অনার্য অর্ক's Reviews > আর্চ অব ট্রায়াম্ফ
আর্চ অব ট্রায়াম্ফ
by
by

যুদ্ধে� বিরুদ্ধে আপসহী� দৃঢ়তা নিয়� দাঁড়িয়েছিল� এরিক মারিয়� রেমার্কে� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট’। স্কালপেল দিয়� চিরে চিরে যুদ্ধে� ভয়াবহতা দেখিয়� লেখক যে� শান্� কর� দিতে চাচ্ছিলে� মুহুর্মুহু গর্জ� ওঠ� ব্যারেলগুলোকে। সে� প্রথ� বোধহয় একটা উপন্যা� কাঁপিয়ে দিয়েছিল� হিটলারের অন্তরাত্মা� আর মানু� অনুভ� করতে পেরেছিলো অনুভূতিহী� স্টিলে� নার্� বয়ে বেড়ান� নাৎসিরাও ভয়ে কেঁপ� যেতে পারে,নাকা� হত� পারে শুধু একটা উপন্যাসে� শক্তির কাছে� ১৯৩৩ সা� তখন। এরিকের‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� বেরিয়� গেছে চা� বছ� আগে। তা� নিজে� রক্তমাংস দিয়� গড়া পল বোমা� চরিত্রটি� না� তখ� মানুষে� মুখে মুখে ফিরছ�,অন্তরে গেঁথ� গেছে মোহর হয়ে� ঠি� সে� সময় হুলিয়� জারি হল� এরিকের নামে� ইহুদী কিংব� কমিউনিস্� কোনো দলেই নে� এরিক� তারপরে� নাৎসির� তা� বাড়িত� হানা দেয়� জা� বাঁচানোর ফর� কাজট� করতে গিয়� তিনি পালালে� সুইজারল্যান্ডে� এদিক� মহাসমারোহে চললো ‘নাৎসি বু� বার্নিং’। নাৎস� বাহিনী� লোকেরা আশপাশে� বইয়ের দোকানগুল� থেকে বই খুঁজ� নিয়� এস� ছুঁড়ে দিচ্ছে আগুনের লকলক� লেলিহা� শিখায়� অবলীলায় হাজা� হাজা� বই মুহূর্তে� হয়ে যাচ্ছে ছা�-ভস্ম।‘হিটলা� চিরজীবী হোন� এই স্লোগানে� আড়ালে চাপা পড়ে অনেকটা নীরবেই পুড়� যাচ্ছে প্রথ� বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় লেখা এই কালজয়ী উপন্যাস।
পুড়িয়ে� ক্ষান্� হয়ন� নাৎসির�, নির্দে� দেওয়া হল� কোনো দোকানে এই বই রাখা যাবে না, নতুন কর� ছাপা হল� নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কারো বাড়িত� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� কিংব� এর সিক্যুয়েল ‘দ্য রো� ব্যাক� এর কোনো কপ� থাকল� তা দ্রু� ‘গেস্টাপো’র কাছে জম� দিতে হবে। অন্যথায় নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কিন্তু এভাব� কি শিল্পী� কণ্ঠরো� কর� যায়? ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� বইটা� প্রভাব এত� বেশি, তা� ছায়� এত� দীর্� যে বইটা� জনপ্রিয়তা� প্রকোপ থেকে রক্ষ� পা� নি খো� লেখক� পরবর্তীতে অজস্� বই লিখেছে� এরিক� দ্� রো� ব্যা�,থ্রি কমরেডস,দ্� ব্ল্যা� ওবিলিস্ক, দ্� নাইট ইন লিসব�,ফ্লোটসাম,আর্চ অব ট্রায়াম্ফ...কিন্তু বটবৃক্� অল কোয়ায়েটে� শেকড� ছড়িয়েছিল� বহ� বহ� দূ� পর্যন্ত। ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� এরিকের সেকেন্� মোস্� সেলিব্রেটে� বই হবার পর� এদেশ� অনূদিত হয়েছে এতোদিন পর এসে।
