কাশ্মী� ইস্য� লেখা ফিকশ� বইটা নিয়� এক্সপেক্টেশন সম্ভবত একটু বেশি ছিল। বই ভালো বা� এক্সপেক্টেশন ফি� আপ হয� নাই। কিছু জায়গায় পাঠকের ইমোশনে হি� করার �কাশ্মী� ইস্য� লেখা ফিকশ� বইটা নিয়� এক্সপেক্টেশন সম্ভবত একটু বেশি ছিল। বই ভালো বা� এক্সপেক্টেশন ফি� আপ হয� নাই। কিছু জায়গায় পাঠকের ইমোশনে হি� করার জন্য নাটকীয়তা আরোপিত লেগেছে� সবমিলিয়� খারা� না তব� রেকমেন্ড করতে পারছ� না�...more
সিদ্দি� আহমেদে� 'ধনুর্ধ�' আর 'দশগ্রী�' পড়া� পর থেকে� তাকে প্রমিসিং একজন লেখক বল� মন� হয়েছে� এইবারে� বইমেলায় তা� যখ� শুনলাম তা� দু-দুটো মৌলি� আসতে �সিদ্দি� আহমেদে� 'ধনুর্ধ�' আর 'দশগ্রী�' পড়া� পর থেকে� তাকে প্রমিসিং একজন লেখক বল� মন� হয়েছে� এইবারে� বইমেলায় তা� যখ� শুনলাম তা� দু-দুটো মৌলি� আসতে চলেছ� তখ� এক্সপেক্টেশন ছি� তুঙ্গে� বিশা� কলেবরে� 'নটরা�' এখনও পড়া হয়ে না উঠলে� পড়ে ফেললাম ৩২� পৃষ্ঠা� উপন্যা� 'সফরনাম�'�
সফরনাম� বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে� পটভূমিতে লেখা� গল্পের শুরুতে� মুক্তিযুদ্ধে� বিভীষিকাময� এক গণহত্যার সম্মুখী� হত� হয� পাঠক আর গল্পের অন্যতম মূখ্� চরিত্র লাবুর। লাবু� বয়স ১২� অবশ্� তাতে কী-� বা আস� যায়? যুদ্� তো আর বয়স মানে না� তা� তো পিতা� লা*� হাতড়ে খুঁজ� বেড়ানোর মাঝে� তা� মন� দেখা দেয় ঘাতকের উপস্থিতি� ভয়। রাজাকারদের হাতে ধরাও পড়ে লাবু� রাজাকারদের ডেরায় নিয়� যাওয়া হয� তাকে� আর সেখানে� আমাদের পরিচয় হয� গল্পের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় চরিত্র রইসে� সাথে� জানা যায় ক্ষুধা� জ্বালায় রাজাকারদের কমান্ডার গোলা� রসুলের বাড়িত� খাবা� চুরি করতে গিয়� ধর� পড়েছে রইস। জানে মেরে ফেলা� প্ল্যা� থাকলেও গোলা� রসুল তাকে মেরে না ফেলা� বিনিময়ে দেয় অদ্ভুত এক অ্যাসাইনমেন্ট। সে অ্যাসাইনমেন্� সফ� করতে হল� রইসক� চুরি করতে যেতে হব� বাঘে� খাঁচায�, অর্থাৎ খো� পাকিস্তানি মিলিটারি ক্যাম্পে�
রাজাকা� হয়ে� মিলিটারি ক্যাম্� থেকে কী চুরি করাত� চায় গোলা� রসুল? এক বু� দম নিয়� রই� নেমে পড়ে মিশন�, চেয়� চিন্তে সাথে নেয় লাবুকে� শুরু হয� অনিশ্চিত এর দিকে এক যাত্রার। সে যাত্রায় যেমন আছ� প্রা� বাঁচানোর দায়, তেমন� আছ� ১২ বছ� বয়সী ছেলে� ভীষণ ক্রোধ। তব� খালি চোখে দেখা হিসেবে� বাইরেও রয়েছে অত� গোপন একটা কিছু�
সফরনাম� গল্পের সাথে নামট� একদম পুরোপুরি মানানসই। গল্পের ৭০-৮০% � লাবু আর রইসে� যাত্রা� গল্প� তব� তাতে কর� বিরক্ত হওয়ার সুযো� মিলব� না পাঠকের� এই যাত্রা� মধ্য� দিয়� বে� স্পষ্টভাবে চিত্রি� হয়েছে যুদ্ধে� সময়� মানুষে� মনস্তাত্ত্বি� ব্যাপা�, কোনোরকমে বেঁচ� থেকে� দৃঢ় মনোবলে� ব্যাপার। আবার বে� কিছু দর্শনও উঠ� এসেছ� � যাত্রাপথে। আর পাঠক যদ� যাত্রা� গল্প� কখনো ক্লান্� হয়ে� যা� (আম� অবশ্� হইনি), তখ� হয়ত� স্ট্রে� রিলি� করার জন্য রইসে� কমিক রিলি� কথাবার্ত� কাজে দেবে (� দি� ধর� না খেয়� থাকা� ব্যাপারট�)�
তব� এটুক� শুনে বইটাকে বড্ড সিম্পল মন� হলেও একদম সিম্পল কিন্তু না� একটা টুইস্ট আছ� যেটা হয়ত� মেইনস্ট্রি� থ্রিলারে� মত মাইন্ডব্লোয়িং না� আবার সে টুইস্ট সচেত� পাঠকমাত্রই হয়ত� ধর� ফেলত� পারবেন� এই সহ�-সাধারণ টুইস্টটা� বর� বেশি বাস্তবিক এব� রিলেটেবল�
তব� � টুইস্ট বইয়ের সেরা অং� বল� মন� হয়নি। আমার কাছে সেরা লেগেছে গল্পের শেষে� অ্যাকশান সিকোয়েন্স� জানি না লেখক একজন চিত্রনাট্যকা� বলেই কিনা, তা� অত� যত্ন� গড়া প্রতিট� শব্দ যে� আমার সামন� একটা সিনেমা� দৃশ্যে� মত ধর� দিয়েছে। যে� চোখে� সামন� ইন ডিটেইল� দেখত� পাচ্ছিলাম। ঢিমেতালে চল� বইটা এখান� এস� একদম ১০�/১০� সাসপেন্স থ্রিলা� হয়ে গেছে� প্রত� পাতায় অ্যাড্রেনালি� রাশ। শেষট� অনুমেয� তব� বিরক্তিক� না� এস� ছাপিয়� পুরো বইয়ের যে জিনিসট� ভালো লেগেছে সেটা হল� মুক্তিযুদ্ধে� ভিন্নরকম একটা গল্প পড়ত� পারা� আর সিদ্দি� আহমেদে� সহ� সাবলী� সুন্দর লিখনশৈলী বইটাকে খুবই সহজপাঠ্য একটা উপন্যাসে রূপান্তরিত করেছে।
সিদ্দি� আহমেদে� সেরা লেখা হয়ত� এট� না তব� মুক্তিযুদ্ধে� উপন্যা� ক্যাটাগরীতে এট� নিঃসন্দেহে অনন্� সংযোজন�...more
� বইয়ের না� জানছিলাম আসিজ নজরুলে� 'কয়েকজ� হুমায়ূন আহমে�' বই থেকে� ওখান� ৯০ এর দশকে শীলা আহমেদে� একটা ছোট্� সাক্ষাৎকার আছ� যেখানে শীলা আহমেদক� তা� �� বইয়ের না� জানছিলাম আসিজ নজরুলে� 'কয়েকজ� হুমায়ূন আহমে�' বই থেকে� ওখান� ৯০ এর দশকে শীলা আহমেদে� একটা ছোট্� সাক্ষাৎকার আছ� যেখানে শীলা আহমেদক� তা� বাবা� লেখা কো� বইটা তা� ভালো লাগে না� প্রশ্ন কর� হইলে এইটা� না� আসে। বইটা পড়ে ফেলে� একটু অবাক হবেন কারণ এই বইটা� মূ� কাহিনী তা� বাবা� পরবর্তী জীবনের সাথে মিলে যায় অনেকটা� তখ� শীলা� � বইটা ভালো না লাগা� কারণটা জানা না� তব� ব্যাপারট� চরমমাত্রায� কাকতালীয়!
