Rohun's Reviews > কব�
কব�
by
by

জানত� ইচ্ছ� করছে- সমগ্� উপন্যাসে তারাশঙ্ক� বাবু সমাজের নিম্নবিত্ত � সর্বহারা ভাসমান মানুষে� সম্পর্কে� মানবিক দ্বন্দ্ব � টানাপোড়ানের দুঃখ � বিচ্ছেদে জরাজীর্� জীবনের অপূর্ণতা, আক্ষেপ, ভালোবাসা-বৈরাগ্যে� দোলাচল, পৃথিবীতে 'পাওয়া' না হওয়� সব 'চাওয়া', ওপারের জীবন� পূর্ণতার সম্ভাব্যতা খুজত� গিয়� এক মহাকাল অনুসন্ধ্যা� করেছেন� তারাশঙ্ক� বাবু কি তা� জীবদ্দশায় পেয়েছিলেন সে� মহাকালের সন্ধ্যান! তা� সে� আক্ষেপের যন্ত্রণাক্লিষ্� প্রশ্নগুলা� উত্ত�!
ব্যক্তিগতভাব� আম� বিশ্বা� করতে ভালোবাসি উপন্যাসে� পৃষ্ঠায়� কারন পৃথিবীতে বিশুদ্� অনুভূত� আর কোথা� মৌলি� রূপে পাওয়া সম্ভ� না� এই উপন্যা�, লেখনশৈলী আমার মাঝে যে অনুভূতির সঞ্চার করেছ� বা আম� যে অনুভূতির ভেতর দিয়� যাচ্ছি তা দুঃখ-কষ্ট কিছু� না� কিন্তু তীব্� বিষাদের। এইটা অদ্ভুত বিষাদ। আপনা� কষ্ট হব� না, হতাশ লাগব� না, শুধু মন� হব� কী যেনো নাই। কিন্তু যা না� সেইটার জন্য কান্নাকাটি করাটাও বিরক্তজন� মন� হবে। ইচ্ছ� হব�, ঈশ্বরে� কাছে প্রার্থন� করতে, ঈশ্ব� এই অসী� শূন্যত�, কিছু একটা না থাকা� অনুভূত� থেকে আপনাকে মুক্তি দিক। এই বিষা� হারিয়� যা� আপনা� কা� থেকে এত� দূরে যে, আপনা� শহরে� ধূলাবালি� যেনো তাকে খুজে না পায়� কী বলবো, উপন্যাসে আটকে গেছি এক্কেবার� প্রথ� লাইন� বর্ণনাভঙ্গ� পড়ে!
শুধু দস্তুরমত একটা বিস্ময়ক� ঘটনা� নয�, রীতিমত এক সংঘটন। চো� ডাকা� বংশে� ছেলে হঠাৎ কব� হইয়� গেল।
এই না হল� সাহিত্� মাইরী! প্রথ� লাইনের বর্ণনা ভঙ্গিতেই খে� হারিয়� ফেলত� আম� বাধ্�! হিন্দু সমাজের পতিততম ডো� বংশে নিতা� চরণে� জন্ম� এই ডোমর� একসময় বাংলার নবজাগরণে� বিখ্যা� লাঠিয়াল ছিল। প্রাচীনকাল থেকে� পেশী শক্তির জন্য তাদে� না� ডা� ছিলো� কিন্তু কোম্পানি শাসন প্রতিষ্ঠার পর নবাবদে� জমিদারী ঐতিহ্য � আশ্রয় চ্যু� হয়ে এর� ডাকাতে পরিণ� হয�,নিতা� এই বীরবংশী ডো� বংশেরই উত্তরাধিকারী� তারাশঙ্করবাবুর কবিয়া� নিতাইচরণ চরিত্রটি চট্টগ্রামে� পটিয়া� বিখ্যা� কবিয়া� রমেশ শীলে� জীবনছায়� অবলম্বনে