যুদ্ধে� বিরুদ্ধে আপসহী� দৃঢ়তা নিয়� দাঁড়িয়েছিল� এরিক মারিয়� রেমার্কে� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট’। স্কালপেল দিয়� চিরে চিরে যুদ্ধে� �যুদ্ধে� বিরুদ্ধে আপসহী� দৃঢ়তা নিয়� দাঁড়িয়েছিল� এরিক মারিয়� রেমার্কে� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট’। স্কালপেল দিয়� চিরে চিরে যুদ্ধে� ভয়াবহতা দেখিয়� লেখক যে� শান্� কর� দিতে চাচ্ছিলে� মুহুর্মুহু গর্জ� ওঠ� ব্যারেলগুলোকে। সে� প্রথ� বোধহয় একটা উপন্যা� কাঁপিয়ে দিয়েছিল� হিটলারের অন্তরাত্মা� আর মানু� অনুভ� করতে পেরেছিলো অনুভূতিহী� স্টিলে� নার্� বয়ে বেড়ান� নাৎসিরাও ভয়ে কেঁপ� যেতে পারে,নাকা� হত� পারে শুধু একটা উপন্যাসে� শক্তির কাছে� ১৯৩৩ সা� তখন। এরিকের‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� বেরিয়� গেছে চা� বছ� আগে। তা� নিজে� রক্তমাংস দিয়� গড়া পল বোমা� চরিত্রটি� না� তখ� মানুষে� মুখে মুখে ফিরছ�,অন্তরে গেঁথ� গেছে মোহর হয়ে� ঠি� সে� সময় হুলিয়� জারি হল� এরিকের নামে� ইহুদী কিংব� কমিউনিস্� কোনো দলেই নে� এরিক� তারপরে� নাৎসির� তা� বাড়িত� হানা দেয়� জা� বাঁচানোর ফর� কাজট� করতে গিয়� তিনি পালালে� সুইজারল্যান্ডে� এদিক� মহাসমারোহে চললো ‘নাৎসি বু� বার্নিং’। নাৎস� বাহিনী� লোকেরা আশপাশে� বইয়ের দোকানগুল� থেকে বই খুঁজ� নিয়� এস� ছুঁড়ে দিচ্ছে আগুনের লকলক� লেলিহা� শিখায়� অবলীলায় হাজা� হাজা� বই মুহূর্তে� হয়ে যাচ্ছে ছা�-ভস্ম।‘হিটলা� চিরজীবী হোন� এই স্লোগানে� আড়ালে চাপা পড়ে অনেকটা নীরবেই পুড়� যাচ্ছে প্রথ� বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় লেখা এই কালজয়ী উপন্যাস। পুড়িয়ে� ক্ষান্� হয়ন� নাৎসির�, নির্দে� দেওয়া হল� কোনো দোকানে এই বই রাখা যাবে না, নতুন কর� ছাপা হল� নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কারো বাড়িত� ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� কিংব� এর সিক্যুয়েল ‘দ্য রো� ব্যাক� এর কোনো কপ� থাকল� তা দ্রু� ‘গেস্টাপো’র কাছে জম� দিতে হবে। অন্যথায় নেওয়া হব� কঠোর ব্যবস্থা� কিন্তু এভাব� কি শিল্পী� কণ্ঠরো� কর� যায়? ‘অ� কোয়ায়ে� অন দ্� ওয়েস্টার্� ফ্রন্ট� বইটা� প্রভাব এত� বেশি, তা� ছায়� এত� দীর্� যে বইটা� জনপ্রিয়তা� প্রকোপ থেকে রক্ষ� পা� নি খো� লেখক� পরবর্তীতে অজস্� বই লিখেছে� এরিক� দ্� রো� ব্যা�,থ্রি কমরেডস,দ্� ব্ল্যা� ওবিলিস্ক, দ্� নাইট ইন লিসব�,ফ্লোটসাম,আর্চ অব ট্রায়াম্ফ...কিন্তু বটবৃক্� অল কোয়ায়েটে� শেকড� ছড়িয়েছিল� বহ� বহ� দূ� পর্যন্ত। ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� এরিকের সেকেন্� মোস্� সেলিব্রেটে� বই হবার পর� এদেশ� অনূদিত হয়েছে এতোদিন পর এসে।
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� রেমার্কে� অন্য উপন্যা� থেকে আলাদ� হবার কারণ এর বিষয়বস্তু, সেটআপ। রেমার্কে� বেশিরভাগ লেখা� মোটাদাগে যুদ্ধক� ঘিরে আবর্তি� হয়। একটা যুদ্ধে� প্রারম্ভ কিংব� যুদ্� বিধ্বস্ত মানুষে� জীবনকে পুঁজ� কর� লেখা উপন্যাসগুল� শেষমেশ যুদ্ধে� প্রত� তীব্� ঘৃণা� সঞ্চার কর� পাঠকের মধ্যে। সেখানে ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� উপন্যাসে� মূ� বিষয়বস্তু নিঃসঙ্গত�, বিরহ,প্রে�, ভাগ্যে� মত� চিরাচরিত বিষয়। আঙ্গিকগত বৈচিত্র্� খুঁজতে গেলে� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ�,‘দ্য নাইট ইন লিসবন� আর ‘ফ্লোটসা�(কোথায় স্বর্গ?)� বই তিনটার মাঝে কম� ট্রো� লক্ষ্য কর� যায়� প্রতিট� উপন্যাসে� স্থা� কর� নিয়েছ� নি� ঠিকানা থেকে বিতাড়িত উদ্বাস্ত� প্রোটাগনিস্ট� কিন্তু তাদে� প্রত্যেকের ক্রাইসিস আলাদা। কে� হয়ত� পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যেতে চায়,কে� বা চায় প্রতিশোধ,আবার কারো প্রতিনিয়ত পালিয়� বেড়ানোই নিয়তি� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’উপন্যাস� রেমার্� শুনিয়েছেন এক� সাথে ভালোবাসা� গল্প,বিরহের গল্প, নির্বাসি� চাঁদের তল� ত্রিশে� দশকে� প্যারিসে� গল্প� শিল্পে-সাহিত্যে অভিজাত আল� ঝলমল� নগরী� কথ� বলার প্রয়োজন বো� করেন নি� বেছে নিয়েছেন আল�-আঁধা� গল�,সস্ত� হোটে�,বেশ্যালয� আর হাসপাতালকে।