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� রেমার্কে� অন্য উপন্যা� থেকে আলাদ� হবার কারণ এর বিষয়বস্তু, সেটআপ। রেমার্কে� বেশিরভাগ লেখা� মোটাদাগে যুদ্ধক� ঘিরে আবর্তি� হয়। একটা যুদ্ধে� প্রারম্ভ কিংব� যুদ্� বিধ্বস্ত মানুষে� জীবনকে পুঁজ� কর� লেখা উপন্যাসগুল� শেষমেশ যুদ্ধে� প্রত� তীব্� ঘৃণা� সঞ্চার কর� পাঠকের মধ্যে। সেখানে ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� উপন্যাসে� মূ� বিষয়বস্তু নিঃসঙ্গত�, বিরহ,প্রে�, ভাগ্যে� মত� চিরাচরিত বিষয়। আঙ্গিকগত বৈচিত্র্� খুঁজতে গেলে� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ�,‘দ্য নাইট ইন লিসবন� আর ‘ফ্লোটসা�(কোথায় স্বর্গ?)� বই তিনটার মাঝে কম� ট্রো� লক্ষ্য কর� যায়� প্রতিট� উপন্যাসে� স্থা� কর� নিয়েছ� নি� ঠিকানা থেকে বিতাড়িত উদ্বাস্ত� প্রোটাগনিস্ট� কিন্তু তাদে� প্রত্যেকের ক্রাইসিস আলাদা। কে� হয়ত� পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যেতে চায়,কে� বা চায় প্রতিশোধ,আবার কারো প্রতিনিয়ত পালিয়� বেড়ানোই নিয়তি� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’উপন্যাস� রেমার্� শুনিয়েছেন এক� সাথে ভালোবাসা� গল্প,বিরহের গল্প, নির্বাসি� চাঁদের তল� ত্রিশে� দশকে� প্যারিসে� গল্প� শিল্পে-সাহিত্যে অভিজাত আল� ঝলমল� নগরী� কথ� বলার প্রয়োজন বো� করেন নি� বেছে নিয়েছেন আল�-আঁধা� গল�,সস্ত� হোটে�,বেশ্যালয� আর হাসপাতালকে।কর্�,ক্রো�,লো�,মো�,মদ,মাৎসর্যে� ছয� তারে বাঁধ� মানুষক� ধরতে চেয়েছেন এই সব স্থানে� গল্পের নায়� রাভি� নামে� এক নির্বাসি� ডাক্তার। পোস্টমডার্� উপন্যাসে যেমন একাকী নেকড়ে� মত� নিঃসঙ্� মানুষদের দেখা যায়,রাভি� ঠি� সেইরকম� প্যারিসে উদ্বাস্ত� চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের অনুমতি নেই। অবৈধভাবে সার্জারি কর� রাভি� পে� চালায়� মায়েদের পে� থেকে খালা� কর� অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানগুলোকে� নিস্তরঙ্� জীবন,গ্লাসে� পর গ্লা� মদ আর মোটা আলজেরিয়ান চুরুটে� ধোঁয়ায় নিথর নিঃসঙ্� জীবন কেটে যায় তার। সে যে ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে থাকে,তা আক্ষরি� অর্থেই ‘ইন্টারন্যাশনাল’। ইউরোপে� প্রতিট� কোণা থেকে নির্বাসি� মানুষজনে� আস্তান� এই হোটেল। তাদে� সবার গল্প ভিন্�,আদর্� ভিন্ন। এক� সাথে ফ্যাসিস্� আর তাদে� ডেমোক্রেটি� কাউন্টারপার্টে� ছব� ঝোলে এই হোটেলে� দেয়ালে। এক আশ্চর্� কালচারাল মেল্টি� পট...