রচিত বল� অনেক� মন� করেন� ১৯৩৯ দিকে কংগ্রেসে� এক সম্মেলনে যো� দিতে এস� তারাশঙ্করবাব� কবিয়া� রমেশশী� সম্পর্কে অবগত হন� উৎসাহী তারাশঙ্ক� রমেশীলে� সাথে সাক্ষা� করেছিলেন বল� অনেকের মত� তব� � ঐতিহাসিক সূত্রে� যথায� প্রমাণ মেলেনি এখনো পর্যন্ত। নিতা� এর জীবন একজন কবিয়ালে� জীবন� সে পড়ত� ভালোবাসে, গাইত� ভালোবাসে বা� দাদা� পেশা ডাকাতি সে করতে রাজি নয়। তাইত� বাড়� ছেড়� আশ্রয় নে� এক বন্ধুর কাছে� সেখানে� সে প্রেমে পড়ে ঠাকুরঝি’র� প্রেমে� বিভিন্� পর্যায়ে কব� মনের আকুলতা, অনুভূতিগুল� যে� স্পষ্ট ধর� দিয়েছ� প্রত্যেক কবিতায়। নিতা� এর ব্যক্তিজীবনের অনুধাব� লেখক ধারাবাহি� ভাবে যেভাবে ফুটিয়� তুলেছে�, তাতে নিতা� এর পাশাপাশি প্রত্যেক টা অনুধাব� গভীরভাব� ছুয়� গেছে এই নগণ্� পাঠককে�-
আলকাতরার মত রঙ� ছি, � কথাই কি বলে। কালো? � মেয়� কালো? রাজনের চো� নাই। তা ছাড়� কালো কি মন্দ� কৃষ্� কালো, কোকি� কালো� চু� কালো- আহ� হা! আহ� হা! বড� সুন্দর বড� ভালো একটি কল� মন� আসিয়া গিয়াছ� রে� হায় হায় হায়� কালো যদ� মন্দ তব� কে� পাকিলে কাঁদ কেনে? কালো চুলে রাঙ্গা কুসু� হেরেছো কি নয়ন�?
সিরিয়াসলি? আজ থেকে ৮১ বছ� আগের অনুভূতির আকুলতা� বর্ণনাভঙ্গ� এইটা! ভাবা যায় না� সত্য� বলছি মাইরী, আম� চোখে� সামন� দেখত� পাচ্ছিলা� রেলে� দু� লাইন এক বিন্দুতে মিলে বেকে চল� গেলো, সেইখান� মাথায় সোনা� টোপর দেয়� ঠাকুরঝ� হেটে আসছে! সেখানে আছ� কৃষ্ণচূড়া গা�! নিতা� বুঝল�, সব কিছু পাইত� হয� না� ছন্দায়ি� কর� ফেলল� অকপট�!
চাঁদ দেখে কলঙ্� হব� বল� কে দেখেনা চাঁদ?
তা� চেয়� যাওয়া� ভালো ঘুচু� আমার দেখা� সাধ।
ওগ� চাঁদ তোমা� নাগি-
ওগ� চাঁদ তোমা� নাগি-না হয� আম� হব বৈরাগী
পথ চলিব রাত্রি জাগি সাধব� না কে� আর তো বা
প্রত্যেকটা বা�,ঘা�-প্রতিঘাতের বর্ণাভঙ্গি এত অসাধার�, পুরো উপন্যা� � কো� কর� দিয়� দিলে� তা টিকে যাবে হয়ত�! তারপরে আস� প্রিয়জন হারিয়� ফেলা� তীব্� বেদনার কি অনন্� উপস্থাপন!
মর� তোমা� হা� হল� যে মনের কাছে
ভাবল� যারে কেড়� নিলে সেযে দেখি মনেই আছ�!