কর্�,ক্রো�,লো�,মো�,মদ,মাৎসর্যে� ছয� তারে বাঁধ� মানুষক� ধরতে চেয়েছেন এই সব স্থানে� গল্পের নায়� রাভি� নামে� এক নির্বাসি� ডাক্তার। পোস্টমডার্� উপন্যাসে যেমন একাকী নেকড়ে� মত� নিঃসঙ্� মানুষদের দেখা যায়,রাভি� ঠি� সেইরকম� প্যারিসে উদ্বাস্ত� চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের অনুমতি নেই। অবৈধভাবে সার্জারি কর� রাভি� পে� চালায়� মায়েদের পে� থেকে খালা� কর� অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানগুলোকে� নিস্তরঙ্� জীবন,গ্লাসে� পর গ্লা� মদ আর মোটা আলজেরিয়ান চুরুটে� ধোঁয়ায় নিথর নিঃসঙ্� জীবন কেটে যায় তার। সে যে ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে থাকে,তা আক্ষরি� অর্থেই ‘ইন্টারন্যাশনাল’। ইউরোপে� প্রতিট� কোণা থেকে নির্বাসি� মানুষজনে� আস্তান� এই হোটেল। তাদে� সবার গল্প ভিন্�,আদর্� ভিন্ন। এক� সাথে ফ্যাসিস্� আর তাদে� ডেমোক্রেটি� কাউন্টারপার্টে� ছব� ঝোলে এই হোটেলে� দেয়ালে। এক আশ্চর্� কালচারাল মেল্টি� পট... এর� মাঝে রাভিকে� ডাক্তারি জীবনের দাঁড়ি-কমার মাঝে বিস্ময়সূচ� চিহ্� আর দীর্� পুনরাবৃত্তির মত� হাজি� হয� জোওন মাদু,এক আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণী� ঠি� এখানেই যুদ্ধবিরোধিত� থেকে ন্যারেটিভে� টোনা� শিফট ঘটেছে। প্রতিকূলতা� মাঝে সবকিছু গুছিয়� নিয়� টিকে থাকা� প্রবণতায� ‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ� হয়ে উঠতে চেয়েছ� আশার আশাবরী�
‘আর্� অব ট্রায়াম্ফ’এ� বসায� পড়ে ফেলবার মত� কোনো গতিময় উপন্যা� না� মন্থ� গতির এই উপন্যাসে প্রায় অর্ধেক পর্যন্� এসেও উল্লেখযোগ্� কোনোকিছু� চোখে পড়ে না� কিন্তু একদম ঘটনাহীনও নয়। ছো� ছো� ঘটনা� মধ্য দিয়� প্রোটাগনিস্ট ডাক্তা� রাভিকে� প্রাত্যহিক জীবন,নস্টালজিয়ায� ডু� মারত� মারত� যে� আল� ফেলে ফেলে দেখা যায় আর� অনেক মানুষে� জীবনকেও। এক তেরো বছ� বয়সী দরিদ্র কিশোরক� কীভাবে ট্রাকে পা কাটা পড়া� পর ইন্সুরেন্সকে ফাঁক� দিয়� টাকা� বন্দোবস্� কর� দেয় রাভি� অথবা নিজে� স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়েও হা� ছেড়� দেয় এম� বে� কিছু সিরি� অব ইভেন্টসে� মধ্য দিয়� আমরা কোমল�-কঠোর� মেশানো এক চরিত্রকে খুঁজ� পাই। রাভি� কারো দয়ায় বাঁচ� না,কারো সাহায্যও নেয় না� সবকিছু� সাথে মানিয়� নেয়ার মত� এক নির্লিপ্তভাব তা� মাঝে সদ� বিরাজমান� সে হো� যে কোনো পরিস্থিত� কিংব� মানুষ। বৃষ্টি ভেজা প্যারিসে� রাস্তায় মধ্যরাতে হাঁটতে হাঁটতে জোওন মাদু-রাভিকে� মধ্যকা� কথোপকথ� বে� উপভোগ্য। বিশে� কর� যারা কথোপকথ� নির্ভর বই পড়ত� পছন্� করেন বা সিনেমা দেখত� পছন্� করেন,তাদে� ভালো লাগবে। তব� আর্চ অব ট্রায়াম্ফের ঘটনাপ্রবাহ খু� লিনিয়ার, আবেগের প্রাবল্য� এড়ানো যায় না� উপন্যাসে� ডিটেইলিং এত� সূক্ষ্� আর গ্রাফি� যে সেসময়ের প্যারিসক� রীতিমত� ভিজ্যুয়ালাই� কর� যায়� প্রথ� ১০� পৃষ্ঠা� এম� কোথা� নে� যেখানে কালভাদ�, কনিয়্যা� বা ভদকা� কথ� আস� নি� সারাক্ষণ� এই কাপলকে মদ্যপা� করতে দেখা যায়� সেটা হো� ট্যাক্সি� মাঝে,বেডরুম� কিংব� কোনো বারে� ড্রিংক করাক� নিরুৎসাহিত করার জন্য বলছি না� এম� না যে এই ড্রিংকিং টেন্ডেন্সি শে� পর্যন্� বড়সড় কোনো ঘটনা� ক্যাটালিস্ট। তাহল� বারবার এর পুনরাবৃত্তির কারণ কী? পাঠককে� একটা টিপস� ফি� দেয়�? হয়তোব�...
সেবা প্রকাশনী� হেভিওয়ে� অনুবাদ� ইসমাইল আরমানে� অনুবাদ নিয়� অভিযোগ করার দুঃসাহ� নেই। আন্ডাররেটে� জেমগুলোক� তুলে আনার একটা প্রবণত� বরাবরই খেয়াল করেছ� কাজগুলোর মধ্যে। রাইডার হ্যাগার্ডে� পার্� মেইডেন, ভিক্তর হুগো� নাইন্ট� থ্রি, আর্থার কোনা� ডয়েলে� দ্� ম্যারাকা� ডি� বা জু� ভার্নে� ডি� স্যান্ডে� মত� বইগুলো� অনুবাদ পেয়েছ� উনার কা� থেকে� এই ধারাবাহিকত� বজায� থাকু�...