এর� মাঝে রাভিকে� ডাক্তারি জীবনের দাঁড়ি-কমার মাঝে বিস্ময়সূচ� চিহ্� আর দীর্� পুনরাবৃত্তির মত� হাজি� হয� জোওন মাদু,এক আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণী� ঠি� এখানেই যুদ্ধবিরোধিত� থেকে ন্যারেটিভে� টোনা� শিফট ঘটেছে। প্রতিকূলতা� মাঝে সবকিছু গুছিয়� নিয়� টিকে থাকা� প্রবণতায� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� হয়ে উঠতে চেয়েছ� আশার আশাবরী�
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’এ� বসায� পড়ে ফেলবার মত� কোনো গতিময় উপন্যা� না� মন্থ� গতির এই উপন্যাসে প্রায় অর্ধেক পর্যন্� এসেও উল্লেখযোগ্� কোনোকিছু� চোখে পড়ে না� কিন্তু একদম ঘটনাহীনও নয়। ছো� ছো� ঘটনা� মধ্য দিয়� প্রোটাগনিস্ট ডাক্তা� রাভিকে� প্রাত্যহিক জীবন,নস্টালজিয়ায� ডু� মারত� মারত� যে� আল� ফেলে ফেলে দেখা যায় আর� অনেক মানুষে� জীবনকেও। এক তেরো বছ� বয়সী দরিদ্র কিশোরক� কীভাবে ট্রাকে পা কাটা পড়া� পর ইন্সুরেন্সকে ফাঁক� দিয়� টাকা� বন্দোবস্� কর� দেয় রাভি� অথবা নিজে� স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়েও হা� ছেড়� দেয় এম� বে� কিছু সিরি� অব ইভেন্টসে� মধ্য দিয়� আমরা কোমল�-কঠোর� মেশানো এক চরিত্রকে খুঁজ� পাই। রাভি� কারো দয়ায় বাঁচ� না,কারো সাহায্যও নেয় না� সবকিছু� সাথে মানিয়� নেয়ার মত� এক নির্লিপ্তভাব তা� মাঝে সদ� বিরাজমান� সে হো� যে কোনো পরিস্থিত� কিংব� মানুষ। বৃষ্টি ভেজা প্যারিসে� রাস্তায় মধ্যরাতে হাঁটতে হাঁটতে জোওন মাদু-রাভিকে� মধ্যকা� কথোপকথ� বে� উপভোগ্য। বিশে� কর� যারা কথোপকথ� নির্ভর বই পড়ত� পছন্� করেন বা সিনেমা দেখত� পছন্� করেন,তাদে� ভালো লাগবে। তব� আর্চ অব ট্রায়াম্ফের ঘটনাপ্রবাহ খু� লিনিয়ার, আবেগের প্রাবল্য� এড়ানো যায় না� উপন্যাসে� ডিটেইলিং এত� সূক্ষ্� আর গ্রাফি� যে সেসময়ের প্যারিসক� রীতিমত� ভিজ্যুয়ালাই� কর� যায়� প্রথ� ১০� পৃষ্ঠা� এম� কোথা� নে� যেখানে কালভাদ�, কনিয়্যা� বা ভদকা� কথ� আস� নি� সারাক্ষণ� এই কাপলকে মদ্যপা� করতে দেখা যায়� সেটা হো� ট্যাক্সি� মাঝে,বেডরুম� কিংব� কোনো বারে� ড্রিংক করাক� নিরুৎসাহিত করার জন্য বলছি না� এম� না যে এই ড্রিংকিং টেন্ডেন্সি শে� পর্যন্� বড়সড় কোনো ঘটনা� ক্যাটালিস্ট। তাহল� বারবার এর পুনরাবৃত্তির কারণ কী? পাঠককে� একটা টিপস� ফি� দেয়�? হয়তোব�...
সেবা প্রকাশনী� হেভিওয়ে� অনুবাদ� ইসমাইল আরমানে� অনুবাদ নিয়� অভিযোগ করার দুঃসাহ� নেই। আন্ডাররেটে� জেমগুলোক� তুলে আনার একটা প্রবণত� বরাবরই খেয়াল করেছ� কাজগুলোর মধ্যে। রাইডার হ্যাগার্ডে� পার্� মেইডেন, ভিক্তর হুগো� নাইন্ট� থ্রি, আর্থার কোনা� ডয়েলে� দ্� ম্যারাকা� ডি� বা জু� ভার্নে� ডি� স্যান্ডে� মত� বইগুলো� অনুবাদ পেয়েছ� উনার কা� থেকে� এই ধারাবাহিকত� বজায� থাকু�...