এই বইটা আমাক� একটা ডিলেমায় ফেলে দিছে� মানে লেখকের লিখনশৈলী, ভাষাজ্ঞা� এই বই লেখা� জন্য নিঃসন্দেহে পারফেক্ট তব� সমস্যা হচ্ছ� উপন্যা� হিসেবে � বই বৈশি�এই বইটা আমাক� একটা ডিলেমায় ফেলে দিছে� মানে লেখকের লিখনশৈলী, ভাষাজ্ঞা� এই বই লেখা� জন্য নিঃসন্দেহে পারফেক্ট তব� সমস্যা হচ্ছ� উপন্যা� হিসেবে � বই বৈশিষ্ট্যহীন। মানে মহাভার� যাদে� পড়া আছ�, তারা � বই পড়ে নতুন কিছু জানত� পারবেন বল� মন� হয� না� হ্যা�, কর্ণের POV থেকে লেখা হইছে এইটা� স্পেশালিটি� নাথি� এলস।...more
সাড়� � তারা বেসিক্যালি তব� গুডরিডসে ভাঙত� তারা দেয়� যায় না বল� � তারা দিলা� (কম দিবো ক্যা�? বেশি� দে�)�
ইশকু� খুইলাছ� আর কলেজ খুইলাছ� বই দুটা� মাঝে সাড়� � তারা বেসিক্যালি তব� গুডরিডসে ভাঙত� তারা দেয়� যায় না বল� � তারা দিলা� (কম দিবো ক্যা�? বেশি� দে�)�
ইশকু� খুইলাছ� আর কলেজ খুইলাছ� বই দুটা� মাঝে আমার কাছে বেশি ভালো লাগছ� এটাই� ৯০ দশকে জন্ম নেয়� ঢাকা� কলেজপড়ুয়� পোলাপানে� জীবন � বইতে যেমন দেখানো হইছে আম� সেইটার সাথে একমত� ৯০ দশকে জন্ম নেয়� আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই একটা কইরা 'শুইর� বয়তান' আছে। আছ� বাকি চরিত্রগুলাও। তব� ঢাকা� আশেপাশের পোলাপা� বা এই দশকে� আগ� পর� জন্ম নেয়� পোলাপা� কতটুকু রিলে� করতে পারব� আম� শিওর না� একটা জায়গায় শুধু ভেজা� মন� হইছে, সেইট� হইলো এই বইতে 'বড� চাচা'� প্রসঙ্গে� ওয়াসি� বাপই তো ভাইয়ে� মধ্য� বড�, তা� পরের জন মাসু� সাহে� যা� পোলা নসিব, আর এরপরেও দু� চাচা রুবে� চাচা আর পলাশ চাচা� তাইল� ওয়াসি� POV তে বড� চাচা কে? এইটা বুঝি নাই।...more
ঈদের ছুটি যে বই দিয়� শুরু করেছিলাম সেটা হচ্ছ� এটা। নসিব পঞ্চ� জিহাদী আমার অনেক পছন্দে� একজন রাইটার� লিখনশৈলী � পছন্দে� পেছন� মূ� কারণ� প্লট� ভালো তব�ঈদের ছুটি যে বই দিয়� শুরু করেছিলাম সেটা হচ্ছ� এটা। নসিব পঞ্চ� জিহাদী আমার অনেক পছন্দে� একজন রাইটার� লিখনশৈলী � পছন্দে� পেছন� মূ� কারণ� প্লট� ভালো তব� তা� বেশিরভাগ বইয়ের এন্ডিং� আমার মনমত� হয� না� তব� � বইটা� এন্ডিং ভালো� ৯০ দশকে� পোলাপানে� জীবন � বইয়ের মূ� উপজীব্য। � দশ� নিয়� লিখলেই লেখকগণ অতিরিক্ত রোমান্টিকতায� ভেসে যান। � বই সেরক� অতিরিক্ত কিছু দেখায় নাই। সবমিলিয়� ভালো লাগছ� � বই�...more
ধরুন, আপনি একজন ডাক্তার। মানে কাগজ� কলমে ডাক্তারি পা� কর� নামে� পাশে ডাক্তা� ডিগ্রী লাগিয়েছেন কিন্তু হাতে কলমে এখনও কা� করেননি� বলতে গেলে কিছু� নে� �ধরুন, আপনি একজন ডাক্তার। মানে কাগজ� কলমে ডাক্তারি পা� কর� নামে� পাশে ডাক্তা� ডিগ্রী লাগিয়েছেন কিন্তু হাতে কলমে এখনও কা� করেননি� বলতে গেলে কিছু� নে� আপনা� অভিজ্ঞতা� ঝুলিতে� এমতাবস্থায� আপনা� কাঁধ� এস� পড়ল� পুরো একটা হাসপাতালের দায়িত্ব, কেমন অনুভ� হব� আপনা�? পে� গুড়গুড় না করলে সাথে আর� যো� কর� নে�, সালট� ১৯১৬-১৭, আপনি একজন শহরে বড� হওয়� রাশা� আর আপনা� পোস্টি� একদম অজপাড়াগাঁ� আজ থেকে ১০�+ বছ� আগের সে অজপাড়াগাঁয়� একমাত্� আল� বলতে আছ� কেরোসি� বাতি� ওখান থেকে নিকটবর্তী শহ� ৩২ মাইল দূরে আর যোগাযো� ব্যবস্থা� লবডঙ্ক� অবস্থা� কারণ� সে শহরে যেতে সময় লাগে পুরো ২৪ ঘণ্টা। � আতঙ্� আর� বাড়বে যখ� আপনা� কল্পনা� সে অ্যাভাটারটার বয়স মাত্� ২৫ বছ� আর সে হাসপাতাল� আপনাকেসহ ডাক্তা� সংখ্যা �!
'মাস্টা� � মার্গারিতা' দিয়� বিখ্যা� হওয়� লেখক মিখাইল বুলগাক� � বইয়ের গল্পগুলো লিখেছে� ১৯২০ সালে� দিকে� বইতে থাকা গল্পগুলো তা� নিজস্ব এক্সপেরিয়েন্স এর ভিত্তিতে লেখা তব� গল্পের ডাক্তারে� না� ডক্ট� বমগার্ড।
একদি� ডক্ট� বমগার্ডে� কাছে গল্প করছি� তা� সহকারী পেলাজিয়� ইভোনাভনা (ধাত্রী)� সে একবা� এরকম কে� পেয়েছ� যেখানে গর্ভবতী মা'টি� প্রসবপথট� পরীক্ষা কর� সে দেখে, ওখান� কেমন দানাদা� গুড়� গুড়� বস্ত� লেগে আছে। পেলাজিয়� বুঝত� পারল, দানাদা� বস্তুট� চিনি� গুড়ো। ওখান� কীভাবে গে�? কারণ সন্তান জন্ম দিতে কষ্ট হচ্ছিল মেয়েটির� অর্থাৎ গর্ভস্� বাচ্চাটি বে� হচ্ছিল না� তা� স্থানীয় বুড়ির দল ওখান� চিনি লাগিয়� দিলো যাতে চিনি� লোভে বাচ্চাটি বে� হয়ে আস�!
এরকম কুসংস্কারাচ্ছন্ন অজপাড়াগাঁয়�, অপ্রতু� চিকিৎস� ব্যবস্থা� মাঝে ডাক্তারি করার চাইত� একজন সদ্য পা� কর� ডাক্তারে� কাছে চ্যালেঞ্জে� আর কী হত� পারে? মিখাইল বুলগাক� তথ� ডক্ট� বমগার্� সে চ্যালেঞ্জট� নিয়েছিলেন� রোগী দেখত� গিয়� নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রচণ্� তুষারঝড়ের মধ্য� কাঁপতে কাঁপতে কখনও ঘোড়ার স্লেজে পাড়� দিয়েছেন মাইলের পর মাইল� কখনও নিজে� ইন্সটিংক্ট আর হাতে� কাছে থাকা মেডিক্যালে� বইয়ের এর ওপ� ভিত্তি কর� রোগী� শরীরে চালিয়েছেন স্কালপেল� জানতেন না, সফ� হবেন কিনা� জানতেন না, গভী� রাতে ঢেঁকির চাপে পিষ্� হওয়� দুটো পা নিয়� যে অজ্ঞান কিশোরী মেয়েট� এসেছ�, সে কখ� মারা যাবে� অপারেশ� টেবিলে নাকি বেডে? যেখানে� মারা যা�, মেয়েটির বাবা যে ভরসা নিয়� তা� কাছে এসেছ� � মুহূর্তে তা� আসলে কী দেয়ার ক্ষমতা আছ�?