গ্রি� পুরা� অনুযায়ী,আকাশের দেবত� ইউরেনা� আর ধরিত্রী মাতা গায়ার মিলন� পৃথিবী প্রথ� প্রাণে� উদ্ভ� ঘটেছিল� মানুষে� মতোই গ্রি� দেবতার� নিয়তিতে বিশ্বা� গ্রি� পুরা� অনুযায়ী,আকাশের দেবত� ইউরেনা� আর ধরিত্রী মাতা গায়ার মিলন� পৃথিবী প্রথ� প্রাণে� উদ্ভ� ঘটেছিল� মানুষে� মতোই গ্রি� দেবতার� নিয়তিতে বিশ্বা� করতেন। যেহেতু ক্রোনা� তা� পিতা ইউরেনাসক� হত্য� করেছিলেন,নিয়তি তাকে� ছাড় দেয়নি� ইউরেনা� ক্রোনাসক� অভিশাপ দিয়েছিলেন, ক্রোনাসেরই আপ� ঔরসজাত সন্তান তাকে হত্য� কর� তা� স্থা� দখ� করবে� ক্রোনা� তা� জন্মান� প্রতিট� সন্তানকে এক� এক� গিলে ফেলত� লাগলেন� এভাব� পাঁচটি সন্তান গিলে ফেললেন� ষষ্ঠ সন্তান জিউসকে পিতা� হা� থেকে বাঁচাত� রিয়� ছেলেকে পাঠালে� ক্রি� দ্বীপে� সেখানে প্রকৃতির দেবী নিম্� জিউসের দেখাশোনা কর� শুরু করলেন। আইডা পর্বতে� গুহায় জিউসকে দু� খাওয়াতো এক ছাগদেবী, আমালথিয়া। ঘটনাচক্র� আমালথিয়ার সাথে খেলত� খেলত� জিউস একবা� ভেঙে ফেলেছিলে� তা� শিং। এই শিংক� বল� হয�,কর্নুকোপিয়া বা প্রাচুর্যে� শিঙা� কারণ,সে� শি� উপচে পড়ত� বহুবিচিত্র ফু� আর শস্য� ইন আদার ওয়ার্ডস,প্রাচুর্যে� এক জলজ্যান্� ভাণ্ডা� ছি� সে� কর্নুকোপিয়া� সিল্করুট পড়ত� গিয়� তথ্য প্রাচুর্যে� ভারে সে� আশ্চর্� কোনো কর্নুকোপিয়া� মন� হয� বুঝি।বিষয়বৈচিত্র্যে‘নির্বাচিত সিল্করুট�-কে বল� যেতে পারে কর্নুকোপিয়া� এক আদর্� টেক্সটবু� এক্সাম্প� ... ইতিহাস থেকে পপুলার কালচার, রান্না থেকে যুদ্�, ভেসপ� থেকে কালাশনিক�, কলের� থেকে স্প্যানি� ফ্লু,গজ�,সাহিত্�,স্থাপত্য,সহিংসত�,স্মৃতিকথ�,সমরশাস্ত্র,জীবনদর্শ�, দুর্যোগ—কী নে�! বারবার মন� হয়েছে একটা আশ্চর্� টাইম মেশিনে চেপে বসেছ� যেন। প্রাচ্যে� সক্রেটিস খ্যা� শাহজাদ� দারাশুকো বা পারস্যের সুফি কব� আব� সাঈদ আবুল খায়ের অথবা পাপা অব বেঙ্গল প্রে� কিংব� ওম� মুখতারের আইকন হবার গল্পের মত� ইতিহাস ছাপিয়� কখনো কখনো ব্যক্ত� প্রধান হয়ে উঠেছেন বিষয়বস্তু হিসেবে�
ইংরেজীতে‘Melting Pot� বল� একটা ফ্রেইজ আছে। আক্ষরি� বিচারে সে এক এম� পাত্রে� কথ� বল�, যাতে গলান� হয� বিভিন্� ধাতু,উপাদান� নিহিতার্থে সরলীকর� করলে অর্থ দাঁড়ায়‘একই সমাজ� বিভিন্� ধরনে� মানু� পরস্পরের সাথে এক� শামিয়ানার নিচে মিলেমিশে থাকে’। পৃথিবী� যে কোনো প্রান্তে একমাত্� বাজারে গেলে� এম� দৃশ্যে� দেখা মেলে� সে� অঞ্চলক� বুঝত� হল�, রঙবেরঙের মানুষক� বুঝত� হল� যেতে হয� বাজা� সফরে� শাকে� আনোয়ারে� ‘মিথ,বাণিজ্� আর কিসসাওয়ালার আনারকল� বাজার� আর মাহমুদুর রহমানে� ‘চাঁদন� চকের কথকতা� পড়ত� গিয়� মন� হয� কিসসাওয়ালাদের কিসস� শুনত� শুনত�,চাঁদনি চকের মাঝে চাঁদনি রাতে হাঁটতে হাঁটতে ইতিহাসের পাতায় অণুপরমাণু্� বিস্ফোরণ দেখছ� চোখে� সামনে। গমগম করছে বাজার। একদিকে হল্ল�,অন্যদিকে সওদা� প্রতিট� দোকানে� সৌরভ,ভাষা,সহবত� ভিন্� ভিন্� দ্যুতিতে চো� ঝলসায়� ‘কোন� কোনো রাতে মূ� জলাশয়� চাঁদের আল� প্রতিফলি� হয়ে পাণ্ডু� এক রুপালি আল� তৈরি করতো� সে আল� থেকে এর না� চাঁদনি চক হয়ে যায়� � নামই ধীরে ধীরে আর অন্যান্য নামক� সরিয়ে দিয়� লাহোরি দরওয়াজা থেকে ফতেহপুরি মসজি� পর্যন্� পুরো এলাকাক� চাঁদনি চক নামে পরিচিত� দেয়।� যে� জাহানারা বেগমের পরিকল্পন� অনুযায়ী অপার্থিব সে� জ্যোৎস্নায� স্বপ্ন আর বাস্তবতা� মাঝে� হেয়ারলাইন মুছে যাচ্ছে� উর্দুবাজারের প্রান্তে বাল্লিমারোতে দাঁড়িয়� আছ� গালিবে� হাভেলি� হারিয়� যাওয়া সময়ের ছা� অমোচনীয়ভাবে রয়ে গেছে চাঁদনি চকের পথ� পথে। মাহমুদুর রহমানে� লেখনীতে জানা গে�, এক নামবিহী� বাজা� একদি� চাঁদনি চক হয়ে ওঠার গল্প�
গত শতকে� শেষদিক� একটা কথ� প্রচলি� ছি�, যুক্তরাষ্ট্র রপ্তান� কর� কোকাকোলা, জাপা� কর� সন� আর রাশিয়� কর� কালাশনিক�(এক�-৪৭)� মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য বানানো সে� কালাশনিক� কীভাবে পৃথিবী� সবথেকে ব্যবহৃ� অস্ত্র হয়ে উঠলো,হয়ে উঠলো সহিংসত� কিংব� দমনে� নিশা� সে� বিষয়ে লিখেছে� শানজিদ অর্ণব। তথ্যবহুল এই রচনায় রাশিয়ায� উদ্ভাবিত কালাশনিকভে� বিস্তৃতি-বাণিজ্� তো বটেই, উঠ� এসেছ� কীভাবে একটি রাইফেল বৈষয়ি� আর স্বপ্নের জগতে� সাথে মিলেমিশে গেছে সে প্রসঙ্গও� চোখে� সামন� দেখা যায় কীভাবে আফগানিস্তানে� পঞ্জশি� উপত্যকায� কালাশনিক� হাতে দাপিয়� বেড়াচ্ছ� জিহাদীরা� একটি দেশে� সামাজি� সূচক হিসেবে� এক�-৪৭ এর লভ্যতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানাটা� জরুরি।