�.�/�
পুড়িয়ে� ক্ষান্� হয়ন� নাৎসির�, নির্দে� দেওয়া হল� কোনো দোকানে এই বই রাখা যাবে না, নতুন কর� ছাপা হল� নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কারো বাড়িত� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� কিংব� এর সিক্যুয়েল ‘দ্য রো� ব্যাক� এর কোনো কপ� থাকল� তা দ্রু� ‘গেস্টাপো’র কাছে জম� দিতে হবে। অন্যথায় নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কিন্তু এভাব� কি শিল্পী� কণ্ঠরো� কর� যায়? ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� বইটা� প্রভাব এত� বেশি, তা� ছায়� এত� দীর্� যে বইটা� জনপ্রিয়তা� প্রকোপ থেকে রক্ষ� পা� নি খো� লেখক� পরবর্তীতে অজস্� বই লিখেছে� এরিক� দ্� রো� ব্যা�,থ্রি কমরেডস,দ্� ব্ল্যা� ওবিলিস্ক, দ্� নাইট ইন লিসব�,ফ্লোটসাম,আর্চ অব ট্রায়াম্ফ...কিন্তু বটবৃক্� অল কোয়ায়েটে� শেকড� ছড়িয়েছিল� বহ� বহ� দূ� পর্যন্ত। ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� এরিকের সেকেন্� মোস্� সেলিব্রেটে� বই হবার পর� এদেশ� অনূদিত হয়েছে এতোদিন পর এসে।
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� রেমার্কে� অন্য উপন্যা� থেকে আলাদ� হবার কারণ এর বিষয়বস্তু, সেটআপ। রেমার্কে� বেশিরভাগ লেখা� মোটাদাগে যুদ্ধক� ঘিরে আবর্তি� হয়। একটা যুদ্ধে� প্রারম্ভ কিংব� যুদ্� বিধ্বস্ত মানুষে� জীবনকে পুঁজ� কর� লেখা উপন্যাসগুল� শেষমেশ যুদ্ধে� প্রত� তীব্� ঘৃণা� সঞ্চার কর� পাঠকের মধ্যে। সেখানে ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� উপন্যাসে� মূ� বিষয়বস্তু নিঃসঙ্গত�, বিরহ,প্রে�, ভাগ্যে� মত� চিরাচরিত বিষয়। আঙ্গিকগত বৈচিত্র্� খুঁজতে গেলে� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ�,‘দ্য নাইট ইন লিসবন� আর ‘ফ্লোটসা�(কোথায় স্বর্গ?)� বই তিনটার মাঝে কম� ট্রো� লক্ষ্য কর� যায়� প্রতিট� উপন্যাসে� স্থা� কর� নিয়েছ� নি� ঠিকানা থেকে বিতাড়িত উদ্বাস্ত� প্রোটাগনিস্ট� কিন্তু তাদে� প্রত্যেকের ক্রাইসিস আলাদা। কে� হয়ত� পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যেতে চায়,কে� বা চায় প্রতিশোধ,আবার কারো প্রতিনিয়ত পালিয়� বেড়ানোই নিয়তি� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’উপন্যাস� রেমার্� শুনিয়েছেন এক� সাথে ভালোবাসা� গল্প,বিরহের গল্প, নির্বাসি� চাঁদের তল� ত্রিশে� দশকে� প্যারিসে� গল্প� শিল্পে-সাহিত্যে অভিজাত আল� ঝলমল� নগরী� কথ� বলার প্রয়োজন বো� করেন নি� বেছে নিয়েছেন আল�-আঁধা� গল�,সস্ত� হোটে�,বেশ্যালয� আর হাসপাতালকে।কর্�,ক্রো�,লো�,মো�,মদ,মাৎসর্যে� ছয� তারে বাঁধ� মানুষক� ধরতে চেয়েছেন এই সব স্থানে� গল্পের নায়� রাভি� নামে� এক নির্বাসি� ডাক্তার। পোস্টমডার্� উপন্যাসে যেমন একাকী নেকড়ে� মত� নিঃসঙ্� মানুষদের দেখা যায়,রাভি� ঠি� সেইরকম� প্যারিসে উদ্বাস্ত� চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের অনুমতি নেই। অবৈধভাবে সার্জারি কর� রাভি� পে� চালায়� মায়েদের পে� থেকে খালা� কর� অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানগুলোকে� নিস্তরঙ্� জীবন,গ্লাসে� পর গ্লা� মদ আর মোটা আলজেরিয়ান চুরুটে� ধোঁয়ায় নিথর নিঃসঙ্� জীবন কেটে যায় তার। সে যে ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে থাকে,তা আক্ষরি� অর্থেই ‘ইন্টারন্যাশনাল’। ইউরোপে� প্রতিট� কোণা থেকে নির্বাসি� মানুষজনে� আস্তান� এই হোটেল। তাদে� সবার গল্প ভিন্�,আদর্� ভিন্ন। এক� সাথে ফ্যাসিস্� আর তাদে� ডেমোক্রেটি� কাউন্টারপার্টে� ছব� ঝোলে এই হোটেলে� দেয়ালে। এক আশ্চর্� কালচারাল মেল্টি� পট...
