Sign in with Facebook
রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন Quotes
রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
by
Pramathanath Bishi35 ratings, 4.00 average rating, 5 reviews
রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন Quotes
Showing 1-8 of 8
“যে কা� একাকী কর� যা� বাঙালী তাহা করিত� পারে� পাঁচজন� মিলিয়া কা� করিত� গেলে� বাঙালী দলাদলি � মাথা-ফাটাফাটি করিয়� বসে। সাহিত্� এককে� সাধন�, বাঙালী তাহাতে ভারতী� জাতি� মধ্য� অবিসংবাদী শ্রেষ্ঠত্ব লা� করিয়াছে। প্রতিষ্ঠান গড়িয়� তোলা পাঁচজনের কা�--- বাঙালী� তাহাতে দুর্বলতা� অন্ত নাই।”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“তখ� পোস্টমাস্টার ছিলে� যতী� বিশ্বা� নামে এক ভদ্রলোক। তিনি ডাকে� কা� � তারে� কা� দুইই করিতেন; সেইজন্� আমরা তাঁহার না� দিয়াছিলা� ডাকতার�”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“অর্ধপণ্ডিত� সর্বদা ধর� পড়িবার ভয়� সরসতাক� বর্জ� করিয়� চলে।”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“লোকে বলিত, জ্যামিতি বুঝিয়া লইলে নাকি মুখস্থ করিবার আর প্রয়োজ� হয় না� হয়তো তাই। কিন্তু ওরকম বিপজ্জনক ঝুঁক� লইবা� সাহস আমাদের ছি� না�”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“গাম্ভীর্যে� চূড়া হইতে এক পা ফসকাইলেই একেবার� হাস্যকরতার অতলস্পর্শী খাদ।”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“একদিনে� ঘটনা আমার মন� আছে। এবার একটা গল্প ফাঁদিয়াছিলাম� সমালোচনাপ্রসঙ্গ� রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, গল্পটা এমনভাব� আরম্� হইয়াছে, যে� অনেক আড়ম্বর করিয়� রেলে চড়িয়� বোম্বাই যাত্রা� মতো; কিন্তু অকাল� অকস্মা� শ্রীরামপুর� আসিয়� রে�-কলিশ� ঘটিয়� সব শে� হইয়া গেল। মন� ভাবিলা�, কিছু� তাঁহার ভা� লাগিবে না� সেদিনে� পুডি� � আনারসে� কথ� মন� পড়িয়� যাইত� সেদি� তব� সান্ত্বনার জন্য বাস্তব রস ছি�, আর আজ ছোটোবড়ো সকলে� সম্মুখ� এম� মা�! এখ� বুঝিতেছি, এই-সব নিদারু� আঘাত� আমাদের সাহিত্যি� রুচি তৈরি হইয়া গিয়াছিল। প্রথ� রচনা লিখিয়া� ‘বাহবা, বে� হইয়াছে� শুনিবা� দুর্ভাগ্� যাহাদে� হয় তাহারা বড়োলোকের আদুর� দুলালে� মতো, প্রথ� যথার্থ আঘাতেই একান্ত অসহা� অনুভ� করে। এখ� যখ� পাঠকের� আমার লেখা সম্বন্ধে প্রতিকূল মত প্রকাশ কর� তাহারা হয়তে� ভাবে, লোকটা এইবা� লেখা ছাড়িয়া দিলে বাঁধ� যায়। কিন্তু, আম� মন� মন� হাসিয়া ভাবি, ‘তোমাদে� সমালোচন� তে� শিখণ্ডী� বা�, আম� স্বয়� গাণ্ডীবী� বা� সহ্য করিয়াছ� এম� শক্ত আমার প্রাণ।”