আগ্নেয়াস্ত্� বিষয়ে আরেকটা সুসমন্বি� লেখা এম � মোমেনে� ‘ল�-এনফিল্� থ্রি নট থ্রি’। বাংলাদেশ স্বাধীনত� যুদ্ধে প্রথ� প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিলো এই রাইফেল দিয়েই� প্রায় ১০� বছরেরও অধিক সময় রাজত্ব কর� এই রাইফেল হুমড়ি খেয়� পড়েছিলো কালাশনিকভে� সহজলভ্� হওয়ার পর� তা� পূর্বে সে� বক্সারের যুদ্� থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়� মুক্তিযুদ্� অবধি থ্রি নট থ্রি� দৌরাত্ম্� ছি� না কোনখান�? এম� কি সিপাহী বিদ্রোহে� পেছনের মূ� কারণ ছি� এই এনফিল্� রাইফেল� শূকর আর গরুর চর্ব� দেয়� নিয়� ভে� তৈরি� এক ব্রিটি� ষড়যন্ত্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিস্� আর নাৎস� বাহিনী� জন্য এয়ারক্রাফ� বানাতো পিয়াজ্জিও কোম্পানি� একসময় মিত্� বাহিনী� টার্গেটে ধ্বংসপ্রাপ্ত ১৪� বছ� পুরোনো এই কোম্পানি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল� ‘ভেসপা স্কুটার� দিয়ে। যে়ভাব� এই কিংবদন্তিতূল্য স্কুটা� বিশ্বজয় কর� পরিণ� হয়েছিলো ইতালির লাইফস্টাইল আর সাংস্কৃতিক আইকন� সে� জার্নি� গল্প শুনল� চোয়াল আপনাআপনি ঝুলে পড়ে� প্যাট্রিয়ার্কাল সোসাইটির মূলে কুঠারাঘা� কর� নারী স্বাধীনতার জনপ্রিয়করণে� ভূমিকা রেখেছে এই স্মৃতিময� স্কুটা� ভেসপা।
ভেসপ�,থ্রি নট থ্রি আর কালাশনিকভে� মত� তিনট� ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্� নিয়� লেখা এই নিবন্ধগুলো শুধু প্রোডাক্টগুলোর মার্কে� ডাইনামিক্স হয়ে থাকে নি,স্পর্শ করেছ� ক্ষমতায়�-ইতিহাস-যুদ্�-নারী স্বাধীনত�-কালচারাল ইনভ্যাশনের মত� বহ� প্রান্ত।
গজ� হাজা� বছ� ধর� পথ হেঁটেছ� পৃথিবী� পথে। সবার মাঝে থেকে� এক� মানুষে� মরতে মরতে গুমর� ওঠ� হৃদয়ে� ধ্বন� হয়েছে সে� উষ� মরুর বুকে শিকারি� তাড়� খাওয়া তীরবিদ্ধ হরিণের গত� যখ� মন্থ� হয়ে আস�, বু� চিরে বেরোয় আর্তনা�, বাঁচার সুতীব্� আকুত� তা� গজল। জাভে� হুসে� চোস্� অ্যাকাডেমিশিয়ানদে� মত� শুনিয়েছেন গজলে� সোনালি সময়ের দীর্ঘশ্বাস� সে� আলাপের ঘো� কাটে না� মন� হয� এক মুশায়রা� মাঝে দাঁড়িয়� আছ� যেন। আদ্যোপান্ত জানত� জানত� নতুন বিষয়ে� পথ বন্ধ হয� না,কেয়াম� পর্যন্� খোলা থাকে তা� দরজা� মুশায়রায় ইরশাদে� মুহূর্তে কব� যখ� এক� লাইন বারবার বল� শ্রোতা� হাজা� বছরে� কালেক্টি� মেমোরিকে ঝালা� করেন, মন� হয� কোনো এক হারানো স্মৃতিকে মগজে� মাঝে হাতড়ে বেড়াচ্ছি। সে� স্মৃতি আমাদের না,স্মৃতি তেতে ওঠ� পরিস্থিতির মাঝে দূরাগত কোনো প্রশান্ত�-প্রেমময় সময়ের�
রো� কখনো কখনো হত� পারে সৃষ্টি� অনুপ্রেরণা,জ্বলজ্যান্� মিউজ� দস্তয়েভস্কি� জীবনের বেশিরভাগটা� চল� গেছিলো এপিলেপ্সির(মৃগী রো�) সাথে যুঝত� যুঝতে। প্রতিবার অদ্ভুত নিরবচ্ছিন্� প্রশান্তির অনুভূতির পরপর খিঁচুনির আবির্ভাব হয়। দস্তয়েভস্কি যখ� জ্ঞা� ফিরে পেতে� তখ� স্মৃতি থেকে আগের পরিস্থিত� তুলে আনতে� নিজে� লেখায়� এভাব� এপিলেপ্সির মত� নিউরোলজিক্যা� ডিজঅর্ডা� দস্তয়েভস্কি'� কলমে দ্� ল্যান্ডলেড�,হিউমিলিয়েটে� অ্যান্� ইনসাল্টে�,দি ইডিয়ট, ডিমন�,ব্রাদারস কারমাজভে� বিভিন্� চরিত্রের মধ্য দিয়� বারবার ফিরে আসে। আফসানা বেগম ‘রোগ যখ� সৃষ্টি� অনুপ্রেরণা’নিবন্ধে নিয়� এসেছেন তা� সমস্� এভিডেন্স�
ইতিহাসের পাতা থেকে নকশালবাড়ি আন্দোল� মুছে যায়নি,মোছে নি রক্তের দাগ। সে যুগে� ক্রো� যাদে� কলমে ভাষা পেয়েছিল�,কবিতাক� যারা করেছিলেন নিজেদে� সংগ্রামে� মরিয়া রেডবুক তাদে� কথ� বলেছেন শানজিদ অর্ণব। সত্তরে� দশকে� কবিত� আর স্লোগানে� ফারা� কোথায় সে� তর্কের� অংশবিশেষ ঠাঁই পেয়েছ� আলাপে। তব� নিবন্ধটি শুধু কবিতার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না� রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে� এক ভয়ানক রূ� কম্বিং অপারেশনে আল� ফেলত� ফেলত� জে� থেকে লেখা মায়ের কাছে বিপ্লবী� চিঠি� সাথে দুনিয়াজোড়া দমনে� ভাষা� একাত্মতা খুঁজেছেন লেখক� নকশালবাড়ি� ক্ষত� কাটা সেলাইয়ে� দা� হয়ে তা� স্মৃতি� প্রতিভ� হয়েছে যেসব গল্প-উপন্যা�,অর্ণ� লিখেছে� সেসব নিয়েও� বিষয়বস্তু চিরে চিরে দেখত� চেয়েছেন সেখানে সাহিত্যে� শিল্পমানের চেয়� আবেগময� বক্তব্� কোনটার পাল্লা ভারী? নকশালদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,গান্ধী-রবীন্দ্রনাথ-বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙা প্রকল্পে� তল� আসলে কো� বো� কা� করছিলো,তাকে ছুঁয়েছে� সাহিত্যে� পথ ধরে।