অথবা ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়� যে শিশু মেয়েট� শ্বা� নিতে পারছ� না, তা� গল� কেটে আপাত� কৃত্রি� শ্বা� নেয়ার ব্যবস্থা যে তিনি করতে চাচ্ছে� এটাত� কা� যে হবেই তারই বা কী গ্যারান্টি? নে�, কোনো গ্যারান্টি নে�, তব� কাজট� তাকে করতে� হবে। একটা চান্� তাকে নিতে� হবে। দেখা� যা� না, সৃষ্টিকর্ত� তাকে সফ� করেন কিনা�
সব সফলতার আখ্যান� যে উঠ� এসেছ� তা নয়। মিখাইলের কলমে নিঃসংকোচ থেকে উঠ� এসেছ� ব্যর্থতা� গল্প, মানুষে� কা� থেকে শেখা� গল্প�
৯ট� গল্পের � সংকল� বইটিকে মেডিক্যা� ফিকশ� বলার পাশাপাশি আর� কী কী ট্যা� দিয়� পিনপয়েন্ট মার্� কর� যায় আম� জানি না, তব� বইটা� কিছু কিছু জায়গায় আপনি শ্বাসরুদ্ধকর একটা অনুভূত� পাবে�, লার্জা� দ্যা� লাইফের একটা ভাইব� পাবে� আর সবশেষে বইটা শে� কর� ভাববার অবকাশও পাবেন। এবার দেখু� বইটা পড়বেন কিনা�
বইয়ের অনুবাদ নিয়� দু'কথ� না বললে� নয়। ঋজ� গাঙ্গুলিকে চিনি বিদগ্ধ পাঠক হিসেবে� চিনি বলতে গুডরিডসে তা� ম্যালা রিভি� দেখেছি, এমনিতে কোনো পরিচয় নেই। এর আগ� ওনার কোনো কা� পড়েছি বল� গুডরিড� বলছে না, তব� আমার কে� যে� মন� হচ্ছ� পড়েছি� তখনকার স্মৃতি আবছা হলেও এবারের এক্সপেরিয়েন্সটা একদম উজ্জ্ব� হয়ে থাকবে। কারণ � বইতে ঋজ� গাঙ্গুলি যে অনুবাদ দেখিয়েছেন, এট� ওনার চেয়� ভালো সম্ভবত কে� করতে পারত না� বই আজ থেকে ১০� বছ� আগের, কিন্তু অনুবাদের কারণ� মন� হয়ন� আম� এত পুরোনো কিছু পড়ছি। তাছাড়� 'ধ্যাদ্ধেড়� গোবিন্দপুর', 'হয়ে গে�', জীবনান্দের লাইন 'হৃদয� খুড়� বেদন� জাগানো'সহ অনেক বাঙালিকর� দেখা গেছে বইতে� তাতে কর� কী রাশিয়ান বইটা� এসেন্স নষ্ট হয়ে গে�? একদম না� রাশিয়ার ভয়ানক ঠাণ্ডা, তুষারাবৃ� মা�-ঘা� চারিপা�, কালিগোলানো রাতে গ্রামে� পরিবেশ� অনুভ� হওয়� একাকীত্�; ওট� যাবা� নয়। বর� বাঙালিকর� বইটাকে আর� ভালোভাবে বুঝত�, উপভো� করতে সাহায্� করেছে।
'বইটা পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশ�', এট� ছাড়� বইটা না পড়া� একটা কারণ� আম� দেখি না� না পড়লেই বর� মি� করবে� বিশা� একটা কিছু যেটা আম� � রিভিউত� তুলে ধরতে চাইন� না পারিনি�
একটা জিনি� খেয়াল কর� দেখলাম, ডাক্তা� বা চিকিৎস� পেশা থেকে ফিকশ� (বা নন-ফিকশ�) লিখে মানুষক� যে আনইউজ্যুয়াল গল্পগুলো শোনা� ডাক্তা� + লেখকরা, এরকম গল্প অন্য কোনো পেশায় আছ� কি? হ্যা�, লইয়াররা কোর্টরুমের গল্প লিখেছে�, ডিটেকটিভরা ক্রাইমের গল্প শুনিয়েছেন, এমনক� গল্প শুনিয়েছেন বিশ্বখ্যাত প্রেসিডেন্টস� আর� নানা পেশা� মানুষ। কিন্তু যে গল্প মিখাইল বুলগাক� � বইতে শোনালে�, মাশুদু� হক 'অসচরাচ�' সিরিজে শোনা� কিংব� শাহাদুজ্জামা� 'একটি হাসপাতাল একজন নৃবিজ্ঞানী কয়েকট� ভাঙ্গা হাড়' � শুনিয়েছেন, সেরক� বৈচিত্র্� কি অন্য পেশা� গল্প� আছ�?...more
�.� স্টা� আসলে� বছরে� ৩৮তম বই হিসেবে এম� একটা বই পড়লাম যেটাকে আসলে কী বিশেষণ� ফেলা যাবে বুঝত� পারছ� না� 'অদ্ভুত' বল� যায় তব� তাতে ১০�% মনের ভা� প্রক�.� স্টা� আসলে� বছরে� ৩৮তম বই হিসেবে এম� একটা বই পড়লাম যেটাকে আসলে কী বিশেষণ� ফেলা যাবে বুঝত� পারছ� না� 'অদ্ভুত' বল� যায় তব� তাতে ১০�% মনের ভা� প্রকাশ পায় না�
সায়� আমানের লেখা আগ� কখনো পড়িনি� দুয়েকজনের কা� থেকে তা� বই পড়া� এক্সপেরিয়েন্স খু� একটা ভালো শুনিনি� তব� পড়তাম, কিন্তু কখনো আসলে টানেনি দেখে ট্রা� কর� হয়নি। ওদিন কী মন� হল�, দু� কর� পড়ে ফেললাম�
বইটা� সবচেয়� শক্তিশালী জায়গাটা হচ্ছ� প্লট� হেরিটে� রিসার্� সোসাইটির চাকুরে হৈমন্তী ঘোষে� বিরাজপুর নামক গ্রামে পা রাখা� মধ্য দিয়� গল্প শুরু হয়। খানি� পর� জানা যায় ওখান� আসার উদ্দেশ্য হচ্ছ� একটি পরিত্যক্� অট্টালিকায দেখা, � বাড়ির ইতিহাস � ভূগো� নিয়� গবেষণা করা। গল্প একটু এগিয়ে গেলে বোঝা যায়, সে আসলে এই বাড়িত� কিছু একটা খুঁজতে এসেছে। পাঠক এখান থেকে গল্প� আটকে থাকা� কিকস্টার্টটা পান।
এই বাড়� যিনি বানিয়েছিলেন, তিনি ছিলে� একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী� সে� মানুষট� নাকি এখান� লুকিয়� রেখে গেছে� এক অবিশ্বাস্য প্রযুক্তি। সময়ের গত� এলোমেল� কর� দেয় সে� প্রযুক্ত�/যন্ত্র� দেখায় অজান� আকাশ� অচেন� তারাদের। ইন্টারেস্টিং তো! প্রায় জনমানবশূন্� � বাড়ির সে রহস্যে আষ্টেপৃষ্ট� আটকে যায় হৈমন্তী� সাথে দেখা পায়, মহাকালের এম� এক চরিত্রের যা সে ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি�
