the tale of Martyrdom of Hasan and Husayn in Karbala. He was one of the first Muslim writers to emerge from colonial British India.This book contains much poetic language, and many dramatic sessions. At the time, Bengali novels were rarely written, and a few writers (including Mosarraf Hussain) were trying to establish the concept of novels in Bengali. It was written in Shadhubhasha, a Sanskritised form of Bengali.Though I was surprised by the violence of Muslim history , still a good read.
একদি� মহ� নবী হযরত মুহাম্মদ (সা�) মসজিদে উনার সাহাবাদে� নিয়� আলোচনা করছিলে�, তখ� হঠাৎ কর� উনার শরী� ঘর্মাক্ত হয়ে উঠলো, (এই লক্ষনট� হয� তখনই যখ� আল্লাহ� পক্ষ থেকে হযরত জীব্রাইল (আঃ) ওহ� (বার্তা) নিয়� নবীজি� কাছে আসতেন। আর এই লক্ষনে� ব্যাপারট� সাহাবাদে� তখ� জানা হয়ে গিয়েছিল�)� কিছুক্ষণ পর নবীজি স্বাভাবি� হয়ে উঠলে উনার মুখোমন্ড� চিন্তায়, মনোকষ্টে অন্য রক� দেখা যায়� তখ� সাহাবারা জিজ্ঞে� করলে� ‘হ� আল্লাহ� রাসু� (সা�), জীব্রাইল এস� কী এম� বল� যে আপনা� চেহারা মোবারক এম� বিমর্ষ হয়ে গিয়েছ�'? নবীজি অনেকক্ষন কিছু বললে� না� তারপ� সাহাবারা আবার জিজ্ঞে� করায� কিছুক্ষণ পর তিনি বললে�, ‘তোমাদের মধ্য� একজনের বংশধরে� হাতে আমার বং� ক্ষতিগ্রস্� হব�'�
� কথ� শুনে সকলে একযোগে বল� উঠেন ‘কোন সে ব্যাক্তি, না� বলুন' তিনি বলেন না, অনেক মিনতির পর তিনি বললে�
‘মাবিয়া� পুত্� এজিদ' মাবিয়� তখনো� অবিবাহিত� আর মাবিয়� ছিলে� নবী� খু� ভালো সাহাবিদে� একজন� মাবিয়� ততক্ষানৎ বল� উঠলে� ‘আমি জীবি� থাকা কালি� কখনো বিয়� করবোনা’। নবীজি কান্নারত কন্ঠ� বলেন, মাবিয়� তুমি কী কর� আল্লাহ� ঠি� কর� দেয়� ভাগ্� খন্ড� করবে? যা হব� তা আল্লার ইচ্ছায� হবে।
অনেকদি� পর নবীজি� (সা�) কর� দেয়� সে� ভয়ঙ্ক� ভবিষৎবানী সত্যতি হয়। একদি� সকাল� নবীজি� কাছে উনার প্রা� প্রিয় ছো� দু� নাতি ‘হযর� হাসা� (রা�) এব� হযরত হুসাইন (রা�)� এস� নতুন জামা� বায়না ধরে। তখ� তিনি তাদে� দুজনকে জিজ্ঞে� করেন কা� কো� রঙ পছন্�? জবাব� বড� ভা� হাসানে� পছন্� সবুজ আর ছো� ভা� হুসাইনের লা� রঙ পছন্� বল� জানায়� তাদে� কথ� শুনে কী মন� কর� নবী কাঁদতে থাকেন। এদৃশ্য দেখে সকলে স্তব্ধ� তখ� নবীজি� মেয়� এব� হাসা� হোসেনে� মা ফাতিমাকে নবীজি জানালে� যে হাসা� একদি� মারা যাবে বি� প্রয়োগে, এব� হাসা� কারবালার ময়দানে।