অমিতাভ ঘোষে� ‘দ্য শ্যাডো লাইনস’এ কিছুটা ব্যক্তিগ�,কিছুটা ঐতিহাসিক স্মৃতিতে মিলেমিশে আছ� এক সময়পথ� সাদিয়� মাহ্জাবী� ইমাম সে� ছায়ারেখ� ধর� জিন্দাবাহারে� বাড়িটাক� খুঁজতে চেয়েছেন� কখনো কখনো একটা গ্র্যান্� ন্যারেটি� গিলে ফেলে ছো� ছো� ঘটনাকে� সে� ছো� ছো� দৃশ্যে� অস্তিত্বকে দেখত� চেয়েছেন বাস্তবতা� নিরিখে� শাড়�-কাপড়ে� দোকা� থেকে ঠিকর� আস� পুঁতির আল�,কামরাঙ� মসজিদে� উপ� দিয়� কবুতরে� উড়ে যাওয়া,ঝুলে থাকা জট পাকানো বৈদ্যুতি� তা�,ধুলো আর ভ্যাপস� গন্ধের সাথে মিলেমিশে যাওয়া কাবাবে� ঝাঁজ কিংব� পা� চিবুতে চিবুতে মানুষগুলোর পুরা� ঢাকা� ভাষায় আলাপ করতে থাকা—এসব কোনোকিছু� তা� চো� এড়ায় না� আর সহসা জিন্দাবাহা� লে� তা� সমস্� স্পেয়ার পার্� নিয়� মূর্� হয়ে উঠ� পাঠকের সামনে। লেখকের জুতোয় পা গল� পাঠক যে� খুঁজতে চা� এইখানে �/৩১ নম্ব� বাড়ির গলিত� এক ভয়াবহ দাঙ্গায় ৫৪ বছ� আগ� ত্রিদি� কি আসলে� মারা গেছিলো? �/৩১ নম্বরে� সে� বাড়িটাই বা নে� কে�? দাঙ্গা� দগদগ� স্মৃতি বুকে নিয়� দাঁড়ানো আজকে� জিন্দাবাহারে� কোথা� কি রয়ে গেছে সে� রক্তস্না� পলায়নপর পরিবারটি� হাহাকা�? সাদিয়� মাহ্জাবী� ইমাম অমিতাভ ঘো� পর্যন্� ছব� পৌঁছেও যখ� সত্য আর ফিকশনে� মাঝে� অদৃশ্য দেয়ালটা যে কোথায় তা� নিষ্পত্ত� করতে পারে� নি,তখ� পাঠক হিসেবে নিজেরও একটা চাপা ক্ষো� অনুভ� কর� অমিতাভের প্রতি।
পৃথিবীতে মানুষে� ইতিহাসের থেকে� পুরোনো ব্যাধি� ইতিহাস� প্রাচীনত� অসুখ জ্বর নাকি জর� তা নিয়� বিতর্ক থাকলেও মড়কের থাবায় বারবার প্রাণপাখ� উড়ে গেছে কত কোটি মানুষে�,রাতারাতি উজাড� হয়েছে বসতি� কলেরার আঘাত� বাংলার মানুষে� ভয়ার্� ক্রান্তিকালে� বর্ণনা পড়ে গা শিউর� ওঠে। মন� হয� পোস্� অ্যাপোক্যালেপ্টি� সিনেমা� দৃশ্� দেখছ� বা পড়ছ� স্টিফে� কিংয়ে� ‘দ্য স্ট্যান্ড’। অদূর ভবিষ্যতে এম� মর্মন্তু� অথ� জরুর� কে� যদ� এই নিয়� লিখত� চায়, সিনেমা বানাতে চায় তাহল� মুহি� হাসানে� এই নিবন্ধটি হত� পারে একটা চমৎকার শুরু� ‘ডেটলাইন যশোর: যে মাসে ছি� পাঁচ শনিবার � একটি কাটা মুণ্ডু� এম� আগ্র� জাগানিয়� শিরোনামে কলের� সংক্রান্� গুজব অন্ধবিশ্বা�,প্রতিরোধের প্রয়া� বিস্তারিতভাব� তুলে ধরেছেন লেখক এই নিবন্ধে। তাছাড়াও আফসানা বেগমের মড়কের মোড়কে, রোমা� সাম্রাজ্যে� পতনে� পেছন� থাকা আন্তোইনে প্লেগে� স্বরূপ,স্প্যানি� ফ্লু, ব্ল্যা� ডে� হিসেবে খ্যা� প্লেগে� ইতিহাস � বিস্তৃতি নিয়� রোগপর্� করোনার অবরুদ্ধকালের প্রত� বণিক বার্তা� পেশাদারি দায়বদ্ধতারই প্রকাশ� আফসানা বেগমের লেখাটিতে প্লেগে� জন্য মাছি� কথ� উল্লেখ করেছেন তিনি� সত্য� বলতে কোনো মাছি দায়ী নয� এজন্য। ইংরেজীতে এই আর্থ্রোপোডটাকে বল� Flea. বাংল� অভিধান� এক� সরাসরি মাছি বললে� মাছি� সাথে এর গঠনগ�,আচরণগত অনেক ফারা� আছে। এর� কিন্তু মাছি� মত� উড়ত� পারে না� কঠিন কর� বল� যেতে পারে,উপমক্ষিকা। আসলে এর যুতস� বাংল� খুঁজ� পাওয়া মুশকিল�
দেশে মাঝে মাঝে� ভুয়� পিএইচডিধারী অধ্যাপ�, গবেষকদের দেখা মেলে� কিন্তু এই ইতিহাস পুরোনো নয়। অশ্ব-পিএইচড� গর্দ� পিএইচড� নিবন্ধ� বে� সরসভঙ্গিতে এম � মোমে� তুলে এনেছেন সে� প্রসঙ্গ। পিএইচডির প্রকারভে� পড়ত� গিয়� হাসত� হাসত� পে� ব্যথ� হয়ে যেতে বাধ্য। আরেকটা অন্যরক� লেখা শানজিদ অর্ণবে� বিখ্যাতদের মৃত্যু আগ� বল� শে� কথ� নিয়� ‘তাহাদের শে� কথা’। এছাড়া� গর� কীভাবে বাঙালি সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক খাদ্যাভ্যাসে� সাথে জড়িয়� গে�,খিচুড়ির ইতিবৃত্ত নিয়েও নিবন্ধ ঠাঁই পেয়েছ� এই সংকলনে�
