Rafia Rahman's Reviews > কুহক
কুহক
by
by

না�: কুহক
লেখক: হুমায়ূন আহমে�
জনরা: সায়েন্স ফিকশ�
প্রচ্ছ�: বিদেশী চিত্� অবলম্বনে
প্রকাশনী: প্রতী� প্রকাশনা
প্রথ� প্রকাশ: বইমেলা ১৯৯১
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪
মুদ্রি� মূল্�: ১২�/-
❝হিটলারে� সময় কন্সেনট্রেশন ক্যাম্পে� কিছু বন্দীকে নিয়� পরীক্ষা চালা� হয়েছিল। ঠি� এক্সরে না হলেও মোটামুটি ধরনে� শক্তিশালী ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়ে� দীর্� সময় ধর� মাথা� ভেতর দিয়� চালা� হয়েছিল। এই পরীক্ষা� ফলাফ� কখনো প্রকাশ কর� হয� নি� অথ� জো� কর� বন্দীদে� উপ� অন্য যে-সব পরীক্ষা চালা� হয়েছে তা� সব ফলাফলই সযত্নে রাখা আছে। মস্তিষ্কের উপ� রেডিয়েশনে� প্রভাবের পরীক্ষা� ফলাফ� প্রকাশ কর� হল না কে�? রহস্যট� কোথায়?�
মাসু� খুবই বিরক্ত� ছোটখাট� সমস্যা হলেই ডাক্তারর� আজকা� এক্স-রে করতে পাঠিয়� দেয়, রোগীরা� আবার তা মান্� করে। ফলস্বরূপ এক্সরে ইউনিটে� এত ভিড়! যা একাই তাকে সামলাত� হচ্ছে। তব� যে শুধু রোগীদে� উপ� বিরক্ত এমনও না ইউনিটে� ডাক্তা� সাহেবও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন কর� না� এম� সময় স্লি� হাতে এগিয়ে আসেন নিশানা� বাবু� বদমেজাজি এই এ্যাসিস্টেন্� তখনও জানত� না এই এক্স-রে� বদৌলতে নিশানা� বাবুকে যে আর সহজে ভুলত� পারব� না সে...
কিছু তো বদলে গেছে� কিন্তু কী? নিশানা� বাবু প্রথমে বিপাকে� পড়ে যান। মন� হত� থাকে তিনি অন্যদে� মনের কথ� শুনত� পারছেন! এও কী সম্ভ�? কিন্তু কীভাবে? ঘু� থেকে উঠ� আবিষ্কার করেন মাথা� সব চু� একরাতে� ব্যাবধান� পড়ে গেছে! মহসি� সাহেবক� একসময় পড়াতে� নিশানা� বাবু� এখ� পড়া� তা� ছেলেমেয়েদের� পরিবার বলতে যে� এখ� তারাই।
সাদাসিধা জীবন� যে� তান্ডব শুরু হয�! দাঁত� পড়ে যেতে থাকে� হঠাৎ জ্বর হয� তো নিমিষে� উধাও-� হয়ে যায়� এইদিকে নিশানা� বাবু বুঝে গেছে� তা� এই আশ্চর্� ক্ষমতা প্রাপ্তি কমিয়ে দিচ্ছে তা� আয়ুকা�, শীঘ্রই মারা যেতে চলেছেন তিনি! কিন্তু তা� আগ� তিনি বদলিয়� দিতে চা� কিছু জীবন� পারবেন কী সাধাসিধে বৃদ্� এই মানুষট� এম� অসম্ভব কাজট� করতে? আদতে অসম্ভব মন� হলেও কি তা� জন্য অসম্ভব?