বিষা� সিন্ধু বইটিতে মুলত হাসা� হোসেনে� করুণ মৃত্যু� ঘটনা তুলে ধরেছেন লেখক খু� সুন্দর নাটকীয় করে। মাবিয়� বিয়� করতে চায়না, কিন্তু আল্লাহ� ইচ্ছাক� কে খন্ডাত� পারে? তা� তা� এক দুরারোগ্� ব্যাধি হয�, যা বিয়� না করলে ভালো হব� না, তা� তিনি বাধ্� হয়ে বিয়� করলেন। তব� তা� থেকে অনেক বেশী বয়স্ক এক মহিলাক�, যে মহিল� আবার সন্তান ধারন� ছিলো অক্ষম। এত কিছু� পর� এজিদ জন্ম নিলো� তখ� মাবিয়� ঠি� করলো � বাচ্চা মেরে ফেলবেন তিনি, নিজে� কোমর� রাখা তলোয়া� হাতে নিয়� যখ� বাচ্চা� সামন� গিয়� দাড়াল� তখ� আল্লার ইচ্ছায� তা� দি� নর� হয়ে যায়� তিনি আর এজিদকে মারত� পারে� না, তিনি মনের দুঃখ� এব� আসন্� বিপদের কথ� স্বর� কর� এজিদকে নিয়� দে� ত্যা� কর� মক্ক� থেকে দামেস্কর উদ্দেশ্য� চল� যান। দামেস্� আবার হাসা� হোসেনে� পিতা হযরত আলী(রা�)� বিজয়ী নগ� ছিলো�
এজিদ প্রাপ্তবয়স্� হয়। একদি� তা� চোখে ভালো লেগে যায় জয়ন� নামে� একটি মেয়েকে। এজিদ তাকে যেভাবে� হো� নিজে� কর� পেতে চায়� এজিদ নানা কৌশল কর� তা� জন্য� কিন্তু জয়ন� থাকে বিবাহিতা� এব� খু� ধার্মি� নারী� তিনি ছিলে� অল্প� সন্তুষ্ট, এব� খোদা ভীরু মহিলা। কিন্তু তা� স্বামি ছিলো অর্থ লোভি� তা� এজিদ জয়নবে� স্বামীকে হা� কর� জয়নবক� পেতে চায়� কিন্তু এজিদ কী পেরে ছিলো জয়নবক� পেতে? অনেক ঘটনা� সৃষ্টি হয� জয়নবক� ঘিরে�
নারী মন পেতে এজিদ কী কী কুকর্ম করতে পেরে ছিলো, কী করুন লোমহর্ষক ঘটনা তৈরী কর� ছিলো তা লেখক খু� সুন্দর ভাবে এব� সমপূর্� আবেগ দিয়� ফুটিয়� তুলেছেন। প্রতিট� পাতায় ছিলো করুণ কাহিনী� বর্ণনা� হাসানেকে কী ভাবে বি� দেয়� হয�, এব� হাসানক� বাঁচানোর জন্য কী কী উপায� গ্রহ� কর� হয়েছিলো� প্রতিট� যুদ্ধে� লোহর্ষ� বর্ননা, রাজ্� দখলে� কাহিনী� সবকিছু� ছিলো চমকপ্রদ। যে ব্যাক্তি বি� প্রয়ো� কর� হাসানক� মারে, মৃত্যু� আগ� হাসা� তা� জন্য ছো� ভা� হোসেনে� কাছে নসিহ� কর� যায়
‘য� তাকে বি� দিলো তা� না� যদ� কখনো জানত� পারে তাহলেও যে� কখনো তাকে কিছু না বল�, বর� তাকে যে� তিনি ক্ষম� কর� দেন’।
কত সুন্দর কর� এস� গুনে� মহত্ত্� লেখক কতটা সুন্দর কর� কতটা আবেগ দিয়� ফুটিয়� তুলেছে� তা না পড়ল� কিছু� বুঝা যাবে না� কারবাল� প্রান্তর� সৈনদের সেকি করুণ কাকুতি মিনতী� যা পড়ল� আমার বিশ্বা� একজন কঠিন মানুষেরও চোখে পানি আসবেই। কে ছিলো আরেক অকুত� ভয� যোদ্ধা ‘আবু হানিফা'? কে� তা� কথ� লুকাইত ছিলো এতোদিন?