বই সা� ফা� বল� ট্যাগড হলেও আমার কাছে এট� সা� ফাইয়ে� চাইত� সায়েন্স ফ্যান্টাসী লেগেছে বেশি� আর দ্বিতীয় মেইন জনরা হচ্ছ� রোমান্স। সবমিলিয়� বইয়ের প্লট, জনরা বে� ভালো লেগেছে আমার� যদিও � প্লটটাকে একটা বিখ্যা� সা�-ফা� টিভি সিরিজে� অনুপ্রেরণায় গড়া মন� হয়েছে আমার (সিরিজটার না� বললে স্পয়লার হয়ে যাবে)� মানে ওট� আইফো� হল� এট� আইটেল। আদলে গড়া হলেও ওটার ধারে কাছে� না� সুতরাং এদিক দিয়� প্লটটা ভালো হলেও � প্লা� পাবে না � আনক্রেডিটে� সামঞ্জস্যতার কারণে।
প্লটের এই সামঞ্জস্যত� এড়ানো গেলে� উপন্যাসে এক্সিকিউশনের ভয়ানক দুর্বলতা এড়ানো যায়নি� এক্সিকিউশন মানে লিখনশৈলী না, ওট� ভালো� কলকাতা� বেশিরভাগ লেখকের মাঝে� দেখেছি, তাদে� লিখনশৈলীটা দারুণ। এর কারণ সম্ভবত তাদে� পড়া� গন্ডি। তন্ত্র-মন্ত্র, আল-বা� থ্রিলা� লিখলেও এদের লিখনশৈলী চমৎকার� তব� � বইটা আমার কাছে কে� খেয়েছ� অন্য জায়গায়� বইয়ের ঘটনাপ্রবাহ� অনেক অনেক ব্যাপা� একদম খেলো লেগেছে, 'যা সালা, এর� হয� নাকি?' টাইপ অবিশ্বাস্য লেগেছে� আর জেগেছে প্রচুর প্রশ্ন, যেগুলো� উত্ত� শে� অব্দ� মেলেনি� লেখকের টার্গে� ছি� বোধহয় বে� কিছু নাটকীয়তা রাখবেন উপন্যাসে, রোমান্� জনরা� পাঠকদে� উদ্দেশ্য করে। তিনি এক্ষেত্র� সফল। অনেক� দেখি � বই পড়ে কেঁদ�-কেটে বু� ভাসিয়েছেন (!)� তাদেরক� সম্ভবত '� কি রে, � কি রে' জিজ্ঞে� করলে � বইয়ের ক্ষেত্রে তা� 'মোদু মোদু' বলত। যা� হো�, বই পড়া� এক্সপেরিয়েন্স তো পাঠকভেদে আলাদ� আলাদ� হবেই� তা� কারো কাছে বই সেরা লাগলেও কিছু মানুষে� দেখেছি অখাদ্য লেগেছে� দু'পক্ষের অনুভূতির ব্যাপারট� আমার কাছে ক্লিয়ার এব� আমার কাছে বইটা মাঝারি মানে� লেগেছে�
মাঝারি মানে� এই বই নিয়� এত প্যাঁচাল পারছ� কারণ বইটা� প্লটটা আসলে� ইন্টারেস্টিং� সায়েন্স, টাইম ডায়ালেশ�, বি� ব্যা�, ইউনিভার্�, টাইম নিয়� লেখক যেভাবে সাজাতে চেয়েছেন, সে প্রচেষ্টাট� ভালো লেগেছে� সো, আপনি ভিন্� কিছু পড়ত� চাইল� বইটা ট্রা� করতে পারেন। বইটা সেরা কিছু না অবশ্যই তব� খানিকটা ভিন্ন কিছু...more
মুজতবা আলী বাস্তব� জীবনেও যে কতটা রসিক মানু� ছিলে� আর সে রসিকতা� মাঝে� যে আর্ট বল� একটা ব্যাপা� ছিলো সেটা ৭২ পৃষ্ঠা� � পিচ্চি বইটা পড়ল� স্পষ্টতই বোঝামুজতবা আলী বাস্তব� জীবনেও যে কতটা রসিক মানু� ছিলে� আর সে রসিকতা� মাঝে� যে আর্ট বল� একটা ব্যাপা� ছিলো সেটা ৭২ পৃষ্ঠা� � পিচ্চি বইটা পড়ল� স্পষ্টতই বোঝা যায়� ৫৬টি রম্য অভিজ্ঞতা নিয়� � বইটা আপনা� কালেকশনে রাখত� পারেন। কিছু কিছু দি� যায় না এম�, কেমন যে� গুমো� কর� মন খারা� হয�? তখ� � বইটা বে� কর� দুটো পাতা পড়ে ফেলু�, একদম মন ভালো হয়ে যাবে�...more
বাতিঘর� বস� দু'মা� আগ� একটা বই পড়েছিলাম। বইটা� না� 'কয়েকজ� হুমায়ূন আহমে�'� আগ্র� নিয়� বইটা হাতে নিয়েছিলাম কারণ বইটা� লেখক আসিফ নজরুল। আমরা বোধহয়বাতিঘর� বস� দু'মা� আগ� একটা বই পড়েছিলাম। বইটা� না� 'কয়েকজ� হুমায়ূন আহমে�'� আগ্র� নিয়� বইটা হাতে নিয়েছিলাম কারণ বইটা� লেখক আসিফ নজরুল। আমরা বোধহয় সবাই জানি আসিফ নজরু� হুমায়ূন আহমেদে� জামাতা (মেয়� শীলা আহমেদে� স্বামী)� তো উন� আসলে হুমায়ূন আহমেদক� নিয়� কী লিখেছে� সেটা দেখা� ছি� আগ্রহে� বিষয়। তব� অ্যাদ্দি� পর� � বইটা� রিভি� লিখত� আসার কারণটা আর� ইন্টারেস্টিং� শেষে বলছি�
বইটা পড়া শেষে দেখলাম আম� যেরক� ধারণ� কর� বইটা হাতে নিয়েছিলাম, আসলে মোটে� সেইরকম না বইটা� ওরকম হলেই বর� বইটা ম্যাড়মেড়� হতো। বইটা বর� বে� কিছু প্রবন্�, সাক্ষাৎকারের সংকল�, যেগুলো আসিফ নজরু� সাহে� ৯০ এর দশকে লিখেছিলেন। হুমায়ূন 'ভা�' এর ফ্যামিলি� সাথে তখ� তা� সহ�-সর� একটা সম্পর্� গড়ে উঠেছিল�
এই বইতে থাকা প্রবন্ধগুলোর বেশিরভাগ� প্রকাশ পেয়েছিল সাপ্তাহি� 'বিচিত্রা'তে� আর আম� সবচাইত� বেশি অবাক হয়েছি সাপ্তাহি� 'বিচিত্রা'� � সময়ের কথ� জানত� পেরে� � বইতে থাকা সাপ্তাহি� বিচিত্রা� দুইট� প্রবন্� আমাক� ভীষণভাবে মুগ্� করেছে। মানে এত মানসম্পন্ন প্রবন্� যে ৯০ দশকে প্রকাশ পে� আমার বিন্দুমাত্� ধারণ� ছি� না�
একটা প্রবন্� হচ্ছ�, হুমায়ূন আহমেদে� বিখ্যা� নাটক 'কোথা� কে� নে�' নিয়ে। কোথা� কে� নে� এর শে� পর্ব প্রচারিত হয়েছি� ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ আর তা� আগের পর্ব মন� হয� সেপ্টেম্বরের প্রথ� সপ্তাহে। আগের পর্বেই দেশে� জনগণের মধ্য� আলোচনা� তুঙ্গে উঠ� আস� � নাটকের সম্ভাব্য শে� পরিণতি বিষয়ে� বাকে� ভাইয়ে� ফাঁস� হব� কি হব� না, এস� নিয়� চায়ের দোকানে, অফিস�, পাড়ায� রীতিমত� গবেষণা হতো। এই শে� পর্বের পরিণতি কী হত� পারে, দর্শকর� কী মন� করছে�, পরিণতি হল� দেশে� মানুষে� মাঝে প্রতিক্রিয়া কী হত� পারে; ইত্যাদ� বিষয� এত সুন্দর কর� সংগ্রহ কর� এই প্রবন্ধট� লেখা হয়েছে যে, এটার মা�, কন্টেন্ট দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে� এই প্রবন্ধট� প্রকাশ পেয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শে� পর্ব প্রচারিত হবার ৪দিন আগে।