এই বর্ণনাটুকু পড়ে আম� ধপ কর� বইটা বন্ধ কর� একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি� জ্বালিয়েছ� একটা চারমিনার� এত সুস্পষ্ট সু� এর মত� তীক্ষ্� পি�-পয়েন্� অনুভূতির প্রকাশ করতে বিধাতা প্রদত্� মেধা� প্রয়োজন� তারাবাবু তা দেখিয়েছেন সূচারুরূপে� শ্রেণী বিভে�, ঝগ্র�-ঝাটি, হানাহানি,মারামারি পারস্পরি� ঘৃণা এই সমস্� অশুচিক� কর্মের সৃষ্টি � পরিত্যাগের উপায� খুজত� গিয়� লেখক এর অনুসন্ধ্যা� এব� তত্ত্ব শুনে মন্ত্রমুগ্� হয়েছি আমি। সমাজের শ্রেণী সংঘা� এর উৎ�, প্রতিকার বা প্রতিরোধ খুজত� গিয়� তারাবাবু যে দর্শ� মহাকালের গহ্বরে� ভেতর খুজে পেয়েছেন তা আমার মন� থাকব� সারাটাজীবন� কাউক� ঘৃণা করতে গেলে মন� আসবে আমার এট� বরাব�!
প্রভুর সংসারে নী� কে� নে� বাবা� নিজে, পর� নয�- নিজে নী� হল� সে� ছোঁয়াচে পর� নী� হয়। নী� চশমা চোখে দিয়েছ বাবা? সূর্যে� আল� নীলবর্� দেখায়� তোমা� চোখে� চশমা� রঙের মত� তোমা� মনের ঘৃণা পরকে ঘৃণ্� কর� তোলে�
তারাবাবু� প্রকৃতির বর্ণনা� প্রশংস� না করলে� নয়। মন্ত্রমুগ্� হয়ে পড়বার মতোই� বিশেষত শেষরাতের যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তা যে পাঠক� দা� কাটব� না এম� পাঠক সম্ভ� না�!
রাত্রি� শে� প্রহ� অদ্ভুত কাল। এই সময় দিনে� সঞ্চিত উত্তাপ নিঃশেষ� ক্ষয়ি� হইয়� আস�, এব� সমস্� উষ্ণতাকে চাপা দিয়� একটা রহস্যময় ঘন শীতলতা ধীরে ধীরে জাগিয়� ওঠে। সে� স্পর্শ ললাট� আসিয়া লাগে, চেতন� অভিভূত হইয়� পড়ে� ধীরসঞ্চারি� নৈঃশব্দ্যে� মধ্য দিয়� একটা হিমরহস্য সমস্� সৃষ্টিকে আচ্ছন্� করিয়া ফেলে, নিস্তরঙ্� বায়ুস্তরে� মধ্য� নিঃশব্দসঞ্চারি� ধূমপুঞ্জের মতো। মাটি� বুকে মধ্য�, গাছে� পাতায় থাকিয়� যে অসংখ্য কোটি কী� পতঙ্� অবিরাম ধ্বন� তুলিয়� থাকে, তাহারা পর্যন্� অভিভূত � আচ্ছন্� হইয়� পড়ে রাত্রি� এই শে� প্রহরে� হতচেতন হইয়� � সময় কিছুক্ষনের জন্য তাহারা� স্তব্ধ হয়। মাটি� ভিতর� রন্ধ্র� রন্ধ্র� এই হি�-স্পর্শ ছড়াইয়া পড়িতে চায়� জী� জীবনের চৈতন্যলোকে� সে প্রবেশ করিয়া সমস্� ইন্দ্রিয়গুলোক� অব� করিয়া দেয়� আকাশ� জ্যোতির্লো� হয� পাণ্ডু�; সে লোকে� যে� হি�-তমসা� স্পর্শ লাগে� কেবল অগ্নিকোন� ধকধক করিয়া জ্বল� শুকতার�-অন্ধ রাত্রিদেবতার ললাটচক্ষুর মতো।
বলতে চেয়েছিলাম অনেক কিছু� পারলাম না তৃপ্তি কর� একটা কিছু লিখতে। হইলো না� এখ� আম� আর� লিখল� নতুন পাঠক নিতা� এর নিজেকে খুজে পাবা� আত্মোপোলব্ধি� যাত্রা� স্বাদটুক� থেকে বঞ্চিত হবে।
যা ভালো লাগে না� বলতে চা� একটুখানি� বসন্� নিতা� এর ঘর থেকে যাবা� পর� পরের দিনে� মন� রেখেছিলো নিতা� এর মনের মানু� আছ�, ঠাকুরঝ� ঘর� উক� দিয়েছ� কিন্তু বসন্তে� সাথে গাটঝড়� বাধবার সময় বসন্� একবা� � জিজ্ঞ্যাসা করলো না সে� সম্পর্কে� বিষয়ট� ভাবায় আমাকে। ক্ষুরধার নারীমাত্রই ভো� বিলাসী স্বার্থপ�? বসন্তে� ক্যারেক্টারে� ব্যাকগ্রাউন্� বক্তব্যে� অভাব কিছুটা অনুভ� করেছি। তারাবাবু আক্ষেপ রাখত� চেয়েছিলেন, হয়ে গিয়েছ� আফসোস।
এক কথায� কব� একটা জ্বলন্� দীর্ঘশ্বাস� ছুড়� ফেলে দেওয়া সিগারেটে� মাথায় জ্বলতে থাকা আগুনটা� মত�-
“এ� খে� মো� মন�
ভালবেস� মিটল না আশ- কুলা� না � জীবনে।
হায়, জীবন এত ছো� কেনে?