বণিক বার্তা� এই নির্বাচি� আয়োজন� চেষ্টা� কোনো খামত� চোখে পড়ে না� অজস্� মুক্তো থেকে ‘সেরা� কোনগুল� সেটা বাছা� কর� একটা ম্যামথ টাস্কই� সম্পাদকদ্বয় ধৈর্য্� আর পরিশ্রমে� মধ্য দিয়� যে অসাধ্য সাধন করেছেন তা আর বলার অপেক্ষ� রাখে না� এধরনের নিবন্ধ লেখা� যে চলতি স্ট্রাকচার আছ� তা যে� ভেঙে পড়েছে আলাদ� আলাদাভাবে। শুরুতে� ষাটে� দশকে� অরাজনৈতি� ঢাকা� যে ছব� আমরা দেখত� পা�,তাতে চেষ্টালব্ধ দুর্লভ সব তথ্যের সমাবেশ� নিবন্ধগুলো� ভাষা� প্রাচীরও যে খু� কসরত কর� পা� হত� হয� তা নয়। এমনকী ইমতিয়ার শামীমে� লেখালিখি� সঞ্চারপথ� আমরা লেখা� যে দুটো ধারা পা�,তা� মাঝে ইজিল� একসিসেবল ধরনটিই এখান� ব্যবহৃ� হয়েছে� তব� খানিকট� আপত্তি রয়ে গেছে রচনাগুলো� প্রকাশকা� নিবন্ধের শেষে না থাকায়� আন্দাজ কর� নিতে হচ্ছ� কতটা সময় আগ� সেগুলো প্রকাশিত� যেমন দ্� শ্যাডো লাইন�: জিন্দাবাহারে� বাড়� শীর্ষক লেখাটায় বল� হচ্ছ�,দাঙ্গা� ঘটনা ঘটেছ� ১৯৬১ সালে,আজ থেকে ৫৪ বছ� পূর্বে� তখ� বে� অনেকটা মেন্টা� ম্যা� কর� বুঝে নিতে হচ্ছ� লেখাটি� প্রকাশকা� ২০১৫ সালে� বণিক বার্তা� আর্কাইভে এই তথ্য অপ্রতু� নয়। তব� মাঝে পেরিয়� যাওয়া সময়� কত জল গড়িয়েছ� কতশত পথে। আগ্রহী পাঠকদে� জন্য হলেও এট� প্রয়োজন ছিল। নিবন্ধের শেষে জুড়� দেয়� সহায়ক রেফারেন্সগুল� তথ্যসমুদ্র� নিঃঝুম ডুবসাঁতারে� সুযো� কর� দেয়� বণিক বার্তা� এই নির্বাচি� লেখা� সংকলনগুল� ধর� রাখু� সময়কে� সে� অপেক্ষায�...পাঠকদে� সমৃদ্ধ হবার আর� সুযো� তৈরি হোক। কত অজানার�!...more
লেখা� জন্য ডাক্তারি ছেড়েছিলেন মিখাইল বুলগাকভ। নির্জন চিলেকোঠা� সিঁড়িতে বস� নিজে� সাথে নিজে দাবা খেলা� পেশেন্� সবার হয� না� সে� পেশেন্� থেকে� হয়ত� �লেখা� জন্য ডাক্তারি ছেড়েছিলেন মিখাইল বুলগাকভ। নির্জন চিলেকোঠা� সিঁড়িতে বস� নিজে� সাথে নিজে দাবা খেলা� পেশেন্� সবার হয� না� সে� পেশেন্� থেকে� হয়ত� রোটি-কাপড়া-মাকানে� একটা সফ� জীবনের সম্ভাবনাকে আস্ত� আস্ত� পুড়িয়ে দিয়েছিলেন মিখাইল� প্রতিজ্ঞ� করেছিলেন,জীবন� আর কখনো ডাক্তারি� পথ তিনি মাড়াবেন না—জীবনের ডা� অন্য দি� থেকে শুনত� পেয়েছেন তিনি� তারপরে� ইতিহাস সবার� জানা� মাত্� ৪৮ বছরে� জীবন� বুলগাক� লিখে ফেলেছিলে� দ্� মাস্টা� অ্যান্� মার্গারিতা� মত� কালজয়ী প্রভাবশালী উপন্যা�, টারবিন�-মলিয়েরে� মত� মঞ্চ-কাঁপান� নাটক� কিন্তু প্রায়-নজরে-না-পড়া অকিঞ্চিৎকর বেঁচ� থাকা� ভেতর মিশে-যাওয়া কাটা সেলাইয়ে� দাগে� মত� মিখাইল বারবার অনুভ� করেছিলেন নিজে� ডাক্তারি জীবনের দাঁড়িকমা। আসলে দীর্ঘদিনের নিষ্ফলতা� পর তা� উদ্যমে মিশে গেছিলো জুয়াড়ি� ক্লান্তি,জুয়াড়ি� গোঁ। প্রকৃত নিজে� কাছে যাওয়া� এক তীব্� অন্তর্ঘা� থেকে� মিখাইল লিখেছিলে� এই সংকলনে� গল্পগুলো� বুলগাকভে� ইচ্ছ� ছি� সবগুলো গল্পকে ‘The Notes of a Young Country Doctor’বইয়ে� মাঝে মলাটবন্দী করার� কিন্তু অসময়ে গত হওয়ায� এই গল্পগুলো কালে� গর্ভ� হারিয়� যায়� অবশেষে মাইকেল গ্লেনি গল্পগুলোকে উদ্ধার কর� ‘A Country Doctor's Notebook’নাম� প্রকাশ করেন� তব� এখান� গ্রামে� ডাক্তা� বলতে পল্ল� চিকিৎস� বা হাতুড়� ডাক্তা� জাতীয় কাউকে� বোঝানো হয� নি� তুলে আন� হয়েছে এক সদ্য পা� কর� অনভিজ্� ডাক্তারে� জীবনপর্বকে�
মাস্টা� অ্যান্� মার্গারিতায় আল�-আঁধারে� মধ্যকা� যে আদর্শগ� রোম্যান্টি� লড়াইয়ে� চরমত� রূ� স্কালপেলের মত� ধারালো কৌতুকী ক্রো� হয়ে ঝর� পড়েছিলো ফ্যান্টাসি� মধ্য দিয়�, এই বইয়ের গল্পগুলো� একইরকম নাটকীয়� শুধু পার্থক্য এই যে, এই গল্পগুলোতে মকিং নে�,ফ্যান্টাসি নেই। বুলগাকভে� মোটি� খোলনলচ� পাল্টে শুধু বাস্তবতা আছে। ঝড়বৃষ্টির রা�,তুষারঝড় বা ঘো� অন্ধকারে� ব্যাকড্রপে একটা টিমটিম� আল� জ্বল� হাসপাতাল� একজন ডাক্তারে� অধীনে গোটাচল্লিশেক বে�, একটা ওষুধের আলমারি আর তুষারাবৃ� দুর্গম পাহাড়� অঞ্চল। রাস্তাঘা� গ্রীষ্মে ভাঙাচোরা,শীতে তুষারে ঢাকা, বসন্তে কর্দমাক্ত। অন্ধকারে� বু� চিরে প্রতিবার রাতে� কল� ডাক্তারক� যেতে হয� দূ� কোনো জায়গায়� শ্বাপদসংকু� এস� জায়গায় ফাঁক� দিতে হয়� ক্ষুধার্� নেকড়ে� জ্বলজ্বল� দৃষ্টিকে� যে সময়ের গল্প বলছেন� বুলগাক� তখ� রাশিয়ার বেশিরভাগ জায়গা� মানু� কুসংস্কারের� কাদায় ডুবে অর্থোডক্� চার্চে� পা ধোয়� চরণামৃ� খেয়� প্রতিদিন ঘু� থেকে জেগে উঠে। একেকজন কুসংস্কারে� ডিপো� এমনই সে জায়গা যেখানে প্রসববেদনায় অস্থির মায়ের জরায়ুপথ� চিনি লাগানো হয� যে� শিশুটা তা� লোভে বেরিয়� আস�! ১৯১৭ সালে� রুশবিপ্লবে� আশেপাশের এস� ঘটনায় ওই টালমাটাল পরিস্থিতির অনেকটা জড়িয়� গেছে সাবটেক্সটে� নানা প্রতিকূলতা� বিরুদ্ধে এক সদ্য পা� কর� ডাক্তার � তা� সামান্� মেডিকে� ইন্সট্রুমেন্� নিয়� , নিজে� সব শখকে জলাঞ্জলি দিয়� রাউন্ড� যাচ্ছেন। বুলগাক� এখান� তা� স্বভাবসিদ্� মোটিফে তাকে ড্রামাটিক্যালি লার্জা� দ্যা� লাইফ বানিয়� ফেলেছেন। মিখাইলের নিজে� প্রজেকশন এই ডক্ট� বমগার্� ক্যারেকটার অনেকটা� তারাশঙ্ক� বন্দোপাধ্যায়ে� আরোগ্য নিকেতনের প্রদ্যোৎ ডাক্তারে� ব্রাদা� ফ্রম অ্যানাদা� মাদার। মাস্টা� � মার্গারিতা� মত� হয়ত� খু� বড� ফ্রেমে কোনো বিস্ফোরক জার্নি এই গল্পগুলোতে নে�,তব� বমগার্ডে� পারিপার্শ্বি� জীবন -জগৎক� ঘিরে মানব-মনস্তত্ত্বের রক্ত-ক্লে� ঘিরে বস� মাছি� অবির� ডানা ঝাপটানোর এক� প্রদর্শনী খুঁজ� পাওয়া যায় এই গল্পগুলোতে� আর তা� কোনোটা� একঘেয়� গৎবাঁধ� রুটিনে� মাঝে জর্জরি� ফেলে দেয়ার মত� গল্প নয়।