সায়েন্স ফিকশ� শুনলেই মনের কল্পপট� ফুটে ওঠ� ভবিষ্যতে� কোনো সময় নয়ত� টাইম মেশি�, রোবট তো আবার কখনও বিজ্ঞানে� জটিল মারপ্যাঁচ। কিন্তু ❝কুহক❞- � এম� কিছু নে� বললে� চলে। সহ� ভাষায় বলতে গেলে এক্স-রে রেডিয়েশনে� প্রভাবের(মাত্রাতিরিক্�) ফলাফলে� উপ� বেজড কর� ছো� একটি গল্প� আশ্চর্যজনক ক্ষমতা প্রাপ্তি� ফল� ঘট� যাওয়া ঘটনাগুলো� যোগসূত্র দেখানো হয়েছে পুরো বই জুড়ে।
❝নিশানাথ বাবু জানে� না অন্যের মাথা� ভেতর চল� যাওয়া� প্রক্রিয়াটি কী� তিনি শুধু জানে� যে তিনি তা পারেন। সে� গহী� কূপে� ভিতর� তিনি যখ� নামে� তখ� তাঁর রোমাঞ্� বো� হয়। কুয়োর দেয়ালগুলিতে থর� থর� কত কিছু� না সাজা�-- মানুষে� স্মৃতি, জ্ঞা� � অভিজ্ঞতা� কুয়োর গহী� থেকে উঠ� আস� মানুষে� চিন্তা, কল্পনা � ভাবনা। এক� সঙ্গ� এক জন মানু� কত কিছু নিয়েই না ভাবত� পারে।❞
হুমায়ুন আহমেদে� বিভিন্� জনরা পড়া হলেও সায়েন্স ফিকশ� পড়া হয়েছে কমই। ❝ফিহ� সমীকরণ❞ দিয়েই শুরু ওনার সাইফাই পড়া� তব� ❝কুহক❞ পড়া� সময় কে� জানি মন� হচ্ছিল না যে সায়েন্স ফিকশ� পড়ছি। সম্ভবত প্রচলি� ধারা� সাইফাইয়ের মত� না আবার সায়েন্স তেমন হাইলাইটও হয়নি। ব্যক্তির সাইকোলজিক্যা� টার্� আর জীবনের দিকটাই বেশি� আলোচনা কর� হয়েছে তুলনামূলক। শুরুটা দারু� কিন্তু শেষট� আর� ভালো হত� পারত�, তাড়াহুড়ো� একটা ছা� আছে। নিশানা� বাবু� আলোক� পড়া শেখানো� ব্যাপারট� ডিটেইলসে হল� আর� জমতো� ওভারঅল মোটামুটি লেগেছে� তব� মজার বিষয়ট� হল� গল্প বলার ধর� বে� সোজা� পড়ে গেছি টানা এজন্য।
বইয়ের বলার মত� আরেকটা পয়েন্� হল� চরিত্রায়ন� চরিত্রগুলোকে ধোঁয়াশা রেখে ধীরে ধীরে পাঠকের সাথে পরিচয় করান� হয়েছে� কিছু চরিত্র তো হু� করেই বদলে গেছে আর টুইস্ট কিন্তু সেখানেই। বিশে� কর� মহসিনে� ক্ষেত্রে� নিশানা� বাবু পছন্দে� চরিত্র� লজিক আর হিউমারের মিশ্রণ চরিত্রটাকে পূর্ণত� দিয়েছে। নিশানা� বাবু� সাথে তুষা�-রাত্রি-আলোর বন্ডিং দারু� লেগেছে� রাত্রি চরিত্রটা� বে� মজার�
লেখক: হুমায়ূন আহমে�
জনরা: সায়েন্স ফিকশ�
প্রচ্ছ�: বিদেশী চিত্� অবলম্বনে
প্রকাশনী: প্রতী� প্রকাশনা
প্রথ� প্রকাশ: বইমেলা ১৯৯১
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪
মুদ্রি� মূল্�: ১২�/-
❝হিটলারে� সময় কন্সেনট্রেশন ক্যাম্পে� কিছু বন্দীকে নিয়� পরীক্ষা চালা� হয়েছিল। ঠি� এক্সরে না হলেও মোটামুটি ধরনে� শক্তিশালী ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়ে� দীর্� সময় ধর� মাথা� ভেতর দিয়� চালা� হয়েছিল। এই পরীক্ষা� ফলাফ� কখনো প্রকাশ কর� হয� নি� অথ� জো� কর� বন্দীদে� উপ� অন্য যে-সব পরীক্ষা চালা� হয়েছে তা� সব ফলাফলই সযত্নে রাখা আছে। মস্তিষ্কের উপ� রেডিয়েশনে� প্রভাবের পরীক্ষা� ফলাফ� প্রকাশ কর� হল না কে�? রহস্যট� কোথায়?�
মাসু� খুবই বিরক্ত� ছোটখাট� সমস্যা হলেই ডাক্তারর� আজকা� এক্স-রে করতে পাঠিয়� দেয়, রোগীরা� আবার তা মান্� করে। ফলস্বরূপ এক্সরে ইউনিটে� এত ভিড়! যা একাই তাকে সামলাত� হচ্ছে। তব� যে শুধু রোগীদে� উপ� বিরক্ত এমনও না ইউনিটে� ডাক্তা� সাহেবও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন কর� না� এম� সময় স্লি� হাতে এগিয়ে আসেন নিশানা� বাবু� বদমেজাজি এই এ্যাসিস্টেন্� তখনও জানত� না এই এক্স-রে� বদৌলতে নিশানা� বাবুকে যে আর সহজে ভুলত� পারব� না সে...