� ভুবন�?�
ব্যক্তিগতভাব� আম� বিশ্বা� করতে ভালোবাসি উপন্যাসে� পৃষ্ঠায়� কারন পৃথিবীতে বিশুদ্� অনুভূত� আর কোথা� মৌলি� রূপে পাওয়া সম্ভ� না� এই উপন্যা�, লেখনশৈলী আমার মাঝে যে অনুভূতির সঞ্চার করেছ� বা আম� যে অনুভূতির ভেতর দিয়� যাচ্ছি তা দুঃখ-কষ্ট কিছু� না� কিন্তু তীব্� বিষাদের। এইটা অদ্ভুত বিষাদ। আপনা� কষ্ট হব� না, হতাশ লাগব� না, শুধু মন� হব� কী যেনো নাই। কিন্তু যা না� সেইটার জন্য কান্নাকাটি করাটাও বিরক্তজন� মন� হবে। ইচ্ছ� হব�, ঈশ্বরে� কাছে প্রার্থন� করতে, ঈশ্ব� এই অসী� শূন্যত�, কিছু একটা না থাকা� অনুভূত� থেকে আপনাকে মুক্তি দিক। এই বিষা� হারিয়� যা� আপনা� কা� থেকে এত� দূরে যে, আপনা� শহরে� ধূলাবালি� যেনো তাকে খুজে না পায়� কী বলবো, উপন্যাসে আটকে গেছি এক্কেবার� প্রথ� লাইন� বর্ণনাভঙ্গ� পড়ে!
শুধু দস্তুরমত একটা বিস্ময়ক� ঘটনা� নয�, রীতিমত এক সংঘটন। চো� ডাকা� বংশে� ছেলে হঠাৎ কব� হইয়� গেল।
এই না হল� সাহিত্� মাইরী! প্রথ� লাইনের বর্ণনা ভঙ্গিতেই খে� হারিয়� ফেলত� আম� বাধ্�! হিন্দু সমাজের পতিততম ডো� বংশে নিতা� চরণে� জন্ম� এই ডোমর� একসময় বাংলার নবজাগরণে� বিখ্যা� লাঠিয়াল ছিল। প্রাচীনকাল থেকে� পেশী শক্তির জন্য তাদে� না� ডা� ছিলো� কিন্তু কোম্পানি শাসন প্রতিষ্ঠার পর নবাবদে� জমিদারী ঐতিহ্য � আশ্রয় চ্যু� হয়ে এর� ডাকাতে পরিণ� হয�,নিতা� এই বীরবংশী ডো� বংশেরই উত্তরাধিকারী� তারাশঙ্করবাবুর কবিয়া� নিতাইচরণ চরিত্রটি চট্টগ্রামে� পটিয়া� বিখ্যা� কবিয়া� রমেশ শীলে� জীবনছায়� অবলম্বনে রচিত বল� অনেক� মন� করেন� ১৯৩৯ দিকে কংগ্রেসে� এক সম্মেলনে যো� দিতে এস� তারাশঙ্করবাব� কবিয়া� রমেশশী� সম্পর্কে অবগত হন� উৎসাহী তারাশঙ্ক� রমেশীলে� সাথে সাক্ষা� করেছিলেন বল� অনেকের মত� তব� � ঐতিহাসিক সূত্রে� যথায� প্রমাণ মেলেনি