-- মতাম�
আম� মন� কর� বাংল� সাহিত্যে� অম� এক সৃষ্টি এই “বিষাদ সিন্ধু”। সত্য কাহিনী� আলোক� উপন্যা� রচনা কর� লেখক “মী� মোশারর� হোসেন� সাহিত্যর মুন্সিয়ান� দেখিয়েছেন� তব� লেখক এখান� প্রচুর আবেগ তৈরী করেছেন, যা কো� উপন্যাসে� মানায়� এব� সেটা কাহিনী� সাথে একদম মানিয়� গেয়েছ� খু� সাবলিল ভাবে� তব� এই বইটাকে কোনো ভাবে� ইসলামি বই ভাবা উচিৎ না� “বিষাদ সিন্ধু”ক� একটি স্বার্থক উপন্যা� নেয়াই শ্রেয়� অনেক আলেম ওলামাগনও তা� মন� করেন� এট� একটি উপন্যা� মাত্র। অনেকেই আবেগ� পর� ভূ� করতে পারে� তা� আম� বলবো পূর্নাঙ্� ইতিহাস জানত� প্রকৃত ইতিহাস সংক্রান্� বই সংগ্রহ কর� পড়ুন।
বিষা�-সিন্ধু� কাহিনি নিয়� কথ� বলার চেয়� এর লিখনশৈলী নিয়� কথ� বল� ভালো� বিষা�-সিন্ধু� কাহিনি, মহাকাব্যের কাহিনি� ন্যায়, ফল� এর রচনাশৈলীতে� মহাকাব্যের ধারা ফুটে ওঠে। যেমন: বিরা� আকারের সংলা�, এক� কথ� ঘুরিয়� পেঁচিয়ে বিভিন্� আঙ্গিক� বারবার উচ্চার� কর� অনেক বড়ো কর� বল�, মূ� ঘটনা সুবিশা� না হলেও (বইয়� যেটুকু লিপিবদ্ধ হয়েছে) মহাকাব্যের ধারায় গিয়� কাহিনি� বিস্তা� বেড়� না গেলে� প্রকাশের ব্যাপ্তি বেড়� যায় অনেক- ফল� মাঝে মাঝে বিরক্ত� চল� আস�, তব� চাইল� এস� অং� বিষদ্ভাব� না পড়ে চো� বুলিয়� গেলে� চলে। তব� মহাকাব্যের ধারায় লিখলেও মহাকাব্যের ন্যায় এর কাহিনি� শাখা-উপশাখা সে� অর্থ� তৈরি হয়ন�, সেসব ব্যাপারে লেখক সংক্ষেপে কা� সেরেছে�, আরেকটু বিস্তারি� থাকল� পড়ে আরাম পাওয়া যেত। ক্লাইম্যাক্স� গিয়েও লেখককে সংক্ষেপে কা� সারত� দেখা গেছে� এম� কি যেসব কথ� উন� বর্ণনা করতে পারেনন� সেগুলো লেখকের (ক্ষেত্রবিশেষ� কো� লেখক-কবির) পক্ষ� বর্ণনা কর� সম্ভ� নয� বলেও উল্লেখ করেছেন, এরকম কথ� বারবার ঘুরে-ফিরে এসেছ�, বারবার ব্যবহা� করেছেন বিষা�-সিন্ধু শব্দটি, যা হয়ত সেসময়কা� রচনাশৈলী� অংশ।
১৮৯১ সালে বইটি প্রথ� প্রকাশিত হয�, তখ� পূর্� বাংলার মুসলিমরা শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়� ছি�, লেখক হয়ত হিন্দু পাঠকের কথ� মাথায় রেখে� বইটি রচনা করেছিলেন� যা� জন্য আরবি শব্দের পরিবর্তে সংস্কৃতে� আধিক্য দেখা গেছে, অনেক আরবি শব্দের আবার ব্রাকেটে� মধ্য� অর্থ� দিয়� দিয়েছেন� গল্পের স্থা� কা� পাত্রে� সাথে শব্দগুলো আমার কাছে উপযুক্� মন� হয়নি। উক্ত স্থানগুলোয� আরবি-ফারস� শব্দ ব্যবহা� করলে� গল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পে� বলেই আম� মন� করি। অন্ত� এরকম একটা সংস্কর� উন� তৈরি কর� রাখত� পারতেন�
I have always wondered about the events of Karbala and their import. One of the early novelists of the Bengal Renaissance, Mir Mosharaff Hossain discusses this important event of history and myth, with a mix of tragedic and legendary elements. The first part describes Hasan's slow death due to poisoning, as well as Hussein's agonizing end on the dusty plain of Karbala. A certain fatalism pervades throughout, as the characters are often seen to meet their fate on the road they take to avoid it, and the original prophecies come true at the end. The second and third parts describe the rescue of Hussein's family from Yazid's depredations, and Yazid's eventual demise (summarized in my edition). It is a sad tale on a truly epic scale. The author suggests the role of Zainab, a Helen of Troy, as being as fundamental to the brewing conflict as Yazid's debauchery and political reasons; with the character's transformation from a lovesick sensitive youth to a cruel tyrant.