সুদূ� রাশিয়ার প্রায় ১০� বছ� পেরিয়� গেলে� এস� গল্পকে দূ� গল্পপুরে� মন� হয� না।� আমাদের চারপাশ� তাকালে� এম� ঘটনা� কথ� শুনত� পাবা� প্রব� সম্ভাবনা আছে। গ্রামী� কুসংস্কা�, নির্ধারি� ডোজে� থেকে বেশি ওষুধ খাওয়া, এক বোতল সিরা� একবারে খেয়� ফেলা, ওষুধের নেশায় মশগু� ডিপেন্ডেসি� ঘটনা এখানেও এখনও হরদম ঘটে। কিন্তু বুলগাকভে� এই গল্পগুলো বিশে� হয়ে উঠেছ� তা� নাটকীয়তা� জন্য� ডাক্তা� বমগার্� সদ্য পা� কর� ডাক্তা� হয়ে� শুধু আত্মবিশ্বাসে� জোরে� জটিল সব অপারেশ� করেন� তা� ক্রমাগ� ভয� হত� থাকে কোনো জটিল পরিস্থিত� পড়ে তিনি রো� সারাতে ব্যর্থ হবেন কিংব� ভু� চিকিৎসায� মেরে ফেলবেন কোনো রোগীকে� দিনে একশো� বেশি লো� তা� কাছে ভিড় জমায়। পর� নির্ভরতায় শুয়� পড়ে তা� ছুরিকাঁচির নিচে� তিনি একাধার� মেডিসি� স্পেশালিস্�-সার্জন-গাইনিকোলজিস্�-সাইকিয়াট্রিস্টে� কা� কর� যান। শুরু� দিকে� গল্পগুলো তা� সফলতার কথ� বললে� ক্রম� ব্যর্থতা� গল্প� অকপট� শুনিয়েছেন বুলগাকভ। ডাক্তারে� চিকিৎস� সংক্রান্� আশ্চর্� ঘটনাবলী� মাঝে� আটকে থাকে নি এসব। প্রব� তুষারঝড়� নেকড়ে� পালে� সাথে মোকাবিলা, মরফিনে� নেশায় ক্রম� মৃত্যুমুখে পতিত এক সহকর্মী ডাক্তারে� করুণ অসহায় মৃত্যু,কিয়েভ থেকে পালানো এক ডাক্তারে� টর্চার শেলে� অভিজ্ঞতা� মত� লোমহর্ষক সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হত� হয়। আর আছ� একাকীত্বে� দংশন! ধুলো জম� কাঁচের ওপার� ধু ধু প্রান্তর, বিচ্ছিন্নত�, শহরে� আল� ঝলমল� থিয়েটার,আপ� মানু� থেকে দূরে থাকা� কষ্ট�
অনুবাদ� হিসেবে ঋজ� গাঙ্গুলী� সাধুবা� প্রাপ্� এই বইটা অনুবাদ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য� মাখনের মত� মসৃণ ভাষা� গুণে অনুবাদ বলেই মন� হয� না� চিকিৎসাবিজ্ঞানের নানা খুঁটিনাট� টার্মিনোলজ�,জারগ� এত� দক্ষতা� সাথে ভাষান্তর করেছেন যে নন-মেডিকে� পার্সনরা� বে� সহজে বুঝে যাবে� লেখক আসলে কীসে� কথ� বলছে� (এট� ডাক্তা� হিসেবে আমার গ্যারান্টি)� কালচারাল ব্যারিয়ার থাকা সত্ত্বেও লস্ট ইন ট্রান্সলেশ� ঘট� নি� তব� বইটা সম্পাদনায় আরেকটু জো� দেয়� উচিত ছিল। যেমন : মিশরের রা�(Black as Egypt's Night) নামে একটা গল্প আছে। সেখানে লেখা ‘আমাদে� চারপাশ� বর� হুঙ্কা� ছেড়� আমাদের চারপাশ� পা� খায়।� এই বাক্যটায� বাহুল্� দো� হিসেবে দুইবার আসছে ‘আমাদে� চারপাশে’। ইংরেজী হল�, ‘While the snow is whirling and howling out here in the open country...� কো� (Cell) বানানটাক� বারবার লেখা হয়েছে ‘কোশ’। আরেকটু যত্ন নিলে এগুল� এড়ানো যেতো�
মিখাইল বুলগাকভে� ছিমছাম নিরিবিলি ধরনে� সর� গদ্যভঙ্গির কারণেই ‘গ্রামের ডাক্তারে� নোটবুক’বইটিক� মন� রাখব� অনেকদিন। ভাষা� অহেতুক মারপ্যাঁ� নে�,নে� কোনো তীক্ষ্� মোচড়ও� শুধু থেকে থেকে যে� শুনত� পাচ্ছি অসহায়ভাবে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, আরেকটু বাঁচবা� প্রত্যাশায� কারো অস্থির আর্তি।...more
‘Alone with Everybody� নামে চার্লস বুকোওস্কির একটা কবিত� আছে। ভিড়ের মাঝে,চেনা-পরিচিতের মাঝে থেকে� আমাদের এক� লাগা� আপাত অস্পৃশ্য,অপ্রকাশ্� অথ� অসহায়‘Alone with Everybody� নামে চার্লস বুকোওস্কির একটা কবিত� আছে। ভিড়ের মাঝে,চেনা-পরিচিতের মাঝে থেকে� আমাদের এক� লাগা� আপাত অস্পৃশ্য,অপ্রকাশ্� অথ� অসহায় অনুভূতিটাক� বুকোওস্ক� ধরতে চেয়েছেন এই কবিতায়। জীবনানন্দও সক� লোকে� মাঝে বস� নিজে� মুদ্রাদোষে এক� হওয়ার ধাঁধাটাক� খুঁজেছিলেন আজীবন� এই একাকীত্বে� সিসিফাসে বন্দী অনেকেই হয়ত� পরিত্রাণ চায়� কে� বা এই নিঃসঙ্গতার পুকুরে দেয় চঞ্চ� ডুবসাঁতার। নিঃসঙ্গতার মাঝে ডানা মেলা� এম� এক অবকা� পায়, যেখানে জাগতিক কোলাহল পৌঁছাত� পারে না� সঞ্জী� চৌধুরী বারংবা� এই একাকীত্বে� মাঝে ডুবে গিয়� ছুঁয়ে দেখেছে� কান্না� রং,জোছনার