এখনো পর্যন্ত। নিতা� এর জীবন একজন কবিয়ালে� জীবন� সে পড়ত� ভালোবাসে, গাইত� ভালোবাসে বা� দাদা� পেশা ডাকাতি সে করতে রাজি নয়। তাইত� বাড়� ছেড়� আশ্রয় নে� এক বন্ধুর কাছে� সেখানে� সে প্রেমে পড়ে ঠাকুরঝি’র� প্রেমে� বিভিন্� পর্যায়ে কব� মনের আকুলতা, অনুভূতিগুল� যে� স্পষ্ট ধর� দিয়েছ� প্রত্যেক কবিতায়। নিতা� এর ব্যক্তিজীবনের অনুধাব� লেখক ধারাবাহি� ভাবে যেভাবে ফুটিয়� তুলেছে�, তাতে নিতা� এর পাশাপাশি প্রত্যেক টা অনুধাব� গভীরভাব� ছুয়� গেছে এই নগণ্� পাঠককে�-
আলকাতরার মত রঙ� ছি, � কথাই কি বলে। কালো? � মেয়� কালো? রাজনের চো� নাই। তা ছাড়� কালো কি মন্দ� কৃষ্� কালো, কোকি� কালো� চু� কালো- আহ� হা! আহ� হা! বড� সুন্দর বড� ভালো একটি কল� মন� আসিয়া গিয়াছ� রে� হায় হায় হায়� কালো যদ� মন্দ তব� কে� পাকিলে কাঁদ কেনে? কালো চুলে রাঙ্গা কুসু� হেরেছো কি নয়ন�?
সিরিয়াসলি? আজ থেকে ৮১ বছ� আগের অনুভূতির আকুলতা� বর্ণনাভঙ্গ� এইটা! ভাবা যায় না� সত্য� বলছি মাইরী, আম� চোখে� সামন� দেখত� পাচ্ছিলা� রেলে� দু� লাইন এক বিন্দুতে মিলে বেকে চল� গেলো, সেইখান� মাথায় সোনা� টোপর দেয়� ঠাকুরঝ� হেটে আসছে! সেখানে আছ� কৃষ্ণচূড়া গা�! নিতা� বুঝল�, সব কিছু পাইত� হয� না� ছন্দায়ি� কর� ফেলল� অকপট�!
চাঁদ দেখে কলঙ্� হব� বল� কে দেখেনা চাঁদ?
তা� চেয়� যাওয়া� ভালো ঘুচু� আমার দেখা� সাধ।
ওগ� চাঁদ তোমা� নাগি-
ওগ� চাঁদ তোমা� নাগি-না হয� আম� হব বৈরাগী
পথ চলিব রাত্রি জাগি সাধব� না কে� আর তো বা
প্রত্যেকটা বা�,ঘা�-প্রতিঘাতের বর্ণাভঙ্গি এত অসাধার�, পুরো উপন্যা� � কো� কর� দিয়� দিলে� তা টিকে যাবে হয়ত�! তারপরে আস� প্রিয়জন হারিয়� ফেলা� তীব্� বেদনার কি অনন্� উপস্থাপন!
মর� তোমা� হা� হল� যে মনের কাছে
ভাবল� যারে কেড়� নিলে সেযে দেখি মনেই আছ�!