The characters do however seem to be a bit one-dimensional, the 'good guys' remain good throughout, and are shown to be almost hapless victims. The debauchery of Yazid seems untempered by softer concerns. Nevertheless, a good narrative of the important events of Karbala which resonates to this day as a story of dogged determination in the face of tyranny and oppression. The narrative pacing of the translation was very good. Hasan's kindness, ethical nature and youthful naivete, slowly replaced by his internal agony at betrayal, and yet, forgiveness, was very well developed.
মহানবী (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্� ইমাম হাসা� এব� ইমাম হোসেনে� নিষ্ঠু� পরিণতি এব� এর পরবর্তীতে এজিদ বধ পর্যন্� ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা� বিষাদসিন্ধ� একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। আপনাকে অবশ্যই ইতিহাসের বই আর উপন্যাসে� মাঝে পার্থক্য বুঝত� হবে। ঔপন্যাসি� কো� ইতিহাসবেত্তা নন, অন্ত� তিনি যখ� উপন্যা� লিখে� তখন। এই কথ� বলার কারন হল, বিষাদসিন্ধ�-তে ইতিহাসের কিছু এদিক সেদি� হয়েছে (লেখকের বয়া� অনুসার� তিনি আরবি-ফারস� গ্রন্থ হত� এস� সংগ্রহ করেছেন)� লেখক হয়ত� উপন্যাসে� প্রয়োজন� কিছু চরিত্র, ঘটনা-� সংযোজন এব� বর্ণনা� অতিশয়োক্ত� করেছেন� কিন্তু সেটা যদ� উপন্যাসক� সার্থক কর� তাহল� এর থেকে বেশি আপনি কি চাইত� পারে�? উপন্যাসে� লেখনীতে একটা চমকপ্র� ব্যাপা� লক্ষ কর� যায়� “ঈশ্বর�, “ভগবান�, “সর্বশক্তিমান�, “স্বর্গ� প্রভৃত� বাংল� শব্দগুলো� বহুল ব্যবহার। সপ্তদশ শতাব্দী� শেষে� দিকে, সাহিত্যে বিশুদ্� বাংল� শব্দ ব্যবহারে� ক্ষেত্রে লেখক ছিলে� একজন অগ্রগণ্য মানুষ। উপন্যাসে� শুরু থেকে শে� পর্যন্� এর দৃষ্টান্� চোখে পড়ে� লেখকের লেখনী অসাধারণ। কাহিনী� বর্ণনা এত বেশী সুন্দর এব� জীবন্ত যে আপনি নিজে� কাহিনী� ভেতর হারিয়� যাবেন। এই বিষয়টাই ঠি� আগের বই “কলকাতায� নবকুমার� বইয়� বলেছিলাম� প্রায় ১৩�-১৪� বছ� হত� চল� এখনও এই উপন্যাসে� আবেদ� ঠি� আগের মত� আছে। আরেকটা অসাধার� ব্যাপা� হচ্ছ�, সম্পূর্ণ উপন্যাসট� হল একটা চলচ্চিত্রে� মত� আর পাঠক হল সে� চলচ্চিত্রে� দর্শক। উপন্যাসে� একদম শেষে জয়নাল তা� পরিবারের সাথে মিলি� হয়। একটা সুখক� ইতি। তখ� লেখক পাঠককে নিয়� যেতে চা� উপন্যাসেরর� আরেকটা ঘটনা প্রবাহের দিকে� যেখানে মোহাম্মদ হানিফা, এজিদের পিছন� ঘোড়� ছুটিয়� বেড়াচ্ছেন� লেখক scence change করছে� এভাব� “তবে কথ� এই যে, তাহা� (সুখক� ইত�) দেখিবে�, না মোহাম্মদ হানিফা এজিদের পশ্চাৎ ঘোড়� চালাইয়া কি করিতেছেন, তাহা� দেখিবে�?.................. আমরা মোহাম্মদ হানিফা� অন্বেষণে যাই। চলুন এজিদের অশ্বচালন� দেখি।� just অসাধারণ। আম� এভাব� কো� উপন্যসের scenery change করতে দেখিনি� বিশা� বড� একটা উপন্যাস। অসাধার� লেখনী� বাংল� সাহিত্যে� প্রথ� দিকে লেখকরা এত সমৃদ্ধ লিখা লিখতেন ভাবতেও অনেক ভালো লাগে�
Like many Muslims, i was unaware of the events that triggered the battle of Karbala…till i read this book which was written in 19th century…it is about the treachery by people of Kufa, crime by own relatives, bravery & humbleness by Imam Hassan (RA) and Imam Hussein (RA) and lastly about the brutality by Yazid..it will definitely make you weep Some points to note is that the translator did not use words like RA or PBUH which is quite understandable as she was a non-muslim. Furthermore, it would have been great if references of their source were added
I know we shouldn't to take this as a history, still it gives me thrills thinking how then Muslims used to fight as a whole instead of seeking selfishness like present day leaders. It's full of horror, blood, deaths yet it's powerful...makes you question yourself, are you really raising your voice against the torturers of your Muslim brothers?