আরেকটা প্রবন্� ছি�, হুমায়ূন আহমেদে� বিরুদ্ধে হওয়� আদাল� অবমানন� বিষয়ক� বইটা হিমু সিরিজে�, না� সম্ভবত 'দরজা� ওপাশ�'� ঐখান� আদাল� অবমানন� হবার রু� কী, পৃথিবী� কোনো দেশে ফিকশ� লিখে এরকম ভাবে আদাল� অবমানন� মামলার শিকা� হয়েছে� কিনা; ইত্যাদ ইত্যাদ� বিষয়ে একটা প্রবন্ধ। আসিফ নজরু� নিজে আই� বিশেষজ্ঞ হওয়ায� এব� প্রচুর রিসার্� কর� লেখা এই প্রবন্ধট� বাংলাদেশের প্রবন্� লেখা� ইতিহাস� একটা উল্লেখযোগ্� সংযোজন বল� মন� হয়েছে আমার�
এই প্রবন্ধগুল� বাদে� বইতে ইন্টারেস্টিং ছি� সাক্ষাৎকার গুলো� বিশে� কর� গুলতেকিন খানে� সাক্ষাৎকার� হুমায়ূন আহমেদে� মধ্য� ছি� মানুষক� চমকে দিয়� আনন্দলাভের একটা অভ্যাস� গুলতেকিন খা� একদম আলাদ�, তিনি ভা� টা� করেন না� তব� তিনি বে� সাহসী� হুমায়ূন আহমেদক� নিয়� অকপট� কিছু কথ� বলেছিলেন তখনই যেটা ফরমা� ইন্টারভিউত� সাধারণ� মানু� বল� না� ভালো লেগেছে শীলা আহমেদে� ইন্টারভিউটাও� কট� অথ� সত্য কথ� বল� সমালোচ� যে কোনো সাহিত্যিকই পছন্� করেন না, সেটা জানা গে� শীলা আহমেদে� বয়ানেই। আর ভিন্� ভিন্� মানুষে� বয়ানে� দেখা গে� একজন হুমায়ূনের মাঝে� কয়েকজ� হুমায়ূনকে�
তো শুরুতে অ্যাদ্দি� পর� রিভি� লেখা� কথ� যেটা বলছিলাম। শীলা আহমেদে� ইন্টারভিউত� বাবা� লেখা অপছন্দের বইয়ের কথ� জিজ্ঞে� করেছিলেন, আসিফ নজরুল। শীলা আহমে� বলেছিলেন, 'নী� অপরাজিতা' বইটা একদম� ভালো লাগেনি তার। আমিও শুনে সাধারণ একটা স্টেটমেন্ট হিসেবে� নিয়েছিলাম� আজ হঠাৎ কর� এই বইটা� পিডিএফ নামালাম। পড়া শে� কর� চমকে গেলাম। কারণ এই বইটা� শেষে এম� একটা ইঙ্গিত আছ� যেটা পরবর্তীতে হুমায়ূন আহমে� পরিবারের জীবন� ঘটেছিল� তাহল� কী শীলা আহমে� আগেই কোনোভাবে ব্যাপারট� টে� পেয়েছিলেন? অলৌকিক বিষয়ে আমার বিশ্বা� খুবই সীমিত। তব� মাঝে মাঝে এরকম অলৌকিক কোনো কানেকশান পেলে খারা� লাগে না�...more
একটা বইয়ের মাঝে খানিকট� হররে� সাথে প্রচুর পরিমাণ ফিলোসফ� থাকল� সে বই ভালো না লাইগ� উপায� কী? তা� ওপ� তানজী� রহমানে� দুর্দান্� লিখনশৈলী, ঢাকা� বর্ণনা একটা বইয়ের মাঝে খানিকট� হররে� সাথে প্রচুর পরিমাণ ফিলোসফ� থাকল� সে বই ভালো না লাইগ� উপায� কী? তা� ওপ� তানজী� রহমানে� দুর্দান্� লিখনশৈলী, ঢাকা� বর্ণনা একদম পারফেক্ট� বইটা ছোটো হইতে পারে কিন্তু বইটা চমৎকার� তব� � বই সবার ভালো লাগব� না�...more
ইউরি গ্যাগারি� এর না� শোনে� না� এম� কে� আছেন? আমার মন� হয� না এম� কে� আছেন� সবাই জানে� প্রথ� মহাকাশচারী মানু� হচ্ছেন এই ইউরি গ্যাগারিন। প্রথ� মহাকাশচাইউরি গ্যাগারি� এর না� শোনে� না� এম� কে� আছেন? আমার মন� হয� না এম� কে� আছেন� সবাই জানে� প্রথ� মহাকাশচারী মানু� হচ্ছেন এই ইউরি গ্যাগারিন। প্রথ� মহাকাশচারী মানু� এব� সোভিয়েত ইউনিয়নে� বাসিন্দা; এই দুইট� তথ্য জানা থাকলেও অনেকেই ছোটোবেলা� সাধারণ জ্ঞানে� বইতে পড়া ইউরি গ্যাগারিনে� সে� মহাকাশযাত্রা� তারিখট� ভুলে গেছেন। ভুলে যাওয়াটা� স্বাভাবিক। সে� তারিখট� হচ্ছ� ১৯৬১ সালে� ১২� এপ্রিল� বুকভরা স্বপ্ন আর নভোচারী� বসার জন্য মাত্� � মিটা� দৈর্ঘ্যে� ক্যাপসুল নিয়� ভোস্টক - � নামে� সে� মহাকাশযা�, ইউরিকে নিয়� রওনা করেছিল ভো� �:০৭ মিনিটে�
এই দিনে� প্রায় ৫৩ বছ� আগ� মানু� সর্বপ্রথ� জমিন থেকে তা� পা উঠিয়ে যাত্রা করেছিল আকাশপানে� মাত্� ৫৩ বছ� পর� সে� মানুষই যে কখনো পৃথিবী� বায়ুমণ্ডল ভে� কর� নী�-সবুজের পৃথিবী চক্ক� মেরে আসবে তা� আবার মাত্� ১০� মিনিটে, উপরন্ত� সে� ঘুরে আস� মহাকাশযা� নিয়ন্ত্রণ কর� হব� পৃথিবী� এক কোণায় থাকা কন্ট্রোল সেন্টা� থেকে, এট� যদ� রূপকথা না হয� তব� কোনট� রূপকথা?
ইউরি গ্যাগারি� সেদি� সৃষ্টি করেছিলেন ইতিহাস� পৃথিবী� বুকে নেমে আসার এক্সপেরিয়েন্স ইউরি শেয়ার করেছিলেন এভাব�, 'আমাক� নামত� হয়েছি� প্যারাস্যুটে� ল্যান্� করেছিলাম এক ভুট্টাখেতে� একটা বাচ্চা মেয়� তা� ঠাকুমা� সঙ্গ� খেতে কা� করছি� সে-সময়� বাচ্চাটা তো ভেবেছে আকাশ থেকে পর� নেমে এসেছ� বোধহয়!'
পর� নেমে আসুক আর দেবদূত নেমে আসুক, সেদি� মানুষে� পক্ষ থেকে ইউরি প্রমাণ করেছিলেন, মানুষে� পক্ষ� আসলে অসম্ভব কিছু� নেই। জিতে নিয়েছিলেন দুনিয়াজোড়া মানুষে� মন আর সে� সাথে জিতেছিলে� অসংখ্য পদ�, সম্মাননা� তব� সে� সম্মাননা বেশিদি� উপভো� করতে পারেনন� ইউরি� ইতিহাস গড়া� মাত্� � বছ� পর মিগ১� বিমানক্র্যাশে জীবনাবসা� ঘট� ৩৪ বছ� বয়সী ইউরি গ্যাগারিনের। যে লো� কিনা পৃথিবী প্রদক্ষি� কর� এল� জীবন হাতে নিয়�, তাকে মর� যেতে হল� একটা মামুলি ট্রেইনিং ফ্লাইট�? রূপকথা� সে হিরো� শে� গন্তব্� তাহল� এই ট্রাজেডি� মধ্য দিয়�?