এই বর্ণনাটুকু পড়ে আম� ধপ কর� বইটা বন্ধ কর� একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি� জ্বালিয়েছ� একটা চারমিনার� এত সুস্পষ্ট সু� এর মত� তীক্ষ্� পি�-পয়েন্� অনুভূতির প্রকাশ করতে বিধাতা প্রদত্� মেধা� প্রয়োজন� তারাবাবু তা দেখিয়েছেন সূচারুরূপে� শ্রেণী বিভে�, ঝগ্র�-ঝাটি, হানাহানি,মারামারি পারস্পরি� ঘৃণা এই সমস্� অশুচিক� কর্মের সৃষ্টি � পরিত্যাগের উপায� খুজত� গিয়� লেখক এর অনুসন্ধ্যা� এব� তত্ত্ব শুনে মন্ত্রমুগ্� হয়েছি আমি। সমাজের শ্রেণী সংঘা� এর উৎ�, প্রতিকার বা প্রতিরোধ খুজত� গিয়� তারাবাবু যে দর্শ� মহাকালের গহ্বরে� ভেতর খুজে পেয়েছেন তা আমার মন� থাকব� সারাটাজীবন� কাউক� ঘৃণা করতে গেলে মন� আসবে আমার এট� বরাব�!
প্রভুর সংসারে নী� কে� নে� বাবা� নিজে, পর� নয�- নিজে নী� হল� সে� ছোঁয়াচে পর� নী� হয়। নী� চশমা চোখে দিয়েছ বাবা? সূর্যে� আল� নীলবর্� দেখায়� তোমা� চোখে� চশমা� রঙের মত� তোমা� মনের ঘৃণা পরকে ঘৃণ্� কর� তোলে�
তারাবাবু� প্রকৃতির বর্ণনা� প্রশংস� না করলে� নয়। মন্ত্রমুগ্� হয়ে পড়বার মতোই� বিশেষত শেষরাতের যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তা যে পাঠক� দা� কাটব� না এম� পাঠক সম্ভ� না�!
রাত্রি� শে� প্রহ� অদ্ভুত কাল। এই সময় দিনে� সঞ্চিত উত্তাপ নিঃশেষ� ক্ষয়ি� হইয়� আস�, এব� সমস্� উষ্ণতাকে চাপা দিয়� একটা রহস্যময় ঘন শীতলতা ধীরে ধীরে জাগিয়� ওঠে। সে� স্পর্শ ললাট� আসিয়া লাগে, চেতন� অভিভূত হইয়� পড়ে� ধীরসঞ্চারি� নৈঃশব্দ্যে� মধ্য দিয়� একটা হিমরহস্য সমস্� সৃষ্টিকে আচ্ছন্� করিয়া ফেলে, নিস্তরঙ্� বায়ুস্তরে� মধ্য� নিঃশব্দসঞ্চারি� ধূমপুঞ্জের মতো। মাটি� বুকে মধ্য�, গাছে� পাতায় থাকিয়� যে অসংখ্য কোটি কী� পতঙ্� অবিরাম ধ্বন� তুলিয়� থাকে, তাহারা পর্যন্� অভিভূত � আচ্ছন্� হইয়� পড়ে রাত্রি� এই শে� প্রহরে� হতচেতন হইয়� � সময় কিছুক্ষনের জন্য তাহারা� স্তব্ধ হয়। মাটি� ভিতর� রন্ধ্র� রন্ধ্র� এই হি�-স্পর্শ ছড়াইয়া পড়িতে চায়� জী� জীবনের চৈতন্যলোকে� সে প্রবেশ করিয়া সমস্� ইন্দ্রিয়গুলোক� অব� করিয়া দেয়� আকাশ� জ্যোতির্লো� হয� পাণ্ডু�; সে লোকে� যে� হি�-তমসা� স্পর্শ লাগে� কেবল অগ্নিকোন� ধকধক করিয়া জ্বল� শুকতার�-অন্ধ রাত্রিদেবতার ললাটচক্ষুর মতো।
বলতে চেয়েছিলাম অনেক কিছু� পারলাম না তৃপ্তি কর� একটা কিছু লিখতে। হইলো না� এখ� আম� আর� লিখল� নতুন পাঠক নিতা� এর নিজেকে খুজে পাবা� আত্মোপোলব্ধি� যাত্রা� স্বাদটুক� থেকে বঞ্চিত হবে।
যা ভালো লাগে না� বলতে চা� একটুখানি� বসন্� নিতা� এর ঘর থেকে যাবা� পর� পরের দিনে� মন� রেখেছিলো নিতা� এর মনের মানু� আছ�, ঠাকুরঝ� ঘর� উক� দিয়েছ� কিন্তু বসন্তে� সাথে গাটঝড়� বাধবার সময় বসন্� একবা� � জিজ্ঞ্যাসা করলো না সে� সম্পর্কে� বিষয়ট� ভাবায় আমাকে। ক্ষুরধার নারীমাত্রই ভো� বিলাসী স্বার্থপ�? বসন্তে� ক্যারেক্টারে� ব্যাকগ্রাউন্� বক্তব্যে� অভাব কিছুটা অনুভ� করেছি। তারাবাবু আক্ষেপ রাখত� চেয়েছিলেন, হয়ে গিয়েছ� আফসোস।
এক কথায� কব� একটা জ্বলন্� দীর্ঘশ্বাস� ছুড়� ফেলে দেওয়া সিগারেটে� মাথায় জ্বলতে থাকা আগুনটা� মত�-
“এ� খে� মো� মন�
ভালবেস� মিটল না আশ- কুলা� না � জীবনে।
হায়, জীবন এত ছো� কেনে?