এর� মাঝে রাভিকে� ডাক্তারি জীবনের দাঁড়ি-কমার মাঝে বিস্ময়সূচ� চিহ্� আর দীর্� পুনরাবৃত্তির মত� হাজি� হয� জোওন মাদু,এক আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণী� ঠি� এখানেই যুদ্ধবিরোধিত� থেকে ন্যারেটিভে� টোনা� শিফট ঘটেছে। প্রতিকূলতা� মাঝে সবকিছু গুছিয়� নিয়� টিকে থাকা� প্রবণতায� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� হয়ে উঠতে চেয়েছ� আশার আশাবরী�
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’এ� বসায� পড়ে ফেলবার মত� কোনো গতিময় উপন্যা� না� মন্থ� গতির এই উপন্যাসে প্রায় অর্ধেক পর্যন্� এসেও উল্লেখযোগ্� কোনোকিছু� চোখে পড়ে না� কিন্তু একদম ঘটনাহীনও নয়। ছো� ছো� ঘটনা� মধ্য দিয়� প্রোটাগনিস্ট ডাক্তা� রাভিকে� প্রাত্যহিক জীবন,নস্টালজিয়ায� ডু� মারত� মারত� যে� আল� ফেলে ফেলে দেখা যায় আর� অনেক মানুষে� জীবনকেও। এক তেরো বছ� বয়সী দরিদ্র কিশোরক� কীভাবে ট্রাকে পা কাটা পড়া� পর ইন্সুরেন্সকে ফাঁক� দিয়� টাকা� বন্দোবস্� কর� দেয় রাভি� অথবা নিজে� স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়েও হা� ছেড়� দেয় এম� বে� কিছু সিরি� অব ইভেন্টসে� মধ্য দিয়� আমরা কোমল�-কঠোর� মেশানো এক চরিত্রকে খুঁজ� পাই। রাভি� কারো দয়ায় বাঁচ� না,কারো সাহায্যও নেয় না� সবকিছু� সাথে মানিয়� নেয়ার মত� এক নির্লিপ্তভাব তা� মাঝে সদ� বিরাজমান� সে হো� যে কোনো পরিস্থিত� কিংব� মানুষ। বৃষ্টি ভেজা প্যারিসে� রাস্তায় মধ্যরাতে হাঁটতে হাঁটতে জোওন মাদু-রাভিকে� মধ্যকা� কথোপকথ� বে� উপভোগ্য। বিশে� কর� যারা কথোপকথ� নির্ভর বই পড়ত� পছন্� করেন বা সিনেমা দেখত� পছন্� করেন,তাদে� ভালো লাগবে। তব� আর্চ অব ট্রায়াম্ফের ঘটনাপ্রবাহ খু� লিনিয়ার, আবেগের প্রাবল্য� এড়ানো যায় না� উপন্যাসে� ডিটেইলিং এত� সূক্ষ্� আর গ্রাফি� যে সেসময়ের প্যারিসক� রীতিমত� ভিজ্যুয়ালাই� কর� যায়� প্রথ� ১০� পৃষ্ঠা� এম� কোথা� নে� যেখানে কালভাদ�, কনিয়্যা� বা ভদকা� কথ� আস� নি� সারাক্ষণ� এই কাপলকে মদ্যপা� করতে দেখা যায়� সেটা হো� ট্যাক্সি� মাঝে,বেডরুম� কিংব� কোনো বারে� ড্রিংক করাক� নিরুৎসাহিত করার জন্য বলছি না� এম� না যে এই ড্রিংকিং টেন্ডেন্সি শে� পর্যন্� বড়সড় কোনো ঘটনা� ক্যাটালিস্ট। তাহল� বারবার এর পুনরাবৃত্তির কারণ কী? পাঠককে� একটা টিপস� ফি� দেয়�? হয়তোব�...
সেবা প্রকাশনী� হেভিওয়ে� অনুবাদ� ইসমাইল আরমানে� অনুবাদ নিয়� অভিযোগ করার দুঃসাহ� নেই। আন্ডাররেটে� জেমগুলোক� তুলে আনার একটা প্রবণত� বরাবরই খেয়াল করেছ� কাজগুলোর মধ্যে। রাইডার হ্যাগার্ডে� পার্� মেইডেন, ভিক্তর হুগো� নাইন্ট� থ্রি, আর্থার কোনা� ডয়েলে� দ্� ম্যারাকা� ডি� বা জু� ভার্নে� ডি� স্যান্ডে� মত� বইগুলো� অনুবাদ পেয়েছ� উনার কা� থেকে� এই ধারাবাহিকত� বজায� থাকু�...
�.�/�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
আর্চ অব ট্রায়াম্ফ.
Sign In »
Reading Progress
May 3, 2024
– Shelved as:
to-read
(Paperback Edition)
May 3, 2024
– Shelved
(Paperback Edition)
June 25, 2024
–
Started Reading
June 25, 2024
– Shelved
July 1, 2024
–
Finished Reading
Comments Showing 1-2 of 2 (2 new)
date
newest »

message 1:
by
Anjuman
(new)
Jul 01, 2024 09:34AM

reply
|
flag