ভা�, বইয়ের গল্প শোনাইত� গিয়� আজাইরা গপ্প� শুরু করছে�? এল� থামেন। বইয়ের কোনো গল্প থাকল� কন�
একটু বেশি প্যাঁচাল পাইড়া ফেলল� ক্ষমাপ্রার্থী� এখনি মূ� ঘটনায় যাচ্ছি� আমাদের আলোচ্য বই 'শূন্� দৃশ্যমানতা'� গল্প শুরু হয� ইউরি� জীবনাবসানে� সে� দিনট� অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে� ২৭ মার্� থেকে� গল্পের নায়� � জন� তা� মাঝে একজনের না� শুনে� ফেললেন, দ্বিতীয় জন হচ্ছেন � মিগ১� � থাকা আরেক হতভাগ্� মানু�, ভ্লাদিমি� সেরিওগিন� তিনি ছিলে� সেনাবাহিনীতে ইউরি� বিমা� চালনার শিক্ষক� তৎকালী� সোভিয়েত ইউনিয়নে� ক্ষমতা� শীর্ষে ছি� প্রতিরক্ষা বাহিনী� আর সে� সাথে প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা ছি� ভয়ানক নিষ্ঠুর। দেশে� সব ভালো মন্দ বোঝা� দায়িত্ব নিয়� নেয়� এই প্রতিরক্ষা বাহিনী� মানুষও সিভিলয়ানদের অনেক অবজ্ঞা করতেন। অবজ্ঞা করতে� জুনিয়� অফিসারদেরও� তব� তা সত্ত্বেও ইউরিকে অনেক স্নে� করতে� ভ্লাদিমির।
সফলতার খাতায় দুজনের পরিচয় লেখা থাকলেও লেখা ছি� না আমাদের গল্পের তৃতীয় এব� সবচেয়� গুরুত্বপূর্ণ নায়কে� নাম। মৃত্যু� আগ পর্যন্� মানু� জানত না ইনিই সোভিয়েত ইউনিয়�-আমেরিকার কোল্� ওয়ারে� সময়� দু'দেশে� মধ্য হওয়� রাজনীতি� চালে সোভিয়েতকে এগিয়ে রেখেছে� সবসময়� তিনি� ছিলে� মৃত্যু� আগ পর্যন্� সোভিয়েত ইউনিয়নে� সক� মহাকাশযাত্রা� বাহনের ডিজাইনার� তা� না� 'সের্গে� পাবলোভিচ কলোর�'� বেঁচ� থাকত� পানন� কোনো রিকগনিশন, কে� জানতোই না মহান এই ব্যক্তিটির না�, অন্ত� ১৯৬৬ সালে� আগ পর্যন্� (সে বছ� মৃত্যুবর� কর� কলোর�)� সোভিয়েত ইউনিয়� বে� সফলতার সাথে লুকিয়� রেখেছি� তাকে, পাছে না আমেরিক� জেনে ফেলে� বইটা কি তাহল� এনাদের মহাকাশযাত্রা� সাফল্যের কচকচান�? আজ্ঞ� না, আবার হ্যা� ও। মানে এনাদের মহাকাশযাত্রা� ইতিহাস� তব� বইয়ের লেখক 'মৈত্রী রায় মৌলি�' স্রে� উইকিপিডিয়ার মত� গড়গড় কর� ইতিহাস বলার রাস্তায় হাঁটেননি� তিনি হেঁটেছেন অনেকটা শাহাদুজ্জামা� এর 'আধ� ঘুমে ক্যাস্ট্রো� সাথে'� পথে।
বইটা মূলত এগিয়েছে মৃত্যু� পর� তাদে� তিনজনে� একত্রে বস� কর� বাতচিতের মধ্য দিয়ে। এখান� লেখক কল্পনা� আশ্রয় নিলে� তাদে� কন্ঠ দিয়� যে গল্প উঠ� এসেছ� সেগুলো সব বাস্তব� আর ইতিহাস � বইয়ের অর্ধেকটা হলেও বাকি অর্ধেক� উঠ� এসেছ� এই বইয়ের নায়কদের নিজস্ব দর্শ�, তাদে� আত্মত্যা�, সোভিয়েত ইউনিয়নে� তৎকালী� অবস্থা, নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্রে� তাদেরক� ব্যবহা� করার করুণ ফিরিস্তি, কোল্� ওয়ারে� গল্প, স্বপ্নভঙ্গ; বল� শে� কর� যাবে না এম� অনেক কিছু�
মাত্� ১৪� পাতা� মাঝে লেখক যে দারুণভাব� আমাদেরকে গল্পটা শুনিয়� গেছে� এটাক� সরলীকর� কর� স্রে� ইতিহাসের বই বা নন-ফিকশ� বই বলতে আম� নারাজ। 'শূন্� দৃশ্যমানতা' তা� চাইতেও বেশি কিছু� লেখকের সুনিপু� লিখনশৈলী আমাক� বারবার নারায়� সান্যালে� কথ� মন� করিয়ে দিচ্ছিল। নারায়ণে� সান্যালে� জাদুকরী শব্দ, বাক্যে� ব্যবহা� না থাকলেও গল্প বলার ভঙ্গিট� একদম কপ� কর� নিয়েছেন লেখক� এখান� আসলে কপ� ব্যাপারট� আম� নেগেটি� অর্থ� বুঝাইনি। এই যে নন-ফিকশনে� মাঝে ফিকশনে� স্বাদু মশলা ঢুকিয়� দেয়�, সেভাবে গল্প বল�; এট� আসলে চাইলেও কপ� কর� যায় না� এর জন্য চা� প্রচুর ইতিহাসভিত্তি� নলেজ রাখা, গল্পটা কীভাবে বল� হব� সেটা� আউটলাই� টানা এব� পুরো বই ঝুলে না যাওয়া� মত� কঠিন এক্সিকিউশন করা। এট� সবার কা� না� আর এখান� মৈত্রী রায় মৌলি� দারু� মুন্সিয়ান� দেখিয়েছেন� এই একটা বইয়ের মাধ্যমেই উন� আমাক� ওনার পাঠক বানিয়� ফেলেছেন। কাজট� একদম সহ� না� শূন্� দৃশ্যমানতা বা মেঘে� মাঝে জিরো ভিজিবিলিটি� কারণ� সেদি� মিগ১� ক্র্যা� করার কারণেই কি বইয়ের না� 'শূন্� দৃশ্যমানতা'? নাকি ইউরি, কলোর� আর ভ্লাদিমি� যে সারাজীবন ধর� তাদে� খু� কাছে কিছু সত্য থাকলেও সেটা দেখত� পারেনন� (কিংব� তাদেরক� দেখত� দেয়� হয়ন�), সেটা� � বইয়ের নামকরণের পেছনের কারণ? পড়ে দেখু�, হয়ত� উত্তরট� আপনা� কাছে ক্লিয়ার হবে।
বইটা আনন্� পাবলিশার্সের, তা� ইন্ডিয়া থেকে বই আনায� এম� কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে পেয়� যাবেন।...more
গর� গর� মেলা� বই হিসেবে পড়ে ফেললাম শিবব্র� বর্মনে� নতুন বই 'শো�'�
বইটাকে একেবার� ব্লাইণ্ড চয়ে� বল� যাবে না, যেহেতু শিবব্র� বর্ম� নতুন রাইটারদে� মাঝে গর� গর� মেলা� বই হিসেবে পড়ে ফেললাম শিবব্র� বর্মনে� নতুন বই 'শো�'�
বইটাকে একেবার� ব্লাইণ্ড চয়ে� বল� যাবে না, যেহেতু শিবব্র� বর্ম� নতুন রাইটারদে� মাঝে মোটামুটি হেভিওয়ে� নাম। তা� আগের দুটো গল্প সংকলনে� বই 'বানিয়ালুল�' আর 'সুরাইয়া'� সব গল্প ভালো না লাগলেও বেশিরভাগ� লেগেছে� তব� গল্প ভালো লাগা থেকে� যেটা বেশি ভালো লেগেছে সেটা হল�, ওনার এক্সক্লুসি� গল্প ইটসেলফ� মানে প্লটগুলা একদম� অন্যরক�, ভাবন� চিন্তা� উদ্রেক ঘটায� প্লা� বে� খানিকট� ভাবায়ও। সে� হিসে� কর� 'শো�' নেয়�, অ্যা� ইউজ্যুয়্যাল বই কেনা বা পড়া শুরু করার আগ� বা পর� জানতাম না বইটা কী নিয়ে।