� ভুবন�?�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
কব�.
Sign In »
Reading Progress
August 6, 2021
–
Started Reading
August 6, 2021
– Shelved
August 8, 2021
–
Finished Reading
January 7, 2025
– Shelved as:
close-to-my-heart
Comments Showing 1-7 of 7 (7 new)
date
newest »

message 1:
by
ফারহান�
(new)
-
rated it 5 stars
Aug 08, 2021 10:36PM

reply
|
flag

হ্যা সব মিলিয়ে সেরা� তব� ঠাকুরঝির ব্যাপারট� হালক� বাড়াবাড়ি� লেখক বলসে, জামা�-জুমড়� নিয়ে সে শ্বশুড় বাড়িতে মহ� সুখে� আছে। এম� অবস্থা� � হয় না� এই দেশে� পারস্পেক্টিভে। হই�, লেখক যদ� দেখাইত তা� শ্বশুড় বাড়ি সমস্যা আছে।

এখান� ঠাকুরঝির শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা আছ� কিনা এইটা ফ্যাক্� না� তারাশঙ্করয়� বাবু মানবী� মনের একটা অস্পৃশ্য অং� সামন� তুলে এনেছেন বলেই আপনা� এক� অবাস্ত� মন� হচ্ছ� হয়তো�

আম� বুঝাইত� চাইতেস�-
তোমা� কথাগুল� সত্য� একমত� কিন্তু, তারাবাবু বা� বা� কর� দেখিয়েছে�, বুঝিয়েছে�, ঠাকুরঝির জামা� ঠাকুরঝির জন্য পাগল এব� সে� একদম কম বয়সী� ঠি� এইখানে� কনটেক্সট টা কনফ্লিক্� করার সম্ভাবনা আছে।
জিনিসটাক� অন্য ভাবে উপস্থাপন কর� হইলে কনফ্লিক্� আসতোনা� তোমা� কমেন্টের শেষে� লাইনের পর এর লাইন এই যে, ঠাকুরঝির জামাইক� যেভাবে উপস্থাপন কর� হয়েছ�, বারংবা�, তাতে পাঠক হিসেবে আম� বো� করেছ�, মনের প্রয়োজনীয়ত� তা� কাছে ছিলো� বিল্ডাপে সেরক� বাক্যে� পর বাক্� এসেছে। যদ� তা� অর্ধাঙ্গ এইরক� � যথেষ্ট কনশা� � হয়� থাকে তব� ঠাকুরঝ� মানবী� মন� অস্পৃশ্যতা আসবে না� আসলে সেটা তুমি জাস্টিফায়ে� করতে পারোনা� সেটা পরোকিয়�! এখ� আম� তোমা� কথার বিরুদ্ধে বলছিনা� আমার মন� হচ্ছ�, ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু আলোচনা করতে পারতেন� আচ্ছ� করেন না�, খে� নাই। তাইল� ঠাকুরঝির অর্ধাঙ্গকে উদার মহানুভ� আর ঠাকুরঝির প্রেমি� রূপে উপস্থাপন করলে�! এত� কর� বাঙালী মানবী� চারিত্রি� ত্রুটি � সামন� এল�, অস্পৃশ্যতা� সাথে হয়তো� জিনি� টা কি এইরক�- কে� বিস্কু� ঝুলালে