কিছু তো বদলে গেছে� কিন্তু কী? নিশানা� বাবু প্রথমে বিপাকে� পড়ে যান। মন� হত� থাকে তিনি অন্যদে� মনের কথ� শুনত� পারছেন! এও কী সম্ভ�? কিন্তু কীভাবে? ঘু� থেকে উঠ� আবিষ্কার করেন মাথা� সব চু� একরাতে� ব্যাবধান� পড়ে গেছে! মহসি� সাহেবক� একসময় পড়াতে� নিশানা� বাবু� এখ� পড়া� তা� ছেলেমেয়েদের� পরিবার বলতে যে� এখ� তারাই।
সাদাসিধা জীবন� যে� তান্ডব শুরু হয�! দাঁত� পড়ে যেতে থাকে� হঠাৎ জ্বর হয� তো নিমিষে� উধাও-� হয়ে যায়� এইদিকে নিশানা� বাবু বুঝে গেছে� তা� এই আশ্চর্� ক্ষমতা প্রাপ্তি কমিয়ে দিচ্ছে তা� আয়ুকা�, শীঘ্রই মারা যেতে চলেছেন তিনি! কিন্তু তা� আগ� তিনি বদলিয়� দিতে চা� কিছু জীবন� পারবেন কী সাধাসিধে বৃদ্� এই মানুষট� এম� অসম্ভব কাজট� করতে? আদতে অসম্ভব মন� হলেও কি তা� জন্য অসম্ভব?
সায়েন্স ফিকশ� শুনলেই মনের কল্পপট� ফুটে ওঠ� ভবিষ্যতে� কোনো সময় নয়ত� টাইম মেশি�, রোবট তো আবার কখনও বিজ্ঞানে� জটিল মারপ্যাঁচ। কিন্তু ❝কুহক❞- � এম� কিছু নে� বললে� চলে। সহ� ভাষায় বলতে গেলে এক্স-রে রেডিয়েশনে� প্রভাবের(মাত্রাতিরিক্�) ফলাফলে� উপ� বেজড কর� ছো� একটি গল্প� আশ্চর্যজনক ক্ষমতা প্রাপ্তি� ফল� ঘট� যাওয়া ঘটনাগুলো� যোগসূত্র দেখানো হয়েছে পুরো বই জুড়ে।
❝নিশানাথ বাবু জানে� না অন্যের মাথা� ভেতর চল� যাওয়া� প্রক্রিয়াটি কী� তিনি শুধু জানে� যে তিনি তা পারেন। সে� গহী� কূপে� ভিতর� তিনি যখ� নামে� তখ� তাঁর রোমাঞ্� বো� হয়। কুয়োর দেয়ালগুলিতে থর� থর� কত কিছু� না সাজা�-- মানুষে� স্মৃতি, জ্ঞা� � অভিজ্ঞতা� কুয়োর গহী� থেকে উঠ� আস� মানুষে� চিন্তা, কল্পনা � ভাবনা। এক� সঙ্গ� এক জন মানু� কত কিছু নিয়েই না ভাবত� পারে।❞
হুমায়ুন আহমেদে� বিভিন্� জনরা পড়া হলেও সায়েন্স ফিকশ� পড়া হয়েছে কমই। ❝ফিহ� সমীকরণ❞ দিয়েই শুরু ওনার সাইফাই পড়া� তব� ❝কুহক❞ পড়া� সময় কে� জানি মন� হচ্ছিল না যে সায়েন্স ফিকশ� পড়ছি। সম্ভবত প্রচলি� ধারা� সাইফাইয়ের মত� না আবার সায়েন্স তেমন হাইলাইটও হয়নি। ব্যক্তির সাইকোলজিক্যা� টার্� আর জীবনের দিকটাই বেশি� আলোচনা কর� হয়েছে তুলনামূলক। শুরুটা দারু� কিন্তু শেষট� আর� ভালো হত� পারত�, তাড়াহুড়ো� একটা ছা� আছে। নিশানা� বাবু� আলোক� পড়া শেখানো� ব্যাপারট� ডিটেইলসে হল� আর� জমতো� ওভারঅল মোটামুটি লেগেছে� তব� মজার বিষয়ট� হল� গল্প বলার ধর� বে� সোজা� পড়ে গেছি টানা এজন্য।
বইয়ের বলার মত� আরেকটা পয়েন্� হল� চরিত্রায়ন� চরিত্রগুলোকে ধোঁয়াশা রেখে ধীরে ধীরে পাঠকের সাথে পরিচয় করান� হয়েছে� কিছু চরিত্র তো হু� করেই বদলে গেছে আর টুইস্ট কিন্তু সেখানেই। বিশে� কর� মহসিনে� ক্ষেত্রে� নিশানা� বাবু পছন্দে� চরিত্র� লজিক আর হিউমারের মিশ্রণ চরিত্রটাকে পূর্ণত� দিয়েছে। নিশানা� বাবু� সাথে তুষা�-রাত্রি-আলোর বন্ডিং দারু� লেগেছে� রাত্রি চরিত্রটা� বে� মজার�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
কুহক.
Sign In »