বইয়ের প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে� শুরু� সময়কার। তব� আপাতদৃষ্টিতে কিংব� গল্প শুরু করতে গিয়� মুক্তিযুদ্ধে� ব্যাপারট� খুবই প্রচ্ছন্নভাব� টে� পাওয়া যায়, অতোট� জোরালো না� মানে এইটা মুক্তিযুদ্ধে� টাইমের গল্প হইলে� মেইনস্ট্রি� মুক্তিযুদ্ধে� গল্প না� এইখানে গল্পটা আবর্তি� হইছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি শিক্ষক � তাদে� পরিবারের মধ্যে। তব� ঢাকা ইউনিভার্সিটি� সেটা� এই বইতে ১২ হা� কাঁকুড� হইলে দাবা হইতেছে ১৩ হা� বিচি� মানে দাবা, দাবা আর দাবা� দাবাকে কেন্দ্� কর� না, দাবাকে পরিধ� বানায়েই ৮৮ পৃষ্ঠা� এই গল্পবৃত্তে� এরিয়া�
গল্পের যুগপ� কেন্দ্রীয় চরিত্র ঢাকা ইউনিভার্সিটি� ইতিহাস বিভাগে� প্রৌঢ় প্রফেস� আফসা� চৌধুরী আর গণিত বিভাগে� ইয়ং প্রফেস� (নাকি অ্যাসিস্ট্যান্� প্রফেস� খেয়াল না�) ফিরো� আহসা� বেগ। ফিরো� সা� তৎকালী� পাকিস্তা� ন্যাশনাল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ� তৃতীয়বারে� মত� কেবল চ্যাম্পিয়� হইছেন। বাঙালি, ইয়ং পোলা বুদ্ধিদীপ্� স্ট্র্যাটেজিক্যা� একটা খেলায় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়� হইছে, অত্যন্� স্বাভাবিকভাব� অহমিকা তা� অলংকরণ হইয়্য� আছে।
আর ওদিক� আফসা� সা� এইসব টুর্নামেন্টে খেলে� না, তব� তিনি যে দুর্দান্� খেলে� এইটা সকলে জানেন। ঘটনাচক্র� ফিরো� সা� চ্যালেঞ্জড হইলো আফসা� সাবে� সাথে খেলত� এব� মোস্� ইম্পর্ট্যান্টল� তাকে হারাইতে। কিন্তু... কী ভাবতাছেন? নাটক� যা হয� তা� তো হব�, মানে ফিরো� সা� আসলে তারে হারাইত� পারব� না, গো-হারা হাইর� বইসা থাকব� আফসা� সাবে� কাছে? শুধু যদ� এইটু� ভাইব� থাকে� তাইল� ভু� করতেছেন। এইখানে এই বাইরেও আর� অনেক কিছু আছে। মন� রাইখেন, উপন্যাসিকা� সে� আপ ১৯৭১ সা� আর 'দাবা একটা হিংস্র খেলা� যে বোঝে, সে জানে�' বাকিটা বই থাইকাই জাইন� নিয়েন�
শিবব্র� বর্মনর� এর আগ� দেখছ� সা� ফা� টাইপের গল্প লিখতে। এইখানে ডিরেক্� সা� ফা� না বইলা সা� ফা� টাইপের বললা� কারণ উন� আসলে ঠি� সায়েন্সের গল্প বলতে চা� না� মানে গল্প� সায়েন্সের উপাদান থাকলেও আমার কাছে কখনো ফিকশ� হিসেবে� ধর� দিছে, কখনো ধর� দিছে দর্শনে� একটা সুক্ষ্� ইঙ্গিত নিয়া। আবার কখনো সুররিয়েলিজমের একটা সু� শোনায়� গেছে�
এই বইটা অবশ্� বেসিক্যালি অম� কিছু� না, এইটা মূলত ফিকশনই মন� হইছে আমার� তব� এত ছোটো পরিসরে� চমৎকার চরিত্রায়ন, দাবা� টুকটাক স্ট্র্যাটেজি, খানিকট� ইতিহাস ফিকশ� বইটারে বিভিন্� সাবজনরায� ফালাইছে। আর গল্পটা পড়ত� গিয়� কিছুক্ষণ পরেই আম� একটা উত্তেজনা ফি� করতেছিলাম। এক্সাক্ট পে� টার্না� না হইলে� একটা সাসপেন্স যে ছি� সেইট� স্বীকা� করতে� হবে। আর ক্ল্যাইমেক্সের শুরুটা দুর্দান্� হইলে� শেষট� আর� একটু সময় নিয়� করলে মন� হয� আর� বেশি ভালো লাগত� তব� এন্ডিংটা ভালো হইছে, অন্ত� আমার ভালো লাগছে।
বইটা� প্রকাশ� প্রথমা, মুদ্রি� মূল্� ২৭� টাকা� বইয়ের সাইজ ছোটো হওয়ায� এক বসায� শে� কইরা একটা তৃপ্তি পাওয়া� কথ� পাঠকের�
ওহ ভালো কথ�, এইটা� প্রচ্ছ� সব্যসাচী মিস্ত্রি� করা। উন� যে ওনার সিগনেচারের বাইর� ডিফারেন্� টাইপের প্রচ্ছদও করেন সেইট� এই প্রচ্ছ� না দেখল� জানতাম না�...more
পইড়� ফালাইলাম এই বছরে� উইশলিস্টের মোস্� ওয়ান্টে� বই ওবায়ে� হকের 'উন্মাদ আশ্র�'� বই রিলিজড হইছে � ফেব্রুয়ারি। হাতে পাইতেই ঘ্যাটাঘ্যাট।
বইয়ের ফ্ল্যাপইড়� ফালাইলাম এই বছরে� উইশলিস্টের মোস্� ওয়ান্টে� বই ওবায়ে� হকের 'উন্মাদ আশ্র�'� বই রিলিজড হইছে � ফেব্রুয়ারি। হাতে পাইতেই ঘ্যাটাঘ্যাট।
বইয়ের ফ্ল্যাপে� লেখা দেইখ� বোঝা যায় না বইটা� সারবস্তু আসলে কী� অবশ্� যারা ওবায়ে� হক এর বই জন্য অধী� আগ্রহে বইসা থাকে� তাদে� কাছে সারবস্তু জানাটা মূ� ব্যাপা� না, ওবায়ে� হক নামটাই যথেষ্ট� তব� আম� একটু সারবস্তু বলার চেষ্টা করি।
বইয়ের মূ� চরিত্র জহির নামে এক লোক। ধান্দাবা� টাইপের লোক। সমাজের চাপে� হো� কিংব� নিজগুণেই হো�, তা� ভেতর� কোনো নীতি নৈতিকত� নেই। জীবন কাটে তা� ধান্দাবাজি� পয়সায়ই� এই জহির একদি� ঘটনাক্রম� আশ্রয় নেয় এক পরিত্যাক্ত বাড়িতে। পরিত্যাক্ত বলতে একদম� যে পরিত্যাক্ত তা নয�, কিছু অদ্ভুত মানুষে� বা� সে বাড়িতে। সে বাড়িত� গিয়েই জীবনকে অন্যরক� ভাবে দেখা� সুযো� হয� জহিরের�
এইটা আসলে প্লটের একাংশ। এমনিতে মূ� প্লট সংক্ষেপে বর্ণনা কর� মুশকিল� আলাপ বিশা� হইলে তখ� হয়ত� বল� যাইত� পারে� ১১� পেজে� বই তো, প্লট আসলে কীরক� সেটা নাইল� বই থেকে� জানলেন, আম� বর� পইড়� কেমন লাগল সেইট� বলি।
ওবায়ে� হক কেমন লেখে� সেইট� তা� পাঠকমাত্রই জানেন। এই উপন্যাসিকাতে� তেমন� লেখছেন� মানে সে� দারু� ফিলোসফিক্যাল ডায়াল�, গল্পকথকে� উপলব্ধ�, সাবলী� তরতর কর� পড়ে যাওয়া� মত� লেখা; সব� ছিল।
তব� এই প্রথমবার আমার মন� হইলো ওবায়ে� হকের কাছে এক্সাক্ট কোনো গল্প ছি� না�
পড়ত� গিয়� আমার মন� হইছে তিনি কখনো ভাবছেন জহিরকে নিয়েই লিখবেন, সুন্দরমত� জহিরের ব্যাকস্টোর� লিখছেন, কোনো ঝামেলা নাই। আবার � আজ� বাড়িত� সকলে� সাথে পরিচয় করায়ে দেয়ার টাইম� মন� হইছে তিনি আসলে � বাড়ির লোকজনক� নিয়�, বাড়িক� বে� কর� লিখবেন� ঐখানকা� সেটাপটাও ভালো ছিল। এর খানি� পর মন� হইলো, না�, তিনি আসলে জহিরের অন্যদিকটাতেই ফোকা� কর� লিখবেন, বাড়� মাড়� বাদ৷ আর শেষটায� এস� তিনি একটা টুইস্ট দেয়ার যে ট্রা� করলে� সেইট� খু� একটা ভালো লাগে নাই। উন� বিষণ্ণতাটা ওনার লেখা� মাঝে আনতে চাইতেছেন না অট� এস� যাইতেছ�, বুঝতেছ� না� 'জল নে�, পাথর' � এই বিষণ্ণতাটা খুবই উপভোগ্� লাগছ� আর এইটাতে যা� ছিটেফোঁট� আছ�, একটু আরোপিত� লাগছে।