নারিরা তা� পিছে দৌড়ুতো? অথবা কে� ফ্ল্যার্� করলে পটাল�, স্বামী সংসা� রাইখ� পট� যে�? হ্যা যাওয়� যা� মানসিক ভাবে অসুখ� হইলে� যে দাফন � কর� ফেলেছে সে আবার অসুখ� জাস্টিফায়ে� করেনা। উলটো, শত অত্যাচার,অনাচার,যৌতু�,মারামারি, একশো এক রক� সক� ঝামেলা� পরেও সব মু� বুজে সয়� অল্প� তুষ্� হয়� হাসি দেওয়াত� ভারতী� উপমহাদেধের খ্যাতি ছিলো বিশ্বজোড়া। ইয়াহ ইট� � কার্স। বা� অনলি দে ক্যা� ডু ইট� অনলি� এই টা� সাথে� ঠাকুরঝির সম্পর্� নাই। তারাবাবু� জাস্টিফিকেশা� টানবোনা। তুমি ঠি�, কব� � ঠিক। বা� আমার পয়েন্ট জাস্� এইটা�- ঠাকুরঝির অর্ধাঙ্গকে প্রেমি� রূপে উপস্থাপন কর� হইলো, তারপরে� ঠাকুরঝির অপূর্ণতা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেস্মস্ত পাঠক� কে জানানো হয়নি� ব্যাকগ্রাউন্ডে� গল্প টা নাই। তা�, সেখানে আমার পারসোনাল� খে� থেকে গেলো যে, এইদা� গল্পদে� যে গল্প তা থাকত� অথবা তা� অর্ধাঙ্গ কে প্রেমি� না দেখায়া তথাকথি� মন বিহি� পুরু� হইলে আরেকটু জাস্টিফায়ে� হইতো�
আর অফ টপিক-
বেশি� ভা� সম� সাহিত্যিকেরা সম� থেকে পেছন দিকে যেয়ে মহাকালের খো� করেছেন� শেষে� কবিতার লাবণ্য অমিত কিংব� দেবদাস এক� দিকে যাত্রা করে। সম� থেকে পেছনে। আম� বুঝছ� সামাজি� ব্যবস্থা কে তুলে ধর� হয়েছে। সাহিত্� সমাজের দর্পণ। সো সেইটার পাশাপাশি কোথা� ফা� আছ� এব� কি কর� যে� এব� ততকালী� কিছু মানু� কিভাবে ফে� কর� বা যে�, ভবিষ্য� টা কি হব� তা দেখানো� উচিত ছিলো� বর্তমা� থেকে অতীতক� দোষারো� কর� অতীতে পালানো না, সুন্দর ভবিষ্যতে� তর� অভাব কোথা� তা� দেখানো� বেগম রোকেয়া সে� সমাজ থেকে উঠ� এসেছিলেন� হ্যা তা� প্রচুর সাপোর্� ছিল৷ সেগুলো ভেরিয়েবল� এই ভেরি এব� গুলা বা� দাও। জাস্� সে সাকসেস হইসে� তা কিভাবে? ভেরিয়েবলের জন্য� সাহিত্যিকেরা অনেক ক্ষেত্রে সে� ভেরিয়বলে� আশ্র� কম নিয়েছে�, হা হুতা� আর অতীতে পলায়� ছিলো বেশি� কা� যে একেবারেই হয় নি তা না� মাধবিলতা, জয়িত�, দীপাবলিরাও আছে। আর আছ� বলেই দু� চারজ� বেগম রোকেয়া তৈরি হইসে� কি জানি, আর� থাকল� হয়� আর� হই�, কে বলতে পারে?