ছায়া। এক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভ্যারিয়েব� বা স্বাধী� চল� শক্ত� ছিলে� সঞ্জীব। সবকিছু� ভেতর� থেকে� কোথা� না-থাকা� ম্যাজিকে� কৌশলটা তা� জানা ছিল। তাকে দেখা গেছে ভিড়ের মধ্য� হাঁটতে হাঁটতে, কর্মযজ্ঞের গভী� স্রোতে ভাসত� ভাসত�, আড্ডায� তুবড়ি বাজি� মত� ছটফটিয়ে পুড়তে পুড়তে এক� হয়ে যেতে� সে� এক� হয়ে যাওয়াটা কিন্তু তা� নিজস্ব নির্জনতা যেখানে সৃষ্টি� প্রহ� বাঁধ� থাকে� নিজে� ভাবনার ভেতর� একলা সাঁতার কেটে সঞ্জী� কোথায় হারিয়� যেতেন। মাঝে মাঝে ভোরে� কাগজ পত্রিকার অফিস� কোনো দুপুরে আচমক� হাজি� হয়ে ইরাজ আহমে� দেখতেন সঞ্জী� এক� বস� টেবিলে তা� ঠুকে গুনগুন কর� গা� গাইছেন� দৃষ্টি জানালা� বাধা উপেক্ষ� কর� হারিয়� গেছে দূরে কোথাও। নিমগ্ন সঞ্জী� চৌধুরী ঠি� ওই জায়গাটাতে� ছিলে� ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভ্যারিয়েবল। নিজে� আত্মার ভেতর� লুকিয়� থাকা নিঃসঙ্� এলাকায� ডুবে যাওয়া সঞ্জীবে� তল পাওয়া তখ� কঠিন হতো। � ধরনে� স্বাধী� চল� শক্তির মানুষেরা নিজে� চলার পথ নিজে� নির্মা� কর� নেয়� অথ� গানে� মধ্য দিয়� মানুষে� হৃদয়ে� সাথে কী গভী� যোগাযো� কর� নে� তিনি� মগজে� কোষে কোষে সঞ্জী�-শ্রবণে� অনুধাব� ছড়িয়� পড়ল� অনুভূত হয�, কে� যে� মগজে আস� গেড়� বস� বল� চল�, ‘নিভৃত, শব্দহী�, আমার উৎসর্গময� ভালোবাসা, তোমাদে� আত্মার উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে পথ�-প্রান্তর� গা� কুড়িয়েছি, শব্দ কুড়িয়েছি, কবিত� রচেছি। তোমাদে� হৃদয়গভীরে� সক� সু�-অসুখ, সুস্থত�-অসুস্থতায় নিজেকে সিঞ্চি� কর� রচেছ� তোমাদে� আত্ম�-সংগীত।� হৃদয়ে� আকাঙ্ক্ষ� থেকে পাঁজরে� ওপ� সংবেদনশী� একাকী হাওয়ারা তখ� যে� আচম্বি� আছড়� পড়ে, আছড়� পড়ে স্বয়ং সঞ্জী� চৌধুরী� প্রতিচ্ছবি আর মাথা� ভেতর দ্রিমদ্রিম কর� বাজে:
‘ওঠো � গোলা�,
জাগা� আমাক�,
কাঁটার পুলক�,
যে উদ্ভাসিত,
দুলছ� আকাশ,
জল তিরতির,
জ্বলছে শরী�,
অম৶মাংসিত।�
‘রাশপ্রিন্ট� এর মাঝে চো� রাখল� দেখা যায়
ঘা�-অভিঘাতের দারু� ক্লেদাক্� অভিযোগের পর� কতটা সর� তিনি জীবনের প্রত�, কতটা গভীরভাব� কৃতজ্ঞ তিনি মানুষজীবনের প্রতি। আমাদের আত্মার ওঠাপড়ার জন্য, আমাদের ফেনি� অস্তিত্বের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন এক কাকচক্ষু� জলাভূম�, যে স্তব্ধতা� সূচক পাঠকের বো� কর� জানা থাকে না� ‘রাশপ্রিন্ট’–এ বলেছেন, ‘লেফটেন্যান্� জেনারে� ট্রাকে� চাকা� নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহা� হৃৎপিণ্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলু� বানিয়� বেচে দ্যায়, অথবা যাদে� শুধুমাত্� শরৎবাবুই কাঁদাত� পারে�, একমাত্� গোপা� ভাঁড়ই হাসাতে পারে—সেই নিথর স্বাভাবিকতায� মৃ� মানুষদের ব্যবচ্ছে� ঘট� এক নী� ক্লিনিকে।�
অবরুদ্� সময়� যখ� বেয়নে� আর জলপা� রঙের মহড়� চলছি� দেশে, তখনো বুকে� স্ফুলিঙ্গে� হলকা উদ্গীরণ কর� ওপেন কনসার্টে তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা বল�, ওই গাড়িত� কর� আমাদের জন্য খাদ্� আর পানীয় নিয়� যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বা� করুন বন্ধুগ�, আম� জানি, ওই গাড়িত� আমাদের জন্য কোনো খাদ্� ছি� না, আমাদের জন্য কোনো পানীয় ছি� না� ৩০� লাশ…। ৩০০ট� লা� ঠান্ডা, হি�! যাদে� খু� কর� ফেলা হবে। আম� বলতে চেয়েছিলাম সে� সত্য কথা। আর তখনই আমার দিকে এগিয়ে আস� উদ্ধ� রাইফেল� আমার দিকে এগিয়ে আস� উদ্ধ� বেয়নেট। ওর� বল�, খামোশ…। তবুও বন্ধুগ�, আমার স্বপ্নের� কথ� বলতে চা�, আমার অন্তরে� কথ� বলতে চাই…�
ঢাকা� পথ� পথ� হাঁটার সময় সঞ্জী� চৌধুরী� কথ� মন� আসে। স্ফুলিঙ্গডান� কমরে� সঞ্জীবনী সঞ্জী� চৌধুরী� প্রত� আকাশ� উড়ো কথ� ভাসিয়� দিতে ইচ্ছ� করে। সে� সঞ্জী� চৌধুরীকে নিয়� নানা স্মৃতিচারণায�,স্মরণে,ভালোবাসা� অজস্রতায� জয� শাহরিয়া� সাজিয়েছেন এই সংকলনখানা। বাপ্পা মজুমদা�,ইরাজ আহমে�, টোকন ঠাকুরস� আর� অনেকের স্মৃতি� উল্লম্� অনুভূমিক তল� ছড়ানো খণ্ড খণ্ড মুহূর্তগুলোক� এক� সরলরৈখিক কোণে এন� দিয়েছ� সঞ্জ৶বনামা। নিজে� একান্ত কাছে� কারো� অনুপস্থিতিতে যেমন তা� ব্যবহৃ� জিনিসগুল�,পোশা�-আশাক তাদে� প্রত� ভালোবাসা� পারদটাকে উসকে দেয়,আর� তীব্রত� হয� না-থাকাটা...বাড়তি পাওন� হিসেবে রঙিন আলোকচিত্�,অ্যালবাম কাভারগুল� যে� ছুঁত� চেয়েছ� সঞ্জীবে� সে� না থাকাটাকে�...more