এমনিতে ওবায়ে� হক আলাদ� আলাদ� ভাবে প্রায় প্রতিট� পার্টই সুন্দর কর� লিখছেন কিন্তু সব মিলায়� উপন্যাসিকাটা ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনে� দানবের মত হইছে� এইখা� থেকে এক খাবল�, ঐখান থেকে আরেক খাবল�, এইরক� আরকি� আলাদ� আলাদ� ভাবে ভালো কিন্তু পুরাটা মিলায়� দারু� কিছু হয� নাই। মানে আগ� থেকে গল্পের পরিণতি ঠি� না কর� লিখল� যেমন হয� তেমন� এইটা আম� নিশ্চি� যে এরকম না, জাস্� মন� হইলো আরকি� গল্প বা গল্পাং� যা� বল� মন� দা� কাটত� পারে নাই। যে� আম� এখনও গড়গড় কর� 'নী� পাহাড়' বা 'জলেশ্বরী'� দু� চারট� উক্ত�, ফিলোসফ� বইলা যাইত� পারব�, এইখানে সেইরকম দীর্ঘদিন মন� রাখা� মত� কিছু পা� নাই।
সবমিলায়� আম� খানিকট� হতাশ� এক্সপেক্টেশনের জন্য� হয়তো। তব� ওবায়ে� হক ৩৬� দিনে একটা গল্প বলবে� আর সেইট� নিয়� এক্সপেক্টেশন রাখব� না, এতটা সাধু হইতে পারি না� এখনো�
বা� দি ওয়ে, বায়ান্ন ভালো কা� করছে� এই বইয়ের দা� রাখছ� ২৫� টাকা যেইট� বইমেলাতে� ১৯� টাকায় বিক্রি হইতেছে� মানে ওবায়ে� হকের বই চাইল� আর� মিনিমা� ১০� টাকা বেশিতে বেচত� পারত, প্লা� ব্ল্যা� এডিশ�, প্রিমিয়াম, কালেক্টর হ্যা� ত্যা� বে� করতে পারত যেইট� ইদানিং থ্রিলা� লেখক, প্রকাশকদের করতে দেখি� এই কাজট� যে বায়ান্ন কর� না� সেইটাক� একটা সাধুবা� জানানো যাইতেই পারে�...more
বইমেলা� হিসেবে ফার্স্� যে বইটা পড়ছ� সেইটার না� 'অল ইন', লেখক আলভী আহমেদ।
গল্পের স্টার্টিংট� দারুণ। ধরেন আপনে একজন লেখক, লেখা� জন্য অ্যাডভান্স ট্যাকা� বইমেলা� হিসেবে ফার্স্� যে বইটা পড়ছ� সেইটার না� 'অল ইন', লেখক আলভী আহমেদ।
গল্পের স্টার্টিংট� দারুণ। ধরেন আপনে একজন লেখক, লেখা� জন্য অ্যাডভান্স ট্যাকা� নিছে� কিন্তু মাগা� গল্প না� মাথায়� আপনে� আবার ড্রিংক করলে মাথা খোলে, গল্পদে� আইসা প্লট দিয়� যায়� তো এই উদ্দেশ্য� আপনে গেছে� একটা বারে, ড্রিংক করার জন্য� ড্রিংক করতাছে� মাগা� গল্পদেবে� খোঁজ তখনতরি নাই। ঐখান� এক চ্যাংড়া পোলায় আপনা� কাছে আপনা� পাওয়া� ব্যাংক চাইল কারণ তা� ফোনে� চার্� শেষ। চার্� দেয়ার জন্য সে ফো� আর তা� বডিসমে� আপনে� টেবিলে আসলো� চাইল� তা� টেবিলে� আপনা� পাওয়া� ব্যাংক নিয়� যাইত� পারত কিন্তু ভদ্রতা দেখায়� আপনা� টেবিলে আসলো আপনা� সাথে গল্প� করবে এই মর্মে। কিন্তু কীসে� কী? আইসা একমন� মোবাইল টিপা যাইতেছে। পর� জানা গে�, সে ফোনে অনলাইন� পোকা� খেলতেছে। মামুলি খেলা না, ট্যাকা পয়সার কে� আছ� এইখানে� আপনে গল্প� গল্প� জিগাইলেন, এই গে� খেইল� সর্বোচ্চ কত পাইছ� সে? চ্যাংড়া কয�, ৮৫ হাজা� ডলার! এইবা� আপনে নইড়� চইড়� বসলেন। ৮৫ হাজা� ডলার? খাইছ�! � তো বাংল� ট্যাকায় প্রায় এক কোটি ট্যাকা�
বুঝলেন গল্পদে� ব্যস্ত থাকায় এই পোলারে আপনা� কাছে পাঠাইছে। এই পোলায় গল্পপ্রস� করব। ব্যস, আপনে পোলা� সাথে আর� � সিটি� দিলেন। ফলাফ� হিসেবে যে গল্প আসলো আপনে সেইটার� � পোলা� ন্যারেটিভে কাগজ� উঠায়ে ফেললেন�
এইবা� আস� মূ� গল্পে।
গল্পটা পোকা� নিয়া। পোকা� হইলো তা�/কার্ডে� এক টাইপের গেম। কার্� মানে� যে জুয়� এইটা আমাদের দেশে একটা প্রচলি� একটা মিথ। এই গল্পের গল্পকথ� আর চ্যাংড়া পোলা সুমন� সেইট� বে� কয়েকবার বলছে� তব� জুয়� ব্যাপারট� লা� এর, কিন্তু পোকা� মোটে� লা� এর গে� না� এইখানে লাগে কঠিন ক্যালকুলেশ�, ম্যাথে� অ্যাডভান্স� নলেজ� সুমন ছোটোবেলা থেকে� ম্যাথে এক্সপার্ট। আর সে� নলেজটা� সে কাজে লাগায় আন্ডারগ্রাউন্ড হোমগেম� (মানে গোপন� বাসায় বইসা নিজেদে� মাঝে খেলা আরকি)� আর সে সূত্রে পরিচয় হয� রাফি� সাথে� এই রাফি� মাধ্যম� সুমন আর আমরা পাঠকরা চইলা যায় ইন্ডিয়া� গোয়াতে। ঐখান� ভাসমান বিলাসবহু� বোটে� মাঝে চল� ইন্টারন্যাশনাল পোকা� টুর্নামেন্ট। আর সেইখান� পরিচয় হয� এক হোস্� মেয়ের সাথে (হোস্� মানে যে টেবিলে কার্� বিলি কর�)� আর ওখানেই শুরু হয� ম্যাজিকের।
গল্পের অনেকখানি বইলা দিলে� সমস্যা নাই। আলভী আহমেদে� লিখনশৈলী মুগ্ধকর। কিছু লেখক থাকে না, যারা আল বা� যা� বকুক, পড়ত� ভাল্লাগে? আলভী আহমে� সেইরকম� তব� তা� বই 'অল ইন' আল বা� বক� নাই। একদম এক্সক্লুসি� গল্প� এই টাইপের গল্প আগ� শোনে� না� সম্ভবত� আম� একদম এক বসায� তা� বইটা পড়ে ফেলছি। পড়ত� নিয়� একটানে শে� কর� দেখি আম� ১৪� পৃষ্ঠায় আছ�, যেখানে পুরা বইটা ১৭� পেজের। পোকা� গে� তো বুঝি না, তাইল� কি এই বইয়ের মজাট� আম� পাবো? এইটা যদ� ভাইব� থাকে� তাইল� বলবো, সমস্যা নাই। আলভী আহমে� গল্পের ফাঁক� ফাঁক� পোকারে� সক� রু� বুঝায়� দিছেন। আর এতটা অল্প অল্প কর� বুঝাইছেন যে একদম� ইনফো ডাম্পি� টাইপের বিরক্তির উদ্রেক কর� নাই। আবার আর� ক্লিয়ার করতে বইতে বে� কিছু ছবির সংযোজন� কর� হইছে� তব� লিখনশৈলী� সৌন্দর্যের সাথে সাথে সুন্দর তা� উপন্যাসে� এক্সিকিউশনও। গল্প কেমন� বলতে হয� তিনি জানে�, কোথায় কোথায় ব্যাকগ্রাউন্� স্টোরী ক্রিয়েট কর� ক্যারেক্টারাইজেশ� ইস্যুত� 'ডোন্� টে�, শো' করতে হয� সেইটাও জানে�, জানে� কেমন� পাঠকরে আটকায়� রাখত� হয়। এই গল্প� সুপা� লেভেলে� কোনো টুইস্ট না� তব� সুন্দর ক্লাইম্যাক্স আছে।
আলভী আহমেদে� ক্ষেত্রে একটা অভিযোগ শুনি� তা� লেখায় হারুকি মুরাকামি� প্রব� প্রভাব আছে। আমার কাছে প্রব� প্রভাব লাগে না�, যা লাগছ� তা হালকা। তা সত্ত্বেও আলভী আহমেদে� লেখা� সিগনেচার টোনট� আম� সম্ভবত ধরতে পারছি। আর সে� টোনট� আমার বে� ভালো লাগছে।
আগাগোড়া সুন্দর একটা উপন্যা� পড়ত� চাইল� আমার সাজেশা� থাকব� আলভী আহমেদে� 'অল ইন' বইটা� বইটা প্রকাশ করছে বাতিঘর চট্টগ্রাম।...more