It's mix of faith,love(of god),greed, lust, and lots of blood.
The language might seem overwhelming/bold at the start due the period it was published, it eventually becomes okay and feels like it was required, for the book is very bold.
যখ� ইন্টারমিডিয়েট� পড়ি, তখ� কলেজের লাইব্রের� থেকে বইটা নিয়� পড়েছিলাম। বইটা পড়া� পর কেমন যে লেগেছি� সেটা মন� হল� এখনো ঠি� সেইরকম � লাগে� চো� ছলছল কর� ওঠে। বইটা দ্বিতীয়বা� কখনো পড়া হব� কিনা জানিনা� যে কষ্ট প্রথমবার পড়ে পেয়েছিলাম, আরেকবা� পড়ে সে� এক� কষ্ট পাওয়া� সাহস এখনো হয়ে ওঠেনি। যদ� কখনো হয� তাহল� পড়বো। তব� হ্যা, "বিষাদসিন্ধ�" নামে� এই বইটা কিনে সংগ্রহ� রাখা চাই। আর একটা কথ�, এই বইকে � তারা দিয়� রে� করলে� কম হয� আসলে�
নবীজি(সঃ) এর দৌহিত্� হাসা� � হোসে�-কে নিয়� বিখ্যা� এই মহাকাব্যিক উপন্যাস। এককালে এই গল্প পড়ে বাঙালি মুসলমানেরা শিহরিত হইতো এব� মনের অন্তরালে হাজা� বছ� আগের দূরদেশের ধর্মকে গেথে রাখতো। মী� মোশারফ হোসেনে� এই মহাকাব্যতে অনেক অতিরঞ্জি� বাণী বা কথ� রয়েছে যা ইসলা� ধর্মের অনেক বাণী� সাথে অমিল� তব� লেখক কোনো ইতিহাস রচনা করেননি নিঃসন্দেহে� তিনি তা� নি� সাহিত্যসত্তা দিয়� কারবাল� প্রান্তরের হৃদয� কাপানো বর্ননা নি� মননে গড়ে তুলেছেন।
ভালো লেগেছে� একটা নারী� জন্য কত� কিছু হয়ে গেলো� পড়ত� পড়ত� কেমন জানি ট্রয� সিনেমা� কথ� মন� পরছিল। যদিও কাহিনী সম্পূর্ণ ভিন্ন। দু� যুদ্ধে� পেছনেই ছি� � জন নারী� ট্রয� � " হেলে� " আর বিষা� সিন্ধুতে " জয়ন� "� ভাল্লাগসে। কিন্তু মন� হল� একটু বেশি টানছ� ঘটনাটা� ভাষাটা� এসইউজুয়াল ভাষা না� কহিল, দিবালোকে আসিল� বাহু দুইখান উচাইয়া।
হিস্টোরিক্যা� ফিকশ� হিসেবে ধরলে খুবই অতিরঞ্জিত। যেহেতু কারবালার ট্র্যাজেডি নিয়� লিখেছে� সেখানে অন্ত� ধর্মীয় দৃষ্টিকো� থেকে নিরপেক্ষ থাকা খুবই প্রয়োজন ছিলো� তা না কর� লেখক নি� কমিউনিটি�(শিয়� মতবা�) লোকদের মন্তব্যে� মত� এরকম সেনসিটিভ একটা টপিককে নিজে� মনের মাধুরি মিশিয়� লিখে পাঠকদে� বোকা বানানো� চেষ্টা কর� গেছে সম্পূর্ণ উপন্যাসজুড়ে� লিখনশৈলী আর সাহিত্যমান বিচা� করতে গেলে রেটি� �.৫। গল্প আর রেফারেন্� বিচা� করতে গেলে রেটি� ১।
A very well written book, one of the first Muslim novel in the subcontinent in Bengali. Although it is not entirely historically accurate, the author used his creativity and imagination to bring to us one of the most tragic sacrifices in human history!