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“মণিকবি থাকে, খা�-দা�, কিন্তু তাহা� মন� শান্তি নাই। আশ্রমে� ছোটো বড় সকলক� সে কবিত� শুনাইয়াছ�, প্রত্যেকের কা� হইতে সার্টিফিকে� আদায় করিয়াছ�, কেবল রবীন্দ্রনাথকে ধরিত� পারে নাই। মাঝে মাঝে সে আসিয়� শুনাইয়� যা�, "আজ কবীন্দ্রক� দূ� হইতে দেখিলা�", "আজ তাঁহার গা� শুনিলা�"� কিন্তু, হা�, প্রত্যক্ষভাব� সে তাঁহাক� আজ� ধরিত� পারি� না� � দিকে রবীন্দ্রনাথ� সতর্� হইয়া গিয়াছেন। কবিক� কব� ভয় না করিল� আর কে করিব�!”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
“সে সকালবেলা আশ্রমে আসিয়� এক চক্র ঘুরিয়া নিজে� হাজিরা বিজ্ঞাপি� করিয়� তা� পর� কোথা� যে লুকাইত কে� খুঁজিয়� পাইত না� কেবল আশ্রমে� দণ্ডধারী অধ্যাপকদের নিয়মিত কামাইয়� দি�, আর কাহাকে� সে বড়� গ্রাহ্� করিত না� অনেকদি� সাধনার পর� তাহাকে খুঁজিয়� পাইল� অগত্যা দাড়ি কামাইত� বসিত� ক্ষুরে কখনো সে শা� দি� না� ক্ষুরে� প্রথ� টানে� গালে রক্ত বাহি� হইত। আহ� ব্যক্ত� আপত্তি করিল� বলিত, "বাবু, �-� যে লড়াই হচ্ছ� তাতে কত লোকে� হা� পা কাটা পড়ছে, কই, তারা তো আপত্তি কর� না --- আর এইটুকুতে আপনি কাতর হচ্ছেন?"
"তা হো� বাপু, তুমি অন্য ক্ষু� বে� করো।"
আব্বাস তখ� দ্বিতী� ক্ষু� বাহি� করিত; সেখানা বো� কর� আর� ভোঁতা।
"আহ� আব্বাস, প্রা� যে গেলো, তোমা� আর কি ক্ষু� নে�?"
আব্বাস তখ� তাহা� শে� অস্ত্রখানা বাহি� করিত� সেখানা ভোঁতাতম।
আহ� ব্যক্ত� আর কী করিব�? অর্ধেক কামাইয়� তো আর ওঠ� যা� না; সে ক্রমাগ� পাশে সরিত� সরিত� এক সম� গিয়া দেয়ালে বাধা পাইত� আর যখ� সরিবার উপায় না�, তখ� দেয়ালে ঠাসিয়া ধরিয়� আব্বাস সবলে ক্ষৌরকার্য সমাধ� করিত� তা� পর� আর সে ব্যক্ত� বহুদিন পর্যন্� তাহা� শরণাপন্ন হই� না� আব্বাসের প্রথ� ক্ষুরে� না� রক্তকিঙ্কিণী, দ্বিতীয়খান� হাড়ভেদী, তৃতীয়খানার না� দেয়ালঠেসী�”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
"তা হো� বাপু, তুমি অন্য ক্ষু� বে� করো।"
আব্বাস তখ� দ্বিতী� ক্ষু� বাহি� করিত; সেখানা বো� কর� আর� ভোঁতা।
"আহ� আব্বাস, প্রা� যে গেলো, তোমা� আর কি ক্ষু� নে�?"
আব্বাস তখ� তাহা� শে� অস্ত্রখানা বাহি� করিত� সেখানা ভোঁতাতম।
আহ� ব্যক্ত� আর কী করিব�? অর্ধেক কামাইয়� তো আর ওঠ� যা� না; সে ক্রমাগ� পাশে সরিত� সরিত� এক সম� গিয়া দেয়ালে বাধা পাইত� আর যখ� সরিবার উপায় না�, তখ� দেয়ালে ঠাসিয়া ধরিয়� আব্বাস সবলে ক্ষৌরকার্য সমাধ� করিত� তা� পর� আর সে ব্যক্ত� বহুদিন পর্যন্� তাহা� শরণাপন্ন হই� না� আব্বাসের প্রথ� ক্ষুরে� না� রক্তকিঙ্কিণী, দ্বিতীয়খান� হাড়ভেদী, তৃতীয়খানার না� দেয়ালঠেসী�”
― রবীন্দ্রনাথ � শান্তিনিকেতন
